আজ স্যারের জন্মদিন

মনি শামিম এর ছবি
লিখেছেন মনি শামিম [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৯/১১/২০১৩ - ৬:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

sanat3

স্যারের পড়ার টেবিল।

আজ তাঁর জন্মদিন। জন্মদিনে আজ সকালে তাঁকে তাঁর সুহৃদরা ফোনে শুভেচ্ছা জানাবেন। তিনি স্মিত হাস্যরত অবস্থায় সকলের কুশল জিজ্ঞেস করবেন। ইদানিং তাঁর জন্মদিন পালন করছে তাঁর অনুগ্রাহী কিছু স্বজন। সকালে তাঁর বাসায় কেক টেক নিয়ে হাজির হচ্ছেন কিছু তরুণ তরুণী। তাঁদের সাথে এই মিলন মেলায় যোগ দিচ্ছেন তাঁর দীর্ঘদিনের পথযাত্রায় শামিল সীমিত কিছু চেনা মানুষ। তাঁর জন্মদিনে গান হয় আজকাল। ওই তরুণ তরুণীরাই রবীন্দ্র সঙ্গীতের ছোটখাটো ঘরোয়া আসর বসান। রবীন্দ্র সঙ্গীত উনার বড় প্রিয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সবুজ মতিহার চত্বরে এমন কোনও রবীন্দ্র সঙ্গীতের আসর নেই যেখানে উনার পদচারনা পড়েনি।

নিভৃতচারী মানুষ তিনি। ঘটা করে নিজেকে নিয়ে কোনও কিছু পালন করাটা তাঁর জন্য নিছক লজ্জার। তাঁকে শ্রদ্ধা করেন, ভালবাসেন এমন মানুষের সংখ্যা কম নয় মোটেও। কিন্তু অনুগ্রাহীদের ভিড় নয়, তিনি বরং আড়ালে থাকতে পছন্দ করেন। ভিড়ের ভেতর তাকে চিনে নিতে সময় লাগে। সামনা সামনি দেখলে মনে হয় উন্নাসিক, অন্যমনস্ক, নিজের ভেতরে যেন টুপ করে ডুব মেরে আছেন। গান হচ্ছে, তিনি পরম মনোযোগ দিয়ে শুনে যাচ্ছেন। তাঁর কোনও তাৎক্ষনিক মন্তব্য নেই। কিন্তু তাঁর চোখে গানের সুধা যেন লেগে রয়েছে। বোঝা যায় পরম মমতায় গান শুনে চলেছেন তিনি, তবে উপভোগের মাত্রাটা প্রশংসায় ভেসে যায়না। তাঁর আশীর্বাদ শোভা মেলে তাঁর চোখে, ভাষায় তা অনুদিত হয়না সবসময়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অত বড় একটি মিলনায়তনে গানের আসর বসেছে। এসেছেন কত জ্ঞানী গুণীজন। উনি বসে আছেন এক কোনায়। আমার দুই চোখ খুঁজে চলেছে তাঁকে। দেখি বসেছেন নির্জনে। পেছনে। শিক্ষকরা যেভাবে সামনে বসেন সেখানে নয়, বসেছেন শিক্ষার্থীদের আসনে!

