কিটিকে চিঠি

স্পর্শ এর ছবি
লিখেছেন স্পর্শ (তারিখ: মঙ্গল, ১২/০৫/২০০৯ - ১১:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আদরের কিটি,
আজকাল চশমা ছাড়া ভালো দেখছি। চশমা পরলেই কেমন যেন ঝাপসা লাগে সব! চোখ ভালো হয়ে গেলো, নাকি চশমা ঘোলা হয়ে গেল কে জানে। এই চশমাটা বদলানো লাগলে ঝামেলা হবে। কেমন যেন মায়া পড়ে গেছে। অবশ্য বদলাতে হলে শুধু লেন্স বদলানো যায়। কিন্তু চশমাটার যে গঠন তাতে লেন্সদুটোই তার সব। তাদের বাদ দিলে তো বাকি থাকে শুধু নাকের উপর চেপে বসার ক্লিপ আর কান টেনে ধরার ডাটি। তাহলে লেন্স পালটিয়ে ফেলার পরে কি সেই চশমাকে আমি আগের মতো ভালোবাসতে পারবো? মানে তখন কি শুধু ডাটির জন্য ভালোবাসা থাকবে আর নতুন লেন্স দুটোকে মনে হবে অপরিচিত কেউ? আর যদি পুরোনো লেন্স দুটিকেও নতুন ক্লিপ আর ডাটি দিয়ে দিই। তাহলে? ব্যাপারটা একটা চমৎকার দার্শনিক সমস্যা মনে হচ্ছে। সক্রেটিসকে জিজ্ঞেস করেছি। দেখাযাক সে কী বলে।

ওহ্‌! সক্রেটিসের কথা তো তোমাকে বলাই হয়নি। যেবার আব্বু, আম্মু আর ছোটো বোনদের নিয়ে সোনারগাঁয়ে গেলাম, সেবারই সক্রেটিস কে নিয়ে এসেছিলাম ওখান থেকে। তারপর থেকে আমার টেবিলের বই রাখার তাকের উপর বসে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে তো তাকিয়েই আছে। বুঝতে নিশ্চই পেরেছো, ড্যাব ড্যাব করে যখন তাকায় নিশ্চই তার বড়ো বড়ো দুইটা চোখ আছে। সেই সাথে আছে নারিকেলের গায়ে খোদাই করা একটা নাক, একটা মুখ, একটা অদ্ভুত টুপি আর চমৎকার কিছু দাড়ি। কিন্তু কোনো কান নেই! তাই তাকে প্রশ্ন করাটাও একটা বিরাট ঝামেলা। প্রথমে প্রশ্নটা একটুকরো কাগজে লেখো রে- ভাজ করো রে- টুপি উঠাও রে-সেই প্রশ্ন টুপির নিচে মাথার খোলে রাখো রে, তারপর ঘরের বাতি নিভিয়ে ঘুম যাও। সক্রেটিসের চোখে তো পাতা নেই। তাই চোখ বুজতে পারে না। আবার চোখে আলো আসলে সে ভাবতেও পারেনা গভীর ভাবে। তাই বাতি নেভাতেই হবে। এতো করেও মাঝে মাঝে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়না। তখন দেখতে হবে প্রশ্ন লেখা কাগজে বানান ভুল করেছি কিনা। ভুল বানান সক্রেটিসের মোটেও পছন্দ না।

আজকের প্রশ্নটা তাকে করেছি সেই বিকালে। এখনো ঘরের বাতি নেভানো হয়নি। বেচারা চিন্তা করার সুযোগই পাচ্ছেনা। আমি অবশ্য চশমা-ভালোবাসা সমস্যার একটা গাণিতিক সমাধান করতে চাচ্ছিলাম। মানে, যদি ধরে নিই চশমাটার প্রতি মায়া পড়ে যাওয়ার অর্থ হলো চশমার সব অণু-পরমাণুকে ভালোবাসা। তাহলে লেন্স আর ডাটির অণু-পরমাণু হিসেব করে ভালোবাসা সেই অনুপাতে ভাগযোগ করে দেওয়া যায়। কিন্তু সমস্যা হয়েছে অন্য খানে। শুরুতে চশমার জন্য মোট ভালোবসা কতোটা সেটাই তো মাপা যাচ্ছেনা। আচ্ছা ভালোবাসা মাপার একটা একক বানানো যায় না? সক্রেটিসকে জিজ্ঞেস করতে হবে। বেচারা অবশ্য এমনিতেই বেশ বিরক্ত, এখনো বাতি নেভাইনি দেখে। তার উপর মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছি চমৎকার একটা দার্শনিক প্রশ্ন। দেখি, কাল জিজ্ঞেস করবো।

