আড্ডার হিং টিং ছট

মূলত পাঠক এর ছবি
লিখেছেন মূলত পাঠক (তারিখ: মঙ্গল, ২৮/০৪/২০০৯ - ১:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এখানে মাঝে মাঝে সচলাড্ডার গল্প শুনি, তা সেইজাতীয় অভিজ্ঞতা তো আমার ঝুলিতে নেই। অতএব যা আছে তার থেকেই লিখি, আফটারঅল আড্ডা ইজ আড্ডা!

শনিবার আমার বন্ধুদের নেমন্তন্ন করার পরিকল্পনা ছিলো কিন্তু সেদিন শহরে একটা অনুষ্ঠান থাকায় ঘটনাটা রোববার করতে হলো। এখানের পাট তোলার সময় হয়ে এলো, সবাই তাই একটু স্মৃতিমেদুর, তা বলে বিষণ্ণ হয়ে থাকার সুযোগ নেই। ওর মধ্যেই খানাপিনা হুল্লোড় চলছে জোরকদমে। তো সেই স্পিরিটকে বজায় রেখেই ডিনারের আয়োজন।

ক্যারিন আমার সাথে পড়ে, আর তার নতুন বর কেভিন পড়ে ল স্কুলে। খুব হাসিখুশি দুজনেই, আর দক্ষিণী গোঁড়ামিমুক্ত, বস্টনের নামে দুজনেই এক ঘটি ক'রে জল বেশি খেয়ে নেয়। এরা এলে প্রাণভ'রে রিপাব্লিকানদের গুষ্ঠির তুষ্টি করা যায়। যাঁরা আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চলে থেকেছেন তাঁরা অন্তত বুঝবেন এতে কী পরিমাণ নির্মলানন্দপ্রাপ্তি হয়। জিম আর এমি মিড-ওয়েস্টের, জিমের পরিবার ঘোড়ার রাঞ্চ-ট্যাঞ্চ সমেত বিশাল ধনী পরিবার যদিও সে বাবদ ছোকরার আচরণে কোনো ফারাক দেখি নি। এমিও আমাদের সহপাঠিনী আর মডেল-গোছের চেহারাওলা সাদাসিধে স্বভাবের মেয়ে। ক্রিসকে আমার ক্লাসে প্রথম যখন দেখি তখন সে দেবদাসত্বের সাধনা করছিলো সদ্য-ভাঙা সম্পর্কের শোকপালনার্থে। বছরখানেক পরে সে উৎপাত ঘুচেছে, খানিক আমাদের ক্রমাগত গালাগালে আর খানিক বোধ হয় নিজেও বোর হয়ে গেছিলো। একটি সোফোমোর বালিকা বগলে এখন তাকে দেখা যায়, অবশেষে! আর জেকব হলো একটি তালঢ্যাঙা সযত্নে-অযতন সখের বোহেমিয়ান যার গুষ্ঠিসুদ্ধ সবাই শিল্পী আর সে নিজে স্রেফ কদরদান। এরা সব খেতে আসবে, কাজেই পর্যাপ্ত খাবার না থাকলে চলবে না, সব কটাই প্রায় খানেওয়ালা টাইপ। সাধারণত এই সব জায়গায় ডিপ আর চিপস দিয়েও সারা যায় কি খুব জোর পিৎজা অর্ডার করলেই হয়, তবে এটাই হয়তো একত্রে আমাদের লাস্ট সাপার তাই মেহনত খানিক করা যেতেই পারে মনে হচ্ছিলো।