রবীন্দ্র সঙ্গীতের এক একটি গান ধরে ধরে যখন উনি আলোচনা করেন, সব যে বুঝি তা নয়। কিন্তু তাঁর সুতীক্ষ্ণ আলোচনা মনে ভাবনার উদ্রেক করে। উনার বাসায় গিয়ে ফাঁকতালে দেখে আসি উনার পড়ার টেবিল। দেখি রবীন্দ্রনাথের একটি বইয়ের ওপর তাঁর কালো চশমা। উনার ছবি তোলার জন্য উনার বাসায় যাবো জেনে স্মিত হেসে বলেন, "ছবি তুলতে হবেনা, এমনি এসো!" গেলাম উনার বাসায়। সেই যেমন দেখেছি দুই যুগ আগে থেকে ঠিক যেন তেমনই রয়েছে বাড়িখানা। চারটি ঘর কেমন নির্ভার, এতটুকু বাহুল্য নেই কোনও কিছুর। একটা ছোট চৌকিতে উনি ঘুমোন। একটি ১৪ ইঞ্চি টেলিভিশন, একটি ছোট্ট খাবার টেবিল আর পড়ার ঘরটায় উনার লেখার টেবিল, এই। বসেছি যে ঘরটায় আমি আর বাঁধন, সেখানে থেকে থেকে অল্প বাতাস এসে, হালকা রোদ্দুর এসে যেন জুড়িয়ে দিচ্ছে এই অকৃতদার মানুষটিকে আর উনি শোনাচ্ছেন আমাদের অর্থনীতির নানান প্রসঙ্গ কথা। মনে হয় এই ঝা চকচকে প্লাস্টিকের দুনিয়ায় এত নিরীহ সাধারণভাবে একজন মানুষ থাকতে পারেন কিভাবে? এও কি সম্ভব?

দীর্ঘদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন তিনি। অবসরে গেছেন বছর তিনেক হল, এখন অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংক এর একজন পরিচালক। যাই হোক, আমাদের অর্থনীতি বিভাগে তাঁর উপস্থিতি শিক্ষার্থী এবং তাঁর সহকর্মীদের মধ্যে এনে দিত বাড়তি অনুপ্রেরণা। তাঁর কক্ষে কত গুণী মানুষের ভিড় দেখতাম। শুনেছিলাম যে কেউ যখন অর্থনীতির দুরূহ সব অঙ্ক অনুসরণ করতে পারতেন না, তিনি এই বিভাগের শেষ আশ্রয় হিসেবে সমাধা করে দিতেন সেসবের। আমরা যারা ব্যাকবেঞ্চার, আমরা শুধু দূর থেকে তাঁর কক্ষে হাল্কা উঁকি দিয়ে ভেগে যেতাম! অবসরে গেছেন ঠিকই, তারপরেও নিস্তার নেই। এখনও শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের দেখি তাঁর বাসার সামনে।

কত বিচিত্র প্রসঙ্গ নিয়ে লিখেছেন এই মানুষটি। রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে, রবীন্দ্রনাথ নিয়ে, অর্থনীতি নিয়ে বিস্তে বিস্তে লিখেছেন, লিখেছেন শিক্ষা নিয়ে। শুধু লিখেই গেছেন দীর্ঘদিন। লিখেছেন পূর্বমেঘে, লিখেছেন সংবাদের সাহিত্য সাময়িকী তে, হালে লিখছেন কালি ও কলমে। কিন্তু লেখাগুলি যে বই আকারে বের করা দরকার তা নিয়ে ভাবেননি কোনোদিন। কোনোদিন মাথায়ও আসেনি তাঁর যে রচনাগুলি সংরক্ষণ করা দরকার। যখন তাঁর গুণগ্রাহী মানুষজন এ নিয়ে খোঁজ খবর নেয়া শুরু করলেন তখন দেখা গেল তাঁর নিজের সংগ্রহে তেমন কিছু নেই। কাজেই শুরু হল খোঁজার পালা। কোথায় মেলে উনার সকল লেখা? অবশেষে বিভিন্ন সূত্র থেকে রচনাগুলি সংগ্রহ করে বের করা হল তাঁর প্রথম বই।

