ছবিব্লগঃ বগুড়া

মনি শামিম এর ছবি
লিখেছেন মনি শামিম [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১৭/১০/২০১৫ - ১১:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[img]DSC_1855 by Shamimur Rahman, on Flickr[/img]

দত্তবাড়ীর দুর্গা পুজা।

বগুড়ায় গেলেই শীতকালের কথা মনে হয়। শীতকালের গন্ধ, কুয়াশা মাখা ভোর, খেজুরের রস, চায়ের কাপের টুংটাং, সোয়েটারের ওম এমন আরও কত কত স্মৃতি! এর একটি কারণ হয়ত এমন- আমাদের শৈশব কিংবা কৈশোরের বেশীরভাগ সময়েই বগুড়া যাওয়া হয়েছে ঘোর ডিসেম্বরে। রাজশাহীতে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ মানেই এক মাসের ছুটি। আর সেই পুরো এক মাস নানিবাড়ীর আলো-হাওয়া-রোদের স্পর্শ গায়ে মেখে নেয়া। আর তারপর মুরগির মাংসের রানটা আমার চাই, ঘোল খাওয়ার প্রতিযোগিতা, খেজুরের রস খাওয়ার জন্য কে কত ভোরে উঠতে পারে, কয় গ্লাস খেতে পারে ইত্যাদি ইত্যাদি। এছাড়াও ছিল নিয়ম করে বনভোজন, নানার আঙুল ধরে পাড়া বেড়ানো, আর নানির রান্না করা যে কোন কিছুর জন্য অপেক্ষার প্রহর গোনা। আশির দশকে নানিবাড়ীর তিনটে মাত্র ঘর আর তার ভেতরেই ঠাসাঠাসি করে প্রায় জনা বার/চৌদ্দ মানুষ। বাড়ির মাঝখানে বিরাট এক আমগাছ নিয়ে আমাদের ব্যাপক কৌতূহল আর ছোট্ট উঠোন জুড়ে আমাদের সারাদিনের দাপাদাপি। আর শুধুই কি ডিসেম্বর? রয়েছে ঈদ। আচ্ছা, ঈদের সময়টা তখন কখন ছিল? গ্রীষ্ম না বর্ষা?

জন্মেছি বগুড়া মিশন হাসপাতালে। তাই হয়ত বগুড়ার প্রতি রয়েছে নাড়ির টান। এইতো মাত্র সেদিনই ঘুরে এলাম বগুড়া, অফিসের কাজে। আমার সাতাশ থেকে চল্লিশ বছর অব্ধি বগুড়ায় যাওয়া হয়েছে কম। কিংবা বলা যায় কর্মসূত্রে বগুড়ার আশেপাশে যাওয়া হলেও শহরে যাওয়া হয়েছে হাতেগোনা কয়েকবার মাত্র। এবার গেলাম চার বছর পর। এবারও অফিসের কাজেই যাওয়া হল তবে বেশ প্রস্তুতি ছিল।

