নিশীথ সূর্যের দেশে- এক

সাফিনাজ আরজু এর ছবি
লিখেছেন সাফিনাজ আরজু [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০১/০২/২০১৪ - ৯:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


গেল সামারে নিশীথ সূর্যের দেশে বেড়াতে গিয়েছিলাম এক ঝটিকা সফরে। যদিও আমি এখন যেই দেশে থাকি সেটাকেও নিশীথ সূর্যের দেশ বলা যায় তবুও কোন ছোটতে মামা/চাচা/ খালা কারো বিসিএস গাইডে পড়েছিলাম নিশীথ সূর্যের দেশ হল নরওয়ে, সেই থেকে মাথায় গেঁথে গেছে নরওয়ে নামটা। আর সত্যি বলতে কি এই অতি রোমান্টিক নামকরণের জন্যই আমার নরওয়ে যাবার বিশাল আগ্রহ ছিল সবসময়েই।

ঝটিকা সফর মানে একেবারেই অল্প দিনের জন্য সব মিলিয়ে তিন রাত আর চার দিন ছিলাম নরওয়ের বিভিন্ন শহরে। শুনতে মনে হচ্ছে অল্প সময় কিন্তু এর মাঝেও আমাদের সফর ছিল ভীষণ মজার আর পদে পদে ঝামেলার আর বেশী ঝামেলার জন্যই বেশী রোমাঞ্চকর ও বটে।

যখন নরওয়ে নিয়ে মনে আগ্রহ তৈরি হয় তার পিছনের কারণটা ছিল -বাপরে এমন অদ্ভুত দেশ রাতের বেলায় সূর্য উঠে, তারপরে মনে পড়ে প্রোফেসর শঙ্কুর কোন গল্পে পড়েছিলাম নরওয়ে নিয়ে কোন অভিযানের গল্প, রহস্যময় প্রাণী লেমিংএর গল্প, আরেকটু বড় হয়ে জানলাম পৃথিবী বিখ্যাত ফিয়র্ডগুলোর সৌন্দর্যের কথা, উপরি পাওনা দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়সারি, নরওয়েজিয়ান সমুদ্র, তার সাথে রহস্যময় অরোরা (ফিনল্যান্ডের উত্তর থেকেও দেখা যায় তবুও নরওয়ের ট্রমসোর অরোরা ভুবন বিখ্যাত।) সবমিলিয়ে নরওয়ে সবসময়েই ছিল আমার ড্রিম কান্ট্রি।

ফিনল্যান্ডে আসার পর বারবার নরওয়ে যেতে চেয়েছি, বারবার প্ল্যান করা হয়েছে কিন্তু কোন না কোন কারনে শেষ পর্যন্ত প্ল্যান বাস্তবায়ন করা হয়নি,অন্য কিছু দেশ ঘুরা হয়েছে কিন্তু স্বপ্ন দেশটাতেই ঘুরার সুযোগ হচ্ছিল না।
এভাবেই কাটছিল সময় শেষ পর্যন্ত যাওয়া হত কিনা জানিনা,কিন্তু একদিন হঠাৎ করেই সুযোগ এসে গেল। গেল এপ্রিলে হেলসিঙ্কি গেছিলাম বন্ধু ফয়সাল আর তার সহধর্মিণী মৌএর বাসায়। সেখানেই খাবার পরে বেশ আড্ডা হচ্ছিল আরেকবন্ধু সুমি সহ। হঠাৎ ফয়সাল প্রস্তাব দিল নরওয়ে যাবেন নাকি?

যাবেন নাকি মানে? আলবৎ যাব, অবশ্যই যাব, লাফ দিয়ে উঠলাম।

যাওয়া হবে মিড সামারের ছুটিতে। শুনলাম সে আর মৌ ইতিমধ্যেই প্লেনের টিকিট কেটে রেখেছে তাদের জন্য আগেভাগেই। সে সময়টাই বেশ সস্তায় হেলসিঙ্কি-অসলো টিকিট পাওয়া যাচ্ছিল তাই মৌ এর জন্মদিন উপলক্ষে তাদের প্ল্যান ছিল নরওয়ে যাবার মাঝখান থেকে আমরা দুইজন ও ঢুকে পড়লাম । কিন্তু মূল খরচটা তো আসলে হবে নরওয়ে যাবার পরে। নরওয়ের অসলো পৃথিবীর অন্যতম ব্যয় বহুল দেশ কিনা।
সে যাই হোক প্ল্যান করে ফেললাম ।আমাদের জার্নি প্ল্যানটা হল হেলসিঙ্কি-অসলো- স্টাভাঙ্গার-বারগেন-অসলো-হেলসিঙ্কি... তিন রাত চার দিনের জন্য প্ল্যানটা একটু টাইট বটে। ঠিক করলাম এই তিন রাতের এক রাত হোটেলে থাকব আর বাকি দুই রাত ট্রেনে ট্রেনে এক শহর থেকে আরেক শহর। যাচ্ছি একদম মধ্যে সামার মানে জুনের মাঝামাঝি সুতরাং রাতের সময়সীমা খুব কম তখন, তাই রাতের ট্রেনের জার্নি হলেও দুইপাশের দৃশ্য দেখতে কোন সমস্যায় হবার কথা না।

