‘ইহা শায়েস্তা খাঁ’র আমল নহে’

রণদীপম বসু এর ছবি
লিখেছেন রণদীপম বসু (তারিখ: সোম, ০৭/০৭/২০০৮ - ১:৪৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গতকল্য ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সুবাদে আকস্মিক এক মহতি বাণী শ্রবণ করিবার সৌভাগ্য অর্জন করিয়াও নিজেকে বুঝাইতে পারিতেছিলাম না, ইহা কী শুনিলাম। আর অদ্য প্রিণ্ট মিডিয়ার কল্যাণে উহা পর্যবেক্ষণ করিয়া চক্ষু কর্ণের বিবাদভঞ্জন করিবার সুযোগপ্রাপ্ত হইয়া নিশ্চিন্ত হইলাম যে, এই কর্ণকুহরে যাহা প্রবিষ্ট হইয়াছিল গতরাত্রিতে, কদাচ মিথ্যা ছিল না তাহা ; বিলক্ষণ সত্যই শুনিয়াছিলাম।

যাহা শুনিয়াছিলাম তাহার মর্মার্থ নিম্নরূপ। আমাদের মহামহীম অর্থ উপদেষ্টা ড.এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম মহোদয় তাহার মধুমুখনিঃসৃত এক অমেয় বাণীর মাধ্যমে আমাদিগের মতো বুদ্ধিভ্রংশ অপগণ্ড নাগরিকদিগকে ইতিহাসের শায়েস্তা খাঁ’র আমলের কথা ভুলিয়া যাইবার অভূতপূর্ব সত্যপরামর্শ দিলেন তো বটেই, দ্রব্যমূল্য যখন নাগালের উর্ধ্বে উঠিয়া নভোমণ্ডলে উড়িয়া চলিবার মুক্ত প্রতিযোগিতায় ভীষণ পাগলাটে হইয়া সব কিছুকে তুচ্ছ করিয়া দিয়া অশিক্ষিত মুর্খ জনতার কল্পনাকেও হার মানাইয়া ফেলিতেছে, তৎক্ষণাৎ তিনি অতিশয় জোর দিয়া ইহাও বলিয়াছেন যে, নিত্যপণ্য দ্রব্যাদির যদৃচ্ছ খরিদমূল্য কমিবার আপাতত কোনই সম্ভাবনা নাই। মূল্যহ্রাস ঘটিতে পারে, আমাদিগের এহেন দুর্মর আশা সম্পূর্ণরূপেই অবাস্তব এবং কাল্পনিকচিন্তা মাত্র। এবং ইহা বলিতেও তিনি কিয়ৎমাত্র ভুল করিলেন না যে, এতদবিষয়ে সমাসীন সরকার বাহাদুরের কিছুই করণীয় নাই। আহা, আমাদের রাজাধিরাজ, পাত্র মিত্র অমাত্যবৃন্দের প্রজাবাৎল্যর কী অপার মহিমা ! ধন্য আমাদের অকল্পনীয় সৌভাগ্যকে।

তিক্তবচন যতই দুর্বার সত্য হউক না কেন, তাহা স্পষ্টরূপে উদগীরণের এইরূপ অদৃষ্টপূর্ব ক্ষমতা সকলের থাকে না। ইহার জন্য বুকে বল আর বিচিত্র মানবশরীরের কটিদেশে যে শক্তিসামর্থ থাকিতে হয় তাহা যে আমাদের এই মহান বাণীদাতার বিলক্ষণ রহিয়াছে, ইহা ভাবিয়া বিনয়াবনত প্রজা হিসাবে অতিশয় তৃপ্তির উদয় হইল। কৃতদাস্য করিয়া করিয়া এই অভাগা জাতির বাঁকিয়া যাওয়া মেরুদণ্ড যখন সোজা সরল হইবার আর কোন সম্ভাবনা দেখিতে পাইতেছিলাম না, এতদলগ্নে তাঁহার এতদৃশ পরম সাহসী বাণী আমার মতো অভাজনকেও অতিশয় আশ্বস্ত করিয়াছে বৈ কি। না, আশাহত হইবার কোন কারণ নাই। এখনও আমাদিগের সূর্যসন্তানরা নিঃশেষ হইয়া যায় নাই।

