আলোচনাঃ নিক্কর ৮৫ মিমি এফ ২ এআই, ১৯৭৮

মনি শামিম এর ছবি
লিখেছেন মনি শামিম [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৬/০১/২০১৪ - ৮:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নাইকনের অনবদ্য, অসাধারণ ৮৫ মিমি এফ ২ এআই লেন্স।

মানুষের মুখমণ্ডলের ছবি দেখতে আমাদের কারই বা ভালো না লাগে। সেই মানুষ যদি কাছের মানুষ হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। মানুষের মুখটুকু বিশিষ্ট এবং তীক্ষ্ণ রেখে পেছনের জায়গাগুলি অদৃশ্য করার বিষয়টি পছন্দ করেন না এমন কাউকে দেখা যায় কি? শুধু ক্যামেরা কিন্তু এই কাজ করেনা, লেন্সের ভুমিকাই এখানে মুখ্য। ঠিক কোন ধরনের লেন্সে এই কাজটি সবচাইতে ভাল হয়? অনেককে বলতে শুনি, ৮৫ মিমি প্রাইম লেন্স যে পার্স্পেক্টিভ আনে তাতে এই দূরত্বে তোলা মানুষের মুখমণ্ডল চমৎকার ইমেজের জন্ম দেয়। আমি নিজে ৮৫ মিমি ব্যাবহার করে বলতে পারি যে শুধু মানুষের মুখই নয়, আমি এই লেন্স দিয়ে যে জগত দেখি তেমন দেখার শান্তি আর কোন লেন্সে পাইনা। বিশেষ করে আমার ম্যানুয়াল এফই ক্যামেরায় এটা একবার মাউন্ট করে আমি আর খুলতে পারিনা। মনে হয়, আরে এমন জগত-ই তো আমি দেখতে চেয়েছি সবসময়! কিন্তু ৮৫ মিমিই বা আমাদের দেখার জগতে এত স্বতন্ত্র হতে যাবে কেন! এই প্রশ্নের উত্তর আসলে স্বতন্ত্র আলোকচিত্রগ্রাহকরাই দিতে পারবেন ভাল। আগেই বলেছি, এক এক ধরনের ফোকাল লেন্থের লেন্স এক এক ধরণের পার্স্পেক্টিভের সন্ধান দেয়। আমার ভাল লাগে ৮৫ মিমি। তাই বলে সকলের যে এটাই ভাল লাগবে এমন কোন কথা নেই।

১৯৭৮ সালে প্রথম বাজারে আসে নাইকন ৮৫ এফ ২ এআই লেন্সটি। ১৯৭৮ সাল থেকে শুরু করে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে এই লেন্সের নির্মাণ কাল। যেহেতু এই লেন্সের সর্বোচ্চ আ্যাপার্চার ১.৪ কিংবা ১.৮ নয়, কাজেই এই লেন্সের আকার আকৃতি ছোট রেখে এর দাম তুলনামুলক ভাবে কম রাখে নাইকন কোম্পানি। আর এটিই নাইকনের এখন পর্যন্ত একমাত্র এফ ২ লেন্স। প্রথমে বলে নেয়া ভাল যে এই লেন্স নাইকনের সকল এসএলআর এবং ডিএসএলআর ক্যামেরায় মাউন্ট হবে। ডিএক্স কিংবা ক্রপ ডিএসএল ক্যামেরাগুলির মধ্যে এই লেন্স মেট্রিক্স মিটার দেবে শুধুমাত্র ডি ৭০০০ এবং ডি ৭১০০ তে। এই দুটি ক্যামেরার মেন্যুতে ঢুকে এই লেন্সের কিছু তথ্য সংযুক্ত করে নিতে ব্যাস, আর কোন চিন্তা নেই। আর বাকি সব ডিএক্স ক্যামেরায় মিটারের কাজ ম্যানুয়ালি করতে হবে। যেহেতু ম্যানুয়াল লেন্স কাজেই ফোকাসের কাজটি হাত দিয়েই সারতে হবে। ক্রপ ক্যামেরাগুলিতে এই লেন্সের ফোকাল দূরত্ব কিন্তু ৮৫ মিমি থাকবেনা, হয়ে যাবে ১২৭.৫ মিমি।

