প্রয়োজন মানসিকতার পরিবর্তন

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৩/০৯/২০০৯ - ৪:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দেশে এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তন বা বিলুপ্তি নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা হচ্ছে।বলা যায়না আন্দোলনও শুরু হয়ে যেতে পারে এর পক্ষে বিপক্ষে। সবসময় মনে হয় জাতি হিসেবে আমরা আসলে জানিনা কোন ব্যবস্থাটা আমাদের জন্য ভাল। প্রায় এক দশকের স্বৈরশাষনের পর দেশে গণতন্ত্রের যখন পূনঃসূচনা হয়েছিল তখন কিন্তু তা একধরনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাত দিয়েই হয়েছিল। শাহাবুদ্দিন আহমদের সেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থাই মূলতঃ এদেশীয় রাজনীতিবিদদের মনে একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাত দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়ার বীজ বপন করেছিল বলে আমার ধারণা, যার রেশ ধরেই ১৯৯৬ সালে এই সরকার ব্যবস্থার প্রচলন সংবিধানে করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিককালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রধান নির্ধারণ নিয়ে পুরো প্রক্রিয়াটিই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে যাচ্ছে।

সুপ্রীম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হবেন বলে বিচারপতিদের চাকুরীর বয়সই বাড়িয়ে দেয়া হলো নিজেদের পছন্দের লোককে এই যোগ্যতায় আনার জন্য। ভবিষ্যতে হয়ত আবার এই বয়স কমিয়েও আনা হবে নিজেদের প্রয়োজনে।এ যেন ছেলে খেলা, যখন যার খুশি তাই করে যাচ্ছে। এখন আবার গত দুই বছরের সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উদাহরন দেখার পর বর্তমান সরকার চাচ্ছে পুরো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকেই বিলুপ্তি করে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে। এর পর কি হবে তার ভবিষ্যৎবানী করতে আপনাকে শার্লক হোমস হতে হবেনা, নিঃসন্দেহে সব ক্ষমতাসীন সরকার চাবে নির্বাচনের আগে তাদের নিজেদের লোককে নির্বাচন কমিশনে বসিয়ে যেতে।বলাই বাহুল্য এর আগেও এই জাতীয় প্রচেষ্টার উদাহরণ আমরা দেখেছি আমাদের দেশে।

অর্থাৎ আমরা যেই ব্যবস্থাকেই আমাদের সমস্যার সমাধান হিসেবে নিয়ে আসিনা কেন সেটিকেই আমরা কলুষিত করে ফেলতে পারি নিমিষেই কারণ আমাদের ক্ষমতার লোভ অনেক বেশী, আমরা নিজেদের হার মেনে নিতে পারিনা।কখনই নির্বাচনে হেরে আমরা বলতে শিখিনী যে নির্বাচন অবাধ হয়েছে। সেটি বড় আঙ্গিকে জাতীয় নির্বাচনেই হোক বা ছোট আঙ্গিকে কোন এক সংগঠনের নির্বাচনই হোকনা কেন। তাহলে ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন নাকি মানসিকতার?

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া একবার বলেছিলেন শিশু ও পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নন [১]। আমার কথা হচ্ছে প্রত্যেকটি ব্যক্তিমানুষের নিজস্ব দল, বিশ্বাস থাকতেই পারে কিন্তু সে যে পদটিতে আসীন সেটিরত কোন দল নেই সুতরাং তাকে আমরা কেন একটি পক্ষের করার চেষ্টা করি।আমরা ঢালাও ভাবে দলগুলিকে দোষ না দিয়ে সেই ব্যাক্তিগুলিকে ঘৃণা করিনা কেন যারা তাদের ব্যক্তিসত্তাকে একটি পদের উপর চাপিয়ে দেয়।

