কাব্যহিংসা ও অন্যান্য (আব্‌জাব)

স্পর্শ এর ছবি
লিখেছেন স্পর্শ (তারিখ: বুধ, ০২/০৯/২০০৯ - ৩:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কবিতা আমি এমনিতেও তেমন বুঝি না। তার উপর আমি জানি আমার কাব্যরুচি নিম্ন। তাই কখনো কোনো কবিতা পছন্দ হয়ে গেলে নিশ্চিত হয়ে যাই যে, এইটা আর যাই হোক উন্নতমানের কিছু না। বন্ধু কবিরাও আমার কবিতার এই নিম্নরুচির কথাটা জানে। তাই তাদের লেখা কবিতা ভালো লেগে গেলে চুপ মেরে বসে থাকি। ওরাই অনেক সাধাসাধি করে-‘পড়েছিস? এখনো পড়িসনি? কবিতা পোস্ট করে দিয়েছিতো। শিগ্‌গিরি পড় গিয়ে’। তারপরই জিজ্ঞেস করবে কেমন লাগলো। আমি এমনিতে হু-হা করে এড়িয়ে যাই। তবে কখনো যদি ভালো লেগেই যায়। আর বেখেয়ালে যদি বলেই বসি যে- কবিতাটা খুব ভালো লেগেছে। অমনি তাদের চেহারার বাত্তি ফিউজ হয়ে যায়। কবিরা তাদের কবিতায় এক ধরণের দুর্বোধ্য ব্যঞ্জনা চায়। সেই ব্যঞ্জন আমার মতো নাচার বান্দার কাছে সুস্বাদু লাগলে তারা মনে মনে নেক্সটটাইম ঝাল-নুন-তেল ঠিক কতোটা চড়িয়ে দিতে হবে সেই হিসেব কষতে বসে।

তবে কবিরা অন্য কবির কাছ থেকে প্রশংসা পেতে পছন্দ করে। কারণ আরো অনেক সুক্ষ অনুভুতির সাথে সাথে কবিদের একটা বিশেষ অনুভুতিও আছে। কাব্যহিংসা। এই হিংসা দুষণীয় নয়। দোষণীয়ও নয়। অন্য কারো লেখা কবিতা খুব ভালো লেগে গেলে এইটা উৎপন্ন হয়। কবিদের মধ্যে এক ধরণের প্রতিযোগিতা সৃষ্টিতে এই কাব্যহিংসা সহায়ক। তাই কোনো কবির ভুয়োসী প্রশংসা পেয়ে গেলে। মনে মনে প্রশংসাকারি কবি কী পরিমান কাব্যহিংসার দহনে ভুগেছে সেইটা ভেবে প্রশংসা গ্রহন কারী এক ধরণের তৃপ্তি পায়।

যে আপাত-দৃষ্টিতে-নিরীহ মন্ত্রটি যে কোনো সময় যেকোনো কবিকে কুপোকাত করে দিতে পারে তা হচ্ছে, ‘আমি এমনিতে কবিতা বুঝি না, কিন্তু আপনার কবিতাটি বুঝতে পারলাম। খুব ভালো লাগলো’। এই মন্তব্যে বোঝা যাচ্ছে যে, এই পাঠক একজন কাব্য-আবাল। যে কিনা কবির একটি কবিতা আবার ‘বুঝে’ ফেলেছে! শুধু বুঝেই ক্ষান্ত হয়নি। তার নাকি সেটা ‘ভালোও’ লেগে গেছে! এর চেয়ে চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে জন সম্মুখে জুতোপেটা খাওয়া উত্তম।

