লায়ন

তানভীর এর ছবি
লিখেছেন তানভীর (তারিখ: শুক্র, ১৮/০৪/২০০৮ - ৯:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাপ-মায়ের দেয়া নাম ওর কেউ মনে রাখে নি। সিংহের মত নির্ভীক ছেলেটা নিজেই পছন্দ করে নিজের নাম রেখেছিল লায়ন। সেটাই ছড়িয়ে গেল দিগ্বিদিক। পার্বতীপুরের অজ পাড়া গাঁ থেকে এসে ‘এলাম, দেখলাম, জয় করলাম’- এর মত রূপকথার গল্পকেও হার মানিয়ে সে নিমেষে বুয়েট জয় করে নিল।

লায়নের সাথে প্রথম দেখা হওয়ার দিনটা এখনো মনে পড়ে। হল থেকে আমরা অনেকেই গিয়েছিলাম নিউমার্কেটে বইয়ের দোকানের সামনে আড্ডা দিতে। তখন সবাই নতুন, অনেককেই চিনি না। লায়ন নিজেই এসে পরিচিত হল... ‘বন্ধু, তোর নাম কি?’ প্রথম কথাতেই এমন ‘তুই’ করে বলতে আমি আর কাউকে দেখি নি! নজরুল হলে ঘন ঘন যেতাম, লায়নের সাথেও তাই প্রায়ই দেখা হত, আড্ডা হত। যদিও আমাদের আড্ডা কিছুক্ষণ পরেই গানের আসর হয়ে যেত। আর তার মধ্যমণি লায়ন। জেমস-এর গান এত ভাল জেমসও গাইতে পারে কি না আমার সন্দেহ। বিশেষ করে হলে বিদ্যুত চলে গেলে লায়ন যখন উদাত্ত কন্ঠে গান ধরত, সে মূহুর্তগুলো এখনো স্বপ্নের মত মনে হয়।

আমাদের ব্যাচ ঢোকার কিছুদিন পরেই ইউকসু ইলেকশন হল। হাসিব ভাইয়ের প্যানেল থেকে লায়ন দাঁড়াল আপ্যায়ন সম্পাদক হিসেবে। প্রথম বর্ষের কেউ এসে সরাসরি ইউকসু ইলেকশন করতে বুকের পাটা লাগে। লায়নের তাতে কমতি ছিল না। ইলেকশনে এক সিনিয়র ভাইকে হারিয়ে দিল তো বটেই, সবচাইতে বেশী ভোটের ব্যবধানেও জিতল! আমার এখনো ভাবতে মজাই লাগে, ওই সিনিয়র ভাইয়ের কাছ থেকে মেলা টাকা খেয়ে, আমরা সবাই ভোটটা লায়নকেই দিয়েছিলাম।

লায়নের সেই হল উত্থান। ইলেকশনে জেতার পরে অনেককেই বদলে যেতে দেখেছি। লায়নকে দেখি নি। ক্যাম্পাসে কিছুটা ফরমাল থাকলেও হলে সেইরকম আন্তরিক। কিন্তু, এই এত জনপ্রিয়তাই লায়নের কাল হল! ’৯৮-এ বিশ্বকাপ দেখা নিয়ে ক্যাম্পাসে ব্যাপক ভাংচুর হল। আমাদের সাধের ক্যাম্পাস কারা যেন গুঁড়ো গুঁড়ো করে পিষে ফেলল। এটাও একটা হতভম্ব হওয়ার মত দিন। একটা কাঁচও মনে হয় সেদিন ক্যাম্পাসে আস্ত ছিল না। কর্তপৃক্ষ আরো অনেকের সাথেই লায়নকে দোষী সাব্যস্ত করল। লায়ন ঐ ঘটনায় আসলে জড়িত ছিল নাকি পরিস্থিতির শিকার এটা আমি জানি না। তবে স্যারদের একবার রোষানলে পড়লে যে আর রেহাই নেই, সেটা লায়ন হাড়ে হাড়ে টের পেল। ওকে মনে হয় দু’-এক টার্মের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল। আরো শুনলাম, লায়ন পরীক্ষা দিলে ইচ্ছে করেই স্যাররা ফেল করিয়ে দিত। আমাদের যখন ফোর্থ ইয়ার শেষের পথে, লায়নের তখনো আরো ১০০ ক্রেডিট শেষ করা বাকী! যতটুকু জানি, লায়ন মোটেও সচ্ছ্বল পরিবারের সন্তান নয়। পরিবার থেকেও পড়াশুনা তাড়াতাড়ি শেষ করে সংসারের হাল ধরার একটা চাপ ছিল। এসব চাপে, রাজনীতি ইত্যাদির নানামুখি চাপে লায়ন হঠাৎ করেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলল। অনেকে বলে লায়ন কোন এক অভিনেত্রীর জন্য পাগল হয়ে গিয়েছে- এটা আসলেই একটা মিথ্যা কথা। অভিনেত্রীকে জড়িয়ে যে সমস্যা- তা ছিল লায়নের অপ্রকৃতিস্থ মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ। পরে শুনেছি আমাদের বিখ্যাত বুদ্ধিজীবিরা রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য এটাকে ইস্যু করে লায়নের পিছে লেগেছিল!

