পাকিস্তানি জারজেরা

সবজান্তা এর ছবি
লিখেছেন সবজান্তা (তারিখ: শনি, ১৪/০৬/২০০৮ - ১১:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই মাত্রই শেষ হলো তিনজাতি কিটপ্লাই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। বেশ জমজমাট একটা ফাইনালে পাকিস্তান জিতে গেল।

ব্যক্তিগতভাবে আমি পাকিস্তানের ঘোরতর বিরোধী, ক্রিকেটে সমর্থনের প্রশ্নই আসে না - তবুও অনেকেই যখন “ক্রিকেটকে রাজনীতির সাথে না মিশিয়ে ফেলার” দোহাই দিয়ে পাক-সাফ দিলে তাদের পছন্দের দল পাকিস্তানকে সমর্থন করে, তখন অনেক কষ্টেও চুপ থাকি। সমর্থন না করা নিয়ে অনেক তর্ক করেছি এবং দেখেছি কুকুরের এ লেজ সোজা হবার নয়, তাই যথা সময়ে হালও ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু একটু আগে যা দেখলাম তা হজম করতে পারলাম না বলেই, এই পোস্টের সূত্রপাত।

শহীদ আফ্রিদির বলে তুলে মারতে যেয়ে বাউন্ডারি লাইনে যখন ক্যাচ আউট হলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, উল্লাসে লাফিয়ে উঠলো পাকিস্তানের শিবির, সেই সাথে গ্যালারিতে থাকা পাকিস্তানের সমর্থক দল। এতটুকু হয়তো সহ্য করা যায়, কিন্তু এর পরই টিভি স্ক্রীনে যা দেখলাম তা বমির উদ্রেকের জন্য যথেষ্ট।

একদল উল্লসিত বীর বাঙ্গালি জনতা আবেগের আতিশায্যে বাংলাদেশের ফ্ল্যাগ নেড়ে ছাগলের মত লাফাচ্ছে।

এসব পাকিপুত্র জারজদের কবে একটু লজ্জা হবে ? পাকিস্তানকে সমর্থন করাই যথেষ্ট অনৈতিক একটা কাজ বলে আমি মনে করি, তার উপরে পাকিস্তানের বিজয়ে বাংলাদেশের পতাকা নাড়িয়ে উল্লাস ?

এর বেশি আর কিছু লেখার নেই, থুথুতে মুখ ভরে উঠছে।


মন্তব্য

তারেক এর ছবি

আমার কাছে দৃষ্টিকটু মনে হলো না তো! খারাপ লাগতো যদি পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ হত।
ভারতের সমর্থক বাংলাদেশীরাও কেউ লাফায়নি খুশিতে?
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

রেনেট এর ছবি

তারেক ভাই, পাকি কে সাপোর্ট করা, আর ভারতকে সাপোর্ট করা বোধহয় একি ক্যাটাগরিতে ফেলা ঠিক হবে না।
(স্বীকারোক্তিঃ আমি কিন্তু ইন্ডিয়ার সাপোর্টার ও নই)
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সবজান্তা এর ছবি

তারেক ভাই, আপনি মনে হয় আমার লেখাটা মন দিয়ে পড়েননি। খেয়াল করে দেখবেন যে, কারো লাফানোতে আমি আপত্তি জানাইনি ( যদিও পাকিস্তানের জয়ে লাফানোতে আমি অনেক আপত্তি দেখি ), আমার আপত্তি, পাকিস্তানের জয়ে বাংলাদেশের পতাকা তুলে লাফালাফি করাতে। অন্ততঃ আমার কাছে, এটা এক ধরনের অবমাননা বাংলাদেশের পতাকার।


অলমিতি বিস্তারেণ

তারেক এর ছবি

হতে পারে। তবে বাংলাদেশের পতাকা হাতে পাকিস্তানের সমর্থন যারা করছে তারা সচেতনভাবে ঘোরতর পাকি সমর্থক (খেলা/খেলার বাইরে) কিংবা ইচ্ছুক পতাকা অবমাননাকারী বলে মানতে আমার আপত্তি। এরা সবাই সাধারণ মানুষ এবং মোটের উপর ঘোরতর বাঙ্গালী-ই বটে। এবং তারা যা করেছে তাতে পতাকার অবমাননা হয় বলে যেমন আমার মনে হয় না তেমনি ভীষণ আপত্তিকর ঠেকছে ঢালাও ভাবে তাদের ছাগল কিংবা জারজ বলাতেও। আপনার দেওয়া গালিওগুলোই বরং আমার কাছে অনেক বেশি অশ্লীল ঠেকছে।
মন্তব্য করতে একটু বিব্রত লাগছে কারণ খেলা দেখি নাই। যা বললাম সেইটা আপনার লেখা পাঠের প্রতিক্রিয়ামাত্র। ভাল থাকুন।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

সবজান্তা এর ছবি

পাকিস্তান আমাদের সাথে কি করেছে, আশা করি তা জানার জন্য উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবার দরকার নেই। আমজনতা তথা ঘোরতর বাঙ্গালী সবারই এই সত্য জানার কথা।