নির্বুদ্ধিতায় আক্রান্ত হইলে মানুষ ইতিহাস বিস্মৃত হইয়া যায়। আমরাও ইতিহাস বিস্মৃত হইয়াছিলাম। কিন্তু ইতিহাসের এই খণ্ডিত ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশ যে বাহুল্যস্বরূপ মনের মধ্যে ঘুপটি মারিয়া থাকিয়া সরিষার ভুতের মতো আমাদিগকে কোন্ অজান্তে বিপথে চালিত করিবার প্রয়াস পাইয়াছিল, আমরা তাহা বুঝিতে না পারিলেও তিনি তাহা ঠিকই অনুধাবন করিতে পারিয়াছেন। এইখানেই পরম জ্ঞানীজনের সহিত অতিসাধারণ জনতার অনতিক্রম্য ব্যবধান রচিত হইয়া যায়। আমরা টু শব্দটি করিবার পূর্বেই দিব্যচোখে তিনি তাহা অবলোকন করিয়া ভাবের সারমর্ম উচ্চারণ করিয়া বুঝাইয়া দিলেন, তোমাদের চিন্তাধারা সঠিক রাস্তায় চালিত হইতেছে না। ওইসব অনর্থক অষ্টবক্র চিন্তা পরিহার কর। নচেৎ মন্দ ফলাফলের জন্য নিজেরাই দায়ী হইয়া যাইবে। দৈবাৎ না খাইয়া মরিয়া যাইবে ? ইহা ভিন্নতর বিষয়। পরবর্তীতে সুযোগমত তাহা লইয়া ভাবা যাইবে না হয়। কিন্তু বাঙালীর পরাণ তো এতো ভঙ্গুর নহে। ইহা কৈ মাছের ন্যায়। ইহাকে তাড়াইতে চাহিলেও তাহা সহজে ছাড়িয়া যাইবে না। অতএব এই বাহুল্য প্রাণবায়ু লইয়া দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হইবার তো কোনই হেতু দেখি না !

শুনিয়াছি নবাব শায়েস্তা খাঁ’র অতিবিশ্রুত আমলে এক টাকার বিনিময়মূল্যে আটমণ ওজনের সমপরিমাণ চাউল খরিদ করা যাইত। অতিউর্বর সেইসব আমলে শস্যপ্রসবিনী দেশমাতৃকার জীবিত সন্তানদের মধ্যে ক্ষুৎপীড়িত হইয়া কেহ স্বর্গলাভ করিয়াছে এইরকম অকল্যাণমূলক দৃষ্টান্তও কোথাও খুঁজিয়া পাওয়া যায় নাই। অধিকন্তু তাহারা যে অতীব সুখ শান্তিতেই দিনাতিপাত করিয়া গিয়াছে ইহাই সর্বত্র বিশ্রুত আছে। ইহাতে ধারণা হইতেছে যে, তখনকার অধিবাসীদিগের দৈনন্দিন রাহা খরচসহ আনুষঙ্গিক আয়-উপার্জন অতিবিলাসী না হইলেও কোনভাবেই অকিঞ্চিৎকর ছিলো না। কেননা তৎকালীন ইতিহাসের খানাখন্দ খুঁজিয়াও সেই আমলের অকিঞ্চিৎ উপার্জনের এইরকম কোন নমূনা আজপর্যন্ত কেহ দাখিল করিয়াছেন বলিয়া শুনিতে পাই নাই।

এমতাবস্থায় মহামহিম উপদেষ্টার দীপ্যমান স্বতঃস্ফূর্ততার উজ্জ্বল পরামর্শবাণী মোতাবেক আমরাও ইতিহাসের পরিত্যাজ্য কণাসদৃশ বাহুল্যটুকু ভুলিয়া যাইতে চাই। ইহা শায়েস্তা খাঁ’র আমল নহে। তথাপি অতীব নগন্য যে কারণটির জন্য উহা ভুলিতে পারিতেছি না, তাহাই সুচাগ্র আলপিনের তীক্ষ্ণ শূলের মতো নিরবচ্ছিন্ন খুঁচাইয়া খুঁচাইয়া পুনঃ পুনঃ মনে করাইয়া দিতে উদ্যত থাকিতেছে। সরকার বাহাদুরের নকড়ান্ন খাইয়া দিনাতিপাত করিবার সজোর প্রচেষ্টায় যাহারা কেবলমাত্র বাঁচিয়া থাকিবার প্রাণপণ চেষ্টায় লিপ্ত রহিয়াছে, তাহাদের দৈনিক কিংবা মাস মাহিনাটা যে শায়েস্তা খাঁ’র আমলের অপভ্রংশ স্মৃতিটাকেই ধারণ করিয়া বহাল তবিয়তে প্রাণবায়ুতে ধুম্র উদগীরণ করিয়া যাইতেছে, তাহা মহামান্য উপদেষ্টা মহোদয় তাঁহার প্রবল আত্মশক্তিতে ভুলিয়া যাইতে সক্ষম হইলেও মূর্খ অভাজনরা সেই অলৌকিক গুন সঞ্চয় করিতে পারিবেন কী করিয়া ? তাহারা তো ভাতের চিন্তা করিতে করিতে যাবতীয় সৃজন উন্মুখ চিন্তার প্রক্রিয়াই ভুলিয়া গিয়াছে ! আর রাষ্ট্রচিন্তার মর্মার্থ বুঝিলে তো এই বঙালদেশ কোন্ কালেই জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ দেশ হইয়া সবাইকে তাড়াইয়া বেড়াইত। সে যাহাই হউক, তথাপি প্রজা বলিয়া কথা। কখন কী করিয়া বসে তাহার কি কোনো ঠিক ঠিকানা আছে !