সবচেয়ে খারাপ লেগেছিল লায়ন অসুস্থ হবার পর যখন জোর করে তাকে ইউকসু ভিপি ইলেকশনে দাঁড় করানো হল। বুয়েটে ছাত্রদল তখন অন্তসারশুণ্য। ইলেকশনে জিততে হলে লায়নের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগানো ছাড়া কোন গতি নেই। লায়নের তখন বোধ-বুদ্ধি নেই। কিছুদিন আগেই এক মানসিক হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে। যে ছেলেটা একসময় রাজনীতির জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিল, তার দুঃসময়ে তাকে সাহায্য করার পরিবর্তে, পার্টি তাকে নিয়ে রাজনীতির খেলা খেলল। এরাও কি মানুষ! আজও স্পষ্ট মনে পড়ে, ভিপি-জিএস বিতর্কের সময় আমরা কয়জন স্তম্ভিত আর উৎকন্ঠিত হয়ে দেখছিলাম লায়ন কি সব গত বাঁধা বুলি আউড়ে গেল, আর পার্টির লোকজন চারপাশে সারাক্ষণ তটস্থ হয়েছিল এই বুঝি লায়ন বেফাঁস কিছু বলে ফেলে। না, লায়ন বেফাঁস কিছু বলে নি। লায়ন যখন সুস্থ ছিল তখন তার ধারে কাছেও কেউ কখনো আসতে পারে নি, অসুস্থ লায়নও ভিপি পদে ইলেকশনে জিতল। লায়ন ইউকসু ভিপি!!! কিন্তু, ভিপি পোস্ট তখন তার পতনকে আরো তরান্বিত করল মাত্র। আরও চাপে সে আবার মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে গেল।

শুনেছি লায়ন এখনো অসুস্থ হয়ে বুয়েটেই আছে। হয়তো জুনিয়ররা দেখে হাসাহাসি করে, আমরা যেমন সালাম ভাই বা শহীদুল্লাহ ভাইকে দেখে করতাম। তবে আমরা যারা লায়নকে চিনি, যারা লায়নের বন্ধু ছিলাম, তারা চিরদিন লায়নকে মনে রাখব একজন অকুতোভয়, উদার ও অসীম বন্ধুভাবাপন্ন মানুষ হিসেবে, আমরা তাকে মনে রাখব আমাদের মাঝে জ্বলে ওঠা ক্ষণকালের তারা হিসেবে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েও যে হারিয়ে গেল, আমরা তাকে মনে রাখব তার উদাত্ত কন্ঠ আর গানের জন্য, যুগ থেকে যুগান্তরে আমরা তারায় তারায় রটিয়ে দেব- এক সিংহের গল্প।

(পুরানো লেখা। লায়নের কথা ওঠায় দিলাম আবার)


মন্তব্য

সবজান্তা এর ছবি

দারুন লাগলো লেখাটা। (বিপ্লব)

লায়ন ভাইকে প্রথম দেখি একদিন ক্যাফেতে। সেদিনের স্মৃতিটাও বেশ অদ্ভুত। এক রিকশাওয়ালাকে ধাওয়া করেছিল, হাতে কুঠার সদৃশ কিছু একটা নিয়ে। ধাওয়া দিতে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই থেমে যেয়ে এক মেয়ের দিকে তাকিয়ে হঠাৎ করে হেসে বললেন, "ভালো আছো আপু ? "

