নিশীথ সূর্যের দেশে- তিন

সাফিনাজ আরজু এর ছবি
লিখেছেন সাফিনাজ আরজু [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৬/০২/২০১৪ - ৪:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হ য ব র ল এর সেই যে গেছো দাদার কথা মনে আছে? ”তুমি যখন যাবে উলুবেড়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে, তখন তিনি থাকবেন মতিহারি । যদি মতিহারি যাও, তাহলে শুনবে তিনি আছেন রামকিষ্টপুর । আবার সেখানে গেলে দেখবে তিনি গেলেন কাশিমবাজার । কিছুতেই দেখা হবার যো নেই ।“

পুরো নরওয়ে ভ্রমনে আমাদের সাথে সূর্যি মামারও হয়েছিল সেই অবস্থা। আমরা যখন অসলোতে তখন সূর্যি মামা স্টাভাঙ্গার আর বারগেনের আকাশ মাতিয়ে বেড়ায়, আর আমরা যখন স্টাভাঙ্গারে নামলাম তখন ঠিক গেছো দাদার মতই সূর্যি মামা অসলো বেড়াতে চলে গেল। অথচ যখন অসলো ছিলাম আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দেখেছি সেদিন সূর্যি মামা স্টভাঙ্গারেয় ছিল।

যা বলছিলাম, গেছো দাদার কীর্তি কাহিনিতে স্টাভাঙ্গারে নামলাম মাথায় টিপটিপ বৃষ্টি নিয়ে।

মাঝে ফাঁকতালে বলে নেই ট্রেনে ভ্রমন কেমন ছিল। বেশ ভাল ছিল, আরও ভাল হতে পারত যদি না সারারাত ঝিরঝির বৃষ্টি পড়ত। রাতের ট্রেন, ট্রেনে উঠেই সিটগুলো বেশ পছন্দ হয়েছিল, পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে পা ছড়িয়ে আরাম করে হেলান দিয়ে বসার। আগে থেকেই টিকিট কাটা ছিল তাই টিকিট নিয়ে কোন ঝামেলায় পড়তে হয়নি। প্রতিটা সিটের উপরে দেখি একটা করে প্যাকেট রাখা আছে। খুলে দেখি বেশ তোফা, আরামে ঘুমানোর সব ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা রয়েছে।মুখের বাতাসে ফুলানো যাবে এমন একটা ছোট্ট বালিশ, ছোট আকারের কম্বল, চোখে আলো ঠেকানোর জন্য কালো পট্টি, কানে শব্দ ঠেকানোর ইয়ার নোড।

নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুক্ষন পরে ট্রেন ছাড়তেই যে যার মত কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টায় লেগে গেল। সারাদিনের প্রচণ্ড ক্লান্তি সত্ত্বেও শুধু আমার চোখে কোন ঘুম ছিলনা। ট্রেন তখন ছুটে চলেছে স্টাভাঙ্গারের দিকে। রাতের আলো আঁধারিতে বাইরের দৃশ্যাবলি অসম্ভব মন কাড়া, কিন্তু জানালার কাঁচ গড়িয়ে নামা পানির ধারাতে তেমন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না কিছু।

এইভাবেই আধো ঘুম আর আধো জাগরনে ভোর ৫ টা নাগাদ আমরা স্টাভাঙ্গার পৌঁছে গেলাম। স্টাভাঙ্গারে রাত কাটানো হবে, আগে থেকেই হোটেল বুকিং দেওয়া ছিল। ষ্টেশন থেকে হোটেলের দূরত্ব ছিল খুব কম, হেঁটে মিনিট দশেক হবে। ষ্টেশনে নেমে ষ্টেশনটা ঘুরে দেখলাম, ছোট ষ্টেশন তেমন আহামরি কিছু নয়। ষ্টেশন থেকে বের হতেই ভোরের বাতাসে স্টাভাঙ্গার খুব মিষ্টি লাগল, কেমন জানি আমাদের গ্রাম গুলোর মত, যদিও এটা পুরাদস্তুর বন্দর নগরী তাও কেমন একটা মায়া মায়া ভাব। আমাদের হোটেলের সামনের ভিউটা খুব চমৎকার ছিল।
আমরা শুরুতেই হোটেলে গিয়ে তাদের লকার রুমে আমাদের ব্যাগ ব্যাগেজ রেখে দিলাম। রুম পাবার কথা সেই দুপুর ১২টায় তাই রুমে আর ঢোকা হলনা কিন্তু কোন সমস্যা নাই, কারন আমরা তো ঘুরতেই এসেছি, নাকি।

হোটেলের লবিতে বসে সকালের নাস্তা করে বের হলাম। হোটেল থেকে অল্প দুরেই টুরিস্ট ইনফো, কিন্তু সেটা আবার সকাল ৯টার আগে খুলেনা। তাই আমরা আশে পাশে ঘুরছিলাম,তখন মাত্র বৃষ্টি থেমেছে কিন্তু আকাশের মুখ তখনও গোমড়া। শুরুতেই নজর কাড়ল একটা বিল্ডিঙের গায়ে বাঁকা হয়ে ঝুলে থাকা এক গাড়ির কাঠামো। সেটা একটা অফিস বিল্ডিং হবে মনে হল, ছুটির দিন থাকায় অফিস খোলার কোন সম্ভবনায় নাই, তাই আর জানা হলনা গাড়িটা কেন এমন ঝুলে আছে!

