প্রিয় মুখ-২ , জেরাল্ড ডারেল

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: শুক্র, ০৪/০৫/২০১২ - ৩:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

Gerry-&-CTtamarinsdpi

আফ্রিকা মহাদেশের অন্তর্গত, ভারত মহাসাগরের বুকে ভাসমান এক ক্ষুদে দ্বীপ মরিশাসে ডানা গুটিয়ে বসে গোলাপি পায়রা, সমস্ত দ্বীপের সৌন্দর্য যেন ভর করে আছে তার জ্বলজ্বলে গোলাপি পালকে, মাথার উপরে চক্কর কাটছে এই দ্বীপের বাসিন্দা ক্ষুদে শিকারি পাখি মরিশাস কেস্ট্রেল। তাদের সামনের ভবনটি একটি জাদুঘর যার সামনে রোদে ঝকঝক করছে একটি পাখির ধাতব ভাস্কর্য, তার নাম ডোডো।

তারাও এই দ্বীপেরই বাসিন্দা ছিল, বিশাল আকৃতির কবুতর, এতই বড় যে তারা উড়তে পারত না, অবশ্য মূল কারণ ছিল এখানে কোন শত্রু না থাকায় তারা উড়ার প্রয়োজনীয়তা হারিয়ে ফেলে, কিন্তু তারা তখনো মানুষ নামের প্রাণীটার অস্তিত্ব জানত না, যখন তারা মানুষ ও তার হিংস্রতার মুখোমুখি হয় তখন বড্ড দেরী হয়ে গেছে, বিলুপ্ত হয়ে গেছে এই অসাধারণ পাখিটা। ( মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের ছিল নানা দেশের পশু-পাখি সংগ্রহের বাতিক, তার জন্য মরিশাস থেকে উপহার হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৩টি ডোডো, যাদের ছবি মোঘল চিত্রকরেরা পটে এঁকে রেখেছিল, ধারণা করা হয়, তারাই ছিল প্রজাতির শেষ প্রতিনিধি)। কিন্তু এই গোলাপি কবুতর এবং মরিশাস কেস্ট্রেল ডোডোদের মত কেবলমাত্র চিত্রপটে এবং ধাতব ভাস্কর্যে অবস্থান না করে আলো ভরা পৃথিবীতে এখনো বহাল তবিয়তে টিকে থাকার জন্য মানব জাতির সদস্য জেরাল্ড ডারেলকে সবটুকু ধন্যবাদ দিতে পারে।

একসময় গোলাপি পায়রার সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছিল মাত্র ৩০ টিতে, কেস্ট্রেলের অবস্থাও ছিল তথৈবচ, কিন্তু বিলুপ্তির সেই করালগ্রাস থেকে তাদের উদ্ধার করতে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করেন জেরাল্ড ডারেল এবং তার সংস্থা। এমন আরও অনেক প্রাণী পৃথিবীতে বিচরণ করে বেড়াচ্ছে সেই মহৎ হৃদয় মানুষটির কল্যাণে।

জেরাল্ড ডারেল যে কেবলমাত্র নমস্য প্রাণী সংরক্ষণবিদ তা কিন্তু নয়, তিনি বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ লেখকদের একজন, সেই সাথে ভ্রমণবিদ হিসেবে তার জুড়ি একমাত্র ডেভিড অ্যাটোনবোরো বাদে আর কেউই নয়, এককালে টেলিভিশনের জন্য তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন এন্তার, যে কোন একটি পরিচয়ই তাকে অমর করে রাখার জন্য যথেষ্ট ছিল।

