আমার কেন জানি মনে হ্য় আমরা ভয় পেতে ভালোবাসি। জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত আমরা ভয় পাই, কারনে অকারনে ভয় পাই, ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে ভয় পাই। কোন অচেনাকে দেখলে ভয় পাই আবার মাঝে মাঝে চেনাকে দেখেও ভয় পাই। আমরা অসুন্দরকে দেখে ভয় পাই আবার সুন্দরকে দেখে অসুন্দরকে অনুভব করে ভয় পাই। আমরা অন্ধকারকে ভয় পাই আবার আলোকে দেখে আলোর ভিতর অন্ধ হয়ে যাবার ভয় পাই। আমরা হেরে যেতে ভয় পাই আবার জয়ী হয়ে হেরে যাবার
গান (Song)
পৃথিবীর ভার হলো
ভালোবাসা।
নিঃসঙ্গতার বোঝার
নিচে,
অসন্তুষ্টির বোঝার
নিচে
যে ভার
যে ভার আমরা বহন করি
তা হলো ভালোবাসা।
কে করে অস্বীকার?
স্বপ্নে
এটি ছুঁয়ে যায়
শরীর,
ভাবনায়
তৈরি করে
এক অলৌকিকতা
কল্পনায়
যন্ত্রণা দেয়
যতোক্ষণ না জন্ম নেয়
মানুষে-
শুদ্ধতায় জ্বলতে জ্বলতে
হৃদয়ের বাইরে থেকে সে দেখে-
কেননা ভালোবাসাই হলো
জীবনে ...
পাশ ফিরে শুই
তোমার উষ্ণতার অনুভব
অনুধাবনে নিয়ে আবার কোন উতলা হওয়ার আশায়
সে কোন বৈরাগ্য আমার
তোমায় নিয়ে যে উন্মাদ উত্তাল হওয়া তারপর
নিজেকে নিযে আমার অন্য রকম লুকিয়ে যাওয়ায়
ফিরতে চাই ঘরে
নিজের অথবা অন্যের তাতে কি
ফিরতে চাই এক অবসর উদযাপনের হাওয়ায়
ভালোবাসতে চাই
ভালো কি ভালোবাসা! নোনাধরা ঘরে বসে
তোমার খোলা চুলে বেণী গেঁথে সুখ পাওয়ায়
তথাপি হে আমার ঐশ্বর্য
আমার মনবৈকল্য তোমার...
১.
(এই অংশটি অপ্রয়োজনীয়)
২.
কলেজে থাকতে একটা মেয়েকে আমার খুব ভালো লাগতো। সত্যি বলতে স্কুল পাস দেয়ার পর পরই খবরের কাগজে কোন এক কারণে ওই মেয়ের ছবি দেখি, তার পর থেকেই তাকে নিয়ে নানারকম ফ্যান্টাসীতে ভুগতাম। ক্লাস শুরু হওয়ার পর সকাল আটটার ক্লাসে আমি গিয়ে বসে থাকতাম সাড়ে সাতটার সময়(তখন কিন্তু শীতকাল)। কারণ ওই মেয়ে সাড়ে সাতটার একটু পর পরই আসতো। ক্লাসের অন্যান্য লুকজন আসতো আরো দেরীতে। আ...
[justify]
জন্মাবার সময়েই আমরা মোটামুটি কাজ চালাবার মতো সব সম্পর্ক বাই ডিফল্ট নিজের সাথে এম্বেড করে আনি। বাবা-মা-ভাই-বোন-খালা-খালু-ফুপা-ফুপু-চাচা-চাচী-মামা-মামী-নানা-নানী-দাদা-দাদী সম্পর্কের কত রকমফের! আস্তে ধীরে বয়েস বাড়ে আর বাবার কলিগ, মায়ের বান্ধবী এরকম দুয়েকটা ফাউ সম্পর্কের মালিক হই। কথা বলতে-চলতে-ফিরতে পারা বড় হবার পরেই শুরু হয় আমাদের নিজেদের, প্রথমবারের মতো একান্তই নিজের জন্য সম...
১৯৬৩ সালের মে মাসের এক সদ্যাগত সন্ধ্যায়, নিউ ইয়র্কের থার্ড এভিনিউ দিয়ে পকেটে হাত ঢুকিয়ে হনহন করে হেঁটে চলছিল এক যুবক। আবহাওয়াটা ছিল নরম আর সুন্দর। আকাশটা ধীরে ধীরে অন্ধকার হয়ে আসছিল নীল থেকে শান্ত, মনোরম গোধুলীর বেগুনি রঙে। অনেকে আছেন যারা শহর-প্রেমিক, এরকম এক রাতেই তারা প্রথম মজেছিলেন সেই প্রেমে। ডেলিক্টেসনগুলোর দরজায় সবাই ভিড় করে দাঁড়িয়ে। ড্রাই-ক্লিনিংএর দোকান আর রেস্টুরেন্টগুলো যেন হাসছিল। একট
এই যে আমাকে জড়িয়ে রেখেছো মিহিন সেলাইয়ের ভেতর বহু যুগ সোনালী আবেশে এই যে আমাকে ঘুম পাড়াতে চাইছো হৃদয়ের সান্নিধ্যে বারবার শোনাচ্ছো রূপকথার রূপোলী রং আর ...
কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে থাকতে আমি সমারসেট মম সাহেবের লেখার খপ্পরে পইরা যাই। বয়স তখন ১৬ বা ১৭ হইবো। সেবার বই, কিশোর ক্লাসিক, তিন গোয়েন্দা, ব্রিটিশ কাউন্সিলের পোলাপানের সেকশনের বই - ইত্যাদির গন্ডি পার হইয়া ত...