বাংলার গুল্ম-তরু-লতা-২ : ভাঁটফুল

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০৩/২০১৩ - ৯:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঢাকা শহরের ইটের পাঁজরে লোহার খাঁচায় বন্দি জীবনে বসন্তের রূপ-রস-গন্ধ কী--ভুলে যেতে বসেছিলাম। এবার বাড়িতে গিয়ে সেই ভুলে যাওয়া স্বাদ কড়ায় -গণ্ডায় উসল করে দিল ঋতুরাজ। আম আর বাতাবী লেবুর মুকুলের পরিচিত গন্ধ প্রবল ভাবে আঘাত হেনেছিল নাসারন্ধ্রে। এই দুইয়ের মিশেল যাদুতে আরেকটা গন্ধ প্রায় চাপা পড়ে যায়। তার মানে এই নয় যে ওই গন্ধটার তীব্রতা, আকর্ষণ করার ক্ষমতা কম। আসলে প্রকৃতিকে বৃহৎ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে গিয়ে ব্রাত্য হয়ে পড়ে প্রকৃতির অতি সুন্দর কিছু উপাদান। উদাহরণ হিসেবে ভাঁটফুলকে সামনে আনা যেতে পারে। এই মেঠো ফুলটাকে আমরা কেউ তেমন গুরুত্ব দিই না।
কিন্তু এর সুবাস আম কিংবা বাতাবী লেবুর মুকুলের চেয়ে বেশি আকর্ষক। এর সৌন্দর্য শিমুল-পলাশ কিংবা কৃষ্ণচূড়ার চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। সমস্যা হচ্ছে, যে শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গিতে আমরা শিমুল-পলাশ দেখি, সেই একই দৃষ্টিতে যদি ভাঁটফুলকে দেখতাম তাহলেই কেবল এর সৌন্দর্যের সঠিক পূজাটা হতো। এর চিত্তহরী সুবাসের প্রমাণ পেলাম আমি নিজেই এবার। চলতে পথে একগুচ্ছ ভাঁটফুল হাতে নিয়ে নাকের কাছে ধরে যে গন্ধটা আবিষ্কার করলাম, তা আমার চিরচেনা হলেও এতোদিন এর সঠিক গুরুত্বটা বুঝিনি। সত্যিকার অর্থে সেদিন আমার সুগন্ধি ফুলের ধারণাটাই চেঞ্জ হয়ে গেল। মনে হলো এই অবহেলিত ফুলটা সার্বক্ষণিক ফুল হয়েও অনায়াসে রাত্রিকালীন ফুল হাসনাহেনা, কামিনী, শিউলি কিংবা রজনীগন্ধার সাথে প্রতিযোগিতায় নামতে পারে। তাতে এর জিত না হলেও পরাজয় জুটবে না--একথা আমি জোর গলায় বলতে পারি।

ভাঁটফুল গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের পল্লিতে সর্বত্র এদের দেখা মেলে। সাধারণত রাস্তার দু’পাশে, বেড়ার গায়ে নিশ্চিন্তে বেড়ে ওঠে এরা।

ছোট-বড় বাগান, পরিত্যাক্ত ফসলের ক্ষেত, নদী বা জলাশয়ের পাড়, ফসলের আইল, বাঁশবাগান, উঁই ঢিবি কিংবা বাড়ির কাঁনাচেও জেঁকে ওঠে ভাঁটফুলের ঝোপ।

ভাঁটফুল অত্যন্ত সামাজিক উদ্ভিদ। কোথাও একা একা বাস করে না। পরিবার-পরিজন এমনকী আত্মীয় স্বজন নিয়ে একান্নবর্তী জঙ্গল গড়ে তোলে এরা। অন্যকোনো গুল্ম-লতার সাথেও এদের বিরোধ নেই। সবাইকে নিয়ে ঘন ঝোপ-জঙ্গল সৃষ্টিতে এদের জুড়ি মেলা ভার। বাংলাদেশে আজও যেসব গ্রামীণ জঙ্গল দেখা যায় তাতে সবচেয়ে বড় অবদান বেধহয় ভাঁটফুলের। তাই শিয়াল, বেজি, গুইসাপ—এজাতীয় যেসব প্রাণী এখনো বিলুপ্ত হয়নি—তাদের আশ্রম বলা চলে ভাঁটফুলের জঙ্গলকে।