অন্য অনেক লেখকের মতই ডারেলের সাথে পরিচয় সেবার মাধ্যমে, মাতাল অরণ্য নামের এক চমৎকার বই পড়ে ( যদিও বইতে তার নাম জেরাল্ড ড্যুরেল লেখা ছিল, কেন বলতে পারি না, উচ্চারণ অবশ্যই ডারেল হবে, তপন রায় চৌধুরীর বইতেও ঠিক নামটিই আছে) , ঝরঝরে অনুবাদের গুণে চলে গিয়েছিলাম ক্যামেরুনের বৃষ্টিঅরণ্যে, আবার কখনো বা প্যাম্পাসের তৃণভূমিতে। কি অসাধারণ সব ঘটনা প্রবাহ, মনে আগল খুলে দেওয়া ভ্রমণ আর রক্তে ঝড় তোলা অ্যাডভেঞ্চার, সেই সাথে আছে বুনো পশুপাখির এবং তাদের জীবনের মনকাড়া বর্ণনা।

gerald_colobus

১৯২৫ সালে ব্রিটিশ ভারতবর্ষের জামশেদপুরে জন্ম হয়েছিল তার, বাবার চাকরীর সুবাদে ডারেল পরিবার সেইখানেই থাকত। জানা যায়, তার জীবনে উচ্চারিত প্রথম শব্দটি ছিল ZOO , এমন শব্দটি ক্রমাগত বলে যেতেন যতক্ষণ না পর্যন্ত তাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হত। ডারেল পরিণত বয়সেও স্পষ্ট মনে করতে পারতেন বাড়ীর কাজে নিয়োজিত আয়ার কোলে চেপে চিড়িয়াখানা ঘুরতে যাওয়া!

এরপর দিল্লী ঘুরতে যেয়ে সেখানে বিখ্যাত পুরনো বইয়ের বাজার দরিয়াগঞ্জে বাদুর ঝোলা হয়ে যেয়ে বেশ কিছু বই খরিদ করি ২০০২ সালে, সেখানে ডারেলের ২ টি মূল বইও ছিল, বিশ্ব খ্যাত A zoo in my luggage এবং Fillets of Plaice। শেষের বইটি শুরু আগে তার বড় ভাই, বিখ্যাত লেখক লরেন্স ডারেলের কিছু মন্তব্য দেওয়াছিল ছোট ভাই সম্পর্কে, সাল অনুযায়ী--

1931--- The child is mad, snails in his pockets!
1935--- The child is mad, scorpions is matchboxes!
1939--- The child is mad, working in a pet shop!
1945--- The boy is mad, wanting to be a zoo keeper!
1952--- The man is mad, crawling about snake-infested jungles!
1958--- The man is mad, wanting to have a zoo!
1967--- The man is mad. Invite him to stay and he puts an eagle in your wine cellar!
1972—The man is mad !

ব্যস, ভীষণ মজা পেয়ে গেলাম লাইনগুলো পড়েই, কেন জানি গুরু মুজতবা আলীর কথা মনে পড়ে গেল যিনি লিখেছিলেন- বুদ্ধি আর হল কোথায়, বড় দা ৫০ বছর আগেও হাবা বলে ডাকতেন এখনো ডাকেন!

gerald_durrell_and_npongo_at_jersey_zoo-30535

আর মনের বয়স বাড়ে না এমন লোক ভীষণ পছন্দ আমার, সেই যে শুরু হয়েছে ডারেল সমুদ্রে মুগ্ধতার অবগাহন আজো তা চলছে সমান গতিতে, যে কারণে প্রতি সপ্তাহেই পুরনো বইয়ের দোকানে গেলেই আগে ঢুঁ মারি অসংগৃহীত ডারেলের খোঁজে।

তার সাথে চলে যাই আলো ঝলমলে গ্রীক দ্বীপ করফুতে, বাবার মৃত্যুর পর কিছুদিন ইংল্যান্ডের স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া কাটিয়ে তিতিবিরক্ত হয়ে মায়ের সাথে তারা চলে আসেন সেই দ্বীপে, যেখানে আগে থেকেই লরেন্স ডারেল এবং তার স্ত্রী বসবাস করত। শুরু হয় এক প্রকৃতি প্রেমিক, অনুসন্ধিৎসু শিশুর মহাবিশ্বযাত্রা। গ্রীসের সেই কমলার সোনালী আভা ভরা দিনগুলো নিয়ে তিনি লিখেছেন ৩ টি বই - My Family and Other Animals, Beast Birds and Relatives, The Garden of the Gods , নিজের শিশুকালকে কিভাবে বিশ্বের সব মানুষের স্বপ্নের শৈশবে পরিণত করা যায়, সেই সাথে সবাইকে প্রকৃতি প্রেমে মজিয়ে প্রাণীদের সুন্দর জগতের প্রতি আকৃষ্ট করা যায়, ডারেলের চেয়ে ভাল সম্ভবত আর কেউ জানতেন না। যে কারণে, বিশ্বে সেরা আত্মজীবনীগুলোর ক্ষুদ্রতম তালিকাতেও My family and other animals এর নাম থাকে সবার শীর্ষে। টিভি সিরিজও নির্মিত হয়েছে বইটির উপরে।

