গালিবের হাভেলির সন্ধানে (১)

রেজওয়ান এর ছবি
লিখেছেন রেজওয়ান (তারিখ: বুধ, ২২/১১/২০১৭ - ১০:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দিল্লির চাঁদনি চকের জ্যামে ঠাঁসা রাস্তায় ফুটপাথ লোকে লোকারণ্য। মানুষের ভিড়ে ঠিকমত হাটা যাচ্ছে না, রীতিমত লাইনে করে যেতে হচ্ছে। হঠাত করেই বাচ্চা সামলাতে কেউ দাঁড়াচ্ছে, আর লাইনটা থেমে যাচ্ছে, সাথে সাথেই পেছন থেকে ধাক্কা। চলার একটুকু জায়গার জন্যে যেন সবার মধ্যে একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে। । লাগোয়া রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামে গাড়ি-ঠেলাগাড়ি-মোটরসাইকেলগুলো স্থবির হয়ে আছে, হঠাৎ মনে হবে যে রাস্তা জুড়ে পার্কিং করে রেখেছে । চারিদিকে লোকে লোকারণ্য এবং প্রচুর কোলাহল। আমি ছুটছি অমিতের পেছন পেছন। অমিত দিল্লির ছেলে, আইটি প্রফেশনাল আর ব্লগার। দশাসই দেহ নিয়েও কেউ এমন ছুটতে পারে তাকে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।

আমাদের গন্তব্য পুরোন দিল্লীর বালিমারানের এক সরু গলি।

কনট প্লেসের নামকরা দক্ষিণ ভারতীয় রেস্তোরাঁ সারাভানা ভবনে দোসা আর ইডলি দিয়ে মধ্যান্ন ভোজন সারার সময় পুরোন দিল্লীতে কি দেখার আছে তাকে জিজ্ঞেস করায় সে বলেছিল আমাকে এক বিশেষ জায়গায় নিয়ে যাবে। তার সাথে লোকে লোকারণ্য মেট্রোতে উঠে চাঁদনি চক স্টেশনে নেমেছি। আমার এক অস্ট্রেলিয়ান বন্ধু একবার জিজ্ঞেস করেছিল যে "দক্ষিণ এশিয়া যাইনি - একবাক্যে বলতো কেমন"? বলেছিলাম যে প্রথমেই ধাক্কা খাবে মানুষের প্লাবন দেখে, যা তুমি চাক্ষুষ আগে দেখনি। লোকের ভিড়ে ছেয়ে যাওয়া চাঁদনি চক স্টেশন দেখে মনে হল এর চেয়ে ভালো উদাহরণ আর হয় না। স্টেশনে ঢোকার জন্যে আবার বডি সার্চ আর সাথের সামগ্রী স্ক্যানিং হচ্ছে। সেটা আবার বিশাল লাইনের সৃষ্টি করেছে। ক্যামেরা আর মানিব্যাগ হাতে নিলাম। কখন পকেটমার হয়ে যায়!

চাঁদনি চকে এমন কি পাওয়া যায়না - শাড়ি-পোশাক, চুড়ি থেকে শুরু করে জুতা, খাবার এমনকি পুরনো ক্যামেরা পর্যন্ত। এখানে বিয়ের সদাই করতে আসে লোকজন। এসেছে একেকটা পরিবার, ধনী থেকে গরিব - বয়ঃজ্যোষ্ঠ নানী থেকে শুরু করে মাত্র হাঁটতে শেখা নাতনি। দাঁড়িয়ে তাঁদের দেখব, নানা চাকচিক্যময় সামগ্রীতে ঠাঁসা সরু দোকানগুলোতে উইন্ডো শপিং করব, না অমিতের পেছনে ছুটব - দ্বিধায় পরে গেলাম। অমিত বারে বারে গুগল ম্যাপ দেখে পথের দিশা ঠিক করছে। এবার জনারণ্য পার হয়ে ঢুকে পড়লাম এক সরু গলিতে।

দেয়ালে ঘেরা উনবিংশ শতাব্দীর শহজাহানাবাদ, চিত্রটি প্রকাশ হয়েছিল দা ইলাস্ট্রেটেড লন্ডন উইকলিতে ১৮৫৮ সালে।

