রবীন্দ্রসংগীতের পপ ভার্শন?

তানভীর এর ছবি
লিখেছেন তানভীর (তারিখ: শুক্র, ১১/০৭/২০০৮ - ৩:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কিংকর্তব্যবিমূঢ়ের পোস্ট থেকে ইউটিউবে ম্যাট হার্ডিং-এর পাগলা নাচ দেখলাম। ম্যাট-এর নাচ মনে হয় টিভির কোন নিউজে আগে দেখেছি। ভিডিওতে পালবাসা সিদ্দিকীর (উচচারণটা আসলে কি?) কন্ঠ এবং গায়কী ভাল লেগেছে। তবে এটা যে বাংলা গান কেউ বলে না দিলে তা বোঝার সাধ্য নেই।

তবে সবচেয়ে কনফিউজড হয়েছিলাম এটা নাকি রবিঠাকুরের কবিতা শুনে। কারণ ‘প্রাণ’ নামে রবীন্দ্রনাথের কোন কবিতা আছে জানা ছিল না। আর ভিডিওতে গানের সুর এমনই অন্যরকম, লিরিক পড়েও গানের কথা পরিচিত ঠেকছিল না। মনে হচ্ছিল এটা এমন কোন রবীন্দ্রসংগীত, যা হয়ত আমি আগে শুনি নি। শুধু ‘সে কী সহজ গান’ – এ লাইনটাই মনে হচ্ছিল খুব পরিচিত। নেটে একটু খোঁজখবর করতেই বুঝলাম এটা আসলে আমাদের সবার অতি পরিচিত রবীন্দ্রসংগীত ‘বজ্রে তোমার বাজে বাঁশী’ গানের অপভ্রংশ। গীতবিতানে ‘পূজা’ পর্বে গানটা এ শিরোনামেই আছে। নীচে গীতবিতানের লিরিক দিলাম।

আর এখান থেকে অরিজিনাল রবীন্দ্রসংগীতটাও ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। আপনারা যারা এটা আগেই ধরতে পেরেছেন, তারা নিশ্চয়ই আমাকে এতক্ষণে বেকুব ভাবছেন! আসলে ব্যাপারটা ধরতে পেরে নিজেকেই এখন মহাবেকুব লাগছে। কী গান কী হয়ে গেল! মূল রবীন্দ্রসংগীতের সাথে ‘প্রাণ’ নামক গানের সুরের তো কোন মিলই নেই, লিরিকও অনেক চেইঞ্জ করা হয়েছে। এটাকে কি বলব? রবীন্দ্র সংগীতের ‘পপ’ বা ‘রক এন্ড রোল’ ভার্শন? রবীন্দ্রবোদ্ধারা কীভাবে নেবেন জানি না, আমার কাছে অবশ্য এই ভার্শন খারাপ লাগে নি! খালি দুঃখ হচ্ছে এখন থেকে হয়ত বাংলা গান আমাদের এভাবেই শুনতে হবে- হাবীবের কন্ঠে আব্বাসউদ্দিন বা হাসন রাজাকে এভাবেই পুনরাবিষ্কার করতে হবে কিংবা পালবাসার কন্ঠে বিশ্ববাসীকে জানাতে হবে এটাই আমাদের প্রিয় রবীন্দ্রসংগীত!


মন্তব্য

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

বিশুদ্ধ ন্যাকা ন্যাকা শান্তিনিকেতনী কায়দার রবীন্দ্রসঙ্গীত সত্যিই ক্লান্তিকর। দেবব্রত বিশ্বাসরা এই ধারা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে একদা ব্রাত্য হয়েছিলেন (তাঁর রচিত 'ব্রাত্যজনের রুদ্ধসঙ্গীত' বইটি স্মর্তব্য)। আরো কেউ কেউ মূলধারার ভেতরে থেকেই একদা অভাবনীয় ও অকল্পনীয় গীটারসহ বিভিন্ন পশ্চিমা বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার করেছেন। বিশ্বভারতীকে একসময় তা মানতেও হয়েছে।

