পাকমন পেয়ারু ইন এ্যাকশন

অয়ন এর ছবি
লিখেছেন অয়ন (তারিখ: শনি, ২৭/০৩/২০১০ - ৫:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
Writing about our liberation war is often a hard undertaking; primarily because of the emotions that get attached but also because I do not want to promote hatred towards anyone because of past events. I honestly believe that in order for us to move forward as a nation and as a unified form of humanity, hatred is a big barrier for many of us. Keeping that in mind, I also believe that every citizen of our country, especially the younger ones (meaning us), should be aware of the toil that was put in so that we can call ourselves Bangladeshi. Another reason that makes it difficult is the ambiguity that lies our in factual history as a result of dirty politics. It's become worse than calling someone a communist in the US.

২.
ব্লগের সুবিধা হলো মূলধারার মিডিয়াতে যা মুখ ফসকেও বলা যায় না সেটাও নির্দ্বিধায় লিখে ফেলা যায়। মূলধারার মিডিয়ার চেয়ে ব্লগের প্রতি আগ্রহটা একারণেই বেশী। ২০০৬ এর শেষ দিকে বাংলা উইকিপিডিয়ানদের একটা গ্রুপ থেকে সামহোয়ারইনব্লগের খোজ পাই। সামহোয়ারইনের নিয়মিত পাঠক ছিলাম প্রায় ৩ বছর। সামহোয়ারইন না পড়লে কখনো জানতেই পারতাম না যে বাংলাদেশের কিছু মানুষ ধারণা করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আসলে হত্যা করেছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’। কিংবা মুক্তিযুদ্ধে আসলে ৩০ হাজার মানুষ মারা গেছে। ব্লগে এই ধরনের লেখাগুলো যারা লিখতো তাদেরকে ছাগু ডাকা হতো। প্রথম দিকে এইধরনের লেখাগুলোকে কিছু স্বল্পবুদ্ধির নির্বোধের প্রলাপ হিসেবেই মনে হতো। প্রপাগান্ডা হিসেবে যে ব্লগকে ব্যবহার করা হতে পারে সেটা তখন মাথায় আসেনি। প্রপাগান্ডার ব্যাপারটা বুঝতে পারি অনেক পরে। যখন পুরোপুরি একই ধরনের লেখা নানান জাতের নিক থেকে বের হতে থাকে। এই ধরনের লেখায় প্রতিবাদ যেমন আসতো সাথে সাথে অনেকের হালকা সমর্থনও থাকতো।

৩.
২০০৬ এর নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সামহোয়ারইনে “পাকমন পেয়ার” নামে একটা লেখা ছাপা হয়। লেখক আনোয়ার সাদাত শিমূল। উঠতি বয়সী কিছু কিশোর কিশোরীকে নিয়ে গল্প। তবে তারা সাধারণ কিশোর কিশোরী নয়। তারা পাকমন পেয়ারু জেনারেশন। তারা ইউসুফ ইসলামের গানের মুগ্ধ শ্রোতা, শহীদ আফ্রিদির পেশী দেখে তারা উত্তেজিত হয়, আল আম্রিকি তাদের মোহগ্রস্থ করে। বাংলাদেশের বুকে যেন ফোটা ফোটা কদর্য পাকিস্তানী বীর্য। গল্পটা পড়ে ওই সময়টাতে কি অনুভূতি হয়েছিলো ঠিক মনে নেই তবে অবাক হয়েছিলাম তার বেশ কয়েক মাস পর আরেক ব্লগারের পুরো গল্পটায় নিজের ছায়া খুজে পাওয়া দেখে। লেখকের কল্পনা হতে যেন বাস্তবের সাফরীনকে দেখতে পাই আমরা। রাসেদ, জাফর, সাফরীনরা যেন জীবন্ত হয়ে ধরা দেয় আমাদের চোখে। ব্লগের পাতায় তারা মুক্তিযুদ্ধে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা জানতে চায়, দুই লক্ষ ধর্ষিতা তাদের কাছে বড্ড বেশী মনে হয়, গোলাম আযমের নিন্দায় তারা প্রতিবাদের ঝড় তোলে।

৪.
এই লেখার প্রথম প্যারা থেকে কয়েক লাইন নিয়ে যদি কেউ গুগলে সার্চ করে থাকেন তাহলে এতোক্ষণে জেনে গিয়েছেন এটা ডেইলী স্টারের বৃহ:পতিবারের সাপ্লিমেন্ট রাইজিং স্টারে ছাপা হওয়া একটা লেখার প্রথমদিকের কিছু অংশ। গত ২৫শে মার্চ ছাপা হয়েছিলো লেখাটা। এখন আসেন আমরা খুউব খিয়াল কইরা লেখার কিছু অংশ পড়ি।