একথা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে যুগে যুগে আমরা বৈদেশিক শক্তির দ্বারা শাসিত হয়েছি নিজেদের মধ্যে একতা না থাকার কারণে। আমরা খুব কম সময়েই দেশের জন্য ভাল কোন বিষয়ে একমত হতে পেরেছি যেমনটা পেরেছিলাম বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলন বা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের ক্ষেত্রে। ক্ষমতাসীন সরকার ভাল কিছু একটা করলে আমরা কখনই বলতে পারিনা এই কাজটি ভাল কারণ তাকে আমরা নিজেদের ব্যর্থতা মনে করি। অর্থাৎ আবারো সেই মানসিকতার প্রশ্ন চলে আসছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে মানসিকতার পরিবর্তন কি একদিনেই হবে? আমরা যদি আশা করি একদিন ঘুম ভেঙ্গে দেখব যে পুরো বাংলাদেশের মানুষগুলি ভাল হয়ে গেছে সেটা আশা করা বোধ হয় বাস্তব সম্মত হবেনা। তাহলে শুরুটা হবে কীভাবে, আমার মত শুরু করতে হবে পরিবার থেকে। সততা, নিষ্ঠা, আদর্শ মানুষ পরিবার থেকে শিখে যা তার ভবিষ্যৎ জীবনে প্রভাব ফেলে আর এই শিক্ষা কিন্তু চলতে থাকে সবসময়। আমি দেখেছি আমি যখন পার্কে ঘুরতে যেয়ে ঘাসের উপর শুয়ে পড়ি আমার দু'বছরের ছেলেটিও তাই করে। আমি যদি ওকে ছোটবেলা থেকে কিছু আদর্শ দিয়ে বড় করি ভবিষ্যতে ও সেই আদর্শে বড় হবার চেষ্টা করবে বলেই আমার ধারণা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে পরিবারের বাবা মা-ই আদর্শ বঞ্চিত সেই পরিবারের সন্তানরা শিখবে কোত্থেকে? আমি আজো এই প্রশ্নের উত্তর জানিনা।

এক্ষেত্রে পরবর্তী ধাপ হচ্ছে বিদ্যালয়, যেখান থেকে মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয়। ছোট বেলাতে এমন অনেক ক্ষেত্রে দেখেছি একই কথা বাবা বললে মানছিনা কিন্তু শিক্ষক বললে মানছি। এখন সময় বদলিয়েছে, আমাদের শিক্ষকরাও তাদের পেশাদারিত্ত্বের চরমে পৌঁছে এখন শিক্ষাকে পণ্যায়িত করে ফেলেছে। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য ভাল কিছু হতে হলে এই পেশার মানুষগুলিকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের দেশের জন্য এই মুহূর্তে ভাল কিছু শিক্ষক দরকার যারা এই শিশুকিশোরদের মানসিকতা শেখাবে।

আমার প্রায়শঃ একটি বিষয় নিয়ে খচ্‌ খচ্‌ করে, এই যে এত দেশের সমস্যা নিয়ে বুলি আওড়াই কিন্তু এই সমস্যাগুলিকে সমাধান করার সূচনা করতে পারে একমাত্র দেশের রাজনীতিবিদেরা তাহলে নিজেরা রাজনীতিবিদ কখনো হলামনা কেন? ছোটবেলা থেকে ( আমি যখন থেকে বড় হয়েছি) আমরা শিখে এসেছি রাজনীতি করা খারাপ, রাজনীতিবিদ হলে জেলে যেতে হয়। এছাড়া ছোটবেলা থেকেই রাজনীতি ও নেতা এই দুই শব্দের প্রতি একটি নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে বড় হয়েছি। পাড়ার যে ডানপিটে বড়ভাইটিকে সবচেয়ে ভয় পেতাম সেই কিন্তু রাজনীতি করত, কিংবা স্কুলের যে বন্ধুটি সবচেয়ে বখাটে ছিল সেই কিন্তু ঐ বয়সেই একটি দলের কর্মী ছিল। দেখেছি হরতালের দিন কীভাবে স্কুল থেকে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের বের করে দেয়া হত আজ ক্লাস হবেনা বলে ( এখনত পোলাপান হরতাল হলে স্কুলেই যায়না)। ছোটবেলা থেকে কখনই রাজনীতিবিদদের ভাল কিছু দেখে বড় হইনি আর তাই বড় হয়ে কি হব এর উত্তরে আমরা সবসময়ই বলতাম বা আমাদের শেখানো হত ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হব। আর আমাদের মধ্যবিত্ত মানসিকতা হয়ত নিজেদেরকে একটি চাকুরীর যোগ্যতা সম্পন্ন করে তোলার দিকেও বেশী নিয়ে যেত। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেও দেখেছি যারা রাজনীতি করছে তারা পড়াশুনার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া মানুষ তাই নিজের অজান্তেই কিন্তু রাজনীতি জিনিসটার প্রতি এক ধরনের নেতিবাচকতা আমাদেরকে গ্রাস করে রেখেছে প্রতিনিয়ত।