ছড়াকারদের ব্যাপার আবার আলাদা। তাদের ছড়া কেউ বুঝে ফেললে তারা মাইন্ড করে না। কেউ বুঝতে না পারলেই বরং দুঃখ পায়। ছড়াকার আর কবির মৌলিক পার্থক্যটা এখানেই। তবে ‘কাব্যহিংসার’ মতো ছড়াকারদের মধ্যেও কাজ করে ‘ছন্দহিংসা’। ছড়ার পাঠকরা ছড়ার তালে তালে হাততালি দিতে পারলেই খুশি। এর মধ্যে কতো যে ছন্দের কাজ করা হয় সে সব খেয়াল করার অবকাশ কারো নেই। অন্তমিল থাকলে আর তাল না কাটলেই হলো। তারপরও অনেক সুক্ষ কাজ ছড়াকাররা করে। অন্য ছড়াকারদের ছন্দহিংসায় জ্বলিয়েপুড়িয়ে মারার জন্য। যেমন,

তুলতুল টুকটুক
টুকটুক তুলতুল
কোন ফুল তার তুল
তার তুল কোন ফুল
টুকটুক রঙ্গন
কিংশুক ফুল্ল
নয় নয় নিশ্চয়
নয় তার তুল্য।

এই ছড়া কে লিখেছেন না জেনে পড়লে আমরা হয়তো এমনকি অর্থ না বুঝলেও ছন্দের মজাটা পাবো। কিন্তু ছড়াকাররা ছন্দহিংসায় জ্বলতে জ্বলতে মনে মনে নিজের হাতের কুনুই পর্যন্ত কামড়ে ছিঁড়ে খেয়ে ফেলবে। তবে আপাতত সে ভয় নেই। কারণ এই ছড়া লিখেছেন সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত। একমাত্র তার ছন্দ নিয়েই কেউ ছন্দহিংসা করে না। কারণটা আমাদের(ছড়াপাঠক) অজানা।

কাব্যধর্মে কবিদের গদ্য লেখা ব্লাসফেমি। তবে সেকালের রবীন্দ্রনাথ আর একালের সুনীলের মতো কিছু বিখ্যাত পাপী মাঝে মাঝে অন্যদের এই পাপ-পথে চালিত হতে উৎসাহিত করে। কবিদের গদ্য আবেগঘন হয় এবং ছড়াকারররা রম্য লেখে ভালো। তবে তাদের এসব গদ্যে প্রশংসা পেলে তারা খুশি হয়না। বিষণ্ণ হয়।

এ তো গেলো তত্বালোচনা। এখন নিজস্ব একটা দুশ্চিন্তার কথা বলে বিদায় হই। কবিতার বই আমি কিনে থাকি। তবে কবির নাম দেখে কিনি না। বই ধরে ধরে উলটে পালটে হুটহাট একেকটা কবিতা পড়ে ফেলি। মোটামুটি পাঁচটার মধ্যে তিনটা ভালো লাগলেই বুঝে যাই- কাম সারছে, কবির কোয়ালিটি লো! মানে আমার পঠন লেভেলের। বইমেলায় আবার কবিসাহেবরা নিজেদের কবিতার বইয়ের উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখেন। যেন ছিপ ফেলে তাকিয়ে আছেন ভাসমান ফাৎনাটার দিকে। তো আমি আশেপাশে খুঁজে সম্ভাব্য কবির অবস্থান নির্ণয় করি। তারপর আমিও ওত পাতি। কবিরা আবার বিড়ি-ফিড়ি খায়। তাও অন্যের পকেট থেকে। সে সময় কিছুটা ফাকা টাইম পাওয়া যায়। ওমনি খপ করে আমি বইটা কিনে পালাই। শুধু শুধু কবি বেচারাকে মনোকষ্টে ফেলার কী দরকার? তবে দোকান থেকে বই কেনার সুবিধা হলো, সেখানে কবির নজরদারী নেই। ...কথা অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। দুশ্চিন্তার কথাটা এখনো বলা হয়নি।