যা বলছিলাম আমি লাফ দিয়ে উঠলাম অবশ্যই যাব, সব মিলিয়ে আমরা গ্রুপে ৪ জন হলাম। সমস্যা হল আমাদের প্লেনের টিকিট কাটতে গিয়ে। ফয়সাল মৌ এর টিকিট ফিন-এয়ারে ইতিমধ্যে কাটা হয়ে গেছে, কিন্তু ফিন এয়ারে টিকিট কাটতে গিয়ে দেখি সব টিকিট বুক আর আমার ট্যাঁকেও কোন পয়সা নাই। বাঙালির অগত্যা ধার করায় ভরসা। টাকা ধার করে আমরা টিকিট কাটলাম নরওয়েজিয়ান এয়ারলাইনসে। ভরসার কথা হল দুটা ফ্লাইট কম বেশী একই সময়ে ছাড়বে, কিন্তু আমরা অসলো পৌঁছাব অল্প কিছু আগে।

আমাদের পরিকল্পনা ছিল এমন যে আমরা ২১ শে জুন স্থানীয় সময় ভোর ৭.৩০এ অসলোতে পৌঁছাব, সেখানে সারাদিন ঘুরাঘুরি করে রাত ১১ টার ট্রেনে স্টাভাঙ্গারের উদ্দেশে রউনা দিব। পরদিন অর্থাৎ ২২শে জুন সকাল ৬ টায় স্টাভাঙ্গারে পৌঁছে সেখানে সারাদিন ঘুরাঘুরি, আর সেখানেই রাতে হোটেলে অবস্থান, তারপরের দিন ২৩শে জুন সকাল সকাল বাসে করে বারগেনের উদ্দেশে ভ্রমন, বারগেন পৌঁছে সারাদিন সেখানে ঘুরাঘুরি করে রাত ১০.৩০ এর ট্রেনে আবার অসলো প্রত্যাবর্তন। সব মিলিয়ে খুবই টাইট শিডিউল, সারাক্ষণ রাস্তায় রাস্তায় ভ্রমন।
খুব রোমাঞ্চিত ছিলাম, উত্তরে ট্রমসো পর্যন্ত যেতে পারলে আরও বেশী ভাল লাগত কিন্তু যা হবে তাই বা কম কিসে!

অসলো তে অসলো ফিয়র্ড আর বিভিন্ন মিউজিয়াম সহ শহর দর্শন , স্টাভাঙ্গারের লুসে ফিয়র্ড, প্রেকেস্টলেন আর কেইরাগ পর্বতমালা, পালপিট রকের পৃষ্ঠে আহরন, বারগেনের পৃথিবী বিখ্যাত ফিয়র্ড দর্শন, উল্রিকেন পর্বতপৃষ্ঠে কেবল কারে চড়ে ভ্রমন সব মিলিয়ে যখনি ভাবছিলাম খুব রোমাঞ্চিত হচ্ছিলাম। তখন এপ্রিল মাস সামনে আরও মাস দুয়েক বাকি স্বপ্নের ভ্রমনের, টিকিট কাটা শেষ তাই নাচতে নাচতে বাড়ি ফিরেছিলাম, এইবার আর কোন ছাড়াছাড়ি নাই, যাওয়া হবেই হবে।

এমনিতেই যাচ্ছি পৃথিবীর অন্যতম ব্যয় বহুল দেশে তারুপরে আমাদের ইচ্ছা প্রচুর ঘোরাঘুরি করার, তাই বুঝতেই পারছিলাম জলের মত পয়সা খরচ হবে, ভেবেছিলাম এই দুইমাসে টাকা জমিয়ে রাখব। কিন্তু ঐ যে বলেনা মানুষ ভাবে এক আর হয় আর এক, আমার কপালেও তাই হল তাম্পেরে ফেরার পর থেকে শুরু হল আমার মোটামটি শনির দশা। এমন অবস্থা হল যাওয়া হয় কিনা সেটাই প্রশ্নের মুখোমুখী পড়ে গেল।

