সাত্যকি(৪)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৫/২০০৯ - ৭:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

000_0001


এখানে ১ম পর্ব

এখানে ২য় পর্ব

এখানে ৩য় পর্ব

রুবেন মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে আছে, অল্প অল্প গোঙাচ্ছে আস্তে আস্তে৷ একটা তোয়ালের উপরে মুখ রেখেছে, তোয়ালেটায় রক্ত৷ মাঝে মাঝে কাশছে, মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে৷

সত্যক দেখে ঘাবড়ে গেলো, কি হয়েছে ওর? এইতো কিছুক্ষণ আগেও তো পুরো স্বাভাবিক ছিলো, কাজ করছিলো সত্যকের সঙ্গে, বিকেল পাঁচটা বাজলো দেখে দুজনে একসঙ্গে কফি খেতে উঠলো তারা৷ কফি খেয়ে রুবেন সত্যকের কাছে ছুটি চাইলো, বললো,"আমাকে আজকে ছুটি দিন, শুধু আজকে৷ অন্যদিন এত তাড়াতাড়ি ছুটি চাইবো না৷ দয়া করে ছুটি দিন৷" ওর গলার স্বরে খুব অনুনয় ছিলো, কিন্তু মুখ দেখে বোঝা যায় নি অসুস্থবোধ করছে বলে৷ সত্যক তত্ক্ষণাত্ ছুটি দিয়েছিলো, হুয়ান জো সত্যককে কয়েকদিন আগে বলেছে রুবেন কিছু অনুরোধ করলে যেন সত্যক অরাজী না হয়৷ ও মর্মান্তিক প্রয়োজন ছাড়া অনুরোধ করবে না, ও এমনই৷

সত্যকের মনে ছিলো৷ এমনিতে মাসখানেক আছে এখানে, সত্যকের কাছে কাজ করে, কাজ খুব ভালোকরেই করে, সত্যক আর ও মাঝে মাঝে মাঝরাত অবধি কাজ করে, রুবেন কোনোদিন বলে না ছুটি দিতে৷ সত্যক যখন নিজে বলে,"ঠিক আছে এবারে থামানো যাক, কালকে সকাল সকাল শুরু করা যাবে আবার৷ কেমন?" তখন রুবেন ঘুমাতে চলে যায় নিজের ঘরে৷ আজকে কি হলো হঠাত্ করে? ঘন্টাখানেক আগে ছুটি নিয়ে চলে এলো, সত্যকের একটা কি জিজ্ঞেস করার ছিলো বলে সে এসেছে ওর এখানে, এসে দেখে এই৷ মরে যাচ্ছে নাকি ছেলেটা?

প্রথমদিনের পর থেকে যথাসম্ভব ভালো ব্যবহার করে সত্যক, ঠাট্টা করেও কিছু কঠিন কথা বলে না, রুবেন নিতে পারে না, সত্যি ভাবে৷ সত্যক এত ভালো ব্যবহার করলেও রুবেন সবসময় কিছুটা কুঁকড়ে থাকে, হুয়ানজো অবশ্য সত্যককে আলাদা করে বলেছে যে রুবেন কিছুটা অন্তর্মুখী, তাই তাড়াহুড়ো না করে আস্তে আস্তে বন্ধুত্ব তৈরীর চেষ্টা করতে হবে৷ এদিকে রুবেন এতই ক্রীতদাস-সিনড্রোমে পড়ে আছে, যে স্বাভাবিক বন্ধুত্ব তৈরী সত্যকের পক্ষে প্রায় অসম্ভব৷ অথচ ওকে কেন এত আপন মনে হয় সত্যকের? যুক্তি নেই কিছু, তবু৷

কাছিয়ে গিয়ে বসে সত্যক, রুবেন তোয়ালেতে মুখ মুছে উঠে বসে, অল্প হাসির চেষ্টা করে বলে,"আপনি চিন্তা করবেন না, এরকম আমার হয়, অনেকদিন থেকেই৷ সেই অনেক ছোটো বয়স থেকে৷ বছরের এই দিনটায় বিকালে৷ শুধু বছরে একদিন, একটু পরেই কমে যাবে৷ আপনার অসুবিধা করছি, মাফ করে দেবেন৷" রুবেন ক্লান্তভাবে আবার শুয়ে পড়ে৷ ওর চোখের এমনিসময়ের উজল দৃষ্টি আবার সেই প্রথমদিনের মারখাওয়া ঝাপসা ঝাপসা চোখ হয়ে গেছে, সত্যকের মনের মধ্যে মোচড় লাগে৷ আহা, কিজানি হয়েছে ওর!

একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার রুবেন আস্তে আস্তে থেমে থেমে কষ্ট করে বলে,"ডাক্তার কিছু ধরতে পারে না, প্রথম এরকম যখন হলো, মা ভয় পেয়ে ডাক্তারকে বাড়ীতে ডেকে আনলো, তিনি এসে যখন দেখলেন তখন আর রক্ত পড়ছিলো না৷ উনি তবু দেখে টেখে ওষুধ দিয়ে গেছিলেন৷ তারপর থেকে প্রত্যেকবছর এইদিন এরকম হয়, রাত্রে অল্প সুপ খেয়ে ঘুমাই আধামরার মতন, পরদিন সব ঠিক হয়ে যায়, কিন্তু খুব ক্লান্তি লাগে৷ টিনিয়ামে ওরা জানে, পরদিন ছুটি দেয় আমায়৷ স্পনসরদের কাছে যাবার স্কেজুলের মধ্যে যাতে এইদিনটা না পড়ে, সেরকম করেই স্কেজুল করা৷ পরেও অনেক ডাক্তার দেখানো হয়েছে, কেউ কিছু বলতে পারেনা৷" এতটা কথা বলার পরিশ্রমে আবার রুবেন কাশতে থাকে, আবার এক ঝলক রক্ত পড়ে, তোয়ালেতে মুছতে মুছতে ও আবার মাফ চায় যেন কত অপরাধ করে ফেলেছে৷
সত্যক ওর মাথায় একটু হাত বুলিয়ে বলে," আরে মাফ চাও কেন? তুমি কথা বোলো না তো, চুপ করে থাকো একটু৷ আমি হাত বুলিয়ে দিই৷ কথা বোলো না এখন, পরে শুনবো সব৷"
খানিকক্ষণের মধ্যেই স্টেবল হয়ে গেলো রুবেনের অবস্থা, বারে বারে ধন্যবাদ দিলো সত্যককে, সত্যক ওকে ধরে তুলে সোফায় বসালো৷ তারপরে সোফায় শুইয়ে দিয়ে বললো," চুপ করে শুয়ে থাকো, আমি সুপ নিয়ে আসছি৷ জল নিয়ে আসছি৷ একদম উঠো না কিন্তু৷"

কয়েকমিনিটের মধ্যে ফিরে এলো সত্যক, সঙ্গে তার্তিয়ানা,তার একাধিক শুঁড়ে নানা জিনিস, সুপের বাটি, জলের বোতল, ফোল্ডিংটেবিল ... এসব হরেক জিনিস৷ এসেই চটপট সোফার পাশে টেবিল পেতে, টেবিলঢাকনা বিছিয়ে, ঢাক্না দেয়া সুপের বাটিগুলো রেখে পাশে ভাঁজকরা পেপারন্যাপকিন চামচ এসব রাখলো, জলের বোতল রাখলো৷তারপরে সুপের ঢাকনাগুলো তুলে নিয়ে বাও করে চলে গেলো৷ গরম সুপের থেকে ধোঁয়া উঠছে, সঙ্গে রুচিকর ঘ্রাণ৷ তার্তিয়ানার কাজ একেবারে নিঁখুত ও সুসম্পূর্ণ৷ রোবটেরা অবশ্যইও ভুল করে না, মেকানিকাল ফেলিওর বা পাওয়ারসাপ্লাই এ গন্ডগোল না হলে কাজ অসমাপ্তও রাখেনা৷

রুবেন উঠে বসেছিলো, চেয়ার টেনে নিয়ে সত্যকও বসলো,বললো,"পাছে আমি না খেলে তুমি একা একা না খাও তাই আমি ঠিক করালাম নিজেও আজকে সন্ধ্যায় সুপ খাবো৷" সত্যক হাসলো, রুবেনও হাসে৷ বলে, " আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে আর কি বোঝাতে পারবো! আপনি যা করছেন, এত কেউ কোনোদিন করে নি আমার জন্য৷"

সত্যক হেসে বলে,"অতিরঞ্জন৷ তোমার মা অনেক বেশী করেন নি?"

