রোজনামচা -০২

শ্যাজা এর ছবি
লিখেছেন শ্যাজা (তারিখ: রবি, ১৪/০৯/২০০৮ - ১১:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লিখি না, লেখা হয় না
-------------------

রমযানের গোটা মাসটাই আমি ঝিমোই। পারতপক্ষে দিনের বেলায় বাইরে কোথাও যাই না। যেটুকু না করলেই নয় কাজও সেটুকুই করি। সন্ধেয় পরপর দু কাপ চা খেয়ে মনে হয়, নাহ, এবার একটু নড়াচড়া করা যাক! তো খানিকটা চাঙ্গা হয়ে নিয়ে আমি ব্যায়ামাগারে যাই। যদিও প্রতিদিনই সকাল থেকেই মনে মনে ঠিক করা থাকে, আজকে আমি কিছুতেই যাব না, কিন্তু সন্ধের পর মনে হয়, যাই, ঘুরেই আসি এবং আমি ঘুরে আসি। ক্লান্তির একটা ভোঁতা অনুভূতি ঘিরে রাখে আমাকে। মাথা কাজ করে না। এক মগ চা নিয়ে এসে টেলিভিশনে বিগ বস চালিয়ে দিয়ে বিছানায় এসে বসি। ধীরে ধীরে চা খাই। চোখ বুজে বুজে বিগ বস দেখি। লিখবো বলে সমস্ত ওয়েব পাতা থেকে নিজেকে ছুটি দিয়ে রেখেছি বেশ কিছুদিন হল কিন্তু লেখা কিছুতেই এগুচ্ছে না। এই এগুচ্ছে না বলাটা নিজের কাছেই বেশ একটা বাহানা বা বিলাসিতা বলে ঠেকে কিন্তু এগুচ্ছে যে না এটা ঘটনা।

সকালবেলায় বেশ একটু বেলা করে ঘুম থেকে উঠি বলে রাতে ঘুম আসতে দেরী হয়। দেরী করে ঘুমুতে যাওয়াটা যদিও অভ্যেসে দাঁড়িয়েছে কিন্তু এখন রাত প্রায় ভোর হয়ে যায় ঘুম আসতেই। ভদ্রলোকটি বলেন, ঘুম আসছে না এ তো খুব আনন্দের কথা, ওঠো, বসে লেখো! আমি সেটাও পারি না। টেলিফোনের বিল, ইলেকট্রিকে বিলেরা আমার চোখের সামনে ঘুরে বেড়ায়। কবে যেন লাষ্ট ডেট? ওহ, কালকেই তো! মিক্সিটা সারাতে হবে, আদা বাটতে গিয়ে বিনা নোটিশে চুপ করে গেছে জিনিসটা। দরজার তালাটা এখনো ঠিক হল না। মিস্ত্রী ব্যাটা কবে যে আসবে কে জানে!

বাবা তুমি কেমন আছ?
-------------------

বাবার কথা খুব খুব মনে পড়ে। রমযানের পয়লা শুক্কুরবার দুপুরে বাবার ফোন আসে, কেমন আছ এমু? আজকে সবাই বাড়িতে এসেছে, তুমিই শুধু নেই, তোমার কথা খুব মনে পড়ছে। কিছু বলতে পারি না। চোখ ভিজে আসে। শোরগোলের শব্দ শুনতে পাই। ভাইয়ের বাচ্চাদের কলকাকলি ফোনের এপারেও শুনতে পাই। বাবা বলেন, তোমার মা রান্নাঘরে, কাবাব বানাচ্ছে আজ বড়বৌকে সাথে নিয়ে। মন চলে যায় পেছনে, অনেক পেছনে। একসময় মায়ের সাথে এই কাজগুলো আমি করতাম। নালিশ জানান বাবা, বলেন, তোমার জন্মদিনের কেক 'নুন' আমাকে খাওয়ায়নি! নুন, আমার ভাইয়া। বাবাকে বলি, ওকে বলে দেবেন, ওর খবর আমি এসে নেব। ওদিক থেকে ভাইয়া বলে, তুই এলে তবে কেক হবে, নইলে তোর কেক কে কাটবে! বাবা বলেন, পারলে তাড়াতাড়ি বাড়ি এসো! বুজে আসা গলায় বাবাকে জিজ্ঞেস করা হয় না, বাবা তুমি কেমন আছ?