রবীন্দ্ররচনার কপিরাইট উঠে যাওয়ার পর থেকে রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে এবং তা থেকে অনেক ভালো কিছুও বেরিয়ে এসেছে। আরো আসবে। জঞ্জাল কিছু আসবে, একসময় তা ঝরেও যাবে। ব্যক্তিগতভাবে এই নিয়ে আমার কোনো ছুৎমার্গ নেই, যতোক্ষণ না রবীন্দ্রসঙ্গীত র‌্যাপ-এর পর্যায়ে না নামে, কারণ এই বস্তুটিকে আমার সঙ্গীত মনে হয় না।

সময়ের প্রয়োজনে সবই পাল্টায়। আজকের দর্শক-শ্রোতাদের কাছে রবীন্দ্রসঙ্গীতের অতুল ঐশ্বর্য পৌঁছে দেওয়ার জন্যে সেগুলি সময়ের উপযোগী করেই উপস্থাপন করতে হবে। কেউ কেউ মানতে চাইবেন না, কষ্ট পাবেন। কিন্তু মেনে না নিয়ে উপায়ও থাকবে না, যেহেতু রবীন্দ্রসঙ্গীতের বাণী আরো বহুকাল আধুনিক থাকলেও তার সুর ও উপস্থাপনে পরিবর্তন আনার কোনো বিকল্প আছে বলে অন্তত আমার মনে হয় না।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

দ্রোহী এর ছবি

ফুয়াদ কিছু না করলেই হইলো।


কি মাঝি? ডরাইলা?

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍ গড়াগড়ি দিয়া হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

সুর বা যন্ত্র নিয়ে নাড়াচাড়া আমার তিলমাত্র অপছন্দ না। তবে আমার খুব বেশি আপত্তি গানের কথা নিয়ে মাতবরি এবং কু-উচ্চারণ নিয়ে। স্বাধীনতার অপব্যবহার মনে হয় সেটাকে।শান্তিনিকেতনি প্যানপ্যানে গান থেকে মডার্নাইজ করা দরকার ঠাকুরকে, তবে এই ভাবে না।

অন্য ভাবে দেখলে, বস্ত্র-পরিবর্তনের অংশ হিসেবেই গুরুদেবের বস্ত্রহরণ হচ্ছে হয়তো। আশা করতে দোষ কী?

স্রেফ কৌতূহল থেকেই "পাগলা হাওয়া"র পুরনো ভার্সনটিও নামিয়ে শুনলাম আবার। মন অজান্তেই "উ লা লা" আশা করতে থাকে একটু পরপর। এটাই অপভ্রংশগুলোর সবচেয়ে বড় হুমকি। নীরব আততায়ীর মত একটু একটু করে আমাদের অভ্যস্ত করে দিচ্ছে বিকৃত ভার্সনের সাথে।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

জুবায়ের ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, আমি যে কথাগুলি বলতে চাইছিলাম সেগুলি অনেক সুন্দরভাবে বলে দেয়ার জন্য ... আমার সাধ্য নাই এভাবে বলার ইয়ে, মানে...

আমি ব্যাক্তিগতভাবে পরীক্ষা-নীরিক্ষার বিপক্ষে না, এমনকি যদি সেটা ফুয়াদও করে, যতক্ষণ পর্যন্ত সেটা মূল লিরিক না বদলায়, আর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে ... শুনতে ভালো লাগলে সেটা টিকে থাকবে, না হলে থাকবে না ...

পালবাসা-গ্যারী শ্যামেনের ভার্সনটাকে রবীন্দ্র সংগীত হিসেবে দেখা আমার মনে হয় ঠিক হবে না, কারণ গানের ভিডিও সহ সমস্ত জায়গাতেই ক্রেডিটে বলা হয়েছে, music by Garry Schyman, lyrics adapted form the poem "Stream of Life" from Gitanjali by Rabindranath Tagore ... কাজেই গানের লিরিকটাই শুধু রবি ঠাকুরের, সুরটা না ... লিরিকটা অবশ্য অবিকৃতভাবেই আশা করেছিলাম ...

এনিওয়ে, আমি গত দুইদিন ধরে আমার প্রচুর চাইনিজ-ফ্রেঞ্চ-মেক্সিকান-কানাডিয়ান বন্ধু-বান্ধবকে এই ভিডিও আর তার বাংলা গান দেখিয়ে ভাব নিয়ে বেড়াচ্ছি ... এটার জন্যই আমি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি ...