“…because I do not want to promote hatred towards anyone because of past events…”

অতীত ঘটনার জন্য লেখক আদনান ফকির সাহেব মানুষে মানুষে ঘৃণাবোধ জাগ্রত করতে চান না। তবে এইখানে anyone বলতে ফকির সাহেব কাকে বুঝিয়েছেন সেটা বুঝতে আমার সমস্যা হচ্ছে। একাত্তরের ঘটনার জন্য কোন মানুষের প্রতি আমার ঘৃণা নাই, ঘৃণা আছে কিছু পশুর প্রতি।
তারপর ফকির সাহেব বলেছেন যে তিনি বিশ্বাস করেন জাতি হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার পথে ঘৃণা আমাদের একটি বড় বাধা। এরপর তিনি বলেছেন,

“..Keeping that in mind, I also believe that every citizen of our country, especially the younger ones (meaning us), should be aware of the toil that was put in so that we can call ourselves Bangladeshi. Another reason that makes it difficult is the ambiguity that lies in our factual history as a result of dirty politics. It's become worse than calling someone a communist in the US.”

আমাদের ভুল ইতিহাসের সাথে যুক্তরাষ্ট্রে একজনকে কম্যূনিস্ট বলার মিলটা কোত্থেকে আসলো বুঝলাম না। তবে কি কারণে জানি না, পুরো লেখায় পাকিস্তানী বীর্যপ্রেমিক এদেশীয় রাজাকারদের উল্লেখ একবারও আসেনি। ফকির সাহেব কি এটাই বলতে চাচ্ছেন যে ভুল ইতিহাসের কারণে আমরা কিছু কিছু নিরপরাধ নাদান বান্দাকে রাজাকার উপাধিতে ভুষিত করছি? নাকি অন্য কিছু? আমি কি বুঝতে ভুল করলাম?

৫.
সামুব্লগে একটা গ্রুপ ছিলো ছদ্মছাগু। এরা হয়তো মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পোস্ট দিতো কিন্তু পোস্টটা হতো ফিল্টার করা। তাদের মুক্তিযুদ্ধে রাজাকার, আলবদর, আলশামস বলে কেউ ছিলো না। ওই যুদ্ধ অতীত ঘটনা, সেটা নিয়ে ৩৯ বছর পর টানাটানির কোন মানে হয় না। যতো তাড়াতাড়ি আমরা অতীতের ভুল বোঝাবুঝিকে দূর করতে পারবো ততোই আমাদের মঙ্গল। পাকমন পেয়ারু জেনারেশনের মূল বক্তব্য এইটাই। অতীত নিয়া পইড়া থাকলে কেমনে হবে, আসেন ভাইয়ে ভাইয়ে হাত ধরি। এই ডার্টি ফাকিন পলিটিক্স থেকে দেশকে উদ্ধার করি।

রাইজিং স্টার মূলত বাংলাদেশের ইংরেজি মাধ্যমের ছেলেমেয়ে কেন্দ্রিক একটা সাময়িকী। এই অংশটা সমাজের মুলধারা থেকে বেশ দূরে থাকলেও ক্ষমতার কেন্দ্রবলয়ের অনেক কাছে। “ফরগেট পাস্ট এন্ড ইউনাইট ফর দা ফিউচার” জামাতের এই প্রচারণাটা তাদেরকে খাওয়ানোটা অনেক সহজ। কারণ এই ডার্টি ফাকিন পলিটিক্স নিয়ে তারা ইতিমধ্যেই অনেক ফাক্ড আপ। তবে উচ্চবিত্ত এই অংশে জামাতি ভাবধারার প্রবেশটা কতোটা সহজ সে ব্যাপারে আগে সংশয় ছিলো, এখন আর নেই। ডেইলী স্টারের মতো পত্রিকায় যখন ইতিহাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করে রাজাকারদের প্রতি ঘৃণাবোধ সড়িয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানায় তখন সহজেই বোঝা যায়, পাকমন পেয়ারু জেনারেশন ইন এ্যাকশন।


মন্তব্য

দ্রোহী-স্বপ্নেরা এর ছবি

English medium এবং private university গুলোতে পাক-পেয়ারি জামাত-শিবির অনেক বেশি সক্রিয়। Manarat,IIUC এইসব জায়গায় পাকি বীর্যের দারুণ চাষ হচ্ছে।

