ছোটগল্প: টানবাজারের ময়না আর একটি কালো গাড়ী

তীরন্দাজ এর ছবি
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: শনি, ১৯/০৯/২০০৯ - ১১:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছোটমেয়ে মাহরুফা ক’দিন থেকেই একটি ময়না কেনার বায়না ধরেছে। কফিলুদ্দীনের তাতে তেমন আপত্তি নেই। মুশকিল হলো স্ত্রী শরীফাকে নিয়ে। তার আবার কিছুটা শুচিবাইয়ের ধাঁচ আছে। ছোট মেয়েটির জন্মের পর থেকেই শুরু। বলে বাড়ীঘর নোংরা হবে, পালক ছড়াবে ঘরময়- হাজারো টালবাহানা! এসব কথার কোন পাত্তা না দিয়ে কফিলুদ্দীন সকালে বেলা চাকর হারুনকে ময়না কেনার জন্যে তিনশো টাকা দিয়ে রওয়ানা হলেন আড়তে।

যাবার পথে ট্রাফিক জামের মাঝে গাড়ীতে বসে বসে ভাবনার জালে ডুবে গেলেন কফিলুদ্দীন। কি হাল হয়েছে এই দেশটার! বাইরে পা বাড়ালেই নানা সমস্যা আর বিপদ এসে হুমড়ী খেয়ে পড়ে। ধর্ম চুলোয় গেছে তো বহু আগেই। সেই যে পকিস্তান থেকে আলাদা হলো বাঙ্গালী, তারপর থেকেই এই পতনের শুরু। এখন আবার নাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে! ধর্মের জন্যে যারা জান দেয়, বই-কিতাবে তাদেরকে গাজী বলে। এই গাজীদের বিচার করলে রসাতলে যাবে না দেশ! এই দেশে ছিনতাই আর রাহাজানি না থাকলে থাকবে কোথায়! আর মেয়েদের কি দশা! লাজশরমের কোন বালাই নেই, পর্দা নেই, নিজেদের ইজ্জতের দিকে কোন নজর নেই। কোথায় কোন ভালোমানুষের বউ হয়ে সংসারধর্ম পালন করবে, সেটি না করে চাকুরী করে অফিস আদালতে। বাইরে যে নানা বিপদ আপদ লুকিয়ে থেকে, সেদিকে নজর নেই মেয়েদের, খালি টাকা রোজগারের ধান্ধা। সেজন্যেই নিজের মেয়ের জন্যে ময়না কিনে দিতে কোন আপত্তি করেরনি তিনি। নিদেনপক্ষে পাখির মায়ায় ঘরে তো থাকবে! ভাবতে ভাবতে আড়তে পৌছাতে সাড়ে দশটার মতো হয়ে গেলো। দোকানের সামনে চারজন গোমড়ামুখে লোককে একটি কালো গাড়ীতে বসে থাকতে দেখেও তোমন আমল দিলেন না। লোকগুলো তার দিকে একবার শীতল ভাবলেশহীন চোখে।

*****
সকাল সকাল বাজার করেই রিকশা করে ছুটলো শাখারীবাজারের দিকে হারুন। ওখানেই নাকি পাখী কিনতে পাওয়া যায়। রিকশাটি যখন কফিলুদ্দীন সাহেবের আড়তের সামনে দিয়ে পার হলো, তখনো কালো গাড়ীটিকে দোকানের সামনের রাস্তায় চারজন আরোহীসহ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে একটু চিন্তিত হলো হারুন। একবার ভাবলো রিকশা থামিয়ে মনিবকে বলে আসবে খবরটি। কি ভেবে পরমুহুর্তেই সিদ্ধান্ত পাল্টালো সে।

