বিদেশযাত্রা (শেষ পর্ব)

স্বপ্নহারা এর ছবি
লিখেছেন স্বপ্নহারা (তারিখ: বুধ, ০৩/০২/২০১০ - ৪:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

।।৪র্থ দৃশ্যঃ
(বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট, কাস্টমস কর্মকর্তার সামনে)

কর্মকর্তাঃ আপনাদের সুটকেস দেখি কী আছে?? কোন অবৈধ কিছু নাইত?

মফিজঃ জ্বী-না, আমি ভাই ভদ্রঘরের পোলা।

কর্মকর্তাঃ
(সুটকেস খুলে লুংগি-গামছা বের করবে! তারপর একটা কাঁঠাল বের
করবে) এটা কি?

কুলসুমঃ ও ভাই, এইটা চিনেন না! এইটা কাঁঠাল।

কর্মকর্তাঃ না এইটা অবৈধ। এটা নিতে পারবেন না। আরে এইখানে কী!! আচার! না এইটা ফৌজদারী কেস। এই সুটকেস সীজ করলাম।

মফিজঃ ভাই ভাই...মাফ করে দেন। প্রথমবার বিদেশ যাচ্ছি। আমি একজন ইঞ্জিনিয়ার।

কর্মকর্তাঃ ওহ। ইঞ্জিনিয়ার ত কী হইছে! না কিছুতেই সম্ভব না, এগুলা নিতে পারবেন না।
(আশে-পাশে তাকিয়ে বাম হাত বাড়াবে!)

মফিজঃ ভাই সুটকেসের বাকী জিনিসগুলাত দোষ করে নাই! ওইগুলা দিয়া দেন!

কর্মকর্তাঃ শুনেন নাই, সঙ্গদোষে লোহা ভাসে। সবই ইল্লিগাল! তবে আপনি যদি চান আমি ছাইড়া দেয়ার ব্যবস্থা করতে পারি। (বাম হাত আবারো বাড়াবে...চোখ দিয়ে ইঙ্গিত দিবে)

কুলসুমঃ ওগো...উনি ব্যবস্থা করবে বলতেছেন। আপ্নে আমার ধর্মের ভাই! একটু ব্যবস্থা করেন।

কর্মকর্তাঃ আরে ধুর, বেকুব নিকি। ওই মিয়া, কারো ভাই হওয়ার আমার দরকার নাই। চা-পানি খাওয়ার জন্য ১০০০ টাকা দেন, ছাইড়া দেই...বেকুবের দল।

মফিজঃ চা-পানির এত দাম! (টাকা দিবে)

কর্মকর্তাঃ আরে ধুরু মিয়া, নিচ দিয়া দেন। র‌্যাব আছেত আশেপাশে! (টাকা নিবে) আইচ্ছা যান।
(ওয়াকি টকিতে) এই সব ক্লিয়ার কিচ্ছু নাই।

।।৫ম দৃশ্যঃ
(ইমিগ্রেশন গেট, কানাডার পতাকা পেছনে ঝুলবে। মফিজের হাতে সুটকেস। সুটকেসে বদনা বাঁধা।)

গার্ডঃ নেম?

মফিজঃ মোহাম্মদ মফিজ

গার্ডঃ হু ইস শী?

মফিজঃ শী ইজ মাই ওয়াইফ স্যার।

গার্ডঃ ইয়ূর পাসপোর্ট সে'স ইয়ুর নেম এমডি মাফিজ! ইয়ু ক্যাননট ইউজ ইয়ুর জব টাইটেল এস ইয়ুর নেম। এন্ড ইয়ু সেড ইয়ুর নেম ইস মোহাম্মদ মাফিজ! হোয়ার ইস মোহাম্মদ ইন দ্য পাসপোর্ট?

মফিজঃ দ্যাট এমডি মিনস মোহাম্মদ, স্যার!