কখন আবার ধুম্রের আঁচ পাইয়া চামড়া জ্বলিয়া উঠিলে শায়েস্তা খাঁ’র নাম উল্লেখ করিয়া মূর্খ জনতা অহেতুক বেয়াদপি করিয়া বসে, সেই বিষয়টাও কি আমাদের মহামহিম উপদেষ্টা মহোদয় তাঁহার ত্রিকালদর্শী দিব্যচোখে অবলোকন করিতে পারিতেছেন ? শুনিয়াছি রাবণেরা যেইখানেই যায়, সেইটাই নাকি লঙ্কা হইয়া যায় !

(০৬/০৭/২০০৮)


মন্তব্য

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

শুনিয়াছি রাবণেরা যেইখানেই যায়, সেইটাই নাকি লঙ্কা হইয়া যায় !

আহা! দারুণ বলেছেন।

রণদীপম বসু এর ছবি

এতদবিষয়ে কী আর বলিব, সকলি উল্টাইয়া গিয়াছে। কেননা ইহা শায়েস্তা খাঁ'র আমল নহে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অনিন্দিতা এর ছবি

শুনিয়াছি রাবণেরা যেইখানেই যায়, সেইটাই নাকি লঙ্কা হইয়া যায় !

একদম সত্য কথা।
তবে ক্ষমতায় গেলেই কি মগজ টা খুলিয়া রাখিয়া যাইতে হইবে?
জনগনকে নির্বোধ ভাবিতে হইবে?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ইহা শায়েস্তা খাঁর আমল নহে
ইহা লুইট্টা খা'র যুগ

রণদীপম বসু এর ছবি

অতীব সত্য মন্তব্য করিয়াছেন জনাব।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখক মহোদয়, অতি উত্তম লেখনী ও সময়োপযোগী বিষয়বস্তু নির্বাচনের জন্য আপনাকে অভিনন্দন। অতিসত্তর আরো এইরকম লেখার আশায় বসিয়া থাকিলাম।

---লাইঠেল

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

ব্যাপারখানা ভাবিবার বিষয়।অর্থ মন্ত্রনালয়ে যারাই গদিনশীন হন-তাদের সবারই কমবেশী ভাষা বিভ্রাট ঘটে থাকে।এবং এই বিভ্রাট তরীকা সবার একই। কী আছে এর ভিতরে?

---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

আকতার আহমেদ এর ছবি

"ইহা শায়েস্তা খাঁর আমল নহে"
হ.. ইহা আজিজ মির্জ্জার আমল !
রণদীপম দা.. দুর্দান্ত এই লেখার জন্য (বিপ্লব)

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভাষা বিভ্রাট কি? নাকি মগজ বিভ্রাট?
অর্থমন্ত্রী ঘোষনা দিয়া দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকে জায়েজ করিলেন, এবং নির্দ্বিধায় যে তাহা আরো বাড়ানো যাবে সেই পথ খুলিয়া দিলেন চিচিং ফাঁক... এখন আমরা সেই অন্ধকার অন্দরে প্রবেশিব... বের হবার পথ খোলা নাই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

মগজ কিংবা মজগ বিভ্রাটই সই।

শায়েস্তা খাঁর দিন শেষ
তাইলে কি নব্য চেঙ্গিস খাঁর আমল শুরু?

