জাহাজী জীবনের গল্প (এক), গ্রীসের এ্যকরোপোলিস

তীরন্দাজ এর ছবি
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: সোম, ২৯/০৯/২০০৮ - ৩:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেকটা পথ পেরিয়ে গ্রীসে এলাম। একমাস কাটলো কাবুলে, বারী ভাইএর আদরে। বারী ভাই এর কথা লিখতে গেলে আলাদা কাহিনী হয়ে যায়। তা লিখতে গেলে আলাদা কলম লাগবে হয়তো, যাতে কালির বদলে ভালোবাসার ঝর্ণা বইবে। একমাস কাটলো তেহরানে, কখনো অতি সস্তা হোটেলে ছারপোকার কামড়ে, কখনো কারো বাড়ীতে আর একরাত পার্কের বেঞ্চে। তারপর কারো দেড়মাস ইস্তান্বুলে, এক ফারকোট তৈরীর কারখানায় মজুর হিসেবে। বেশ কঠিন ছিল সময় তখন। তাই তুরস্কে বসে ডায়েরীতে লিখেছিলাম, ভাল হতো, যদি একেকটা দিন একেকটা ঘন্টার সমান হতো, তাহলে দ্রুত কেটে যেত এই কঠিন সময়টি। আরো ভালো হতো, যদি একেকটি মাইল একেকটি মিটারের সমান হতো, তাহলে এক দৌড়ে বাবা-মা, ভাই বোনকে দেখে আসতে পারতাম। তবে সবচেয়ে ভালো হতো, যদি একেকটা লিরা একেকটা ডলারের সমান হতো। তাহলে সব সমস্যাই মিটে যেতো একেবারে।

গ্রীসের সমুদ্র বন্দর পেরিযাস এ আমার আর আমার বন্ধুর জন্যে অপেক্ষা করছিল বাহার। বাহারকে আগে কখনও দেখিনি। কিন্তু ইস্তাম্বুল থেকে গ্রীসে পাড়ি দিয়ে জাহাজী জীবনের সন্ধানে আছি, এই খবরটি আমদেরই আরেক জাহাজী বন্ধু জানিয়েছিল ওকে। আমরা কখন আসছি সেটাও জানিয়েছিল। আমরাও আমাদের ইস্তান্বুলের কামলার জীবনের অবসান টেনে বাসে গ্রীস রওয়ানা হলাম। পেরিয়াসের ইয়থ হোস্টেলে বাহারের সাথে দেখা হলো আমাদের। প্রথমে আমাদেরকে ও শ্রীলংকার বলে পরিচয় দিয়ে ইংরেজীতে কথা বলা শুরু করলো। আমরা ঘাবড়ে দিয়ে অনেক হাসলো বাহার। সে হাসির নির্মলতা দেখেই আমরা যা বোঝার, বুঝে নিলাম।

বাহারের সাথে পরদিন সকাল সকালই পৌঁছে গেলাম জাহাজ কোম্পানীর অফিসে। অফিসের কর্মকর্তার সাথে সামান্য কিছু আলাপের পরই আমাদেরকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্যে নিয়ে যাওয়া হলো। সেটি পাশ করে চুক্তিপত্রে সই করলাম। অতি সামান্য বেতন, আমরা তাতেই সন্তুষ্ট। পরবর্তী ছাত্র জীবনের শুরুতে এই সামান্য বেতনই আমাদের কাছে বিরাট অঙ্ক হয়ে উঠলো। আমাদের জাহাজ গ্রীসেরই আরেক সমুদ্র বন্দর 'ভলসে' নোঙ্গরে ছিল। হাতে দুজনের জন্যে দুটো প্লেন টিকেট ধরিয়ে দেয়া হলো। আমার এক বছরের খালাসী জীবনের শুরু এখানেই। পকেটে টাকা থাকলে আরো ভাল জাহাজে ভাল বেতনে চাকুরী পাওয়া যেত, কিন্তু আমাদের পকেট তো ধু ধু মরুভুমি!