আর তানভীর ভাইকে অনেক ধন্যবাদ জানাই সঠিক লিরিকটার জন্য, আপনার আপত্তি না থাকলে এই অংশটুকু আমার পোস্টে যোগ করে দিতে চাই হাসি
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

নেট স্লো আর সময় কম থাকায় কিংকর্তব্য বিমূঢ়ের লিঙ্কগুলো নামানো হয়নি। শোনা দেখাও হয়নি তেমন। একটু সময় করে দেখতে হবে। তবে নিরীক্ষারে আমি সানন্দেই নিতে রাজি। খারাপ হইলে বাদ দিবো নাহয়... কিন্তু নিরীক্ষা চলুক। ভালো হইলে তো কোনও কথাই নাই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍পশ্চিমা শিল্পীরা মাঝে-মধ্যেই UNPLUGGED সঙ্গীত গেয়ে থাকেন। তো রবীন্দ্রসঙ্গীত PLUGGED করলে ক্ষতি কী? আর তা করার সময় অনেক আগেই হয়ে গেছে বলে আমার মনে হয়। কথা-সুর অবিকৃত রেখে অজস্র রবীন্দ্রসঙ্গীতের বর্তমান যুগোপযোগী কাভার-ভার্শন করা সম্ভব বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

আলমগীর এর ছবি

ভয়ে ভয়ে বলি, আমার কাছে পলবাসার গান মোটেই ভাল লাগে নাই, অনেকটা তিশমার মতো মনে হয়েছে। তবে ম্যাটের ভিডিও খারাপ লাগেনি।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

হায় হায় বলেন কি, কার সাথে কার তুলনা, দয়া করে তিশমা কে কারো জন্য তুলনা হিসেবে ব্যবহার করবেন না ভাইয়া, তিশমা যে সংগীত জগতে কিভাবে আছে বুঝিনা, ও একটা কমপ্লিট নাটকেস। এ কথায় কেউ কিছু মনে করলে আমার কিছুই বলার নাই।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

তানভীর এর ছবি

এ বিষয়ে আমার অবস্থান মাঝামাঝি। গানের ব্যাপারে আমি সর্বভূক। গ্যারী শ্যামেনের সুরে পালবাসার গান আমার যেমন ভাল লেগেছে, তেমনি শান্তিনিকেতনী ঘরানার রবীন্দ্রসংগীতেও কোন আপত্তি নাই। আর গান নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষাকেও আমি স্বাগত জানাই। আমার কাছে মনে হয়েছে ম্যাটের এই ভিডিওর সাথে মূল রবীন্দ্রসংগীতটাই বরং বেখাপ্পা লাগত। ভিন্নভাবে এবং ভিন্ন সুরে উপস্থাপনা গানটাকে একটা নতুন মাত্রা দিয়েছে। তবে মূল থেকে বিচ্যুত হবার একটা অন্যরকম কষ্ট থাকে। ‘বজ্রে তোমার বাজে বাঁশী’- এ গান আমার এতবার শোনা, তবু পালবাসার কন্ঠে দু’তিনবার শুনেও পরিচিত গানটাকে চিনতে পারি নি। তাই যখন বুঝতে পারলাম একটু ধাক্কা খেয়েছি বই কি। সুর পরিবর্তনে কোন আপত্তি নাই, তবে রবিবুড়োর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে লিরিকটা বোধহয় না পাল্টালেও চলত। যেটা আসলে মনে হয়েছে পুরনো বাংলা গানকে টিকে থাকতে হলে, বাকী বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হলে এভাবেই হয়তো অভিযোজন করে নিতে হবে। তাতে হয়ত আমাদের অনেকের আপত্তি থাকতে পারে। কিন্তু এটাই অবশ্যম্ভাবী।

