নীল পাহাড়ের দেশে- ১ম পর্ব

শাব্দিক এর ছবি
লিখেছেন শাব্দিক [অতিথি] (তারিখ: রবি, ৩১/০৩/২০১৩ - ৫:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি মোটামোটি ভাবে বেশ শান্তশিষ্ট এবং ভীতু প্রকৃতির মেয়ে।কিন্তু কেন যেন জীবনের বিভিন্ন বয়সে এবং পরিস্থিতিতে আমার কিছু পাগলাটে স্বভাবের বন্ধুবান্ধব জুটে যায়, যাদের কুপ্ররচনায় নানারকম কুকর্মে লিপ্ত হই। মাতৃদেবী বরাবরই এইসব অসৎসঙ্গ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করে এক সময় হাল ছেড়ে দিয়েছেন।

আমি যখন ক্লাস থ্রিতে পড়তাম আমাদের স্কুল বাস থেকে কি করে যেন তিনটা মেয়ে হারিয়ে যায়। অতঃপর দুপুর দুইটার সময় তিনজনকে উদ্ধার করা হয় চতুর্থ জনের বাড়ির গ্যারেজে মনোপলি খেলারত অবস্থায়। এদের মধ্যে আমি কি কারণে ছিলাম আমার ঠিক মনে নেই। প্রায় দশ বছর আগে ঝুম বর্ষায় ভার্সিটির প্রথম বর্ষের একডজন পাগলা ছেলেমেয়ের মনে হল খালি পায়ে ভার্সিটির এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে হেঁটে যেতে হবে, এবং তথাস্তু। দুর্ভাগ্যবশত সে দলেও আমি ছিলাম, পায়ের ব্যথায় পরের দুইদিন ক্লাসে যাওয়া হয় নাই।

যাই হোক, এটা কোন স্মৃতিচারণমূলক পোস্ট না, মূলত এটা একটা ভ্রমণ পোস্ট। সামান্য স্মৃতিচারণের কারণ হল কেনই বা আমার মতো ভয়ঙ্কর ভীতু প্রাণীটা মধ্যযৌবনে এসে অসৎ বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে সাতাশ’শ ফুট উপরে পাহাড়ে উঠে বগা লেক দর্শন করলাম এবং কেন বান্দরবানের আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তা ধরে রাত তিনটার সময় রওনা দিলাম নীলগিরি দেখতে তার সামান্য কারণ দর্শানো।

কোন এক বৃহস্পতিবার অফিস ফেরত পাঁচজন বন্ধুবান্ধব এবং আমাদের মধ্যে একজনের প্রবাসিনী অতিথি পাখী বড়বোন সহকারে ব্যাকপ্যাক কোনরকম প্যাক করে রাত নয়টায় কল্যাণপুর হাজির হলাম ঈগল বাস ধরতে। ননএসি বাস এবং বেশ চিপাচাপা সীট। কিন্তু বান্দারবান পর্যন্ত সরাসরি যেতে এই বাসের বিকল্প কম। বৃহস্পতিবার ঢাকা ছাড়ার বুদ্ধিটা আসলে তেমন সুবিধার না, জানা থাকলেও আমাদের মত কর্পোরেট কামলাদের জন্য ওই দিন ছাড়া অন্যদিন তেমন শুভলগ্ন আর আসে না। অচিরেই টের পেলাম সে অসুবিধা যখন বাসটা কল্যাণপুর থেকে কলাবাগান হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক পৌছাতে প্রায় রাত একটা বেজে গেল।