মতিহার চত্বরে এই মানুষটির উপস্থিতি আলোকিত করে মতিহারকে, যেখানেই তিনি কথা বলতে যান তাঁর আহ্বান হয় দৃপ্ত এবং সংক্ষিপ্ত। সাধারণ তাঁর বেশ ভুষা কিন্তু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন মানুষ তিনি। মেদহীন মানুষটি যখন পাজামা আর পাঞ্জাবি পরিধান করেন, কত সুন্দর লাগে। সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদের বিরুদ্ধে সদা সর্বদা তীব্র লেখনী তাঁর। সভায় সেমিনারে সর্বত্র তিনি মৌলবাদের বিনাশ কামনা করেন। সেই আহ্বান কোথাও উচ্চকিত নয় কিন্তু তাঁর রেশ দামামা বাজিয়ে দিয়েছে সাম্প্রদায়িক দলগুলোর মাঝে।মৌলবাদ শত্রু চিনতে সময় নেয়না। তাইতো তাঁর জীবন নাশের চেষ্টা করেছে শিবির। সেদিন দিনেদুপুরে তাঁকে চেয়ারে রশি দিয়ে বেঁধে মেরে ফেলতে উদ্যত হয়েছিল শিবির নামক হাতিয়ার। উনার বাসায় কর্মরত মহিলাটি দুই তালা থেকে লাফিয়ে পথচারীদের খবর না দিলে এই মানুষটি আমাদের মাঝে বিরাজ করতেন না আর। কিন্তু এ নিয়ে তাঁর মুখে কোথাও দুটো কথা উচ্চারণ করতে আমরা শুনিনি। ঠিক যেমনটি ছিলেন তেমনটিই আছেন।

সনৎ কুমার সাহা আমাদের শিক্ষক, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের, মৌলবাদ বিরোধী সংগ্রামের একজন অকুতোভয় সহযোদ্ধা। তাঁর পরিচয় আসলে নতুন করে কিছু দেয়ারও নেই। ছোটবেলায় আমার এক বন্ধু ছিল, সমীর। সমীরদের সাথে স্যারের সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। আমাদের প্রতিবেশী প্রিয় দিলীপ কাকুর ভাগ্নে সমিরের হাত ধরেই প্রথম গেছি তাঁর বাসায়। এমনকি আমার প্রথম প্রার্থনার হাত উঠেছিল যে দেবী সরস্বতীর কাছে, সেটিও উনার বাসা থেকে ফেরার পথে। তারপরে অনেকবার গেছি উনার বাসায় নানান উপলক্ষে। মুক্তিযুদ্ধ চর্চা কেন্দ্র নামক একটি সংগঠন করেছি দীর্ঘদিন। এই সংগঠনের নামটিও তাঁরই দেয়া। স্যারের কথা কোথাও কেন জানি বলতে পারিনা। কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে। চোখ ছলছল করে ওঠে। কেন তা বলতে পারিনা। স্যারের সাথে অনেক কথা হয়নি বলা কখনো। অনেক কথা হারিয়ে গেছে স্মৃতির ভিড়ে। মাঝে মাঝে এখনও স্যারকে দূর থেকে হেঁটে যেতে দেখি। কাছে গিয়ে হাত মেলাতে পারিনা বরং দূর থেকে দেখে যেতে থাকি এই মানুষটিকে। কত ঋণ জমা হয়ে আছে মানুষটির প্রতি। কত সমৃদ্ধ হয়েছি স্যারের ক্লাসগুলিতে। কিন্তু কাছে যেতে পারিনি। থমকে গেছি। ভেবেছি স্যার যদি আমার অজ্ঞানতা ধরে ফেলেন, আমার স্বল্প বুদ্ধিকে তুচ্ছ জ্ঞান করেন! কত মানুষ আসেন স্যারের কাছে অর্থনীতির পাঠ নিতে, আর আমি এক অচল মানুষ, সাহস করেও কক্ষনো স্যারকে বলতে পারিনি, স্যার, আমি আপনার পাশে একটু শুধু বসতে চাই, আপনি দয়া করে শুধু একটু অনুমতি দিন!