পুরনো দিল্লি নামে যে এলাকাটি প্রসিদ্ধ তা মুঘল সম্রাট শাহজাহান প্রতিষ্ঠা করেন ১৬৩৮ সালে এবং নাম দেন শাহজাহানাবাদ। এটি মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের আমল পর্যন্ত মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের পরে ব্রিটিশরা তাকে গদিচ্যুত করে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেয়। সিপাহী বিদ্রোহের পর শহরটির বেশ কিছু অংশ ধ্বংস হয়ে যায়। ব্রিটিশরা লাল কিল্লা আর জামে মসজিদ রেখে আসে পাশের বিস্তীর্ণ অংশের সমস্ত স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলে মিলিটারি ট্রেনিং আর প্যারেড গ্রাউন্ড তৈরি করার জন্যে। এর পরেও কালের আবর্তনে টিকে যায় সে অংশ থেকে দূরের কিছু স্থাপনা এবং সরু সব গলি। ১৯১১ সালে ভারতের প্রশাসনিক রাজধানী কোলকাতা থেকে দিল্লিতে ফেরত আনলেও নতুন সব স্থাপনা করা হয় নিউ দিল্লিতে। পুরোন দিল্লি থেকে যায় অনুন্নত, অপাংতেয় - সেখানের সরু রাস্তায় রাজত্ব করে পথচারী, ঠেলাগাড়ি, সাইকেল, মোটরসাইকেল এবং গরু। পুরনো হাভেলি ও কোন কোন জায়গায় নতুন গজিয়ে ওঠা ছন্দপতন হওয়া বাড়িগুলো দেখতে অনেকটা আমাদের শাঁখারিবাজারের মত। ঐতিহ্যের ছোঁয়া আছে কিন্তু উন্নয়নের ছোঁয়া নেই। মনে হয় যেন ভেঙ্গে পরে যাচ্ছে। সরকারের যেন বিকার নেই - তারা ট্যাক্স/ভ্যাট পেয়েই তৃপ্ত - নাগরিক সুবিধা সম্প্রসারণে উদ্যোগ কম ।

আমরা এর পরে কুচা রহমান গলি নামে আরেকটি ঘুপচি গলিতে ঢুকলাম। অমিত সামনের দোকানের দুই ভদ্রলোককে ঠিকানা জিজ্ঞেস করে এগোলো। কানাগলিতে মাঝে মাঝে কোন বাড়ির দরজা আর কিছু অনন্য দোকান - যেমন সেলাই মেশিন সারানোর দোকান, হেলমেটের দোকান, বাচ্চা মেয়েদের কাপড়ের দোকান, ইত্যাদি । উপরের দিকে যেন আসে পাশের বাড়ির কার্নিশ দিয়ে ঢেকে গেছে, উন্মুক্ত ইলেকট্রিক বা ডিশের তার যেন দৃশ্যটিকে আরও জটিল করে দিচ্ছে। গলিটা অনেকটা সাপের মত, এঁকেবেকে গেছে।

সামনে এক ছোটো ছেলের সাথে দেখা হল। সে অমিতের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালে তাকে ঠিকানাটি বলা হল। আমি অবশ্য এগুলো খেয়াল করছি না - আশেপাশের দৃশ্যগুলো ক্যামেরায় ধারণে ব্যস্ত। এরপরের দৃশ্য, ছেলেটা বিভিন্ন ঘুপচি গলি দিয়ে যাচ্ছে, দোকানগুলোর শাটার নামানো, পাশে মোটরসাইকেলের কঙ্কাল, খালি কার্টন পড়ে আছে। আমরা রীতিমত দৌড়াচ্ছি ছেলেটির পেছনে। পথে একটি সারমেয়ও আমাদের সওয়ার হল। আমাদের গন্তব্য 'গলি কাসিমজান’।

পুরনো দিল্লির নির্বাচনী এলাকা বালিমারানের একদা অখ্যাত লেন 'গলি কাসিমজান’ সম্প্রতি দশকগুলোতে পরিচিতি পেয়েছে মির্জা গালিবের হাভেলি হিসেবে। মির্জা আসাদুল্লাহ খাঁ গালিব গত দেড়শ বছরের বেশী সময় ধরে আলোচিত ও প্রশংসিত ফারসি ও উর্দু সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি হিসেবে। ১৭৯৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি আগ্রায় জন্মগ্রহণ করেন এবং মাত্র ১১ বছর বয়সে ফারসি ভাষায় কবিতা লেখা শুরু করেন। তার ছোটবেলাটা সুখের ছিলনা। পিতা ১৮০৩ সালে মারা গেলে তার চাচা তাকে মানুষ করেন। ১৮১০ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে তার দিল্লির অভিজাত বংশের উমরাও জানের সাথে বিয়ে হয়ে যায়। তাদের পরিবার পরবর্তীতে দিল্লিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরু করে। একসময় তিনি উর্দু ভাষার প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়েন এবং উর্দুতে কাব্য ও গদ্য রচনা শুরু করেন।

