মেঘ দেখে তুই করিসনে ভয় আড়ালে তার সূর্য হাসে

অয়ন এর ছবি
লিখেছেন অয়ন (তারিখ: শুক্র, ০৮/০১/২০১০ - ৪:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
(এই অংশটি অপ্রয়োজনীয়)

২.
কলেজে থাকতে একটা মেয়েকে আমার খুব ভালো লাগতো। সত্যি বলতে স্কুল পাস দেয়ার পর পরই খবরের কাগজে কোন এক কারণে ওই মেয়ের ছবি দেখি, তার পর থেকেই তাকে নিয়ে নানারকম ফ্যান্টাসীতে ভুগতাম। ক্লাস শুরু হওয়ার পর সকাল আটটার ক্লাসে আমি গিয়ে বসে থাকতাম সাড়ে সাতটার সময়(তখন কিন্তু শীতকাল)। কারণ ওই মেয়ে সাড়ে সাতটার একটু পর পরই আসতো। ক্লাসের অন্যান্য লুকজন আসতো আরো দেরীতে। আমার মতো অলস মানুষ অতো সকালে যাওয়ার কারণ ছিলো একটাই, অল্প একটু সময় ওই মেয়েরে একটু দেখা। ও হাইটা হাইটা কলেজের করিডর দিয়া আসবে, তারপর চেয়ারটা টানবে, টাইনা বসবে, বইসা ব্যাগ রাখবে, রাইখা বই খাতা বের করবে … এইসব দেখতাম। আর কিচ্ছু করতাম না, একদম সত্যি কথা, কিচ্ছু না। কখনো কথা বলার চেষ্টাও করিনাই। ওইযে সকাল থিকা দুপুর পর্যন্ত ওরে দেখতাম এইটাই শান্তি। কোন এক অদ্ভূত কারণে ওই মেয়ের প্রতি আমার এই মন্ত্রমুগ্ধতা দিনে দিনে কমতে থাকে। আমার ৭:৩০ টায় কলেজে উপস্থিতি আস্তে আস্তে ৮:৩০ টায় পরিণত হয়। ওই মেয়েরে দেখতে দেখতে একটা পর্যায়ে হাই তোলা শুরু করি। তারপর আরো নানান নাটক, ওইসব বইলা লাভ নাই।

৩.
একটা ছেলের একটা মেয়েরে পছন্দ করার এক কোটি কারণ থাকতে পারে। কিন্তু প্রথম কারণটা সম্ভবত চেহারা। কারণ এইটা দূর থিকা দেখা যায়। এখন কথা হইলো ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটারে সব ছেলে ভালোবাসার প্রস্তাব কেন দেয় না। গোপন ফ্যান্টাসী যে থাকে সেইটা আমি জানি কিন্তু প্রস্তাব কেন দেয় না? প্রত্যাখ্যাত হবার ভয়ে? সেটা হতেই পারে, কিন্তু আগে থেকে ছেলেরা জানে কিভাবে যে সে প্রত্যাখ্যাত হবে?
এখন আসেন আমরা একটা পরিস্থিতি কল্পনা করি যেখানে আমাদের ক্লাসে ১৮ টা ছেলে আর ১৮ টা মেয়ে। আমার ওই মেয়েকে যেমন ভালো লাগছিলো ক্লাসের অন্য ১৭ টা ছেলেরও ওরে তেমনি ভালো লাগতো। ধরলাম সব ছেলেই ঠিক করলো ওরে প্রস্তাব দিতে হবে। কিন্তু দুইটা শর্ত মাইনা:

• যারা প্রত্যাখ্যাত হবে তারা ক্লাসের অন্য কোন মেয়ের সাথে প্রেম করতে পারবে না (বিকল্প পছন্দ হতে কোন মেয়ে পছন্দ করে না)।
• যারা প্রস্তাব দেবে তারা আর পরস্পর বন্ধু থাকতে পারবে না (যে বন্ধু বন্ধুর পথে বাধা সৃষ্টি করে সে প্রকৃত বন্ধু না)।

এবং এইটা ধইরা নেয়া যায় যে ওই মেয়ে কারো প্রস্তাবে রাজী হতেও পারে নাও পারে। কাজেই ঘটনা দাড়ায় আমি যদি ওরে প্রস্তাব করি তাহলে দুই ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হইতে পারে:
সে প্রস্তাবে রাজী হইলে:
>>পাইলাম
>>অন্য বন্ধু যেগুলা ওরে প্রস্তাব দেবে সেগুলা আর আমার বন্ধু থাকবে না (১৭ জনই)।