হাম্মাদ আলি [অতিথি] এর ছবি

IIUC-র কথা আর বলেননা। একটা কাজে গিয়েছিলাম ২০০৫-এ। পুরা জায়গাটার কালচারটা আমার ঠিক বিশ্ববিদ্যালয় এর মতো লাগেনি। সবার চালচলন, কথা-বার্তা কেমন যেন মাপা। ছাত্রসুলভ উদ্দীপনার অভাব খুব চোখে পড়েছিল, এমনকি নিজে ঢাকার একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া সত্বেও। মনে প্রশ্ন জেগেছিল যে এর কারন কি ছাত্রদের একটা নির্দিষ্ট চিন্তাধারার বাইরে বের না হতে দেওয়া?

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
হাসিব এর ছবি

ডেইলি স্টার পড়া বাদ্দিছি বছর চাইর আগে থিকাই । মাটির সাথে সংযোগবিহীন একটা পত্রিকা মনে হয় ঐটারে ।

অয়ন এর ছবি

হাসিব ভাই, আপনি আমি না পড়তে পারি, কিন্তু ইংরেজী দৈনিকের মধ্যে এটাই সবচেয়ে জনপ্রিয়। আমাদের পরের প্রজন্ম কিন্তু প্রথমালু আর ডেইলী স্টার পড়েই বড় হচ্ছে।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে

আনিস মাহমুদ এর ছবি

খুউব খিয়াল কৈরা...

.......................................................................................
Simply joking around...

.......................................................................................
Simply joking around...

জনৈক বাঙাল এর ছবি

এই লেখাটি ফেসবুকে শেয়ার করাতে যদি লেখকের কোনো আপত্তি না থেকে থাকে তাহলে ফেসবুকে এবং পরিচিত গন্ডিতে শেয়ার করতে চাই...

অয়ন এর ছবি

কোন আপত্তি নাই।
ধন্যবাদ।

স্নিগ্ধা এর ছবি

অয়ন, আমিও করছি।

অয়ন এর ছবি

ধন্যবাদ।

রেজওয়ান এর ছবি

ইন্টারনেট জগৎে এদের কার্যকলাপ বেশ বিস্তৃত। ফেসবুকে, অর্কুটে, বিভিন্ন ব্লগে কোথায় নেই! যেখানেই সুযোগ পাচ্ছে সেখান থেকে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এদের ঠেকানোর জন্যে পরিকল্পনা দরকার। সেরকম কয়েকটির লিন্ক দিলাম:

http://isayeed.blogspot.com/2010/01/attacking-sixth-pillar.html
http://www.untoldfacts.com/bangladesh/war-crimes-to-crimes-against-humanity/
http://xanthis.wordpress.com/2009/10/28/hizbut-tahrir-activist-beaten-by-bcl-chhatro-league-at-du/

এই সাইটগুলো পড়লে বোঝা যাবে যে কি মাল ওগুলো। কিন্তু ঠেকানোর উপায় কি? মন্তব্য করে দেখেছি - তা প্রকাশিত হয় না। সত্যি আমাদের অনেক পথ পারি দিতে হবে - শত্রুরা আটঘাট বেধেই নেমেছে।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

দরকারী লেখা।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

চলুক

স্নিগ্ধা এর ছবি

ভালো লেখা, ভালো লাগলো হাসি

আ সা শিমুল এর ছবি

অয়ন, একটা কাজে সারাদিন হসপিটালে ছিলাম। এখনো বাইরে। খুশি হলাম, সময় করে পোস্ট দিয়েছ ।

অতিথি লেখক এর ছবি

মুখে গালি ছাড়া আর কিছু আসে না এইগুলার কাজকারবার দেখলে।

একটা সম্ভবত অবাস্তব চিন্তা মাথায় ঘুরতেসে কয়েকদিন আগে মসজিদের পাশে পাবলিকের নয়াদিগন্ত পড়া নিয়ে কার জানি একটা লেখা দেখে। আমরা কি একটা কিশোর পত্রিকা বের করতে পারিনা? এখানে তো প্রচুর লেখক, লেখার অভাব হওয়ার কথা না। খরচাপাতির ব্যাপার জানি না বলে বললাম "সম্ভবত অবাস্তব"।