পাকিস্তানকে সমর্থন করা আদৌ ঠিক কিনা, তা নিয়ে বিস্তর তর্ক হয়েছে, এ নিয়ে আর জল ঘোলা করতে চাই না। কিন্তু পাকিস্তানের বিজয়ে বাংলাদেশের পতাকা নাড়ানো যে কোন অংশেই শোভন না, সেটা বোঝার জন্য আশা করি উচ্চ শিক্ষার দরকার নেই, সুস্থ যেকোন একজন বাঙ্গালীর কাছ থেকে এতটুকু কমন সেন্স আশা করা যেতেই পারে।

মাঠে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের বিজয়উল্লাসে আমার কোন অস্বস্তি লাগে নি, কিন্তু যখন গ্যালারিতে দেখলাম একদল মানুষ বাংলাদেশের পতাকা নাড়াতে নাড়াতে লাফাচ্ছে, চিৎকার করছে, সেটা বুকে শেলের মত তীব্র ভাবেই বিঁধেছে।

আমি ঠিক জানি না, এহেন উন্নাসিক লোকদের ঢালাওভাবে ছাগল বলা, কিংবা জারজ ( শাব্দিক অর্থে যে নয়, ভাবার্থে সেটা আশা করি বুঝেছেন ) বলাটা কেন আপনার কাছে অশ্লীল ঠেকেছে সেটা আমার কাছে আদৌ পরিষ্কার নয়।


অলমিতি বিস্তারেণ

তারেক এর ছবি

আমাদের হল গেটের দারোয়ান রুহুল ভাই, জব্বার ভাই ভীষণ ভালোমানুষ। পাক-মন পেয়ার নন তাঁরা। হলের ক্যান্টিনে কাজ করে যে ছেলেগুলো তারা বাংলাদেশের খেলা থাকলে আগে ছুটি নিয়ে নেয়। পাকিস্তানের খেলা থাকলেও নেয়। তাদের জারজ ভাবতে ইচ্ছে করে না আমার। ছাগল বলতেও বাঁধে। উন্নাসিক বাঙ্গালী পুলাপানরাই সব না। গ্রামে গঞ্জে দেখেন... গ্যালারীর একটা অংশ আপনি দেখছেন। বিরাট আরেকটা অংশ ঠিক এইভাবেই ফিল করে।

আমার তো ভালো লাগছে শুনতে যে তারা এতটা বিবেকরহিত হয় নাই যে পাকিস্তানের পতাকা নিয়া মাঠে গেছে।

সেটা বোঝার জন্য আশা করি উচ্চ শিক্ষার দরকার নেই, সুস্থ যেকোন একজন বাঙ্গালীর কাছ থেকে এতটুকু কমন সেন্স আশা করা যেতেই পারে।

আর ভাই, আমার কমন সেন্স, উচ্চ শিক্ষা এইসবের আসলেই অনেক কমতি। সেইটা নতুন করে বলে নিজের দৈন্যতা প্রকাশ না করলেই কি হত না? রাগটা আমার উপরেই ঝাড়লেন তো? বিতর্কে জড়ালে কাছা খুলেই নামতে হয় এটা জানা ছিলো না।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

সবজান্তা এর ছবি

হলের ক্যান্টিনে কাজ করে যে ছেলেগুলো তারা বাংলাদেশের খেলা থাকলে আগে ছুটি নিয়ে নেয়। পাকিস্তানের খেলা থাকলেও নেয়। তাদের জারজ ভাবতে ইচ্ছে করে না আমার। ছাগল বলতেও বাঁধে।

আপনি বারবারই আমার কথাটা মিস করে যাচ্ছেন। আমি কিন্তু গালিটা তাদের দেইনি যারা পাকিস্তান সমর্থন করে ( যদিও আমার ব্যক্তিগত মত সেটাও এক ধরণের অপরাধ, আর সেইটা হলের ক্যান্টিন বয় কিংবা রাষ্ট্রপতি যেই করুন না কেন ), আমি এই বিশেষ শব্দযুগল ব্যবহার করেছি, আজকে যারা মাঠে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছে পাকিস্তানের বিজয়ে, তাদের উদ্দেশ্যে।

আর ভাই, আমার কমন সেন্স, উচ্চ শিক্ষা এইসবের আসলেই অনেক কমতি। সেইটা নতুন করে বলে নিজের দৈন্যতা প্রকাশ না করলেই কি হত না? রাগটা আমার উপরেই ঝাড়লেন তো? বিতর্কে জড়ালে কাছা খুলেই নামতে হয় এটা জানা ছিলো না।

খুব সম্ভবত আমার লেখাতো বটেই আমার মন্তব্যও আপনার বোধগম্য করতে ব্যর্থ হয়েছি আমি। সেই ব্যর্থতার দায়ভার মাথায় নিয়েই বলছি, জানি না কেন আপনি নিজের কাঁধে এই কথাগুলিকে চাপাচ্ছেন। আমি এগুলি খুব সাদা মনেই সেই সব বাঙ্গালীর উদ্দেশ্যেই বলেছি যারা পাকিস্তানের জয়ে নিজের দেশের পতাকা উড়ায়। আপনার উপর রাগ ঝাড়লাম - এমনটা কেন মনে হল, তাও আমার বোধের অগম্য।