ফেরার পর পরেই বাসায় চাবি হারিয়ে ফেললাম, বাসা কোম্পানিকে গুচ্ছের টাকা জরিমানা দিয়ে নতুন চাবি নেওয়া লাগল। বেশী কষ্ট হচ্ছিল এই জন্যই যে তার অল্প কিছুদিন পরেই আমার নতুন বাসায় উঠার কথা, সেখানেও একগাদা টাকা জামানত দিতে হল, সব মিলিয়ে টাকা জমাব কি আমার তখন ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা। তখন মে মাস, এর মাঝে হঠাৎ মনে পড়ল আমার ফিনল্যান্ডের ভিসা শেষ হয়ে গেছিল মার্চের শেষে, আমি যদিও মার্চের শুরুতেই অ্যাপ্লাই করেছি ভিসার জন্য নিশ্চয় জুনের ২১ তারিখ আসার আগেই ভিসা পেয়ে যাব।

একবার ভিসা অফিসে গেলাম ও, ওরা বলল এখনও আমার ফাইল ওপেন করেনি, জানালাম আমি মধ্য জুনে বেড়াতে যাব। কথা দিল জুনের আগেই হয়ে যাবে আশা করি। আমিও ওদের কথা বিশ্বাস করে নিজের কাজে লেগে গেলাম। তখন আমার পড়াশুনার সাংঘাতিক প্রেসার চলছে। জুনের ১৪ তারিখ গ্রাজুয়েশন পার্টিতে যোগ দিব ভেবে রেখেছি। কিন্তু তার আগে থিসিসের কিছু টুকি টাকি কাজ বাকি, আর কিছু কোর্সের পরীক্ষা। নরওয়ের কথা ভুলে গিয়ে ব্যস্ততায় ঝাঁপিয়ে পড়লাম। এত ব্যস্ত সময় কাটছিল পড়াশুনা, রিসার্চ আর কাজ নিয়ে অন্যকোন ভাবনা মাথায় আসার সুযোগ পায়নি।

জুনের ১০ তারিখে গিয়ে মনে হল আমি তখনও ভিসা পাইনি। ভিসা না পেলে ফিনল্যান্ড ছাড়ব কিভাবে ?
কোনমতে সময় বের করে ভিসা অফিসে আবার গেলাম। এবারও সেই একই উত্তর। এখনও ফাইল ওপেন করেনি। আমার তো তখন পুরাই মাথায় হাত কারন এখন ভিসা কার্ডে দেয়, ডিসিসান হলেও কার্ড বানাতে প্রায় দিন সাতেক লেগেই যায়। এর মাঝে উইকএন্ড আছে, তার উপরে আবার বুধবার বিদেশীদের ভিসা সংক্রান্ত কোন কাজ এরা করেনা।

অফিসারের কথা শুনে আমি প্রায় কেঁদে ফেলি এমন অবস্থা। ওকে বুঝিয়ে বললাম দেখো, আমার টিকিট কাটা হয়ে গেছে যেভাবেই হোক জুনের বিশ তারিখের মধ্যে আমার ভিসা লাগবে। আমার কথা শুনে সেও চিন্তায় পড়ে গেল বলল এক কাজ কর তোমার টিকিটের কপি দিয়ে যাও আমি দেখি কি করা যায়। ওদের ও হয়ত দোষ নাই, আসলে অনেকেই তাড়াতাড়ি ভিসা পাবার জন্য বেড়াতে যাচ্ছে এমন মিথ্যা বলে থাকে তাই ওরা এখন প্রমান ছাড়া কোন কেসই জরুরী ভিত্তিতে দেখেনা। আগে জানলে তো আমি সেই মে মাসেই টিকিটের কপি দিয়ে যেতে পারতাম।

দৌড়ে ল্যাবে আসলাম টিকিট প্রিন্ট আউট নেবার জন্য এসে দেখি ল্যাবের দুইটা প্রিন্টারই নষ্ট। এবার মেইন কাম্পাসে গেলাম কম্পিউটার রুম থেকে প্রিন্ট নেবার জন্য, সেখানে গিয়ে দেখি গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে সবই বন্ধ। অগত্যা এক বড় আপুর ল্যাবে গিয়ে প্রিন্ট নিয়ে এসে দেখি সেই অফিসার সেদিনের মত ছুটি নিয়ে চলে গেছে। আমি ঠিক করলাম অন্য কারো হাতে না দিয়ে ঐ অফিসারের হাতেই দিব আমার টিকিট কারন তাকে আমার প্রতি বেশ সহনুভুতিশীল মনে হয়েছিল। গ্রাজুয়েশনের আগে তখনও একটা পরীক্ষা বাকি তার মধ্যেই ভিসা নিয়ে এই ছুটাছুটি। কি আর করা পরদিন সকালে উঠে আবার গেলাম, অফিসারের হাতে টিকিট দিলাম। ও আমাকে বলল ও চেষ্টা করবে ২০ তারিখের মধ্যেই যেন আমি ভিসা পাই তার ব্যবস্থা করতে, কিন্তু এটাও বলল, সে কথা দিতে পারছেনা।