অদ্ভুত ভঙ্গিতে ঝুলে থাকা গাড়ির মডেল।

স্টাভাঙ্গারে একটা জিনিষ দেখলাম, শহুরের আশেপাশে বেশ কিছু ভাস্কর্য বানিয়ে রাখা হয়েছে, বেশ লাগছিল দেখতে।
টুরিস্ট ইনফোর পাশেই পেলাম নরওয়ের সবচেয়ে প্রাচীন ক্যাথেড্রালটির দেখা, স্টাভাঙ্গার ক্যাথেড্রাল। অবাক হয়ে তাকিয়েছিলাম , এটা নাকি সেই ১১২৫ খ্রিষ্টাব্দে বানানো হয়েছিল, যদিও দেখে বোঝার কোন উপায় নেই।

ফাঁকতালে একটু ইতিহাস বলে যাই-
ইংল্যান্ডের ওয়েঞ্চেস্টার থেকে আগত বিশপ রেইনাল্ড ১১০০ সালে এটির নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু করেন যা শেষ হতে হতে ১১৫০ সাল হয়ে যায় । তবে স্টাভাঙ্গার নগরী এটির নির্মাণ সাল হিসেবে ১১২৫ সালকে ধরে থাকে।
শুরুতে এটা ছিল অ্যাংলো নরমান স্টাইলে বানানো, দুর্ভাগ্যর ব্যপার ১২৭২ সালে ক্যাথেড্রালটিতে আগুন ধরে এর ব্যপক ক্ষয় ক্ষতি হয়। এরপর বিশপ আরনে ক্যাথেড্রালটির পুনর্নির্মাণ করেন এবার কিন্তু গথিক স্টাইলে। ১৮৬০ সালে সর্বশেষ রেনভেশনে এর সময় বাইরের এবং ভিতরের কাঠামোতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করা হয়।

ক্যাথেড্রালটির সামনে দাঁড়িয়ে খুব রোমাঞ্চিত হচ্ছিলাম, কত শত বছর আগে তৈরি।

ভিতরে ঢোকার ইচ্ছে ছিল কিন্তু খুলবে সেই সকাল ১১ টায় তার আগেও আমাদের অন্য প্ল্যান। আসলে হাতে এত কম সময় নিয়ে গেছিলাম আর এত বেশি প্ল্যানিং ছিল যে সব কিছু করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। আমার কাছে মনে হয়েছে ঘুরতে গেলে নরওয়ের প্রতিটা শহরে কমপক্ষে তিন দিন করে থাকা উচিত।
ক্যাথেড্রালের সামনে দিয়ে ঘুরে এসে আমাদের হোটেলের সামনের পুকুরপাড়ে বেশ কিছুক্ষন বসে রইলাম, সকালের ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা বাতাসে বেশ লাগছিল। আশার কথা আবহাওয়া বার্তা বলছে দুপুর নাগাদ মেঘ কেটে যাবে, গেছো দাদা সূর্যি মামার দেখা পাবার সম্ভবনা অবশ্য কম।

পুকুরপাড়ে থুড়ি লেকপাড়ে দেখা মিলল এই মিস্টি বালকের।

মায়াবি সেই পুকুর

পুকুরজুড়ে এবার সত্যি হাঁসের ঝাঁক

টুরিস্ট ইনফোর সামনেটা খুব সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজান ছিল

৯ টা বাজতে ইনফোতে গেলাম। সেই মহিলা খুব হাসিমুখে জানাল স্টাভাঙ্গারে আসলে অবশ্যই পুলপ্রিট রক দেখা উচিত। এটা ২০১১ সালে লোনলি প্লানেট এবং সি এন এন গো দ্বারা সবচেয়ে দর্শনিয় প্রাকৃতিক স্থান( Most spectacular view and natural attraction) হিসেবে খ্যাত।
স্টাভাঙ্গারের একটি প্রধান আকর্ষণ হল লুসে ফিয়র্ড আর অন্যটি পুলপ্রিট রক যাকে স্থানীয়রা ডেকে থাকে প্রেইকেস্তলেন বলে। পুলপ্রিট রকটা আসলে কি, সেটা আসলে প্রেইকেস্তলেন পর্বতের চূড়ায় যাবার আগেই লুইস ফিয়র্ডের দিকে মাথা বাড়িয়ে থাকা বিশাল এক প্রস্তর খণ্ড, পানি পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬০৪ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।