@ কিংকর্তব্যবিমূঢ়, না ভাই আপত্তি কীসের! আপনার উসিলায়ই তো এতকিছু জানতে পারলাম।

= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আমারো পালবাসা সিদ্দিকীর গানটা দারুন লেগেছে, তারপর সেদিন কনফু ভাইয়ের পোস্টে "পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে" গানটাও চমৎকার লেগেছে। অনেক বার শুনলাম। তবে ইদানিং কলকাতার কিছু শিল্পিরা যে রবীন্দ্রসংগীতের নতুন ভার্শন গেয়েছে তার বেশ কিছু ভাল লাগেনি। আমার মনেহয় বেশি পরিচিত আর পছন্দের গান গুলো অন্যভাবে শুনলে ভাল লাগেনা, অরিজিনাল ভাবেই ওগুলো ভাল লাগে।
আমার মনেহয় কথা-সুর অবিকৃত রেখে নতুন ভাবে কোন কিছু প্রেসেন্ট করলে তা যদি জনপ্রিয় হয় তাহলে সেটা ভালই। হাবিবের হাসন রাজা আরো অন্য গান গুলোর রিমিক্স ভাল লেগেছে, যেমন "আমি কুল হারা কলংকিনী" টা আগে কখনও ভাল লাগত না কিন্তু ওর রিমিক্স ভালই লাগে। হাসি
p.s. কারো কাছে, "পাগলা হাওয়ার" রিমিক্স গানটা থাকলে আমাকে একটু লিংকটা দিয়েন হাসি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

প্রিয়াংকা এর ছবি

http://www.esnips.com/doc/365719b1-af8d-4479-aae4-769243bd5940/01.%20Pagla%20Hawar%20Badol%20Dine%20%5BRemix%5D পাগলা হাওয়া গান টি পাবেন এখানে, esnips-e। আমি সেদিন এই রিমিক্স শুনলাম আমার মালয়েশিয়া'র
ইউনি-তে করা এক নাচ-এর ভিডিও-তে।আমারো গান টি ভালো লেগেছে, হয়ত নাচ আর এফেক্ট মিলিয়ে।তবে একটা আশঙ্কা, এমন চলতে থাকলে কি আমাদের পরের জেনারেশন আসল রবীন্দ্র সঙ্গীত-এর সাথে আর পরিচিত হবে? আমাদের সংস্কৃতি-র একটা মূল কি হারিয়ে যাবে না?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

পাগলা হাওযাটাতো আমার ভালোই লাগলো
রবীন্দ্রনাথের গানের মালিক কি খালি রবীন্দ্রনাথই নাকি
ওগুলো এখন বাউল গানের মতো সবার মালিকানা জিনিস

০২
আমার প্লান করা রবীন্দ্রনাথের একটা গান
একজনকে দিয়ে গাওয়ানো
এটা শোনেন তো
কান পেতে রই

অনিন্দিতা এর ছবি

নেট স্লো থাকায় আমিও লিংক গুলোতে যেতে পারছি না।
১.তাই আলোচনা দেখে বলছি কবিগুরুর গানের বাণী, সুর অবিকৃত রেখে যদি নিরীক্ষা চলে তাহলে আমি এটা মানতে রাজী।
তবে সেটা জেনে বুঝেই করতে হবে। নিরীক্ষার চোটে যদি আসল গান তার বৈশিষ্ট্য হারায় তবে সেটার দরকার কী?
আর বেশী নিরীক্ষা করতে চাইলে বলবো নিজে গান লিখে, সুর করে তা করুক, আরেকজনের গানের উপর এত মাতব্বরি করা কেন?
২. আমি একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছি। অন্যরা একমত হবেন কি না জানি না। যখন কেউ শিল্পী হিসেবে দ্রুত নাম করতে চান তখন তিনি আধুনিক, পপ লোকগান গেয়েই করতে চান। রবীন্দ্র নজরুল! এসব তো পুরোনো মডেল! পাবলিক খায় না। ভাল কথা । যার যেমন রুচি।
এই শিল্পী একটু উপরের কাতারে উঠে পপুলার হলেই হল। এইবার শুরু হয় তার নতুন করে জাতে উঠার চেষ্টা! এখন রবীন্দ্র না গাইলে আর চলে না । চট করে রবীন্দ্র সঙ্গীতের নামে একটা কিছু বাজারে ছেড়ে দেন। সেটা অখাদ্য কুখাদ্য যাই হোক পপুলার শিল্পী বলে কথা । শ্রোতা তো সহজে আর ধোলাই দেবে না। তাই খ্যাতির সুযোগ টুকু পুরোমাত্রায় নিয়ে আরেক জনের গানকে তারা সমাধিস্থ করার চেষ্টা চালান । এটা আমাদের দেশ ওভারতের অনেক শিল্পীই করে থাকেন।
আমার আপত্তিটা এখানেই।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍কবিগুরুর গানের বাণী, সুর অবিকৃত রেখে যদি নিরীক্ষা চলে তাহলে আমি এটা মানতে রাজী।

নিরীক্ষার চোটে যদি আসল গান তার বৈশিষ্ট্য হারায় তবে সেটার দরকার কী?