তখন আমার এমন অবস্থা চলছিল দুঃখ করার ও টাইম নাই। ডিগ্রির সব ঝামেলা মিটে গেল শুক্রবার মাঝে দুই দিন ছুটি, ভিসা অফিসে আবার গেলাম ১৭ তারিখ সকাল বেলায়। শুনলাম ডিসিসান নেওয়া হয়েছে কার্ড বানাতে দিয়েছে এখনও কার্ড আসেনি। জানতে চাইলাম কবে আসবে কার্ড, বলল মিনিমাম সাত দিন লাগবে। আবার কাঁদো কাঁদো অবস্থা, এবার ছিল অন্য অফিসার কিন্তু তার দেখলাম দয়া হল প্রানে। কাকে জানি ফোন করল বলল তারা চেষ্টা করবে।

সেই সময়টা কোথায় আমার অন্যদের সাথে নরওয়ে নিয়ে প্ল্যান করার কথা তা না দুনিয়ার দুশ্চিন্তা মাথায়, খালি মনে হচ্ছিল হয়ত আর যাওয়া হবেনা। ওরা তিন জন চলে যাবে, এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াবে আর আমি ফিনল্যান্ডে পচে মরব ভাবতেই বুকটা ফেটে যাচ্ছিল। ওরা তাই ওদের মত গোছগাছ করছিল, আমার সাথে আলাপ করতে চাইলেও আমি আগ্রহী হইনি আগে বাবা ভিসার ব্যাবস্থা হোক, তারপর অন্য চিন্তা।

১৮ তারিখ আবার গেলাম। এবারও নেতিবাচক উত্তর। এখনও কার্ড আসেনি।
আমার অবস্থাটা বুঝুন ২১ তারিখ খুব ভোরে ফ্লাইট হেলসিঙ্কি থেকে, ২০ তারিখ সন্ধ্যায় হেলসিঙ্কি যেতেই হবে তাই, ১৯ তারিখ বিদেশীদের ভিসা সংক্রান্ত কাজ কর্ম বন্ধ আর ওরা বলে ১৮ তারিখ ওদের হাতে কার্ড আসেনি।
যদি ১৮ তারিখে কার্ড হাতে পাই এই আশাতেই সারাদিনে চার বার গেলাম ভিসা অফিসে, বারবার একই উত্তর। আমি তখন মোটামটি নিশ্চিত আমার আর স্বপ্নদেশে যাওয়া হচ্ছে না কোনভাবেই।

১৯ তারিখ তো কোন কাজ হবার কথা নয় এই ভেবে মনমরা হয়ে ঘুরছিলাম, ফয়সাল দুইবার ফোন দিয়েছে ভিসার খবর জানার জন্য ফোন ধরিনি। বিকালের দিকে অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসল, ধরেই দেখি ভিসা অফিস থেকে ফোন করেছে, পরদিন সকাল অর্থাৎ ২০ তারিখ সকালে যেন ভিসা নিয়ে আসি।

কিভাবে বুধবারে ফোন পেলাম জানিনা (বুধবারে ভিসা অফিস খোলা থাকে শুধু বিদেশীদের বিভাগ বন্ধ থাকে ), মনে হয় আমার প্রয়োজনটা ওরা বুঝতে পেরেছিল। সে যাই হোক বুকে পানি পেলাম। পরদিন সকাল সকাল ভিসা নিয়ে আসলাম, এরপর ব্যাগ গোছান, মাঝে প্রফেসরের সাথে দেখা করা, ল্যাবে যাওয়া, তারপর কাজে যাওয়া সব মিলিয়ে দিনটা চোখের পলকে উড়ে গেল।
অবশেষে সন্ধ্যা ৭.৩০ এর ট্রেনে চড়ে বসলাম হেলসিঙ্কির উদ্দেশে। নরওয়ের উদ্দেশে আমার যাত্রার পালা শুরু হল।

(আমরা যে শেষ পর্যন্ত সত্যি সত্যিই নরওয়ে গেছিলাম আর পুরো জার্নিটা ছিল ভীষণ রোমাঞ্চকর তার প্রমান স্বরূপ কিছু ছবি দিলাম। এই পর্বে কোনটা কিসের ছবি তার ব্যাখায় গেলাম না, পরের পর্বে ছবি সহ বিস্তারিত বর্ণনা আসবে। )

চলবে.......