হয় পানি পথে লুসে ফিয়র্ড দিয়ে প্রেইকেস্তলেন পর্বতের নিচ দিয়ে পুলপ্রিট রকের তলা দিয়ে লুসে ফিয়র্ড পুরোটা ঘুরতে হবে, সেক্ষেত্রে পুরো সময়টা পানিপথে ঘুরতে ঘুরতে খাড়া উঠে যাওয়া দুই পাশের পাহাড় আর হাইকিং করা মানুষ দেখতে হবে। অথবা প্রথমে নৌ পথে প্রায় ৪০ মিনিট ভ্রমন করে তাউ নামক এক জায়গায় পৌছাতে হবে অতঃপর ২৫ মিনিটের বাস ভ্রমন করলে রুফল্কে শহরে প্রেইকেস্তলেন পর্বতের গোড়ায় নামিয়ে দেবে, সেখানে প্রেইকেস্তলেন পর্বত লজ নামের এক ছোটোখাটো মোটেল মত আছে, সেখান থেকে চিহ্নিত পথে হেঁটে হেঁটে পুলপ্রিটের মাথায় উঠতে হবে।

বন্ধুদের বেশ আগ্রহ হাইকিং করে পুলপ্রিটের চূড়ায় উঠার ব্যপারে, আমি বেশ দোনোমনো করছিলাম। পাহাড়ে চড়া তো দূরের কথা একদম পাহাড়ের তলদেশেই যাইনি কখনও। আর তাছাড়া আমরা একদম নরমাল জুতা পড়েছিলাম, হাইকিং করতে তো শুনেছি অন্যরকম জুতা দরকার। কিন্তু ওদের এত আগ্রহ দেখে আমি আর না করতে পারলাম না।

যাই হোক, শুনলাম ৯.৩০ এই একটা ফেরি ছাড়বে তাও এর উদ্দেশে। একটা ব্যাক প্যাকে কিছু হালকা খাবার, ছোট দুই বোতল পানি আর গলায় ক্যামেরা ঝুলিয়ে শেষ মুহূর্তে ফেরিটা ধরতে পারলাম। তারপর দুই পাশের অতি মনোরম দৃশ্য দেখতে দেখতে তাও যাওয়া। ফাঁকতালে বলে নেই, আমাদের খাওয়াদাওয়ার কিন্তু কোন কষ্ট হয়নি। ফেরীতে বসে বসে আমরা আলুপুরি আর ডালপুরি খাচ্ছিলাম বেশ তারিয়ে তারিয়ে।

তাউতে নেমে দুপাশের আকাশ ছোঁয়া পাথুরে দেয়াল দেখতে খুব ভাল লাগছিল। ওখানে বাস অপেক্ষা করছিল, চড়ে বসলাম। বাসে মাত্র মিনিট পঁচিশ সময় লাগল যেতে, তখনও আকাশে মেঘ কিন্তু কিছুটা উজ্জ্বল আলো ছিল, রাস্তার দু পাশের দৃশ্য সাংঘাতিক মন কাড়া।

তাউ থেকে রুফল্কে শহরে যাবার পথে রাস্তার দুপাশের দৃশ্যাবলি
দৃশ্য ১ :

দৃশ্য ২ :

দৃশ্য ৩ :

মুগ্ধ চোখে চারিপাশ দেখতে দেখতে হুট করে পৌঁছে গেলাম রুফল্কে প্রেকেইতেলেন পর্বতের গোড়ায় লজে।
চেয়ে দেখলাম লজের অপর পাশ দিয়ে সবাই কাঁধে ব্যাক প্যাক নিয়ে আস্তে ধীরে জঙ্গুলে পথে পাহাড়ের মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে। সবাই মোটামটি হাইকিং ড্রেস হাইকিং শু পড়েছিল। সবাই কে দেখে একটু ভয় ভয় লাগছিল, মনে মনে নিজেকে অভয় দিচ্ছিলাম- ওকে তেমন কোন কঠিন ব্যাপার না মাত্র তো ৬০৪ মিটার, হাফ কিলোমিটারের অল্প কিছু বেশি দূরত্ব, হায় যদি আসল সত্যি জানতাম!
যা বলছিলাম, আমরা পাহাড়ে উঠা শুরু করলাম, উঠছি তো উঠছি, চারিপাশে গাছপালা, পাথুরে পথ, মাঝে মাঝেই পা স্লিপ কাটে, খুব সাবধানে উঠতে হচ্ছে, গাছের কারনেই কিনা জানিনা ভ্যাপসা গরম আর মশা। ইয়া বড় বড় মশার কামড়। গেছো দাদার একটু দয়া হচ্ছিল প্রানে, মেঘের আড়ালে দেখা যায়না এমনভাবে উঁকি দেবার চেষ্টা।