এই চার বছরে বগুড়ার কোন দৃশ্যমান পরিবর্তন চোখে পড়েনি। এটা অবশ্য এক হিসেবে আশীর্বাদই বটে। কারণ এ শহর হল আমার স্বপ্ন মাখানো শহর। সেই স্বপ্ন এখনও দুঃস্বপ্নে পরিনত হয়নি ঢাকার মতন, তাইতো ম্যালা! সেই স্বপ্নের বগুড়া নগরী তিলোত্তমা না হলেও তিলোত্তমার অধিক। জন্মাবধি বগুড়া শহরকে দেখেছি আদ্যপান্ত পরিকল্পনা বিহীন এক শহর। শীর্ণকায় রাস্তা, চল্টা উঠে যাওয়া পাকা বাড়িঘর, ঘিঞ্জি দোকান পাট, যেন অ-পরিকল্পনার এক আদর্শ শো- কেস। আর পুরো শহর জুরেই অনন্য সব বৈপরীত্য। প্রাসাদোপম অট্টালিকার পাশেই কাঁচাপাকা বাড়ি, দোচালা টিনের রেস্টুরেন্টের পাশেই আধুনিক শপিং মল। আমি প্রায় জন্মাবধি এমনই দেখে এসেছি। অট্টালিকার পরিমান হয়ত বেড়ে চলেছে কিন্তু পুরনো বাড়িগুলি সমানে ভাঙা হচ্ছে এমনটা তো দেখলাম না। এই ব্যাপারটা আমাকে খুব টানে। মনে হয় যেন এই শহরে সবার জায়গা রয়েছে, সব্বার। বগুড়ার প্রায় সব জায়গা এত ঘিঞ্জি যে বগুড়া যে একটি আধুনিক পৌরসভা সেটি প্রায় মনেই হয়না। দত্তবাড়ী থেকে চ্যালোপাড়া যাবার যে সড়ক সেটি মনে হয় গত চল্লিশ বছরে একই রকম রয়েছ, এক ইঞ্চি পরিমান বাড়েনি। বরং দোকান পাটের সংখ্যা আরও বেড়েছে, মানুষের ভিড় আরও বেড়েছে। তবে তাতে কি বগুড়াকে একটুও মলিন মনে হল? নাহ, একেবারেই নয়। বগুড়ার রেললাইনে গেলেই আসল বগুড়ার সন্ধান মেলে। নানান পসরার ছড়াছড়ি, বিকিকিনি চলছে যেন শতাব্দী কাল, আর ট্রেন এলেই শুরু হওয়া তাড়াহুড়ো, শহর চিড়ে ছুটে চলা ট্রেন, যেই না বের হওয়া, সাথে সাথে আবার রিক্সা, কার, টেম্পো, মানুষের পদযাত্রা, হর্নের আওয়াজ- এ এক রঙিন, উজ্জ্বল শহর বারে!

করতোয়া নদী যতই ক্ষীণকায় হোক এর তীরবর্তী জনপদ ততটাই প্রাণচঞ্চল। গোটা উত্তরাঞ্চলে এমন প্রাণ চাঞ্চল্য খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এখানে এই কর্ম মুখরতার এক অমোঘ আকর্ষণ রয়েছে যেখান থেকে পরিত্রাণ পাওয়া কঠিন। গোটা শহরটাই যেন বানিজ্যের এক পীঠস্থান। সে টিনপট্টিই হোক কি জলেশ্বরীতলা, বাদুরতলাই হোক কি শিববাটি! বগুড়ায় বোধ করি এমন কোনও বাড়ি নেই যেখানে একজন করে উদ্যোক্তা নেই! ছোট-মাঝারি-ভারী সব শিল্পই রয়েছে বগুড়ায়। এক সময় তো বগুড়াকে বাংলাদেশের ভারী শিল্পের রাজধানী বলা হত। কালক্রমে সেই মর্যাদা হারালেও বগুড়া এখন মাঝারী শিল্পের ক্ষেত্রে শুনি বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছে, বিশেষ করে কৃষিকাজ সম্পর্কিত মেশিন নির্মাণ এবং এর বিকাশের ক্ষেত্রে।

বগুড়ার আর একটি বিরাট আকর্ষণ হল এখানকার খাবার দাবার। সম্ভবত এখানকার মাটির গুনই হবে, বগুড়ায় যাই খাই, যেখানেই খাই- ভালো লাগে। বগুড়ায় ছোট থেকে বড় এমন কোনও রেস্টুরেন্ট নেই যেখানে মজাদার খাবার পরিবেশন করা হয়না! সে হোক সাত মাথার আকবরিয়া- শ্যামলী কিংবা বেতগাড়ীর কোন অখ্যাত দোকান। আপনি সকালে শ্যামলীর আলু-গোস্ত সহকারে লুচি খেয়ে যেমন আঃ উঃ করবেন, এশিয়ার চা খেয়েও আপনার পরমায়ু বাড়তে বাধ্য, সাতমাথার মোড়ে ১৫ টাকায় ইকবালের শিক-লুচি খেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর যেমন তুলবেন তেমনি বেতগাড়ীতে ভোরে পাঁচ টাকায় লুচি-সুজি খেয়ে আপনার এর স্বাদ ভুলতে কষ্ট হবে। এছাড়া বগুড়ার দই, খিরসা, লাচ্ছা সেমাই, আলু, মরিচ- এসবের কথা আর নাই বা বললাম! এখানে মাটি এত উর্বর যে বছরে এক জমিতে তিনটি ফসল নিয়ম করে হয়। সারিয়াকান্দিতে যমুনার তীরে বাংলাদেশের এমন কোনও দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ কোম্পানি নেই যারা এ অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে দুধ ক্রয় করেনা।