চুক্তিপত্রে সই করেই পেরিয়াস থেকে একটু দুরে বাসে গ্রীসের রাজধানী এথেন্সে রওয়ানা হয়ে গেলাম। এ্যকরোপোলিস এর কথা অনেক শুনেছি। স্বচক্ষে দেখার লোভ সামলাতে পারলাম না। বাহারও আমাদের সাথে চলল।

এ্যকরোপোলিসে এসে আমারা ভুলে গেলাম যে আমরা ভবিষ্যত খালাসী জীবন কাল সকাল থেকেই শুরু করতে যাচ্ছি। এর শ্বেত মর্মরের স্তম্ভের গোড়ায় বসে আমরা প্রাচীন গ্রীক সভ্যতার দ্বারপ্রান্তে পৌছে গেলাম। নিজের কাছে নিজেকেই অপরিচিত মনে হলো। আমাদের গত একটি বছরের উত্তাল সময়, দিল্লী, কাবুল, তেহরান ও ইস্তাম্বুলের ছন্নছাড়া দিনগুলো একমুহুর্তেই একরোপোলিসের মোহিনী মুর্ছণায় মিলিয়ে গেল শুন্যে।

প্রাচীন সভ্যতায় শহরের কেন্দ্রস্থল সবচে' উচু এলাকায় গড়া হতো। পৃখিবীর অন্যতম প্রাচীর নগরী এথেন্সের শুরু খ্রীষ্টজন্মেরও অনেক আগে এখানেই। প্রধান গীর্জাটি পারসীরা খ্রীষ্টপুর্ব ৪৮০ সালে ধ্বংস করে। গ্রীক রাজা পেরিকেস খ্রীষ্টপুর্ব ৪৮৮ সালে স্থপতিবিদ পিডিয়াস, ইকনস ও কালিত্রাটেস কে প্রায় পুরো এলাকাটি নতুন করে তৈরীর নির্দেশ দেন। নতুন একরোপোলিস তার মোহীনি রূপ নিয়ে প্রাচীর গ্রীসের শৌযর্, শিল্পের সাক্ষী হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্থান নেয়।

বাহারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে একঘন্টা ওড়ার পর পরদিন সকাল এগারোটায় পৌছলাম ভলসে। জাহাজ কোম্পানীর একজন অপেক্ষা করছিলেন বিমান বন্দরে। আমাদেরকে পৌছে দিলেন জাহাজে। আমাদের জাহাজের নাম বাক্কিস। সমুদ্র পাড়ির জন্যে একেবারেই ছোট্ট জাহাজ, ২৬ বছরের পুরোনো, বহনক্ষমতা ৩৫০০ টন। আমাকে ডেকে খালাসীর ও আমার বন্ধুকে মেসবয়ের কাজ দেয়া হলো। ঘুমানের জন্যে বরাদ্ধ হলো জাহাজের পেছনের অংশে দুটো কেবিন।

সেদিন বিকেলেই জাহাজ ছাড়ল সাইপ্রাসের রাজধানী লারনাকার উদ্দেশ্যে। আমাদের প্রথম সমুদ্রযাত্রা। ডেকে কাজ করতে করতে দেখলাম একঝাক ডলফিন সাঁতার কাটছে জাহাজের গতির সাথে তাল মিলিয়ে। একবার ডুবছে জলের নিচে, পরমুহুর্তেই লাফিয়ে উঠছে শুন্যে। একবার জাহাজের ডানে, কিছুক্ষণ পরই আবার বামে। পাশাপশি অনেক ছোট ছোট উড়ন্ত মাছও দেখতে পেলাম। সমুদ্রের বুকে যেন চুমু খাচ্ছে বিকেলের অস্তগামী সুর্য। পৃথিবীর প্রান্তের কাছাকাছি এরচে' সুন্দর সময় আরো কিছু আছে বলে মনে হলোনা আমার। নিজেকে পরিপুর্ন, সার্থক ও খুব বেশী ভাগ্যবান মনে হলো। এ সুখের অনুভুতি আমার বর্ণনাক্ষমতার ভেতর পড়ে বলে মনে হয়না।

রাত দশটার দিকে সে সুখানুভুতি আর রইল না। আমার ডিউটি ছিল ব্রিজে ক্যাপ্টেনের সাথে। অনেক দুরে একটা বাতিঘর দেখিয়ে জাহাজের গতিপথ কিভাবে সেদিকে রাখা যায়, তা বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন। এরই মাঝে শুরু হলো একটু বৃষ্টি আর সামান্য দমকা বাতাস। জাহাজ দুলতে শুরু করলো । পেটের নাড়ীভুড়ি হঠাৎই যেন উল্টে উঠলো। রাতের সমস্ত খাবার একযোগে বেরিয়ে আসতে চাইল। আমার চোখের ঘোলাটে দৃষ্টি দেখে ক্যাপ্টেন কেবিনে যাবার অনুমতি দিলেন। আমি প্রচন্ড কষ্টে আমার কেবিনের বেসিনে বমি করে হালকা হলাম।
চলবে..........