এই লেন্সের নির্মাণ গুন এক কথায় অসাধারণ। এটি চওড়ায় এবং উচ্চতায় অন্যান্য ৮৫ মিমি লেন্সের চাইতে বেশ খানিকটা ছোট। এটি এখন পর্যন্ত নাইকনের ক্ষুদ্রতম ৮৫ মিমি লেন্স। এই লেন্সের আকৃতি নাইকনের যে কোন ৫০ মিমি লেন্সের সমান বলে মনে হয়। এটি একাধারে বিস্ময়কর এবং বলা যায় নাইকনের প্রকৌশলী এবং নকশাবিদদের কর্মদক্ষতা এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতার অনন্য নিদর্শন। এই লেন্স যে কোন ক্যামেরায় দারুণ মানিয়ে যায়। সেটি হোক নাইকন ডি ৪০ কি ডি ৮০ কি ডি ৭০০০, এমনকি আমার ম্যানুয়াল ক্যামেরা এফই-র সাথে এই লেন্স দেখতে অনবদ্য লাগে! এখানে জানিয়ে রাখি যে পারফর্মেন্স ছাড়াও লেন্সের সৌন্দর্য এবং আকৃতি কোন অংশে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেননা আমি যে ক্যামেরা এবং লেন্স বহন করছি তার মধ্যে যদি নান্দনিক সৌন্দর্যের ঘাটতি থাকে তাহলে ব্যাবহার করে তো আরাম পাওয়া যায়না! এইদিক বিবেচনা করলে নাইকনের এই ৮৫ মিমি এফ ২ এআই এক কথায় চ্যাম্পিয়ন।

এই লেন্সের কয়েকটি ছবি দেখে নিই এইবার, কাছে থেকে।

দেখতে এই লেন্স একটি জেম। হীরকখণ্ড!

লেন্স হুড এইচএস ১০ যুক্ত করলে এমন লাগে।

লেন্সের পেছন দিকটা। ফুল মেটাল।

আমার লেন্সের নম্বর খোদাই করা রয়েছে, ১,৯৪,২৬০।

এই লেন্স একটি ফুল মেটাল লেন্স। এর ফোকাস রিং মেটাল। ফোকাস রিং এর বাইরের অংশে রয়েছে রাবার গ্রিপ। নাইকনের অন্যান্য ম্যানুয়াল লেন্সের মতই এর ফোকাস রিং ঘোরানোর অভিজ্ঞতা খুবই পেলব এবং মোলায়েম। লেন্সটি আকারে ছোট হলেও অনেক ভারী। খালি হাতে লেন্সটি ধরলে শক্ত পোক্ত অসাধারণ এক অনুভূতির সন্ধান মেলে, আজকালকার হাল্কা পাতলা প্লাস্টিক লেন্সগুলিতে এই অনুভব কোথায়? আকারে ছোট হওয়ায় এই লেন্সের সম্মুখভাগে ৫২ মিমি ফিল্টার যুক্ত করা যায়। যেখানে ইদানিং সব ৮৫ মিমি লেন্সের ফিল্টারের আকার অনেক বেশী, এদের কোনটি ৬৬ আবার কোনগুলি ৭৭, এর আ্যাপারচার রিঙটিও মেটাল আর জন্মের শক্ত, এই রিং হাল্কা করে ঘুরিয়ে কোন লাভ হবেনা, জোর লাগবে। এই লেন্সের আ্যাপারচার ব্লেড মোট সাতখানা। আ্যাপারচার ব্লেডের সাথে ব্লার অংশের কোয়ালিটি জড়িত। যদিও এই লেন্সের ব্লেড সংখ্যা অন্যান্য ৮৫ মিমির চাইতে কম তবুও আউট অফ ফোকাস অংশগুলি অন্যদের চাইতে কম মসৃণ, তা বলা যাবেনা। এই লেন্সের আ্যাপারচার সংখ্যা ২ থেকে ২২, নতুন ৮৫ মিমি লেন্সগুলির সর্বনিম্ন আ্যাপারচার মুল্য ১৬ পর্যন্তই সীমিত। এই লেন্সের নির্মাণ কাল ১৯৭৮ সাল হলেও এটি উৎপাদিত হয়েছে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত। মানে দীর্ঘ ১৬ বছর! বোঝাই যায় নাইকন ব্যাবহারকারিরা কত দীর্ঘ সময় ধরে এই লেন্সটির চাহিদা বজায় রেখেছিলেন! এমন কি যুক্তরাষ্ট্রে এই লেন্সের ভাল মানের স্যাম্পলের সেকেন্ড হ্যান্ড বাজার মূল্য গত পাঁচ বছর ধরেই $২৫০ ডলার যার তেমন কোন পতন চোখে পরেনা। তার মানে হল যারা এই লেন্স একবার ব্যাবহার করেছেন, তারা হয় এটি বিক্রি করতে আগ্রহী নন কিংবা বিক্রি করলেও দাম কমাতে রাজী নন! এই লেন্সগুলির সবই জাপানে নির্মিত।

নীচে দুটো ছবি যুক্ত করছি যেখানে এই লেন্সের সাথে দুটো লেন্সকে দেখানো হল। একটি নিক্কর ৩৫ মিমি এফ ১.৮ জি এবং আরেকটি নাইকনের ক্ষুদ্রতম লেন্সগুলির একটি ৫০ মিমি এফ ১.৮ ডি।