বগুড়ায় গেলে ভুলে যাইনা এর সড়কে, পত্র-পল্লবে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের স্মৃতি ছড়িয়ে আছে। বগুড়ার মুদ্রন শিল্পের সুনাম শুনেছি অনেক। শুনেছি বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা সংক্রান্ত পত্রিকা নাকি বগুড়া থেকে প্রকাশিত হয়েছিল (সত্যিই কি?), 'দস্যু বনহুর' খ্যাত রোমেনা আফাজের জন্ম নগরী এই বগুড়া। এখান থেকে 'নিসর্গ' নামক একটি লিটল ম্যাগাজিন বের হয় অনেকদিন হল। আমার সহপাঠী রিমুর বাবা বজলুল করিম বাহার বগুড়ার একজন স্বনামধন্য কথা সাহিত্যিক। উনার সাথে দুর্লভ কিছু সময় কাটানোর অভিজ্ঞতা হয়েছিল এই অধমের। বগুড়ায় 'পড়ুয়া' নামক একটি বইয়ের দোকান ছিল। ছিল কেন আছে। ছিল বলছি এইজন্য যে পড়ুয়ার স্থান বদল হয়েছে। পড়ুয়ায় আমি অনেক বইপড়ুয়ার সন্ধান পেয়েছি। পড়ুয়াকে ঘিরে অনেক সমৃদ্ধ আড্ডারও সাক্ষী আমি। আকবরিয়ার পাশেই ছিল বইয়ের দোকানটি। এখন সেটি মেরিনা সিনেমা হল সংলগ্ন রাস্তায় একটি নতুন গজিয়ে ওঠা মার্কেটের নিচে রয়েছে। মেরিনা সিনেমা হলের কথা ওঠায় মনে হল বগুড়ায় এই নব্বইয়ের দশকেও বেশ কয়েকটি সিনেমা হল ছিল। আর তার ঠাঁট বাট নেহাৎ কম ছিলনা। নতুন সিনেমা মানেই শহর জুরে তার পোস্টার আর রিক্সায় মাইক সহযোগে 'হ্যাঁ ভাই' সম্বলিত প্রচার সংযোগ। আর দর্শক সংখ্যাও ছিল বেশ হাউজ ফুল টাইপের। আমার দেখা বগুড়ায় শেষ সিনেমা 'চাঁপাডাঙার বউ' মনে পড়ে সেরকম হাউজ ফুল গোছের ছিল। বগুড়ার নাটকপাড়ার অনেক সুনাম শুনেছি ছোটবেলা থেকে, জেনেছি এর শিল্প সাহিত্যের জগৎ খুব বৈচিত্র্যপূর্ণ। এইতো এবারই যখন টিটু মিলনায়তনের সামনে গেলাম, শুনে এলাম এক সংগঠনের তরুণ কিছু শিল্পী এক মনে গান গাইছেন। এক সময় পিলু মমতাজকে টেলিভিশন পর্দায় দেখলেই মা চেঁচিয়ে উঠতেন, হাজার হোক বগুড়ার পপ গানের শিল্পী বলে কথা, আবার টিভিতে বগুড়া ইয়ুথ কয়্যারের পরিবেশনা মানেই ছিল বিশেষ কিছু!

বগুড়ার ভাষাও খুব সুমধুর মনে হয়। ছোটবেলায় এই ভাষা শুনে হেসে কুটিকুটি হতাম। হামরা, কুটি, যাচ্চু, খাবু, সোল, ক্যাঙ্কা, আচু এমন আরও কত শত। বগুড়ায় রিক্সাচালকদের স্ল্যাং শুনে এক সময় লজ্জায় মরে যেতাম। বগুড়ায় ময়লা কিংবা নোংরাকে আযান বলা হয়। কেন কে জানে? বগুড়া অতি প্রাচীন নগরী, তদুপরি এই এতদঞ্চলের রাজধানী। কাজেই এর ভাষা অনেক প্রাচীন হবে, এটাই স্বাভাবিক। প্রমত্ত করতোয়া নদীর ধারে গড়ে উঠেছিল এক প্রাচীন সভ্যতা, আর সেই সম্ভ্রান্ত সভ্যতার উত্তরাধিকারী এখানকার মানুষ। বগুড়ায় গেলে তাই মহাস্থান ঘুরে আসেন না এমন ভ্রমন পিপাসু মানুষ কমই মেলে। মহাস্থানে জাদুঘর যেটি রয়েছে সেখানেও খুব দুর্লভ মূর্তি দেখেছি। অনেকগুলি বৌদ্ধ মূর্তি যেন আলো ছড়াচ্ছে ওই এলাকায়। মহাস্থানে গেলে গুড়ের কটকটি খেতে কখনও ভুলিনা, গুড়ের কটকটি ভারি সুস্বাদু, মুখের ভেতর দিয়ে দাঁত দিয়ে ভাঙতে হয়, কটকট শব্দ করে ওঠে।

