১ | লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৮/১২/২০১৫ - ৭:০৩অপরাহ্ন)
আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় আরো কারিগরী ( বাস্তবমুখী) বিষয়ের সং্যোজন করা প্রয়োজন। কারিগরী শিক্ষাবোর্ড আছে কিন্তু অনেক বাবা মাই তাদের সন্তানদের শুরুতেই কারিগরী শিক্ষা রুটে পাঠাতে চান না। এক্ষেত্রে দুই বোর্ডের সম্মিলিত উদ্যোগে কিছু কমন বিষয় রাখা যেতে পারে যেখানে প্রচলিত শিক্ষা বোর্ডের ছাত্রছাত্রীরা কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বাবধানে এই বিষয়গুলো পড়তে পারবে।
মামুনুর রশীদ
mamun babu 2001 at gmail dot com
===================================
হাজারো মানুষের ভিড়ে দাড়িয়ে আমি মানুষেরেই খুঁজে ফিরি
২ | লিখেছেন হাসিব (তারিখ: শুক্র, ১৮/১২/২০১৫ - ৯:০৮অপরাহ্ন)
কে কোথায় পড়বে না পড়বে সেটা বাবা মার ইচ্ছা অনুসারে হতে হবে কেন? এটা হবে ছাত্র ছাত্রীর যোগ্যতা অনুসারে। বিভিন্ন স্তরে পরীক্ষার মাধ্যমে ফিল্টারিং করে কে কোথায় যাবে সেটা নির্ধারণ করা দরকার। কারো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার যোগ্যতা না থাকলে সে কারিগরিতে পড়বে।
৬ | লিখেছেন হাসিব (তারিখ: শুক্র, ১৮/১২/২০১৫ - ৯:১০অপরাহ্ন)
শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তা প্লাস এমপিদের সন্তানরাও দেশে বাধ্যতামূলকবাবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে এরকম নিয়ম করা দরকার। যে যে এলাকার এমপি সে বাধ্য থাকবে তার সন্তানদের তার নির্বাচনী এলাকার স্কুলে পড়াতে।
৭ | লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৯/১২/২০১৫ - ১২:১৬অপরাহ্ন)
শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তা প্লাস এমপিদের সন্তানরাও দেশে বাধ্যতামূলকবাবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে এরকম নিয়ম করা দরকার।
- তাহলে তো উনাদের সন্তানদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিনা অ্যাডমিশন টেস্টে (এবং আবেদন করার নূন্যতম যোগ্যতাবিহীন) ভর্তি করানোর জন্য কোটা রাখতে হবে।
যে যে এলাকার এমপি সে বাধ্য থাকবে তার সন্তানদের তার নির্বাচনী এলাকার স্কুলে পড়াতে।
- আগে এই আইন করা হোক যে, অন্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহন করলে বা পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট হলে বাংলাদেশে কোন পর্যায়ে নির্বাচন করার বা সরকারী চাকুরীতে আবেদন করার যোগ্যতা থাকবে না।
৮ | লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২১/১২/২০১৫ - ৪:১৭পূর্বাহ্ন)
আগে এই আইন করা হোক যে, অন্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহন করলে বা পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট হলে বাংলাদেশে কোন পর্যায়ে নির্বাচন করার বা সরকারী চাকুরীতে আবেদন করার যোগ্যতা থাকবে না।
শিক্ষা মন্ত্রকের কর্মকর্তাদের সন্তানদের "বাংলা মাধ্যমে" লেখাপড়া বাধ্যতামূলক করা গেলে সব সমস্যা এক মাসের মধ্যে সমাধান হয়ে যেতো।
১০০% সহমত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সহমতে আংশিক সহমত। অনেক কর্মকর্তার সন্তানই বাংলা মাধ্যমে পড়েন। কেউ কেউ আবার, শিকেটা ছেঁড়া থাকার আশাই করেন। তাই এর পাশাপাশি আম-গার্জিয়ানদের অন্যায় আবদারকে জনমত হিসেবে ভ্রম করার অভ্যাস টাও বদলাতে হবে।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ব্যক্তির কন্টেক্সটে "ধর্মনিরপেক্ষতা বোধ" আসলে একটা অর্থহীণ শব্দবন্ধ। এক্ষেত্রে "অসাম্প্রদায়িক চেতনাবোধ" কথাটাই বরং অনেক বেশি লাগসই আর অর্থপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে আমার। আপনি "ইন্টারেস্টিং" দিয়ে যা ইঙ্গিত করতে চাচ্ছেন, তা সম্ভবত এখানে খাটে না - বা খাটলেও শেষ পর্যন্ত খাটে না।
১৩ | লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৩/১২/২০১৫ - ৪:৩৭অপরাহ্ন)
আমরা সচরাচর যেটাকে বিভিন্ন থিওরির আলোকে গবেষণা করা যায় বলে মনে করি সেটাকে "ইন্টারেস্টিং" বলি। এক্ষেত্রে আমিও তাই করেছি। নিশ্চয়ই দেখেছেন অনেকে সেক্যুলারিজমকে এথিজম অথবা এথিজমকে সেক্যুলারিজম বলে!