সে পর্যন্ত আমাদের কলকাকলি মুখরিত অংশের কারণে বাসের বাকি যাত্রীদের ভ্রুকুঞ্ছিত। কিন্তু তাতে আমাদের তেমন মাথাব্যথা আছে বলে মনে হল না। এতদিন পর দেখা, তাও আবার মাথায় দারুণ একটা ট্রিপ প্ল্যান নিয়ে আমাদের এক্সাইটমেন্ট চরমে। আপু অবশ্য আমাদের পক্ষ হয়ে বারবার সহযাত্রী কাছে ক্ষমা চাইছিলেন। কিন্তু তাতেও রাত দুটা পর্যন্ত এহেন হইচই’র যন্ত্রণায় ত্যক্ত বিরক্ত যাত্রীরা তেমন প্রসন্ন হলেন না। রাত তিনটার দিকে আমাদের সারা সপ্তাহের এবং সারাদিনের ক্লান্তি কিছুটা ভর করল, হাউকাউ বাদ দিয়ে তন্দ্রা এবং নিদ্রায় মগ্ন হলাম একে একে সবাই।

এতক্ষনে “কামরায় গাড়ি ভরা ঘুম, রজনী নিঝুম”। চারটার দিকে বাস কুমিল্লা পৌছাল। রেস্টুরেন্টে আধঘণ্টার যাত্রা বিরতি কিন্তু আমরা আসলেই টায়ার্ড। বাস থেকে নেমে খাওয়া দাওয়ার কোন আগ্রহ দেখা গেল না। তাছাড়া এতক্ষনে বেশ কয়েখান বাতাস ভর্তি চীপ্সের প্যাকেট খালি হয়েছে।

আমার ধারনা ছিল পৌছাতে দুপুর হয়ে যাবে। সেইমত ঘুম দিয়েছিলাম। কিন্তু বাসটা কখন চট্টগ্রাম পৌছাল টের পাইনি। সকাল আটটার দিকে শাওন মাথায় চাটি মারল, ‘ওই গাধী, আর কত ঘুমাবি, পাহাড় দেখ উঠে’। ভাবছিলাম না পৌঁছানো পর্যন্ত মটকা মেরে পড়ে থাকব। কিন্তু একচোখ একটু খুলে আমি পুরাই টাস্কি। এত অদ্ভুত সুন্দর পাহাড় দুইপাশে, প্রকৃতি যেন সকাল সকাল এর সব রূপ ঢেলে দিতে হাজির।

jj

দুইচোখ দিয়ে পরিপূর্ণ ভাবে সেই রূপসুধা পান না করলে এই জীবন যেন অতৃপ্ত থেকে যাবে। মৌ ততক্ষনে ঠিক করে ফেলেছে কোন পাহাড়ী ছেলে বিয়ে করে এইখানেই চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে নিবে।
আমরা সাড়ে আটটার দিকে অপূর্ব সুন্দর বনপথ, কিছু ছোট ছোট সেতু আর ঢাল পাড় হয়ে রিসোর্টে পৌঁছলাম।
রিসোর্টটা বেশ ন্যাচেরাল রাখা হয়েছে, প্রকৃতিকে বিকৃত করা হয়নি। ছোট ছোট টিলার মধ্যেই ধাপগুলি কেটে বাঁশ দিয়ে সিঁড়ি তৈরি হয়েছে। আর একটা বারান্দা আর ঘরগুলি মাচার উপর একটা থেকে অন্যটার দুরুত্ব বেশ খানিকটা। রাতের বেলা মেয়েরা একটু ভয় ভয় পাচ্ছিলাম।
সকালবেলা রিসোর্ট পৌঁছে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা সেরে নিলাম। নাস্তার টেবিলেই ঠিকঠাক করে ফেললাম সেদিনের প্ল্যান, বের হয়ে ভাড়া করা হল চান্দের গাড়ি, ড্রাইভার সিরাজ ভাই ও তার হেলাপার কাম আমাদের গাইড এবং দলের সপ্তম সদস্য হয়েছিল "উজ্জ্বল" পরবর্তী ছত্রিশ ঘণ্টার জন্য।