অতএব ভালোমন্দ খাওয়া হলো। অ্যাসপারাগাস হলান্ডাইস সস দিয়ে, ক্র-ফিশের একটা ক্রেওল পদ যা বানাতে সাত-আট মিনিটের বেশি লাগে না, ওয়ালনাট দেয়া স্প্রিং মিক্সের স্যালাড (মেশাতে দু মিনিট), রসুন-গন্ধী রুটি (গরম করতে তিন মিনিট), সেলেরি রুট আর টারনিপ দিয়ে গোরুর স্টু (এতে সময় লাগলেও খাটনি নেই, বসিয়ে দিলে নিজে নিজেই ফুটে তৈরি হয়ে যায়), পোর্ক সারলয়েন রোস্ট (এইটে ঝঞ্ঝাটের, সময় আর খাটনি ছাড়াও টেনশন থাকে ওভারডান বা আন্ডারডান হওয়ার), আর শেষে আইসক্রিম সহযোগে ফাজ ব্রাউনি (মেশাতে পাঁচ মিনিট, তারপর ওভেনের দায়িত্ব বাকিটা)। তো এইভাবে পাঁচ-ছ পদ হয়ে গেলো দু-ঘন্টায়। যেহেতু ধাপে ধাপে খাওয়ার আয়োজন, ফাঁকে ফাঁকে আড্ডাটা ভালো জমলো। শনিবারের হুল্লোড়ের গল্প তো ছিলোই, অনুষ্ঠানটা সাইকেল রেস ঘিরে হলেও পানরসিকদের তাতে কী, কাজেই অনেকেই আদ্ধেক দিন হ্যাং-ওভার কাটিয়ে এসেছে, কয়েক জন যে আসতে পারে নি তারও কারণ ওটাই। মদ্যপানের পেছনে যে এতো পরিকল্পনা থাকতে পারে না দেখতে বিশ্বাস হতো না। রীতিমতো সময় বাঁধা, কোন্ পাবে কতক্ষণ থাকা হবে, তারপর কোন্ পাবে যাওয়া হবে, সব নিয়ম মেনে। কেউ কেউ ছিটকে গেলেও যাতে গ্রুপ মোটামুটি একসাথে থাকে তাই এই ব্যবস্থা। তার উপর এখানে শনিবার এক অধ্যাপক এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা নিয়েও আলোচনা হলো। নেহাৎ অপ্রাসঙ্গিক হবে নইলে সে গল্পও শোনানো যেতো, তবে কেউ কেউ পড়ে থাকবেন হয়তো।

ক'দিন আগে এক সহপাঠী মুখে স্কচ টেপ লাগিয়ে ক্লাসে উপস্থিত, প্রো-লাইফের সমর্থনে। বেশির ভাগ জনতা প্রত্যাশামতোই প্রো-চয়েস। কাজেই গতকাল সবাই মিলে সে ছোকরার নামে প্রচুর খিস্তানো গেলো, কেউ কেউ তো নিজেকে প্রো-অ্যাবর্শন অবধি বানিয়ে ফেললাম, সৃষ্টির ভারসাম্য রাখতে, কারণ এই গভীর দক্ষিণে সব কিছু উল্টো বাগে চলে। যদিও মূল সমস্যা এর কোনোটাই নয়। এই বিতর্ক যে বিষয়টা নিয়ে, অনেকেরই জীবনে তার কোনো প্রত্যক্ষ প্রভাব নেই। এবং অন্যান্য সব সমস্যা যে মিটে গেছে তাও তো নয়। ভ্রুণ হোক আর মানবশিশু, তাকে বড়ো ক'রে তোলাটা তো সবচাইতে ভালো, এ কথা নীতিগতভাবে সবাই মানেও। তবু কিছু একটা হল্লা তুলে তা নিয়ে লাইমলাইটে আসার সুযোগ কেউ ছাড়তে চায় না। তাছাড়া ব্যাপারটা এতো সরলরৈখিকও নয়। সব বাচ্চা যে দত্তক নেওয়ায় আগ্রহী বাপ-মা পেয়ে যায় তা নয়, শ্বেতাঙ্গ শিশুর তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গ শিশুর বাজারচাহিদা অনেক কম। ফলে এদের ক্ষেত্রে অনাথালয়ে স্থান পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কোনো মা-ই কি নিজের সন্তানের জন্য সেই জীবন চাইবে? তার মানে সাদা অবাঞ্ছিত ভ্রুণ বঁেচে গেলেও কালো মায়ের জন্য হয়তো গর্ভপাতই ভালো, এই দাঁড়াচ্ছে? নীতির পথেও বৈষম্য শেষপর্যন্ত?