কদিন আগেই আজিজ থেকে এই পদ্ধতিতে কিনে ফেললাম কিছু বই। কবিতার। র‌্যান্ডম স্যাম্পলিং পদ্ধতিতে যেটাই পড়ি সেটাই দেখি ভালো লাগে! কবি নীরাওয়ালা সুনীল। আহারে বেচারা! তবে তাকে নিয়ে ভয় নেই। ভয় কালিদাসের ভূতের। তাঁর মেঘদূতও বরবাদ হয়েছে। কখন এসে ঘাড় মটকায় কে জানে। দেখুনতো আপনাদের কেমন লাগে? ভালো লাগলেও বলা ঠিক হবে না। বুঝে শুনে চুপ থাকতে হবে। সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের অনুবাদে একটু নমুনা,

পিঙ্গল বিহ্বল ব্যথিত নভতল। কই গো কই মেঘ? উদয় হও;
সন্ধ্যার তন্দ্রার মূরতি ধরি আজ মন্দ্র মন্থর বচন কও।
সূর্যের রক্তিম নয়নে তুমি মেঘ দাও হে কজ্জল, পাড়াও ঘুম;
বৃষ্টির চুম্বন বিথারি চলে যাও, অঙ্গে হর্ষের পড়ুক ধুম।
...


মন্তব্য

ইমরুল কায়েস এর ছবি

ভালো লাগল কাব্য নিয়ে এইসব আলোচনা।

তবে আপনার লেখা একটা গদ্য কিন্তু আমার মনে 'গদ্যহিংসা'র জন্ম দিয়েছিল। লেখাটার নাম 'তারার ফুল'।
......................................................
পতিত হাওয়া

স্পর্শ এর ছবি

গদ্যহিংসা!!
এহ, এরকম কিছু নেইই। রূপ আর কাব্য প্রতিভা হলো ঈশ্বর প্রদত্ত। এই গুলো নিয়ে হিংসা-হিংসি সম্ভব। গদ্যতো গদ্যই। হাসি
তারার ফুলের কথা মনে করিয়ে দিলেন। তখন আমি মনে হয় অন্য মানুষ ছিলাম। মন খারাপ
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

যারা এখনো "তারার ফুল" পড়েননি, তাড়াতাড়ি এখান থেকে পড়ে ফেলুন। হাসি

স্পর্শ এর ছবি

ইয়ে, মানে...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

স্পর্শ এর ছবি

তবে পদ্যমডুদের কাছে আমার ইমেইল আড্রেসটা দিয়ে দিব ভাবছি। যেসব কবিতা বাতিল হবে সেগুলো আমারে মেইল করে দেওয়ার জন্য। চোখ টিপি এর পর রসিয়ে রসিয়ে... খাইছে


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

‘আমি এমনিতে কবিতা বুঝি না, কিন্তু আপনার কবিতাটি বুঝতে পারলাম। খুব ভালো লাগলো’
আমি নিজেও তো এই কথা বলি মাঝেমাঝে খাইছে

গদ্যহিংসা বা ছন্দহিংসা বুঝি না, খালি এইটুকু জানি যে, তোমার লেখা পড়লেই হিংসা হয় মন খারাপ
এই যেমন এখন, হিংসার চোটে একটাও ভুল বানান ধরলাম না দেঁতো হাসি

স্পর্শ এর ছবি

নিশ্চই এই মন্তব্য করার পর আর ফিরে গিয়ে রিপ্লাই দেখনি। তাইলে দেখতা। হয় গালি খাইসো, অথবা 'একেক জনের কাছে একই কাব্যের একেক দ্যোতনা। আপনি কোনটা বুঝলেন?' টাইপের রিপ্লাই পাইসো। আর সামনা সামনি ভুলেও এই কথা বলবা না। পুরা দিনটাই মাটি যাবে সহজবোধ্য-কবি বেচারার তাইলে। আমার কথা বিশ্বাস না হইলে জিজ্ঞেস করো কোনো বন্ধু কবি কে। আমার বহুদিনের প্রাক্টিকাল অভিজ্ঞতা।

এহ আইসে হিংসা করতে! শিগ্‌গিরি বানান দেখ। প্রতি ভুল বানানে বিশেষ পুরষ্কার পাবা চোখ টিপি
আমি ভাবছিলাম তোমারে মেইল করে বানান ঠিক করে নেব । তোমার মেইল আড্রেসটা আমারে মেসেজ করো।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