আর বেশী নিরীক্ষা করতে চাইলে বলবো নিজে গান লিখে, সুর করে তা করুক, আরেকজনের গানের উপর এত মাতব্বরি করা কেন?

এক্কেবারে আমার মনের কথা।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

তানভীর এর ছবি

এটা আমারো মনের কথা। পালবাসার গান, যেখানে রবীন্দ্রসংগীতের কোন বৈশিষ্ট্যই নেই, সেখানে লিরিকটা রবীন্দ্রসংগীত থেকে ধার না নিয়ে, অন্য কোন বাংলা লিরিক দিলেও চলত। তবে এক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের নামটা মনে হয়েছে বাণিজ্যিক উপকরণ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়েছে। নির্মাতারা ভিডিওতে একটা বাংলা গান ব্যবহার করতে চেয়েছেন এবং সেজন্য রাম, শাম, যদু, মধুর লিরিক না নিয়ে সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন যে বাঙালী তার গানের লিরিক ব্যবহার করেছেন- মার্কেটিং-এর জন্যই। রবীন্দ্রনাথের নাম দিয়ে যদি বিদেশে বাংলা গানের ভালো বাণিজ্য হয়, তবে সেটা আমাদের জন্য গর্ব এবং আনন্দেরই কথা। অরিজিনাল রবীন্দ্রসংগীতের স্বাদ- সেটা বাঙালীর একান্ত নিজেরই থাকুক হাসি

= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।

এনকিদু এর ছবি

পালবাসার কন্ঠে রবীন্দ্রনাথের গান শুনতে আমার খারাপ লাগেনি একটুও । ইউটিউবে এই গানটা ছাড়ার আগে আমি এনিয়ার একটা গান শুনছিলাম । প্রথমে মনে করেছি এনিয়ার গানই চলছে । নিশ্চিত হওয়ার জন্য ইউটিউবের ভিডিওটা একবার থামিয়ে দিয়ে পরখ করলাম আসলেই গানটা ইউটিউব থেকে বের হচ্ছে কিনা ।

এভাবে ক্লাসিকাল বাংলা গান গাইলে দোষ দেখি না । জাত কুল মান না টিকলে না টিকল । জাতের বিচার করে কোন অজাত ? গানটা বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের কাছে চলে যাচ্ছে এটা তো কোনদিক দিয়ে খাটো করার মত ব্যাপার না ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আমার মনে হয় বিষয়টা শুরু থেকেই ভুল দিকে চলে যাচ্ছে। গানে সবচাইতে জরুরি হচ্ছে তাঁর মধ্যে যে কবিতাটি তাঁর সঠিক আবৃত্তি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই কাজটি সকলে পারেন না। যুবায়ের ভাই দেবব্রত বিশ্বাসের যে উদাহরণ দিলেন সেখানে কিন্তু আবৃত্তিটাই মুখ্য ভুমিকায় থেকেছে। বাজনার ব্যবহারের প্রশ্ন সেখানে শুধুমাত্র ঐ সুনির্দিষ্ট গানের সারবস্তুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণতার বিচারে জরুরি।

যেটা একেবারেই, অন্তত রবীন্দ্রসঙ্গীতের ক্ষেত্রে প্যারামিটারে পরিণত হতে দেওয়া যাবে না তা হচ্ছে বাজারে একটা সুনির্দিষ্ট দিনে কয় কপি রবীন্দ্রসঙ্গীতের রেকর্ড বিক্রি হলো। রবীন্দ্রসঙ্গীত ইতিমধ্যেই বাঙালীর জীবনে এমন একটা জায়গায় চলে এসেছে যেখান থেকে তাঁর আর হারাবার কিছু নেই। রবীন্দ্রসঙ্গীতকে জনপ্রিয় করতে মাকসুদকে কষ্ট না করলেও চলবে।