প্রথম দর্শনীয় স্থান স্বর্ণমন্দিরের লক্ষে যাত্রা শুরু হল। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ পৌছলাম। কিন্তু একটা পর্যন্ত সেখানে প্রার্থনা হয়, টুরিস্টদের এর আগে প্রবেশ নিষেধ। গেট খুলার সাথে সাথে ঢুকে পড়লাম আমরা।
বসন্তের আকাশে ঝকঝকে রোদ্রে স্বর্ণ মন্দির মনে হল আসলেই যেন সোনার তৈরি, উজ্জ্বল অহংকারে পাহাড়ের একচ্ছত্র অধিপতি। এর প্রতিটি এত নিখুঁত, এত সুস্পষ্ট শিল্পের স্পর্শ আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মত অনুধাবন করলাম।

বিভিন্ন পারমুটেশান কম্বিনেশান এ সবাই ক্লিকবাজি শুরু করে দিল। প্রতিটি অংশের সৌন্দর্য ধারণ করাটা জরুরি মনে হচ্ছিল।
অলক বেশ তাড়া দিচ্ছিল বের হবার জন্য। ঝটপট লাঞ্চ করে আরো দুটা স্পট যাবার প্ল্যান আছে। তাই যা পারি সদ্বব্যবহার করে নিলাম ক্যামেরার---------

DSC_0195

DSC_0185

DSC_00k

DSC_0199

DSC_0200

DSC_0204

DSC_0210

DSC_0214

DSC_0215

DSC_0217

DSC_0218

DSC_0225

DSC_0227

DSC_0229

DSC_0228

DSC_0231

DSC_0233

DSC_0242

DSC_0245

DSC_0244

DSC_0265

DSC_0270

shorna mandir

(চলবে)


মন্তব্য

তারেক অণু এর ছবি

চলুক লেখা এত কম যে!

শাব্দিক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
সমস্যা তো ওইটাই মন খারাপ একদিন আমিও লিখতে শিখব।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চমেৎকার। আপনেরে তো দেখাই যায় না।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

শাব্দিক এর ছবি

হাসি বলছেন?
বহুতদিন পর হলেও কিন্তু আপনার পোস্টে ঠিকই উঁকি দেই খাইছে

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আমার পোস্টে উঁকি দেন ঠিক আছে, কিন্তু আমার জন্যে উঁকি দেয়ার জায়গা করে দিবেন না মাঝে সাঝে?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

শাব্দিক এর ছবি

সারাদিন অন্যের পুস্টে উঁকিঝুকি দিলে গান বানবেন কখন? খাইছে

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

অতিথি লেখক এর ছবি

এতবার বান্দরবান গেলাম অথচ স্বর্ণ মন্দিরে যাওয়া হল না ! মন খারাপ

শাব্দিক এর ছবি

আয় হায়, বলেন কি? প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বাদে এটাই আমার সবেচেয়ে সুন্দর মনে হয়েছে।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভেবেসিলাম আমিও লিখা শিখব,
কিন্তু হল না

শাব্দিক এর ছবি

মন খারাপ

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

মনি শামিম এর ছবি

চমৎকার লাগলো ছবিগুলি শাব্দিক। ধন্যবাদ। আরও লেখা এবং ছবি আসুক।

শাব্দিক এর ছবি

ধন্যবাদ মনি ভাই। হাসি

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

তাপস শর্মা এর ছবি

কেডা কয় আপনে লেখার্তারেন্না স্যার ? চমৎকার বর্ণনা... হাসি

ছবিগুলিও ভালো এসেছে। পোস্ট প্রোডাকশানে আরেকটু নজর দ্যান তাহলেই হবে

০২

পরের পর্ব শিগগির লেখেন। এবং ঘুম থেইক্যা জাগেন স্যার

শাব্দিক এর ছবি

বেশি পারি না, দুই চাইর লাইন লিখা আর আসে না মন খারাপ এডিটিং এ ও ম্যালা সমস্যা।
০২। উফ আরাম করে ঘুমাচ্ছিলাম ইয়ে, মানে...

