নিঝুম মজুমদারের গল্প এপিটাফ: স্বাধীন আলোচনা

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: বুধ, ২৬/০৩/২০০৮ - ৭:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ব্লগে লেখা প্রকাশ করা যায় সহজে। পাঠকের মতামতও পাওয়া যায় দ্রুত। নবীন বা যশোপ্রার্থী লেখকদের জন্য এটা এক অন্যরকম সুযোগের প্ল্যাটফর্ম। এর চেয়ে সহজ অনুপ্রেরণা আর সুযোগ কোথায় পাওয়া যাবে। ব্লগের এই পরিবেশ ও সুযোগ আরো অনেকের মতো নিঝুম মজুমদারকেও প্রাণিত করেছে লেখালেখি করতে। বেশ কিছু পোস্ট তিনি করেছেন এবং সৃষ্টিশীল লেখাও শুরু করেছেন। লিখেছেন এপিটাফ নামে একটি গল্প। যে কোনো নতুন লেখকের মত নিজের লেখার মান নিয়ে তার একধরনের সংশয় ও দ্বিধা আছে। আছে নিজের লেখার মান উত্তরণের জন্য এক গোপন সৃজনশীল আকাঙ্খা। এরকম অবস্থান থেকে তিনি তাঁর গল্প নিয়ে একটি আলোচনা করার অনুরোধ আমাকে করেছেন।

নিঝুমেরও ধারণা তিনি এরকম আলোচনা থেকে উপকৃত হবেন। তবে শুরুতেই নিঝুমকে জানিয়ে রাখি, আমি সাহিত্যের ছাত্র ছিলাম না, সাহিত্য সমালোচনায় আমার কোনো দক্ষতা নেই এবং আমার নিজের লেখা গল্পের সংখ্যা টেনেটুনে তিন বা চার হবে। সুতরাং আমার পরামর্শের কী তিনি গ্রহণ করবেন আর কী তিনি পরিত্যাগ করবেন তার একটা বিবেচনার সুযোগ শুরুতেই দিয়ে দিলাম।

(নিঝুম মজুমদারের ‘এপিটাফ’ গল্পটি সচলায়তনের ব্লগার ও পাঠকদের অনেকেই পড়েছেন। যারা পড়েননি তারা এই আলোচনা পড়ার আগে গল্পটি পড়ে নিলে মন্তব্যে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সচলে প্রকাশিত লেখা নিয়ে সচলের ব্লগারদের সক্রিয় আলোচনা নিশ্চই লেখকদের জন্য খুব কাজেরই হবে।)

নিঝুমের গল্প এপিটাফের লিংক

হুমায়ূন আহমেদের সাথে মিল:

উঠতি লেখককে জনপ্রিয় লেখকের সাথে তুলনা করলে নানারকম প্রতিক্রিয়া হতে পারে লেখকের। নিঝুমের লেখা পড়ে তার লেখা হুমায়ূন আহমেদীয় বলেন অনেকে। এই তুলনায় ঠিক সন্তুষ্ট হতে পারেন না নিঝুম। তার প্রতিক্রিয়া এরকম:

আমার লেখায় পাঠকের মন্তব্যে প্রায়ই দেখি কেউ না কেউ বলছেন হুমায়ুন আহমেদীয় ছায়া আমাকে নাকি ঘিরে রাখে।যার স্পস্ট ছাপ পাঠকরা বুঝতে পারেন। আমি এই ব্যক্তির দ্বারা প্রবল ভাবে প্রভাবিত এটা সতা। কিন্তু আমার স্ট্রং ধারনা আমি যেভাবে কথা বলি গল্প ও বলি সেভাবে, কিংবা বল্বার চেষ্টা করি। সহজ ভাষায় বলতেই আমার ভালো লাগে। জানিনা আপনি কি ভাবছেন। আমি এই অপবাদ নিয়ে ক্লান্ত এবং শ্রান্ত।

সময়ের জনপ্রিয় লেখক বা নিজের প্রিয় লেখকের প্রভাব এড়ানো কষ্টের। তবে প্রভাবের সমস্যাটাকে ঠিকভাবে ধরতে পারলে লেখার সময় সচেতন চেষ্টা করে নিজের স্বাতন্ত্র তুলে ধরা সম্ভব। নিঝুম এ জায়গায় হয়তো ভুল করছেন। তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করে উপরে একটা মাত্র বাক্য বলেছেন, তা হলো ‘সহজ ভাষায় বলতেই আমার ভালো লাগে’। অর্থাত্ নিঝুম ধরে নিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদের মত তিনিও সহজ ভাষা ব্যবহার করেন, চেনা-জানা শব্দ, বাজার-চলতি জনপ্রিয় উপমা-বিশেষণ,ছোট ছোট বাক্য। নিঝুমের ধারণা এসব কারণেই তার লেখায় হুমায়ূন আহমেদের ছায়া খুজেঁ পায় পাঠকরা। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের লেখা মানে কি শুধু সহজ ভাষা? একটা উদাহরণ দেয়া যাক:

জেল সুপার অবাক হয়ে তাকায় মজিদের দিকে। বলে কি এই লোক ! একটু পর যার ফাঁসি হবে, সে কিনা শাপলার সালুন খেতে চায়! হাসেম রব্বানী অবশ্য এইসব ব্যাপারে অভ্যস্ত। ফাঁসির আসামীরা মৃত্যূর আগে এইরকম অদ্ভুত আবদার করে। গত বছর সেভেন মার্ডার মামলার আসামী কালু শেখ ফাঁসির আগে বেঁকে বসল। সে আখের রস খাবে। এই বস্তু না খেয়ে সে মরবে না। কি যন্ত্রনা যে হয়েছিলো সেইবার। আরে জেলখানা কি ক্যাফে কস্তুরী নাকি? যা খাওয়ার অর্ডার দিবে তাই পাওয়া যাবে? নিয়ম রক্ষার জন্য জিজ্ঞেস করা। কিছু বলাও যায় না। একটু পরেই তো মরে যাবে।

উপরের উদাহরণে আমরা দেখতে পাই, এ শুধু সহজ শব্দ আর সাধারণ কথার অনুচ্ছেদ নয়। এই দৃশ্যকল্পনাটাই একটু অদ্ভুত। ফাঁসি হবে এমন লোকের অন্তিম ইচ্ছা নিয়ে এখানে মস্করা করছেন লেখক। লেখকের ভাষাই শুধু সহজ নয় এখানে, লেখকের দেখার ভঙিটা মজার ও হালকা। একটু পরেই যাকে ফাঁসি দেয়া হবে তার অন্তিম ইচ্ছাটা যে হাস্যকর তা বুঝাতে লেখক কল্পনা করেছেন ‘শাপলার সালুন’। কয়েক বাক্য পরে এরকম অন্তিম ইচ্ছাগুলোর হাস্যকরতা নিশ্চিত করতে লেখক ব্যবহার করেন শব্দগুচ্ছ ‘এই বস্তু’। (এই বস্তু না খেয়ে সে মারা যাবে না)।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে সহজ ভাষা ছাড়াও এই লেখার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সিরিয়াস বিষয় নিয়ে তামাশা করা। পাঠককে কৌতুকের আনন্দ দিতেই মূল দৃশ্যটা কল্পনা করেছেন লেখক। ফাঁসির আগে আসামীর ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া মুখ, অঝোর ধারায় কান্না, বা আমার কোনো দোষ নাই বলে চিত্কার ইত্যাদি দিয়ে এই দৃশ্যটাকেই সিরিয়াস করে তুলতে পারতেন লেখক। তা তিনি করেননি। তার উদ্দেশ্য হাস্যরস পরিবেশন। সুতরাং লেখকের আসামীই যে শুধু এখানে হাস্যরস সরবরাহ করে তা নয়। জেল-সুপারও তার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও কথাবার্তায় পাঠককে মজা দিয়ে যায়।

মজিদের এই অদ্ভুত আবদারে জেল-সুপার তাকে থাপ্পড় মারে না, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ল্যাংড়া করে দেয় না, বলে না- ব্যাটা মশকরা করস আমার লগে, হুমকি-ধমকি দেয় না। কারণ তাতে কৌতুকরস পরিবেশনে বিভ্রাট ঘটবে। জেল-সুপারের প্রতিক্রিয়া দেখায় এইভাবে; ‘নিয়ম রক্ষার জন্য জিজ্ঞেস করা। কিছু বলাও যায় না। একটু পরেই মরে যাবে’। মরে যাওয়ার বিষয়টাকে হালকা একটা হাসির সাথেই তুলে ধরা হয়েছে এখানে।

জেল-সুপারের যে এরকম প্রতিক্রিয়া হবে তাও নিশ্চিত। কারণ প্রতিক্রিয়ায় মারামারি রক্তারক্তি ঘটনা ঘটলে সেটা তো আর হুমায়ূন আহমেদীয় লেখা হবে না। তাছাড়া চরিত্রগুলোকেই তেমন করে বানিয়েছেন লেখক। জেল-সুপার সম্পর্কে যে বর্ণনা লেখক দেন, সেখানে লেখা;