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

এনকিদু এর ছবি

চলুক


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

রবীন্দ্রসঙ্গীতকে জনপ্রিয় করার ব্যাপারটা অপ্রাসঙ্গিক। আসলে রবীন্দ্রনাথের গানের অপরিমেয় ঐশ্বর্যের ভাগীদার হতে বা করতে চাওয়াটাই হয়তো আসল উদ্দেশ্য।

শ্রোতার মনে ধরে এরকম লয়ে ও বাদ্যযন্ত্র সহকারে গাইলে কোনো দোষ ঘটে? কনফুসিয়াসের দেওয়া লিংক ধরে 'পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে' গানটা শুনেছিলাম, ভালো লেগেছে। মূল সুর তো সেখানে বদল করা হয়নি।

অযোগ্যদের হাতে কিছু বস্তাপচা জিনিস সবসময়ই উৎপাদিত হয়ে থাকে, কালক্রমে তা ঝরেও যায়। অতএব, মাভৈঃ।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

অনিন্দিতা এর ছবি

রবীন্দ্রসঙ্গীতকে জনপ্রিয় করতে মাকসুদকে কষ্ট না করলেও চলবে।

১০০% সত্যি কথা।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমি এখানে অনেকের কথার সঙ্গেই দ্বিমত করি
শেক্সপিয়রের নাটকে যদি গল্প বানিয়ে সিনেমা বানিয়ে পড়া যায় তাহলে রবীন্দ্রনাথের গানকে অন্যভাবে গাওয়া যাবে না কেন?
রবীন্দ্রনাথের নাটককে গল্পকে অন্যভাবে এখন উপস্থাপন করা হচ্ছে
গল্প উপন্যাসকেও সিনেমায় নাটকে ভ্ন্নি ভিন্ন পাঠে উপস্থাপন করা হচ্ছে

তার গানকে কেন মানুষ অন্য সুরে গাইতে পারবে না?

রবীন্দ্রনাথের গান এখন আর রবীন্দ্রনাথেরও সম্পত্তি না
এটা সকলের উত্তরাধিকার হয়ে গেছে
নিজের জমিকে যেমন যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে ব্যবহার করার অধিকার আছে
নিজের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারকেও ভাঙা গড়ার অধিকার আছে মানুষের

০২

রবীন্দ্রনাথের গানগুলো একরকম করে চলেছে বহুদিন
এখন কেন ওগুলোকে অন্যভাবে গাওয়া যাবে না আমি বুঝি না
মাকসুদের গানটা আমার কাছে ভালো লেগেছে
তার থেকে ভালো লেগেছে তার এই উদ্যোগকে
রবীন্দ্রনাথকে বিখ্যাত কিংবা ধন্য করার জন্য মাকসুদ সেই গানটা গায়নি
বরং রবীন্দ্রনাথকে সে আধুনিকভাবে অনুভব করে বলেই তার মতো করে গেয়েছে সে

অন্য কেউ যদি অন্য ধরনের গান করে তাহলে তার অধিকার আছে রবীন্দ্রনাথকে তার মতো করে অনুভব এবং উপস্থাপন করার
তার অধিকার আছে তার সুরে রবীন্দ্রনাথের লিরিক গাওয়ার
এমনকি প্রয়োজন মনে করলে রবীন্দ্রনাথের যে কোনো লাইনকে ব্যাবহার কিংবা ভাঙার অধিকার আছে যে কোনো শিল্পীর
মনে রাখতে হবে রবীন্দ্রনাথের গানগুলো মধ্যে একটা বিশাল অংশ আছে যেগুলোকে বলা হয় ভাঙা গান
এই গানগুলোর কথা অথবা সুর ১০০% ভাগ রবীন্দ্রনাথের না
তিনি অন্য কোনো কথা কিংবা সুর থেকে কিছু অংশ কিংবা পুরো অংশ ধার করে বাকিটা সাজিয়েছেন তার মতো করে

আমাদের জাতীয় সংগীতও রবীন্দ্রনাথের একটা ভাঙা গান

মাকসুদের গলায় রবীন্দ্রনাথের গান যেমন একটা আলাদা আমেজ দেয় ঠিক এইভাবে নচিকেতার গাওয়া একলা চলো রে' ভাঙা গান আমাকে আলাদা টেস্ট দেয়