pd2472079

আর ডারেলের লেখা মানেই দম ফাটানো হাসির খোরাক, নির্লিপ্ত ভঙ্গীতে গল্প বলে যাবেন তিনি আড্ডার আমেজে, আর পাঠকেরা হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়বে, এটি প্রায় তার সব লেখা নিয়েই বলা চলে, অথচ এর ফাঁকে ফাঁকে আপনি ঘুরে বেড়াবেন আমাদের গ্রহের দুর্গমতম জায়গাগুলো, মুখোমুখি হবেন বিষাক্ত সব প্রাণীর, রক্ত হিম করা অ্যাডভেঞ্চারে প্রাণ নিজের হাতে নিয়ে ঘুরবেন অথচ মুখের অট্টহাসি ফিরে আসবে খানিক পরপরই। এই হল ডারেলের গল্প বলার জাদু। যারা হিউমার বা উইট পছন্দ করেন, পি জি ওডহাউস অথবা মুজতবা আলী পড়েন নাওয়া-খাওয়া ভুলে, একটিবারের জন্য হলেও এই প্রকৃতিপ্রেমীর লেখায় বিচরণ করে দেখুন, সেই সুখময় চোরাবালি থেকে বাহির হওয়া এই ইহজীবনে আর হবে না।

নিজের জীবন নিয়েও অহরহ এমন মজার বর্ণনা দিয়ে গেছেন রসিয়ে রসিয়ে, যখন ২য় স্ত্রী লি কে তার খুবই পছন্দ হয়, মনে মনে চিন্তা করতে থাকেন এমন একজন আকর্ষণীয় তরুণীকে আকৃষ্ট করবার মত তার মত বৃদ্ধের কি আছে। চকিতেই তার মনে পড়ে, আর কিছু না হোক, তার একটি চিড়িয়াখানা আছে! ব্যস, তিনি লি-কে কিছু সময়ের জন্য তার চিড়িয়াখানায় কাজ করবার জন্য আমন্ত্রণ জানান, এবং কয়েক সপ্তাহ পরেই বিয়ের প্রস্তাব দেন । সেই গল্পের শেষে বলেন- আমিই মনে হয় বিশ্বের একমাত্র লোক যে নিজের চিড়িয়াখানার কারণে বিয়ে করতে সক্ষম হয়েছি!

dbce9bc3c93c71a5f11803977a888910

( তারা দুইজন মিলে একসাথে Durrell in Russia নামের এক অসাধারণ ভ্রমণের বই লিখেছিলেন, বিশাল দেশটির বৈচিত্রময় ভূপ্রকৃতি, অদ্ভুত জীবজন্তু, অনন্য ইতিহাস নিয়ে)

51fjQepagkL._SL500_AA300_

তার প্রতিটি বই নতুন স্বাদের, কোনটা নানা চিড়িয়াখানার জন্য জানোয়ার সংগ্রহ নিয়ে, কোনটা বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে, কোনটা আবার নিজের ভালো লাগার জন্য অবারিত প্রকৃতির মাঝে মিশে যাওয়া, কোনটা আবার অতি বিরল, প্রায় বিলুপ্তি মুখোমুখি প্রাণী ধরে এনে প্রজনন করা নিয়ে। সেই সাথে চিড়িয়াখানা স্থাপন নিয়ে নিজের উদ্ভাবনী ধারণা পরিচয় দিয়েছেন অনেক অনেক বার, বিশেষ করে The Stationary Ark বইটিতে তিনি প্রায় হাতে কলমে দেখিয়েছেন যে প্রাণীকে কেবল খাঁচায় আবদ্ধ রাখলে হবে না, তার পেশী এবং মস্তিষ্ককে খাটাবার সুযোগ দিতে হবে, না হলে সে বিষণ্ণতায় ভুগতে পারে, মুষড়ে পড়তে পারে। হয়ত একটি লাঠি, এক টুকরো কাঠ, পরিত্যক্ত টায়ার পেলেই প্রাণীটির বন্দী জীবন অনেক বৈচিত্রময় হতে পারে।