১)
[img][/img]

২)
[img][/img]

৩)
[img][/img]

৪)
[img][/img]

৫)
[img][/img]

৬)
[img][/img]


মন্তব্য

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

ছবি গুলো কী অদ্ভুত সুন্দর।
আপনার এই লেখার পরবর্তী পর্বগুলো পড়ার আশায় আছি।
তাহলে আপনার মতো পাসপোর্ট ভিসার জন্য কষ্ট না করেই বিনা পয়সায় নরওয়ে ঘুরে আসব আপনার ভ্রমণ কাহিনী পড়ে। হাসি

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারও খুব ভাল লাগল।:)
নরওয়ে আসলেই খুব সুন্দর একটা দেশ।
সাথে থাকার জন্য অনেক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

এক লহমা এর ছবি

বাপ রে বাপ! পড়তে পড়তে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল! নিতান্ত জানা আছে যে মধুরেণ সমাপয়েৎ হবে তাই, ওঃ!
লিখা জব্বর হৈচ্চে সফিনাজদিদি, ছবিগুলিও খাসা। পরের পর্বের অপেক্ষায় রৈলাম! হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

দাদাভাই, তোমার তো লিখা পড়ে দম বন্ধ হয়ে আসছিল আর আমরা পদে পদেই শুধু ঝামেলা পাকিয়েছি।
তবে শেষ পর্যন্ত মধুরেণ সমাপয়েৎ হাসি
অনেক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- দাদাভাই।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

মন্তব্য ঘ্যচাং।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

আহারে! আপনাদের ট্যুরের সময় তো আমরা ওসলোতে ছিলাম। আগে জানলে তো আপনাদের আপ্যায়ন করতে পারতাম। কিছুদিন হল ওসলো ছেড়ে এসেছি। অনেকদিন একটি জায়গায় থাকার পর সে জায়গাটার প্রতি এক ধরনের টান এসে পরে।

আপনারা একদম পিক সিজনে ঘুরে গিয়েছেন। হাসি

আপনার চোখে আমার নিজের একটি অতি চেনা শহর ওসলো দেখার অপেক্ষায়।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

সেটাই আগে জানলে অনেক ভাল হত, আপনার চোখে আপনার প্রিয় শহরকে দেখতে পেতাম। হাসি
অসলো ছেড়ে এখন কোথায় থাকেন, নরওয়ের অন্য কোথাও নাকি দেশটাই ছেড়ে অন্য দেশে?
পিক সিজনেই গেছিলাম কিন্তু এত বৃষ্টি ছিল, খুব আফসোস করেছি একটু রোদের জন্য। হয় বৃষ্টি নাহয় আকাশ মেঘলা। মন খারাপ
আমরা তো সেভাবে ঘুরতে পারিনি, অসলো ফিয়র্ডে খুব ঘুরেছি, মিউজিয়াম, অপেরা হাউস আরও টুকটাক কিছু এই আরকি। হাসি
স্টাভাঙ্গারে খুব মজা হয়েছে অবশ্য।

অনেকদিন একটি জায়গায় থাকার পর সে জায়গাটার প্রতি এক ধরনের টান এসে পরে।

একদম ঠিক কমল ভাই। আমার যেমন এখন এই তাম্পেরের উপরেও কেমন একটা টান চলে এসেছে।
ভাল থাকবেন। জন্মদিন কেমন কাটল? হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

আহা! তাহলে তো খুবই দুর্ভাগ্য গত গ্রীষ্মে তো বৃষ্টি ছিলো না বললেই চলে। বার্গেনের কথা অবশ্য আলাদা। ঐখানে সারা বছরই বৃষ্টি পরে। গত মাসে আমরা বোস্টনে চলে এসেছি। এ বছরটা এখানেই থাকবো। তারপর আবার ওসলোতে ফিরে যাব। যখন যেখানে থাকি সেখানেই আপনাকে অগ্রিম দাওয়াত দিয়ে রাখলাম। হাসি

জন্মদিন বেশ ভালো কেটেছে। হাসি

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

আমাদের অবস্থা এমন হয়েছিল যে যখন যেদিন যেখানে গেছি সেদিন সেখানে বৃষ্টি হয়। প্রথমদিন অসলো তে বৃষ্টি হল। তারপর স্টাভাঙ্গারে গিয়ে ওয়েদার ফোরকাস্টে দেখি অসলোতে রোদ ঝলমল করছে আর স্টাভাঙ্গারে বৃষ্টি। আবার বারগেন গিয়ে দেখি স্টাভাঙ্গারে আর অসলোতে রোদ ঝলমল সেদিন,কিন্তু বারগেনে বৃষ্টি। যে দুইদিন অসলোর বাইরে ছিলাম সেই দুই দিন অসলোতে খুব রোদ বাট আমরা যখনি গেছি হয় বৃষ্টি নাহয় মেঘ। মন খারাপ
আর নরওয়ে যাওয়া হবে কিনা জানিনা, বাট দাওয়াত কবুল। দেঁতো হাসি
দেখা তো নিশ্চয় হবে কোথাও না কোথাও।
জন্মদিন ভাল কেটেছে জেনে ভাল লাগল। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার ছবি, বেশ ভালো লাগল লেখাটাও।

অপেক্ষায় আছি হাসি

রাসিক রেজা নাহিয়েন

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
পরের পর্ব পড়বেন আশা করি। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অতিথি লেখক এর ছবি