নিক্কর ৩৫ মিমি এফ ১.৮ জি এবং ৫০ মিমি এফ ১.৮ ডি দুটোই ভীষণ জনপ্রিয় দুটি লেন্স। তবে ওপরের ছবি দেখে বোঝাই যাচ্ছে, ৩৫ মিমি এফ ১.৮ আমাদের আলোচ্য লেন্সটির চাইতে অনেক বেশী পেটমোটা এবং লম্বায় খানিকটা বড়। আর ৫০ মিমি এফ ১.৮ ডি লম্বায় খাটো হলেও মনে রাখা দরকার এই লেন্স নাইকনের খুদ্রতম লেন্সগুলির মধ্যে একটি। আধুনিক ৫০ মিমি এফ ১.৪ কিংবা ৫০ মিমি এফ ১.৮ দুটোই উচ্চতা এবং চওড়ায় বেশী। হাতের কাছে না থাকায় পার্থক্য দেখানো গেলনা যদিও!

নাইকনের সব ৮৫ মিমি লেন্স শার্পনেসের জন্য জগদ্বিখ্যাত। এই লেন্সও তার ব্যাতিক্রম হতে যাবে কেন! তবে এখানে একটা কিন্তু আছে। এই লেন্সের সর্বোচ্চ আ্যাপারচার এফ ২ এ তোলা ছবিগুলি ঘোলা। যার অর্থ হচ্ছে এই আ্যাপারচারে ভাল রকম ক্রোমাটিক আ্যবেরেশন আছে এই লেন্সে। তবে এক স্টপ কমিয়ে অর্থাৎ ২.৮ এ ছবি তুললে আর কোন সমস্যা চোখে পরেনা। এই সমস্যা অবশ্য শুধু যে এই লেন্সের তা নয়, অনেক লেন্সের সর্বোচ্চ এফ পয়েন্টে এই সমস্যা বিদ্যমান। যারা এফ ২ তে ছবি তোলায় আগ্রহী তাঁরা এই লেন্স কিনে হতাশ হতে পারেন। এই লেন্সের সুইট স্পট হচ্ছে এফ ৪, ৫.৬, ৮ এবং ১১, এই আ্যাপারচারগুলিতে এই লেন্স দিয়ে অসাধারণ শার্প ছবি আসে। শুধু শার্প-ই নয়, অনন্য কালার এবং কনট্রাস্ট মেলে। এই লেন্সে কোন ডিস্টরশন নেই। তার মানে আপনি যে ছবিই তুলুন না কেন, আঁকা বাঁকা ছবি ওঠার কোন সুযোগ নেই। নাইকনের সকল ৮৫ মিমিই অবশ্য এই সমস্যামুক্ত।

আগেই বলেছি আমি যে লেন্স দিয়ে জগতকে দেখতে চাই সেটিই দেখায় এই ৮৫ মিমি। আমি নিজে যখন আমার কন্যা কিংবা আমার পরিচিতদের ছবি তুলতে গেছি তখন এই লেন্স ক্যামেরা এবং সাবজেক্টের মাঝে বেশ খানিকটা স্পেস এনে দিয়েছে। তাই ব্যাক্তি হিসেবে সাবজেক্ট তেমন একটা বিরক্ত বোধ করেনি কখনো। শুনেছি ৮৫ মিমি লেন্সকে সবাই পোর্ট্রেট লেন্স হিসেবে মনে করে। কিন্তু আসলে শুধু এটিকেই কি আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করা যায়? ৮৫ হোক চাই ১০৫, কি ১৩৫ কিংবা ১৮০, ২০০, ৩০০, ৪০০ দিয়ে এত অসাধারণ সব পোর্ট্রেট দেখি যে শুধু এই লেন্সটিকেই আদর্শ বিবেচনা করতে ইচ্ছে করেনা। তবে এটা আমার মনে হয়েছে যে দূরত্ব অনুযায়ী এই লেন্সের সাথে সাবজেক্টের একটা ঘনিষ্ট সম্পর্ক সৃষ্টি হতে পারে। এটি যেমন খুব কাছের দূরত্ব নয় তেমনি খুব দুরেরও নয়। মাঝামাঝি বলা যায়। এই দূরত্ব থেকে ছবি তুললে সাবজেক্ট বুঝবে যে ছবি তোলা হচ্ছে, তারপরেও সে স্বাভাবিক থাকবে, ভীত সন্ত্রস্ত হবেনা, ক্যামেরার সাথে একটা যোগ সৃষ্টি হবে। এমনটাই আমার ছবি তোলার অভিজ্ঞতা বলে!