এমন ধারণা থেকে তিনি ১৯৫৯ সালে ইংলিশ চ্যানেলের জার্সি দ্বীপে নিজেই স্থাপন করেন জার্সি চিড়িয়াখানা, যার মূল কাজ অতি বিপন্ন প্রাণীদের যথাসম্ভব প্রাকৃতিক পরিবেশে রেখে তাদের বংশবিস্তারে সহায়তা করে প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেওয়া। শুধুমাত্র এই গবেষণাকেন্দ্র কাম চিড়িয়াখানাটির জন্যই যে কত প্রাণী সাক্ষাৎ বিলুপ্তি হাত থাকে বেঁচে গেছে ভাবলেই ডারেলের প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নিচু হয়ে যায়।

সেই সাথে তিনি সবসময়ই তার গল্পের তুলে এনেছেন স্থানীয় অধিবাসীদের কথা, আদিবাসিদের নির্মোহ আমোদিত জীবনের গল্প।

চিড়িয়াখানাসহ পুরো ফান্ডটির প্রতীক হিসেবে তিনি বেঁছে নেন বিলুপ্ত ডোডো পাখিকে, তার মতে আর কোন প্রাণী যেন এভাবে বিলুপ্ত না হয়।

শুধু নিজের জীবনের সত্য ঘটনাই হয়, কল্পনাভিত্তিক উপন্যাস লিখতেও তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত, বিশেষ করে The Mockery Bird ও Rosy is My relative পড়ে খুবই ভাল লেগেছিল, পরের বইটিতে এক তরুণ উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিল বিশালদেহের অধিকারী এক মহিলা, যার আবার ব্যপক মদ্যপানের অভ্যাস আছে! বেচারা যখন এই ঝামেলায় যারপরনাই উত্যক্ত, তখনই তার দরজায় ট্রাকে চেপে হাজির হয় সেই বিশালবপু- মানুষ নয়, এক হস্তিনী! শুরু হয় এক মজারু ঘটনার।

83203

তার অন্যতম জনপ্রিয় বই A zoo in my luggage এমন সব রসময় সংলাপে ভরপুর, আফ্রিকান সর্দার ফন বাফুটের ডেরায় থেকে তিনি প্রাণী সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যান বেশ কিছু দিন, আসার আগে গ্রামে শিশু-কিশোরদের তার কাজ এবং পরিবেশের গুরুত্ব নিয়ে বোঝানোর জন্য প্রশ্ন করতে বলেন, ১ম প্রশ্ন ছিল- আচ্ছা, এই বিদেশী আমাদের সর্দার বাফুটের বউ-এর এত এত ছবি তুললেন কেন?
হাসির দমকে, অপ্রস্তুত হয়ে পরের প্রশ্নে যেতে বলেন ডারেল!

মরিশাস দ্বীপের অভিযান নিয়ে লেখা The Golden Bat and Pink Pigeons- এ ক্রান্তীয় ফল কাঁঠালের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন- কাঁঠাল এমন একটি ফল যা একটি কক্ষে রাখলে খানিকপরেই সারা কক্ষটি কাঁঠালে পরিণত হয় ( মানে গন্ধে)।

তার বারংবার পড়া অতি প্রিয় বইগুলোর তালিকায় আছে The Overloaded Ark, Catch me a Colobus, Keep me a Colobus, Two in the Bush, The Whispering land, Menagerie Manor, The Drunken Forest, The Bafut beagles, the Aye-Aye and I এবং আরও কিছু, নতুন না পড়া বই হাতে আসলেই সেটি অনায়াসে ঢুঁকে যায় এই তালিকায়। আর সত্যি কথা বলতে ডারেলের প্রতিটি বই নিয়েই বিশদ আলোচনা করা যায়, তাই সেগুলো ভবিষ্যতের জন্যই থাকল আপাতত।