নো, ম্যান, য়্যু'আর রং। বেশ কয়েকটা 'ধন্যবাদ' পাইসি দেঁতো হাসি
তবে এই টাইপ মন্তব্য অ-নে-ক আগে করতাম। ইদানিং করি না। কারণ ইদানিং হালকাআআআ মনে হয় বুঝতে পারি কবিতা খাইছে তাই মন্তব্য করলে, বুঝেই করার চেষ্টা করি।

কী পুরষ্কার দিবা, আগে কও। চোখ টিপি
ওক্কে, পাঠাইতেছি। তবে মেসেঞ্জার থেকেও তো পাইতা ইমেইল অ্যাড্রেস। লিস্টে তো আছোই।

স্পর্শ এর ছবি

'কাষ্ঠ ধন্যবাদ'। খাইছে
তবে ট্রিকটা হলো, বুঝলেও বুঝলাম বলা যাবে না। বলতে হবে 'অনুভব করলাম' হাসি
কবি ভাইরা আমারে আজকে গণ না দেয়। ইয়ে, মানে...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হো হো হো
তুমি মিয়া কবিতার পোস্টগুলাতে সাবধানে ঢুইকো কিন্তু খাইছে

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

পাইছি অপ্র-রে! দেঁতো হাসি
পুরষ্কার না কিন্তু, পুরস্কার।
আর, ইদানিং-টাও ক্যান্ জানি ইদানীং আসোলে!

না স্পর্শ, আপ্নেরে না। হাসি
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা। চাইলে আমারে দৈনিকই ধরতে পারবেন এভাবে। খাইছে

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

জিহ্বাভিত্রেঢুকান্মিয়া! চোখ টিপি
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

মামুন হক এর ছবি

সংযমের মাসে হিংসা করা মানা, তবুও পেটে ঠেলে হিংসা আসছে। কী অদ্ভুত লেখার হাত আপনার!!

স্পর্শ এর ছবি

ঞ্যাঁ!! ইয়ে, মানে...
হায় হায়। গদ্য গদ্য...তো। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

না, আমি কমু- আপ্নের লেখার বিষয় এবং ব্যঞ্জনা ভালা পাইছি!
আরো কমু- ওই ছন্দেন্দ্রনাথ দত্তের ছন্দও ভালা পাই বিয়াফক!
চলুক
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ সাইফুল ভাই! হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ভুতুম এর ছবি

লেখাটা ভালো লাগলো বেশ।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

স্পর্শ এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মূলত পাঠক এর ছবি

নারে ভাই, পড়ে দারুণ মজা পেলাম। তোফা লিখেছেন, আর আমাদের মনের কথাও বটে। আমি আবার কবিতা না বুঝলে ভালো বলি না, তাইতে কবিরা আমার উপর অল্প একটু খাপ্পা থাকে, কেউ পেটায় নি এখনো অবশ্য। তবে আমার কবিতা বোঝা-না-বোঝা নিয়ে যে থিয়োরি তার চাইতে আপনারটা ঢের ভালো, ৫-এ ৩, মানে ৬০% বোঝা গেলে পাস। অনায্য তা বলা যায় না। হাসি

স্পর্শ এর ছবি

আপনার থিওরীটা বলে দিতেন।
লেখা ভালো লেগেছে জেনে হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

যে আপাত-দৃষ্টিতে-নিরীহ মন্ত্রটি যে কোনো সময় যেকোনো কবিকে কুপোকাত করে দিতে পারে তা হচ্ছে, ‘আমি এমনিতে কবিতা বুঝি না, কিন্তু আপনার কবিতাটি বুঝতে পারলাম। খুব ভালো লাগলো’। এই মন্তব্যে বোঝা যাচ্ছে যে, এই পাঠক একজন কাব্য-আবাল। যে কিনা কবির একটি কবিতা আবার ‘বুঝে’ ফেলেছে! শুধু বুঝেই ক্ষান্ত হয়নি। তার নাকি সেটা ‘ভালোও’ লেগে গেছে! এর চেয়ে চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে জন সম্মুখে জুতোপেটা খাওয়া উত্তম।