এক ধরনের চক্রের মধ্যে পড়ে যাচ্ছি আমরা। সেই অর্থে মেধাবী ছেলে মেয়েরা আজকাল রাজনীতির ধার ধারেনা আর উচ্চ শিক্ষিত ও মেধাবী রাজনীতিবিদদের অভাবে আজ রাজনীতি বিষয়টাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। দেশের পরিবর্তন করার চাবি আছে নীতি নির্ধারকদের হাতে অথচ সেই পর্যায়ে যেতে গেলে রাজনীতি করতে হবে। অন্যদিকে ঝামেলামুক্ত জীবনের জন্য মানুষ রাজনীতি এড়িয়ে চলে। এই চক্রের অবসান কবে হবে কিভাবে হবে সেটা আমার জানা নেই কারন আমি নিজেও রাজনীতিতে আগ্রহী নই তবে দেশের জন্য কাজ করতে চাই। কিন্তু কীভাবে করব সেই পথও জানিনা, শুধু আশা করি কেউ কেউ এই চক্র ভেঙ্গে সামনে যাবেন আর আমি তার পিছু নেব।

[১] প্রথম আলো ২ সেপ্টেম্বর


মন্তব্য

অমিত এর ছবি

কাজের তুলনায় মানুষ যেখানে অতিরিক্ত বেশি, তখন আসলে মানসিকতার পরিবর্তন ব্যাপারটা কতখানি প্রযোজ্য, সেই ব্যাপারে আমার কিছুটা সন্দেহ আছে।
শৈশবে কেউ শেখেনা চুরি করা মহৎ ব্যাপার, যত বড় চোরের ছেলেমেয়েই হোক।শেখে যখন দেখে পেটে খিদা কিন্তু কোনও কাজ নাই।কাজ পেলেও চাল কিনতেই সব শেষ।
তার চেয়ে চলেন আমরা দোয়া করি এখনকার পলিটিশিয়ানরা অনেক অনেক চুরি করে অনেক বড়লোক হোক, তাদের যেন কোনও অভাব না থাকে। তাদের অভাবহীন, টাকার প্রতি বীতশ্রদ্ধ ছেলেমেয়েদের মধ্য থেকেই একসময় মহান এক নেতা বের হয়ে আসবে।

সচল জাহিদ এর ছবি

অমিত কিছু বিষয়ে আপনার সাথে একমত কিছু বিষয়ে দ্বিমত পোষন করছি।

শৈশবে কেউ শেখেনা চুরি করা মহৎ ব্যাপার, যত বড় চোরের ছেলেমেয়েই হোক।শেখে যখন দেখে পেটে খিদা কিন্তু কোনও কাজ নাই।কাজ পেলেও চাল কিনতেই সব শেষ।

সাধারণ গরীব ঘরের চোরদের ক্ষেত্রে কথাটি মেনে নেয়া যায় কিন্তু আমাদের নেতা-নেত্রীদের সন্তানদের পুকুর চুরির হাজারটা কাহিনী সামনে নিয়ে আসা যাবে যেখানে অভাব ছিলনা। ক্ষুধার তাড়নার জন্য মানুষ চুরি করে যৎসামান্যই কিন্তু নিজের ক্ষমতার দাপট আর অভিজাত্যের জন্য চুরি করে পুরো দেশটাকেই কিন্তু ডুবিয়ে দেয়।