গার্ডঃ ওহ, বাট আই এম নট কনভিন্সড উইথ দ্যাট। এনিওয়ে, ইয়ূর ডেইট অভ বার্থ
ইস ফার্স্ট জানুয়ারী। দ্যাটস আমেজিং! হোয়েনএভার আই সি পিপল ফ্রম ইয়ুর কান্ট্রি,
দে অল আর বর্ন অন দ্য নিউ ইয়ারস ডে! আই গেস, অল দ্য পেরেন্টস প্ল্যান ফর
গিভিং বার্থ অন দ্যাট ডে! ইয়ুর পিপল মাস্ট হেভ ফেসিনেসন ফর দ্য ডে!

মফিজঃ (কাশবে)

গার্ডঃ ক্যান আই সি ইয়ুর লাগেজ? (বদনা দেখে) হোয়াটস দ্যাট? লুকস লাইক এ
গান টু মি?

মফিজঃ ওহ, নো স্যার নো, দ্যাটস এ বদনা!

গার্ডঃ এন্ড হোয়াটস বাডনা?

মফিজঃ (সামনে তাকিয়ে) আরে শালার মদনা, তোরে কেমনে এহন বুঝাই, হোয়াট ইস
বদনা! (গার্ডের দিকে ফিরে) উই নীড দ্যাট টু কীপ ওয়াটার টু ইউজ আফটার টয়লেট!

গার্ডঃ বাট হোয়াই ডু ইয়ু নীড টু কীপ ওয়াটার ইন দ্যাট বাডনা? ডোন্ট ইয়ূ হ্যাভ
ওয়াটার ইন টয়লেট? আই এম নট কনভিন্সড এট অল। ইয়ু হ্যাভ টু শো মী!

মফিজঃ হে খোদা, অহন হের সামনে কইরা দেখাইতে হইবো!
(দুজন আড়ালে যাবে)

গার্ডঃ ওকে। নাউ ইয়ু স্ট্যান্ড ওভার দেয়ার।
(মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেক করবে)

মফিজঃ (নিজে নিজে) হালায় আমার মাথা চেক করে কেন? আমি কী মাথার ভিতরে
বোম লইয়া যাইতাছি নাকি!

গার্ডঃ ওকে, ক্লিয়ার, নাউ ইয়ু হ্যাভ টু কাম উইথ মি!

(আড়ালে যাবে, কিছুক্ষণ পর ফেরত আসবে, কাপড়-চোপড় আউলা ঝাউলা!)

গার্ডঃ ওকে, ইয়ু মে গো।

(মফিজ আর কুলসুম এয়ারপোর্ট থেকে বের হবে, চোখে সানগ্লাস দিয়ে স্মার্ট সাজবে মফিজ, পেছনে কুলসুম সুটকেস টানবে।)

মফিজঃ আইলাম, আমি কানাডা তে আইলাম!

(সামনে দিয়ে একটা বিদেশী মেয়ে হেঁটে যাবে, মফিজ তাকাবে বাজেভাবে! কুলসুম তাকে টান দিয়ে ধরবে, কুলসুমের ব্যাগ থেকে তাবিজ বের করে মফিজের গলায় পরাতে যাবে!)

।।শেষ দৃশ্যঃ

(একটা টেবিল ও তিনটা চেয়ার থাকবে মঞ্চে, সাইনবোর্ড দেখা যাবেঃ
"সমস্যালয়, প্রোপাইটরঃ ওস্তাদ সমাধান বিশারদ জি,সি,
এখানে শারীরিক, মানসিক, পারিবারিক, আর্থিক এবং ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত সমস্যাসহ
সকল প্রকার সমস্যার সমাধান "স্বপ্নে প্রাপ্ত ঔষধের" মাধ্যমে করা হয়।
ফোনঃ +১৪০৩ SMS SMDN")

ওস্তাদঃ আরে আসেন আসেন...নতুন নাকি ক্যালগেরিতে?