যদিও সম্ভ্রান্ত মুসলমান ঘরে ১৩ বছর বয়সে বিয়ে হওয়াটা একটি সাধারণ ব্যপার ছিল, গালিব এঁকে অভিহিত করেন দ্বিতীয় কারাগার হিসেবে - প্রথমটি - অবশ্যই নিজের জীবন। তার ভাষায়ঃ একটি বেড়ি আমার পায়ে পরিয়ে দেয়া হল আর দিল্লি শহরকে কারাগার সাব্যস্ত করে আমাকে সেই কারাগারে নিক্ষেপ করা হল। তখন তার বার্ষিক একটি পেনশন ছিল, শ্বশুরবাড়ি এবং মাতৃলয় থেকেও কিছু অর্থসাহায্য আসত। তার নিজের ৭ সন্তানের কোনটিই ১৫ মাসের বেশী বাঁচে নি। সন্তানদের অকালমৃত্যুতে এবং পরবর্তীতে পেনশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংসারজীবন খুব পয়মন্ত ছিল না। গালিব তখন ফরাসি মদ এবং গাঁজা এবং জুয়া খেলার দিকে ঝুঁকে পরলেন। ওদিকে ধার করে বই পড়তেন এবং কবিতা রচনা করতেন।

নেশা করে সুখ পেতে চায় কোন মুখপোড়া?
আমি চাই কেবল রাতদিন নিজেকে একটুখানি ভুলে থাকতে।

জীবনের একপর্যায়ে গালিব কঠিন ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন তবুও কোন বন্ধু বা আত্মীয়র কাছে হাত পাতেননি । বাসা থেকে বের হতেন না অভাবের তাড়নায় বাড়িতে জুয়া খেলার আসর বসানোর অপরাধে ১৮৪১ সালে আদালতে গালিবের সাজা হয়। কঠিন দুর্দশার মধ্যেও তার আত্মসম্মানবোধের এতটুকু কমতি ছিলনা। ১৮৪২ সালে দিল্লি কলেজের ফার্সি ভাষার প্রধানের পদটি তিনি পায়ে ঠেলেছেন এই জন্যে যে ব্রিটিশ অফিসার থমসন নিজে এসে তাকে অভ্যর্থনা করেননি যখন তিনি তার সাক্ষাতপ্রার্থী হয়েছিলেন চাকরির জন্যে। তার মাদকাসক্ততা দিন দিন বাড়তে থাকায় এক সময় তার ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪০ হাজার মুদ্রায় (যা তখনকার দিনের জন্যে অনেক ছিল)। এ ঋণের জন্য ১৮৪৭ সালে তাকে আবার ছয় মাসের জন্যে হাজতে যেতে হয় যা তার জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।

সুর আছে, ভেসে যাও সুরের স্রোতে, সুরা আছে, ভুলে যাও সবকিছু।
রমণী প্রেমে পাগল হয়ে যাও, সাধুতা থাক অন্যদের জন্যে।

গালিবের ২০০ গজলের সংকলন দিওয়ান-ই-গালিব এর একটি পাতা। অলংকরণে আব্দুর রহমান চুগতাই, লাহোর, ব্রিটিশ ইন্ডিয়া, ১৯২৭। ছবি উইকিপিডিয়ার সৌজন্যে

গালিবের বয়স যখন ৫০ এর কাছাকাছি তখন মোগলদের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের সাথে তার সম্পর্ক সৌহার্দপূর্ণ হয়ে পরে। তিনি রাজসভায় ফারসি কবিতার সংকলন লেখা শুরু করেন এবং ১৮৫০ সালে তৈমুর বংশের ইতিহাস রচনার কাজ পান। একই বছর তিনি সম্রাটের কাছ থেকে 'দবিরুল মূলক' এবং 'নাজিমুদ্দওলা' নামক সম্মানে অভিষিক্ত হন। ১৮৫৪ সালে রাজকবি জওকের মৃত্যুর পর তিনি মুঘল রাজার রাজকবি (শায়েরুল মূলক) হিসেবে অধিষ্ঠিত হন । বাহাদুর শাহ জাফর নিজে উর্দু কবিতা লিখতেন এবং তার প্ররোচনায় গালিব উর্দু রচনার দিকে পুনরায় মনোনিবেশ করেন।

এমন কেউ কি আছে যে গালিব কে জানে না?
কবি তো সে ভালোই, তবে বড্ড দুর্নাম তার।

১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহের পর গালিব গৃহবন্দী জীবন কাটান। সেই বিদ্রোহের দিনগুলোর কথা তিনি লিখেছেন তার দিনলিপি ‘দাস্ত আম্বুহ (ফুলের তোড়া) ’ গ্রন্থেঃ “১১ই মে ১৮৫৭ তারিখে যেদিন দিল্লির হাঙ্গামা শুরু হল সেদিনই আমি আমাদের বাড়ির সদর দরজা বন্ধ করে দিতে বললাম এবং বাইরে যাওয়া আসা একেবারে ছেড়ে দিলাম।”