শুনেছি ব্যাথার নাকি একক আছে! ডল। একটা পিন ফুটলে ব্যাথা হবে এক ডল। আচ্ছা ব্যাথার একক দিয়ে কি কষ্টও মাপা যাবে? তাহলে একটা জিনিস মেপে দেখতাম। আমার একটা ধুকপুকানি যন্ত্র আছে। তার মধ্যে কিছু কষ্টও আছে বোধহয়।

যাহ্‌ অনেক কথা বলে ফেলেছি দেখি। কিন্তু তুমি কেমন আছো, সেটাই জানতে চাওয়া হয়নি। কেমন আছো তুমি? আমি নিজে কিছু কিছু ব্যাপারে ভালো আছি খুব। আবার কিছু কিছু ব্যাপারে খুব খারাপ আছি। সব মিলিয়ে যে মোটামুটি আছি সেটাও বলা যাচ্ছে না। গাণিতিক গড় আবার ব্যর্থ হতে চলেছে। সক্রেটিস ফ্রী হোক। ওকে জিজ্ঞেস করতে হবে।


ইতি,
আমি


মন্তব্য

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কিটি কি তোমার মেয়ে? খাইছে

স্পর্শ এর ছবি

আনা ফ্রাঙ্কের কিটি।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

'আনা ফ্রাঙ্কের ডায়রি' (সেবা প্রকাশনীর বই) সেই ছোটবেলায় পড়সিলাম, ভুলে গেছি সব হাসি

তোমার চিত্রকর্ম নিয়া একটা পোস্ট দাও...

স্পর্শ এর ছবি

এইখানে অইসব কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং দেই, আর মান ইজ্জত খোয়াই। ইয়ে, মানে...
এমনিতেই ঐজিনিসের শর্টেজ।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মিয়া, চাপাবাজি কম করো। তাড়াতাড়ি চিত্রকর্মের পোস্ট দাও। ওইগুলা যথেষ্ট সুন্দর। বিশ্বাস না হইলে পোস্ট করেই দেখো। দেখবা সবাই একই কথাই বলবে। খাইছে

স্পর্শ এর ছবি

ইয়ে অভয় দিলে পোস্ট করবোনে! তার আগে আরেকটু শিখে নিই! ইয়ে, মানে... হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মূলত পাঠক এর ছবি

চমৎকার আর খুব মজাদার লাগলো!

স্পর্শ এর ছবি

থ্যাঙ্কু হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তারানা এর ছবি

তোমার সক্রেটিস কে আমার একটা প্রশ্ন করার ছিল!! করবো??
লেখা সুন্দর হইসে! এজইউজুয়াল ঃ)

স্পর্শ এর ছবি

হ্যাঁ হ্যাঁ করে ফেলো!! শিগ্‌গিরি।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আচ্ছা ভালোবাসা মাপার একটা একক বানানো যায় না?

বানানো কি আজকে হয়েছে?
সেই কবে থেকেই তো ভালোবাসার একক হাহুতাশ

স্পর্শ এর ছবি

ইয়ে তাহলে হাহুতাশের একক বানিয়ে ফেললে হয়!
যেমন একটা ছাগল হারালে যে পরিমান হা হুতাশ সেটাকে ইউনিট ধরা যায়! চারটা ছাগল হারালে একটা গরুর হারানোর হাহুতাশ। এই এককের সুন্দর নাম দিতে হবে একটা।

এদিকে ভালোবাসার এককের নাম পেয়েছি কিন্তু পরিমান নির্ধারণ করা মুশকিল হচ্ছে। এককের নাম হতে পারে 'মজনু'।
যেমন চশমাটার প্রতি আমার ভালোবাসা হচ্ছে 'এক এক মজনু পরিমান' ইয়ে, মানে...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হা হা হা
মজাক পাইলাম আপনার কমেন্টে।
লেখা ভালো লাগছে রে ভাই...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

স্পর্শ এর ছবি

হাসি অনেক ধন্যবাদ! হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

স্পর্শ এর ছবি

ধুরো মিয়া! কি যে বলেন! মেয়েরা আবার ভালোবাসতে পারে নাকি !! অ্যাঁ
তারা পারলে কি আর আমার চশমার ভালোবাসা ভাগাভাগি নিয়ে সক্রেটিসকে জালাতন করতে হয় মন খারাপ


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

তাইইই?...মেয়েরা কি পারে শুনি?