মফিজঃ জ্বি, গত মাসে আইলাম। আপনের অনেক নাম শুনলাম, তাই আসছি। আপনের ত দেখি বিশাল বিজনেস...

ওস্তাদঃ হ, তা আপনাগো দোয়ায়...

মফিজঃ কিন্তু আপনে একা মানুষ সব বিষয়ে সমাধান দিবেন কেমনে? আপনের কি সব বিষয়ে পড়াশুনা করছেন নাকি?

ওস্তাদঃ তা কইতে পারেন, মেট্রিক পরীক্ষার দশ সাবজেক্ট আমি দশবার পরীক্ষা দিয়া পাশ করছি! তাই প্রত্যেক বিষয়ে আমার বিশেষ দখল...তয় পড়াশুনা ত ব্যাপার না, আসল হইল জ্ঞান, যারে বলে নোলেজ এন্ড এক্সপেরিয়েন্স!

মফিজঃ তবু আমার সন্দেহ হইতাছে, একজন কেমনে সব বিষয়ে বিশারদ হয়!

ওস্তাদঃ কেন, পারুমনা কেন? আমগো দেশের রাজনৈতিক নেতাগো পড়াশুনা কতদূর জানেন আপনে? তারা যদি কিছু না জাইন্যা সব বিষয়ে গলা ফাটাইয়া বক্তৃতা দিতে পারে, মাথার চুলে জেল দিয়া যদি স্বদেশ মন্ত্রি হইতে পারে, আর ডাক্তারি পাশ কইরা যদি বিদেশ বিশেষজ্ঞ হইতে পারে, তাইলে আমি তিনটা বিয়া কইরা পারিবারিক বিশেষজ্ঞ, ছয় রকম বিজনেসে লালবাত্তি জ্বালাইয়া বিজনেস আর আর্থিক বিশেষজ্ঞ, আর নানারকম দুইনম্বুরি ডকুমেন্টস দেখাইয়া আমার চোদ্দগুষ্ঠির ইমিগ্রেশন লইয়া ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞ হইলে কী দোষ? আমারত রিলেটেড প্র্যাক্টিকাল নোলেজ আছে...হে হে

মফিজঃ হুম। কিন্তু অইযে লেখা স্বপ্নে পাওয়া ওষুধ দিয়া সব প্রব্লেম সলভ করেন!

ওস্তাদঃ হে হে, আমার কাস্টমারতো মনে করেন সব দেশি লোক...তারা আবার বিজ্ঞানের চেয়ে স্বপ্নের উপরে বিশ্বাস বেশি করে! তাই আমি এইযে বোতলে রাখা (বোতল বের করবে) ওষুধ খাই, তারপর সমাধান দেই...হে হে! তা আপ্নের কি সমস্যা...?

মফিজঃ আমার আর আমার বউয়ের ত হাজারটা সমস্যা...আইছি পরের থেইকা সমস্যা লাইগা-ই আছে!

ওস্তাদঃ কন কী! একটু ভাবসম্প্রসারণ করেন না!

মফিজঃ আমি আসার পরে একদিন রাস্তা পার হইতাছি, আমার ঢাকায় বাসা ছিল গুলিস্তানে। তাই রাস্তা পার হওয়ায় আমি বিশেষ এক্সপার্ট। তো সুন্দর মত দেইখা শুইনা আমি দিলাম দৌড়! আমি আবার নিয়ম জানি, তাই প্রথমে ডানে পরে বামে দেইখা পার হইতে লইলাম...

ওস্তাদঃ কন কী? প্রথমে ডানে পরে বামে? এইখানেত ভাই উল্টা...

মফিজঃ হ। সর্বনাশ হইল যে সব গাড়ি উল্টা দিক থেইকা আইসা আমি পার হওয়ার সময় আমার সামনে থাইমা গেল...আমিত গেলাম ডরাইয়া। বউরে কইলাম এখন কী করি, হেরা ত আমি পার হইতে লইলে আমগোরে মাইরা ফালাইব মনে হইতাছে। দিলাম দৌড়। কিন্তু পরে শুনি এইখানে রাস্তা পার হওয়ার ও বলে নিয়ম আছে...