নতুন জেনারেশনের অবস্থা দেখলে খুবই খারাপ লাগে। আমার একটা খুব ভাল ছাত্র সেদিন খোমাখাতায় ঘুরতে ঘুরতে দেখি, শিবিরের একটা গ্রুপের সদস্য অ্যাঁ ছেলেটারে অনেক ভাল জানতাম, আমার মনে হয়নাই সে জেনেবুঝে ওই গ্রুপে ঢুকসে।

এদের কি বা করার আছে? গাইড করার মত কেউ নাই, পাঠ্যবই, মিডিয়াসুদ্ধা সব কিসুই সরকার পাল্টানোর সাথে সাথে পালটায়। কলেজ শেষ করে ভার্সিটিতে ঢুকলে আশেপাশের মেসের "শান্তশিষ্ট" শিবিরের "সাহায্যকারী" ভাইরা এদের ধরে কনভার্ট করে ফেলে। আমার নিজের ছাত্রদের ইন্টারনেট ব্যবহারের রেট, ধরণ দেখে বুঝতেসি এরা খোমাখাতা আর মুভি ছাড়া নেট তেমন ঘাটে না, নিজের কোর্সের ওয়েবসাইট পর্যন্ত বুঝায়ে বুঝায়ে আনতে হয়। ব্লগ ঘাটা, তারপর খুঁজে খুঁজে সচলায়তন পর্যন্ত আসা দূরের কথা।

বুড়া পাকা গুলার টাইম শেষ। কিন্তু এই কাচাগুলারে ঠিক করার এখনো টাইম আছে।

জানিনা এইটা নিয়ে এখানে আগে কথা উঠসে নাকি, কইলাম আর কি। নেট আর বইয়ের চাইতে এখনও পত্রিকা অনেক বেশি widespread আমাদের দেশে, অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায়, আমার যা মনে হয়।

----আশাহত

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

একটা গ্রুপ ছিলো ছদ্মছাগু। এরা হয়তো মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পোস্ট দিতো কিন্তু পোস্টটা হতো ফিল্টার করা।

স্পর্শ এর ছবি

কার্টুন কী আপনার আঁকা?


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

হাহা - না - আমি কোনো কামেল আর্টিস্ট না চোখ টিপি

লাবণ্য [অতিথি] এর ছবি

মগজ ধোলাইয়ের কাজ আসলেই অনেক সূক্ষ। আমি কিন্তু নিজে ডেইলি স্টারের এই লেখাটা পরলে এত কিছু বুঝতাম না। ধরে নিতাম কেউ একজন সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে এক হয়ে দেশ গড়ার কাজে আহ্বান জানাচ্ছে। চমৎকার বিশ্লেষনটির জন্য ধন্যবাদ।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

এই সব কারণেই আমার ইংরেজী মাধ্যমের পড়ুয়াদের লাল্টু- বাস্তবতা বিবর্জিত বলে মনে হয় (ব্যক্তিগত মত) ...

লেখাটা শেয়ারে দিলাম।

_________________________________________

সেরিওজা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আশংকাজনক!

রাইজিং স্টারের মতো এর টার্গেট পাঠকের সংখ্যাও অনবরত 'রাইজিং'। এই পাঠককুলকে আপাতত হিসাবের বাইরে ধরলেও এরা একটা সময় অনেকটা ভোকাট্টা ঘুড়ির মতোই আমাদের জাতীয় জীবনে চলে আসতে পারে, সম্ভাবনা প্রবল।

দেখতে অবাক লাগে মাহফুজ আনামের মতো মানুষের চোখের সামনে দিয়েও এরকম বিকৃত তথ্য পাচার হচ্ছে তাকেই প্লাটফর্ম বানিয়ে।

এর একটা কারণ হতে পারে সাধারণের ইংরেজী পত্রিকা পাঠে অনভ্যস্ততা। এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে প্রোপাগান্ডা প্রচারকারী বরাহের দল।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নাশতারান এর ছবি

বাংলা মাধ্যমের ছেলেমেয়ে মধ্যেও পাকিপ্রেম কম দেখি নি। আমি বাংপাকি পরিবারকে চিনি যেখানে মেয়েটি ইনজামামের বিয়ের খবর শুনে নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে গড়াগড়ি করে কাঁদে, ঘরে জিন্নাহর ছবি ঝুলিয়ে রাখে আর ছেলেটি হাতে পাকিস্তান নামের ট্যাটু করায়। এদের বয়কট করা ছাড়া আর কী করা যায়?