আপনি যে 'এমাজউদ্দীন[i]দের আপত্তি + প্রতিস্থাপন + বিভিন্ন থিওরি বিশ্লেষণ-পূর্বক পূর্বোক্ত দু'টি ভ্যারিয়েবলের মধ্যে সম্পর্কজনিত সুগভীর গবেষণা-প্রসুত সবিশেষ আলোকে উদ্ভাসিত বিশেষ সত্য = নন-কমিটাল "ইন্টারেস্টিং"'[/i] সমীকরণটা করেছেন, আমিও তার সাথে ১ম দু'টি ভ্যারিয়েবলের মধ্যে সম্পর্কের কারনেই এক হিসেবে মোটামুটি একমতই। তবে কিনা - এর মধ্যে ঘাপলা আছে। এজন্যেই 'এক হিসেবে' দিয়ে একে কোয়ালিফাই করলাম - অর্থাৎ সমীকরণটা খাটতে খাটতেও শেষমেশ কেন যেন খাটে না বলেই মনে হয়। এর কারনটার ইঙ্গিতও আপনার ২য় মন্তব্যের শেষ লাইনেই খানিকটা আছে আসলেঃ (১) আমি "ধর্মনিরপেক্ষতা" বুঝি, দায়িত্ববোধ-কর্তব্যবোধ-দেশাত্নবোধ এগুলিও বুঝি, কিন্তু "ধর্মনিরপেক্ষতা বোধ"-টা কি চীজ? আমি যদ্দুর বুঝি, ধর্মনিরপেক্ষতা একটা পলিটিকাল কনসেপ্ট ('সেপারেশন অফ চার্চ এণ্ড স্টেট') এবং তা ব্যক্তির নয় - একটা রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেই কেবল প্রযোজ্য - এটা তার আইনি বা প্রায়োগিক চরিত্র বা তার বর্ণনা হতে পারে, কিন্তু এই জিনিষ ব্যক্তির (প্রাইভেট ইন্ডিভিজুয়াল) পক্ষে কিভাবে করা সম্ভব? তার হাতে তো চার্চ বা স্টেট - কোনটারই দায়িত্ব নেই। শিক্ষানীতিতে ব্যক্তি ছাত্রের কথাই বলা হচ্ছে কিন্তু। "ধর্মনিরপেক্ষতা বোধ" কথাটা তাই খানিকটা সোনার পাথরবাটি বা বকচ্ছপ জাতীয় কিছু বলেই মনে হয়। (২) আরও ইন্টারেস্টিং হলো, আপনার লাইন ধার করেই বলি - নিশ্চয়ই দেখেছেন অনেকে সেক্যুলারিজমকে ধর্মনিরপেক্ষতা অথবা ধর্মনিরপেক্ষতাকে সেক্যুলারিজম বলে? আসলে কিন্তু দু'টোর কোনোটাই ঠিক না! তাই যে থিওরির আলোকে এমাজউদ্দীনদের আপত্তি + প্রতিস্থাপন - টা ইন্টারেস্টিং হয়ে উঠে, সেটা এই পর্যায়ে এসেই মনে হয় হেঁচকি তুলে থেমে যায়, খানিকটা দিশা হারিয়ে ফেলে।
১৫ | লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৩/১২/২০১৫ - ৯:০৮অপরাহ্ন)
ধন্যবাদ।
আগের সংবাদপত্র থেকে এমাজউদ্দীন আহমেদের আপত্তির কারণটা খুঁজে বের করলাম। "প্রস্তাবিত শিক্ষানীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষতা কথাটি উল্লেখ করায় ধর্মভিত্তিক দলসহ চারদলীয় জোটের মতাদর্শের অনুসারীরা প্রশ্ন তুলেছেন। এ প্রসঙ্গে এমাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশে বলা হয়, শিক্ষাকে ধর্মনিরপেক্ষ করার কথা সংবিধানের কোথাও বলা হয়নি। তাই জাতীয় শিক্ষানীতিতে এই শব্দটির প্রয়োগ অনাকাঙ্ক্ষিত"। তার মানে উনারা যুক্তিসঙ্গত কোন আলোচনার মধ্যে না গিয়ে, সেই জন্মগত ধর্মনিরপেক্ষ এলার্জির কারণে আপত্তি করেছেন।