ওস্তাদঃ তো এখন ত নিয়ম জানছেন...ঠিকমত পার হইবেন...

কুলসুমঃ কিন্তু আমগো অভ্যাস নাই যে...প্রায়ই রাস্তায় নাইমা যাই, যখন মাঝখানে পৌঁছাই, তখন মনে পড়ে...

ওস্তাদঃ অসুবিধা নাই, দুই-একটা টিকেট খাইলেই ঠিক হইয়া যাইবো...হে হে। জীবনেও ভুলবেন না!

কুলসুমঃ হেইডাও খাইছি...

ওস্তাদঃ তাই নাকি! আইতে আইতে টিকেট খাইয়া লাইছেন!

মফিজঃ হ, কয়দিন আগে ডাউন্টাউন যাইতেছিলাম ট্রেনে প্রথম বার। টিকেট কাটতে ভুইলা গেসিলাম।।এইখানে আবার স্টেশনে স্টেশনমাস্টার ও নাই- টি,টি ও নাই। কি যে বেকুইব্যা সিস্টেম...যাউগগা, তো হঠাৎ কইরা হেইদিন আমগো দেশের মোবাইল কোর্টের মত দুই পুলিশ আইয়া কয় "স্যার আপ্নেগো টিকেট দেখান"

ওস্তাদঃ হ, টিকেট ত দেখাইতেই হইব।

কুলসুমঃ আমরা ত ডরে শেষ! কিন্তু হেরা খুব ভাল...স্যার-ম্যাডাম কইয়া ডাকে...

মফিজঃ হ, হেরা আমগোরে পরের স্টেশনে নামাইয়া টিকেট ধরাইয়া দিল...ভাবলাম বুঝি ট্রেনের টিকেট দিসে, পয়সা দিয়া কিনতে হইবো। পরে বুঝলাম এইখানে টিকেট মানে জরিমানা...

কুলসুমঃ হ, এইদেশে সব কেমন জানি উল্টাপালটা...আইচ্ছা ওস্তাদ, এইখানে লোকজন
সব কথা পছন্দ করে কেন? যা কয় সব শব্দের গ্যাপে গ্যাপে খালি পছন্দ করার কথা কয়!

ওস্তাদঃ জ্বি বুঝলাম না...তয় আমার হাতে টাইম বেশি নাই; ভাবসম্প্রসারণ না কইরা সারমর্ম কন...

কুলসুমঃ এইযে যেমন ধরেন, আমি জিগাইলাম, "হোয়ার আর ইয়ু গোয়িং?" এরা আনসার দেয়, 'আই এম লাইক গোয়িং টু লাইক ডাউন্টাউন!" মানে করলে দাঁড়ায়, আমি পছন্দ করি যাইতাছি পছন্দ করি ডাউন্টাউন!

ওস্তাদঃ এহে...এই লাইক সেই লাইক না...এইটা হইল লাইক লাইক...আমগো অনেকের যেমন মুদ্রাদোষ থাকে, হেগো বেশিরভাগেরই এই লাইক করার রোগ থাকে!