জেল সুপার হাসেম রব্বানীকে দেখলেই মজিদের কোরবানীর গরুর কথা মনে হয়। কেমন তৈলাক্ত নাদুস-নুদুস চেহারা। মেয়েলোকের মত মিনমিনে গলা। গলার নীচের স্কিনটাও বেশ! মনে হয় এইমাত্র ঘি মেখে আসলো।

সুতরাং জেল সুপার বলতে যে ভীতিকর একটা ধারণা পাঠকের হতে পারতো তা রাখেননি লেখক। নাদুস-নুদুস কোরবানীর গরুর মত তেলতেলে চেহারা আর মেয়েলি কণ্ঠস্বরের একটা যুগলবন্দী ঘটিয়ে চরিত্রটাকে প্রথমেই লেখক নামিয়ে এনেছেন জোকারের তালিকায়। হুমায়ূন আহমেদের চরিত্রগুলো এরকমই। টেলিভিশন সিটকমের চরিত্র। ভুল জায়গায় বসে থাকা ভুল মানুষদের যেসব ত্রুটি থাকে তাই নিয়ে হাস্যকর সব সং। আর চরিত্রের সাথে মিল রেখে তাদের সংলাপ আর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দিয়ে লেখক পাঠকদের দিতে চান নানা মাত্রার হাস্যরস।

সুতরাং হুমায়ূন আহমেদ মানে শুধু সহজ ভাষাই নয়। তার চরিত্র, তার দৃশ্য কল্পনার মধ্যেই রয়েছে রস যোগানের চেষ্টা। পাঠককে আমোদিত করার পরিকল্পনা থেকেই এসবের সৃষ্টি। আর আমোদ ও কৌতুকের উপযোগী ভাষা-ভংগি তো অবশ্য দরকারী একটা উপাদান। উপরের উদাহরণে ফিরে আসি। কিছু শব্দ বা বাক্য আলাদা করে খেয়াল করি:

- একটু পর যার ফাঁসি হবে, সে কিনা শাপলার সালুন খেতে চায়! হাসেম রব্বানী অবশ্য এইসব ব্যাপারে অভ্যস্ত।
- গত বছর সেভেন মার্ডার মামলার আসামী কালু শেখ ফাঁসির আগে বেঁকে বসল ।
- এই বস্তু না খেয়ে সে মরবে না।

এরকম ভাষাভঙ্গি আগে আমরা চুটকিতে বা রম্যরচনায় দেখেছি। কিন্তু উপন্যাসের মঞ্চে একে তুলে আনেন হুমায়ূন আহমেদ। সেটা কার্যকরিও হয়। কারণ তার কাহিনীর মূল সুরের জন্য, তার উদ্দিষ্ট পাঠকশ্রেণীর জন্য এরকম ভাষাভঙ্গিই যথার্থ বলে প্রমাণিত হয়।

এই সব হুমায়ূন আহমেদের লেখার বৈশিষ্ট্য যদি নিঝুমের লেখায় এসে ভর করে তবে নিঝুমের লেখাকে পাঠকরা হুমায়ূনের মত বলতে পারেন। এই জায়গায় এসে আমি এও জানাতে চাই যে, নিঝুমের লেখায় এসব বৈশিষ্ট্য আছে তা আমি শতভাগ নিশ্চিত। কারণ উপরের উদাহরণটি আসলে হুমায়ূন আহমেদের লেখার নয়, বরং নিঝুমের এপিটাফ গল্প থেকেই নেয়া। আমার কাছে কোনো হুমায়ূন আহমেদের বই নেই যা থেকে উদাহরণ তুলে দিতে পারি। তবে যা কিছু হুমায়ূন আমি পড়েছি তা থেকে আমি নিশ্চিত উপরের অনুচ্ছেদটি হুমায়ূনের লেখা বলে অনেক পাঠক হয়তো মেনে নিয়েছিলেন।

নিঝুম সম্ভবত: হুমায়ূন আহমেদের একনিষ্ঠ ভক্ত পাঠক। নিজে লেখালেখি করতে গেলে প্রিয় লেখকের প্রভাব লেখায় আসতেই পারে। তবে নবীন লেখককে সচেতন থাকতে হবে এবং দ্রুত নিজের বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি করে ফেলতে হবে। ভাষাভঙ্গি, গল্পের মূলসুর, চরিত্র সৃষ্টি, দৃশ্যকল্পনা, সংলাপ সব ক্ষেত্রেই যদি প্রভাবটা স্পষ্ট হয়ে যায় তবে বিপদ।

এ থেকে সহজ নিরাময় একটাই। সেটা হচ্ছে ভিন্ন ঘরানার অন্যান্য লেখকদের বই বেশি করে পড়া।