সে প্রস্তাবে রাজী না হইলে:
>>পাইলাম না
>>অন্য বন্ধু যেগুলা ওরে প্রস্তাব দেবে সেগুলা আর আমার বন্ধু থাকবে না।
অর্থাত দুইটা পরিস্থিতিতেই আমার কোন বন্ধু নাই। এখন আমি কি করবো? ওরে প্রস্তাব দিলে আমিও ওরে পাইতেও পারি নাও পারি, কিন্তু প্রস্তাব দিয়া প্রত্যাখ্যাত হইলে আমি সব হারাবো।

এই পরিস্থিতিতে আসেন আমরা নায়িকা#২ কে নিয়ে আসি। সে সেইরকম সুন্দরী না হইলেও সুন্দরী, আর সে মাঝে মাঝে আমার দিকে তাকায়। ক্লাসের জরিপে অর্ধেক ছেলে মনে করে তাকে প্রস্তাব দেয়া যায়। এখন নায়িকা#২ কে প্রস্তাব দিলে কি পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটতে পারে:
সে প্রস্তাবে রাজী হইলে:
>>পাইলাম
>>অন্য বন্ধু যেগুলা ওরে প্রস্তাব দেবে সেগুলা আর আমার বন্ধু থাকবে না (৮ জন)।
>>আমার ৯ বন্ধু যারা #২ এ প্রতি আগ্রহী না তাদের সাথে বন্ধুত্ব থাকবে।
সে প্রস্তাবে রাজী না হইলে:
>>পাইলাম না
>>অন্য বন্ধু যেগুলা ওরে প্রস্তাব দেবে সেগুলা আর আমার বন্ধু থাকবে না।
>>আমার ৯ বন্ধু যারা #২ এ প্রতি আগ্রহী না তাদের সাথে বন্ধুত্ব থাকবে।
অর্থাত এই পরিস্থিতি আমার জন্য অপেক্ষাকৃত ভালো। নায়িকা #২ যাই করুক আমার ৯ জন বন্ধু থেকেই যাচ্ছে।

এখন কথা হচ্ছে ক্লাসে ১৮টা ছেলে ১৮টা মেয়ে, ছেলে মেয়ে অনুপাত ১:১, তারপরও এতো সমস্যা কেন।

৪.
উপরে দেয়া উদাহরণটা ক্যাজুয়াল সেক্সের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য। পার্টিতে গিয়ে সেই মেয়েটাকেই ডেটের প্রস্তাব দেয়া উচিত যার চারপাশে উত্সুক জনতার ভীড় কম। এক্ষেত্রে সফল ডেটের সম্ভাবনা বাড়ে।

এটা একইসাথে Simultaneous Game এর একটা উদাহরণ। যেখানে সব খেলোয়াড় অপর খেলোয়াড়দের স্ট্রাটেজী না জেনে সিদ্ধান্ত নেন। সেরা সুন্দরীকে প্রস্তাব দেয়ার মাধ্যমে আমি দ্বিতীয় সেরা সুন্দরীকে পাওয়ার সম্ভাবনাটা যেমন কমিয়ে দিচ্ছি তেমনি আমার বন্ধুদেরকে সরিয়ে দিচ্ছি। সাথে সাথে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করছি যাতে অন্য বন্ধুরাও সুন্দরীকে প্রস্তাব দেয়ার আগে দুবার ভাবে। আর আমি যদি আমার দিকে আড়চোখে তাকানো সুন্দরীকে প্রস্তাব দেই তাহলে আমার সফল প্রেম হবার সম্ভাবনা যেমন বাড়ছে তেমনিভাবে ক্লাসের অন্য কারো ভাগ্যে সেরা সুন্দরীকে পাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। অর্থাত আমি সামান্য একটু ত্যাগ স্বীকার করলেই পুরো ক্লাসের যেমন লাভ হচ্ছে তেমনি আমার নিজেরও ক্ষতি কম হচ্ছে।

এ্যাডাম স্মিথের মতে প্রতিটি ব্যক্তির নিজের স্বার্থের জন্য কাজ করাটাই সমাজের জন্য সর্বোত্তম। জন ন্যাশ এ্যাডাম স্মিথের এই এই নিজের স্বার্থ ধারণার সাথে যোগ করেন সামষ্টিক স্বার্থের ধারণা। তিনি দেখান নিজের স্বার্থের সাথে সাথে সমষ্টিগত স্বার্থ বিবেচনা করলে নিজের যেমন লাভ হবে তেমনি সামষ্টিক লাভও বৃদ্ধি পাবে। খুব সহজভাবে দেখলে বাসে ঠেলাঠেলি করে উঠলে নাকি লাইন দিয়ে উঠলে কোনটাতে লাভ বেশী?