ভাঁটফুল সাধারণত ৪-৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। একধিক শাখা-প্রশাখা হতে পারে। এদের জন্ম মূলত বর্ষাকালে। তবে সারা বছর এদের ছোট ছোট চারা দেখা যায়।

পূর্ণবয়স্ক ভাঁটফুলের কাণ্ড মোটামুটি শক্ত হয়। কাণ্ডের বেড় ১.৫-২ ইঞ্চি হতে পারে। কাণ্ডের রং ধূসর সবুজ।

ভাঁটফুলে পাতা উপবৃত্তাকার। খসখসে, তবে ডুমুর কিংবা সেগুন পাতার মতো খসখসে নয়। এর পাতা বেশ বড় হয়। লম্বায় ৩-৬ ইঞ্চি এবং ঠিক মাঝ বরাবর প্রস্থ ৩-৩.৫ ইঞ্চি হতে পারে। এর পাতা একপক্ষল।পাতার রং গাড় সবুজ। এর পাতা বিষাক্ত এবং তিতো। সাধারণত গরু-ছাগলের গায়ে উকুন বা ইঁটুলি হলে এর পাতার রস মাখিয়ে দিলে সেই উকুনের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যায়।

ভাঁটফুলের মঞ্জরী বহুপুষ্পক। ফুলের রং সাদা। মাঝখানে হালকা বেগুনি। ফুলের মাঝখানে পাঁচটা পাঁপড়ি ও পাঁচটা লম্বা কিশোর থাকে। ভাঁটফুল প্রাণী পরাগামী। সাধরণত মৌমাছি, ভ্রমর ও নানারেকম কীটপতঙ্গের সাহায্যে এর পরাগায়ন ঘটে। ফাল্গুন মাসে এর ফুল ফোটা শুরু হয়। ফুলের ব্যাস এক ইঞ্চি।



এই ছবিটা ফ্লিকর ডট কম থেকে নেয়া

চৈত্র্য মাসের মাঝমাঝিতে গিয়ে ভাঁটফুলে ফল আসা শুরু করে। এর ফল আকারে একটা মটরদানার চেয়ে সামান্য বড়। কাঁচা ফল ফুলের মতো সবুজ আবরণ দিয়ে ঢাকা থাকে। ফল পাকতে শুরু করলে সেই আবরণ ছড়িয়ে পড়ে ফুলের মতো রূপ ধারণ করে। আবরণের রং তখন হয় হালকা লাল। বৈশাখের শুরুতে ফল পাকতে শুরু করে। এরপর গাছ মারা যায়।

ভাঁটফুলের ইংরেজি নাম Glory Bower. বৈজ্ঞানিক নাম Clerodendrum uisocosum.


ভাটফুল নিয়ে কিছু কবিতা-গান

আশে-পাশে ভাঁটি-ফুল ফুটিয়া/রয়েছে দলে দলে...

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ভাঁটফুলকে ভাঁটি-ফুল বলতেন। আমাদের এলাকায়ও (বৃহত্তর যশোর) একে ভাঁটিগাছ নামে চেনে মানুষ।

ডাইনির মতো হাত তুলে তুলে ভাঁট আশ্যাওড়ার বন
বাতাসে কি কথা কয় বুঝি নাকো.....

জীবনানন্দ দাশ

ছিন্ন খঞ্জনার মতো যখন সে নেচেছিল ইন্দ্রের সভায়
বাংলার নদী মাঠ ভাঁটফুল ঘুঙুরের মতো তার কেঁদেছিল পায়....

