বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা নিয়ে ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল এই অতি আধুনিক বইটি। বিদ্যুৎ মিত্র ছদ্মনামে কাজী আনোয়ার হোসেন বইটি রচনা করেছিলেন তার প্রথম পুত্রের উদ্দেশ্য। (সেবার অনেক বই এমনকি মাসুদ রানাও একসময় বিদ্যুৎ মিত্র নামেই ছাপা হতো)। প্রথমে বইটির নাম ছিল 'যৌনসঙ্গম- সন্তানোৎপাদন, স্বর্গীয় প্রেম বা নিছক দৈহিক তৃপ্তি?' পাঠক পাঠিকার পরামর্শ অনুযায়ী দ্বিতীয় সংস্করণে নাম রাখা হয় 'যৌনসঙ্গম'। আরো পরে পাঠক-পাঠিকাদের আপত্তি ও পরামর্শেই অনেক চিন্তা করে নাম রাখা হয়'যৌন বিষয়ে সাধারণ জ্ঞান'। সেই থেকেই চলছে এই বই। কিশোর কিশোরী বয়সের সময় এই বইটি যদি আপনি কারও হাতে তুলে দেন, সে সারাজীবন আপনার কাছে ঋণী হয়ে থাকবে কৈশোরে চেপে বসা অব্যক্ত ভয়াল সব কুসংস্কার থেকে চির মুক্ত করার জন্য।
বইয়ের প্রথমেই ধাপে ধাপে নানা অধ্যায়ে একে একে অত্যন্ত গুছিয়ে পয়েন্টে পয়েন্টে বলা হয়েছে সকল তথ্য ( সূচীপত্রের ছবি আছে)। এবং সন্তানকে এই বিষয়ে অবহিত করা নিয়ে মানুষের লোকলজ্জা নিয়ে লেখক নিঃসঙ্কোচে বলেছেন “শরীরবিদ্যা বা জন্মরহস্য যদি কারো কাছে অসুন্দর বা পাপ বলে মনে হয় তাহলে তার উচিত ছেলেমেয়েদের শিক্ষা দেবার আগে যত শীঘ্রি সম্ভব নিজের শিক্ষা সম্পূর্ণ করে নেয়া।“
এবং এর পরে ঠিক গল্পচ্ছলে শিশু কন্যা এবং পুত্রের নানা প্রশ্নের উত্তরের মধ্যে দিয়ে আস্তে আস্তে কী করে বাবা এবং মা তাদেরকে সন্তানের জন্ম-রহস্য ও শরীরবিদ্যা নিয়ে জানাতে পারেন , সেই সাথে কৈশোরের পরিবর্তনগুলো নিয়ে অবহিত করে সেগুলো কে সহজে নেওয়ার ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে পারে, এবং যৌন অপরাধগুলো নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারে সেই বিষয়ে বলা হয়েছে।
“ছেলেদের কি ঋতুস্রাব সম্পর্কে জানানোর প্রয়োজন আছে? জানতে চাইলে না জানাবারই বা কি আছে? ওটা শরীরের ঘাম বা প্রস্রাবের মতই একটা স্বাভাবিক ব্যাপার বৈ তো নয়।“
মানুষকে কুসংস্কার মুক্ত করার চেষ্টা করেছেন সেই ৫০ বছর আগেই- “শতকরা ১০০ জন পুরুষই জীবনের কোন না কোন সময় যৌন বিপত্তিতে ভুগে থাকে। বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করে দিয়েছেন নাম মাত্র কয়েকটি ক্ষেত্র ছাড়া সঙ্গমে অক্ষমতা আদৌ কোনো শারীরিক ব্যাধি নয়। মানসিক ব্যাধি। রোগটা লিঙ্গে নয়, মাথায়। উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করলে সেরে উঠতে পারে শতকরা ৯৫ জন রোগী।“
ভাঙার চেষ্টা করেছেন সেই প্রাচীন ট্যাবু,
“সাধারণত তিনটি উদ্দেশ্যে নারী-পুরুষ সঙ্গমে লিপ্ত হয়- সন্তান উৎপাদন, গভীর স্বর্গীয় প্রেমের প্রকাশ আর নিছক দৈহিক আনন্দ। প্রজননের জন্য সঙ্গম,বড়জোর প্রেমের জন্য সঙ্গম পর্যন্ত সহজ স্বীকৃতি পেয়েছে আমাদের সমাজে- আনন্দের জন্য সঙ্গমকে লালসা বা কুৎসিত দৈহিক কামনা হিসেবে দেখতে শেখানো হয়েছে আমাদের। নারী-পুরুষের যৌন মিলন যে অত্যন্ত আনন্দজনক এক খেলা সে ব্যাপারে খুব একটা সন্দেহের অবকাশ নেই। কেন যে এর মধ্যে এই অন্যায় বোধটা ঢুকল সেটা রীতিমতো গবেষণার বিষয়। তবে তুমি জেনে রেখো যে যা-ই বলুক, শিল্প ও সংস্কৃতির ধারক-বাহক রুচিবান এরা যে যা-ই ভাবুক, দৈহিক আনন্দের জন্য সঙ্গমে কোন অন্যায় নেই।“