এই লেন্স দিয়ে আমি বর্ষণ-সিক্ত সবুজ পাতা, আলোকসজ্জায় সজ্জিত পুরনো শহর, সবুজ ঘাসে হলুদ ফুলের আবাস, আমার কন্যার মিষ্টি মিষ্টি দুষ্টুমি, অন্ধকারের ভেতর অল্প আলোয় ভেসে ওঠা তাঁর কোমল মুখ, স্ত্রীর ভালবেসে চেয়ে থাকা, শহরের রঙিন দোকান, ছাই হয়ে যাওয়া শহরের স্মৃতি- এই সব অসাধারণ সব মুহূর্তকে ধারণ করে বিমলানন্দ উপভোগ করেছি। ছবি তুলতে গিয়ে কখনো হতাশায় ম্লান হয়েছি আবার কখনও আনন্দে উদ্ভাসিত হয়েছি। তবুও চিত্রগ্রহনের এই সংক্ষিপ্ত পথ পরিক্রমায় আলোকচিত্রকে ভালবাসতে দিয়েছে আমাকে এই লেন্স। যখন ডি ৪০ তে এই লেন্স মাউন্ট করলে মিটার হতনা, ফোকাস হতনা, খুব যন্ত্রণায় ভুগতাম। মনে হত এই জগত আমার জন্য নয়। আবার যখন এই লেন্স দিয়েই পুরনো ঝলমলে প্রাসাদের ছবি, কিংবা কাছের মানুষদের মুখমণ্ডল মন দিয়ে সময় নিয়ে ভালো করে তুলেছি, মনটা ভরে উঠেছে। এখন যখন ডি ৭০০০ এ এই লেন্স মিটার দিচ্ছে তখন আরও সুবিধে হয়েছে। শুধু ফোকাসটা হাত দিয়ে করতে হচ্ছে বটে, কিন্তু তাতে আপত্তি তো নেই! আপত্তি কি কখনোই ছিল?

এইবার কিছু ছবি যুক্ত করার পালা।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা আর ছবি-দুটোই চমৎকার লেগেছে। লেন্সটা যে আপনার কতটা প্রিয় সেটা চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে।

তবে, অন্য লেন্সের পরিচয়ে কিছু কিছু অযাচিত দাঁড়ি চলে এসেছে, যেমন, নিক্কর ৩৫ ১।৮ জি এবং ৫০ ১।৮
(নিক্কর ৩৫ ১.৮ জি এবং ৫০ ১.৮ ডি) আসলে, ফুলস্টপ/দশমিকগুলো প্রতিবর্ণিত হয়ে দাঁড়িতে রূপ নিয়েছে।

আপনার ভান্ডারে আর ক'টা এরকম ইস্পাতের লেন্স আছে? সেগুলোর উপর লেখা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

শুভেচ্ছা হাসি

[মেঘলা মানুষ]

মনি শামিম এর ছবি

প্রথমে ধন্যবাদ জানাই। আমি একই মন্তব্য দুইবার পোস্ট করেছি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সম্পাদনার টেবিলে মন্তব্য ডিলিট করার অপশন রাখেনি। তাই অগত্যা ধন্যবাদ জানিয়ে কাজ সারছি। বাকি মন্তব্য নীচে।

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ। লেন্সটি আসলেই খুব প্রিয়। সেই কোন এক গুদাম ঘরে পরে পাওয়া! তারপরেও অনেক আপন, অনেক বিশ্বস্ত, পরম বন্ধুর মতন জরিয়ে আছে চার বছর হল। জানেন, কতদিন ভেবেছি একটা অটো ফোকাস লেন্স কিনব ৮৫ মিমি। তারপর কি এক মায়া এই ৮৫ মিমির প্রতি, কেনা আর হয়ে ওঠেনি। এখন তো ডি ৭০০০ কেনার পর ওইদিকেই আর পথ মাড়াবো না!

আপনার বর্ণিত ভুলগুলি শুধরে নিয়েছি। পোস্ট করার আগে কিছুতেই ঠিক করা যাচ্ছিলোনা। আমার রুম মেট এবং বন্ধু জিল্লুর ভাই ছিল বলে এ বেলা মুশকিল আসান!

আমার ভাণ্ডারে ইস্পাতের এই দুটি লেন্সই রয়েছে। আরও চারটে লেন্স আছে বটে, সেগুলি সব অটো ফোকাস। ওগুলি নিয়েও আলোচনা করার ইচ্ছে রাখি।

ধন্যবাদ পুনরায়।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাততালি

আমার লেন্সের নম্বর খোদাই করা রয়েছে, ১,৯৪,২৬০

বোকার মত একটা প্রশ্ন করি- সব লেন্সের কি আলাদা নাম্বার থাকে? ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মনি শামিম এর ছবি

প্রশ্ন বোকার মতন হবে কেন সাক্ষী, আমার মনে হয় উপযুক্ত প্রশ্নই করেছ। আমি আসলে তোমার এই প্রশ্নের উত্তর যথাযথ ভাবে দিতে পারবনা। নাইকনের এখনকার যুগের নতুন লেন্সগুলির গায়ে এই সংখ্যাগুলি আর দেখিনা। হয়ত এমন হতে পারে শুধু ম্যানুয়াল লেন্সগুলির গায়েই এই সংখ্যা খোদাই থাকতো। সংখ্যাটি কি, সেটা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছ। এই সংখ্যা জানান দিচ্ছে লেন্সটির বিক্রীর পরিমান। তাহলেই বোঝো, সত্তর দশকেই কত সংখ্যক লেন্স এরা উৎপাদন করত!