জীবনান্দ দাশ

পথের পাশে নাম হারা ফুল ফোটে কত রাত্রি-দিনি
যে তারে চিনতে পারে দাম দিয়ে তারে কিনি

মাহমুদ-উন-নবী


আমার চলা নবীন পাতায়
আমার চলা ফুলের ধারায়

রবীন্দ্রনাথ


আমার চলা যায় না বলা
আলোর পানে গভীর চলা

রবীন্দনাথ

আকাশ বোঝে আনন্দ তার
বোঝে নিশার নীরর তারা

রবীন্দ্রনাথ

প্রিয় সচল, বিলুপ্তির বেনোজলে ভেসে ভাঁটফুলকে যেন ঘুঙরের মতো কাঁদতে না হয়, এই কামনা অন্তত করতে পারি সবাই।

------------------------
এই সিরিজের অন্যপোস্ট
বাংলার গুল্ম-তরু-লতা-১ : শিয়ালকাঁটা
বাংলার গুল্ম-তরু-লতা-৩ : কালকসুন্দা / কালকসিন্দা


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপনার প্রিভিউ অশংটা অনেক বড় হয়ে গেছে। ছোট হল প্রথম পাতায় দেখতে ভালো লাগবে। প্রথম পাতায় প্রকাশিত ছবির আকারটাও বদলে দিতে পারেন। একটু খানি পাশে চলে গেছে।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই, ঠিক করে ফেলেছি

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

চলুক

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

নিঃসন্দেহে এটি একটি ভাল কাজ হচ্ছে। তাই বলছি, সিরিজটার সব লেখাগুলোর পূর্বাপর লিঙ্কগুলো সব লেখাতেই দিয়ে দিন। চলুক

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
ঠিক বলেছেন, তাই দিচ্ছি

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

ভাঁটফুল নামে যে একটা ফুল আছে সেটাই জানতাম না একমাস আগে অবদি। আমার ননদের ছাদে এক মাথা সমান চিকোন একটা গাছে থোকা থোকা ফুল দেখে নাম জিজ্ঞেস করে জানলাম এর নাম 'ভাঁটফুল'। ফুলের ছবি দেখেই তাই খুব আগ্রহ করে পড়লাম। খুব ভালো লাগলো। অনেক কিছু জানলাম।

--------------------------------------------------------------------------------

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
ভারো থাকুন

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই - ছবিগুলি যদি আপনার তোলা হয়ে থাকে, তবে দয়া করে উইকিপিডিয়ায় দান করবেন কি? একটা ছবি হলেও হবে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি বাংলা উইকিপিডিয়ায় ছবি সহ লেখা দেন। আপনাদের সহযোগিতাই পারে বাংলা ভাষার মুক্ত বিশ্বকোষকে আরো সমৃদ্ধ করতে।
ধন্যবাদ।
-অয়ন

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ভাই অয়ন, একটা বাদে বাকি সবগুলো আমার তোলা। যেটা আমার তোলা নয় সেটার নিচে উৎসের নাম লিখে দিয়েছি। আমি উইকিপিডিয়াতে কাজ করতে অভ্যস্থ নই। আসরে আমি জানিই না উইকিপিডিয়াতে কীভাবে তথ্য আপলোড করতে হয়। দয়া করে আপনি নিজে যদি দায়িত্ব নেন, তবে এখানকার যেকোনো তথ্য, লেখা, ছবি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন। আমার কোনো আপত্তি থাকবে না।
ভালো থাকবেন।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

রনি ভাই - সময় করে একবার বাংলা উইকিপিডিয়ার প্রধান পাতা থেকে ঘুরে আসুন, আশা করি ভালো লাগবে।
আরো সাহায‌্য করতে পারে এই পাতাগুলি:
উইকিপিডিয়া:টিউটোরিয়াল - http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%89%E0%A6%87%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE:%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B2
সহায়িকা - http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A7%8D%E0%A6%AF:%E0%A6%B8%E0%A7%82%E0%A6%9A%E0%A7%80