আবার সেই সাথে কারো ইচ্ছের বিরুদ্ধে সঙ্গম করা নিয়ে সাথে সাথেই লিখেছেন “ধর্ষণ একটা মারাত্মক অপরাধ। কোনো পুরুষ যদি কোন মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গায়ের জোরে তার সাথে যৌন মিলনে বাধ্য করে, সেটাকে বলে ধর্ষণ।
বাংলাদেশের অতি বিখ্যাত একাধিক মানসিক রোগের চিকিৎসক সিনিয়র বন্ধুরা বলেছিলেন তাদের কাছে রোগী হিসেবে আসা অধিকাংশ মানুষের আশঙ্কা হস্তমৈথুনের ফলে বেশী ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে না তো, সকল বয়সের, বিবাহিত-অবিবাহিত সকল পুরুষ! যে কারণে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী বিজ্ঞাপন দেখা যায় সকল জনপদে ‘যৌন সমস্যার সমাধানের’! এই নিয়ে সবচেয়ে সত্যি কথাটা লেখক বলেছিলেন অনেক যুগ আগেই, আফসোস এই জ্ঞান বা তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছে নাই-
"ইংরেজিতে Masturbation শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ Masturbari থেকে- এর মানে নিজেকে কলুষিত করা। বাংলা ভাষাতেও আমরা স্বমেহন বা হস্তমৈথুনের সাথে এই কলুষ বা পাপবোধ যুক্ত করে নিয়েছি।
ছোটকাল থেকে আমরা শুনে আসছি হস্তমৈথুন শরীরের জন্য ক্ষতিকর, পাপ। এটা চর্চা করলে শরীর ভেঙে পড়ে, মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটে, স্মরণশক্তি নষ্ট হয়ে যায়, পুরুষত্ব হানি ঘটে, আত্মা কলুষিত হয়, মুখে ব্রণ ওঠে, দাম্পত্য জীবন অসুখী হয়, স্ত্রীকে সঙ্গমে সুখ দেয়া যায় না। শুনেছিলাম, সত্তর ফোঁটা রক্ত দিয়ে নাকি তৈরি হয় এক ফোঁটা বীর্য, কাজেই বীর্যপাত ঘটলে সেই সাথেই বেরিয়ে যাচ্ছে পুরুষের জীবনীশক্তি। আরও কত কী! বড় হয়ে যখন জানতে পারলাম সব ভুয়া কথা তখন ভয়ানক রাগ হয়েছিল। এইসব আজগুবি কথা বিষময় করে দিয়েছিল আমার জীবনের দশ-বারোটা বছর। নানা রকম ভয়,ভীতি আর আশঙ্কায় কাটাতে হয়েছে আমাকে এতগুলো মূল্যবান বছর।
তোমার মনেও নিশ্চয়ই এসব ভুল ধারণা ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। তোমার প্রথম কর্তব্য হচ্ছে এই কাজের সঙ্গে জড়িত সবক'টা ভুল ধারণাকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা।-- হস্তমৈথুনের একমাত্র ক্ষতি হচ্ছে এই কলুষবোধ। আর কোন ক্ষতি আছে বলে পৃথিবীর কেউ কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি। অতিরিক্ত সবকিছুই খারাপ। খাওয়া, লেখাপড়া, ঘুম, খেলা সবকিছুই অতিরিক্ত হয়ে গেলে খারাপ। তাই বলে এগুলোকে খারাপ কাজ বলা যায় না।
তোমার জানা উচিত, হস্তমৈথুনের ফলে শারীরিক বা মানসিক কোন দিক থেকে কোনরকম ক্ষতির আশঙ্কা নেই। যদি তাই হতো তাহলে পৃথিবীর সব মানুষের সর্বনাশ হয়ে যেত। কারণ পৃথিবীতে এমন একটি ব্যক্তি নেই যে বুকে হাত রেখে বলতে পারবে জীবনের কোন না কোন সময়ে হস্তমৈথুনে প্রবৃত্ত হয়নি।