ভিন্ন ঘরানার উদাহরণ দেয়ার মত একটা বই আমার হাতের কাছে আছে। শীর্ষেন্দুর পার্থিব। কিন্তু তার আগে আহসান হাবীবের বই থেকে দুই অনুচ্ছেদের একটা কৌতুক।

“পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে ৭/৮ জন খুনের আসামি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পাহাড়ের পাশ দিয়ে বন্ধুর পথ ধরে ছুটে চলেছে গাড়ি। হঠাত্ করে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে আক্রমণ করল এক দল সন্ত্রাসী। গার্ডকে হত্যা করে দরজা ভেঙে খুনিদের মুক্ত করে দিল।

কিন্তু একজন খুনি পালালো না। সে প্রিজন ভ্যানে বসে রইলো। পুলিশের রেসকিউ টিম এসে তাকে প্রশ্ন করল “কী ব্যাপার সবাই পালাল, তুমি রয়ে গেলে যে?”
“মাথা খারাপ! এই বনজঙ্গলে গাড়িঘোড়া পাব কোথায় যে পালাব?”

এই কৌতুকের দ্বিতীয় অংশ হচ্ছে হুমায়ূন আহমেদের গল্পভাবনা। তার উপন্যাসে তার গল্পে এরকম দৃশ্য ফিরে ফিরে আসে। তার নাটকের মূল কাঠামো হয় এমন ভাবনা। কিন্তু প্রথম অনুচ্ছেদ যেখানে সন্ত্রাসী আক্রমণ করে, গার্ডকে হত্যা করে তা কখনও হুমায়ূনের লেখার মূল বিষয় হয় না। দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন হুমায়ূন, ছাত্রও ছিলেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলন, স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রাম এসব নিয়ে হুমায়ূন প্রায় কিছুই লেখেননি।

সহজ ভাষা হলেই যে হুমায়ূন আহমেদ হয় না তার প্রমাণ হিসেবে একটা উদ্ধৃতি দিতে চাই পার্থিব থেকে। ভাষা সহজ হলেও ভাবনা হালকা নাও হতে পারে তার উদাহরণ হিসেবে।

বিষ্ণুপদ মৃদু গলায় বলল, আজ আবার সেই স্বপ্নটা দেখলাম। সেই যে ঘুমটা চটকে গেল আর এল না।

[i]দু:স্বপ্ন নাকি?
খারাপই। তবে এই বয়সে আর কতই বা খারাপ হবে। কিন্তু বড় ভয় খাইয়ে দেয়। কালঘড়ি আমার ঠাকুর্দাও দেখেছিল কিনা।

কালঘড়ি? সে আবার কী জিনিস?

বিষ্ণুপদ ব্যথাতুর গলায় বলে, ঘড়ির বৃত্তান্তটাও অদ্ভুত। জন্মে ঘড়ি নিয়ে কারবার করিনি বাবা। গাঁ-গঞ্জের লোক আমরা, ঘড়ি লাগে কিসে? তবু যে কেন দেখি। সে তো ছোটখাটো জিনিস নয়। আকাশজোড়া মস্ত একটা ঘড়ি। যেন কুলকিনারা নেই তার। একটা বড় কাঁটা, আর একটা ছোট কাঁটা, তা তাও যেন আকাশে এ-মুড়ো ও-মুড়ো জুড়ে। কাঁটা দুটো এগুচ্ছে। বুঝলে। এগুচ্ছে।

(পার্থিব, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, পৃ: ২৬৭)

শীর্ষেন্দুর এই যে লেখা, ৭১৪ পৃষ্ঠার উপন্যাস, এও তো সহজ ভাষার। কোথাও খটোমটো কোনো বর্ণনা নেই। কিন্তু এর দৃশ্য কল্পনা, এর চরিত্র, এর গল্পের মূলসুর এ একেবারেই অন্যরকম। এ লেখা পাঠককে শুধুমাত্র আমোদিত করে না, হাস্যরস জোগায় না, বরং গভীর ভাবনার এক সমুদ্রের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। বাস্তবের পৃথিবী থেকে পাঠকরা প্রবেশ করে ঔপন্যাসিকের তৈরি করা ভুবনে। লেখক এখানে স্রষ্টা এবং তিনি শুধু জোকার হওয়ার মধ্যে তার সৃষ্টিশীলতাকে সীমাবদ্ধ রাখতে চান না।

(পরবর্তী পর্ব আগামীকাল)


মন্তব্য

অমিত আহমেদ এর ছবি

আপনার বিশ্লেষনী ক্ষমতা অসাধারণ।
তা সে রাজনীতি হোক, বিফস্টেক হোক কিংবা হোক সাহিত্য।
তবে মাঝে মাঝে যে ডুব দেন সে বদঅভ্যাসটা ত্যাগ করেন ওস্তাদ। নিয়মিত লেখা চাই।

পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

অমিত আহমেদ যা বিশেষণ যোগ করলেন তাতে রাঙা হয়ে উঠলাম।
ব্লগে একটা কাজ-কর্ম পেলে মন্দ হতো না - এখানেই থাকতাম।
-----------------------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

সুজন চৌধুরী এর ছবি

হ' অমিতের সাথে ১মত। থাকেন কৈ বস!!??
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

আগে আপনার শেরটারে থামান, এইটা খালি দৌড়ায় কিন্তু আগায় না। আমার মতই অবস্থা।
মানে থাকি আগের জায়গায়ই। কিন্তু দৌড়ের উপর আছি। যতই দৌড়াই আগ বাড়তে পারি না। দোয়া রাইখেন।
-----------------------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

জিফরান খালেদ এর ছবি

ইন্টারেস্টিং বিশ্লেষণ!

নৈর্বত্তিকতার ছায়া যদিও অনেক দূরের মনে হলো...

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

নৈর্ব্যক্তিকতার ছায়া যদিও অনেক দূরের মনে হলো...
এই কথাটার কার্যকারণ বুঝতে পারলাম না।

লেখাটা অনেক গুছিয়ে লিখতে গেলে হয়তো আধা খেঁচড়া পড়ে থাকতো, শেষ পর্যন্ত পোস্ট দেয়া হতো না, তাই যা লিখেছি সেটুকুই পোস্ট করলাম।
হুমায়ূন আহমেদ ইস্যু নিয়ে নিঝুম চিন্তিত, তাই তার লেখা খুলে দেখাতে চেয়েছি কোথায় কীভাবে হুমায়ূন আহমেদ লুকিয়ে আছেন।

নিঝুমের লেখা কিরকম, বা গল্পটা আমার কাছে কতটা ভালো লেগেছে সেগুলো পরের পর্বে লিখতে চেষ্টা করবো।
-----------------------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

জিফরান খালেদ এর ছবি

আমি কোনো অ্যানালিটিক্যাল টুলস পেলাম না আলোচনাতে...
অনেক বেশি সাব্জেকটিভ মনে হলো... সেকারণেই বলা - বিশ্লেষণে যে অব্জেক্টিভ স্কিম আমি আশা করে থাকি, তাকে অনেক দূরের মনে হলো...

উপরন্তু, নিতান্তই ব্যক্তিগত মতামতে বলতে চাই, শীর্ষেন্দুর ততসময়ের লিখাতে তথাকথিত গভীরতা বেশ নগ্নভাবেই ফুটে উঠেছে... সেটার কারণ যদ্দূর সম্ভব তার নিজের ব্যক্তিগত বিশ্বাস নিয়ে যে টাঁনাপোড়ন, তাকে কেন্দ্র করেই... এসথেটিক্যালি স্পিকিং...

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

জিফরানের মন্তব্যে বিপ্লব।
আলোচনা যদি পেয়ে থাকেন, বিশ্লেষণ যদি খুঁজে পান তবে বিশ্লেষণের হাতিয়ারগুলোও নিশ্চই আছে।

তবে হ্যা, শুরুতেই বলেছি আমি সাহিত্যের ছাত্র না, এবং সাহিত্য সমালোচনায় আমার কোনো দক্ষতা নেই। এ লেখাকে পাঠকের প্রতিক্রিয়াই বলা যায়। তবে একেবারে সাধারণ পাঠক হয়তো সৃষ্টিশীলতার এত গভীরে ঢুকে বিষয়টাকে দেখে না।

প্রচলিত অবজেক্টিভ কোনো ছক বসিয়ে দেখিনি নিঝুমের লেখাকে। একেবারে উল্টে-পাল্টে মলাট-ভেতরের পাতা ভেঙে তার লেখাকে নাড়তে চেয়েছিলাম।
এতে নিঝুম হয়তো অন্যের দৃষ্টিতে তার লেখাকে দেখার সুযোগ পাবেন এবং পরে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন লেখালেখির কোন কৌশলগুলো তিনি প্রয়োগ করবেন এবং কোনগুলো আর ব্যবহার করবেন না।

তবে নিঝুমের গল্পটি নিয়ে এখনও আলোচনাই শুরু করিনি। আশা করছি আজকে পরের পর্ব লিখতে পারবো।
-----------------------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

জিফরান খালেদ এর ছবি

'আলোচনা', 'বিশ্লেষণ' এইসব তো আসলে মরফোলজিক্যাল সেন্স থেকে ব্যবহার করা... সেমান্টিক্স এর পারস্পেকোটিভ থেকে ব্যবহার করা হয় নাই...