সবাই দেখি তারেন অণু হয়ে যাচ্ছে চিন্তিত
একটানে পড়লাম, ছবিগুলো আরেকটু ভালো হলে ভালোলাগা টা বোধহয় আরেকটু বেশি হত। পরের পর্বের অপেক্ষায় চলুক

মাসুদ সজীব

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

ছবি ভাল আমি চাইলেও তুলতে পারিনি মাসুদ ভাই।
প্রথম কথা আমি ভাল ছবি তুলতে পারিনা, সচলের বিখ্যাত সব ফটোগ্রাফারদের বিভিন্ন পোস্ট পড়ে শিখার চেষ্টা করছি মাত্র। মন খারাপ
আর দ্বিতীয়ত, ভাল ছবি তোলার জন্য ভাল আলো থাকা অপরিহার্য। আমার কোন এক্সট্রা ফ্ল্যাশ ছিলনা আর ছবিগুলো খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন সব জায়গায় আকাশের রং ঘোলা এসেছে। আসলে আমরা যে সময় নরওয়েতে ছিলাম সারাক্ষণ বৃষ্টি আর নাহয় আকাশ মেঘলা ছিল, খুব অল্প সময়ের জন্য রোদ উঠেছিল তা আবার সেই সব সময়ে আমরা চলন্ত ট্রেনে ছিলাম আর নাহয় বাসে। মন খারাপ
কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। হাসি
আশা করি পরের পর্বেও পাশে পাব আপনাকে।
ভাল থাকবেন। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলে সচলে এত ভালো সব ছবি দেখি যে খুঁতখুঁতে স্বভাব হয়ে গেছে। হো হো হো এক তারেক অণু আর মঈনুল রাজু ভাইয়ের জ্বালায় এখন নিজের দেশ ছাড়াও নানান দেশেকে ঘুরে দেখার নাম নিত্য নতুন লিষ্টে যোগ হচ্ছে অ্যাঁ । এরপর মনি ভাইয়ের লেখা পড়তে গিয়ে প্রেমে পড়ে গেলাম লেন্স ক্যামেরা আর ছবি তোলার। সচলে এসে শখ আর ভালোবাসার পরিমান দিন দিন কেজি ছাড়িয়ে টনে টনে বাড়ছে। চিন্তিত

সচল হলো আমার ভালোলাগার স্থান, যেখানে দিনে একবার না আসতে পারলে মনে হয় কি যেন মিস করে যাচ্ছি। সচল এখন আমার অস্তিত্বের একটা অংশ। আর সচলের সবাইকে ভীষন কাছের মানুষ মনে হয়, কারন সবার লেখা পড়েই সুখ পাই, ভালোলাগায় ভরে ওঠে হৃদয়। সচলের সবার মঙ্গল হোক, থাকুক সবাই এক পরিবার হয়ে। আপনাকে শুভেচ্ছা। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মাসুদ সজীব

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

সচলে সব এত গুণী জ্ঞানী মানুষ, সবাই এত ভাল ছবি তোলে, তাদের মাঝে নিজের আনাড়ি হাতের ছবি দিতে লজ্জায় লাগে, কিন্তু ভ্রমন কাহিনীতে ছবি না দিলে ভ্রমনের আসল মজাটা ফুটে না। আপনার আর কি দোষ আমার নিজেরই নিজের তোলা ছবি দেখে লজ্জা লাগে। চোখ টিপি খাইছে
আর আলোর কথা কেন বললাম, এই যে এখানকার ছবিগুলোও তেমন ভাল উঠেনি কিন্তু পর্যাপ্ত আলো থাকার কারনে তবুও সুন্দর দেখাচ্ছে।
আসলে উত্তরের এই দেশগুলো সামারের রোদ ঝলমলে দিনগুলোতে এত বেশী সুন্দর হয়। আমাদের আসলেই দুর্ভাগ্য নরওয়ে থাকাকালীন আমরা রোদ পায়নি একদম, তাও খালি চোখে যা দেখেছি অদ্ভুত সুন্দর লেগেছে, রোদ ঝলমল করলে না জানি কি লাগত। হাসি

সচল হলো আমার ভালোলাগার স্থান, যেখানে দিনে একবার না আসতে পারলে মনে হয় কি যেন মিস করে যাচ্ছি। সচল এখন আমার অস্তিত্বের একটা অংশ। আর সচলের সবাইকে ভীষন কাছের মানুষ মনে হয়, কারন সবার লেখা পড়েই সুখ পাই, ভালোলাগায় ভরে ওঠে হৃদয়।

চলুক
সচল দারুন একটা প্ল্যাটফর্ম, সচলকে নিয়ে এই আবেগটা সচলকে যারা ভালবাসে তাদের সবার মধ্যেই রয়েছে। সচলে এসে আমার নিজের চিন্তা ভাবনা আগের চেয়ে অনেক গোছান হয়েছে, অনেক কিছু আরও ভালভাবে বুঝতে শিখেছি। সচলে এসে কিছু অনেক ভাল বন্ধু পেয়েছি। সচলের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নাই। এটা খুব চমৎকার একটা পরিবার। আমি গর্বিত এমন পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে। হাসি