3132066000_4a036cbcfe_z

অসাধারণ ব্যতিক্রমী এই মানুষটি ১৯৯৫ সালে অসুস্থতাজনিত কারণে মাত্র ৭০ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন, আমাদের জন্য তার প্রস্থান হয়ে থাকে এক অপূরণীয় ক্ষতি।

ডারেলের কল্যাণে এমন সব বইয়ের মাধ্যমে যাওয়া হয়েছে মেক্সিকোর আগ্নেয়গিরি, আর্জেন্টিনার তৃণভূমি, চিলির সৈকত, মালয়েশিয়ার বৃষ্টি অরণ্যে, সাইবেরিয়ার তাইগা, বেলিজের জঙ্গল, আফ্রিকার নদী, নিউজিল্যান্ডের দ্বীপ, ভুটানের পর্বত, ইউরোপের বন- কোথায় না !

মানব জাতির প্রতি ডারেলের অপরিসীম অবদানের কথা ভাষায় প্রকাশ করার নয়, তাই কেবল-ই জানিয়ে যাচ্ছি একরাশ মুগ্ধতা এবং কৃতজ্ঞতা।

dur_2086260b

(এই লেখাটি সুরঞ্জনার জন্য, ডারেল নিয়ে লেখার চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে, কিন্তু কোথা থেকে শুরু করব তা বুঝতে পারছি না, সেই সময় এক লেখায় সুরঞ্জনা মন্তব্য করেছিল--- আর জেরাল্ড ডারেলের বই এর চ্যাপ্টার শুরু হয়েছিলো এভাবে- 'It was a warm spring day, as blue as a jay's wing.' কেমন সুন্দর শুরু না?

ছবিগুলো নেট থেকে সংগৃহীত)

প্রিয় মুখ-১ : জেন গুডাল


মন্তব্য

নিশা এর ছবি

গুরু গুরু

অণুদা, অসাধারন!

তারেক অণু এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- ডারেল বলে কথা !

guest_writer এর ছবি

আর কত ঈর্ষায় পুড়াবেন ভাই? যথারীতি খাসা পোস্ট।
# তাশফীন

তারেক অণু এর ছবি
সাত্যকি. এর ছবি

অসাধারণ, এই একটি কথা ছাড়া আর কিছুই মাথায় আসে না এইরকম একটা লিখার পর।
লিখার মতই মায়াভরা ডারেলের দ্বিতীয় ছবিটা। শেষ ছবিটাও।
পরজীবনে আমি অণু হইতে চাই। হাসি

তারেক অণু এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।
অণু হাবার মেলা হ্যাপা, আরেকবার বিবেচনা করেন ইয়ে, মানে...

ধুসর জলছবি এর ছবি

মন খারাপ কি যন্ত্রণা এর আগে এক পোস্টে আমি বলেছিলাম পরজন্মে অণু হতে চাই, এখন তো দেখছি ক্যান্ডিডেটের অভাব নাই। সৃষ্টিকর্তার কাছে না আবার অণু হওয়ার জন্যও একটা ভাইবা দিতে হয় চিন্তিত নাহ, যেখানেই যাই প্রতিযোগিতা । মন খারাপ রেগে টং

তারেক অণু এর ছবি

না, কোন প্রতিযোগিতা নাই, রিলাক্স! পরজন্ম থাকলে তো খাইছে

ধুসর জলছবি এর ছবি

হ ,দেখ অবস্থা, পোস্ট দিয়া মানুষের মাথা নষ্ট কইরা তারপর কয় রিলাক্স। মন খারাপ

তারেক অণু এর ছবি

আরে না অ্যাঁ রিলাক্স হাসি

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

জেরাল্ড ডারেল দারূণ!
জেন গুডাল-ও দারূণ!
তোমাকে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

তারেক অণু এর ছবি

ছড়া হয়ে গেল নাকি !

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

প্রশ্নটা আবারো করি, অনু তারেকের কয়টা হাত, কয়টা ঠ্যাং আর কয়টা মাথা?

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তারেক অণু এর ছবি

পাত্রী দেখছেন নাকি !