প্রিয়তে নিয়েছি বলে ভেবনা যে মাথা কিনে নিয়েছো...:|

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

স্পর্শ এর ছবি

দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তানবীরা এর ছবি

হুমম সক্রেটিস ফ্রী হোক, আমারও কিছু প্রশ্ন আছে।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

স্পর্শ এর ছবি

ঠিকাসে প্রশ্ন গুলো সব ছোটো ছোটো চিরকুটে শুদ্ধবানানে লিখে পাঠিয়ে দেন আমার ঠিকানায় খাইছে


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

স্নিগ্ধা এর ছবি

এটা কি আনা ফ্রাঙ্কের কোন অংশের অনুবাদ, নাকি আনা ফ্রাঙ্কের কিটিকে উদ্দেশ্য করে আপনার লেখা? যদি এটা আপনার লেখা হয়, তাহলে একটা কথা আছে .........

স্পর্শ এর ছবি

কিটি আনা ফ্রাঙ্কের, চিঠি আমার! (অথবা 'কিটি' নামটা)

এবার তাহলে আপনার কথাটা বলে ফেলেন! :-ss


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

স্নিগ্ধা এর ছবি

স্পর্শ - সচলায়তনে অনেকের গল্পই আমার ভালো লাগে, কারুর কারুরটা খুব, খুব পছন্দ (আলাদা করে নাম বলবো না অবশ্যই দেঁতো হাসি ), তবে আপনার 'গল্প লেখা'র 'ক্ষমতা' আমাকে অনেকবারই বিস্মিত করেছে!!

আপনি হচ্ছেন সেই স্বল্পসংখ্যকদের একজন যারা স্বভাবজ গল্পকার। একদম নিটোল, কিন্তু গভীর হয় গল্পগুলো! ঠিকমতো প্রকাশ করতে পারলাম কিনা জানি না, (আহা, আমি তো আর আপনাদের মতো গপ্পি নই মন খারাপ ) যেটা বলতে চাচ্ছি সেটা হলো - অল্প কথায় এতোখানি প্রকাশ করা, অল্প পরিসরে এতকিছু টাচ করে যাওয়া, আর তার চাইতেও বড় আপনার ইম্যাজিনেটিভ পারসেপশন - এক কথায় অসাধারণ !!!!

সক্রেটিসের ব্যাপারটা আমাকে মুগ্ধ শুধু না, মহামুগ্ধ করেছে! আর, চশমাও হাসি

স্পর্শ এর ছবি

'ক্ষমতা' টমতা আছে কিনা জানিনা! ইয়ে, মানে... তবে মাঝে মাঝে লিখতে খুব ভালোলাগে। আর সেই লেখা কারো ভালো লাগলে অনেক ভালো লাগে। হাসি

অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার মাথার আবজাব চিন্তা (সক্রেটিস... এইসব) ভালো লেগেছে জেনে! উৎসাহও পেলাম অনেক। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

দ্রোহী এর ছবি

লেখা চমৎকার!! একেবারে ঠাস বুনোটের!

আফসোস! আমাকে পাওনাদাররা (ব্যাংক, ক্রেডিট কার্ড কোম্পানী) ছাড়া আর কেউ চিঠি লিখে না।

স্পর্শ এর ছবি

আসলে দিনপঞ্জি হিসাবে লিখছিলাম। ভালোলেগেছে জেনে খুশি হাসি

আচ্ছা আসেন একটা নতুন 'কলম-বন্ধু' আন্দোলন করে ফেলি। চিঠি না লিখলে অনেক কথাই বলা হয়না কখনো! মন খারাপ


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রায়হান আবীর এর ছবি

খুব সুন্দর

স্পর্শ এর ছবি

থ্যাঙ্কু মিয়া!
কিন্তু তোমার লেখা কই?? রেগে টং
বেশি বেশি খেলা দেখতে দেখতে লেখালেখি বন্ধ রাখছো নাকি??


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রায়হান আবীর এর ছবি

আছেন তো সুখে তাই তুড়ি দিলেই বাজে ...

পরীক্ষা চলে মিয়া। একটা পরীক্ষা দেই, বাঁশ খাই- আবার পরীক্ষা দেই, আবার বাঁশ খাই। মন খারাপ

সবজান্তা এর ছবি

লেখাটা আমার কাছে অসাধারণ লাগলো, সত্যি সত্যি !