পাখীর দোকান খুজে বের করতে খু্ব একটা দেরী হলোনা হারুনের। বেশ কয়েকটি পাশাপাশি সাজানো। কিচিরমিচিরের ঠেলায় কান ঝালাপালা! যেসব ময়না কথা বলতে জানে, সেগুলোর দাম বেশ, দুশো টাকার নীচে একটিও নয়। সেসবের একটা কিনলে নিজের ভাগে থাকে না কিছুই। এক দোকানে এসে অবাক হলো হারুন। মাত্র কুড়ি টাকা একটি ময়নার দাম। কথাও নাকি বলতে পারে। দেখতেও বেশ তেলতেলে আর তরতাজাই বলে মনে হচ্ছে। অথচ পাশেই আরো কয়েকটি খাঁচায় প্রায় একই ধরণের ময়নার দাম দু’শো চল্লিশ থেকে তিনশো’র মাঝে। দোকানী এসে দাঁড়ালো হারুনের কাছে।
- আপনের এই ময়নার দাম কুড়ি টেকা?
- হ্যা!
- ময়না কতা কইতে পারে?
- হ্যা! পারে মানি! তুফানের মতো কতা কয়।
- তোতলায় না তো!
- কি যে কন বাই! ময়না পাখীরে তোতলাইতে শোনছেন কুনুদিন?
- অসুখ-বিসুথ নাই তো!
- না বাই, ময়নাডা রুস্তমের মতো পালোয়ান।
- হ! পালোয়ান! তয় একটা কতা জিগাইতাছি। হেইগুলানের দাম তিনশো টেকা, এইডার দাম বিশ টেকা! এইডা কি জিঞ্জিরার ময়না?
- না বাই, এই ময়না জিঞ্জিরার না। তয় ছোড একটা সমস্যা আছে।
- কি সমস্যা, কইবেন না?
- কমু?
বলেই যেন কিছুটা লজ্জা পেলো পাখী ব্যাপারী। সেটি দেখে জানার আগ্রহ আরো বেশী বেড়ে গেলো হারুনের। তাকে দোকানের এককোণে টেনে নিয়ে গেলো দোকানী। এদিক ওদিক তাকিয়ে কানে ফিসফিসিয়ে বললো,
- ময়নাডা বহুত গান্দা কতা কয়। এই জন্যই দাম কমাইয়া দিছি। অনেক বড়মানুষের মাইয়ারা আসে পাখী কিনতে। হের কতা হুনলেই দোকান ছাইড়া বাইর হইয়া যায়।
- খারাপ কতা কয়? ক্যান?
- টানবাজারের বেশ্যাপাড়ায় একডা মাইয়ার কাছে আছিল ময়নাডা। পাড়া ভাইঙ্গা দিছে, মাইয়াডা হেরে আমার কাছে বেইচ্চা দিয়া গেছে।
তেনো টাকায় রফা হলো। খাঁচাসুদ্দো ময়নাটি নিয়ে রিকশায় চড়লো হারুন। মনের ভেতরে একটু খচখঁচ করলেওও নিজের লাভের কথা ভেবে সেটিকে দুর করে দিল সহজেই।

*****
বারান্দার এই অংশটিতে বেশ ছায়া পড়ে বলে দিনের বেলাতেও তেমন গরম হয়না। বিকেলে একটু রোদ পড়লেও তার তেজ তেমন বেশী থাকেনা। একটি ইজিচেয়ারে বসে বিকেলের এই আরামের সময়টি প্রতিদিনই উপভোগ করেন কফিলুদ্দীন। কেউ দেখা করতে এলে আরো কয়েকটি চেয়ার পাতা আছে, সেখানেই বসে। মাঝে মাঝে স্ত্রী শরীফা আসেন সংসারের বিভিন্ন কথাবার্তা নিয়ে। বাইরের লোকদের নজর পড়ে বলে পাশের ঘরের পর্দার আড়াল থেকেই যা বলার বলে যান। দুই মেয়ে সিতারা আর মাহরুফা স্কুল ছাত্রী। বড়জন সামনেই মেট্রিক পরীক্ষা দেবে। স্কুল শেষে কোচিংএ যায়। বাবার সাথে এখানে বসেই কথাবার্তা যা বলার বলে। মাগরেবের নামাজ শেষেই রাতের খাবার খেয়ে নেন কফিলুদ্দীন। তারপর বারান্দায় বসে পান খেয়ে সামান্য বিশ্রাম নিয়েই বেরিয়ে পড়েন বাইরে। কখনো সময় কাটে মসজিদে, কখনো দ্বীনের আলাপে, কখনোবা জামাতের কাজে।