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

মাথার উপর দিয়ে গেছে অনেক কিছু চিন্তিত লেন্স ক্যামরো সম্পর্কে কিছুই জানিনা বলে কিছুটা হতাশা ভর করেছিলো তবে আপনার ছবিগুলো দেখে সেই হতাশা কেটে গেল। পড়তে থাকি, যদি পড়তে পড়তে কিছু শিখতে পারি। একদিন কিনে ফেলবো লেন্স ক্যামেরা এনশাল্লাহ হো হো হো
মাসুদ সজীব

অতিথি লেখক এর ছবি

মাথার উপর দিয়ে গেছে অনেক কিছু

দেঁতো হাসি ভাল বলেছেন। আমি তো ডরে কমেন্টই করিনা, চুপচাপ পোষ্ট পড়িয়া অতি দ্রুত প্রস্থান করি।

......জিপসি

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ জিপসি। বিষয়টা হল, লেন্স নিয়ে কিছু আলোচনা করতে চাইলে এর টেকনিক্যাল দিকগুলিকে উন্মোচন করাটা দরকার। আমি এইতো কিছুদিন আগেও এগুলি জানতে চাইতামনা। কিন্তু এখন নানান ঘাটের পানি খেয়ে এই বিষয়ে অনেক কিছু জেনে গেছি। তাই লেখাতেও তার ছাপ পরেছে। আমি নিজে এই বিষয়ে নবীন, আবার আমার লেখার উদ্দেশ্যও কিন্তু নবীনদের আগ্রহ বাড়াবার জন্যই। হয়ত লেখার সীমাবদ্ধতার কারণে সহজ বিষয়গুলি জটিল করে ফেলেছি। সামনের আলোচনায় আরও সহজ করে লেখার চেষ্টা করা যেতে পারে নিশ্চয়ই।

তুমি বলেছিলে, তুমি কমপ্যাক্ট ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে থাক। আমি একটা পকেট ক্যামেরা কিনেছি। শীঘ্রই সেটা নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছে আছে। এখন কেবল ছবি তুলে যাচ্ছি, সমানে। পকেটে দিব্যি ঢুকে যায় বলে এটাই এখন আমার সর্বক্ষণের সঙ্গী।

তোমার নতুন লেখাটি সেদিন পড়লাম। চমৎকার লিখেছ। গিয়ে একসময় মন্তব্য করে আসব। ভাল থেকো। কবে এখানে আসবে জানিয়ো!

অতিথি লেখক এর ছবি

ঐ যে আপনি বললেন না কমপ্যাক্ট/পকেট ক্যামেরা অনায়াসে জ্যাকেটের পকেটে ঢুকে যায়, এই সুবিধার জন্যই লেন্সওয়ালা ভারি জিনিষ কিনতে মন চায়না। আমি কাঁধে হাল্কা এক ঝোলা নিয়ে ঘুরে বেড়াই বনে-বাদারে, পানির বোতলও আধা লিটারের বেশী সাথে রাখিনা।

তবে আপনার তোলা অসাধারণ ছবির মেলা দেখে আজকাল এক-আধটু সাধ জেগেছে ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীর বিজ্ঞাপনের পাতায় ডিএসএলআর ক্যামেরার দরদাম জানতে।

......জিপসি

মনি শামিম এর ছবি

ডিএসএলআর কেনার দরকার কি, অযথা ভারী ক্যামেরা বহন করে? তোমার জন্য যেমনটি বলেছ, হালকা পাতলা ক্যামেরাই ভাল। মাইক্রো ফোর থার্ড কিংবা সনি আরএক্স কিংবা ফুজির গতকাল যে ক্যামেরা বেরিয়েছে সেগুলি দেখ। তোমার ব্যাবহারের জন্য পারফেক্ট বলে মনে হচ্ছে।

মনি শামিম এর ছবি

পড়তে পড়তে শেখার চাইতে ছবি তুলতে তূলতেই বেশী শেখা যায় বলে মনে করি। কিংবা ছবি তোলা এবং পড়ার কাজ একসাথেও চলতে পারে। ছবি তোলার জন্য মাধ্যমের অভাব নেই তো। হাতের কাছে যা আছে, যেমন কমপ্যাক্ট কিংবা স্মার্ট ফোন নিয়েও মাঠে নেমে পরা যায়। আর সেটাই আগ্রহী আলোকচিত্রগ্রাহকদের প্রথম কাজ হওয়া উচিৎ বলে মনে করি।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখা পড়ে ক্যমেরা একটা কিনেই ফেললাম। এবার ছবি তোলার পালা। দেখা যাক, কতদুর কি করতে পারি।

সামুরাই

মনি শামিম এর ছবি

কি ক্যামেরা কিনলেন সামুরাই, জানালেন না তো? সাথে লেন্সই বা কি ছিল। একটু জানাবেন কষ্ট করে?