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

চলুক
আগামী মাসে আমার এখানে যাবার একটা সুযোগ হবার সু-যোগ আছে হাসি

শাব্দিক এর ছবি

সু-যোগ কাজে লাগান, অবশ্যই। দারূন জায়গা।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

কৌস্তুভ এর ছবি

সুন্দর ছবিগুলো আরেকটু বড় করে দিলে ভাল হত। ৫০০র বদলে ৭০০ দৈর্ঘ্য দিলে।

প্রথম ছবিটায় এত বেশি ভিগনেটিং দেওয়াতে ভাল লাগছে না।

শাব্দিক এর ছবি

এত কিছু ক্যাম্নে করে? ইয়ে, মানে...
প্রথম ছবিটায় কুয়াশা ছিল। তাই একটু ঘোলা হয়েছে।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

কৌস্তুভ এর ছবি

আপনি অরিজিনাল ছবিগুলো থেকে রিসাইজ করে যে এই ছোট ছবিগুলো বানিয়েছেন সচলে পোস্টাবার জন্য, সেগুলো ৫০০ দৈর্ঘ্যের বদলে ৭০০ সেট করলেই পারতেন।

vignette জিনিসটা উইকিতে দেখেন। আপনার প্রথম ছবিটায় সেটা খুব বেশি।

শাব্দিক এর ছবি

আরে নারে ভাই, কিছুই করি নাই, যেমন ছিল ফ্লিকারে তেমনি আপ করে এখানে দিয়ে দিয়েছি। আমি একটু নন্টেকি আছি, বেশি কিছু পারি না, কেউ না শিখিয়ে দিলে। মন খারাপ

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

তিথীডোর এর ছবি

চট্টগ্রামে জন্মেছি, বড় হয়েছি হয়তো। বাকি জীবনও এখানেই কেটে যাবে...
তবু দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া... নীলগিরি, বগা লেক.... কিস্যু না! ইয়ে, মানে...
দুৎ দুৎ!

ছবি ভালই, আমাকে নিয়ে গেলে আরো ভাল বলতাম। রেগে টং

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

শাব্দিক এর ছবি

বড় হয়েছ অ্যাঁ , কবে?
বড় হলে নিয়ে যাবনি হাসি

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

ছবি ভালই, আমাকে নিয়ে গেলে আরো ভাল বলতাম।

মনের কথা।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

দুইচোখ দিয়ে পরিপূর্ণ ভাবে সেই রূপসুধা পান না করলে এই জীবন যেন অতৃপ্ত থেকে যাবে।

চলুক

মৌ ততক্ষনে ঠিক করে ফেলেছে কোন পাহাড়ী ছেলে বিয়ে করে এইখানেই চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে নিবে।

ভাল বুদ্ধি ।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

শাব্দিক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- দেঁতো হাসি

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

তানিম এহসান এর ছবি

চলুক লিখা পড়তে ভালই লাগছিল, হুট করে থেমে গেল।

শাব্দিক এর ছবি

যেন পরের এপিসোডেও আপনাকে পাই, তাই চোখ টিপি

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার খুব প্রিয় একটা জায়গা।
গতকাল থেকেই বান্দরবন আমাকে টানছে। হুট করে চলে যেতে পারি যে কোনো সময়

লেখা আর ছবি ভালো লেগেছে
পরের পর্বের অপেক্ষায়

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শাব্দিক এর ছবি

ধন্যবাদ নজরুল ভাই। চলে যান বান্দারবান, হিল ট্র্যাকিং সহ ঘুরতে পারলে অনায়াসে এক সপ্তাহ থাকার মত জায়গা