১৮৫৮ সাল থেকে মির্জার  জীবনে নেমে আসে চরম অন্ধকার। অতিশয় দুঃখে,কষ্টে নানা উত্থান পতনে জীবন অতিবাহিত হয়। ১৮৬২ সাল থেকেই তিনি মারাত্মক কিছু রোগে ভুগেন। অবশেষে ১৮৬৯ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান।

ওদিকে আমাদের পথপ্রদর্শক ছোটো ছেলেটি গোলক ধাঁধাঁর মত নানা চিপা গলি দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের হাঁপাতে দেখে আশ্বস্ত করল সে, গালিবের হাভেলি কাছেই রয়েছে।

(দ্বিতীয় পর্ব এখানে)


মন্তব্য

মন মাঝি এর ছবি

মুঘল সম্রাট শাহজাহান প্রতিষ্ঠা করেন ১৮৩৯ সালে এবং নাম দেন শাহজাহানাবাদ।

১৮৩৯ সালে? সম্রাট শাহজাহান কি তখন জীবিত ছিলেন?? নাকি ১৬৩৮ সালে?

পুরোন দিল্লি থেকে যায় অনুন্নত, অপাংতেয় - সেখানের সরু রাস্তায় রাজত্ব করে পথচারী, ঠেলাগাড়ি, সাইকেল, মোটরসাইকেল এবং গরু।

শুধু অনুন্নত আর অপাংক্তেওই নয় - ভারত রাষ্ট্রের ২১৯ বছরের রাজধানী, বর্তমান ভারতের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের একটি প্রধাণতম কেন্দ্র এবং টুরিস্ট এট্রাকশন দুর্গটির ভিতর লোকজন এসে পেচ্ছাব করে যায়। দুর্গন্ধের বীভৎস মৌতাতে মৌ-মৌ করে কোন-কোন জায়জা আর তার আশপাশ। সরকার বা প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মনে হয় না বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা আছে। ভাবখানা যেন- আয় আয়, আরও ঢেলে যা!

জামা মসজিদের পাশে একটা গলির দৃশ্য মনে পড়ছে। নোংরা, আদাড়ে, বিপর্যস্ত রাস্তার পাশে সারিবদ্ধ কাবাব আর মাংসের দোকান, আর রাস্তাজুড়ে মনে হলো ভারতের সবচেয়ে গরীব, অসুস্থ, বিকলাঙ্গ, মলিন, বিষন্ন, বিধ্বস্ত, পরাজিত মানুষের ঢল। না, মানুষ না, জম্বিদের ঢল। অনতিদূরেই অবশ্য ঝাঁ চকচকে নয়া দিল্লীর প্রাসাদপুরী। প্রাসাদের পাশেই ডাস্টবিনের মতো আরকি।

একযুগ আগের একটুখানি দেখার ধূসর স্মৃতি ঘেটে এটুকুই মনে পড়ছে। পরিস্থিতি বদলেছে কিনা জানি না।

****************************************

রেজওয়ান এর ছবি

ধন্যবাদ ভুলটি ধরিয়ে দেবার জন্যে। ঠিক করে দিয়েছি। নোংরা পরিস্থিতি মনে হয় সার্বিকভাবে আপনার বর্ণনা থেকে কিছুটা ভালো হয়েছে। তবে ঐসব অংশে এবার যাওয়া হয়নি।

হাসিব এর ছবি

দিল্লিতে ওমর খসরুর কবর আছে নিজামুদ্দিন আউলিয়ার খানকায়। ওখানে একবার যাবার ইচ্ছা।

তারেক অণু এর ছবি

যাক খুশি হলাম যে লেখাটা এলো

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আপনি তো প্রায় আমাবস্যার চাঁদ হয়ে গেছেন! মন খারাপ

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আমার অবশ্য পুরান দিল্লী খুব একটা খারাপ লাগে নাই, তুলনায় নতুন দিল্লীর একটা স্থাপনা দেখে মূর্ছা যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। বছর দশেক আগের মূল্যায়ন, নিউদিল্লি রেল ষ্টেশন হল পৃথিবীর সবচেয়ে নোংরা রেল ষ্টেশন। প্লাটফর্মের এখানে সেখানে বহুদিনের ময়লা স্তূপ করে রাখা, তার পাশেই ছোট ছেলেমেয়েরা নির্দ্বিধায় প্রাকৃতিক কাজকর্মে বসে পড়ছে, দুর্গন্ধে প্রানান্তকর অবস্থা। আমার ভারী লাগেজটা চাকা থাকা স্বত্বেও ফ্লোর দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়ার সাহস হয় নাই।

সোহেল ইমাম এর ছবি

কুয়োর ব্যাং সদৃশ মানুষ আমি আপনাদের চোখের দেখা আর মনের রসেই আমার বেড়ানো। ভালো লাগছে লেখাটা, দ্বিতীয় পর্বে মির্জা গালিবের বাড়িটা দেখবো বলেই বসে আছি। চলুক

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।