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

মাতাল অরণ্যে পড়া ছিলো। আর কিছুই পড়ি নাই, হবে না। মন খারাপ

তারেক অণু এর ছবি

মাই ফ্যামিলি অ্যান্ড আদার অ্যানিমালস আমার কাছে ২ টা আছে, একটা দেশে যাবার সময় নিয়ে যাব। ডান।

সুরঞ্জনা এর ছবি

আমি সবসমইয় ভাবতাম জেরাল্ড একটা ছোট ছেলে, একটা ঝকঝকে রোদেলা ছোট দ্বীপের ডোবা-নালা-ঝোপঝাড়ে পোকা ধরার জাল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, ওর প্রিয় কুকুর রজার পায়ে পায়ে হাটছে। হাসি

বইগুলো পড়া একটা এক্সপেরিয়েন্স, এত ভাল লাগে, ফুরফুরে সুন্দর একটা দিনের মতো মন হয়ে যায়। আর ওর পরিবারের লোকজন, একজনের চেয়ে আরেকজন বেশি খেয়ালি। এরকম একটা পরিবার নিয়ে গাট্টি-বোচকা বেধে এরকম ঝকঝকে সুন্দর একটা দ্বীপে গিয়ে যদি থাকা যেত, আর কি চাই।

জেরাল্ড ইন রাশিয়া বই টা পড়তে ইচ্ছা করছে খুব।
অনেক ধন্যবাদ অণুভাই, দিনটা খুব সুন্দর শুরু হোলো, বাইরে মেঘলা, বাজ পড়ছে থেকে থেকেই, কিন্তু মনে হচ্ছে 'It's a warm spring day, as blue as a jay's wing.'

ধন্যবাদ। হাসি

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

তারেক অণু এর ছবি

কি খাসা ভাষা ! করফু ট্রিলজি পড়া হয়ে গেলে একটা আলোচনা দেন- এক দফা, এক দাবী।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আমার দৌড় ঐ 'মাতাল অরন্য' পর্যন্ত্যই, তা ও ভুলেই গিয়েছিলাম, আপনি মনে পড়িয়ে দিলেন। হায়! জীবনে কত কিছুই দেখা, শোনা, জানা বাকি রয়েই গেল।
ধন্যাবাদ আপনাকে, আপনার মাধ্যমে অনেক কিছু দেখা, শোনা, জানা হচ্ছে। চলুক

তারেক অণু এর ছবি

আরে না, জীবন সবসময়ই বাকী রয়েই যাবে, কিন্তু যেটুকু প্রাপ্তি, সেইটুকুই মোক্ষ।

রংতুলি এর ছবি

অসাধারণ একটা লেখা! অশেষ স্রদ্ধা জানালাম মানুষটার প্রতি! এক ভাইয়ার কথা মনে পরে গেলো, সেও এখানে তার বাসার কম্পাউন্ডে একটা mini zoo বানিয়েছিলো, সেখানে ছিলো কুমির, হরিণ, খরগোস, বড় কচ্ছপ আর কিছু পাখি। কিন্তু ঠিক পশু-পাখির প্রতি ভালবাসা থেকে সেটা বলতে পারছি না, কারন তার ছিলো ভয়ানক হান্টিং এর নেশা, তিনি এখন ইংল্যান্ডে থাকেন।

তারেক অণু এর ছবি

কোথায় ছিল এইটা ?

রংতুলি এর ছবি

গাম্বিয়া, ওয়েস্ট আফ্রিকা।

তারেক অণু এর ছবি

আহা, আপনি গাম্বিয়াতে থাকেন না কি ?

রংতুলি এর ছবি

তাই তো! হাসি

তারেক অণু এর ছবি

আহা, ফেসবুকে একটা রিকু পাঠান পিলিজ, যোগাযোগ থাক, আসলে জানাব।

রংতুলি এর ছবি

গাম্বিয়ায় আসবেন নাকি? কবে?

তারেক অণু এর ছবি

যে কোন সময়, তবে এই বছর পারব না, ঐ দিকটা দেখা হয় নি, পশ্চিম আফ্রিকা যাবার কথা চলছে, সম্ভব হলে একবারেই যেতাম আর কি !