আমার মনে হল অনন্তকাল ধরে পাহাড়ে উঠার পরে হাঁপাতে হাঁপাতে অবশেষে চুড়ার মত একটা জায়গায় গিয়ে দাঁড়ালাম। বড় বড় শ্বাস নিতে নিতে চারপাশে তাকিয়ে ভাবলাম, ও আচ্ছা এই সেই পাল্পিট রক, এ আর এমন কঠিন কি, যাই হোক, উঠতে পেরেছি এটাই বড় কথা। কিন্তু সমস্যা হল, ছবিতে যেমন দেখেছিলাম আর পড়েছিলাম তাতে তো আশেপাশে ফিয়র্ডের পানি দেখা যাবার কথা, চারিপাশ খুব খোলামেলা হবার কথা, এমন পাথুরে আর জংলা হবার কথা না। না পারতে এক সময় ফয়সাল কে বলেই ফেললাম -"এই হল গিয়া এত বিখ্যাত পুলপ্রিট রক,ফুহ টাইম নষ্ট টাকা নষ্ট... " মুখের কথা মুখেই থাকল, ফয়সাল আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে এক সাইনবোর্ডের সামনে দাড় করিয়ে বলল-”ওলেত তাসসা”, পাশে দেখি বাকি দুজন হাসছে। ফিনিশে ”ওলেত তাসসা” মানে হল ইউ আর হিয়ার, অর্থাৎ তুমি এখানে। ম্যাপে তাকিয়ে দেখি পুলপ্রিট রকের হাঁটুর কাছেও পৌঁছাইনি তখনও। দেখেই আমার গলা শুকিয়ে কাঠ, একি কাহিনি।

এইবার শুরু হল আসল ভ্রমন। পুলপ্রিট রক যাবার পায়ের কাছে পৌঁছেই গলা শুকিয়ে কাঠ সামনে তো পুরাটাই পড়ে আছে। কি আর করা, লাইনে এসে আগে বাড়লাম।
আগে বাড়তে গিয়ে থমকে গেলাম, আরে আরে আমরা তো রকের মাথায় উঠব, পথ এবার নিচের দিকে নামে কেন। শুরু হল নিচে নামা, যতদূর কষ্ট করে উঠেছিলাম তার অর্ধেকের বেশি পথ নামতে হল, আবার উঠা, আবার নামা...সামনে এল এক উপতাক্যা। এভাবে কতবার উঠলাম আর নামলাম আমি হিসাব রাখিনি, শেষে ফয়সাল আর মৌ বলেছিল ওরা নাকি ১১ বার গুনেছে, সঠিক কত আসলে জানিনা। রাগ করে আমি পুলপ্রিট রকের নামকরন করে ফেললাম কালপ্রিট রক, বাকি তিনজন ও সাদরে নাম গ্রহন করল, কালপ্রিট ই বটে।

সে যাই হোক, এই চড়াই উৎরাইয়ের মাঝে দুইপাশে প্রকৃতি অসাধারণ বললে আসলে কম হবে, কোথাও উপতাক্যা তো কোথাও বা পাহাড়ের খাঁজ বেয়ে পানি নেমেছে, সামনে দুই পাহাড়ের মাঝে একটা শান্ত নিরিবিলি পুকুরের দেখা পেলাম, কি যে অসম্ভব মায়াবি বর্ণনার ভাষা নেই। খুব দুঃখ হচ্ছিল কেন যে একবারও একটু ভাল আলোর দেখা পেলাম না।

সামনে পথ বহুদূর

গেছো দাদার প্রানে খুব সামান্য দয়া হল ক্ষণিকের জন্য

পাহাড়ের মাঝে টলটলে হ্রদ

এই হ্রদের ধারে পাথরে হেলান দিয়ে কিছুক্ষণ জিরিয়ে নিয়েছি

মাঝে মাঝেই জিরিয়ে নিচ্ছিলাম, চারজন মানুষ আমরা ছোট বোতলে মাত্র দুই বোতল পানি, ভ্যাপসা গরমে কেবলই পানি পিপাসা পাচ্ছে, পথিমধ্যে বিশুদ্ধ পানির বা টয়লেটের কোনই ব্যবস্থা নাই, তাই খুবই হিসাব করে পানি খাওয়া শুরু করলাম। আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছিল, তারই মাঝে আমাদের লজ্জা দিয়ে দেখি প্রায় বছর সত্তুরের এক জুটি গটগট করে এগিয়ে যাচ্ছেন সামনের দিকে। অথবা কাঁধে খুব ছোট বাচ্চা কোলে কোন মা, মালিকের পিছন পিছন প্রহরীর মত আদরের কুকুর। আশে পাশের সবার সামনে নিজেদের খুব আনফিট লাগছিল, অবশ্য আমাদের পোশাক এবং জুতো, পর্যাপ্ত প্রস্তুতির অভাব অন্যতম কারন হতে পারে।

দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড় সারি

আমাদের মত আরও অনেকে এগিয়ে চলেছে পুলপ্রিটের চূড়ায়

হয়ত এখানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছে কেউ

কৌতূহলী কোন পথিক পথ ছেড়ে এলোমেলো দিকে

কিছুদুর এগানোর পর পরিস্থিতি এমন হয়ে উঠল মনে হচ্ছিল কোনভাবেই পৌঁছাতে পারবনা, শুধু মাত্র জেদের বসে সামনে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। হায়, আগে কেন খেয়াল করিনি সমুদ্রপৃষ্ঠ/ফিয়র্ড পৃষ্ঠ থেকে এই ৬০৪ মিটার দূরত্বে পৌঁছানর আগে পাহাড়ি পাথুরে রাস্তায় ৪ কিমি পথ পাড়ি দিতে হবে।

যাই হোক, যা বলছিলাম,উঠতে নামতে, নামতে আর উঠতে যখন হাল প্রায় ছেড়ে দিয়েছি, পা ব্যাথায় টাটাচ্ছে, শরীর ক্লান্তিতে ভেঙে আসছে তখন মনে হল বহুদুরে কিছু একটা দেখা যাচ্ছে যা দেখতে কালপ্রিট রকের মতন। এই বার মনে কিছুটা উৎসাহ আসল।

যেতে হবে ঐ মাথায়

আবছা ভাবে ঐ দেখা যায়

যাত্রাপথে নিচ দিয়ে যাওয়া কোন বোট, যদি আমরা ফিয়র্ডে বেড়াতাম হয়ত এমন কোন বোট থেকে উপরপানে চাইতাম

পুলপ্রিটের খুব কাছাকাছি

শেষ পর্যন্ত কোনমতে কালপ্রিটের চূড়ায় উঠতে পারলাম। কি যে অপার্থিব সুন্দর বলার ভাষা জানা নেই, মুহূর্তেই সব কষ্ট, ক্ষুধা, পানি পিপাসা, সারা গায়ে ব্যাথা সব দূর হয়ে গেল। মনের আনন্দে চেঁচিয়ে বললাম- আমি পাইলাম, উহারে পাইলাম।
এবার কালপ্রিট রকের চূড়া থেকে তোলা কিছু ছবি দেই-

ছবি এক :

ছবি দুই :

ছবি তিন (মুঠোফোন কাউকে কোথাও শান্তিতে থাকতে দেয়না):

ছবি চার (আমি পাইলাম, উহারে পাইলাম...... হাসি ) :

(উঠলাম তো বটে কিন্তু আবার নামতেও তো হবে, শুধু সুড়সুড় করে নেমে যাওয়া তো নয়, আবার উতরায়, চড়ায়,উতরায়, চড়ায়, ...
চলবে... )


মন্তব্য

বন্দনা এর ছবি

এত মারাত্তক সুন্দর সব ছবি, কবে যে যাবো। দারুণ একটা পোষ্ট আপু।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

পারলে একবার ঘুরে এসেন, অনেক ভাল লাগবে। হাসি
পোষ্ট ভালো লাগার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

উড়ন্ত প্রজাপতি এর ছবি

ভালো লাগল পড়ে হাসি

ছবিগুলো আসলেই অনেক সুন্দর।

[উড়ন্ত প্রজাপতি]

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

ভালো হচ্ছে, চালিয়ে যান।

অট: তারেক অণু, মইনুল রাজু আর জিপসির লেখা পড়ে পড়ে ভ্রমণ কাহিনি লেখার খায়েশ অনেক আগেই উবে গেছিল। কিন্তু আপনি সাহস করে এগিয়ে এসে যেরকম সুন্দর লেখা দিচ্ছেন, তাতে করে আমারও একটা ভ্রমণ কাহিনি লিখে ফেলতে ইচ্ছে করছে। খাইছে