আমি আসলে বলছি - একটি এক্সাম্পল দিয়ে এবং তাতে ব্যক্তিক অভিমতের বয়ান দিয়ে কোনোমতেই আলোচনা হয় না... আপনি যা বলেছেন, তা হয়তো হতে পারে... প্রতিক্রিয়া... 'বিশ্লেষণ'-এর গ্রাউন্ড ব্যাসিক্যালি কোনো না কোনো টেনেটে দাঁড়ায়... ব্যক্তিগত অবসারভেশান ছাড়া তা আমি খুঁজে পাইনি বলেই বলতে চেয়েছি... সেটা আমার পাঠ-দূর্বলতাও হতে পারে...

নিঝুমের লিখা বা প্রভাব বা তা নিয়ে আপনার মন্তব্যে আমার কোনো মন্তব্য নেই...।

ভাল থাকুন

অতিথি লেখক এর ছবি

বিশ্লেষণ খুব ভাল লাগল-
লেখক নিঝুম চৌধুরি কি বলেন - তা দেখার অপেক্ষায় আছি -
---
নায়েফ

নিঝুম এর ছবি

আমাদের স্কুলে এক স্যার ছিলেন।কামাল হোসেন।কম্পিউটার শিক্ষা সাব্জেক্ট টা পড়াতেন।কোন এক অদ্ভুত কারনে স্যার আমাকে ফারুক চোধুরী ডাকতেন।যতবার তাকে বলা হোত,স্যার আমি নিঝুম।ততবার তিনি তার বিকট গোঁফ নাড়িয়ে আর হাতের থাবা দেখিয়ে বলতেন।
-আমি যা ডাকি ওইটাই তোর নাম।থাবড়া চিনস?

আমি সাহসী হলেও বোকা ছিলাম না।সুতরাং আমি কোন কালেও কামাল স্যার এর কাছে থাবড়া চিনার চেষ্টা করিনি।তিনি আমাকে দীর্ঘ আট বছর ফারুক চৌধুরী ডেকেছেন।আর আমিও তা মেনে নিয়েছিলাম।কিন্তু আজ আপনি আমাকে নিঝুম চৌধুরী বলাতে,বিনয়ী কন্ঠে জানতে চাই,

আপনার কি একটি বিকট গোঁফ আর একজোড়া বিশাল হাত আছে?যা দিয়ে থাবড়া জাতীয় আঘাত করা যায়???
---------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

অতিথি লেখক এর ছবি

দু:খিত, ভুল হয়ে গেছে - ক্ষমা করবেন।

nayeef82@gmail.com

অতিথি লেখক এর ছবি

এ লেখা পাঠককে শুধুমাত্র আমোদিত করে না, হাস্যরস জোগায় না, বরং গভীর ভাবনার এক সমুদ্রের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। বাস্তবের পৃথিবী থেকে পাঠকরা প্রবেশ করে ঔপন্যাসিকের তৈরি করা ভুবনে। লেখক এখানে স্রষ্টা এবং তিনি শুধু জোকার হওয়ার মধ্যে তার সৃষ্টিশীলতাকে সীমাবদ্ধ রাখতে চান না।

অনন্য-সাধারণ এই কথাগুলোর জন্য আপনি আমার অভিবাদন গ্রহণ করুন , শোহাইল মতাহির চৌধুরী । আপনার বিশ্লেষন অনেক মনোযোগ দাবী করে । কিন্তু মুশকিল কী জানেন , মুক্তবাজার অর্থনীতির এই সময়ে বাজার-সাহিত্য নামে এক মরণব্যাধি বাসা বাধছে এই পোড়া দেশে । ফলে জোকাররাই শীর্ষে ! উপন্যাসের নামে কী কু-খাদ্য যে বিলনো হচ্ছে প্রতিনিয়ত !!!
আর আমাদের মতো কিছু বোকা পাঠক , বসে থাকছি দিন গুনে , কবে আরেকটা খোয়াবনামা'র দেখা পাই !!

কামনা করি নিঝুম বেরিয়ে আসবেন এই বিভ্রম থেকে , এই কূহক থেকে । তার গল্প পড়েছি । তাকে ও ধন্যবাদ । তবে, তার প্রতি আসা অভিযোগ মনে হয় অমুলক নয় ।

অরিত্র আন্দালিব, স্যুইডেন

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

অরিত্র, বিনয়ের সাথে আপনার অভিবাদন গ্রহণ করলাম।

বাজার-সাহিত্যের কথা তুলেছেন। আসলে একে রচনা বলাই ভালো। বাজার-চলতি রচনা নিশ্চই ইউরোপে কম না। বেস্টসেলার ফিকশনগুলো পেপারব্যাক হয়ে পাঠকদেরকে যাত্রাপথে সঙ্গ দেয় সর্বত্র। এগুলোকে সাহিত্য বলার দরকার নেই, কেউ বলেও না।