মফিজঃ তয় যাই কন, এইদেশে সব কেমন জানি! আমার বাসার ফোন লইছিলাম আমার বউ উম্মে কুলসুমের নামে...প্রত্যেকদিন লোকজন ফোন কইরা জিগায়, ক্যান আই টক টু মিস্টার কালসাম? আমি কই, কালসাম কেডা আবার? পরে বুঝলাম হেরা আমারে মিস্টার কালসাম ডাকে। এহন কই যাই, এই দেশে আইসা শেষে বউয়ের নামে পরিচয় করতে হইলেত ইজ্জত আর থাকবো না।

ওস্তাদঃ হ, এইডা ঠিকই কইছেন...টেলিমার্কেটিং এর লোকজনের জ্বালায় মনে হয় ফোন ভাইঙ্গা লাই...তার উপর নামের যেই হাল করে, নিজের নাম শুনলে চিনতেই পারিনা আমারে কইতাছে না আমার প্রতিবেশীরে ডাকতে কইতাছে। হেরা আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার, সিল্ভেস্টার স্ট্যালোন কইতে পারে আর মফিজ/কুলসুম কইতে পারে না.. ওইডা হইয়া যায় মাফিস আর কালসাম! তা এখন আর কী করবেন...আইছেন পরের দ্যাশে, মাইন্যা লন! এই মানতে মানতেই একদিন ক্যানাডিয়ান হইয়া যাইবেন।
যাউগগা, এখন আপনারা আসেন...
(সবাই স্টেজ ছেড়ে যাবে)

(যবনিকা)

[i] আশেপাশের মানুষের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে ক্যালগেরী ইঞ্জিনিয়ারিং এসোসিয়েসনের অনুষ্ঠানে মঞ্চস্থ করার উদ্দেশ্যে লেখা। মহান ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌতুকের ছায়া অবলম্বনে দর্শকদের স্থূল বিনোদন দেয়ার জন্য একটি অপপ্রচেষ্টা।[i]


মন্তব্য

তৌফিক হাসান [অতিথি] এর ছবি

দারুন লাগল, কিন্তু এখনি শেষ করে দিলেন?
আরো পড়তে মঞ্চায়...
মঞ্চে নিশ্চই সবার খুব ভাল লাগবে...

স্বপ্নহারা এর ছবি

আশা করছি ভাল হবে...ধন্যবাদ
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হেহে এই পর্বও ভাল্লাগলো দেঁতো হাসি
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌হাসতে হাসতে পড়ে যাবার দশা হলো মিষ্টার কালসামের ঘটনায়!!! হাসি

আপনি কি ক্যালগেরীতে আস্তানা নিছেন নাকি?

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

স্বপ্নহারা এর ছবি

এটা ভাই আমার নিজের ঘটনা! আমার বউয়ের নামে ফোন ছিল, আর ফোন কোম্পানি নামের বানান ভুল করছিল...তাই প্রজ্ঞা (বউয়ের নামের শেষাংশ) হয়ে গেল 'পারজান'!! প্রতিদিন ফোন করে মিস্টার 'পারজান' রে খুঁজে! প্রথমেতো বুঝি-ই নাই...মন খারাপ

আপাতত ক্যালগেরিতে প্রায় ৪ বছর আছি; মাস্টার্স শেষ করে এখন পিএইচডি'র দ্বিতীয় ভাগে...ঃ)

-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

সাইফ তাহসিন এর ছবি

পুরাই হাহাপগে, পাক্কা ৫

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

স্বপ্নহারা এর ছবি

ধন্যবাদ বস! ব্যস্ত নাকি? ডুব দিছেন দেখি!

-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

তানবীরা এর ছবি

নাটকের ভিডিও লিঙ্ক দিয়েন পরে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

হো হো হো
ভালো হইলে পুরো সিরিজটা। তবে কিছু উচ্চমার্গীয় কৌতূক রাখলে আরো ভালো হইত। চোখ টিপি

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

এম্মা! শেষ হয়ে গেলো! মন খারাপ

-------------------------
ওলো সুজন আমার ঘরে তবু আইলোনা
এ পোড়া মনের জ্বলন কেন বুঝলোনা!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

স্বপ্নাদিষ্ট এর ছবি

অনেক দিন হয়ে গেল তো! নতুন পর্ব দেন ভাইয়া .. দেঁতো হাসি

-স্বপ্নাদিষ্ট
=======================
যে জাতি নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করে না, আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।