(এর আগের কাহিনী অনেক বিস্তারিত। একেবারে গোড়া থেকে শুরু করা সম্ভব হলো না তাই। জাহাজের জীবন থেকেই শুরু করলাম। ইচ্ছে আছে, সময় পেলে কখনো পুরোটাই শেষ করে উঠবো। )


মন্তব্য

পলাশ দত্ত এর ছবি

অনুগ্রহ করে কাবুলের কথা লিখবেন?

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

তীরন্দাজ এর ছবি

দু'একদিনের মাঝেই লিখবো কাবুলের কথা। লেখাটি তৈরীই আছে। ভাল থাকবেন।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এই জীবনগুলো আমার জানা অনেকেই পেয়েছেন কিন্তু আমার জানামতে একমাত্র আপনাকেই পেলাম যার লেখার ক্ষমতা আছে

হোক এলোমেলো
পুরোটাই লেখেন

তীরন্দাজ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ মাহবুব লীলেন। চালিয়ে যাবো অবশ্যই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

পুতুল এর ছবি

হোকনা বিস্তারিত, আমাদের শুনতে ইচ্ছে করছে। আপনি লিখতে থাকুন।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

তীরন্দাজ এর ছবি

অবশ্যই শোনাবো পুতুল যতোটা পারি! ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

রণদীপম বসু এর ছবি

দারুণ তো ! খুব আগ্রহ বোধ করছি। সিরিজটা চলতে থাকুক।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

তীরন্দাজ এর ছবি

ধন্যবাদ! চলবে...!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

খুবই আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। এধরনের লেখা পড়তে ভাল লাগে। আপনি কাবুলের কথাও কিছু লিখে ফেলবেন। আপনার যে অভিজ্ঞতা হচ্ছে আর যত সুন্দর আপনার রচনাশৈলী, তাতে সৈয়দ মুজতবা হতে আর আপনার বাকি নেই।

তীরন্দাজ এর ছবি

ওরেব্বাস! কার সাথে কার তুলনা। ভয়ই পেলাম বেশী। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

রূপক কর্মকার এর ছবি

মাহবুব লীলেন ভাইয়ের সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত। এ অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে; কিন্তু দেখবার চোখ নেই সবার। থাকলেও লেখার হাত নেই। গ্রিক বীর ওডিসিয়াসের কথা মনে করিয়ে দেয় তীরন্দাজ দার লেখাটি। লেখা তো নয়, যেন চলচ্চিত্র। লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আমি এই ব্লগে ফিরে ফিরে চোখ রাখব। আসতেই হবে আমাকে।
.................................................................................
"নোবেল-বুকার নিয়ে এত কেন ফুর্তি করে বোকা পাঠকেরা?/মিডিয়ার উলুবনে সবই যেনতেনপ্রকারেণ।/প্রাচ্যের পদক হাতে স্নানে যায় বনলতা সেন।" -আবু হাসান শাহরিয়ার

____________________________
বন্ধুত্ব মানেই তুমি বিচ্ছেদের চুক্তি মেনে নিলে
[আবু হাসান শাহরিয়ার]

তীরন্দাজ এর ছবি

সুন্দর প্রশংসার ভাষা আপনার। পড়তেও ভালো লাগে। তবে আমি তার এতোটা যোগ্য কি, তা নিয়ে সংশয় প্রবল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনিও নিশ্চয়ই খুব ভালো লিখেন।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

আরো পড়তে ইচ্ছা করছে...
পুরোটা একবারে দেয়া যায় না???