মিলস্ এন্ড বুনস্ এর সিরিজ, জোয়ান কলিন্স বা হ্যারল্ড রবিন্সের লেখা, কিংবা বেস্টসেলার তালিকায় বিক্রি হতে থাকা বইগুলো লাইব্রেরিতে লিটারেচার হিসেবে জায়গা পায় না। কেউ কেউ হয়তো আদর করে এদেরকে পপুলার লিটারেচারের আসন দিতে চায়। এতেও আপত্তির কিছু দেখি না। লিটারেচার না হোক, পপুলার তো। ৫০% সত্যই বা কম কি।

সবার সাহিত্য করার ক্ষমতা নেই, তারা বই/রচনা লিখবে লিখুক। যারা এরকম গতানুগতিক বই লিখে তাদেরকে হেনস্তা করার দরকার নেই। তারা পাঠক-বৃদ্ধি ও বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে সহায়ক শক্তি।

সাহিত্য লেখতে হবে সৃজনশীল লেখককে। কয় কপি বিক্রি হবে বা কত টাকা পাওয়া গেলে সাহিত্যিকের ভরণ-পোষণ নিশ্চিত হবে এটা হিসেবে রেখে সাহিত্যিকরা কখনও সাহিত্য করেন না। তবে যদি সাহিত্যের প্রতি আগ্রহী মানুষের সংখ্যা বাড়ে, পাঠক ও ক্রেতা বাড়ে তাহলে সাহিত্য ও সাহিত্যিক সবার জন্যই মঙ্গল।

আপনাকে শুভেচ্ছা। দ্রুত সচল হয়ে যান।
-----------------------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

নিঝুম এর ছবি

কামনা করি নিঝুম বেরিয়ে আসবেন এই বিভ্রম থেকে , এই কূহক থেকে । তার গল্প পড়েছি । তাকে ও ধন্যবাদ । তবে, তার প্রতি আসা অভিযোগ মনে হয় অমুলক নয় ।

প্রিয় অরিত্র আন্দালিব সাহেব,

ভালো লাগলো আপনি আমার গল্প পড়েছেন।এবং আরো ভালো লাগলো আপনি পড়েই বুঝে ফেলেছেন আমি এক কুহক আর বিভ্রম এর মধ্যে আছি।যদিও আপনি আপনার মন্তব্যের শেষ লাইনে "মনে হয়" শব্দ দুইটি দিয়ে আমাকে আবারো বিভ্রমে ফেলে দিলেন।আপ্নি "মনে হয়" না বলে "নিশ্চিত" হলে আমি বিভ্রমে একটু কম থাকতাম।

ধন্যবাদ।ভালো থাকবেন

---------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

আসাদুজ্জামান রুমন এর ছবি

ফাটাফাটি

তারেক এর ছবি

আলোচনা, সমালোচনা, বিশ্লেষণ চলুক... নিঝুম ভাইয়ের মত নবীন লেখক যারা নিতান্ত শখের বশেই ব্লগে লিখেন (আমিও এই গোত্রের) তারা না আবার নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েন সমালোচনা পড়ে। আমি এই লেখাটা পড়ে কিছুটা হলেও ভীত; হয়ত অমূলক, তবুও হাসি
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

তারেক ফাঁকি দিয়েছেন পড়ার সময়। অবশ্য অনেক বড় পোস্ট। নিঝুমের আগ্রহের কারণেই লেখাটা তৈরি করা হয়েছে। নিঝুম নিজের লেখা সম্পর্কে বা তার গল্প লেখা বিষয়ে সবার বিশদ পরামর্শ চান।
-----------------------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