আপনাকেও শুভেচ্ছা মাসুদ ভাই। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
সচল থাকুন, সচল রাখুন। হাসি
ভাল থাকবেন।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অতিথি লেখক এর ছবি

নরওয়ে যাওয়ার অনেক শখ। যাইব অবশই।
ছবি ও ভ্রমণকাহিনী ভালো লেগেছে।

ইউক্লিড

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

অবশ্যই যাবেন। নরওয়ে খুব সুন্দর দেশ।
চলুক ঘুরাঘুরি, শুভেচ্ছা। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম - ছবিগুলো দেখেই মালুম হচ্ছে জম্পেশ একটা ঘুরান্তিস দিয়ে এসেছেন!!

____________________________

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

জম্পেস মানে বিশাল জম্পেশ ঘুরান্তিস,আফসোস একটাই যেখানেই গেছি বৃষ্টি মাথায় নিয়েই গেছি। মন খারাপ
অনেক ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য। হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

ভ্রমন গল্প পড়তে ভালো লাগে। তবে আরো ছবি দেখার ইচ্ছেটা তখন একটু বেশিই জাগে। বুঝলাম, বৃষ্টির কারণে তেমন একটা ছবি তুলতে পারেন নি, তাই মাফ করে দিলাম চোখ টিপি

লেখা শুরুর আগেই যেই ছবিটা সেটা আসলেই মারাত্মক। ওটা দেখেই কিন্তু এই লেখাটা পড়ার লোভ আর সামলাতে পারিনি। আমার তো এখন ব্যাগ গুছিয়ে রওনা দিতে ইচ্ছা হচ্ছে! আর সবার শেষের ছবিটা (৬ নাম্বার দেয়া, কিন্তু সিরিয়াল করলে লেখার ৭ নাম্বার ছবি খাইছে ) খুব ভালো লাগলো, মানুষের ছোট্ট দুটো অবয়বের কারনে। ২ এবং ৪ নাম্বার ছবিতে যে আকাশের এক্সপোজার আর ভূমির এক্সপোজার কতো বিশাল পার্থক্যের ছিলো তা বুঝতে পারছি। এক্ষেত্রে সময় থাকলে মাল্টি এক্সপোজারে HDR অথবা ল্যান্সের সামনে একটা GND ফিল্টার লাগিয়ে নিলেই সব সমস্যার সমাধান। ৩ আর ৫-এর আকাশটাকে এক্কেবারে গোগ্রাসে গিলে ফেলতে ইচ্ছা হচ্ছে, হুম!!

আরো ঘুরাঘুরি করুন আর ছবি দিন, মনভরে পৃথিবীটাকে দেখি।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

বস আপনারে পেন্নাম জানাই , এত সুন্দর করে বলেছেন মনটাই ভাল হয়ে গেছে।^:)^
অনেক অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ উৎসাহ দেবার জন্য। দেঁতো হাসি
ছবি তুলতে জানিনা শুধু আপনাদের তোলা ছবির দিকে মুগ্ধ চোখে চেয়ে থাকি। কি করে পারেন বলেন তো? আপনার একেকটা ছবি রসগোল্লা, টপ করে খেয়ে ফেলতে মন চায়। চোখ টিপি
একরাশ মুগ্ধতা। হাসি
ঘুরতে পছন্দ করি কিন্তু ছবি তুলতে পারিনা তাই আর ছবি তোলা হয়না, ঘুরার গল্প ও বলা হয়না।
এই যে এখানে কি সুন্দর কিছু টিপস দিলেন, পরবর্তীতে আর কখনও ভুলবনা।
(সিরিয়াল নাম্বার যে মিস করে ফেলেছি খেয়াল করিনি। ইয়ে, মানে... )
আবারও অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক বেশী ধন্যবাদ। হাসি
শুভেচ্ছা রইল।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অতিথি লেখক এর ছবি

সুন্দর ছবি। চলুক

অতিথি লেখকঃ মনোবর।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অতিথি লেখক এর ছবি

পোষ্টের কভার ফটো অসাধারণ। গুরু গুরু
একবার অসলো থেকে সুইডেন গিয়েছিলাম বাসে চেপে, প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য হা করে গিলে খেয়েছি জানালার পাশের সিটে বসে।
ঠিক করেছি পরেরবার বারগেন যাব বড়শি নিয়ে, ছেলেকে মাছ ধরা শেখাব।
আগ্রহ নিয়ে বসে আছি বারগেন নিয়ে আপনার কিস্তির অপেক্ষায়।