বিকেলের সেখানেই এসে দাঁড়ালেন শরীফা বেগম। বেশ আবামদায়ক বাতাস বইছে। ফ্যানের বাতাস থেকে অনেক অনেক আরামের সে বাতাস। স্বামী এখনো ফেরেননি। এলেই পাঠিয়ে দেবেন পর্দার আড়ালে! অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি! কিন্তু না মেনে উপায় কি? মেয়েরাও বড় হয়েছে।

আচমকা এক টুকবো কাপড়ে ঢাকা খাঁচাটির দিকে চোখ গেলো তাঁর। বুঝতে পারলেন, তার কথা এবারও রাখা হয়নি। মনোকষ্ট হলেও সেটাও এতোদিনে অভ্যাসেই পরিণত হয়েছে। তাই নিজের বিষন্নতা চেপে রেখে একটু কৌতুহলী হয়েই কাপড়টি সরিয়ে তাকালেন খাঁচার ভেতরে। বেশ সুন্দর আর চকচকে শরীরের একটি ময়না। একটু ভালোও লেগে গেলো যেনো। পাখীটিও তাঁর দিকে তাকালো ঘাড় কাত করে। মনে হলো যেনো চিনে নিতে চাইছে কাউকে। তারপরই একটু পাখা ঝাপটে বলে উঠলো,
- নতুন বেশ্যা, নতুন বেশ্যা!
চমকে উঠলেন শরীফা বেগম। এ কী বলে ময়না! লজ্জায় লাল হয়ে গেলো চেহারা। কী বদ এক ময়নাকে কিনে এনেছে হারুন। এক্ষুনি খুঁজে বের করতে হবে হতভাগাকে!
দুই মেয়ে এসে দাঁড়ালো বারান্দায় মায়ের পাশে। একটু আগেই স্কুল থেকে ফিরেছে। হিজাবও ছাড়েনি। খাঁচাটি দেখেই আনন্দে এগিয়ে গেলো ছোটমেয়ে মাহরুফা। চকচক করে উঠলো কালোকালো চোখদুটো। আবার পাখা ঝাপটালো পাখিটি। সেই সাথে মাথা নাগিয়ে বলে উঠলো,
- আরো দুইটা নতুন বেশ্যা, আরো দুইটা নতুন বেশ্যা!
মায়ের সামনে দুই মেয়েরও চেহারাও লাল হয়ে উঠলো লজ্জায় আর রাগে। খাঁচাটি কাপড়ে ঢেকে তিনজন মিলে হন্যে হয়ে খুঁজতে লাগলো হারুনকে। হারুন ততক্ষণে ঘটনা টের পেয়ে বাড়ী ছেড়ে পালিয়েছে।

*****
আড়ত থেকে বেরুনোর পর পুরো পথে কালো গাড়িটি যে পেছন পেছন এলো, সেটা টের পেলেন না কফিলুদ্দীন সাহেব। বাসার পার্কিং লটের সামনে যখন তার গাড়ীটি থামলো, তখন রোদ তেজ অনেকটা কম। একটু ধীরেসুস্থেই নামলেন গাড়ী থেকে। হড়হড় করে নামার বয়েস তো পেরিয়েছে আগেই। এখন একটু সাবধান থাকাই ভালো। কখন, কোথায় কিভাবে লেগে যায়, কে জানে! তারপর ধীরে ধীরে উঠে গেলেন সিড়ি বেয়ে। কালো গাড়ীটি একটু দূরত্ব রেখে দাড়িয়ে রইলো বাড়ীর সামনে, রাস্তার অন্য পাশটিতে।
শোবার ঘরে সারাদিনের পোষাক ছেড়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ালেন কফিলুদ্দীন।ইজি চেয়ারটায় বসলেন আরামে। তারপর চোখ পড়লো খাঁচাটির দিকে। কাপড়টি সরিয়ে তাকালেন ভেতরে। তাকে দেখেই বলে উঠলো পাখীটি,
- কফিলুদ্দীন, কহন আইলা?