সাড়ে সর্বনাশ ভাই, দিলেন তো আমার দফারফা করে...বেশ কবিদের মন যুগিয়ে খাইছে চলছিলুম। ওগো, এখন আমার কী হবে গো...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

স্পর্শ এর ছবি

হা হা হা! এর পর থেকে সামহালকে। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মূলত পাঠক এর ছবি

তারার ফুল পড়লাম, এবং সেখানে মন্তব্যও করলাম। আপনি তো একটা যা-তা!

স্পর্শ এর ছবি

তাই নাকি! দেখি গিয়ে। হাসি
পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

গৌতম এর ছবি

কবিতা বোঝার ব্যাপারে আপনার আর আমার মধ্যে বেশ মিল আছে। হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

স্পর্শ এর ছবি

দারুণ তো! হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

জামি এর ছবি

োসাধারণ.......খুব ভাল লাগলো পড়ে।

স্পর্শ এর ছবি

থেঙ্কু জামি। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মৃত্তিকা এর ছবি

বেশ মজা পেলাম লেখাটি পড়ে! এক ফাঁকে, তারার ফুলও পড়ে এলাম......চমৎকার!
কবিতা পুরোপুরি বুঝিনা----(এ ব্যপারে আমি আপনার চেয়েও অধম!)
তাই ধরে নিচ্ছি আপনার কবিতাটি নিশ্চয় অসাধারণ হয়েছে হাসি
_______________________________
সামনে যদি যাবি ওরে, থাক-না পিছন পিছে পড়ে।

স্পর্শ এর ছবি

দুটোই পড়লেন! অনেক ধন্যবাদ। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

চলুক

তানবীরা এর ছবি

সূর্যের রক্তিম নয়নে তুমি মেঘ দাও হে কজ্জল, পাড়াও ঘুম;
বৃষ্টির চুম্বন বিথারি চলে যাও, অঙ্গে হর্ষের পড়ুক ধুম।

---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

স্পর্শ এর ছবি

তাইলে বোঝেন কালিদাসের মেঘদূত কেন এত বস! হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অনিকেত এর ছবি

হা হা হা ----
হাসি থামাতেই পারছি না স্পর্শ---

তাই কখনো কোনো কবিতা পছন্দ হয়ে গেলে নিশ্চিত হয়ে যাই যে, এইটা আর যাই হোক উন্নতমানের কিছু না।

এর চেয়ে চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে জন সম্মুখে জুতোপেটা খাওয়া উত্তম।

বই ধরে ধরে উলটে পালটে হুটহাট একেকটা কবিতা পড়ে ফেলি। মোটামুটি পাঁচটার মধ্যে তিনটা ভালো লাগলেই বুঝে যাই- কাম সারছে, কবির কোয়ালিটি লো!

এরকম আর কত উদ্ধৃতি দেব?
হিউমারটা আসলেই খুব ভাল আসে তোমার লেখায়----

এরকম আরো আসুক---

শুভেচ্ছা

স্পর্শ এর ছবি

অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া! হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

লেখা খুব ভালো লাগলো, ভ্রাতঃ। যা বলেছিলাম, তা যে এমনি এমনি বলি নাই, সেটা এমন লেখা পড়লেই বোঝা যায়।

স্পর্শ এর ছবি

হায় হায়! এইসব আব্‌জাব হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সেপাই [অতিথি] এর ছবি