বলেছিলাম এইবার বেশ প্রস্তুতি সহকারে বগুড়া যাওয়া হয়েছিল। যেহেতু তিনদিন থাকব, ক্যামেরা ছিল সাথে। তবে অফিসের কাজে গিয়েছিলাম বলে ছবি তোলার জন্য কেবল একটি বিকেলই বরাদ্দ পেয়েছিলাম। প্রিয় ভোরের আলোয় ক্যামেরার চোখে বগুড়াকে দেখার সুযোগ এ দফায় আর হলনা। প্রথমে চলে গেলাম করোনেশন ইন্সটিটিউট। এ অতি প্রাচীন একটি স্কুল। তবে করোনেশন স্কুল বললে চলবে না কিন্তু। রিক্সা চালক ভাইকে বলতে হবে ‘কন্ডিশন’ স্কুলে যাব। উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরী যাব বললে হবেনা, বলতে হবে পৌর পার্কের ভেতরের লাইব্রেরী যাব। বগুড়া শহর ছোট শহর। আকবরিয়া রেস্টুরেন্ট, শহীদ টিটু মিলনায়তন, দত্তবাড়ীর পুজো প্যান্ডেল, চ্যালোপাড়া ব্রিজের ওপর থেকে দেখা করতোয়া নদী, বগুড়া ইয়ুথ কয়্যারের অফিস, বগুড়া জেলা স্কুল, শহীদ মিনার, মোহাররমের দই, ইকবালের কাবাব, পড়ুয়ার দোকান, নিউ মার্কেট এইসব জায়গায় যাবার জন্য পদযুগলই যথেষ্ট!

১।

[img]DSC_1849 by Shamimur Rahman, on Flickr[/img]

বহমান করতোয়া নদী।

২।

[img]DSC_1853 by Shamimur Rahman, on Flickr[/img]

হার না মানা গুড়ার রেল লাইনের ধার।

৩।

[img]DSC_1852 by Shamimur Rahman, on Flickr[/img]

আজও উজ্বল বগুড়া ইয়ুথ কয়্যার।

৪।

[img]DSC_1850 by Shamimur Rahman, on Flickr[/img]

বগুড়া বড়ো মসজিদ।

৫।

[img]DSC_1847 by Shamimur Rahman, on Flickr[/img]

ইকবাল ভাই বললেন উনার ৩৫ বছেরর শিক কাবাবের ব্যাবসা আজও চলছে।

৬।

[img]DSC_1843 by Shamimur Rahman, on Flickr[/img]

প্রিয় পড়ুয়া, ভালো থেকো।

৭।

[img]DSC_1842 by Shamimur Rahman, on Flickr[/img]

সাতমাথায় ডিম বিক্রয় নিয়মিত।

৮।

[img]DSC_1840 by Shamimur Rahman, on Flickr[/img]

সাতমাথার মোড়ে এই ভাস্কর্য দেখে চমৎকৃত হয়েছি। দারূণ হয়েছে এর নির্মান।

১০।

[img]DSC_1839 by Shamimur Rahman, on Flickr[/img]

ইতিহাসের সাক্ষী বগুড়া উডবার্ণ পাবলিক লাইব্রেরী।

১১।

[img]DSC_1837 by Shamimur Rahman, on Flickr[/img]

শহীদ টিটু মিলনায়তনের পাশে রোমেনা আফাজ মঞ্চ দেখে ভালো লাগলো।

১২।

[img]DSC_1833 by Shamimur Rahman, on Flickr[/img]

স্মৃতিময় বগুড়া জেলা স্কুল।

১৩।

[img]DSC_1832 by Shamimur Rahman, on Flickr[/img]

বগুড়া শহীদ মিনার।

১৪।

[img]DSC_1829 by Shamimur Rahman, on Flickr[/img]