এতো চমৎকার একটা লেখা অনেক দিন পড়ি না।

লেখার জন্য পাঁচ তারা, আর প্রিয়তে যোগ করে দিচ্ছি।


অলমিতি বিস্তারেণ

স্পর্শ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ সবজান্তা! প্রিয়তে ঠাইপেয়ে আমি গর্বিত। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

কীর্তিনাশা এর ছবি

লেখাটা অসাধারণ লাগলো। এমন সুন্দর করে কেমনে লেখেন রে ভাই ! হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

স্পর্শ এর ছবি

থ্যাঙ্কু কীর্তি ভাই! হাসি আপনার বান্ধবীরা ভালো আছে তো? তাদের আমার সালাম দিয়েন। দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রানা মেহের এর ছবি

ভালো লেগেছে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

স্পর্শ এর ছবি

হাসি অনেক ধন্যবাদ।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

স্পর্শ এর ছবি

হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

চিঠিহীন বর্তমানে চিঠি'র স্বাদ খুব ই ভাল্লাগলো!

স্পর্শ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ভুতুম এর ছবি

চমৎকার লিখেছেন।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

সুপার্ব লিখছেন স্পর্শ ভাই। ৬নং তারাটা আমিই দিলাম।

জি.এম.তানিম এর ছবি

লেখা দারুণ... খালি কিটির তাৎপর্য বুঝিনি।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

অচেনা কিটি,

তোমার নামও এই প্রথম শুনলাম, যখন তোমার ঘরে পড়ে থাকা একটা চিঠি পড়ে ফেললাম আমি।
এসেছিলাম অথচ অন্য কারো পদস্পর্শের ছাপ পেয়ে।
আমি জানতাম না এখানে তোমাকে লেখা একটা চিঠি আচানক আততায়ী হয়ে এটুকু ভাবাবে ভাসাবে ডুবাবে আমার মতো এক অর্বাচীন আগন্তুককে!
আমি এখন ভুলে গ্যাছি কাকে কী বলতে বা কেন খুঁজতে এসেছিলাম!
থাক।
চিঠি যে-ই লিখে থাকুক, তাকেও আমি কিচ্ছুটি বলতে পারবো না, বা কী বলবো জানি না অন্ধ অজ্ঞানী আমি।
আমাকেও চেনো না তুমি।
তবু বলে যাই- ভালো থেকো।

ইতি,
দেখেই-বিদায়-নেয়া একবারের আগন্তুক।

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

রেনেট এর ছবি

কিছু কিছু লেখা পড়লে হিংসা হয়...কেন এরকম লিখতে পারি না। এই লেখাটি সেই লিস্টের অনেক উপরের দিকে।
বিষয়বস্তু, উপস্থাপনার ঢং, সবকিছুতেই মুগ্ধ।
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

স্বপ্নাহত এর ছবি

আপনারে হিংসা করতে করতেও টায়ার্ড হয়ে গেসি।

কিটির কথা মনে পড়লো অনেকদিন পর। জীবনে যত বই পড়ে শেষে এসে কেঁদেছি আনা ফ্রাংকের ডায়রী তার একটা। মন খারাপ

লেখা খুব সুইট হইসে। পুরা মাই ডিয়ার টাইপ হাসি

---------------------------------

তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্‌ পাটুস্‌ চাও?!

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

তিথীডোর এর ছবি

"আপনারে হিংসা করতে করতেও টায়ার্ড হয়ে গেসি।"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] এর ছবি

খুবই উপভোগ্য। মজা পেলাম। সক্রেটিসতো ডায়োটিমার কাছথেকে নানা মাপজোখ শিখেছে, দুঃখ মাপার জন্ত্রও হয়ত তিনি ইনিয়ে বিনিয়ে বানিয়ে দিতে পারবেন, না বানাতে পারলেও অন্তত বুঝ দেয়ার জন্য কিছু একটা থিওরি দিয়ে দেবেন। তবে দুঃখের খবর এই যে সক্রেটিসের কাছে সরাসরি যাওয়ার কোন পথ নেই, প্লেটোর লেজ ধরলে সক্রেটিসের টিকিখানার সন্ধান মেলে।

সক্রেটিস ভাদাইম্মা ছিল, পেশা হিসেবে ফিলসফি প্রচার করাই তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তার হাতে মেলা সময়, সময় করে তার কাছে গেলেই এই বিকেল লেকচার দিয়ে দিবে।

এমন আরো লেখা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।

বাসনাকুসুম [অতিথি] এর ছবি

আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি প্রথম পড়েছিলাম ক্লাস সেভনে থাকতে, ছোট ছিলাম বলেই বোধহয় পড়তে পড়তে দুঃখে নীল হয়ে যেতাম।

এখন মনে হচ্ছে, কিটি হতে পারলে বোধহয় ভাল হত।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।