আরেকদিনের কথা, সন্ধ্যার দিকে ক্যাফেতে বসে আড্ডা মারছি আমরা সবাই। দেখি কোথার থেকে লায়ন ভাই এসে নির্বিকারভাবে আমাদের প্লেট থেকে একটা পেয়াজু নিয়ে বলছে, "কিরে তোদের কি খবর।"

একবার পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলনের নীল নকশা করা হচ্ছে নজরুল হলে। কোথার থেকে এসে লায়ন ভাই, বলা শুরু করলেন, কিভাবে সার্থক নেতা হওয়া যায়।

কিছুদিন আগেও দেখতাম, এখন আর দেখি না উনাকে ক্যাম্পাসে। লায়ন ভাইকে যারা সুস্থ অবস্থা থেকে চিনতেন, তারা যত হাসি তামাশাই করুক উনার গল্প নিয়ে, কেউ ভুলেও একবার বলে না , লায়ন ভাই খারাপ লোক ছিলেন। বরং উনার অনেক বড় মনের পরিচয় পাওয়া যায়, এমন অনেক কাহিনীই আমরা শুনেছি।
--------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

জাহিদ হোসেন এর ছবি

কোথায় যেন আগে এই জাতীয় একটা লেখা পড়েছিলাম। ভাল লাগলো খুব আবারো।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমরাও প্রথমে উনাকে দেখে প্রথমে হাসাহাসি করতাম। কিন্তু পড়ে যখন জানলাম উনি মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন তখন বেশ খারাপ লাগে। উনার স্মৃতিশক্তি ভালই- একবার নাম বললেই মনে রাখতে পারেন। পরে যতবার উনার সাথে দেখা হয়েছে উনি বেশ আন্তরিক ব্যবহার করেছেন। এটা ঠিক স্যাররাও তাকে বেশ সমীহ করে চলেন। একবার জাকারিয়া স্যারের ক্ল্যাসে উনি কী যেন একটা করেছিলেন। আমরা ভাবলাম স্যার যখন দেখে ফেলেছে তখন নিশ্চয়ই উনাকে বড় রকমের শাস্তি দিবেন। পরে দেখলাম স্যার তার দিকে কিছুক্ষণ স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে আবার ব্ল্যাকবোর্ডে ফিরে গেলেন!

গত দেড় বছর ধরে উনাকে ক্লাসে তো দূরের কথা ক্যাম্পাসেও দেখিনা...মনে হয় আমরা তাকে মিস করছি...

(রিজভী)

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কিছু গল্পে কমেন্ট করা যায় না
এটা সেরকম...

স্বপ্নাহত এর ছবি

লায়ন ভাইকে আমি চিনিনা।চেনার কথাও না।যতটুকু জানি বা জেনেছি পুরোপুরিই পত্র পত্রিকার কল্যাণে।সে জানার পুরোটুকুই তাকে নেতিবাচক একটা চরিত্র হিসেবে ভাবাতে বাধ্য করে।

আজকে আবার আপনার লেখা পড়লাম।না জানা অনেক কিছু জানলাম।এবং আগে লালন করা ভুল ধারণাগুলো শুধরে নিলাম।

লেখাটার জন্য ধন্যবাদ।

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

সৌরভ এর ছবি

২০০০ এর ইউকসু নির্বাচন খুব কাছ থেকে দেখেছিলাম।
তার সমসাময়িক ল্যাগ খাওয়া ফ্রন্ট নেতাদের সাথে এক রুমে থাকবার সুবাদে এইসব গল্প শুনতাম।

লায়ন ভাইরা ভুল সময়ে ভুল জীবন যাপন করে, অনেক সময় মনে হয়।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- লেখাটা আগে কোথাও পড়েছি বলে মনে পড়ে!
ক্ষণজন্মা। এরা থাকেনা কিংবা থাকতে দেয়া হয় না। কেউ থাকেনি আজ পর্যন্ত।

খুব খারাপ লাগলো।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

পলিটিক্সে ভুল ভুলই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

এক কালে শুনেছিলাম নাম টা । মিডিয়ায় ও এসেছিল । নেপথ্যের কাহিনী জানা ছিল না । আপনার সুলিখিত রচনাটি থেকে জানতে পারলাম দৃশ্যের অদৃশ্য ।

-----------------------------
মাঝ রাতের বর্ষণ
ই-মেইলঃ

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

লেখাটা অনেক কিছু মনে করিয়ে দিল।
লায়ন সম্পর্কে আমার ধারণাতেও কিছু গলদ ছিল সেটা জেনে ভালো লাগলো। অভিনেত্রী ঘটিত বিষয়টা আমাকেও ধোকা দিয়েছিল।