০২
ভাষা সংস্কৃতি সুর এবং ইন্টারপ্রিটেশন
কোনোদিনও এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে না
দাঁড়ানোর কথাও না
যারা এগুলোকে এক জায়গায় দাঁড় করিয়ে রাখতে চান তারা মূলত আস্তে আস্তে ওটার মৃত্যুরই ব্যবস্থা করেন

০৩

আমি নিজে রবীন্দ্র সংগীত থেকে বিশটার মতো গানের একটা তালিকা করেছি
আমি মনে করি নতুন সুরে এবং নতুন কম্পোজিশনে এগুলো গাইলে একেবারে সাম্প্রতিকতাকে ধরতে পারবে গানগুলো

নিজে গান গাইতে পারি না। তাই আলাপ করছি শিল্পীদের সাথে
এগুলো আমি গাওয়াবো কোনো না কোনো দিন আমার প্লান মতো

০৪
রবীন্দ্রনাথকে নিযে আমাদের বড়ো সমস্যা হচ্ছে রবীন্দ্রনাথকে আমরা এখনও লোক সংস্কৃতির অংশ ভাবতে পারছি না
এই জন্যই ঘরানা এবং পিওরিটি নিয়ে অতো ঝামেলা

কিন্তু রবীন্দ্রনাথ আমাদের যতটুকু ছেয়ে আছেন তাতে বহু আগেই স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ নাগরিক বাঙালিদের লোক সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছেন
এবং নাগরিকদের অধিকার হয়ে গেছে তার কথাকে নিজেদের কথ্য ভাষায় অনুবাদ করে গাওয়ার কিংবা বলার

কারণ রবীন্দ্রনাথ এখন আর ঠাকুর বাড়ির কেউ না

ধ্রুব হাসান এর ছবি

চলুক ভোর পাচঁটার সময় শুধু আপনার মতের সাথে পুরো সহমত জানাতে সাইন ইন করলাম। জানি হয়তো বেশীরভাগ লোকই (মাননীয় নাগরিকগনের কথা বলছি) এসব ব্যক্তব্যের সাথে একমত হবে না; তবু কিছু মানুষ ঠিকই পাবেন সাথে। আপনি এ্যালবাম বের করুন আমরা কিছু মানুষ নতুনের স্বাদ নিতে হলেও কিনে শুনবো। শেষ কথা হলো কোন শিল্পই যেমন কারো সম্পদ হতে পারেনা; ঠিক তেমনি স্বাধীনতারও কোন সীমারেখা কেউ টেনে দিতে পারেনা। আর টানলেও তা ঠিকেনি কোন কালে, ঠিকবেও না। চলুক

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

দুর্দান্ত মন্তব্য। ভাল লাগলো শুনে। ২০ টি গানের তালিকার কথা বলছিলেন... আমাদের জানানো যায়? নাহয় নিজের মনেই গুনগুন করলাম গানগুলো।

অনিন্দিতা এর ছবি

@ লীলেন, আপনার মতের সাথে সঙ্গত কারণে ভিন্নমত পোষণ করছি।
রবীন্দ্রনাথের ভাঙ্গা গানগুলো এমন যে ওগুলোর রাবিন্দ্রীক বৈশিষ্ট্য ও অক্ষুন্ন আছে।
আমাদের জাতীয় সঙ্গীতটি ' আমি কোথায় পাব তারে আমার মনের মানুষ যে'এই গান থেকে নেয়া।এক্ষেত্রে গানের বাণী পুরোটাই আলাদা শুধু সুরে মিল রয়েছে।সব মিলিয়ে গানটা ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। এজাতীয় ভাঙ্গা গানগুলোকে রবীন্দ্র নাথের গান হিসেবে গ্রহণ করতে কারো আপত্তি নাই।
কিন্তু তাঁর গানকে যেভাবে নিরীক্ষার নামে কথা, সুর বদলে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে সেটা তো মূল স্রষ্টাকে অবমাননার শামিল।আসলে কারো গান নিয়ে নিরীক্ষা করতে হলে সেটা জেনে বুঝে,গানের মৌলিকত্ব বজায় রেখে করা দরকার।
রবীন্দ্রনাথ আর তাঁর সৃষ্টিকর্ম আমাদের জাতীয় সম্পদ সন্দেহ নাই। এর উপর অধিকার থাকা মানেই কিন্তু ছুরি কাঁচি চালিয়ে তার মূল বৈশিষ্ট্য নষ্ট করা নয়।বরং যথাযথ সংরক্ষণের মাধ্যমে আমরা এ অধিকার বজায় রাখতে পারি।
@ধ্রুব, স্বাধীনতার কিছু সীমারেখা না থাকলে সেটা স্বেচ্ছাচারিতায় পরিণত হতে পারে।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কিন্তু তাঁর গানকে যেভাবে নিরীক্ষার নামে কথা, সুর বদলে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে সেটা তো মূল স্রষ্টাকে অবমাননার শামিল।আসলে