আমার প্রতিবেশী এক মাঝবয়সী ভদ্রলোক, স্বল্পশিক্ষিত এবং নীলকলারের কর্মী, বেশ রসিক লোক। বারান্দায় আড্ডা দিচ্ছিলাম যখন গোধূলি দেখতে দেখতে তিনি আমাদের দেখে চোখ টিপে এক গাল হাসি দিয়ে গেলেন। এটা একটা পুরোনো রসিকতা আমাদের, এর মানে হলো ফূর্তি করছো করে নাও, দু দিন বই তো নয়! সত্যিই বাজারের যা হাল তাতে জীবন অনিত্য এটা সবাই হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছে। টার্গেটের হেড-কোয়ার্টার মিনিয়াপোলিসে চাকরিতে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো ক্রিস কিন্তু সে গেছে ভন্ডুল হয়ে, এখন উত্তুরে বরফ ঠেকানোর গরম কাপড়টাপড় দিয়ে এখানের চাঁদিফাটা রোদ্দুর কী ক'রে ঠেকানো যায় তার গবেষণা করছে। কেভিন অবশ্য আরামে আছে, সামনে বার এক্সাম দিয়ে সে শ্বশুরবাড়িতে একমাসের জন্য জামাই আদর খাওয়ার কথা ভেবে আহ্লাদে ডগোমগো। সে এমনই আহ্লাদের চোট যে দু ঘন্টা থাকবে এই ভেবে এসে আড্ডানন্দে মেতে পাঁচ ঘন্টা কাটিয়ে গেলো। আমরা বাঙালিরা আড্ডা পেলে সব ভুলে যাই এ কথা সত্যি, কিন্তু এ বিষয়ে এদেরও বিশেষ পিছিয়ে থাকতে দেখি না, সব ব্যাটাই সমান।

যাক আরো বকা যেতো আড্ডা নিয়ে কিন্তু থামা যাক এবার। যাওয়ার আগে ক্র ফিশের ক্রেওল রেসিপিটা বলে যাই। যাঁরা সী-ফুড ভালোবাসেন তাঁদের ভালো লাগবে বলেই মনে হয়। বসন্তের ছুটিতে ওয়াশিংটন ডিসি-তে একদিন হারবার-তীরে বসে সমুদ্রবাসীদের নানা প্রজাতির বৈকুণ্ঠগমনের বন্দোবস্ত করে রসনা এবং বাসনার প্রচুর পরিতৃপ্তি হয়েছিলো, কালকেরটা সেখান থেকেই অনুপ্রাণিত।

একটা বড়ো পাত্রে অল্প মাখন গরম ক'রে তাতে তেজপাতা, লবঙ্গ, মোটা করে কাটা পঁেয়াজ আর রসুন, গোলমরিচের টাটকা গুঁড়ো, লবণ, কায়েন পেপার বা স্রেফ আমাদের লাল লংকার গুঁড়ো, থাইমের পাতা, এই সব দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে জল ঢেলে দিন প্রচুর। খানিকটা ধনে গুঁড়ো দিলে স্বাদ খোলে, তবে বেশি দেওয়া বারণ, দেশি স্বাদ এসে যাবে। এবার এতে ধুয়ে নেওয়া ক্র ফিশ দিয়ে দিন, এই জলে মাছ সেদ্ধ হবে। শক্ত খোলার মাছ তাই একটু সময় লাগে, চার-পাঁচ মিনিটের বেশি নয় তা বলে। নামিয়ে জলটা ফেলে দিয়ে বড়ো ট্রে-তে করে ভুখা জনতার মাঝখানে রেখে দিন। পাশে একটা আবর্জনার পাত্র লাগবে, খোসা জমবে প্রচুর। আমেরিকায় ক্রেওল বলতে ইউরোপ থেকে লুইসিয়ানা প্রদেশে আসা ফরাসি অভিবাসীদের পরের প্রজন্ম যারা এখানেই জন্মেছে সেই জনগোষ্ঠিকে বোঝায়। তবে এ তখনকার কথা যখনো আমেরিকা লুইসিয়ানা প্রদেশ কিনে নেয় নি।