তবে সব কিছুর ওপরে, লায়নকে আমি অন্তর থেকে ভালোবাসি আরোও অনেকের মতোই। একজন নেতা না হোক, একজন সতীর্থ, যে অনেক অল্প সময়ে ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছিল।

তানভীর (বিপ্লব)

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

রাসেল এর ছবি

এই ছেলে মনে হয় আমার বন্ধু ছিলো- কিংবা দুর্সম্পর্কের বন্ধু।
নামটা শুনেই মনে পড়লো বিষয়টা, বিএনপির লায়নের কথাই ভাবছিলাম প্রথমে।
-------------------------------------------------------
বাংলায় হাগি, মুতি, বাঁচি

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

নামটা শুনছিলাম, এত কাহিনী জানতাম না।

ক্যামেলিয়া আলম এর ছবি

ভাল লাগলো ----!
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

রাফি এর ছবি

লায়ন ভাইয়ের উপর এই লেখাটা পড়েছিলাম অনেক আগে।
তিনি ২/১ এ আমাদের সাথে ক্লাসও করেছেন সপ্তাহখানেক; হঠাৎ হঠাৎ উদয় হতেন; ব্যবহার ছিল অমায়িক।
গত তিন বছরে উনাকে আর দেখিনি। বসুনিয়া স্যার বলেছিলেন লায়ন ভাইয়ের এই করুণ পরিণতির জন্য উনার বাবা বেশ খানিকটা দায়ী। অপ্রকৃতস্থ হবার পর বুয়েট থেকে তোলা টাকা এবং মেডিক্যাল হেল্পের অপব্যাবহার করেছেন; এবং নিজের পয়সায় চিকিৎসা করাননি।
লেখাটা পড়ে আবারো মন খারাপ হল।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

Trina এর ছবি

কি কারনে লায়নের কথা আবার উঠলো তা জানতে চাই। লায়নকে নিয়ে এই লেখা পড়ে খুবই অবাক হলাম।

আদিত্য এর ছবি

লেখক বিস্তর কল্পনার রঙ মিশিয়েছেন বলা বাহুল্য । এভাবেই সম্ভবত অল্প সত্য এবং অনেকটা কল্পনাবিলাস মিলিয়ে জন্ম হয় উপকথার। উদাহরণ দেয়া যাকঃ
তাঁর উন্মাদ হওয়ার পেছনে একটি বড় বিষয় হিসেবে কাজ করেছে গঞ্জিকা এবং আহসানউল্লাহ হলের ছাদনিবাসী গুণধর বন্ধুরা। সে আক্ষরিক অর্থেই প্রেম-পাগল হয়েছিল ওই অভিনেত্রির। আমি সাক্ষী।তার পরিবার মধ্যবিত্ত হলেও দরিদ্র ছিল না। তাঁর ততোধিক সুবিধাবাদী বাবা ছেলের অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে কম টাকা কামাই করেননি।
আমি কে? আমি নজরুল ২০১-এ অক্টোবর ১৯৯৯ থেকে ডিসেম্বর ২০০৪-অব্দি লায়ন ভাইয়ের রুমমেট ছিলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভিতরটা কেমন জানি মোচর দিয়ে উঠলো

বিধান এর ছবি

কি সব মনের মাধুরি মিশিয়ে লিখে দিল। লায়্ন রাজনিতির কারনে অসুস্থ হয় নাই। লায়্ন মানসিকভাবে অসুস্থ হয়েচে অতিরিক্ত আবেগের কারনে। য্খ্ন ভিপি নিরবাচন করে তখন সে বেশ সুস্থ।

আদর&#039;10 এর ছবি

লায়ন ভাইয়ের সাথে একবার দেখা হইছিল। নামাজ পড়ে রুমে এসে দেখি কোট-প্যান্ট পড়া , মাথায় ঝুটি বাধা একজন আমার রুমে অপেক্ষা করছে। আমাকে দেখেই হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, "হাই, আমি লায়ন, একসময় ভিপি ছিলাম"। একজন জুনিওরের খোঁজে এসেছিলেন।

রফিকুন্ননবী নয়ন এর ছবি

উনার কোন ছবি কি কেউ দিতে পারবেন?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।