এক বুয়েট বালিকাকে ক'দিন আগে খোমাখাতা থেকে ঝরিয়ে দিতে বাধ্য হলাম যখন যে আফ্রিদির জন্মদিনে নিজের প্রোফাইল ছবি হিসেবে আফ্রিদির খোমা ঝুলিয়ে দিলো।

"অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে
তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে"

অন্তত বাংলা মাধ্যমের ছেলেমেয়েরা তো স্কুলে এটা পড়েছে। আদৌ বুঝেছে কী?

ভালবাসা, বন্ধুত্ব সবই এখন বিপণনের হাতিয়ার। লাভ আর ফ্রেন্ডশিপ নিয়ে টিনেজারদের যে দাপাদাপি তার বেশিরভাগই হুজুগবশত। এদেরকে ভালবাসার বুলি গিলিয়ে মানবপ্রেমের নামে পাকিপনা শেখানো খুব সহজ।

এরা না হয় কৌশলের শিকার, আমার সন্দেহ হয় এদের বাবা-মায়েদের বিচারবুদ্ধি নিয়ে।

[অফটপিকঃ ঊ-কারের অতিরিক্ত প্রয়োগ আছে কিছু। বিশেষত "ভুল" বানান ভুল হলে চোখে লাগে।]

...

Bangladesh-120-animated-flag-gifs

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অয়ন এর ছবি

ধন্যবাদ।
ঠিক করে দিলাম।

হাম্মাদ আলি [অতিথি] এর ছবি

আমি একসময় রাইজিং স্টারে কাজ করতাম, সেই সুত্রে আদনান ফকিরকে চিনি। যতদূর জানি, ছেলেটার মাঝে কোনপ্রকার পাকিপ্রেম নেই। Finding Bangladesh নামে বাংলাদেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান নিয়ে একটা ডকুমেন্টারি বানানোতে ওর অনেক অবদান আছে। লেখাটা পড়ে যদিও মনে হতে পারে অন্যরকম, তবে কিনা, ডেইলি স্টারে তো চাকরি করতাম এককালে। অনেকসময়ই আমরা যা লিখতে চাইতাম তা লিখতে পারতাম না, "দেশের শান্তি ক্ষুন্ন" হবে বলে। আপনারা মনে করছেন আদনান উপরমহলের চোখ এড়িয়ে এমন একটা লেখা দিয়েছে, অথচ আসলে হয়তো ওর অরিজিনাল লেখাটা উপরমহলের আদেশে এই রূপ নিয়েছে।

সাফি এর ছবি

মহা বিপদতো! একটা 'না' শব্দইতো পুরো বাক্যের অর্থ পরিবর্তন করার জন্য যথেষ্ঠ। তারা অবশ্য খতিবের কাছে যেয়ে তওবা করে আসছে একবার, সুতরাং দেশের শান্তি আর নিজের শান্তির খাতিরে এরা অনেক কিছুই করতে পারে

বর্ষা এর ছবি

চলুক

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

প্রবাসিনী এর ছবি

খুব ভাল লেখা।

এখন অনেক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে কিন্তু বাংলাদেশ স্টাডিস বলে একটা বিষয় পড়ায়। সিলেবাস পাবেন এই খানেঃ www.cie.org.uk/docs/dynamic/30829.pdf

কি মনে হয় দেখে আপনাদের?
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

হিমু এর ছবি

পরিস্থিতি আসলেই ভালো নয়। বিশেষ করে ফররুখ আহমদকে যখন এক্সপোনেন্ট ধরা হয়।

কেউ একজন কি এই সিলেবাসটার ওপর আরেকটু বিশদ আলোচনা করতে পারবেন? গৌতমদার কাছ থেকে একটা বিশেষজ্ঞ-মত পাবো বলে আশা করছি।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

দ্রোহী এর ছবি

এই বাক্যটা মনে রাখতে হবে।

আসুন আমরা অতীত ভুলে বুকে বুক মিলিয়ে কাজ করি।

আবির আনোয়ার এর ছবি

দোস্ত লেখা ভাল হইছে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

শেয়ার দিলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মণিকা রশিদ এর ছবি

লেখাটা আমিও শেয়ারে দিচ্ছি।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

অতিথি লেখক এর ছবি

Writing about our liberation war is often a hard undertaking; primarily because of the emotions that get attached but also because I do not want to promote hatred towards anyone because of past events

emotional হলে তো অবশ্যই ঘৃণা প্রকাশ পাবে।বুঝলাম না উনার emotion কোন ধরণে্র।তাহলে তো এটা self hypocrisy হয়