অন্তত একজন সচল হিসেবে যে কোন লেখার পরই তার প্রেক্ষিতে যে কোন ধরণের মন্তব্যের জন্য প্রস্তুত থাকি। তাই কাছা খুলে বিতর্কে নামার কিছু আমি দেখি না।

সত্যিকার অর্থে এটাকে আমি কোন বিতর্ক বলেই ভাবি না। আপনি হয়তো এ ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করতে পারেন, কিন্তু এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ আমার মনে নেই যে আমি বিতর্কে জড়াবো।

আশা করছি, আমার লেখার কিংবা মন্তব্যের কোন অংশকেই আর ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না। এতটুকু ভদ্রতা যে আমার থেকে আশা করতে পারেন, সে নিশ্চয়তা দিতে পারি।

ভালো থাকবেন।


অলমিতি বিস্তারেণ

তারেক এর ছবি

শুধু স্টেডিয়ামে উপস্থিত কিয়ৎ অংশ ধরলেন? আপনি কি এটাকে একটা মন-গত আচরণ বলে মানেন না? জব্বার, রুহুল ভাইয়ের মত লোক তো কম না যারা স্টেডিয়ামে যাওয়ার সুযোগ পেলে পতাকা হাতে উচ্ছাস ঠিকই করতেন। এটা স্বীকার্য না হলে এই পোস্টের অর্থ সত্যি আমার বোধের অগম্য।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

সবজান্তা এর ছবি

দেখুন হয়তো জব্বার কিংবা রুহুল ভাইরা স্টেডিয়ামে গেলে পতাকা হাতে নিয়ে নাচানাচি করতো, হয়তো করতো না। যতক্ষণ পর্যন্ত না কেউ সে কাজটা করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কিভাবে তাকে এই দলে ফেলা যেতে পারে ? তাই যারা করেছে, তাদেরকেই বলেছি। তবে অবশ্যই যারা মনে মনে এরকম লাফালাফির জন্য বেচেইন, তারা সবাই এই দলে পড়বে।

আর হ্যা, পাকিস্তানকে সমর্থন করলে যে দোষে দোষী হতে হয়, সে দোষে রুহুল ভাই কিংবা জব্বার এরা সবাই দোষী, অন্তত আমার কাছে।


অলমিতি বিস্তারেণ

রেনেট এর ছবি

ঘুম থেকে উঠে পাকি জিতেছে শুনেই মেজাজ খারাপ হল। তার উপর আবার এ পোস্ট।
জীবনে যত খারাপ গালি শুনেছি, সব একসাথে মনে পড়ছে।
পোস্টের জন্য (বিপ্লব)
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

গালি দেয়াটা সমর্থন করলাম।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

দিগন্ত এর ছবি

আমার ম্মনে হয় আপনি বড়ই জেনারালাইজ করে ফেলেছেন ব্যাপারটা। খেলায় সমর্থনটা অনেকটা বীরপূজা থেকে আসে। অনেকে সেই কারণেই পাকিস্তানকে সমর্থন করেন।

এমনিতে ভারতীয় টিমের মাত্রাতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই ফাইনালে ডুবিয়েছে, একই দিনে সাফ ফাইনালেও দেখলাম ভারত হেরেছে, একই কারণে।


হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

সবজান্তা এর ছবি

বীরত্বের পূজাটা নিশ্চয়ই দোষের কিছু নয়। সে দিক দিয়ে হয়তো কোন খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত পারদর্শিতার ভক্ত যে কেউ হতে পারেন। কিন্তু একজন খেলোয়াড় তাঁর দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেন, সে বিচ্ছিন্ন কেউ নয়। যে দেশ জাতি আমার দেশকে লুটেছে, আমার স্বজনদের হত্যা করেছে, মা বোনদের ধর্ষণ করেছে এবং তারপর একবার ক্ষমা প্রার্থনা করার প্রয়োজনও বোধ করেনি, তাদের সমর্থন করার মত উদার আমি হতে পারিনি - হয়তো এটা আমারই সীমাবদ্ধতা।

আর পাকিস্তানকে সমর্থন করা উচিত কিনা - এই বহুল চর্চিত বিতর্কের মধ্যে আমি যেতে যাই না, আমি শুধু বলতে চাই , পাকিস্তানের মত দেশের বিজয়ে বাংলাদেশের পতাকা উড়ানো বালখিল্যতা এবং উন্নাসিকতার চরম।


অলমিতি বিস্তারেণ

ধ্রুব হাসান এর ছবি

ভাই কোন বিতর্কে না গিয়ে একটা কথা জিজ্ঞেস করি? খেলা দেখতে মানুষ পতাকা না নিয়ে কি নিয়ে যাওয়া উচিত বলতে পারেন; সে খেলায় নিজের দেশ বা দল খেলুল বা না খেলুল (যাষ্ট দেখতেও যদি সে মাঠে যায়)? আর পতাকা নিয়ে মাঠে বসে যদি দর্শক দেখে তার পছন্দের দ্বিতীয় দলটি জিতে গেছে তবে কি সে নিজের দেশের পতাকা ফেলে অন্যের দেশের পতাকা নিয়ে উল্লাস করবে?
(ঢাকা ষ্টেডিয়ামের কথা মনে পড়ে, এক বাঙ্গালী ললনা আফ্রিদি(?)রে কইছিলো 'মেরী মি'; তার চেয়ে তো এই আচরণ ঢের ভালো! কি বলেন?)

