রাপুখাপাং -১

সবুজ বাঘ এর ছবি
লিখেছেন সবুজ বাঘ (তারিখ: বুধ, ৩০/০৬/২০১০ - ১১:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অমিয় রাজা যখন ভর দুপরে কিংবা রাত দুপুরে ‘আমার খুব ভাল্লাগতাছে..আমার খুউব ভাল্লাগতাছে’ বলে গুঙিয়ে উঠতো, আমরা তখন বুঝতাম শালারপুতে হিরোইন খাইছে। সেইসব দিন বিগত হইয়াছে বহুকাল। এর মধ্যে বহু ডোনাডুনি ঘটে গেছে নিজেদের লাইফেই। তাই শ্যালকপুত্র অমিয় রাজা বেঁচে আছে কি নেই, আমরা তা জানি না। বেঁচে থাকলেই বা কী করিতেছে আর মরে গেলেই বা কী বিল্ব ছিড়িতেছে তাও না।

ফলে আমার খুব ভাল্লাগতাছে বলে অমিয় রাজা দুই হাত দুই পাশে ছড়িয়ে দিয়ে যেভাবে চিল পাখি সাজার অভিনয় করতো, সেই মনোহর দৃশ্যটুকুই এখন আমাদের সম্বল। যদিও অম্বলে অতিষ্ঠ হয়ে গলকম্বল চেপে ধরে অমিয় রাজার ওয়াক ওয়াক শব্দে বমিতে বেসিন ভাসানোর পাঁয়তারার দৃশ্যটি নেহায়েত মন্দ ছিল, বলবো না।

অথচ এই সেই অমিয় রাজা যিনি ডাইনিংয়ের ফ্যান চুরি, শবিগের ক্যান্টিনে ছিনতাইকৃত ডিম বিক্রি, অতঃপর ধরা পড়ার মতো মিলমাসকারাস টাইপের বহু অরাজনৈতিক গুণ্ডাবাজি নয়া যৌবনেই সেরে ফেলেছিল। ফলে শেষ যৌবনে সে যে মড়া গাছের পাতা চাটবেন না সে তো জানা কথাই। তারপরও আমাদের মতো সাধু সন্ত লোকেরা, যারা ল্যাঙ্গটের নীচে লিঙ্গ বেঁন্ধে রাখি, কিন্তু থাকে না, তারা ওকে মন্দ বলতে পারি না। কারণ রাজার অরাজনৈতিক গুণ্ডাবাজি দূরে থাক, রাজনৈতিক গুণ্ডাবাজি থেকেও কম স্ফূর্তি কুড়াইনি।

অমিয় রাজার বাল না চাছা মুখের কোটর থেকে যখন ‘আইজকাল কেমন যানি হয়্যা গেছে সব...বন্ধু বন্ধুর পুটকি মারতে দ্বিধাবুধ করে না.. পলিটিক্সের ভিত্রে পলিটিক্স ঢুকছে..’ মিষ্টি ডায়লগখানি বেরিয়ে আসতো, আমরা তখন বোকাচোদার মতো দাঁত বিজলিয়ে হাসতাম। আমাদের সে হাসি দেখে রাজাও ডায়লগ ভুলে হেসে উঠত খলবলিয়ে। হয় সে গাঁজার নেশায়, নয় সে হিরোইনের গোলমালে কিংবা অন্য কোনও ফালতু কারণে। তবে হাসিটা শেষপর্যন্ত পাগলাবাজির দিকে টার্ন নিত। হিক্কার মতো ঘন ঘন ব্রেক কষে।