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

আমিও এক গুদাম ঘর থেকে প্রায় ৬ বছর আগে কিনেছিলাম Nikkor 50mm f/1.2 আর Nikkor 55mm f/2.8 Micro আর দুটোই AI-s সিরিজের। এদের শার্পনেস কিংবদন্তিতূল্য! তবে আমার 85mm টা AF সিরিজের f/1.8 যেটা সেইটা, অন্যান্য নিকন ল্যান্সের মতোই এর শার্পনেসও মারাত্মক।

আপনার লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো। ল্যান্সের প্রতি ভালোবাসা জিনিশটা আমি বুঝতে পারি। তাই লেখার আবেগটা ধরতে খুব বেশি একটা কষ্ট করতে হলো না। ছবিগুলোও সুন্দর। আমি মানুষের ছবি খুব একটা তুলি না ... হা হা হা ... তাই এই ল্যান্সটা খুব কম সময়ই ব্যাবহার করি। তবে আপনার আউটডোরে 85mm এর কাজ দেখে ভাবছি, একটা ট্রাই মারবো নেক্সট টাইম। আমার সবচেয়ে পছন্দের পার্স্প্যাক্টিভ হলো 11mm আলট্রা ওয়াইড। ওটা দিয়েই জগৎ দেখে খুব মজা পাই।

আর এটিই নাইকনের এখন পর্যন্ত একমাত্র এফ ২ লেন্স।

- কথাটা মনেহয় ঠিক না। 105mm f/2 DC & 135mm f/2 DC ল্যান্স তো আছে।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

মনি শামিম এর ছবি

অনুপম ত্রিবেদী, প্রথমেই বলে রাখি, আমি আপনার ছবি এক ভক্তজন। আমি এই সচলে ক্যামেরা কিংবা লেন্স নিয়ে আলোচনা করার দুঃসাহস অর্জন করেছি মূলত আপনি, মুস্তাফিজ ভাই, শাওনদা, রোয়েনা আপা, কৌস্তুভ এবং ফাহিমের ছবি দেখে। মনে আছে তিন বছর আগে যখন প্রথম সচল পড়ি, তখন ঘুরে ফিরে কেবল আপনাদের ছবিই দেখতাম। ভাল লাগছে যে, আপনি আমার এই আলোচনায় অংশ নিলেন।

প্রথমেই আপনার উল্লেখ কৃত ভুলটির কথা বলি। আসলে ৮৫ মিমি লেন্সের কথা বলতে বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম যে ওই বাক্যটিতে ৮৫ মিমি শব্দ দুটি উল্লেখ করার দরকার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে ভুলটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য। এফ ২ আ্যাপারচারে ৫০ মিমি লেন্সও রয়েছে। ৮৫ মিমি লেন্সের মধ্যে এফ ২ কেবল এই লেন্সটিতেই রয়েছে। যাই হোক, আপনি হয়ত তা জেনেই থাকবেন। আমি আর লেখার ভেতরে গিয়ে ভুলটি সংশোধন করতে চাইছিনা। মন্তব্যের খাতায় ঢুঁ মারলে কেউ সহজেই তা বুঝতে পারবেন।

আপনাদের কজন যে আলট্রা ওয়াইড পছন্দ করেন, সে আমি জানি। আপনি অসাধারণ কিছু মাইক্রো ছবিও তুলেছিলেন। সেগুলি দেখা এবং পছন্দ করা সারা। আপনাদের আলোকচিত্র সংক্রান্ত লেখাগুলি গোগ্রাসে গিলেছি অনেকদিন ধরে।

আপনার ৫০ মিমি এফ ১।২ আছে?? সাংঘাতিক ব্যাপার তো? আমি এর আগে ৫৫ ৩।৫ মাইক্রো নিক্কর নিয়ে আলোচনা করার সময় একজন ব্যাক্তি আপনার এই লেন্সটির কথা বলেছিলেন। দুর্দান্ত লেন্স। আপনি যে তিনটি লেন্সের কথা বললেন, সেই তিনটিই তো মিথে পরিণত হয়েছে। এদের মধ্যে ৫৫ মিমি মাইক্রো ২।৮ নাইকন আজও উৎপাদন করে! তাহলেই বুঝুন ঠ্যালা,কি ব্যাপক চাহিদা এই লেন্সের!