রংতুলি এর ছবি

আপনার ফেসবুক আইডি কি এখানে কোথাও আছে, আমি ব্লগের নিয়ম কানুন কম জানি। গাম্বিয়ায় ওয়েলকাম! হাসি

তারেক অণু এর ছবি

Onu Tareq

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি

জেরাল্ড ডারেল- অসম্ভব মমতা ভরা এক মানুষ।

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই।

ধুসর জলছবি এর ছবি

চমৎকার লাগল পড়তে। চলুক

তারেক অণু এর ছবি
আশরাফুল কবীর এর ছবি

#প্রিয় তারেক অনু ভাই, ভালবাসা নিন অফুরন্ত।।।।

>আমি শিওর আপনাকে আমরা খুব শীঘ্র আফ্রিকার হাতির পিঠে দেখব, আজ আপনি দেখালেন ডারেল হাতির শুড়ের নীচে তবে আপনি নিশ্চিতভাবেই উপরে থাকবেন এ প্রত্যাশিত।

>ছবি ব্যাপকভাবে মনের কথা বলে, আপনার পোষ্টের লেখাগুলোর পাশাপাশি ছবিগুলোও হাত পা ছুড়ে তাদের মনের অস্তিত্ব জানান দিতে চায়।

#ভাল থাকুন সবসময়, এ প্রত্যাশায় উত্তম জাঝা!

তারেক অণু এর ছবি

মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ কিন্তু হাতির পিঠে চড়তে আর রাজি না, নেপালের অভিজ্ঞতা সুখকর হয় নি, আর আফ্রিকান হাতি, ওরে দাদা- ওদের পিঠে চাপা নিষিদ্ধ।

হুম্ম, ছবিগুলো নিজের তোলা হলে ভাল হত, কিন্তু কি আর করা।
ভালো থাকুন।। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

কেউ একজন লিখে ফেলেনঃ 'প্রিয় মুখ - তারেকাণু'

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তারেক অণু এর ছবি

কি কথা লইজ্জা লাগে

আশরাফুল কবীর এর ছবি

#প্রিয় ত্রিমাত্রিক কবি, ভালবাসা আপনাকে।।।।তারেকানু নিয়ে লিখতে তো চাই কিন্তু সবসময়ই সামনে দেখি একটি বিশাল ড্যাম, ঐটা আর ক্রস করতে পারিনা।

#শুভেচ্ছা ও ভালবাসা আবারো বাঘের বাচ্চা

তারেক অণু এর ছবি

ড্যাম ! অ্যাঁ

সুমাদ্রী এর ছবি

আমিও একটা চিড়িয়াখানা খুলতে চাই। উদ্দেশ্য আমার মহৎ কিন্তু দেঁতো হাসি আজও একজন জানতে চাইল তারেক অনুর পেশা কী? আমি বললাম ইয়ে, মানে...

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

তারেক অণু এর ছবি

কিছু জমি পারলে কিনে রাখতে হবে সংরক্ষিত বন হিসেবে ব্যবহারের জন্য। অনেক দেশেই শুরু হয়েছে, দেখেন আফ্রিকাতে কিছু করতে পারি নাকি।

উচ্ছলা এর ছবি

সেকেন্ড ছবিটা দেখে চোখে পানি চলে এলো...মানুষের মন কতটা সুন্দর আর বিশাল হলে এরকম কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে!

অণুর এই সিরীজটা আমার খুব প্রিয় হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

তারেক অণু এর ছবি

ডারেলের মন মহাবিশ্বের চেয়েও বিশালতর।
সিরিজ চলবে--

ফাহিম হাসান এর ছবি

অণু ভাই, এই সিরিজটা আমার এত পছন্দের! ইশ, আপনার সাথে যদি সামনাসামনি আড্ডা মারতে পারতাম!

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই আড্ডা হবে, ইউকনের বনে না হয় আলাস্কার দ্বীপে না হয় ক্যালগারিতেই। রকি নিয়ে লেখা কবে পাচ্ছি?

মেছো বাঘ নিয়ে লেখাটাতে মনে হয় আপনার মন্তব্য দেখলাম না !

কুমার এর ছবি

এই সিরিজটা দারুণ। আচ্ছা, ডেভিড সুজুকি কি আপনার লিস্টে আছে?

তারেক অণু এর ছবি

কি কথা ! চিন্তিত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।