ধরা যাক আমি বিশাল একটা লাইনের পেছনদিকে। এখানে দাড়িয়ে থাকলে আমার বাসে উঠতে সময় লাগবে প্রায় আধ ঘন্টা। এখন লাইন ভেঙ্গে আমি সামনে গিয়ে কিছু যাত্রীর সাথে ঠেলাঠেলি করে বাসে ওঠার চেষ্টা করতে পারি। কিন্তু একজন লাইন ভাঙ্গার মানে হচ্ছে পুরা লাইনটাই বিশৃঙখল হয়ে যাবে, এবং তখন সবাইকেই ঠেলাঠেলি করে উঠতে হবে। সেক্ষেত্রে আমি আধ ঘন্টা কি এক ঘন্টা পরেও যে বাসে উঠতে পারবো তার কোন নিশ্চয়তা নাই। কাজেই দেখা যাচ্ছে লাইনে দাড়ানোর মাধ্যমে ব্যক্তিগত এবং সামষ্টিক দুই দিক থেকেই আমি লাভবান হচ্ছি।

৫.
১৯৪৪ সালে ভন নিউম্যান আর অস্কার মর্গেনস্টার্ন গেম থিওরীর উপর প্রথম বই প্রকাশের পর এখন পর্যন্ত আটজন অর্থনীতিবিদ আর গণিতবিদ গেম থিওরীর উপর গবেষণার জন্য নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন। আমাদের চারপাশে গেম থিওরীর প্রয়োগ প্র্রায় প্রতিটা ক্ষেত্রেই। পাড়ার মুদি দোকানী কয় কেজি চাল দোকানে রাখবে এটা থেকে শুরু করে আগামী বছর ট্যাক্সের হার কত হবে সব কিছুই গেম থিওরী দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। রাজনীতি, অর্থনীতি, ব্যবসায়, বায়োলজী, কম্পিউটার সায়েন্স সব কিছুতেই এখন গেম থিওরীর প্রয়োগ। শেষে আমার খুব প্রিয় একটা ক্লিপ দিলাম। জন ন্যাশের জীবনী নিয়ে বানানো এ বিউটিফুল মাইন্ড মুভির এই সিনে তরুণ জন ন্যাশ তার বন্ধুদের কিভাবে ক্লাবে আসা সুন্দরীগুলোকে নিয়ে বিছানায় যাবার সম্ভাবনা বাড়ানো যায় সেটা গেম থিওরী দিয়ে ব্যাখ্যা করছেন।

[এম্বেডিং সম্ভবত বন্ধ, ইউটিউবে গিয়ে ভিডিও দেখতে হবে।]


মন্তব্য

রেনেট এর ছবি

সহজ-সরল, আকর্ষণীয় ভাষায় লেখা। চমৎকার লাগলো।
পাঁচ তারা।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

রেশনুভা এর ছবি

লেখা ভালো লাগছে।
১ নম্বর প্যারার মানে অবশ্য বুঝি নাই। সব যে বোঝা লাগবে তাও না।

দ্রোহী এর ছবি

দারুণ লাগলো!!!!!!!!

নিবিড় এর ছবি

আপ্নে তাইলে বেচে আছেন? মাঝখানে ক্যাম্পাসে একবার দেখছিলাম তারপর বহুদিন পর হাসি
লেখার বিষয়বস্তু এবং লেখা দুইটাই ভাল লাগছে চলুক


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

(বিকল্প পছন্দ হতে কোন মেয়ে পছন্দ করে না)।

এইটা পড়েই আরেকবার ট্যাগে চোখ বুলায়া আসলাম। বুঝলাম জন ন্যাশের গেম থিওরী- বিউটিফুল মাইন্ডে এই সংলাপটাই ছিলো...।