হিক্কার ফক্কিকারের ফাঁক গলে ওর পেটের ভেতর থেকে তখন বেরিয়ে আসতো একটা সত্যিকারের তাজা বাচ্চা ছেলে। সে বেরিয়ে আসতো বেশ একটা অন্যমনস্কভঙ্গি নিয়ে। সে হাসতো, নাচতো এবং আমাদের চোখের উপর দাঁড়িয়ে জুজু বুড়ির ভয় দেখাতো। আমরা তখন ভয়ে সিঁটিয়ে যেতাম। লিঙ্গ গুটিয়ে নিতাম ল্যাঙ্গটের তলে। এবং সর্বান্তঃকরণে চেষ্টা করতাম আমাদের ভেতরকার মড়া বাচ্চা ছেলেটার আগমন প্রতিরোধে।

ইউনিভার্সিটির সেইসব প্রথম দিক্কার দিনগুলোতে আমরা আমাদের বড় হওয়ার মাশুল গুনছিলাম প্রতিমুহূর্তেই। কোনো ধরনের প্ররোচনা ছাড়াই আমাদের লিঙ্গ ফুলে ফুঁসে উঠছিল ভয়ানক রাগে। লিঙ্গ দমনে আমরা তখন নানাভাবে নাজেহাল। কেউ ছুটি বাথরুমে তো কেউ খুঁজি তেলের শিশি..। তারপরও শারীরিক গরম কমে না..লিঙ্গও ফুলে ফুঁসে উঠা ছাড়ে না।

সময় নেই গময় নেই..রাত নেই বিরাত নেই..শীত নেই গিরিশমো নেই..লিঙ্গ ফুলে ফুঁসে উঠে। প্রবলভাবে আন্দোলিত হয়। ভাত দ্যাও তরকারি দ্যাও... বাঁচার মতো বাঁচতে দ্যাও জাতীয় ছ্যাবলা স্লোগানে। অর্থাৎ চাহিদা মোতাবেক তখ্খনি উহাদেরকে প্রচুর পরিমাণে শারীরিক ভাত মাছ খাওয়াও আর কি! আমরা পড়ি তখন মহা মুসিবতে। শারীরিক ভাত মাছের সাপ্লাই দিতে না পেরে আমরা উহাকে মাঝে মধ্যেই হাতে বানানো বিস্কুট খিলাই।

তো তেমনই এক ঘন আন্দোলনে থত্থরিয়ে কেঁপে ওঠে সইফুদ্দিন। মওলানা ভাসানী হলের ৩০১ নম্বর রুমে। জানালা ধারের বিছানায় ঝটাপটি করে কাতরায়। মাথানষ্ট অবস্থায় বেশ কিছুণ ঘুরপাক খায়। পাটটাকুরের ন্যায়। কী করবে ভেবে না পেয়ে রাগত লিঙ্গটাকে রানের চিপায় বন্দি করে ফুঁসে উঠা দমন করতে যায়। আর সব বুরবকের মতোই।

রাগত লিঙ্গ রানের চিপায় মাথা গলিয়ে অন্য কিছুর আস্বাদ পায়। ফলে ভাত দ্যাও তরকারি দ্যাও মার্কা ম্যাড়ম্যাড়ে স্লোগান বদলে খাইয়া ফালামু... খাইয়্যা হালামু জাতীয় ডাইরেক্ট এ্যাকশনময় স্লোগান দিয়ে রানের কোটরেই গুতাগুতি শুরু করে। তাই দেরি না করে লিঙ্গ দমনে শেষ টোটকাস্বরূপ সইফুদ্দিন ব্যবহার করে নানান ভালো কথা স্মরণের, চেষ্টা করে নানা দুঃখের স্মৃতি চারণের।

কিন্তু যৌবন যে সহসা ভালো কথা শোনে না। আন্দোলন যে দমে না মিষ্টি কথার কারসাজিতে! ফলে ভালো কথা ভাবতে বসে টের পায় ওই যে ওরা আসছে তেড়ে। ক্রমেই এগিয়ে আসতে থাকেন বিপাশা বসুরা। ছাইয়্যা দিলমে আনারে, আখি পানচে চানারে। ছমছমাছম।