____________________________

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

ভাল হচ্ছে, বলছেন? হাসি
আমি এদিক সেদিক টুকটাক ঘুরে বেড়ায়, সচলের রথী মহারথীদের ভিড়ে নিজের অভিজ্ঞতা লিখতে এবং আনাড়ি হাতের ছবি দিতে লজ্জা লাগে তাই আর দেওয়া হয়না। নরওয়ে ভ্রমনটা বেশ মজার আর অন্যরকম ছিল, তাই মানে মানে করে কিবোর্ড ঠুকে লিখতে শুরু করলাম। চোখ টিপি
দেন না ভাই আপনার একটা ভ্রমন কাহিনি পড়তে ইচ্ছে করছে। এই দেখেন না গ্যালারিতে বসলাম পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম
উৎসাহ দেবার জন্য অনেক অনেক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

এক লহমা এর ছবি

ওঠা নামায় যা কষ্ট পেয়েছো, তাতে আর বানান ঠিক করার কষ্ট দিতে চাই না! হাসি
ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে হতচ্ছাড়া সূর্য তোমাদের সাথে কি বিচ্ছিরি গেছোদাদামি করেছে!
তবে হ্যাঁ সফিনাজদিদি, দৃশ্য একেবারে তোমার লেখার মতই - খুব সুন্দর! পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

দেখো দেখি দাদাভাই, সূর্য কি গেছো দাদা যে গেছোদাদামি করবে, তাও পুরো সফর জুড়ে করেছে। মন খারাপ
ইয়ে মানে একটু বানান ভুল চোখে পড়লে ঠিক করে দাওনা। লিখতে গেলেই কিছু কিছু বানান নিয়ে খুবই দ্বিধা দন্দে ভুগতে থাকি। ইয়ে, মানে...
আমি খুবই মনযোগী ছাত্রী, একবার যে ভুল ঠিক করে দিবে কথা দিচ্ছি জীবনে আর সেই ভুল হবেনা। লইজ্জা লাগে
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলে-- আমি ত খুবই ভয়ে ভয়ে থাকি লেখা আবার একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে কিনা। চাইলে একটু ছোট করে লিখে শেষ করে দেওয়া যায়, কিন্তু ভ্রমণটা এত ভাল লেগেছে যে বড় বড় ঘটনাগুলো অন্ততপক্ষে খুঁটিনাটি লিখতে ইচ্ছে হয়।
শেষে এই নাও ফ্রেশ আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অতিথি লেখক এর ছবি

হাততালি

এইবারের ছবিগুলো অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে।, বিশেষ করে দুই আর তিন নম্বর। দেখলেই মনে হয় ইস আমি যদি যেতে পারতাম, এই সৌন্দর্য্য না দেখে চলে যাবো কি করে? চিন্তিত

না, ভ্রমন নিয়ে আর কোন লেখা, ছবি সচলে পড়বো না, দেখবো না মন খারাপ

মাসুদ সজীব

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

ইস বললেই হল পড়বনা ! না পড়ে যাবেন কই? সচলের নেশা যে কি বস্তু জানেন না মশাই। খাইছে

এইবারে অল্প একটু আলো উজ্জ্বল হয়েছে তাইতেই ছবিটা ভালো লাগছে দেখতে। আর অবশ্য জায়গাটা এতই সুন্দর এমনি দেখতে ভালো লাগে। খালি আফসোস হয় যদি একটু সূর্যের দেখা পেতাম সব ছবি নীলে নীলে নীলাভ হয়ে যেত।
ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অতিথি লেখক এর ছবি

এত সুন্দর ছবি আর বর্ণনা । অসাধারণ লাগলো । আহা যদি জেতে পারতুম ।

জোনাক আলো

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ জোনাক আলো। হাসি
শুভকামনা রইল।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ছবির রংগুলি সুন্দর আসছে৤ কম্পোজিশনও ভাল্লাগল৤


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুব ভাল লাগল অনিন্দ্যদা। অনেক অনেক ধন্যবাদ। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অতিথি লেখক এর ছবি

ছবি আর লেখা দুটোই মন ভরিয়ে দিল ।

তাহসিন রেজা

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ভাই। হাসি
শুভেচ্ছা রইল।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

তারেক অণু এর ছবি

পুলপ্রিট রক হে,পালপ্রিট নয় !