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

তীরন্দাজ এর ছবি

পুরোটা একবারে না দিলেও পরের পর্বগুলো আরেকটু বিস্তারিত করার চেষ্টা করবো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

একেবারে মনের কথা।

জানি জাহাজে মানুষের হয় বিচিত্র অভিজ্ঞতা,
তাই আরেকটু অকৃপণ হন না দাদা।

তীরন্দাজ এর ছবি

আমি সত্যিকারের কৃপণ নই রে ভাই। আমার অতি সীমিত সময় আর ক্ষমতাই আমাকে কৃপন করেছে। ভাল থাকবেন আপনি।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

তীরন্দাজ এর ছবি

আমি সত্যিকারের কৃপণ নই রে ভাই। আমার অতি সীমিত ক্ষমতাই আমাকে কৃপন করেছে। ভাল থাকবেন অরূপ।

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

তানবীরা এর ছবি

হুমম জানতে চাই। গ্রীসের সমুদ্র আসলেই অপূর্ব।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

তীরন্দাজ এর ছবি

যতোটা জানি, সময় সুযোগ করে অবশ্যই জানাবো। ধন্যবাদ তানবীরা।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সবজান্তা এর ছবি

হায়, সেই শৈশবেই মবিডিক পড়ার কারণেই কি না জানি না, নাবিকের জীবনের প্রতি একটা অদ্ভুত আকর্ষণ অনুভব করি, অথচ সাতারই পারি না এখনো !!

আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব খুশি হবো যদি আপনি একদম দেশ ছাড়া থেকে শুরু করে সবটুকু লিখেন। দারুন একটা লেখা হবে।

কেন জানি না, আপনি এত দেশ ঘুরেছেন শুনে, আপনাকে হঠাৎ রাহুল সাংকৃত্যায়নের মত মনে হচ্ছে !


অলমিতি বিস্তারেণ

তীরন্দাজ এর ছবি

যখন ধরেই ফেলেছি, তাই জাহাজের লেখাগুলো শেষ করে প্রথম থেকে শুরু করবো।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম...... চমতকার এক অভিজ্ঞতার গল্পের পূর্বাভাস ।
নিবিড়

মুজিব মেহদী এর ছবি

যে স্বপ্নগুলো আমার পূরণ হয় নি, আর কখনো হবেও না, তারই একটি হলো সামুদ্রিক জাহাজে কাজ করা। ভাবতেও রোমাঞ্চ হয়। আপনার এই সিরিজ, দুধের বদলে আমাকে ঘোলের স্বাদটাও অন্তত দেবে।
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

তীরন্দাজ এর ছবি

কেমন আছেন মুজিব ভাই? ফেব্রুয়ারীতে ঢাকায় এলে দেখা করতে পারলে ভালো লাগবে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

হাসান মোরশেদ এর ছবি

এই ধারাবাহিকতাতেই আফ্রিকার গল্প লিখেছিলেন অনেক দিন আগে ,তাইনা?
ভালো হলো- এবার প্রথম থেকে পড়ার সুযোগ পেলাম ।
-------------------------------------
সমুহ শোকেরা এলো ঝাঁক বেঁধে;
বিদায় জুবায়ের ভাই...

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

তীরন্দাজ এর ছবি

আগের কাহিনীই। একটু ঝাড়পোছ করে নিচ্ছি আরকি! ভালো আছেন?
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চমৎকার লাগল তীরুদা। চলুক। আর একেবারে গোড়া থেকেই লেখেন।

ছোটবেলায় (এখনো কিছুটা) একটা ফ্যান্টাসী ছিল যে জাহাজের নাবিক হব, ঢেউয়ের মাথায় চড়ে সমুদ্র জয় করব! এছাড়াও বিশ্বভ্রমণেরও বড়ই শখ আমার। সব ইচ্ছেই কিছুটা পূর্ণতা পেল আপনার লেখায়।

রানা মেহের এর ছবি

আপনার যেভাবে ইচ্ছে
মাঝখান থেকে প্রথম থেকে
গ্রীস থেকে কাবুল থেকে
যেভাবে ভালো লাগে
লিখুন।
সিরিজটা থামাবেন না দয়া করে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- অ্যাক্রোপোলিসে কয়েকবার এটেম্পট নিয়েও শেষে সফল হতে পারিনি। শোচনাটা রয়েই গেলো শেষ পর্যন্ত। তবে জিউসের মন্দিরের ভাঙা ভাঙা থামে হাতের তালু বুলিয়ে চোখ বুজে চেষ্টা করেছি সেই সময়টা কল্পনা করতে যখন জিউস এই জায়গায় বসে কঠিন সব হুঙ্কার দিতেন।