বগুড়া করোনেশন ইনস্টিটিউট।

১৫।

[img]DSC_1822 by Shamimur Rahman, on Flickr[/img]

উর্বর বগুড়া । গোহাইল।

১৬।

[img]DSC_1825 by Shamimur Rahman, on Flickr[/img]

গোহাইলে মাটির বাড়িতে নকশা।

১৭।

[img]DSC_1857 by Shamimur Rahman, on Flickr[/img]

বেতগাড়ীর সুস্বাদু লুচি সুজি।

১৮।

[img]DSC_1854 by Shamimur Rahman, on Flickr[/img]

বগুড়ায় অট্টালিকা।


মন্তব্য

সুমাদ্রী এর ছবি

খুব ভাল লেগেছে মনি'দা লেখাটা। পড়তে পড়তে মনে পড়ে যাচ্ছিলো গ্রামে ফেলে আসা ছেলেবেলার দিনগুলোর কথা। এই একটা ঘোর মনি'দা। প্রতিদিন এখান থেকে চলে যাবো ভাবি, কিন্তু একটা পুরো জীবন প্রায় কাটিয়ে দিলাম যেখানে তার স্বাদটা অন্যত্র মিস করব ভেবে নড়তে পারি না, দূরে চলে গেলে কোনদিন মনটা এখানেই পড়ে থাকবে। ভাল থাকবেন। অনেকদিন আপনাকে দেখিনি।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ওপর দিয়ে পারাপার ছাড়া বগুড়া যাইনি কখনও। ইয়ে, মানে...
ট্রেলার ভালো লাগল, আগামী শীতে যেতে পারি। হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

বগুড়ার বেশ কিছু বিষয় নিয়ে অনেক সময় স্মৃতি কাতর হই। তাদের মধ্যে- আকবরিয়া রেস্টুরেন্ট, পাশেই শীষমহল জুয়েলারী, কাছেই আজাদ গেস্ট হাউজ, একটু দূরে মেরিনা টকিজ, আর একটু দূরে নবাব বাড়ি, কাটনারপাড়া, মালতিনগর, শিববাটি, চেলোপাড়া, খান্দার, কিছু প্রিয় মুখ, কিছু প্রিয় মানুষ, তার মধ্যে কবি ও সাহিত্যিক বজলুল করিম বাহারও আছেন।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

শিক্ষার জন্য এসো, সেবার জন্য বেরিয়ে যাও--লেখাটা আছে এখনো?

পুরো লেখাটা পড়ে বেশ নস্টালজিক হলাম। মধুবন সিনেমার রুপালি পর্দায়--মাইকের সেই আওয়াজ এখন আবার শুনলাম যেন।

শহীদ খোকন পার্কের সামনের ফুলের চারার দোকানগুলো কি এখনো বসে?

তারেক অণু এর ছবি

রোমেনা আফাজের নামাঙ্কিত রাস্তাটিও দেখেছিলাম একবার।

লেখাটা বেশ লাগল, প্রতি জনপদ নিয়ে এমন লেখা আসলে অনেক খুঁটিনাটি জানা হয়ে যাবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

সে হোক সাত মাথার আকবরিয়া- শ্যামলী কিংবা বেতগাড়ীর কোন অখ্যাত দোকান।

সাতমাথার মোড় এক আশ্চর্য জায়গা। আর শেরপুরের দই এবং ক্ষীরসা, যা অনেক বছর পরেও মুখে লেগে আছে। তবে সত্যি হতাশ হইসি মহাস্থানগড় যেয়ে! যদিও বেহুলার বাসর ঘর বলে একটা কিছু আছে সেখানে!
খুব ভাল লাগল আবার বগুড়ার ছবি পড়ে-দেখে, শামিম ভাই, চোখে ভেসে আছে এখনো সেখানকার অবকাশ যাপনের দুদন্ড স্মৃতি!
।।।।।।।।।
অনিত্র

অতিথি লেখক এর ছবি

অফিসের কাজে বহুবার বগুড়া গিয়েছি। দুপচাচিয়া, শান্তাহার, শেরপুর থানাতেও যাওয়া হয়েছে। সবসময়ই বগুড়া ভাল লাগে। তবে শীতের সময় পুরো উত্তরবঙ্গই কিন্তু জোস। ছবিগুলো ভাল হয়েছে।

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।