(বিঃ দ্রঃ যদিও দলটি ফাকঁ-স্থান , তারপরও খেলায় অন্য বিতর্ক না আনায় মনে হয় ভালো। ফাকি সাপোর্টার (এদের একটা বড় অংশই যাষ্ট সাধারন মানুষ, তাদের কথা বাদে) অনেককেই দেখেছি মুসলিম ব্রাদারহুদের দোহাই দিয়ে ফাক হতে ফাকিঁ সাপোর্ট করে; তাদের জন্য সমস্ত ঘৃণা ধিক্কার ঠিকাছে।)

সবজান্তা এর ছবি

কোন বিতর্কে না যেয়েই বলছি, খেলা দেখতে গেলে পতাকা নিয়ে উল্লাসে আমি খারাপ কিছু দেখি না। বিশ্বকাপ ফুটবলে যখন সারাদেশে ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনার পতাকা ওড়ে, তাতে আশা করি কারো গাত্রদাহ হয় না।

সমস্যাটা যত আমার পাকিস্তানকে নিয়ে। একজন গড়পড়তা বাঙ্গালী, সে যত ভালো মানুষই হোক, সে কি এতটুকু বুঝতে পারেনা, যে তার হাতে পাকিস্তানী পতাকা কিংবা পাকিস্তানের বিজয়ে বাংলাদেশী পতাকার ওড়াওড়ি শোভা পায় না ?

সমস্যাটার উৎস আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক যেই প্রেক্ষাপটেই হোক না কেন, আমার বিচারে সেটা এক ধরণের মানসিক জারজত্ব।

যেই হোক না কেন, পাকিস্তান কি এবং তারা আমাদের সাথে কি করেছে এবং তাদের সাথে আমাদের কি করা উচিত সেটা নিয়ে এতটুকু জ্ঞান তো একজন বাঙ্গালীর থেকে আমরা আশা করতেই পারি, তাই না ?


অলমিতি বিস্তারেণ

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

বন্ধু আমার- কোই ছিলেন এতদিন? ভেবেছিলাম আমি বুঝি একাই পাকিস্তানের সবকিছু ঘৃণা করি।

আমাদের দেশে পাকিস্তানের হাইকমিশন, পাকিস্তানের পতাকা হাতে নেওয়া যে কোনো দল- এমনকি পাকিস্তানের জাতীয় পোশাক কাবুলি সালোয়ার কুত্তাও ঘৃণা করা উচিত। অন্তত কারো ভেতরে ১৯৫২, ১৯৭১ এর নৃশংস ঘটনার প্রতি ছিটেফোঁটা মমতাও থেকে থাকে।

____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

খেকশিয়াল এর ছবি

পাকিস্তানের প্রতি মূহুর্তে জন্ম নেয়া শিশুগুলিকে আশীর্বাদ করি যেন ওরা মানুষের মত মানুষ হয়ে ওঠে, পাকিস্তানি নয় । আর কিছুই বলার নেই ।

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অমিত এর ছবি

গাধাগুলারে লাথি মেরে ইসলামাবাদ পাঠায় দেয়া দরকার ছিল।

পলাশ এর ছবি

সব্জান্তা ভাই
বিবেক নাড়ানো পোস্টের জন্য বিপ্লব
তারপরেও যদি কারো ববেক নইড়া ফাকইস্তানে পড়ে আপনের আমার কিছু করার নাই।
৭১' এর কথা মনে থাকলে বাংলাদেশে জন্মগ্রহনকারী কেউই শুধু ক্রিকেট কেনো কোন কিছুতেই ফাকি দের সমর্থন করত না।
সেইখানে ফাকস্তান এর বিজয়ে বাংলাদেশের পতাকা নিয়া লাফালাফি টা আমাদের মানসিক দৈনতারই বহিঃপ্রকাশ এবং সেইটার সপক্ষে যুক্তি দেখানো টাও মনে হয় একি কাতারে পরে।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা শুরুর পর থেকে যতই হারুক যতই বাজে খেলুক আর হাইরা এক্কেবারে তেনা তেনা হইয়া গেলেও আমি
বাংলাদেশ এর সমর্থক।
জুলিয়ান সিদ্দিকি ভাই আপনে একা না আমি আছি আরো অনেক আছে আপনার সাথে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সব্জু... ধারনা করি এই দেশে বহু লোক আছেন যারা বাংলাদেশ জিতলেও পাকিস্তানের পতাকা হাতে মিছিল করতে আনন্দ পাবেন।

এদের জন্য এখন আর ঘৃণা গালি কিছু হয় না... স্রেফ করুণা হয়... এরা জীবনেও মানুষ হইতে পারলো না...
আর অবাক হই... কিভাবে পারে এরা? পাকিস্তানের নামটারে সাপোর্ট করতে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তারেক এর ছবি