বেশ গোছানো লেখা।

_________________________________________

সেরিওজা

হিমু এর ছবি
অস্পৃশ্যা এর ছবি

এত সুন্দর করে যদি আমাদের আই.আরে কেউ বুঝিয়ে দিত, তবে থিউরীতে চোখ বন্ধ করে আরো কিছু নম্বর পেতে পারতাম... আমরা শুধু সেই ১ম বর্ষে Chicken Model এবং এর বাস্তবিক প্রয়োগ হিসেবে কিউবান মিসাইল ক্রাইসিস এবং Prisoners Dilemma Model এবং এর বাস্তবিক প্রয়োগ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যকার Arms Race পড়েছি। এখনও প্রায়শই দরকার পড়ে রাষ্ট্রের আচরণ ব্যাখার জন্য। তবে এত ভালভাবে আগে কেউ বুঝিয়ে দেয়নি বিষয়টা।

খুব ভাল লেগেছে পুরো লেখাটা পড়ে।

অসংখ্য ধন্যবাদ...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হায়, অয়ন, হায়!

রাহিন হায়দার এর ছবি

৪র্থ প্যারায় আসার আগেই মনে হচ্ছিল 'এ বিউটিফুল মাইন্ড' বা জন ন্যাশ আলোচনায় ঢুকে পড়লেন বলে...!

দারুণ চলুক
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

অতিথি লেখক এর ছবি

বস্‌ য়েতদ্দিন পর আইলেন, ভালা আচেন?
কিভাবে ক্লাবে আসা সুন্দরীগুলোকে নিয়ে বিছানায় যাবার সম্ভাবনা বাড়ানো যায় সেটা গেম থিওরী দিয়ে ব্যাখ্যা করছেন।
আমি যে শহরে থাকি সেখানে ক্লাব নাই, তাই আপাতত বোখরায় ঢাঁকা মেয়েদের মুখ দেখার থিওরী বললেই হবে।
-বুদ্ধু

ভেড়া  এর ছবি

বাসে ঠেলাঠেলির উদাহরণটা একটা ন্যাশ ইকুলিব্রিয়াম ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনি যে লেখেন তাই ভুলে গেছিলাম। যাহোক। ভালো লাগলো লেখাটা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নাশতারান এর ছবি

তৃতীয় প্যারা আসতে আসতেই 'এ বিউটিফুল মাইন্ড' এর কথা মনে হলো।

পোস্ট ভালো লাগলো।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

কি নিয়ে শুরু হল, আর শেষ হল কোথায়!! মাথায়ই আসে নাই এরকম একটা বিষয় নিয়ে লেখাটা। চমৎকার।

- মুক্ত বয়ান।

অতিথি লেখক এর ছবি

মানুষ অনেক জটিল জীব...
অংক করে যে সমাধান বের করা হবে মানুষ তার উল্টোটা করেও দেখায়...
গেমস এর কিছু মজার ব্যাপার আছে....
একদল নিয়ম মেনে আগায় আর কিছু আছে যারা নিয়ম মান্যকারীকে তার পথ থেকে বার বার সরিয়ে দেয়...অনেকটা ভাইরাসের মত কাজ করে অথবা চিট কোডের মত.....
সেখানে আপনি যতই নিয়ম মেনে চলেন লাভ হয়না...

(জয়িতা)

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লেখাটা দারুণ লাগল। এই সিনেমাটা আমার অসম্ভব প্রিয়। বহুবার দেখা।

দময়ন্তী এর ছবি

এই লেখাটা শুক্রবার এঅফিস থেকে মোবাইলে পড়লাম "মেল দেখে তুই করিসনে ভয় আড়ালে তার মূর্খ হাসে'৷ শিরোনাম পড়ে পেল্লায় অবাক হলাম৷ পরে পড়তে এসে দেখি পুরোই ভুলভাল পড়েছি৷ হাসি

লেখাটা ভারী সুন্দর করে সহজ ভাষায় বোঝানো৷ ভাল লাগল৷ নিয়মিত লিখুন না৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

তানবীরা এর ছবি

আপনি দেখি প্রেমের গল্পের ছুঁতো দিয়ে আমাকে পড়াশোনা করিয়ে দিলেন, হায় হায়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা পড়ে গেম থিউরি শিখে গেলাম। অয়ন ভাই, আপ্নে সবথিউরিগুলা এম্নে লিখে দেন। আমাদের মতো নাদান ছাত্রদের বহুত ফায়্দা হবে।

গেম থিউরিজনিত আরেক্টা মুভি 'দ্যা ওয়ান্ডারফুল ওয়ার্ল্ড' দেখতে পারেন। ভালো লাগ্বে মনে হয়।

---- মনজুর এলাহী ----

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।