উপরের ছবিটা অবশ্য কালকের নয়, গত থ্যাংকস গিভিংয়ে সাতদিন ব্যাপী ম্যারাথন খানা খেয়েছিলাম এক রন্ধনে-দ্রৌপদীর বাড়িতে এ সেই স্বর্গবাসের ছবি। এই গোরুটি অবশ্য তার পতিদেবের বানানো। আমি কাৎ হয়ে থাকবো আর অপ্সরারা আঙুরগোছা ধরবে এই ছবিটা ওভাররাইট হয়ে গেছে এই গোরুটা খেয়ে।


মন্তব্য

মামুন হক এর ছবি

চমৎকার লেখা। আপনার মুলত পাঠক নিকটা আর ভালো শোনাচ্ছেনা। এটাকে বদলে মুলত লেখক করে দিলে কেমন হয়??
ক্র ফিশের বদলে বড় সাইজের চিংড়ী দিলে চলবে? এখানে ক্র ফিশ তেমন পাওয়া যায়না।

মূলত পাঠক এর ছবি

হা হা, ধন্যবাদ মামুন ভাই।

ক্র ফিশের সাথে চিংড়ি মিশিয়েও বানায় অনেকে এটা, সাথে সেলেরি দেয় (একজায়গায় দেখলাম পার্সলে পাতা দিয়েছে থাইমের বদলে), আমি একটু সিম্পলিফাই করে নিয়েছি। তাছাড়া চিংড়ি আর এর সেদ্ধ হতে যেহেতু আলাদা সময় লাগে, একসাথে বানালে চিংড়ি বেশি শক্ত হয়ে যায়। শুধু চিংড়ি দিয়ে নিশ্চয়ই হবে, চমৎকার হবে, তবে আমি নিজে সেদ্ধ চিংড়ির ভক্ত নই, শক্ত শক্ত লাগে টেক্সচারটা। আপনি জল না দিয়ে ঐ প্রাথমিক পঁেয়াজাদি একটু ভাজা হলে তাতে চিংড়ি দিয়ে স্যটে ক'রে বানাতে পারেন। তাজা চিংড়ি হলে আর সেদ্ধ করবেন কেন, ও তো এমনিই/কাঁচা খাওয়া যায়, স্যটে করলে দৌড়বে। পঁেয়াজের বদলে লিক, শ্যালট বা স্কালিয়ন দিতে পারেন।

কাঁচা মাছের কথায় মনে পড়ে গেলো, আহা কতদিন সাশিমি খাই নি!

সচল জাহিদ এর ছবি

এটাকে বদলে মুলত লেখক করে দিলে কেমন হয়??

মামুন ভাই আমি মনে মনে এইডা লেখুম বইলা ঠিক করছিলাম, দিলেনত আগে লেইখা।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

মূলত পাঠক এর ছবি

হা হা, আপনেও? চোখ টিপি

মামুন হক এর ছবি

সহজ রেসিপিটার জন্য ধন্যবাদ।
ভাইসাহেব আসুন না একবার পূর্ব দিকে সাশিমি ,সুশি দিয়ে ভাসিয়ে দেয়া হবে আপনাকে। সব তাজা। ওয়াসাবি আর সয়া সস দিয়ে মাখিয়ে মুখে দিলে দোলমার মত গলে যাবে।

মূলত পাঠক এর ছবি

পূর্ব মানে আমেরিকার পূর্বে? আমি নিজে তো আমেরিকার পূর্ব তটেই থাকি, যদিও সুদূর দক্ষিণে। আপনি কি মেইন-টেইন কোথাও থাকেন নাকি?