একটা নৈর্ব্যক্তিক অবস্থান থেকে পুরো প্রেক্ষাপটটা বিবেচনা করা যায় না? একজন শিশু জন্মের পর থেকেই নানান ভাবে ব্র্যান্ডিং এর শিকার হয়। জন্মলগ্নেই সে একটা ধর্মের উত্তরাধিকার, একজন রাষ্ট্রের নাগরিক, একটা পরিবারের সামগ্রিক প্রতিবেশের অনুগামী। এইগুলো সে অর্জন করে না বরং তার উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। তার বাংলাদেশী কিংবা কিংবা পাকিস্তানী কিংবা মুসলিম কিংবা হিন্দু বা অন্য ধর্মের অনুসারী 'হয়ে ওঠা' হয় না বরং 'হয়ে যায়'। কিছু প্রি-লোডেড কনসেপ্ট নিয়েই আমাদের চারপাশের মানুষজন বেড়ে উঠে। গোলাম 'র ছেলেরা তাই বাংলাদেশের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এর বাইরে সাধারণ মানুষের একটা বিরাট অংশ নিজের বিবেকবুদ্ধি প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত নেয়। শেষের দলের লোকজনের প্রতি নিজস্ব চিন্তার দায়ভার চাপানো চলে।

আমার খুবই ব্যক্তিগত ধারণা সুযোগ পেলে গোলামের অনেক অনুসারীরা এবং নব্য রাজাকার গোষ্ঠী নাগরিকত্ব নিয়ে পাকিস্তান চলে যাবার সুযোগ পেলে চলেই যেত।

কথা হচ্ছে মানুষ হিসেবে একজন মানুষকে দাঁড়ানোর জায়গা আমরা দিচ্ছি কি না? একটা ছোট্ট উদাহরন দেওয়া যায়, কখনো প্রয়োজন হলে একজন পাকিস্তানি মুমূর্ষুর জীবন বাঁচাতে রক্ত দেবেন?কিংবা একজন হাসিমুখ পাকির হাতে বাংলাদেশের পতাকা দেখলে আপনি কি খুশি হবেন না রেগে যাবেন?

নাকি ধুনফুন বাদ! আঙুল ট্রিগারেই থাকবে সবসময়?
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

সবজান্তা এর ছবি

অবশ্যই নৈর্ব্যতিক অবস্থান থেকে ব্যাপারটা দেখা যেতে পারে। প্রিলোডেড কনসেপ্টেও সহমত।

কিন্তু পাকিস্তান আমাদের কি হয়, তাদের সাথে আমাদের কি আচরণ করা উচিত, সেটুকু বোধ যদি কেউ নিজের থেকে অনুভব না করে সেটা কি দোষের না ? সবটুকুকে কি এই প্রিলোডেড কনসেপ্টের ঘাড়ে চাপিয়ে, দোষের হাত থেকে বাঁচা যাবে ?


অলমিতি বিস্তারেণ

তারেক এর ছবি

পাকিস্তানকে ঘৃণা করুন! প্রত্যকেটা পাকি যারা আমার দেশ নিয়ে অবমাননা করে তাদের ঘৃণা করুন। নির্বিচারে সব পাকি কে নয়।

আর দেশকে ভালোবাসলে দেশের মানুষের প্রতি আরেকটু শ্রদ্ধাশীল হউন। আমাদের মানুষ নিয়েই তো আমাদের দেশ। যারা স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী ঘৃণা/থুথু তাদের জন্যই জমা রাখুন। পতাকা অবমাননা অনেক গুরুতর অভিযোগ। কাউকে এভাবে অভিযুক্ত করার আগে বুঝে নিন সেটা কতটা তার ইচ্ছাকৃত আর কতটা আপনার স্ব-আরোপিত। কাউকে সরাসরি পাকি গালি দেওয়ার আরেকবার ভাবুন এই ঘৃণ্য সম্বোধনটা ঠিক মানুষকেই করা হলো কি না।

আমার যা বলার মোটামুটি এইটুকুই। আর কিছু বলার নাই।

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

হিমু এর ছবি

ভাই তারেক, পাকিস্তান জিতে যাওয়ায় নাচানাচি করা এক জিনিস, আর বাংলাদেশের পতাকা হাতে নাচা আরেক জিনিস। এই দুইটার তফাৎ সম্পর্কে কিছু বলেন।

মানুষকে মানুষ হিসাবে দাঁড়ানোর সুযোগ আমরা সবসময়ই দিয়ে আসছি, কিন্তু নিজেদেরকে মানুষ হবার সুযোগ দিচ্ছি না।

আপনি যদি আমাকে প্রশ্ন করেন, একজন মুমূর্ষু পাকিকে রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচাবো কি না, আমার উত্তর হচ্ছে, না। লেট হিম ব্লিড টু হেল। বাংলাদেশের পতাকা হাতে একজন হাসিমুখ পাকিস্তানী আগে আমাকে এনে দেখান, তারপর মন্তব্য করছি।