তাদের অভাবহীন, টাকার প্রতি বীতশ্রদ্ধ ছেলেমেয়েদের মধ্য থেকেই একসময় মহান এক নেতা বের হয়ে আসবে।

এই ছেলে মেয়ে গুলো বড় হয় বিদেশে ওরা নেতা হয়ে দেশে ফেরার সম্ভাবনা কতটুকু সেটা নিয়ে আমি সন্দিহান।

বিদ্রঃ ভুল করে জবাবে না দিয়ে মন্তব্যে দিয়ে দিয়েছি
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অমিত এর ছবি

আমার মন্তব্যের শেষ অংশটা সিরিয়াসলি বলিনি।সিরিয়াসলি ধরলে কিন্তু এই চেইন কখনো শেষ হবে না, যতদিন না বাংলাদেশের প্রত্যকটা পরিবার থেকে একজন করে মহাচোর পলিটিশিয়ান বের হয়। তবে আপনার প্রতিমন্তব্যের উত্তরে বলা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিন্তু ছেলেমেয়ে একের অধিক এবং কেউ না কেউ দেশে থাকে। তবে বাবা অ্যাকটিভলি পলিটিক্স করলেও সবসময় ছেলেমেয়ে সেটাতে জড়ায় না।

মানসিকতাই যদি মূল সমস্যা হয় তাহলে আপনি আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দেন। আমার বন্ধুদের মধ্যে গ্রস হিসাবে তিনটা গ্রুপ আছে। প্রথম দল উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশগমন, অতঃপর সেখানে সেটলড। দ্বিতীয় দল দেশে উচ্চ বেতনে মাল্টিন্যাশনল কম্পানিতে চাকুরীরত এবং/ অথবা পারিবারিক ব্যাবসায় যোগদান। তৃতীয় দল হলে বুয়েট থেকে পাশ করে সরকারি চাকরিতে যোগদান। ( সরকারি চাকরিতে ডিইউ বা অন্যান্য ভার্সিটি থেকেও যায়, কিন্তু আমার বন্ধুদের মধ্যে আসলে সেরকম কেউ নেই) আমি আন্ডারগ্রেড শেষ করা পর্যন্ত এই গ্রুপেগুলোর মধ্যে কোনও পার্থক্য পাইনি। এখন কেন এই তিনটা গ্রুপের মধ্যে তৃতীয় গ্রুপটা সবথেকে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত ?
মানসিকতা একটা ফ্যাক্টর হতে পারে , কিন্তু সেটাই আসলে শেষ কথা না।

সচল জাহিদ এর ছবি

আসলে অমিত খোলামেলাভাবে কিছু আলোচনা করি। বুয়েটে পড়ার সময় ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে আলোচনা হত সবসময়। সেই সাথে সততা দূর্নীতি নিয়েও বিতর্ক হত। আমার কিছু বন্ধু ছিল যাদের পরিকল্পনাই ছিল তাড়াতাড়ি বড়লোক হওয়া সেইজন্য ছাত্র জীবন থেকেই অনেকেরই ইচ্ছে ছিল ভবিষ্যতে সরকারী চাকুরী করা। যারা সৎ ভাবে দেশে থাকতে চাইত তারা খুঁজত বেসরকারী চাকুরী আর যাদের পরীক্ষার ফলাফল মোটামুটি ভাল তারা বাইরে আসার পরিকল্পনা করত। আদতে হয়েছেও তাই, বন্ধুদের অনেকেই এখন দেশে ফ্ল্যাটের মালিক, বাদবাকীরা দেশের বাইরে আর নয়ত বেসরকারি চাকরি করছে। অনেকেই আবার দেশে সরকারী চাকরির ক্ষেত্রে এমন জায়গা বেছে নিয়েছে যেখানে সৎ থাকা যায়। আমার এমন এক বন্ধু আছে যে সৎ না থাকতে পেরে সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়েছে।

আমার উপরের আলোচনার উদ্দেশ্য একটাই আর তা হলো আমার ধারনা নিজেদের মধ্যে বিভেদটা মানসিকতাই তৈরি করে দেয়, আর দেশে থাকলেই সবাই যে অসৎ সেটা নিশ্চই আপনি বলবেননা।