অনেক আগে, বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের কবিদের কবিতা নিয়ে প্রথমআলোতে একজন বিশেষজ্ঞের বেশ বড় একটা লেখা পড়েছিলাম, লেখাটার র‌্যফারেন্সের কোন কিছুই মনে নেই, তবে ওই লেখাটা থেকে আমি যে ধারণা নিয়েছি সেটা হল "কিছু কিছু কবি তাদের কবিতার তথাকথিত মান উন্নতির জন্য বাংলা অভিধানের থেকে খুঁজে খুঁজে কঠিন কঠিন শব্দ বের করেন এবং কবিতায় এবাসট্রাক্ট ভাব আনার জন্য যা করেন তাতে মূল বক্তব্যটা এতটাই অবফাসকেট হয়ে যায় যে, সেটার মধ্যে আসলে কোন বক্তব্যই থাকে না, কয়েক বছর পর ওই কবি নিজেই যদি তার ওইরকম একটা কবিতা পড়েন তাহলে দেখা যাবে সে নিজেই বুঝতেছে না কি লিখেছে!" তো এই লেখাটা পড়ার পর, আমি যদি দেখি ২-৩ বার পড়ার পর ও কবিতার কিছু বুঝতে পারছি না, তখন আমি ৬০% ধারণা নিয়ে নেই এটার মধ্যে কোন বক্তব্য নাই! কারণ আমি দেখেছি একটা ভালো কবিতা যেকোন চিন্তাশীল ব্যক্তি মাত্রই কয়েকবার পড়লেই বুঝতে পারবে কবি কি বলতে চেয়েছেন। উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে - হ্যানরি ওয়ার্ডসওর্থের - "দি এ্যরো এন্ড দি সং", রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের - "সোনার তরী" অথবা রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর - "অভিমানের খেয়া"র কথা। আমারতো মনে হয় এগুলো প্রথমবার যখন পড়েছিলাম তখনই বুঝতে পেরেছিলাম, এবং এগুলো কোন ভাবেই নিম্ন-মানের কবিতা না।

স্পর্শ এর ছবি

আসলেই কবিতা সেরকম হলে এক বারেই একটা তীক্ষ্ণ ফলার মতো হৃদয়ে ঢুকে যায়। শব্দ অলঙ্কারের অতিরিক্ত ঝঙ্কার না তুলে শুধু কবির নিজের অনুভূতির কাছে সৎ থাকলেই সেই কবিতা ভালো লাগে আমার।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কবিতা বিষয়ক এক্কেবারে একখান উত্তরাধুনিক কোবতেগদ্য

জি.এম.তানিম এর ছবি

আমার কাব্য গদ্য চিত্র ফটোগ্রাফি সমস্ত হিংসা আছে। মহা মহা সব গুণীজনের কাজ দেখি আর ভাবি আমিও যদি পারতাম...

তবে এর জবাব পেয়েছি এক পাঠ্যপুস্তকে:
"ছাগল দিয়ে যদি মলন চলত তবে লোকে ষাঁড় খুঁজত না..."

ডিস্ক্লেইমার ১-
এখানে আপামর কবি সাহিত্যিক শিল্পীকে ষাঁড় বলা হয় নাই।
ডিস্ক্লেইমার ২-
এখানে মন্তব্যকারী নিজেকে ছাগলও বলেন নাই... দুইটাই উপমামাত্র!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

মধ্যসমুদ্রের কোলে এর ছবি

হা হা হা.... নতুন জিনিস শিখলাম।

"কোনোদিন জাগিবে না আর, জাগিবার গাঢ় বেদনার, অবিরাম অবিরাম ভার, সহিবে না আর -
এই কথা বলেছিলো তারে চাঁদ ডুবে চলে গেলে - অদ্ভুত আঁধারে , যেন তার জানালার ধারে,
উটের গ্রীবার মত কোন এক নি:স্তব্ধতা এসে"

আমিও এইসব লাইন বুঝি না। মন খারাপ
আপনি বোঝেন নাকি?

সুরঞ্জনা [অতিথি] এর ছবি

লেখাটা খুব ভাল লেগেছে।
রবীন্দ্রনাথের ছিন্নপত্রাবলী তে মেঘদূতের বর্ণনা পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম, আপনার মেঘদুতের অনুবাদ ভাল লাগল, কোথায় পেলেন?

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুণ লেখা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।