এই বয়সে তোমার মধ্যে যৌন উত্তেজনার যে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হবে সেটাকে দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করার চেষ্টা করা বোকামি। বহিঃপ্রকাশ চাই। খেলাধুলো, পড়াশোনা গান-বাজনা কোন কিছু দিয়ে ভুলাতে পারবে না তুমি নিজেকে। যখন তখন মাথা চাড়া দিয়ে লাফিয়ে উঠে দাঁড়াতে চাইবে তোমার গোপন অঙ্গ। ব্রহ্মচর্যের বুলি শুনিয়ে ওটাকে ঠাণ্ডা রাখা যাবে না। হস্তমৈথুন ছাড়া পথ নেই। বিয়ের বয়স বা যোগ্যতা অর্জন করতে অনেক দেরি আছে এখনও, কাজেই উদ্রিক্ত লিঙ্গ ঘষতে ঘষতে কল্পনায় নানা রকম ছবি দেখা ছাড়া আর কোন উপায় নেই তোমার।
শরীরের তাগিদে হস্তমৈথুন করায় বিন্দুমাত্র অন্যায় নেই ।মনের তীব্র আবেগ ও উচ্ছ্বাসকে মাঝে মাঝে মুক্তি না দিয়ে দমন করে রাখলে নিজেকে মানসিক রোগীতে পরিণত করা ছাড়া আর কোন লাভ হয় না। যাদের সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সান্নিধ্য লাভ করার উপায় নেই, যেমন - জেলখানার বন্দী, বিধবা বা বিপত্নীক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ,অন্ধ - হস্তমৈথুনকে তাদের মানসিক চাপ হালকা করার ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা উচিত। সঙ্গমের আনন্দ এতে হয় না, কিন্তু সঙ্গম এর বিকল্প হিসেবে এটা তুলনাহীন।"
শেষ হতে এখনও ট্যাবু অর্গাজম বা চরমানন্দ নিয়ে দ্বিধাহীন ভাবে যৌন মিলনকে স্পোর্ট বা খেলা হিসেবে লিখেছিলেন, "এটা দু'জনের খেলা, এমন অদ্ভুত খেলা যে কেউ হারলে চলবে না, জিততে হবে দু'জনকেই। একজন যদি বরাবর জিততে থাকে তাহলে শেষ পর্যন্ত হার হয়ে যায় দু'জনেরই। কাজেই দু'জনকেই আনন্দ পেতে হবে।'
ভাবতে পারেন এমন খোলামেলা সত্য আজ থেকে ৫০ বছর আগে প্রকাশিত হয়েছিল বাংলা হরফে।
বইয়ের এক্কেবারে শেষ পর্যায়ে যে তিনি বার্ধক্যে আসা শারীরিক পরিবর্তন পুরুষের বার্ধক্য, নারীর বার্ধক্য ইত্যাদি নিয়ে আলোচনার পরে বার্ধক্যের প্রেম নিয়ে দৃঢ় ভাবে বলেছেন,
' সমাজ বলবে বুড়ো বয়সে ভীমরতি, তারা আল্লাহ আল্লাহ করবে অপেক্ষা করবে মৃত্যুর জন্য তাদেরকে তো মানায় না ওসব কাজ। ভাগ্যিস বুড়ো মানুষের খাওয়া-দাওয়া মল-মূত্র ত্যাগ, ঘুমানো ইত্যাদি কাজগুলোই বন্ধ করার জন্য কোন সামাজিক চাপ নেই। তাহলে সব বুড়োবুড়ি সাফ হয়ে যেত দুনিয়া থেকে।
বইয়ের শেষ দুই লাইন ছিল –
"আমি যুদ্ধ করব বলে স্থির করেছি।
পুত্র, আশাকরি তুমিও তাই করবে।"
খেয়াল রাখতে হবে বইটি হাজার ১৯৭৪ সালে লেখা, তখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী লেখা অনুযায়ী দু'একটি ব্যাপারে উল্লিখিত ভুল তথ্যে পরবর্তী সংস্করণে পরিবর্তন আনা দরকার যার মধ্যে সমকামিতা অন্যতম, এছাড়া বৈবাহিক সম্পর্কের পরেও যে সমস্ত অবদমন থাকে ইত্যাদি ইত্যাদি, যেগুলো নিয়ে তখন সারা বিশ্বই অন্ধকারে ছিল। আবার এই বইতেই নারী যৌন চেতনা নিয়ে সিগমুন্ড ফ্রয়েডের যে ভুল ব্যাখ্যা ছিল সেটি নিয়ে চমৎকার বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