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

জব্বার ফারুকী এর ছবি

দুবছর আগের স্ম্ তি মনে করিয়ে দিলেন। সেসময় বান্দরবনে কুসুবায়া বা জলকেলি উৎসব চলছিল, স্বর্ণ মন্দিরে ঢোকার পথে পাহাড়ি দস্যি ছেলেগুলো পানি মেরে ভিজিয়ে দিল আমাকে। সন্ধ্যার কিছু আগে মন্দিরে ঢুকলাম, কত্ পক্ষ আমাদের বের করে দিতে ব্যাস্ত। তাড়াহুড়ো করে স্বর্ণমন্দির থেকে বের হয়ে আসার অপূর্ণতাকে ছাপিয়ে গেল নিমিষেই বান্দরবন ভ্রমণ শেষ হওয়ার হাহাকার। ইচ্ছে আছে কর্মজীবনের কিছুটা পাহাড়ে কাটানোর। পরবর্তী পর্বের প্রতিক্ষায় রইলাম। জব্বার ফারুকী

শাব্দিক এর ছবি

আপনি তো ডেঞ্জারাস সময় গেছেন তাহলে। আপনার স্মৃতিচারণ বেশ ভাল লাগল। পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

বন্দনা এর ছবি

ব্যাপক সুন্দর সব ছবি। বান্দরবনে সেই কবে গিয়েছিলাম, তখনকার ছবিগুলা অত ভালো আসেনি, সাথে ভালো ক্যামেরা ছিলনা।আপ্নার পোস্ট পড়ে পুরানা কথা সব মনে পরে গেল। চলুক এই লেখা।

শাব্দিক এর ছবি

ধন্যবাদ বন্দনা'দি। আমারও অনেক জায়গা ঘুরা হয়েছে ভাল ক্যামেরা ছাড়া। এখন দুঃখ করা ছাড়া উপায় নেই।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

শিশিরকণা এর ছবি

স্বর্ণ মন্দিরটা অসম্ভব সুন্দর এত যত্ন করে রেখেছে। রামুর ঘটনার সময় খুব ভয়ে ছিলাম, ওটায় নজর পড়তে কতক্ষণ, আখন যা চলচেহ, আবার চিন্তা লাগছে।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

শাব্দিক এর ছবি

আসলেও ওরা খুব ভাল মেইন্টেইন করছে মন্দিরটা। এইসব সহিংসতা আর হানাহানি থেকে রক্ষা করা সম্ভব কত দিন কে জানে?

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

ধুসর জলছবি এর ছবি

চলুক দারুন একটা জায়গা। আমার ইচ্ছে আছে ভবিষ্যতে বান্দরবনে গিয়ে থাকব হাসি । অবশ্য এরকম অনেক ইচ্ছেই আমার আছে মন খারাপ আর কিছু না থাকুক ইচ্ছের কোন অভাব নেই। পরের পর্ব তাড়াতাড়ি চাই।

শাব্দিক এর ছবি

আমারও ইচ্ছা বুড়া বয়সে ওইখানে সেটল্ড হব। কিন্তু ওটার সৌন্দর্য অক্ষত থাকলে হয়। কক্সবাজারটা যেভাবে হাট বাজার বানিয়ে ফেলেছে।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

তাড়াতাড়ি বুড়া হও তাইলে। শয়তানী হাসি
সময় গেলে সাধন হবেনা। চোখ টিপি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

শাব্দিক এর ছবি

বুড়া হইতে মঞ্ছায় না। মন খারাপ

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

আর কিছু না থাকুক ইচ্ছের কোন অভাব নেই

জলছবি, তোমার আমার মেলাই মিল।
জীবনে কিছুই করিনাই কিন্তু সকল কিছু ইচ্ছা করিয়াছি। চাল্লু

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

শাব্দিক এর ছবি

ইচ্ছা থাকিলেই উপায় হয়। জীবনটা তো আর শেষ হইয়া যায় নাই।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

ফাহিম হাসান এর ছবি
শাব্দিক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখা পড়ে আর ছবি দেখে বান্দরবান যাওয়ার বহুদিনের ইচ্ছাটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো আবার!

বটতলার উকিল

শাব্দিক এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি । আপনার আগ্রহ জাগাতে পারায় আমার পোস্টের স্বার্থকতা ।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।