তারপরেও স্যার পাশে রয়েছেন। স্যার আছেন আমাদের ওপর আশীর্বাদ হয়ে। স্যার আছেন কল্যান হয়ে, শান্তি হয়ে। নিভৃতচারী এই মানুষটি আমাদের মাঝে আছেন আলোকবর্তিকা হয়ে। এ আমাদের জন্য এমন এক প্রাপ্তি যা বলে শেষ করার নয়।

শতায়ু হন স্যার। জন্মদিনে এই তুচ্ছ মানুষের যৎসামান্য প্রণতি গ্রহন করুন।

sanat

সনৎ কুমার সাহা, ২০১০, বিহাস, রাজশাহী।

আসলে আজ সনৎ স্যারের জন্মদিন নয়। উনার জন্মদিন ছিল নভেম্বর মাসের ১৩ তারিখ। তবে আমি এই লেখাটি লিখেছি অনেক আগেই। ভেবে রেখেছিলাম স্যারের জন্মদিন এলেই সচলায়তনে দিয়ে দেব এই অধমের নিবেদনটুকু। কিন্তু সবকিছুর মতন এবারও দেরি হয়ে গেল লেখাটি ঠিক সময়ে জমা দিতে। কেন আমার ক্ষেত্রেই এমন হয় বারবার? আচ্ছা, স্যার যদি ভুল সময়ে এই প্রণতিটুকু দেখেন, উনার কেমন লাগবে? আমি অবশ্য জানি উনার কেমন লাগবে। উনি দিব্যি মিটি মিটি করে হাসবেন। আর দু'চোখ ভরে আশীর্বাদ করবেন আমাকে, আমাদের!


মন্তব্য

এক লহমা এর ছবি

শ্রদ্ধার, ভালবাসার মানুষের জন্য সুন্দর অঞ্জলি।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ এক লহমা। স্যার আমাদের বড় প্রিয় মানুষ। ভাল থাকুন।

ঈয়াসীন এর ছবি

হাততালি , ভাল লাগলো।

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ দিপু ভাই। আপনার পরিষ্করণ পড়ছি। ভালো থাকুন।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

দারুণ লেখা। আপনার লেখা তো চমৎকার সন্দেহ নেই, তবে এরকম সার্থক মানুষদের নিয়ে লিখতে গেলে মন খুলে হাত খুলে লেখা যায়। একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানের সুবাদে প্রায় প্রতিদিনই এক ঘণ্টা বা দুই ঘণ্টা করে বাংলাদেশের এমন সার্থক মানুষদের সাথে সময় কাটিয়েছি। আপনার স্যারের সাথে দেখা হয় নি দুর্ভাগ্য।
স্যারকে শুভেচ্ছা আর সম্মান। আর আপনাকে সাধুবাদ।

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ মৃদুল। আপনার ছড়া আর গদ্য দুটোই পড়া হয়। চমৎকার লেখেন আপনি। আচ্ছা, আপনি কোন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন? জানাবেন?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাততালি
স্যারের জন্য শ্রদ্ধা মেশানো শুভেচ্ছা

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মনি শামিম এর ছবি

দীর্ঘজীবী হোন আমাদের প্রিয় স্যার, এই কামনা করি সবসময়।

গৌতম এর ছবি

শুভ জন্মদিন। তাঁর সঙ্গে কথা বলার খুব ইচ্ছে। জানি না সুযোগ পাবো কিনা।

শুনেছি, সারাদিনে চার ঘণ্টা পড়া আর তিন ঘণ্টা লেখার কাজ না হলে নাকি দিনটিকে তাঁর বৃথা মনে হয়। কতোটুকু সত্য জানি না, কিন্তু একজন শিক্ষক এমনটি ভাবতেই পারেন। আমাদের কতোজন শিক্ষক এমন করে ভাবেন?