কথা কিংবা সুর বদলালে স্রষ্টাকে অবমাননার বিষয়টা আমার কাছে পরিষ্কার না
বরং এতে স্রষ্ট্রাকে ভিন্ন মাত্রায় উপস্থাপনের গৌরব আছে বলে আমি মনে করি

অনিন্দিতা এর ছবি

@লীলেন,দুঃখিত আপনার এ মতের সাথেও একমত হতে পারছি না।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমার কথায় একমত না হওয়ার ১০০ভাগ সুযোগ এবং অধিকার দুটোই আপনার আছে

আর আমাদেরও অধিকার আছে রবীন্দ্রসংগীতকে নাগরিক লোকসংগীত হিসেবে বিবেচনা করার

অনিন্দিতা এর ছবি

দেখা যাক , সময় সব বলে দেবে।

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। উদাহরণটা ভয়ে ভয়ে পেশ করি, কারণ অনেকে নাগালে পেলে আমাকে মারতে উদ্যত হতে পারেন। চোখ টিপি

পশ্চিমের সঙ্গীতে Beatles একটা বড়ো আইকন। প্রতিভার বিচারে রবীন্দ্রনাথের সমকক্ষ তাঁরা কিছুতেই নন, কিন্তু সঙ্গীতে প্রভাবের বিচারে পশ্চিমে কিছুমাত্র কমও যে নন - এ বিষয়ে একমত হওয়া চলে। Beatles-এর Yesterday গানটি অসংখ্য গায়ক-গায়িকার গাওয়া এক হাজারের ওপরে ভার্সন আছে। তাতে মূল সুর, তাল, লয়, গায়কী সবই বিচিত্র ধরনের। Beatles-এর সদস্যরা কোনোকালে এ নিয়ে আপত্তি করেছেন বলে শুনিনি, গানটি অন্য কারো হয়ে যায়নি, তার সতীত্বও নষ্ট হয়নি।

রবীন্দ্রনাথ যে ধরনের আধুনিক চিন্তার মানুষ ছিলেন, আমার তো ধারণা তিনিও এই বৈচিত্র্য অনুমোদন করতেন। কারণ প্রতিভাবান মানুষরা সময়ের দাবিটা ঠিক ঠিক বুঝে নিতে পারেন। কিন্তু মুশকিল হয় অন্ধভক্তি নিয়ে। রবীন্দ্রনাথকে উদ্ধৃত করেই বলা যায় 'বাবু যতো বলে পারিষদদলে বলে তার শতগুণ'!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

অনিন্দিতা এর ছবি

জুবায়ের ভাই বিষয়টা বোধ হয় অন্ধভক্তির না।
আমার মতে, নিরীক্ষা অবশ্যই করা যায় সেটা গানের মূল বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে।অন্ধভক্ত হলে যে কোন রকম নিরীক্ষার বিরোধীতা করতাম।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খুব বেশি কথায় না গিয়ে শুধু এটুকু বলব, "অনিন্দিতা"-র সাথে আমি মোটামুটি একমত। রবীন্দ্রসঙ্গীত আধুনিকভাবে গাওয়া নিয়ে আমার আপত্তি নাই কিন্তু এর মূল বৈশিষ্ট্য তো বজায় রাখাই উচিৎ! পাগলা হাওয়ার পাগলা ভার্সন আমার মন্দ লাগেনি কিন্তু উ লা লা যোগ করাটাকে আমি কোনমতেই মানতে পারিনি! অর্ণবের 'নয়ন তোমারে' বেশ ভাল লেগেছে। আর রিমিক্সের নামে যারা মহান সঙ্গীত শিল্পীদের গান নিয়ে কাটা-ছেঁড়া করে প্রতিভা দেখানোর চেষ্টা করে তাদের "প্রতিভা" নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।