ভালো কথা। আমার এক পরিচিত মিশরীয় কিছুদিন আগে বিখ্যাত এক ডেটা স্টোরেজ কোম্পানিতে চাকরি পেয়েও জয়েন করে নাই। কারণ হচ্ছে ঐ কোম্পানির লোকজন নাকি "সেক্যুলার"! তারা ধর্ম মানে না। ভেবে দেখেন, সে ছয় মাস ধরে চাকরি খুঁজছিল।
আপনার আসলে কিছু খুঁজে বের করার দরকার ছিল না। এমাজুদ্দির নাম শোনামাত্র আমি তাদের ধর্মনিরপেক্ষতা সংক্রান্ত এলার্জিজনিত ঐ 'প্রতিস্থাপনের' রহস্য বুঝে গেছি। সাপের হাঁচি বেদেয় চেনে, বলে না?
আমার আসলে যেটা "ইন্টারেস্টিং" লাগছে সেটা বিভিন্নজনের কাছে এই "ধর্মনিরপেক্ষতা" শব্দটার বিচিত্র অর্থবোধ আর প্রয়োগ দেখে। এমাজুদ্দি, আপনি বা আপনার মিশরীয় এবং আমরা অনেকেই - এমনকি শিক্ষানীতির ঐ ৩ নং ধারাটির লেখকও - সম্ভবত এই পরস্পর-বিরোধী অর্থ বা শব্দবিভ্রান্তি থেকে পুরোপুরি মুক্ত নন। এই আরকি।
মন্তব্য
আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় আরো কারিগরী ( বাস্তবমুখী) বিষয়ের সং্যোজন করা প্রয়োজন। কারিগরী শিক্ষাবোর্ড আছে কিন্তু অনেক বাবা মাই তাদের সন্তানদের শুরুতেই কারিগরী শিক্ষা রুটে পাঠাতে চান না। এক্ষেত্রে দুই বোর্ডের সম্মিলিত উদ্যোগে কিছু কমন বিষয় রাখা যেতে পারে যেখানে প্রচলিত শিক্ষা বোর্ডের ছাত্রছাত্রীরা কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বাবধানে এই বিষয়গুলো পড়তে পারবে।
মামুনুর রশীদ
mamun babu 2001 at gmail dot com
===================================
হাজারো মানুষের ভিড়ে দাড়িয়ে আমি মানুষেরেই খুঁজে ফিরি
কে কোথায় পড়বে না পড়বে সেটা বাবা মার ইচ্ছা অনুসারে হতে হবে কেন? এটা হবে ছাত্র ছাত্রীর যোগ্যতা অনুসারে। বিভিন্ন স্তরে পরীক্ষার মাধ্যমে ফিল্টারিং করে কে কোথায় যাবে সেটা নির্ধারণ করা দরকার। কারো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার যোগ্যতা না থাকলে সে কারিগরিতে পড়বে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ছাত্রটির ইচ্ছার কি হবে?