রুবেনের মুখ লাল হয়ে গেলো হঠাত্, তারপরেই ভাঁটায় জল নেমে যাবার মতন সব লাল মিলিয়ে গিয়ে সাদা৷ হোঁচট খেতে খেতে বললো,
" হ্যাঁ মা ... মাতো অনেক ... হ্যাঁ, তাতো ঠিক ... সেকথা না, সেকথা না, আমি অন্য কারুর কথা বলছিলাম৷"

"ঠিক আছে, আগে খাও, তারপরে কথা হবে৷"

দুজনে সুপ শেষ করে তারপরে কথা শুরু করে, সত্যকই জিগায়, " রুবেন, তোমার বাবার কথা তো কখনো বলো না৷"

রুবেন বিষন্ন গলায় বলে,"আমি বাবাকে দেখিনি৷ আমি জন্মানোর আগেই বাবা ... " কথা শেষ করে না সে৷

সত্যক ভয় পেয়ে যায়, না জেনে এই সেন্সিটিভ ছেলেটাকে আবার একটা কষ্টে ফেললো নাকি ভেবে৷ "আমি জানতাম না, জানতাম না মাফ করো৷ অন্য কথা বলি৷ তোমাদের টিনিয়ামে সবকিছু আন্ডারগ্রাউন্ডে ভেবেই কেমন অবাক লাগে, সূর্য তারা না দেখে তোমরা দিনের পর দিন থাকো, মিস করো না সেসব? "

"না না, আসলে শহরের অধিবাসীরা যাতে পৃথিবীর মতনই দিনরাত্রির আবর্তন দেখতে পায়, তারাখচিত আকাশ দেখতে পায়, সেজন্যে সেসবের কৃত্রিম প্রোজেকশানের ব্যবস্থা আছে একাধিক প্ল্যানেটেরিয়ামে, আর সত্যি সত্যি দেখতে চাইলেও পারে, কিছু কিছু টাওয়ার আছে, তবে সত্যি বলতে কি যারা অভ্যস্ত হয়ে গেছে, তারা আর এসব বিশেষ মিস করে না৷ টাওয়ারে কালেভদ্রে বাচ্চাদের নিয়ে যায় স্কুল থেকে, বাচ্চারা খুবই এনজয় করে তারাভরা আকাশ৷"

সত্যক শুনতে শুনতে উত্সাহিত, বলে,"একবার দেখার ইচ্ছা হয়৷"

উত্ফুল্ল আগ্রহে রুবেন বলে,"যাবেন একবার? "
"ভাবছি যাবো একবার৷ তুমি তোমার স্পনসরদের ওখান থেকে পরের ট্রিপটা সেরে ফিরলেই দুজনে একসঙ্গে টিনিয়ামে যাবো৷ কি, নেবে তো তখন আমায় তোমার সঙ্গে?"

"অবশ্যই অবশ্যই, আপনি গেলে আমি ... আমরা সবাই খুব খুশী হবো৷ যেই ক'দিন আপনি ওখানে থাকবেন, আমি অন্য সব কাজ থেকে ছুটি নিয়ে আপনাকে সব ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাবো, আপনার যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তার জন্য আমি যথাসাধ্য করবো৷" বলতে বলতে খুব আবেগাপ্লুত হয়ে যাবার ভয়ে বোধহয় থেমে গিয়ে মুখ নীচু করে পেপার ন্যাপকিনে মুখ মুছতে লাগলো রুবেন৷

সত্যক হেসে বলে,"দেখবো কেমন বানিয়েছ তোমরা কৃত্রিম গ্রহ, টুকরোটাকরা স্পেসরক জুড়ে জুড়ে ভেতরে এক অতুলনীয় জগত্-সাংবাদিকরা এরকম লেখে৷ ওরা বাড়িয়ে বলে কিনা নিজের চোখে দেখে আসি তবে৷" সত্যক হো হো হাসে৷

রুবেনের দিকে তাকিয়ে থাকে সত্যক, হাল্কা চেহারার এই ছেলেটা এতটাই যে অব্যাপারেষু ব্যাপার করে ফেলতে পারে, আগে থেকে না জানা থাকলে কিছুতেই কি বিশ্বাস হতো তার? একটু প্রশংসা করতে ইচ্ছে করে সত্যকের, কিন্তু সামনে বলা যায় নাকি? বললে টোমাটোর মতন লাল হয়ে যাবে হয়তো রুবেন৷ নয়তো ভাববে ঠাট্টা করছে সত্যক, ধূসর হয়ে যাবে ওর মুখ৷ এত ধকলের পরে আর ওসব ভালো হবে না ভেবে সত্যক উঠে পড়ে, বলে," ঠিক আছে তুমি ঘুমাও, কালকে সকাল সকাল কাজ শুরু করবো৷ শুভ রাত্রি৷"

(চা আহা চা চা করে প্রাণ হাসি )


মন্তব্য

দ্রোহী এর ছবি

তিন আর চার একসাথে পড়ে ফেললাম।

এখনো কিন্তু বলেননি রুবেন সত্যকের ছেলে কিনা। হলে কিন্তু মন্দ হয় না। বেশ একটা বাংলা সিনেমা টাইপ ভাব আসে। উপন্যাসের শেষ পর্বে গিয়ে একটা গানের মাধ্যমে রুবেন আর সত্যকের মিল হলে আরো ভালো হয়।