…… জিপসি

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যর জন্য।
আহা বারগেন যাবেন মাছ ধরতে শুনেই মন কেমন করছে। ইয়ে, মানে...
নরওয়ে আসলেই অনেক সুন্দর, তবে বারগেন আর স্ট্যাভাঙ্গার যত ভাল লেগেছে, অসলো তেমন লাগেনি।
আপনার সেই বাস জার্নি নিয়েই লিখে ফেলুন না একটি পোস্ট।
অপেক্ষায় রইলাম। হাসি
ভাল থাকবেন।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

ধুসর গোধূলি এর ছবি

জার্মানির হামবুর্গ থেকে কয়েকটা জাহাজ ছাড়ে নর্ডিক নৈসর্গের উদ্দেশে। ভ্রমনের টুকিটাকি ঘাটতে গিয়ে বুঝলাম, এই জার্নিটা না করতে পারলে ইহজনমে শান্তি তো মিলবেই না, উপরন্তু মরার পরে আল্লায় ঠুণ্ডা পিছা দিয়া পিডাইবো!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমি আছি। কথা পুরা পাক্কা। হিমু আর চৌধুরী ফ্যামিলি হামবুর্গের জাহাজে উঠলে আমিও।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

তারেক অণু এর ছবি

ঐটা কিন্তু বুঝে শুনে নিয়েন, যদি ফিয়র্ড দেখায় তবেই, বাকীগুলো ফক্কা।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

চিন্তিত

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আপনি আছেন ভালো কথা। কিন্তু সাথে যে কন্ডিশন জুড়ে দিয়েছেন, সেইটা পূরণ করতে হলে আমার জীবদ্দশায় তো কুলাবেই না, আমার নায়নাতির জীবদ্দশায়ও সেটা কুলাবে কিনা যথেষ্ঠ সন্দো আছে! চিন্তিত

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

হাততালি
আহা, যাচ্ছেন নাকি গোধূলিদা?

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

ধুসর গোধূলি এর ছবি

যাচ্ছি মানে, আলবৎ যাচ্ছি। না গেলে ঐ যে বললাম, মরার পরে ঠুণ্ডা ঝাঁটার বাড়ি খাইতে হবে!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ফিনল্যান্ডের রেসিডেন্স পারমিটের অবস্থাও দেখি নরওয়ের মতো। মন খারাপ
একবার অ্যাপলাই করা মানে খাঁচার ভিতর আটকে যাওয়া। দেশের ভিতরে থাকলে লিগ্যাল, দেশ ছাড়লে 'নিজ দায়িত্বে'। জার্মানিতে সাধারণত এরকম সিদ্ধান্ত অনেক তাড়াতাড়ি হয়। সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হলে একটা টেম্পোরারি পারমিট দিয়ে দেয়। স্ক্যান্ডিনেভিয়ায় এই সাধারণ জিনিসটা করে না কেন, বুঝি না। আমার নরওয়ে প্রবাসের একটা দীর্ঘ সময় এই ক্যাচালে ট্রাভেল করতে হয়েছে জার্মানির পারমিট দেখিয়ে। যদিও আমি নরওয়ের বাসিন্দা, ভিসা/রেসিডেন্ট পারমিট প্রোসেসিং চলিতেছে তো চলিতেছেই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

সেই বলাইদা, আমিও শুনেছি জার্মানিতে অনেক দ্রুত ভিসা প্রোসেসিং হয়। আর এখানে মাসের পর মাস পড়ে থাকে। বর্ধিত স্টুডেন্ট ভিসা দিতে এত সময় লাগার কারন মাথায় আসেনা। অল্প কিছু ডকুমেন্ট দেখে ছেড়ে দিলেই হয়। কখনও কারো ভিসা আটকেছে শুনিনি তবুও এত লম্বা সময় নেবার কারণই নাই।

যদিও আমি নরওয়ের বাসিন্দা

আপনার কাছে নিশ্চয় নরওয়ের অনেক গল্প আছে। শুনতে চাই। হাসি হাসি
ভাল থাকবেন।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আহা ! ছবিগুলো দেখেতো মন খুব টানছে । আমার এক আত্মীয়ও থাকেন অসলোতে । কিন্তু বয়সের কারনে শীতের ভয়ে বড়ই ভীত ।
লেখা-ছবি দুই-ই উপভোগ্য। আরও লেখা আসুক।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ প্রৌঢ়দা।
সেই উত্তরের এই দেশগুলোতে এত বেশী ঠাণ্ডা পড়ে, ভীত না হয়ে উপায় নাই। ইয়ে, মানে...
সম্ভব হলে ঘুরে যেতে পারেন একবার। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

শাব্দিক এর ছবি

লেখা পড়তে গিয়ে প্রফেসর শঙ্কুর কথা মনে পড়ল অনেকদিন পর। ছবিগুলি মারাত্মক চলুক , বিশেষ করে ৩ আর ৪।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
আফসোস লাগে, আকাশে মেঘ ছিল। মন খারাপ

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।