ছবি কিছু দারুণ, ঐ অঞ্চলে একাধিক বার যাবার পরিকল্পনা করার পরও যাওয়া হয় নি।

আরে লেখার সময় ডিটেইল ব্যবহার নিয়ে সাবধান, কারণ তাতে ভ্রমণকারীরা ব্যতীত বাকীরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে, লেখা চলুক

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

পালপ্রিট নয়, পুলপ্রিট? সাধে কি বলি কালপ্রিট! ইয়ে, মানে...
এইসব অঞ্চলের ভাষা নিয়া আমি এতই সমস্যায় থাকি, কিছু ইংলিশ কিছু এই দেশীয় উচ্চারন সব মিলিয়ে আমার বাধে মহা জগা খিচুড়ি। সাধে কি আর আপ্নে বস মানুষ। হাসি
অনুদা এখনও পুলপ্রিটে যায় নাই ...... ম্যাঁও দেঁতো হাসি

পরামর্শটুকুর জন্য অনেক ধন্যবাদ অনুদা। আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না কতটা লিখব আর কতটা না। এখন বুঝলাম, তাত্তারি শেষ করে দেব। আর পরবর্তী কোন ভ্রমন কাহিনি লেখার আগে অবশ্যই বিষয়টা মাথায় থাকবে।
অট : বই তো কিনছি, লেখকের অটোগ্রাফ পাবার উপায় কি? চিন্তিত

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

বাহ, ছবিগুলা তো দারুণ!

ছবিগুলার নিচে এইচটিএমএল ট্যাগ দেখা যাচ্ছে কেন? [img] [/img] এরকম।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

ইয়ে মানে শান্ত ভাই, আমি একটু বেশি টেকি মানুষ কিনা তাই এই অবস্থা। ইয়ে, মানে... ইয়ে, মানে...
অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী জানা কথা। পোষ্ট লেখার পর প্রিভিউ তে দেখি কোন ছবি দেখা যায়না, কি হইছে ঘটনা কিছুই না বুঝে এইচটিএমএল কোড কপি করে আবার ছবি সংযুক্তের ঘরে পেস্ট করে কি এক কাহিনি করেছি, তাইতে এই অবস্থা! মন খারাপ মন খারাপ

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

এডিট করে দ্যান।

আর এইসব পোস্ট ভয় পাই, আমি আইলসা মানুষ। আমার জন্য ছবিতে সৌন্দর্য দেখাই যথেষ্ট। চড়াই উতরাইয়ে ডরাই।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

ঠিক করে দিয়েছি। হাসি
আমিও আইলসা, চড়াই উতরাইয়ে ডরাই, বুঝে শুনে গেলে জীবনেও যেতাম না, না বুঝে গেছি। মন খারাপ

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

আয়নামতি এর ছবি

হুই মাইয়া খায়া আর কাজ পাওনা তুমি? ঐ অতদূরের পাহাড় চড়তে ধেই ধেই করে চলে গেলা?
বলিহারি সাহস! আরে মাইয়ামানুশ না তুমি? তুমার কাজ কী এসব নাকি?
তাওবা তাওবা বেশরিয়তি কাসকর্মে পিতিমি ভরি গেল খাইছে
হেহেহে ইহা হাবিবি আমি তো তুমার ফেন হয়া যাচ্ছি!
ছবি দেখে মাথা নষ্ট, ঈমান নষ্ট।

আমাদের খাওয়াদাওয়ার কিন্তু কোন কষ্ট হয়নি। ফেরীতে বসে বসে আমরা আলুপুরি আর ডালপুরি খাচ্ছিলাম বেশ তারিয়ে তারিয়ে।

জনৈক অতিথি ঠিকই বলছেন তাইলে, ইহাতে হিডেন বেপার সেপার যে আছে তাহা কী মনে করো আমি বুঝিনা র‍্যা? রেগে টং পেজগি কুতাকার দেঁতো হাসি সচললাটিম পিতিমির পথে পথে ছুটন্ত অণু'র এত এত পোস্টে পাহাড়চড়ার ড্রেসকোড নাই?
না থাকলে অচিরেই জুড়ে দেয়া দরকার। নইলে বাঙ্গালি আবার ডালপুরি আলুপুরি বগলদাবা করে ডেসকোড মানামানি না করেই চল্লাম বলে রওনা দিবে পাহাড় চড়তে। আচ্ছা পা পিছলে আলুর দম হবার চ্যান্স কেমন রে কালপ্রিটে ওঠতে?
একটা স্বপ্ন দেখি আমি জানো? সুইজ্যারল্যাণ্ডে পান খেতে খেতে সে পিক ফেলবো অ্যাইফেলটাওয়ারে তাপর ট্রেনে করে গোটা ইউরোপ ভ্রমণ করবো... দেখিস একদিন আমিও! ফটোগ্রাফির বেপারটারে শক্তকরে জাপটে থাকো। দারুণ হাত তুমার চলুক লেখাও ভালুছৈ হাসি কবি'র মত আমারও প্রশ্ন ফটুকের দু'পাশের আপদগুলো কেন রে?

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

বলিহারি সাহস! আরে মাইয়ামানুশ না তুমি? তুমার কাজ কী এসব নাকি?

ছরি এই বেগানা দেশে আইসা মাইয়ামানুশের বেবাকটি কাম ভুইলা বইসা আছি, আমার কি হবে গো, ইহকাল পরকাল দুই গেলগা!! (মাথা ঠুকে ঠুকে কান্নার ইমো হবে )

আমি তো তুমার ফেন হয়া যাচ্ছি!