---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

গৌতম এর ছবি

আমি বাণীপ্রদানকারীর সহিত একমত। আপনারা-আমরা সবাই জানি- এখন শায়েস্তা খাঁর যুগ নহে। কথা হইলো- এই জানা সত্য যেইভাবে নতুন করিয়া বলা হইলো, তাহাতে প্রথমে মনে হইয়াছিলো- এইটুকু বুঝি আমাদের এতোদিন অজানা ছিলো। আমরা যারা প্রতিনিয়ত বাজারে যাইয়া জনাব শায়েস্তাকে মনে করিতাম, তাহাদের সাথে যাহারা বাজারে যাইতেন না, তাহাদের কোনো পার্থক্য থাকিলো না। তাহারাও এখন জানিয়া গেলেন- ইহা শায়েস্তা খাঁর আমল নহে।

পার্থক্য ঘুচিয়া যাইবার কারণে মনে বড়ই কষ্ট পাইয়াছি। মানুষে মানুষে পার্থক্য না থাকিলে কি হয়! শায়েস্তা খাঁর সাথে পার্থক্য না থাকিলে কি আজকে এই মহান বাণীখানা আমরা শুনিতে পাইতাম?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

কীর্তিনাশা এর ছবি

শায়েস্তা খাঁ'র আমল না হলেও, এখনো আমরা পুরাপুরি শায়েস্তা খাঁ'রে ছাড়াইতে পারি নাই। এখনো আমাদের দেশে একটাকার নোট চলে। তা দিয়ে ক্যান্ডি কিনে খাওয়া যায়। আবার চাইলে ভিক্ষুককে ভিক্ষাও দেয়া যায়।

আজিজ মির্জার কাছে আমার দাবী - শায়েস্তা খাঁ'র যুগ পুরাপুরি মুছে ফেলার জন্য একটাকার নোট বিলুপ্ত করা হউক।

-------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

বিশ্বব্যাংকের ভাড়াটে তৃতীয় শ্রেণীর লোকেরা ছাড়া মামুরা কি ডামি খাড়া করবার আর কাউরে পাইল না।

একবার ইউনুসরে অর্থমন্ত্রী বানায়া দেখলে হয় না?

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

রেনেট এর ছবি

প্রথম প্রথম যখন আমেরিকায় আসি, তখন যে কোন জিনিষ কিনতে গেলেই মনে মনে দাম টাকায় কনভার্ট করতাম। দামে সে কি আকাশ পাতাল পার্থক্য!
এখন আর ঐ কষ্ট করতে হয় না।
যাহা ডলারে দাম, তাহাই টাকায় দাম।
গত সপ্তাহে ১২ খানা ডিম কিনলাম ১.২৫ ডলার দিয়ে, দেশেও শুনি ডিমের হালি ২৮ টাকা।
আমার মনে হয়, আমেরিকাতে কেনাকাটা করাই এখন বরং সস্তা।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

নিঝুম এর ছবি

এই লেখার জন্য পাঁচতারা দেয়া ছাড়া উপায় থাকে না।
---------------------------------------------------------
পৃথিবীর সব সীমান্ত আমায় বিরক্ত করে। আমার বিশ্রী লাগে যে, আমি কিছুই জানিনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

রণদীপম বসু এর ছবি

নিঝুম, কেমন আছেন আপনি ? ব্লগে আপনাকে দেখে খুব ভালো লাগলো। শুভ কামনা রইলো।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

শেখ জলিল এর ছবি

দারুণ লিখেছেন!

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

এইটা হইলো ক্ষমতার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। ওইসব কুরসীতে যারাই বসে তাদের মশ্তিশ্ক তখন বেজায় উর্বর হয়। এক মনত্রি বলছিলেন না যে, মোবাইল চার্জের কারণে লোডশেডিং হয়!

____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

নিরিবিলি এর ছবি

সত্যিই তো এটা তো আর শায়েস্তা খাঁর আমল না। আমাদের কে উনি বাস্তবে ফিরে আসার আহবান জানালেন।......হায়রে ক্ষমতা

রণদীপম বসু এর ছবি

আসল কথা হচ্ছে, আমরা পাবলিকরা হলাম গিয়ে আল্লার মাল। সুবিধা বা অসুবিধা যা-ই বলেন, (অন্যায়ভাবে) বেঁচে থাকতেও যেমন কাউকে জিজ্ঞেস করতে হয় না, মরলেও কেউ খোঁজ নেয় না। এ এক আচানক তরিকা !
ভোম ভোলানাথ।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।