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

মনি শামিম এর ছবি

গৌতম, এসে ভিড়েছেন যখন রাজশাহীতে, তখন স্যারের সাথে দেখা না হয়ে কি যায়? স্যার বিহাসে থাকেন। আমরা উনার প্রতিবেশী। স্যারের সঙ্গ ভীষণ মজার কিন্তু। বিচিত্র বিষয়ে স্যারের আগ্রহ। শিক্ষা বিষয়ে উনার অনেক চমৎকার কিছু প্রবন্ধ আছে। আপনি দেখা করলে উনি খুশী হবেন নিঃসন্দেহে।

স্যাম এর ছবি

শুভ জন্মদিন! ব্যানার হোক আগামীতে

মনি শামিম এর ছবি

তবে তাই হোক। স্যারের ছবিসহ ব্যানার সচলে। ভাবতেই ভীষণ ভালো লাগছে, গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছে। ধন্যবাদ স্যাম।

তারেক অণু এর ছবি

শুভ জন্মদিন সনৎ কাকু। গত মাসে দেখা হয়েছিল-

মনি শামিম এর ছবি

ছবি তুলেছিলি রে অণু? স্যারের বাসায় গিয়েছিলি? কি বললেন উনি? কতদিন উনাকে দেখিনা!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অনেক শুনেছি উনার কথা, বই এখনো পড়া হয়নি।
শ্রদ্ধা রইলো

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ নজরুল ভাই। আপনি রাজশাহী এলে স্যারের ওখানে যেতে ভুলবেন না যেন! রাজশাহীতে এখন গৌতমদা রয়েছেন। আপনার বন্ধুসংখ্যা তো আরেকজন বাড়ল। স্যার সম্পর্কে আরেকটি তথ্য দিই। আড্ডায় কিংবা আসরে তেমন উচ্ছল কিংবা প্রানবন্ত না হলেও ব্যাক্তিগত আলাপচারিতায় স্যার কিন্তু দারুণ আন্তরিক। স্যারের বাসায় গেলে চা-মিষ্টি আপ্যায়ন না করিয়ে আপনাকে ফিরতেই দেবেন না। আর বিচিত্র বিষয়ে স্যারের আগ্রহ বলে স্যারের সাথে জমে ভাল। তসলিমা নাসরিনের গদ্য স্যার খুব পছন্দ করেন। শুধু এই নিয়েই স্যারের সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দিব্যি কাটানো যায়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দু'বছর ধরে রাজশাহী যাবো যাবো বলে যে পরিমান কাজ আড্ডা জমিয়ে রেখেছি। অন্তত সপ্তাখানেকের জন্য সেখানে না গেলেই নয়। আপনি কবে আসবেন আবার? আপনি আর আনন্দদী থাকলে ভালো হতো

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মনি শামিম এর ছবি

আমাদের দুজনকে একসাথে পাবার সম্ভাবনাটুকু দিন দিন ক্ষীণ হয়ে আসছে। একজন চীনদেশে আরেকজন ইটালিতে। কবে কখন দেশে যাব সেটি নিয়েই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছেনা। আপনারা আর আমাদের আশায় থেকেন না নজরুল ভাই। ঘুরে আসুন। হতচ্ছারা অণুটা তো ওখানেই আছে মনে হয়, নাকি?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি মিরপুরের পোলা। সেখানে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকতো দু'জন। একজন এসএ খালেক, আরেকজন ডঃ কামাল হোসেন।
তো একবার এক নির্বাচনী জনসভায় খালেক ভাষণে বলতেছে "ঐ ডাক্তার কামাল তো সকালে নাস্তা করে ফেরান্সে দুইপরে খায় আম্রিকায়, কাপড় ধোয় লণ্ডনে... হেরে ভোট দিলে আপনেগো লাভ কী?"
তো এই হইলো কথা, হতচ্ছাড়া অণুটা যে কখন কোথায় থাকে সেই খোঁজ এখন আর রাখার চেষ্টা করি না হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মনি শামিম এর ছবি

হাসি সে যাই হোক, অণু থাকুক ওর মতন। আর রোয়েনা আপা এ কি শুরু করল নজরুল ভাই? সচলে ঢুকে প্রথম বলেই ছক্কা!! আপনার বন্ধুভাগ্য ঈর্ষণীয় নজরুল ভাই। আপনাকে কুর্নিশ না করে উপায় নেই! আপনার নেপালের পর্ব কি শেষ? ক্যামেরা কি ফেরত দিয়েছেন?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।