এবং এই বইয়ের সূচিপত্র পড়লেই বুঝবেন যে এটি আসলে ছেলে-মেয়ে সকলের জন্যই লেখা। সকলেই উপকৃত হবেন খোলা মন নিয়ে পড়লে, জানলে, বুঝলে।
‘সেবা প্রকাশনী’র অসামান্য এই বইটি এখনো সহজেই পাওয়া যায়। অনলাইন বা দোকানে।
মন্তব্য
খুব স্বাভাবিক কারণেই বইটাআমি সেই ছাত্রজীবনে লুকিয়ে পড়েছিলাম। বলতে দ্বিধা নেই, ওটা পড়ার পর আমার চিন্তাজগতে বিরাট একটা ভাঙাগড়া ঘটে গিয়েছিল। কারণ, তারও আগে কৈশোরে মফস্বল শহরগুলোয় বিকেলে বিভিন্ন হাতুড়ে কবিরাজরা রাস্তার মোড়ে বিভিন্ন জাদুখেলা ইত্যাদি দেখিয়ে মানুষ জড়ো করে অতঃপর যেসব ঔষধ বেঁচতো তার সবতাতেই যৌন অক্ষমতার বিষয়টি প্রধান্য পেত এবং কৈশোরের কৌতুহলী মনে তাদের দেয়া বিকৃত তথ্য ও ধারণাই মনে গেঁথে যেতো। এখনও হয়তো উঠতি কিশোরদের তা-ই হয়। এ বইটা যে কী দরকারি একটা বই, তা বুঝিয়ে বলতে হয় না।
আচ্ছা অণু, বইটা কি এখন বাজারে আছে? বা সেবাতে পাওয়া যায়?
এরকম আরেকটা বইয়ে প্রভাবিত হয়ে সেই স্কুল জীবনেই চর্চা শুরু করে দিয়েছিলাম, আত্মসম্মোহন ! আসলই কাজীদা যে উঠতি বয়সীদের জন্য কী চমৎকার কাজ করেছেন, তা বলে শেষ করা যাবে না। ভণিতা না করে বললে বলতে হবে, আজকের এই যে আমরা, আমাদের মনোজগত তৈরির পেছনে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিরাট অবদানকে অস্বীকার করলে নিজের অকৃতজ্ঞতাই প্রকাশ হবে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
হ্যাঁ দাদা, বইটা এখনো রিপ্রিন্ট হয়।
facebook
বইটি যখন লেখা হয়েছিল, তখন এবং তার আগে থেকে যৌনতা বিষয়ে জ্ঞান লাভের বেশ কিছু উপায় ছিল। যেমন সমবয়সী ডেঁপো ছেলেদের সাহচর্য। যুগ যুগ ধরে পরিবাহিত ভুল ধারনা, অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের এরাই ছিল অন্যতম ধারক ও বাহক। বেহেশতি জেওর স্ত্রী শিক্ষার মত কিছু তথাকথিত ধর্মীয় পুস্তক এবং স্বল্পশিক্ষিত হুজুরদের বয়ানও যৌনশিক্ষার একটা উপায় ছিল। তবে সবচেয়ে আকর্ষনীয় বোধ হয় ছিল রাস্তার ধারে ক্যানভাসারদের মজমা। ছোটবেলায় সংগত কারনেই তাদের বিক্রীত যৌনশক্তি বর্ধক ওষুধ আমাদের কিনতে হয় নি, কিন্তু তাদের চিত্তাকর্ষক বক্তৃতা আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনতাম। কামরুপ কামাখ্যা ঘুরে আসা সেসব বিচিত্র মানুষদের মুখে ততোধিক বিচিত্র সব ঘটনা দুর্ঘটনার বিবরণ শুনে শুধু আমরাই না, বড়রাও যে বেশ পুলকিত বোধ করতো, তা বেশ বুঝতে পারতাম।
এই বইটি পড়েই বিভিন্ন সূত্র লব্ধ ভুল ধারণাগুলো সম্পর্কে প্রথম একটা পরিস্কার ধারনা জন্মে। যদিও এর আগে আবুল হাসনাত বলে এক ভদ্রলোক যৌনবিজ্ঞান নামে একটি বিশাল বই লিখেছিলেন, বিভিন্ন কারনে সেটি সর্বসাধারনের নাগালের মধ্যে ছিল না।
ঠিক বলেছেন।
facebook
এখনো পড়া হয়নি বইটি।আসলে এত দিন খোঁজই পাইনি। লেখাটা পড়েই দারুণ লাগলো। পড়ব।
নতুন মন্তব্য করুন