তারেক এর ছবি

শৌমচৌদা, আবার পড়লাম। নিখুঁত আলোচনা। আপনার পুরো বিশ্লেষণের কোথাও আমার বিন্দুমাত্র দ্বিমত নাই। জেল সুপারের সাথে কথোপকথনের ব্যাপারে যেটা বলেছেন , সহজ ভাষা ছাড়াও এই লেখার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সিরিয়াস বিষয় নিয়ে তামাশা করা। -ঠিক এ ব্যাপারটা আমারো মনে হয়েছে। এবং মনে হয়েছে এই তামাশার ব্যাপারটা সচেতন নয়। কিন্তু কথোপকথন সত্যি তামাশার মত হয়েগেছে। এর কারণ ও আপনি সেটা সুস্পষ্ট বলে দিয়েছেন, নিজে লেখালেখি করতে গেলে প্রিয় লেখকের প্রভাব লেখায় আসতেই পারে। তবে নবীন লেখককে সচেতন থাকতে হবে এবং দ্রুত নিজের বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি করে ফেলতে হবে।
আমার ভয়ের ব্যাপারটা হল, একজনের লেখায় যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবেই কারো প্রভাব এসে পড়ে যে ব্যাপারে লেখক নিজেই সচেতন নন অথচ সচেতনভাবে সেই সত্যটা তিনি মেনেও নিতে ইচ্ছুক নন তখন যদি তাকে এই রিয়ালাইজেশনের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়, সেটা মেনে নেবার মত নার্ভ লেখকের আছে কি না (লেখকের দায়বদ্ধতা বলে সেটা থাকা উচিত)! এবং এ ক্ষেত্রে নিজের সমালোচনা কে লেখক নিঝুম মজুমদার যদি নেগেটিভলি নেন তবে তাঁর লেখায় নিজস্ব বৈশিষ্ট্য তৈরীর প্রয়াস তার স্বতঃস্ফূর্ততাকে ক্ষুন্ন করতে পারে। আগেই বলেছি ভয়টা হয়ত অমূলক।

আপনার দ্বিতীয় পর্ব পাঠের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ হাসি

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

দ্বিতীয় পর্ব রেডি। এক্ষুনি পেস্ট হয়ে যাবে।
-----------------------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

জিফরান খালেদ এর ছবি

ঐ ব্যাটা ফাইজলামি করস তারেইক্যা, থাবড়া দিমু একটা...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

প্রথমেই শোমচৌ-কে ধন্যবাদ এমন বিশদ বিশ্লেষণের জন্য।
সচলায়তনকে যখন রাইটার্স ফোরাম বলা হয়, তখন - 'ভালো লেগেছে/পড়লাম/হুমম' টাইপ কমেন্ট পেরিয়ে এরকম চুলচেরা বিশ্লেষণ দরকার।

বিশেষ করে সিনিয়র যাঁরা আছেন, তাঁরা এগিয়ে আসবেন বলে আশা করি।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

আপনার গল্প পড়েও একটা লম্বা মন্তব্য কিন্তু করলাম।
অবশ্য সেখানে এখন মন্তব্যের ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
-----------------------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

নিঝুম এর ছবি

প্রচলিত অবজেক্টিভ কোনো ছক বসিয়ে দেখিনি নিঝুমের লেখাকে। একেবারে উল্টে-পাল্টে মলাট-ভেতরের পাতা ভেঙে তার লেখাকে নাড়তে চেয়েছিলাম।
এতে নিঝুম হয়তো অন্যের দৃষ্টিতে তার লেখাকে দেখার সুযোগ পাবেন এবং পরে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন লেখালেখির কোন কৌশলগুলো তিনি প্রয়োগ করবেন এবং কোনগুলো আর ব্যবহার করবেন না।

তবে নিঝুমের গল্পটি নিয়ে এখনও আলোচনাই শুরু করিনি। আশা করছি আজকে পরের পর্ব লিখতে পারবো।

সকালে জিফ্রানের সাথে আন্ডারগ্রাউন্ডে দেখা হতেই জানালো শোহেইল ভাইয়ের এই লেখার কথা।দাঁতে দাঁত লাগলে শব্দ হয় জানি,কিন্তু লক্ষ্য করলাম জিফ্রানের দাঁতের দুই পাটি আলাদা হওয়ার সময়ও বেশ শব্দ হয়।শব্দ করতে করতেই জিফরান জানালো,

-মামা আপ্নারে তো দিসে।
ঝুটি আর ফ্রেঞ্চ কাট যুক্ত অত্যাধুনিক জিফ্রানের কাছে জিজ্ঞেশ করতেই,তেল তেলে আরেকটা শব্দ যুক্ত হাসি দিয়ে ভাইগ্না আবারো জানালো,
-দিসে...আপনি সচলে এপিটাফ নিয়া শোহেইল ভাইয়ের লেখা পইড়েন।

পড়লাম।
শোহেইল ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এই লেখার জন্য।এত কাজের ব্যাস্ততার মাঝেও যে তিনি সময় বের করে লিখেছেন তাতেই আমি দ্গ মুগ্ধ।আবারো ধন্যবাদ শোহেইল ভাইকে।

আমি পরের পর্বের অপেক্ষায় থাক্লাম।তখন না হয় একবারে আমার কথা বলা যাবে।
পরের পর্বের অপেক্ষায়...

--------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

ইস, কবে যে আপনার সমালোচনা পাওয়ার মতো একটা লেখা লিখতে পারব!!!
রীতিমতো সাহিত্যের ক্লাস মনে হইছে ...(বিপ্লব)
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।