মামুন হক এর ছবি

আরে মশায় আমার ব্যাপারে কিছুই জানেন না দেখছি , আর আমি আপনাকে বন্ধু ভেবে সাশিমি খাওয়ার আর চৈনিক নর্তকীদের ফ্লেক্সিবিলিটি দেখার দাওয়াত দিয়ে টিয়ে তো এক্কেবারে কেলেংকারী করে ফেলছি হাসি
আমি থাকি তাইওয়ান নামের ছোট্ট এক দ্বীপদেশে। ফ্রেশ সাশিমি আর কোথায় পাবেন বলুন।
ঠিক ঠাক মত ক্ষমা চাইলে আপনার নিমন্ত্রন অক্ষুন্ন থাকবে!

মূলত পাঠক এর ছবি

এ যাত্রা মাফ করে দ্যান। সমস্যা হলো আপনার প্রোফাইলে গিয়ে যে বিশদে জানবো অ্যাপেলে সে এক ঝঞ্ঝাট। তাইওয়ান যাওয়ার সুযোগ হলে আর নিমন্ত্রণটা তদ্দিন বজায় থাকলে দ্বীপের সামুদ্রিক জনসংখ্যা কমিয়ে দিয়ে আসবো নিশ্চিত। হাসি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

উপভোগ করে গেলাম। আড্ডার মজাই আলাদা। লিখতেও আরাম।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

মূলত পাঠক এর ছবি

ধন্যবাদ নীড় সন্ধানী, আড্ডা ভার্চুয়াল হলেও মন্দ জিনিস না, কী বলেন? হাসি

মামুন হক এর ছবি

হাহা হাসি ঠিকাছে এ যাত্রায় মাফ। নিমন্ত্রণটা আজীবন বজায় থাকবে।

মূলত পাঠক এর ছবি

বাঃ বাঃ, লাইফ মেম্বারশিপ পেয়ে গেলাম তা'লে হাসি

ধন্যবাদ অনেক, আপনার নেমন্তন্নও রইল এ অঞ্চলে। হাসি

দৃশা এর ছবি

তাজ্জবের খোলা পিঠা! এটা গরুর গোশ আছিল নাকি!
আমি আরো ভাবলাম মরা ইন্দুরের ফটু লাগাইয়া রাখছে কেন প্লেটে সাজাইয়া।
নাহ! বয়সটাও হইছে চুখ দুইখানও গেছে !

দৃশা

মূলত পাঠক এর ছবি

এত্তো বড়ো ইন্দুর! বেজিও তো অত্তবড়ো হয় না!

অবশ্য ইন্দুর হইলেই বা ক্ষতি কি, লীলা মজুমদারে লিখসে তো, সাঁওতালরা সামোসা ফালাইয়া ইন্দুর ভাজা খায়। ভালোই হইবো নিশ্চয়।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

জম্পেশ খানাদানা আর আড্ডার লেখাটাও জম্পেশ চলুক
***************
শাহেনশাহ সিমন

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

মূলত পাঠক এর ছবি

থাংকু হাসি

কীর্তিনাশা এর ছবি

ইর্ষন্বিত হইলাম আড্ডার খবরে। যে সব আড্ডায় আমি থাকি না সেই সব আড্ডার খবর পেলেই ইর্ষান্বিত হই আমি।

লেখা চমৎকার হয়েছে হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

মূলত পাঠক এর ছবি

আরে আড্ডার কি শেষ আছে? আবার হবে।

থাংকু হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- শুয়োর খাইয়েন নারে ভাই।
আজকে খবরে শুনলাম, ম্যাক্সিকো থেকে আসা লোকজন তো দূর, ফ্লাইটকেও কড়া নজরদারীতে ফেলে দিয়েছে জার্মান সরকার।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মূলত পাঠক এর ছবি