আপনি অবশ্যই ৮৫ মিমিটা দিয়ে আউটডোরে ছবি তুলুন। ভাল হবে, গ্যারান্টি। আচ্ছা আপনার ৮৫ মিমি এফ ১।৮ এ কেমন ওঠে ছবি? ঘোলা আসে কি না শার্প?

সবশেষে সময় নিয়ে মন্তব্য করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আপনের ১১ মিমি আমারও পছন্দ হয়। ছবি টোবি তো এহন আর দ্যান না! একটা টিউটোরিয়ান শুরু করছিলেন, সেইটাতেও ফাঁকি মারছেন। আল্লাহর গপজব পড়ব।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

এক লহমা এর ছবি

লেখা ভাল লেগেছে। আরো ভাল লেগেছে ফটোগুলো।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ এক লহমা। ভাল থাকুন। শুভেচ্ছা নিন।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

লেখা পড়েই বোঝা যায় লেন্সটা আপনার কাছে সন্তানতুল্য।

হীরকখন্ডের সাথে তুলনা করেছেন আপনি--আমার তো ছবি দেখে মনে হচ্ছে এটা একটা প্রস্তরখন্ড! খাঁটি পাথর যাকে বলে।

যাহোক, আলোকসজ্জার ছবির এফ কত ছিল মনে আছে?

আপনি মিয়া এত কিছু এতদিন লুকিয়ে রেখেছিলেন কেন? আর কী কী আছে সেগুলোও আস্তে আস্তে বের করেন।

মনি শামিম এর ছবি

এই লেন্সটার প্রতি মায়া পরে গেছে। যখন অন্য লেন্স দিয়ে ছবি তুলি, এই লেন্সটি কিভাবে যেন চেয়ে থাকে। এত অসাধারণ লেন্স কি তার গায়ে ধুলো মাখাতে চাইবে? তাই ক্ষণে ক্ষণেই ফিরে আসতে হয় এর কাছেই। এমন পরম বিশ্বস্ত বন্ধু আর কেউ কি আছে?

এ আমার কাছে হীরক খণ্ডই। দেখতে এত সুন্দর, এত স্লিম, এটি যে কোন আধুনিক লেন্সের নান্দনিক সৌন্দর্যের বিচারে এগিয়ে থাকবে। আর ইস্পাত খণ্ড বলি, প্রস্তর খণ্ড বলি, যাই বলি এটা এক অক্ষয় জিনিস। এ দিয়ে মাথায় বারি দিলে আর রক্ষে থাকবেনা!

আলোকসজ্জার এফ ছিল ২।৮, মনে আছে, ২ এ ঘোলা আসছিল। একটু স্টপ ডাউন করতেই হল।

ছবি কিন্তু অনেক তুলি আমি। ইদানিং আরও বেড়েছে, বিশেষ করে ক্যানন এস ১১০ আসার পর। এই ক্যামেরার একটা আলোচনা দিব সামনে। পকেটে নিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছি।

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

একেক্টা ছবি এতই শার্প যে মুরগী জবাই করা যাবে। লাস্টের ছবির সাব্জেক্ট্রে কই পাইলেন?

একটা প্রশ্ন, আমার নাইকন ৫৫মিমি এফ২।৮ লেন্সটা কি ডিএসেলারে মাউন্ট করা যাবে? আমার নাইকন ডিএসেলার নাই, অন্যজনের বডিতে লাগাইতে হবে, তাই হুদাই ট্রাই করার আগে জানতে চাচ্ছিলাম আরকি।

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

মনি শামিম এর ছবি

নাইকনের সব ৮৫ মিমি লেন্স শার্পনেসের জন্য বিখ্যাত বাউল। এই লেন্সও তার ব্যাতিক্রম নয়। এই লেন্সের এফ ২ তে এত শার্প ছবি আসেনা। কিন্তু ৫।৬, ৮ আর ১১ তে কি বলব। সুপার শার্প। ওপরের সব কটি ছবিই ঘুরে ফিরে এই তিনটি এফ স্টপে তোলা।

কৌস্তুভ আর ওর বন্ধু সব্যসাচী লন্ডন থেকে আমার এখানে বেড়াতে এসেছিল। এই ছবিখানা ভেনিসে তোলা হয়েছে। আমরা একসাথে ফ্লোরেন্স বেড়াতেও গিয়েছিলাম।

আপনার ৫৫ মিমি এফ ২।৮ যদি এ আই এবং এ আই এস হয়, তাহলে যে কোন ডিএসএলআর এ সেটি মাউন্ট হবে। যদি ডি ৭০০০ কিংবা ডি ৭১০০ হয় তাহলে মিটার হবে। এই দুটি ক্যামেরা ছাড়া অন্য ক্যামেরায় মিটার হবেনা, এটাই পার্থক্য। আমি তো আগেই বলেছি, এই লেন্স নাইকন এখনও উৎপাদন করে, সে তো আর এমনি এমনি নয়!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

শেষের ছবির মডেলরে কয়টাকা দিতে হইছে? নাকি আপনিই নিছেন?