-অয়ন

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যভাদ, দেখলাম, আজই লেগে যাই কাজে হাসি

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ রনি ভাই - আপনাদের সবার সক্রিয় পদচারনা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বাংলা উইকিপিডিয়াকে অনন্য স্থানে নিয়ে যাবে।
-অয়ন

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

হাসি

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

তানিম এহসান এর ছবি

ভাঁটফুল অত্যন্ত সামাজিক উদ্ভিদ। কোথাও একা একা বাস করে না। পরিবার-পরিজন এমনকী আত্মীয় স্বজন নিয়ে একান্নবর্তী জঙ্গল গড়ে তোলে এরা। অন্যকোনো গুল্ম-লতার সাথেও এদের বিরোধ নেই। সবাইকে নিয়ে ঘন ঝোপ-জঙ্গল সৃষ্টিতে এদের জুড়ি মেলা ভার। -- এই জায়গাটুকু পড়ে দারুণ মজা পেলাম। চলুক আপনার দেশজ বিষয়বস্তু নিয়ে পোস্ট!

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

দেঁতো হাসি
চলবে

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

কালো কাক  এর ছবি

ভালো লাগছে সিরিজটা। চলুক মন্তব্য করা হয় না, কিন্তু পড়ছি জানিয়ে গেলাম।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
ভালো থাকবেন হাসি

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

রনি, গ্রামীণ বাংলার জীবন আর প্রকৃতিকে নিয়ে লেখা এই সিরিজটা খুব ভাল লাগছে ।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যবাদ আপু
ভালো থাকবেন

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাঁটফুল আমার প্রিয় ফুলের একটা। এই ফুলের গাছটা এতো বেশি ভাল লাগতো যে, ছোটবেলায় রাস্তার পাশ থেকে একটা ছোট গাছ এনে বাড়ির বাগানে লাগিয়ে ছিলাম। আপনার সিরিজটা ভাল লাগছে। চলুক চলুক

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

ধন্যবাদ
চালিয়ে যাওয়ার আশা রাখি

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

তারেক অণু এর ছবি

বেশ হচ্ছে সিরিজটা, ছবি আরেকটু ক্লোজে আসলে বেশি ভাল লাগত।

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
অণুদা, ছবিগুলো তুলেছিলাম খেলাচ্ছলে। তখন এই সিরিজের কথা মাথায়ই আসেনি। তাছাড়া কমদামি সেলফোনের ক্যামেরায় ইচ্ছে থাকলেও এরচেয়ে ভালো ছবি তুলতে পারিনা। আজ আপনাকে একটা কথা বলি, আমার ভেতর ছবিব্লগের ধারণাটা্য় ঢুকিয়েছেন আপনি। বিশেষ করে বুনোহাঁস সিরিজ। এর চুড়ন্ত প্রেরণা পেলাম আপনার বাংলার পথে সিরিজ থেকে।

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

রংতুলি এর ছবি

আরো একটা পরিচিত ফুল, আরো একটা পরিচিত গন্ধ। চলুক

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

সেই দুরন্ত শৈশবকে মনে করিয়ে দেয়.... হাসি

----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লিখাটা পড়ে চোখের সামনে শৈশবটা ভেসে উঠলো,এখন আর তেমন একটা গ্রামে যাওয়া হয়না।আমাদের গ্রামের বাড়িতে ভাটাফুলের বোধহয় একটা বাগানের মতো জঙ্গল ছিলো,ওখানে ছোটবেলায় লুকোচুরি খেলতাম।এখন সেই বন আর নেই,খোজা হয়না শৈশবের প্রিয় স্মৃতিকে।এরপর যখন গ্রামে যাবো আশা করি ভাটা ফুলের কাছে যাবো,খুজে নিবো।ফুলগুলোর ছবি আরো কাছ থেকে তুললে দেখতে আরো ভালোলাগতো।আশা করি ভবিষতে আরো ভালো ছবি পাবো,ভালো বর্ণনার মতো।

মাসুদ সজীব

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।