হাঁটুপানির জলদস্যু

সুমন চৌধুরী এর ছবি

অনেকদিন আগে কি একটা অনুষ্ঠানে যেনো ওয়াহিদুল হক বলেছিলেন বাঙালী যদি কোনদিন ঐতিহাসিকভাবে তাঁদের উপর জুলুমকারীদের ক্ষমা করে তাহলে সেই তালিকার সবচাইতে নীচে থাকবে পাকিস্থানীরা। কাকু চলে গেছেন দুবছর হতে চললো। কথাটা বুকে দাগ কেটে আছে।



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

তারেক এর ছবি

মানুষ হিসেবে নিজেদের দাঁড়ানোর সুযোগের ব্যাপারটা আমার কাছে একটু ভিন্নতর লাগে। করাচিতে বোমা হামলায় যখন পাকিস্তানিরা মরে আমার এক ধরণের হিংস্র আনন্দ হয়। কিন্তু ভেবে দেখলে মানুষই তো মরলো, হোক না সে পাকিস্তানি, চাইনিজ কিংবা বার্মিজ নাহয় বাংলাদেশি। কারো করুণ মৃত্যুতে আনন্দ হয় - এই ভাবনাটা আমার মানবিক ভাবনাগুলোকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেয়। এই বৈপরিত্য আমাকে মানুষ হিসেবে ছোট করে দেয়।

বাংলাদেশের পতাকা হাতে নাচার ব্যাপারটা দৃষ্টিকটু, কিন্তু ইচ্ছাকৃত অবমাননা বলে ঠিক মন থেকে সায় দেয় না। পতাকা অবমাননার উদ্দেশ্যে কিংবা বাংলাদেশকে ছোট করবার ভাবনা থেকে তো তারা খেলে দেখতে যায় নাই। আর একারণে তাদের গায়ে পাকি ছাপ লাগিয়ে মুখে থুথু দেওয়াটা ভালো লাগে নাই।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

স্পর্শ এর ছবি

পাকিস্থান আর বাংলাদেশের ব্যপার টা সিমেট্রিক না। ওরা বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে নাচলে ওদের পাশের বাড়ির লোকটা দেখবে নিরীহ বাঙ্গালী পতাকা হাতে নাচছে তার পড়শী।

কিন্তু আমাদের কেউ পাকিস্থানী পতকা হাতে নাচলে আমরা কিন্তু পাকিস্থান কে 'নিরীহ' তকমা দিতে পারিনা। আর যদি ওদের বিজয়ে নিজেদের (বাংলাদেশের) দেশের পতাকা হাতে নাচে তাহলে আমার মুখেও থুতু চলে আসবে।

মানুষ হিসেবে দাড়ানোর সুযোদ দিতে হবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে তার জন্য আমরা নিজেরা কত টুকু অবমাননার স্বীকার হচ্ছি।

আর নিজেদের অবমাননা করার অধিকার হয়তো আমরা রাখি। কিন্তু যারা আমাদের জন্য এত আত্মত্যাগ করল, এত নির্যাতন এর স্বীকার হল। তাদের ? তাদের অবমাননা করি কি করে??

....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সামি এর ছবি

কিন্তু একজন খেলোয়াড় তাঁর দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেন, সে বিচ্ছিন্ন কেউ নয়। যে দেশ জাতি আমার দেশকে লুটেছে, আমার স্বজনদের হত্যা করেছে, মা বোনদের ধর্ষণ করেছে এবং তারপর একবার ক্ষমা প্রার্থনা করার প্রয়োজনও বোধ করেনি, তাদের সমর্থন করার মত উদার আমি হতে পারিনি - হয়তো এটা আমারই সীমাবদ্ধতা।

ধরেন ফকরুদ্দিন সরকারের (কিংবা অন্য য়েকোন দলের ) যেকোন কাজের নৈতিক দায়ভার কি আপনি একজন বাংলাদেশী হিসেবে নিজের ঘাড়ে নিতে রাজি আছেন?

আমরা কি কেউ খৌঁজ নিয়ে দেখেছি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোন পাকি খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত ভাবনা কি?

সব পাকিস্তানি মানেই মাদারচোদ হবে এইটা মনে হয় ঠিক না ।

স্পর্শ এর ছবি

খেকশিয়াল এর সাথে আমিও সহমত।
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

কোন যুক্তি নয়, বিশ্লেষণ নয়।
খেলায় রাজনীতি থাকবে। সাউথ আফ্রিকা - জিম্বাবুয়ে বড় উদাহরণ। বিডিপাকি প্রজন্মের জন্য থুতু।

প্রিয় সবজান্তা, আপনি আমার শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।

রেনেট এর ছবি

প্রিয় শিমুল ভাই, এতদিন আপনি শুধু আমার প্রিয় লেখক/পাঠক ছিলেন।
উপরোক্ত মন্তব্যের জন্য আজ থেকে আপনি আমার প্রিয় মানুষ ও হলেন।
আপনাকে (বিপ্লব)
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

কীর্তিনাশা এর ছবি

আমার অফিসে একপিস মাল আছে যে বাংলাদেশ পাকিস্তানের খেলা হলেও পাকিস্তানের সাপোর্ট করে। এই কথা যে দিন জানতে পারছি সেই দিন থিকা ঐ মালের সাথে কথা বলা বন্ধ করছি। একদিন সেই মালটা আমাকে প্রশ্ন করলো - কি ব্যাপার ভাই আপনে আমার সাথে কথা কন না কেন? আমি কি বলব অফিস তাই মুখ খারাপ করতে পারি না । বললাম - আপনের সাথে কথা কইতে গেলেই মুখে থুথু জমে। তাই কথা বলতে পারি না।