এবছর জন্মদিনে দুপুর অব্দি বাবা বা মায়ের ফোনে না আসাতে বাবাকে এসএমএস করি, যেমনটি গতবছর বাবা করেছিলেন তাঁর নিজের জন্মদিনে আমার ফোন না পেয়ে, নিড ওয়ান বার্থডে কেক, চানাচুর এন্ড আ পেয়ার অফ হিলশা ফিশ! খানিক বাদেই বাবার ফোন আসে, জানতে পারি ভাইয়ের সদ্যোজাত শিশুপুত্রটি নিমোনিয়ায় আক্রান্ত, হাসপাতালে আছে, অক্সিজেন চলছে, সকলেই হাসপাতালে। বাবা বলেন, ভুলেই গেছিলাম তোমার জন্মদিন! তোমার মা'কে বলছি, রাতে রান্না টান্না করতে। ভাইয়ার উপর হুকুম হয়, কেক নিয়ে আসতে। সেদিন ভাইয়াও ব্যস্ত থাকায় সন্ধেবেলায় কেক আসেনি আর বাবা সেটা ভোলেননি এখনও। নির্ঘুম রাতে বাবাকে খুব মনে পড়ে। কেন কে জানে আমি বাবাকেই বেশি ভালবাসি। স্মৃতিতে, ভাবনায় বাবাই বেশি থাকেন। মা'য়ের থেকে বাবা অনেক অনেক বেশি কাছের মানুষ আমার। সুখ-দু:খ-ক্ষোভ-অভিমান -আব্দার সবই বরাবর বাবার কাছে। ছেলেবেলার স্মৃতিতে এখনও উজ্জ্বল, দুপুর বেলার সেই চড়ুই পাখির গল্প বলতে বলতে বাবার ঘুমিয়ে পড়া। বাবার সঙ্গে আমিও অফিস যাব বলে রোজকার সেই বায়না। ছুটির দিনে বাবার সাথে গাড়ি করে কখনও তামাবিল, কখনও জাফলং তো কখনও গ্রামের বাড়িতে বেড়ানোর সেই দৃশ্য আজও অমলিন। কত কত বছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু এখনও দেখতে পাই ঈদের আগের রাতে বাবার সাথে গিয়ে কিনে আনা লাল -সাদা রঙের হিলজুতো আর ফ্রিল দেওয়া টকটকে লাল ফ্রক। লাল বাবার প্রিয় রং! প্রতিবছরই ঈদে লাল জামা কেনা হয় বলে মায়ের মৃদু অনুযোগ। ঈদ এলে আমি ভীষণ ভীষণ মিস করি আমার সেই লাল জামাগুলো আর হিলজুতোকে।

চাই নতুন ধর্ম
------------

এ'বছর রোযার আগে আমার পতিদেবের সঙ্গে একটু বাক্যবিনিময় হয় রোযা রাখা নিয়ে। রোযা কেন রাখব? আমার যুক্তি যাই হোক না কেন নিমেষেই তিনি সেটা খন্ডন করে দেন। আমার জ্ঞান-গম্যি বড় কম বলে আমি তার সাথে কখনও তর্কে যাই না বিশেষ করে তিনি যদি তরলে থাকেন। তিনিও জানেন, সারা বছর ধম্মো-কম্মের ধারে কাছে আমি না থাকলেও এই একটা মাস রোযা আমি করবই কাজেই তিনিও চুপ করে যান। কিছুদিন আগে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ধর্মে কি আছে? একটা নতুন ধর্ম বানাতে গেলে কী কী লাগে? আকবর একটা ধর্ম প্রচার করেছিলেন না? সেই ধর্মের মূল ফান্ডা কি ছিল? আমার উপরে ফরমান জারী হয়, গুগলাও, লোকজনেরে জিগাও আর আমাকে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। প্রশ্নগুলো কাওকে করা হয়নি আর এনিয়ে সে'ও পরে আর কথা বাড়ায়নি।