****************************************
ইমেজটায় টেক্সট এতো খুদি খুদি যে পড়া যায় না ভালোমতো।
শিক্ষা মন্ত্রকের কর্মকর্তাদের সন্তানদের "বাংলা মাধ্যমে" লেখাপড়া বাধ্যতামূলক করা গেলে সব সমস্যা এক মাসের মধ্যে সমাধান হয়ে যেতো।
রাইট ক্লিক করে মূল ছবিতে গেলে আরো বড় করে দেখা যাবে।
শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তা প্লাস এমপিদের সন্তানরাও দেশে বাধ্যতামূলকবাবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে এরকম নিয়ম করা দরকার। যে যে এলাকার এমপি সে বাধ্য থাকবে তার সন্তানদের তার নির্বাচনী এলাকার স্কুলে পড়াতে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
- তাহলে তো উনাদের সন্তানদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিনা অ্যাডমিশন টেস্টে (এবং আবেদন করার নূন্যতম যোগ্যতাবিহীন) ভর্তি করানোর জন্য কোটা রাখতে হবে।
- আগে এই আইন করা হোক যে, অন্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহন করলে বা পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট হলে বাংলাদেশে কোন পর্যায়ে নির্বাচন করার বা সরকারী চাকুরীতে আবেদন করার যোগ্যতা থাকবে না।
১০০% সহমত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সহমতে আংশিক সহমত। অনেক কর্মকর্তার সন্তানই বাংলা মাধ্যমে পড়েন। কেউ কেউ আবার, শিকেটা ছেঁড়া থাকার আশাই করেন। তাই এর পাশাপাশি আম-গার্জিয়ানদের অন্যায় আবদারকে জনমত হিসেবে ভ্রম করার অভ্যাস টাও বদলাতে হবে।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
"ধর্মনিরপেক্ষতা বোধ" শব্দটাকে "অসাম্প্রদায়িক চেতনাবোধ" দিয়ে প্রতিস্থাপনটা ইন্টারেস্টিং। এমাজউদ্দীন আহমদের মতো কয়েকজন ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটা নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন।
___________
সৌমিত্র
ব্যক্তির কন্টেক্সটে "ধর্মনিরপেক্ষতা বোধ" আসলে একটা অর্থহীণ শব্দবন্ধ। এক্ষেত্রে "অসাম্প্রদায়িক চেতনাবোধ" কথাটাই বরং অনেক বেশি লাগসই আর অর্থপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে আমার। আপনি "ইন্টারেস্টিং" দিয়ে যা ইঙ্গিত করতে চাচ্ছেন, তা সম্ভবত এখানে খাটে না - বা খাটলেও শেষ পর্যন্ত খাটে না।
****************************************
আমরা সচরাচর যেটাকে বিভিন্ন থিওরির আলোকে গবেষণা করা যায় বলে মনে করি সেটাকে "ইন্টারেস্টিং" বলি। এক্ষেত্রে আমিও তাই করেছি। নিশ্চয়ই দেখেছেন অনেকে সেক্যুলারিজমকে এথিজম অথবা এথিজমকে সেক্যুলারিজম বলে!
সৌমিত্র
আহা, আমিও তো সেকথাই বলছি!