এই শুয়োরের বাচ্চাটারে আগেই কিন্যা ফালাইসিলাম, আর খাওন নাই এখন থিকা। এমনিতেও লাল মাংস খাওনের সাহস কমই হয়, পক্ষীর উপর থাকি।

আপনার আন্তরিক স্বরটা খুব ভালো লাগলো।

মুস্তাফিজ এর ছবি

আমার খালি ক্ষিধা লাগে

...........................
Every Picture Tells a Story

মূলত পাঠক এর ছবি

আহ্হারে আপনে এইখানে আসেন, খাওয়াইয়া খাওয়াইয়া আপনের ওজন সপ্তাহে দশ পাউন্ড কইরা বাড়ায়া দিমু নে।

রণদীপম বসু এর ছবি

আহারে খানারে !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মূলত পাঠক এর ছবি

আর আছে কী বলেন জিন্দেগীতে!

স্নিগ্ধা এর ছবি

মূলত পাচক মশাই, আপনাকে একটা কথা বলি - গত প্রায় মাস দেড়েক/দুয়েক হবে আমি প্রমি'র জন্য ছাড়া ঠিকমতো আর কিছু রান্না করি না, হাবিজাবি খেয়ে কোনমতে নাজুক জীবনটা টিকিয়ে রাখছি, গতকাল তো বললামই মাছ আর ডাল দিয়ে ভাত খাওয়ার জন্য প্রাণটা প্রায় ছুটে বেরিয়ে পড়ছিল ------

তো এহেন মানসিক অবস্থায় যখন আপনি একের পর এক খাদ্যাপ্পোস্ট দিতে থাকেন, তখন ......... থাক, বাকিটা আর না-ই বলি, আফট্রল ভদ্রতা বলে একটা ব্যাপার আছে না! মন খারাপ

মূলত পাঠক এর ছবি

দুই মাস আপনে হাবিজাবি খাইয়া আছেন? বিরিঞ্চিবাবার গল্পের মতন বাইরইয়া গেলো মুখ দিয়া, মাই ঘড! আসেন এইখানে, প্রমিরে লইয়া, খাওয়ামুনে যা আপনের পরাণ চায়। এইখানে বাইরে খাদ্যও তত দুর্মূল্য নয়, আপনেরে পেট ভইরা জাপানি খানা খাওয়াইতেও লইয়া যামু।

আহ্হারে মনা (আমার এক দিদিমা ছিলেন তিনি সব্বাইকে মনা বলতেন), এমন জানলে শুধু সিনেমার গল্পই কর্তাম!

তানবীরা এর ছবি

যেভাবে খালি রান্ধনের পুষ্ট দিতাছে, বেচারা বোধহয় খুবই খানা দানার কষ্টে আছে। মানুষের দুঃখে মনটা খ্রাপ হইয়া গ্যালো।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনেই বুঝলেন আমার ব্যাদ্না!

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

এথেন্স মানে REM-এর শহর না??
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

মূলত পাঠক এর ছবি

হ্যাঁ, এবং এরা এখানে মোটামুটি সক্রিয়। উইকিতে লিখেছে:
Since the late 1980s, R.E.M. has been involved in the local politics of its hometown of Athens, Georgia. The band has often donated funds to local charities and to help renovate and preserve historic buildings in the town. R.E.M.'s political clout was credited with the narrow election of Athens mayor Gwen O'Looney twice in the 1990s.

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চমৎকার বর্ণনা। ভালো লাগল। লোভনীয় সব খাবারের একআধটু চাখতে পারলে আরো ভালো লাগত অবশ্য হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

দক্ষিণবাগে এলে নিমন্ত্রণ রইল, নিশ্চয়ই চাখানো যাবে। হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

টিকিট পাঠিয়ে দিন, সত্যি সত্যি চলে আসব কিন্তু চোখ টিপি হা হা হা

মূলত পাঠক এর ছবি

গরীব ছাত্রের সাধ আছে, সাধ্য যে নেই!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।