মোকামের সালাম
--------------

খবরের কাগজে বিজ্ঞাপণ দেখে সন্ধেবেলায় কোনমতে রোযাটা খুলে দৌঁড়াই, জ্ঞান মঞ্চের দিকে, 'মোকাম'এর লাইভ প্রোগ্রাম দেখতে। প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার কথা সাড়ে ছ'টায়, দশ মিনিটে ইফতার-চা সেরে বেরুতে বেরুতেই আমার ছ'টা দশ বেজে যায়। হলে পৌঁছুই পৌণে সাতটায়। আগের দিন পয়তাল্লিশ পাউন্ডের বার্বেল নিয়ে ডেড লিফট করতে গিয়ে খট করে লাগে শিরদাঁড়ায়। ফোনে ডাক্তার ফতোয়া দেন, কমপ্লিট রেষ্টএর। গরম সেঁক, ব্যথার ওষুধ সমানে চলছে। আমি ব্যথাকে একরকম অগ্রাহ্য করেই গান শুনতে যাই। পিঠ সোজা করে চেয়ারে বসে থাকি। বেশ খানিকটা হতাশ হই মঞ্চে কালিকাপ্রসাদ'কে দেখতে না পেয়ে। পাশে বসে থাকা আমার ভদ্রলোকটিকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারি, কালিকাপ্রসাদ এখন আর মোকামে গান করেন না। মঞ্চে গান করে ময়ূখ, মৈনাক। নতুন পুরোনো গান মিলিয়ে বেশ অনেকগুলো গান শোনায় তারা। পুরনো গানগুলো খুব একটা ভাল লাগল না কাল। প্রধান গায়ক কালিকাপ্রসাদের জায়গায় দাঁড়িয়ে গান শোনায় ময়ূখ। জমে না। হাততালি পড়ে। একের পর এক গান গায় ওরা। ওদেরই এক সঙ্গী ভায়োলিন হাতে মাঝে মাঝেই মঞ্চের সামনের দিকে এগিয়ে আসছিলেন আর অসাধারণ ভায়োলিন বাজাচ্ছিলেন তিনি। গান, অন্যান্য বাজনা সব ফিকে লাগে তার ভায়োলিনের কাছে।

অন্ধকারে হঠাৎ দেখতে পাই সামনের রোয়ের ফাঁকা চেয়ারে এসে এক ভদ্রলোক বসলেন একটি শিশুর হাত ধরে। চেনা চেনা লাগছে না? হ্যাঁ। চিনি তো! কিছুদিনে আগে ওনার গান শুনেছহিলাম এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে। কালিকাপ্রসাদের সাথে সেদিন ইনি ছিলেন অন্যতম গায়ক। নামটাও মনে পড়ে গেল সাথে সাথে, শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার। মনে থাকার বিশেষ কারণ, ফেব্রুয়ারী মাসের সেই অনুষ্ঠানে উনি একুশে ফেব্রুয়ারী নিয়ে অনেক কিছু বলেছিলেন, তার বাংলাদেশ সফর, সিলেট, ঢাকার একুশে ফেব্রুয়ারীর নানা অনুষ্ঠান, গান নিয়ে সেদিন তিনি ও কালিকাপ্রসাদ অনেক কথা বলেছিলেন, অনেক গান শুনিয়েছিলেন। সেদিন তাঁর গান আড় কথা শুনতে শুনতে আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল বারে বারে। আমার মনে হচ্ছিল আমি কলকাতায় নেই, আছি বাংলাদেশেই, ঢাকাতেই। হাজির আছি একুশে ফেব্রুয়ারীর এক অনুষ্ঠানে, শুনছি গান, কবিতা। সেদিন কালিকাপ্রসাদ আর শুভপ্রসাদ দু'জনে মিলে কলকাতার এক ছোট্ট আর্ট গ্যালারীর এক ঘরোয়া গানের আসরে হাজির করেছিলেন বাংলাদেশকে। আমার দেশকে। গান শেষে আমি যেচে গিয়ে তাঁর সাথে আলাপ করেছিলাম। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলাম ও‌ই অনুষ্ঠানের জন্যে। অন্ধকার হলঘরে ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকাতে গিয়ে আমাকে দেখে চিনতে পারলেন। আমি কথা বললাম গানের বিরতিতে। এই মানুষটাকে আমি চিনি না, জানি না। শুধু একদিন তাঁর গান শুনেছিলাম। তিনি বাংলাদেশী নন তবু তাঁকে আমার দেশের মানুষ বলে মনে হয়েছিল। এক আত্মীয়তা অনুভব করেছিলাম । তাঁকে দেখে কালকে আমার মন ভরে গেল।

