বাগদাদ জর্নাল. ৩

শাহীন হাসান এর ছবি
লিখেছেন শাহীন হাসান (তারিখ: রবি, ০১/০৬/২০০৮ - ১২:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৫.
যুদ্ধের দাস

এক শ্রেণীর মানুষ যুদ্ধ-যুদ্ধের যন্ত্রপাতি, মারাত্মক-

বিষ্ফোরক,
ব্যাপক-ধ্বংসশক্তি নিয়ে
রাতদিন জড়ো করছে
পৃথিবীর বিশেষ তেলসমৃদ্ধ এলাকায়।
দখল এবং ধ্বংসক্ষমতার
নিখুঁত নির্মাণকে
বলা হচ্ছে শ্রেষ্ঠত্ব,
জাতীয় বীরত্বসত্তা। আগ্রাসন,
আধিপত্যবাদকে-

অন্যরকম আচ্ছাদন পরিয়ে, অতীত ঔপনিবেশিক-

লুণ্ঠনসংস্কৃতিকে,
মেনে নিতে বলা হচ্ছে।
মূলত তেলদস্যু, বিমানদস্যুদের
সার্বোভৌমত্বই দাবি করা হচ্ছে অহরহ
নতুন গণতন্ত্রায়নের পক্ষ থেকে।

এক শ্রেণীর মানুষ তবু দাসের মতন দু:খ নিয়ে-

যুদ্ধ, ধ্বংস, রক্তপাত
নিরুপায় নরহত্যা
নিরপরাধ শিশুহত্যা নিয়ে
রাতদিন কাজ করছে
নতুন গণতন্ত্রায়নের পক্ষ থেকে :

যেন যুদ্ধের জন্যই জন্ম হয়েছে ওদের, যুদ্ধই
ওদের নিয়তি, ঘরসংসার, সন্তানসন্তুতি ;
যুদ্ধই জন্মমৃত্যুর সারত্ সার।

এই সব দেখে কেউ কেউ বলছে, স্নায়ুযুদ্ধের দিনগুলি-

পৃথিবীর মর্যাদাপূর্ণ, -
পশ্চিমাগণতন্ত্র রফতানির
একটা জবাবদিহিতা ছিল?
---
একদিন ওরা দেখতে পাবে নিজেদের অবয়ব
পশ্চাতে দাঁড়ানো, যুদ্ধের দাস?

৬.
গণতন্ত্র

সংবাদ সামান্য শান্তির মিছিলে
দাঁড়িয়ে মানুষগুলো কাঁদলো।
তারা কী জেনে গেছে যুদ্ধ এসে
শান্তির মিছিলেই হানা দেয়।
কোথায় পেয়েছো হে রাষ্ট্রপতি-
এমন ঔদ্ধত্য যুদ্ধে যাবে একা ;
গণতন্ত্র কী বাকশক্তি রহিত?
নাকি নতুন সংস্করণ চলছে তার
সামরিকসাংস্কৃতিক ছাউনিতে-
পশ্চীমে। শান্তির মিছিলে দাঁড়িয়ে
তাই কী রক্তাক্ত হলো, কাঁদলো ওরা।

২৭.০২.২০০৩


মন্তব্য

তীরন্দাজ এর ছবি

একদিন ওরা দেখতে পাবে নিজেদের অবয়ব
পশ্চাতে দাঁড়ানো, যুদ্ধের দাস?

একেবারে খাঁটি কথা শহীন। এরা যুদ্ধের গোলাম...!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

শান্তির মিছিলে দাঁড়িয়ে
তাই কী রক্তাক্ত হলো, কাঁদলো ওরা।

কান খাড়া করে শব্দগুলো শুনলাম...

পুতুল এর ছবি

যুদ্ধের হাতখরচ যোগাতে বুশকে সম্ভত ১০০ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয়েছে। সে অবশ্য যুদ্ধের প্রথম দিকের কথা! সামরিক সরংজাম বাগদাদ পৌঁছাতে মুদগরী (যুদ্ধমন্ত্রী) ডিকচেনীর সামরিক পরিবহন কোম্পানী নিয়েছে ১০ বিলিয়ন ডলার। মার্কন জনগন এই টাকা দিয়েছে। পুজোয় বাজি ফোটানোর মত, এক একটা বাগদাদ বাজির দাম মাত্র ২ মিলিয়ন ডলার। অনেক কার্তুজ আবার আটমিক বিকিরণ ক্ষমতায় পুষ্ট।
ফোরাতের পানিতে রেঠিয়েশনের প্রমান পাওয়া গেছে!
এ বর্বরতার জন্য একদিন পৃথিবীর মানুষ মার্কনিদের মুখে থুথু ছেটাবে।
কবি অনুরোধ করবো এ সিরিজটার একটা পরিনতি যেন ঘটে। অনেক ধন্যবাদ আপনার প্রতিবাদী প্রয়াসকে। আরো কিছু গোলা বর্ষিত হোক যুদ্ধের বিপক্ষে।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অতিথি লেখক এর ছবি

পূর্নতা পাক আপনার কবিতা। ধ্বংস হোক পৃথিবীর সকল যুদ্ধবাজ।
কীর্তিনাশা

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

সহজিয়া উচ্চারণ...

শাহীন হাসান এর ছবি

সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য।
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।