ঘুম পরী

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

চলুক
লেখাটি শেয়ার করলাম।

----------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খুব প্রয়োজনীয় লেখা। চলুক
পাকিবিরোধী সচেতনতা বাড়ুক সবার মধ্যে।

বোহেমিয়ান এর ছবি

মন খারাপ
যাচচছি কোথায়? মন খারাপ

গুরুত্বপূর্ণ লেখা
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

বাউলিয়ানা এর ছবি

"হীরক রাজার দেশে" যেমন একটা মেশিনে ঢুকিয়ে মানুষের মনস্তাত্তিক ধ্যান ধারনা পরিবর্তন করা যেত, এই পাকমনগুলারেও সেরকম একটা মেশিনে ঢুকানো অতি জরুরী হয়ে পড়েছে।

দুর্দান্ত এর ছবি

'সমাজের মুলধারা থেকে বেশ দূরে থাকলেও ক্ষমতার কেন্দ্রবলয়ের অনেক কাছের' অথবা রাইজিং স্টারের যে লেখক-পাঠক কিশোর-কিশোরীরা, যাদের নিয়ে এই লেখাটি তারা একটি কলুষিত এবং ভুল মতবাদের মধ্যে বেড়ে উঠছে। এদের অনেকেই হয়তো শেষমেষ আর বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক রাখবে না, সেক্ষেত্রে নিজে থেকেই আপদ বিদায় হয়। কিন্তু যারা রয়ে যাবে, বা বিদেশ থেকে যোগাযোগ রাখবে, তাদের ক্ষমতা কিন্তু উত্তরোত্তর বাড়বে। সরাসরি রাজনীতিতে না দেখা গেলেও এদের অনেককেই শিল্পপতি বা জ্ঞানপতি আকারে ক্ষমতার কলকাঠি নাড়াচাড়া করতে দেখা যাবে।

হাসিনা যদি বিচার নাও করে, ২০-৩০ বছর পরে ৭১ ঘাতক-দালালেরা প্রাকৃতিক নিয়মেই মরে যাবে। কিন্তু এই নয়া-বরাহ গোষ্ঠিটির মৃত্যু কিন্তু সহসা হবে না। দেশের একটি অংশ যেভাবে ফুলে উঠছে, তাতে আজকের এক রাইজিং স্টার থেকে আগামিতে রাইজিং সান (আলশামস!) রাইজিং মুন, করে করে একদিন প্রকাশ্যে রাইজিং চাঁনতারাও চখে পড়বে।
আমার সন্তান বা তাদের সন্তানদের এই রাইজিং চাঁনতারার কাছে কোনঠাসা হতে দেখতে চাই না।

তমোকাল এর ছবি

ভিকারুননিসা ডিবেটিং ক্লাব এর একটা বার্ষিকী আছে 'সূনৃত', সেটাতে এবার নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. সাখাোয়াত হোসেন একটা সাক্ষাতকারে মুক্তিযুদ্ধ ো যুদ্ধাপরাধী প্রসঙ্গ নিয়ে বলেছেন, “….we are an emotional nation. We must read history not to repeat, but if you start living it you cannot get out of it. Those who don’t take lesson from history tend to repeat it over and over again. Why go back to the past when future is right ahead of you? This generation is already post ’71. ’71 and now are not the same things…” যদিো তিনি পরে বারবার বলেছেন যে তার মন্তব্য কোনভাবেই মুক্তিযুদ্ধবিেরাধী নয় এবং কেউ যদি মুক্তিযুেদ্ধর সঠিক ইতিহাস না জানে সেটা তার অজ্ঞতা ইত্যাদি ইত্যাদি (সাক্ষাতকারটা আমি নিজে নিয়েছিলাম তাই বলতে পারছি)।

তো এ ব্যাপারে গালি যদি দিতেই হয় খালি নতুন প্রজন্মকে আর ইংলিশ মিডিয়ামকে দিবেন কেন? আমরা তো আর মায়ের পেট থেকে ইতিহাস শিখে আসিনি। যারা ভুল জিনিস শেখাচ্ছে, মুরুব্বিয়ানার দোহাই দিয়ে মূল্যবোধ বদলাতে বলছে, গালিটা পারলে তাদের দিয়েন। আর যদি চান আপনার মন্তব্য পত্রিকাোলাদের কানে যাক, এখানে মন্তব্য করেন: http://www.facebook.com/home.php?#!/pages/The-Rising-Stars/104005024164?ref=ts বহুত দরকারি মানুষের কান গরম করতে পারবেন।
শুভেচ্ছা রইল।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।