মোকামের কয়েকটি গান।
১-ভালবাসার পদাবলী
২-ভাটি উজান
৩- ঘরের ভিতরে ঘর
৪-পাহাড়ে ঝিলমিল
৫- রাত জাগে রাত জাগে রে


মন্তব্য

শ্যাজা এর ছবি

ও হে মডু ভাইগণ, কেউ কি আছ? লিংকগুলো একটু ঠিক করে দাও না প্লীজজজ...


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

আপনেগরে পাইসে কি কন দেখি! ছয়মাস পর শিমুল আইয়া কইলো মন খারাপ আর আপনে নয়মাস পরে আইলেন কতগুলা সমস্যা নিয়া! কোনটা থুইয়া কোনটা পড়ি?
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হা হা হা
সবই পড়তে হবে, জুলিয়ান ভাই। কোনোটাই থুইতে পারবেন না।
আপনার লেখা খুব খুব ভালো লাগলো, শ্যাজা।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

শ্যাজা এর ছবি

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শিমুল।


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

শ্যাজা এর ছবি

জুলিয়ান,
সবই পড়েন। একটা একটা কইরা পড়েন হাসি


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

শ্যাজা এর ছবি

মন খারাপ


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আরে মিয়া। আনন্দ করেন আর আনন্দ করেন।

খালি বিড়ি খাওয়ার পারমিশন থাকলে আমি সারাজীবন রোযা রাখতাম। খাওয়া দাওয়ার চিন্তা নাই।

লেখাটা অনেক ভালো লাগল। অনেক।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ও হ্যাঁ, দ্বিতীয় প্যারাটা কেমন যেন। বড্ড অতীতের কথা মনে করিয়ে দেয়, সে কারণেই বোধহয় দুবার পড়লাম।

অতীতের কথা ভেবে কষ্ট পেতে পৃথিবীর কোন মানুষটা ভালোবাসে না।

ভালো থাকবেন।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

শ্যাজা এর ছবি

পরিবর্তনশীল,
বিড়ি না খাইতে পারাটা একটা সমস্যা বটে মন খারাপ তবে আমি সারাজীবন বা সারা বছর রোযা রাখতে চাই না। এগার মাস পরে একমাস যথেষ্ট!

আপনিও খুব আনন্দ করেন আর করেন আর করেন হাসি


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভেবেছিলাম এবারের ঈদে বউ বাচ্চা নিয়ে কলকাতা যাবো ঘুরতে। অনেকদিন যাওয়া হয় না। বউ কখনো যায়নি কলকাতায়।
আজ সিদ্ধান্ত পাল্টালাম। পূঁজার প্রয়োজনে কলকাতা নিশ্চয়ই সরগরম থাকবে? আর ঢাকা থেকেও এতো লোক যাচ্ছে শুনছি। পূঁজাটা শেষ হলেই যাবো।
ভালো থাকবেন।
লেখাটা ভালো লাগলো... আজ সারাদিন গিজার থেকে চুয়ে চুয়ে পানি ঝরে বারান্দাটা ভিজেছে... মিস্ত্রি ডাকতে সময় পাইনি। কাল ডাকতেই হবে।
রোযা আমার কখনোই রাখা হয় না। রাখি না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শ্যাজা এর ছবি

নজরুল,
ঈদের সময় বা ঈদের পরে কলকাতা বেড়াতে আসতেই পারেন। পুজো তো শুরু হচ্ছে পাঁচ তারিখ থেকে আর কলকাতার পুজো দেখা যে একটা অভিজ্ঞতা সে যিনি বা যারা দেখেছেন তারা জানেন। তবে ভীড় অ্যাভয়েড করতে চাইলে পরে আসাই ভাল। আর হোটেল থেকে নিয়ে ট্রেনের টিকিট ইত্যাদি অনেক আগে থেকে বুক করে না রাখলে শুধু কলকাতাতেই বসে থাকতে হবে, বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না।

গিজার সারানো হল?