আপনার লেখাটা পড়ে মন হচ্ছে স্বল্পকালীন এথেন্স ভ্রমনের কাহিনীটা আগাগোড়া লিখে ফেলা যায়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লিখে ফেলেন। হাসি

রূপক কর্মকার এর ছবি

তীরন্দাজ দাকে বলছি। প্রচুর পড়ি। আর সুযোগ পেলেই ঘুরি। দেশের মধ্যেই বেশি ঘুরি। রবীন্দ্রনাথের ‌জাপান যাত্রী'তে আছে : "সমুদ্রের উপর দিয়ে আমাদের দিনগুলো ভেসে চলেছে পালের নৌকার মতো। সে-নৌকা কোনো ঘাটে যাবার নৌকা নয়, তাতে কোনো বোঝাই নেই। কেবলমাত্র ঢেউয়ের সঙ্গে, বাতাসের সঙ্গে, আকাশের সঙ্গে কোলাকুলি করতে তারা বেরিয়েছে। মানুষের লোকালয় মানুষের বিশ্বের প্রতিদ্বন্দ্বী। সেই লোকালয়ের দাবি মিটিয়ে সময় পাওয়া যায় না, বিশ্বের নিমন্ত্রণ আর রাখতেই পারি নে।" আপনি পারছেন । আপনার চোখ দিয়ে আমি দেখছি। আমরা দেখছি।

.................................................................................
"নোবেল-বুকার নিয়ে এত কেন ফুর্তি করে বোকা পাঠকেরা?/মিডিয়ার উলুবনে সবই যেনতেনপ্রকারেণ।/প্রাচ্যের পদক হাতে স্নানে যায় বনলতা সেন।" -আবু হাসান শাহরিয়ার

____________________________
বন্ধুত্ব মানেই তুমি বিচ্ছেদের চুক্তি মেনে নিলে
[আবু হাসান শাহরিয়ার]

ধূসর মানব [অতিথি] এর ছবি

তীরন্দাজ়, আপনাকে তো সবদিক থেকেই ভীষন সাহসি মানুষ মনে হচ্ছে।

আপনাদের কথা পড়লে সাহসি হতে ইচ্ছে করে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনার জন্মদিনের পোস্টে আপনার এই জীবনের একটু খোঁজ পেয়েছিলাম। তখনই জোরদার অনুরোধ করেছিলাম বিস্তারিত লেখার।
তারপর এতদিন শুধু অপেক্ষা।
আজ পড়ে ভালো লাগলো। অপেক্ষা আর প্রতীক্ষা বাড়লো।

আপনার জীবনটাকে ঈর্ষা হয়।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অমিত আহমেদ এর ছবি

তীরুদা ভ্রমনের নেশা আমার অপ্রতিরোধ্য। মাঝে মাঝে কি করি শোনেন, নানান সাইট-ফোরামে ঘুরে প্ল্যান করি। টাকা নেই বলে শেষ পর্যন্ত হয়তো আর যাওয়া হয় না। তবে জাহাজে আমি কাজ করবোই করবো এটা আপনাকে জানিয়ে রাখলাম। আগেই একটা আগ্রহ ছিলো, আপনার লেখা পড়ে আবার চাগিয়ে উঠেছে।

আপনার লেখা দুর্দান্ত হচ্ছে। সুন্দর লেখনী। আরেকটু বিস্তারিত লিখলে আরও ভালো লাগতো। আপনার এই সিরিজটি সম্ভবত একটি এপিক হতে যাচ্ছে। সব লেখা শেষ হলে স্থিরচিত্র আর মানচিত্র দিয়ে একটি বই করলে কী যে চমৎকার একটি ব্যাপার হবে!

পরের পর্বে এক্ষুণি যাচ্ছি।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

আবু রেজা এর ছবি

অসাধারণ!!!
_____________________________
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

তারেক এর ছবি

বকেয়া পড়াশুনা চলছে... যাচ্ছি দ্বিতীয় পর্বে।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।