তারপর থেকে ঐ মাল আর আমার কাছে ঘেষে না।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

রেনেট এর ছবি

হো হো হো
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

ব্যস্তবাগীশ অমিত আহমেদ এর ছবি

এত যুক্তির খাটাখাটির কি আছে সেটাই আমি বুঝলাম না। অবেগ থেকেই প্রতিটা বাংলাদেশীর গলদটা কোথায় হচ্ছে বুঝে যাওয়ার কথা। সবজান্তার জন্য ভালোবাসা।

এ বিষয়ে আমার একটা পোস্ট ছিলো অনেক আগে [এখানে]।

রায়হান আবীর এর ছবি

সামি লিখেছেন,

সব পাকিস্তানি মানেই মাদারচোদ হবে এইটা মনে হয় ঠিক না ।

সব পাকিস্থানী মাদারচোদ...তাদের গা থেকেও সারাদিন মাদারচোদ টাইপ গন্ধ আসে। হলে আমার পাশের রুমে ৪ পিস পাকিস্থানী থাকে। এইগুলার সাথে আমি জীবনেও কথা বলি নাই।

ভাবছিলাম এই বিতর্কে যোগদান করবোনা...যাই হোক আমি মনে করি পাকিস্থানকে কোন মতেই সমর্থন করা ঠিক নয়। নজরুল ভাইয়ের মতো করে বলি, যারা করে তাদের জন্য আমার করুনা হয়।
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

আবরার এর ছবি

অনেকের মনেই দেখি পাকিদের মানুষ বলে মনে হয়!
একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে এবং নিজের কর্মজীবনে পাকিদের কে খুব কাছ থেকে দেখার সুবাদে সামি ভাই এর মন্তব্যের শেষ লাইনের পদবিটা সব পাকিদের ক্ষেত্রেই ১০০০ ভাগ সত্য।
পাকিস্তানের সারগোদা তে আমার এক সহকর্মীর ব্যাক্তিগত গাড়ীটি চুরি হয়ে যায়।
সে যথারিতি পুলিশের কাছে যায় বাংলাদেশের পুলিশ আর কি দুর্নিতীবাজ আর ঘুষখোর পাকি পুলিশ এর কাছে ওই বিদ্যায় বাংলাদেশের পুলিশ এখনও শিশু।
পুলিশ বলে গাড়ী চুরি হয়নি হয়ত কোন বন্ধু নিয়ে গেছে দিয়ে যাবে কিছুক্ষন পরে!!!
পুলিশ এর আশা বাদ দিয়ে বিফল মনোরথে যখন বাসায় ফিরছিলেন তখন আরেক পাকি সহকর্মি সব শুনে বললেন সারগোদা থেকে ২ মাইল দূরে এক বাজার আছে সেই বাজারের মসজিদে যেয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ে হাজি দিন মুহাম্মদের খোজ করতে তিনি সাধারনত মসজিদের ডান দিকের দরজার পাশে বসা থাকেন।
সেখানে গেলে গাড়ীর খোজ মিলতে পারে
তবে আমরা যে বাংলাদেশী সেটা যেন না বলি
আর সাথে করে অন্তত হাজার দশেক রুপেয়া যেন নিয়ে নেই
আশির দশকে এটিএম এর চল ছিল না তাই রিতিমত চাদা তুলে গাড়ী উদ্ধারে বের হলাম
আমাদের গ্রুপের কেউই তেমন ভালো উর্দু বলতে পারতাম না সেই সময় সেই কারনে পাকি সহকর্মী কে সাথে নিয়েই যাত্রা শুরু করলাম।
মাগরিবের নামাজ এর আগেই পৌছে গেলাম নামাজ পড়ে যথারিতি সেই হাজি সাহেবের সাথে মোলাকাত শেষ করে
পাকি সহকর্মী গাড়ীর বর্ননা দিয়ে খোজ জানতে চাইলেন
হাজি সাহেব চোখ বন্ধ করে তসবিহ গুনতে গুনতে জানতে চান
কিতনা লেকার আয়া - কত নিয়ে আসা হয়েছে
পাকি শুধায় - যেয়াদা নেহি ইয়েলোগ গারিব আদমি বাস তাকরিবান পাচ হাজার দে সাকে ।
বেশি না এরা গরিব মানুষ আনুমানিক হাজার পাচেক এরা দিতে পারবে।
হাজি সাহেব ঃ লাখো রুপায় কি কিমাত কি গাড্ডিয়া তুম হাজার মে লেনে চাহতে হো!
দরাদরির শেষে ছয় হাজারে রফা হয়
সহকর্মীটি গাড়ী ফেরত পান
গাড়িতে উঠার আগে আমাদের সহকর্মীটি বলে উঠেন হাজি সাব আপ গুস্যা নেহি লেনা ত এক সওয়াল পুছ সাকতা হু?
হাজি সাব অভয় দেন কই গাল নেহি বাতাও
বন্ধুটি শুধায় আপ হাজি সাব হ্যা , হাত মে তাসবিহ আউর জেব মে চোরি কি গাড়ি ইয়ে ক্যায়সে বান সাকতা?
হাজি সাহেব এর উত্তর
তসবিহ দেখিয়ে বাচ্চে, ইয়ে মেরি দ্বীন হ্যায় আউর উও মেরি ধান্দা হ্যায়
দ্বীন আউর ধান্দে কো এক নেহি কারনা ।
বন্ধুটি কি বুঝলো জানি না বিরস বদনে চলে আসেন
আরো অনেক কথাই আসছে মন্তব্য বিশাল বড় হয়ে আসছে দেখে আর লিখলাম না ।
তবে ৯৯.৯৯% পাকিরা এভারেজ বাংগালিদের গাদ্দার এর জাত বলে মনে করে তা এইবার আপনি যত্ত বড় ভালো মানুষ আর ভালো মুসলমানই হোন না কেনো।
আর আপনি তাদের আপনার রক্ত কেনো কলিজা কেটে খাওয়ালেও দুই পাকিস্তানি এক হলে আপনি বাংগালি হবেন গাদ্দার এটা পরীক্ষিত সত্য কথা।
এরপরও যদি পাকিদেরকে আপনি মানুষ বলে মনে করেন ।
আমি সরি যে আমি সেই পরিমান ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি কোনোদিন পারবোও না ।