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

দ্রোহী এর ছবি
ধ্রুব হাসান এর ছবি

ধন্যবাদ গানগুলোর লিংক-এর জন্য।

নিরিবিলি এর ছবি

লিখাটা ভাল লাগলো। হাসি

অনিকেত এর ছবি

সব সময়ের মত এ লেখাটাও দারুন---স্মৃতিমেদুর।

গানগুলোও বেশ লাগল।

মোকাম সম্পর্কে আরো কিছু জানতে ইচ্ছে করছে।

জানাবেন?

শ্যাজা এর ছবি

অনিকেত,
মোকামের ওয়েবসাইটের লিংক দিলাম। দেখে নেবেন। ওদের আর্কাইভটাও দেখবেন।
http://www.mokammusic.com/


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

ধুসর গোধূলি এর ছবি

অনিকেত বলেছেনঃ-
সব সময়ের মত এ লেখাটাও দারুন---স্মৃতিমেদুর

আমি বলিঃ-
খালি স্মৃতিমেদুরই না বরং বেদনাবাদুরও! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

শ্যাজা এর ছবি

মন খারাপ


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমাদের শুভদা? শুভ প্রসাদ নন্দী মজুমদার । শিলচরের মানুষ । দুর্দান্ত সিলেটী হাসি

-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

শ্যাজা এর ছবি

হ্যাঁ মোরশেদ, উনিই শুভ'দা।
সেদিন উনি তোমাদের কথা বলছিলেন। সিলেটের বন্ধুদের কথা।


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

রানা মেহের এর ছবি

ভালো লাগা লেখা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

প্রথমে মনে হচ্ছিল লেখাটা বেশ বড়! স্ক্রল করে দেখে নিয়েছিলাম শুরুতেই। এরপর পড়তে শুরু করলাম। শেষ করার পর আপনার উপর হালকা রাগ লাগছিল। এত্ত ছোট লেখা কেউ দেয়!
এক টানে পড়ে ফেললাম। অসাধারণ! গানগুলো শোনা হয়নি, শুনব এখন। ভাল থাকুন। রোজনামচা-০৩ একটু বড় লিখবেন কিন্তু! হাসি
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

এন্টি স্মোক এর ছবি

পরিবর্তনশীল ভাই,
এইটা দ্যাখেন

রোজা রাখা সহজ হবে।

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

গানগুলো এখনো শুনছি দিদি। ভালই লাগছে আগে শুনিনি এদের গান। অনেকদিন পর লিখলে তুমি। আর রমজান মাস আসলে মুসল্লির সংখ্যা মনেহয় এমনিতেই বেড়ে যায়। যাদের টিকিটার দেখাও পাওয়া যায়না বাকি ১১ মাসে। মজাই লাগে ব্যাপারটা। আর তোমার বাবাকে নিয়ে লেখা প্যারাটা পড়তে পড়তে বেদনায় ভারাক্রান্ত হয়ে গেল মনটা। আগাম ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখলাম। ভাল থেকো।

--------------------------------------------------------

বিপ্লব রহমান এর ছবি

শ্যাজা দি,

আপনার ‌'ডায়রীর পাতা ছিঁড়ে' আমার খুব প্রিয় একটি লেখা। এখনো লেখাটি মাঝে মাঝে পড়ি। আর এই লেখাটিও বেশ ভালো।...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

কারুবাসনা এর ছবি

ধর্মের দরকার হচ্ছে না এখন, সেই জন্য চেপে আছি।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

কারুবাসনা এর ছবি

বলি লেখালিখি কি মাথায় উঠল?


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।