আপনি যে 'এমাজউদ্দীন[i]দের আপত্তি + প্রতিস্থাপন + বিভিন্ন থিওরি বিশ্লেষণ-পূর্বক পূর্বোক্ত দু'টি ভ্যারিয়েবলের মধ্যে সম্পর্কজনিত সুগভীর গবেষণা-প্রসুত সবিশেষ আলোকে উদ্ভাসিত বিশেষ সত্য = নন-কমিটাল "ইন্টারেস্টিং"'[/i] সমীকরণটা করেছেন, আমিও তার সাথে ১ম দু'টি ভ্যারিয়েবলের মধ্যে সম্পর্কের কারনেই এক হিসেবে মোটামুটি একমতই। তবে কিনা - এর মধ্যে ঘাপলা আছে। এজন্যেই 'এক হিসেবে' দিয়ে একে কোয়ালিফাই করলাম - অর্থাৎ সমীকরণটা খাটতে খাটতেও শেষমেশ কেন যেন খাটে না বলেই মনে হয়। এর কারনটার ইঙ্গিতও আপনার ২য় মন্তব্যের শেষ লাইনেই খানিকটা আছে আসলেঃ (১) আমি "ধর্মনিরপেক্ষতা" বুঝি, দায়িত্ববোধ-কর্তব্যবোধ-দেশাত্নবোধ এগুলিও বুঝি, কিন্তু "ধর্মনিরপেক্ষতা বোধ"-টা কি চীজ? আমি যদ্দুর বুঝি, ধর্মনিরপেক্ষতা একটা পলিটিকাল কনসেপ্ট ('সেপারেশন অফ চার্চ এণ্ড স্টেট') এবং তা ব্যক্তির নয় - একটা রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেই কেবল প্রযোজ্য - এটা তার আইনি বা প্রায়োগিক চরিত্র বা তার বর্ণনা হতে পারে, কিন্তু এই জিনিষ ব্যক্তির (প্রাইভেট ইন্ডিভিজুয়াল) পক্ষে কিভাবে করা সম্ভব? তার হাতে তো চার্চ বা স্টেট - কোনটারই দায়িত্ব নেই। শিক্ষানীতিতে ব্যক্তি ছাত্রের কথাই বলা হচ্ছে কিন্তু। "ধর্মনিরপেক্ষতা বোধ" কথাটা তাই খানিকটা সোনার পাথরবাটি বা বকচ্ছপ জাতীয় কিছু বলেই মনে হয়। (২) আরও ইন্টারেস্টিং হলো, আপনার লাইন ধার করেই বলি - নিশ্চয়ই দেখেছেন অনেকে সেক্যুলারিজমকে ধর্মনিরপেক্ষতা অথবা ধর্মনিরপেক্ষতাকে সেক্যুলারিজম বলে? আসলে কিন্তু দু'টোর কোনোটাই ঠিক না! তাই যে থিওরির আলোকে এমাজউদ্দীনদের আপত্তি + প্রতিস্থাপন - টা ইন্টারেস্টিং হয়ে উঠে, সেটা এই পর্যায়ে এসেই মনে হয় হেঁচকি তুলে থেমে যায়, খানিকটা দিশা হারিয়ে ফেলে।
****************************************
ধন্যবাদ।
আগের সংবাদপত্র থেকে এমাজউদ্দীন আহমেদের আপত্তির কারণটা খুঁজে বের করলাম। "প্রস্তাবিত শিক্ষানীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষতা কথাটি উল্লেখ করায় ধর্মভিত্তিক দলসহ চারদলীয় জোটের মতাদর্শের অনুসারীরা প্রশ্ন তুলেছেন। এ প্রসঙ্গে এমাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশে বলা হয়, শিক্ষাকে ধর্মনিরপেক্ষ করার কথা সংবিধানের কোথাও বলা হয়নি। তাই জাতীয় শিক্ষানীতিতে এই শব্দটির প্রয়োগ অনাকাঙ্ক্ষিত"। তার মানে উনারা যুক্তিসঙ্গত কোন আলোচনার মধ্যে না গিয়ে, সেই জন্মগত ধর্মনিরপেক্ষ এলার্জির কারণে আপত্তি করেছেন।
ভালো কথা। আমার এক পরিচিত মিশরীয় কিছুদিন আগে বিখ্যাত এক ডেটা স্টোরেজ কোম্পানিতে চাকরি পেয়েও জয়েন করে নাই। কারণ হচ্ছে ঐ কোম্পানির লোকজন নাকি "সেক্যুলার"! তারা ধর্ম মানে না। ভেবে দেখেন, সে ছয় মাস ধরে চাকরি খুঁজছিল।
সৌমিত্র
আপনার আসলে কিছু খুঁজে বের করার দরকার ছিল না। এমাজুদ্দির নাম শোনামাত্র আমি তাদের ধর্মনিরপেক্ষতা সংক্রান্ত এলার্জিজনিত ঐ 'প্রতিস্থাপনের' রহস্য বুঝে গেছি। সাপের হাঁচি বেদেয় চেনে, বলে না?
আমার আসলে যেটা "ইন্টারেস্টিং" লাগছে সেটা বিভিন্নজনের কাছে এই "ধর্মনিরপেক্ষতা" শব্দটার বিচিত্র অর্থবোধ আর প্রয়োগ দেখে। এমাজুদ্দি, আপনি বা আপনার মিশরীয় এবং আমরা অনেকেই - এমনকি শিক্ষানীতির ঐ ৩ নং ধারাটির লেখকও - সম্ভবত এই পরস্পর-বিরোধী অর্থ বা শব্দবিভ্রান্তি থেকে পুরোপুরি মুক্ত নন। এই আরকি।
****************************************
নতুন মন্তব্য করুন