যাই হোক আমার মূল বক্তব্য ছিল রাজনীতিবিদদের নিয়ে যাদের হাতে আমরা আমাদের দেশের ভাগ্য তুলে দিয়েছি তারা অন্তত দেশের কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয়ে যদি একমত হতেন তাহলেই আমাদের অনেক দূর্ভোগ কমে যেত বলে মনে হয়। নিজেদের স্বার্থ নিয়ে এরা এতটাই মনযোগী যে আন্যদের ভালমন্দ দেখভালের দায়িত্ত্ব যে তাদের সেটি তারা সবসময়ই ভুলে যান।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

ফিরোজ জামান চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ জাহিদ।
আপনার বিশ্লেষণ ভালো লাগলো।

ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ ফিরোজ ভাই।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বাংলাদেশে ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতির ক্ষেত্রে অধিকাংশ ইনোভেটিভ চিন্তার আবিষ্কারক আওয়ামী লীগ। যেমনঃ

- তারা দেশে প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতি এনেছিল পরে আবার সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করেছিল।
- তারা এক দলের শাসন এনেছিল পরে বহুদলীয় রাজনীতি করার জন্য সামরিক শাসককে চাপ দেবার চেষ্টা করেছিল।
- তারা সামরিক শাসকের অধীনে নির্বাচন করে তাকে হালাল করেছিল পরে আবার তাকে হঠানোর আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিল।
- তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করে তা আদায় করেছিল

তাই এখন তারাই আবার সেটাকে দূর করবে সেটাই তো স্বাভাবিক।

রাজনীতি করা না করা নিয়ে আমার একটা পোস্ট আছে। আগ্রহী পাঠকগণ চাইলে পড়ে দেখতে পারেন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সচল জাহিদ এর ছবি

মন্তব্যে উত্তম জাঝা!

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নৈষাদ এর ছবি

জাহিদ ভাই, আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর লেখাটির জন্য।

আমি আরেকটা ট্রেন্ডের কথা খুব সাবধানে বলতে চাই। যারা সরকারী চাকুরীতে যাচ্ছেন তাদের প্রতি পূর্ন শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, ইদানিং (নব্বইয়ের দশকেই শুরু হয়েছে) মেধাবীদের একটা আংশ সরকারী চাকুরীতে আর যেতে চাচ্ছে না। আমি আমার ছাত্র জীবনের অন্তত তিন জন সহপাঠীর কথা জানি, যারা বিসিএসের পরও মাল্টিন্যাশনলকে বেছে নিয়েছে। আমি যে পরিবেশে বড় হয়েছি, সেখানে সরকারী চাকুরীর ব্যাপারটা ডিসকারেজ করা হয়েছে। আমার সমসাময়িক যাঁরা সরকারী চাকুরীতে গেছেন তাদের ব্যাপারে আরেকটা অবজারভেশন... এখানে বলতে চাচ্ছিনা। ট্রেন্ডের আমাদের ভবিষ্যতের জন্য ভাল না।

মাত্র গত সপ্তাহে বুয়েটের একজন সরকারী চাকুরীজীবির সাথে কথা হল, বেশ বড় পদে আছে। আমাকে উনার দুঃখের কথা বলল। উনার সম-সাময়িক অ্যাডমিন ক্যাডারের লোকজন সচিব হয়ে যাচ্ছে, মেধা থাকা সত্ত্বেয় তিনি হতে পারবেন না। (আমি বুয়েটের প্রোকৌশলী হয়ে, আমার সম-সাময়ির হিস্ট্রি থেকে পাশ করা সচিব থেকে পাশ করাতে হবে আমার প্রজেক্ট প্রোপজাল!!!) উনি ডিসকারেজ করছেন চেনাজানা সবাইকে।

সচল জাহিদ এর ছবি

সহমত। আমিও আমার বন্ধুদের মধ্যে এই একই ধরনের মানসিকতা দেখেছি। বিপদে না পড়লে মেধাবীরা সরকারি চাকুরীতে যাচ্ছেনা।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।