মন্তব্য

চশমাওয়ালি এর ছবি

কঠিন ধরা খেল তো লোকটা! দেঁতো হাসি

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

পুরানো জোক্সের এমন রিমিক্সটা পুরাই (‍Y)

কিন্তু কালো গাড়ি'র ব্যাপারটা তো পরিষ্কার হলোনা।

তীরন্দাজ এর ছবি

পাঠকদের একটু এদিক সেদিক না ঘুরালে চলবে কি করে? সেজন্যেই কালো গাড়ি। আর কিছু নয়।

আমার এক জার্মান বন্ধু চুটকি হিসেবে বলেছিল অনেক আগে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

রণদীপম বসু এর ছবি

দুর্দান্ত তীরু ভাই ! এইটা কী দিলেন ! শেষ সংলাপটাই যে গল্প, ওইটা পড়ার আগেও একটুও বুঝি নাই !

দারুণ প্লট।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

দারুন

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

চমৎকার একটা টুইস্ট !!!
ভালো লেগেছে। চলুক
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লাগল। ধারুন এক ফিনিশিং। শিখলাম অনেক কিছু।

দলছুট।
=============
বন্ধু হব যদি হাত বাড়াও।

ঝিনুক [অতিথি] এর ছবি

শেষ লাইনে একি টুইস্ট!!
পুরো গল্পটা এক লাইনে!! কালো গাড়ি নিয়ে কনফিউসড ছিলাম জদিও।। দারুন হাসি

দ্রোহী এর ছবি

দুষ্টু কৌতুক হিসাবে মূল গল্পটা জানতাম। তীরুদা গল্পটাকে নতুন রুপ দিলেন। চমৎকার লাগলো।

তীরন্দাজ এর ছবি

ধন্যবাদ দ্রোহী!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সাইফ তাহসিন এর ছবি

গুরু গুরু

এমন গল্প পড়ে দিন শুরু করতে পারা আমার জন্যে সৌভাগ্যের প্রতীক দেঁতো হাসি. শেষে এসে এতই মজা লাগল যে হো হো করে হেসে উঠলাম, আর কালো গাড়িটাও আপনার উদ্দেশ্য সফল করেছে, মাথার মধ্যে ২০০ মাইল বেগে ৩০০ রকমের ধারনা দৌড়াচ্ছে

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

তীরন্দাজ এর ছবি

এখন থেমেছে তো? নইলে সমূহ বিপদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

জি.এম.তানিম এর ছবি

কালো গাড়িতে করে অনেকটা ঘুরে এলাম, তবে শেষ পর্যন্ত গন্তব্য ঠিকাছে... দেঁতো হাসি
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

হাহাহাহাহা! চ্রম!

---------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

মূলত পাঠক এর ছবি

মজার!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আগেই জোকটা শুনেছিলাম। তবে আপনার লেখা পড়েও মজা পেলাম খুব, কালো গাড়ির অংশটাও ইন্টারেস্টিং লাগল। হাসি

তীরন্দাজ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার কিন্তু কালো গাড়ির অংশটা বাড়তিই লাগলো... মনে হইলো লেখক পাঠকরে ঠকাইলো...
আমার মনে হয় ঐটা ছাড়াই গল্পটা আরো সুন্দর হইতো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তীরন্দাজ এর ছবি

আসলেই ঠকাইছি। আপনার বক্তব্য নিয়ে অবশ্যই গুরুত্বের সাথে হবে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

জাহিদ হোসেন এর ছবি

গল্পটা খুবই ভালো লাগলো। কালো গাড়ির অংশটুকুও। দুর্দান্ত ট্যুইস্ট!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।