হিমু এর ছবি

আবরার ভাই, আপনার পাকিস্তানের অভিজ্ঞতার আরো কথা আমাদের জানাতে পারেন।


হাঁটুপানির জলদস্যু

তারেক এর ছবি

হিমু ভাইয়ের দাবীটা আমারও
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এই নিয়ে অন-দ্য-ফ্লাই একটা পোস্ট দিলাম।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

জাতি হিসেবে আমাদের আত্মসম্মানবোধে বিশাল একটা ঘাটতি আছে। কেউ অপমান করলে তাকে আমরা মাথায় তুলে রাখতে সক্ষম। প্রহৃত হয়েও প্রহারকারীকে জিজ্ঞাসা করি, আপনার কষ্ট হয়নি তো!

কোনো পাকি কোনোকালে আমার ভাই ছিলো না, হবে না। হিমুর সঙ্গে একমত যে, কোনো পাকিস্তানীকে রক্তের অভাবে মরতে দেখলেও আমি নিজে রক্ত দেওয়ার কথা ভাববো না। কারণ, আমার রক্ত শুধুমাত্র মানুষের শরীরের জন্যে উপযোগী, পাকির জন্যে নয়।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

সবজান্তা এর ছবি

সত্যি মন ভরে গেল !

মাঝে মাঝে চারপাশের দিকে তাকিয়ে ভাবি আমিই ওভার রিয়াক্ট করছি না তো ?

আপনাদের সবার মন্তব্যে সে সংশয় কেটে গেল।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।


অলমিতি বিস্তারেণ

খেকশিয়াল এর ছবি

সবজান্তার সাথেই বলতে চাই, সবার মন্তব্যে আমারও মন ভরে গেল ।

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

রেনেট এর ছবি

সন্ন্যাসী ভাই মনে হয় ব্যস্ত। উনি থাকলে দিতেন আরেক চোট ধোলানী। উনাকে মিস করছি।
প্রিয় সন্ন্যাসী ভাই, দেরীতে হলেও আপনি এসে আপনার ভাগের ধোলানীটা দিয়ে যাবেন।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সবজান্তা এর ছবি

ফাকিস্তানের যাবতীয় ফাকি এবং তাদের দেশীয় সকল এজেন্টকে যে কোন সময় ধোলাই দেওয়া যেতে পারে।

তাই যেদিনই আসুন না কেন সন্ন্যাসী দাদা, দেরী হবে না চোখ টিপি


অলমিতি বিস্তারেণ

দ্রোহী এর ছবি

আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হচ্ছেঃ-

পাকিস্তানী মাত্রই মাদারচোদ

যারা পাকিস্তানের বিজয়ে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে উল্লাসে মত্ত হয় তাদের জন্য আমার কোনরূপ সমবেদনা নাই।

ক্ষমাশীলতা হচ্ছে একধরনের দুর্বলতা। এই চিরন্তর সত্য কথাটি একাত্তর পরবর্তী সময়ে আরেকবার প্রমাণিত হয়েছিল।


কি মাঝি? ডরাইলা?

রেনেট এর ছবি

বন্দুক নিয়া এখনও দাঁড়িয়ে আছেন কিল্লাই? গুলি করেন, বাড়ি দিয়া মাথা ফাটাইয়া ফালান ২-৪ টার।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍রেনেটের ধারণা সত্য। ব্যস্ততা ছিলো। পুরোপুরি কাটেনি যদি এখনও। তবু পাকি-বিরোধীদের দলে আমি আছি ব্যাপকভাবেই, সেটা জানাতেই লগ-ইন করলাম।

বিস্তারিত মন্তব্য (রেনেটের ভাষায় "ধোলানী") অবশ্যই লিখবো। বিলম্বে হলেও।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।