দেঁতো হাসি

মনি শামিম এর ছবি

ছবি তোলার সময় কৌস্তুভ বেশ একটা ভাব নেয়। নিজে থেকেই নেয়, টেকা টুকা দেয়া লাগেনি তো, আমিও নিইনি, ওকে সে যাত্রা বাঁচিয়ে দিয়েছি।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আমার একখান নাইকন ৮৫ মিমি ১.৮ আছে। আমার খুব প্রিয় লেন্স ওইটা। কিন্তু বহুতদিন ক্যম্রা নিয়ে বের হই না। আপনার ছবি দেখে প্রতিদিন ভাবি আবার একদিন বের হব ক্যাম্রা নিয়ে। আপনার পোস্টগুলো শুধু হতাশ করে।

ছবিগুলো খুব চমৎকার, মনি ভাই।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ শান্ত। জানো, আমি এখানে নিয়মিত ছবি তোলার চেষ্টা করি। ছবি তুলতে না পারলে কেমন খালি খালি লাগে। মানুষের মুখ তুলতে পারিনা, তাই স্টিল ফটোগ্রাফি করে বেড়াই। আর এখন ক্যাননের এস ১১০ হাতের কাছে আসায় কি হয়েছে, পকেটে করে সবখানে নিতে পারছি। অফিসে, বাইরে- যখন তখন!

৮৫ মিমি হাতের কাছে থাকলে সবসময় পোর্ট্রেট তোলার কথাই মাথায় আসে। কিন্তু এটি একটি অল রাউন্ড চ্যাম্পিয়ন লেন্স। বিদেশে মানুষের মুখ তোলা এত সহজ কাজ নয়, এখন তো তা আরও দুরূহ। কাজেই শুধু মুখের চিন্তা বাদ দিয়ে এটি দিয়ে যে কোন কিছুর ছবি তোলাটা দারুণ কাজে দেয় বলে দেখেছি। স্টিল হোক কিংবা স্ট্রিট, ল্যান্ড স্কেপ হোক কিংবা সিটি স্কেপ- একবার ৮৫ দিয়ে তুলতে থাকলে প্রেমে পরে যাবে এই লেন্সের, নির্ঘাত!

৮৫ মিমি একটা বস ফোকাল লেন্থ রে ভাই!

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুন লিখেছেন। অনেক কিছু জানতে পারলাম। হাসি

সজল চৌধুরী

মনি শামিম এর ছবি

শুধু ধন্যবাদে কাজ হবেনা সজল চৌধুরী, লেখালেখি শুরু করে দিন। ভাল থাকুন। কৃতজ্ঞতা নিন।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

মনি ভাই, দারুন আগ্রহ জাগানিয়া লেখা আর তার সাথের মন্তব্যগুলো বোনাস। খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ছি, কিছু শিখছি, হয়ত এভাবে পড়তে পড়তেই শিখে যাব একদিন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার সব লেন্স নিয়ে চমৎকার সব আলোচনার জন্য। হাসি
ছবিগুলো খুব ভালো হয়েছে। যারা খুব ভালো ছবি তুলে তাদের কেমন ঈর্ষা হয়। আফসুস, আমি কিছুই পারিনা। মন খারাপ
ভাল থাকবেন।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অতিথি লেখক এর ছবি

২০০১ সালে ক্যামেরা কিনে জীবনের অপূর্ণ সাধ মেটানোর তৃপ্তি পেয়েছিলাম। ১৬ বছর বয়সের আগ্রহ ৩২ বছর এ এসে মিটিয়েছিলাম নিকন এফ৬০ কিনে। সঙ্গে ১০৫ এফ/২ লেন্স। আপনার লেখাটা পড়ে সেই দিনগুলো ফিরে পেতে ইচ্ছে করছে খুব, যখন ক্যামেরা হাতে তুলতাম যখন তখন। জানলে তখন নিশ্চয়ই ৮৫ মিমি লেন্সটাই কিনতাম। এখন অবশ্য ফিল্ম ক্যামেরার কোন দাম নেই। ফিল্ম পাওয়া যায় না। ফিল্ম ডেভেলপ এর সুযোগ কম। তাই হাত-পা গুটিয়ে আছি। একটা ডি ক্যামেরা কিনি আগে, তারপর ৮৫ মিমি। আপনার দ্বারস্থ হতেও বাধবে না আমার। মনে রাখবেন।

অনেক শুভেচ্ছা জানবেন। ভালো থাকবেন।
আপনার মেয়ের জন্য ভালোবাসা।

-------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।