দেঁতো হাসি

তুলিরেখা এর ছবি

সে আপনে যতই কন! বাংলা সিনেমার সবই কি খারাপ? কেমন বেশ মায়া-মায়া ভাব থাকে! যাত্রা-যাত্রা কেমন একটা শ্যামল কোমল ভাব, "বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে/ আসি আসি করে জোসনা ফাঁকি দিয়েছে।" হাসি
স্বয়ং হান্‌স বেদে আর তার জামাতা দেখলে কেঁদে ফেলতো! (যদি কেউ মানে বুঝিয়ে দিতো )
করুক তো হলি বলিরা এমন এক মায়ামায়া সিনেমা!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

স্পর্শ এর ছবি

আমি আপনার লেখার একজন আগ্রহীপাঠক। বেশিরভাগ সময়ই কমেন্টে সেটা জানানো হয়না। এই সিরিজটা জমিয়ে রাখছিলাম প্রথম থেকে। এখন এক টানে চারটাই পড়ে ফেললাম।

এবার সমালোচনা! মানে আমার একেবার ব্যক্তিগত মতামত

১। সত্যক এবং রুবেন এই নাম দুটো বার বার আসছে! কেমন যেন খেই হারিয়ে ফেলছি। একজন কে 'সে' / 'তিনি' বলে দিলে প্যারাটা আমার কাছে সুখপাঠ্য লাগে। অবশ্য বার বার নাম ধরে বলার এই স্টাইলটা অন্যদের ভাল লাগতে পারে।

২। প্রতিটা সিরিজের জন্য একটা ইউনিক শব্দ 'ক্যাটেগরী' হিসাবে ব্যবহার করলে পরে এক ক্লিকে সব গুলো এক যায়গায় পেতে সুবিধা হয়। লেখায় আগে ও পরের পয়েন্টার রাখতে পারেন। রণদীপম বসুর ইয়োগা সিরিজের পয়েন্টার ব্যবহারের রীতিটা আমার ভালো লেগেছে।

৩। গল্পটা ইন্টারেস্টিং। একটা কল্পবিজ্ঞানের জগতে গড়ে উঠেছে কাহিনীটা। তবে মূল গল্পে (আমি যেটা বুঝছি) এখনো বিজ্ঞান ব্যপারটা আসেনি। পরে হয়তো আসবে। গল্পটা এখনো মানবিক। এবং অবশ্যই ভালো।

৪। গল্পে আরেকটু গতি চাচ্ছি। আর প্রতি পর্বের শেষে পরের পর্ব পড়ার কৌতুহল সৃষ্টিকারী কোনো ঘটনা চাচ্ছি। হাসি অবশ্য বড়ো বই আকারে লেখার ইচ্ছা থাকলে ঠিকাছে।

শুভেচ্ছা রইলো! হাসি
[সমালোচনাতে মাইন্ড খাইএন না কিন্তু ইয়ে, মানে... ]


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তুলিরেখা এর ছবি

গঠনমূলক সমালোচনার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
গল্পটা আসলে প্রায় পুরাটাই মানবিক, শুধু পরিবেশটা কল্পবিজ্ঞান। গল্পে পরের দিকে গতি আসবে, কিন্তু অ্যাকশন স্ট্রিপের মতন হবে না। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় বাংলা কল্পবিজ্ঞানের পোটেনশিয়াল অন্য জায়গায়, স্টার ওয়ার্সের মতন দুমদাম ফটফট নানা রকম লেজারগান লড়াই মানায় না, সেগুলো টিপিকাল পশ্চিমী গুন্ডামি।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

আগের পর্বেই আমার একটু ঘুলিয়ে যাচ্ছিলো বলে আমি আপাতত ধৈর্য ধরে আছি শেষ হওয়ার, তারপর একবারে পড়বো।

তুলিরেখা এর ছবি

কিন্তু দাদা, লোকে না পড়লে তো এই সিরিজ চালাতে পারবো না। পাতা আটকে রাখার তো মানে হয় না। ব্লগস্ফিয়ার তো সকলের জায়গা।
গল্পে উপকথায় শিফট করে যাবো।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তানবীরা এর ছবি

তুলিদি ভালো জিনিসের কদর সব্বাই করতে পারে না, তাই বলে থেমে গেলে চলবে না। তুমি তোমার মতো লিখতে থাকো, যার পড়ার সে পড়ে নিবে। নইলে তারা বঞ্চিত হবে।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।