জমকালো সব পাতলা পোশাকে। ঘন জাপ্টে ধরে, কড়া সুরসুরি মেরে। ক্রলিং করে উপরে উঠতে থাকেন উহারা। পায়ের স্পাইক জুতোর ঘাই মেরে মেরে। ঘাঁড়ের কাছে পৌঁছেই চুষনি চুম্মন কষায় জুম্মন নুছাইয়ের মতোন। গায়ের রোম আর মাথার চুল খাঁড়ার উপর খাঁড়িয়ে যায়। সর্বাঙ্গ জ্বলে উঠে বসফরাস প্রণালীর ফসফরাসের মতো। হাতের হকিস্টিক পড়ে মাটিতে দাফড়ায় আর কান্দে, আমারে দ্বারা বল খেলাও।

ওইরম মোক্ষম ক্ষণে কে যেন কানের নতিতে কুটুস করে কামুড় কষায়। বিপাশা, উর্মিলা, শাকিরা না যোনিফার লোপেজ? কামুড় খেয়ে উরি বাবারে বলে ভালো ভাবনা পরিত্যাগে বাধ্য হয় সইফুদ্দিনে। বদলে বিপাশা বসুদের গাতরিক ঝাল মুড়ি গেলার আশায় বায়াল পারা শুরু করে তার অন্দোলনরত গতর।

প্রয়োজন যেহেতু আইন চুদে না, সেহেতু নিজের সাবানের বাক্সে সাবান না থাকলেও রুমমেট গৌরাঙ্গ দার সাবানের বাক্সটাকেই নিজের মনে করে ভাতরুমে দৌড়ায়। হাড়াহাড়ি করে। জলের কল ছেড়ে দেয় ফুলস্পিডে। তারপর হুসহাস হুসহাস মারতে থাকে যৌবনের আনন্দঘন সমস্ত বিবমিষা। নো থামাথামি বিফোর ভমিটিং। কলের জল গড়িয়ে গর্তে ঢোকে। খপ খপ খপ খপ।

চলব?


মন্তব্য

রেদওয়ানুর রহমান লিন এর ছবি

চলুক

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বাঘ মামা তুমি জান ইডা চলব, হুদাই জিগাও ক্যালা? এমনে লিঙ্গ আটকি ধরি রাখলে চলপ? হেরে চইড়া খাইতে দ্যাও নাইলে তো অন্যের সাবান নইয়া দৌড় পারা হারা চলপ না। মামা যা দিছ না, বিয়াফক আমার পাইলাম পইড়া!

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

লাল কমল [অতিথি] এর ছবি

আমার গোপন কথা বাঘ মামা জানল কেম্নে!!

আসিফ [অতিথি] এর ছবি

প্রথম প্যারাটা পড়েই রাজা সাহেবকে চেনা চেনা লাগছিলো! ফ্যান চুরি আর শবিগের ক্যান্টিন সংশয়মুক্ত করলো। ৩০১ পড়ে এবার খোঁজ-দ্য সার্চ লাগালাম মনের ভেতরে, কেডা এইডা?

বর্ণ সবুজ হলেও আপনার মাঝে অসুন্দর কিছু জিনিস গুপ্ত আছে ধারণা করি।

আমাদের নবযৌবনকালকে ধারণ করা লেখার জন্য প্লাস।

এনকিদু এর ছবি

চলুক

আপনার অনেক দিন আগের লেখাগুলার সাথে মিল পাইলাম, পুরান ফর্মে ফিরতেছেন মনে হয় হাসি


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

দুর্দান্ত এর ছবি

উইলখাম গিরিন ঠাইঘার।

যোনিফার লোপেজ

হাসতেই আছি।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

চলতে থাকুক।

-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

মাহবুব লীলেন এর ছবি

থাইমল ক্যান?

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

লৌড়াইবো...

_________________________________________

সেরিওজা

খেকশিয়াল এর ছবি

চলুক চলুক হো হো হো

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।