তাত্তারি কও টেবিল ফেন নাকি সিলিং ফেন? চাল্লু

সচললাটিম পিতিমির পথে পথে ছুটন্ত অণু'র এত এত পোস্টে পাহাড়চড়ার ড্রেসকোড নাই?

আমার কি দুষ, সব দুষ সচললাটিমের! রেগে টং
এত এত লেখা দিসে কুনো ড্রেস কোড দেয় নাই! চিন্তিত

আচ্ছা পা পিছলে আলুর দম হবার চ্যান্স কেমন রে কালপ্রিটে ওঠতে?

উঠতে তো আলুর দম হবার চান্স কম ছিল আয়নাদি, তয় আমার ঐ ছেরা জুতাখানা পড়ে নামার সময় বেশ কয়েকবার পা হড়কেছে। ভয়ে ভয়ে খুবই সাবধান ছিলাম জন্য পড়ে টরে যায়নি বা ব্যাথা পাইনি। আর তাছাড়া একদিনে পাহাড়ি পথে ৮ কিমি পথ পার হয়ে নামার সময় মাঝ রাস্তায় আসার পর থেকে হাঁটুর নিচে পা দুটো খুব কাঁপছিল। কিভাবে যে শেষ পর্যন্ত নেমেছি বলতে পারবনা। হাসি

সুইজ্যারল্যাণ্ডে পান খেতে খেতে সে পিক ফেলবো অ্যাইফেলটাওয়ারে তাপর ট্রেনে করে গোটা ইউরোপ ভ্রমণ করবো

চলে আসনা, একসাথে ঘোরা যাবে। ঘুরতে আমারও খুব ভাল লাগে।

ফটোগ্রাফির বেপারটারে শক্তকরে জাপটে থাকো। দারুণ হাত তুমার

কস্কি মমিন!

তুমি এত সুন্দর করে বল, মনটাই ভালো হয়ে যায়। দেঁতো হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

আয়নামতি এর ছবি

তুমি এত সুন্দর করে বল, মনটাই ভালো হয়ে যায়।

এমনটা শুনতেই না এতসব বলা রে দেঁতো হাসি চলে আসবো একদিন দেখিও হাসি

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

কোলাকুলি বুখে আয় বাভুল।
মানুষের মন ভালো করে দেবার আলাদীনের চেরাগ কিন্তু সবার কাছে থাকেনা, জানত। দেঁতো হাসি
সো ...................................................
তাত্তারি আসো তাত্তারি, নাইলে দেশে যামু গিয়া।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

আয়নামতি এর ছবি

কোলাকুলি লইজ্জা লাগে

তাপস শর্মা এর ছবি

ফাটাফাটি ছবি চলুক .... আপনি তো মশাই চরম ক্লিকান হাসি

ইয়ে মানে, ছবিগুলি আরেকটু বড় করে দিলে ( মধ্যম সাইজ, ফ্লিকারে ) দেখতে সুবিধে হয় কিন্তু

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

কি যে বলেন তাপসদা!
দেখি পরের পোষ্ট থেকে ছবির সাইজ বড় করে দিব। এটাও কিন্তু ফ্লিকারে মধ্যম সাইজ ছিল, কিন্তু ছোট আকারের মধ্যম আরকি।
অনেক ধন্যবাদ ছবি পছন্দ করার জন্য। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

কৌস্তুভ এর ছবি

নরওয়ে যাবার ইচ্ছা ছিল গত বছর, তালেগোলে হল না। স্টাভাঙ্গার অসলো দুটোই যাওয়ার কথা ছিল। এবার গেলে আপনার থেকে তথ্য নেওয়া যাবে।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

এই সামারে এইদিকে চলে আসেন কৌদা, ফিনল্যান্ড ঘুরে নরওয়ে যেয়েন, হয়না?
আসার কোন প্ল্যান হলে জানিয়েন প্লিজ। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

মেঘের কান্না এর ছবি

খুবই ভালো লাগলো হাততালি । মনটা খারাপ হলো এই ভেবে যে, আমি কেন আপনার মত এত সুন্দর করে লিখতে পারি না ওঁয়া ওঁয়া । আমি বরাবরই হিংসুটে মানুষ, এত সহজ আর সাবলীল ভাবে লিখেন কেমন করে? ছবিগুলো অসাধারণ লাগলো।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

হায় হায় বলেন কি, আমি তো চাইলেও আপনার মত এত সুন্দর করে বলতে পারবনা। চোখ টিপি
মনটা ভাল করে দিয়েছেন কান্না, ধন্যবাদ আপনাকে। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।