বৃষ্টিঘর

অসাধারণ! এইটা বোধ হয় আপনার যতো কবিতা পড়েছি তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো!

আমার কলকাতার এক বন্ধুর বাবা বিদেশে যেতেন ঘনঘন আর মা খুব সৌখিন সুন্দরী মহিলা। বন্ধুর দিদি সহ গোটা পরিবারের সব্বাই ভীষণ সুন্দর দেখতে, কিন্তু ওদের বাড়িটা আরো সুন্দর। আমাদের বাড়িটা হট্টমেলা আর ওদের বসার ঘরে কাকিমা কাঁচের বৌলে বড়ো বড়ো জবা সাজিয়ে রাখেন। সব মিলিয়ে মুগ্ধ হয়ে থাকতাম যখনই যেতাম। তো একবার গিয়ে দেখি ওদের ছাদের উপর একটা সূর্যঘর বানানো হয়েছে। দেয়াল অনেকটাই কাঁচের, ভেতরে চমৎকার বসার আয়োজন, আর বইয়ের তাকে থরে থরে দুর্দান্ত সব বই। গরমকালে ফার্নেস হয়ে যাবে হয়তো, কিন্তু শীতের সকালে প্রায় স্বর্গের মতো লাগছিলো। আর বর্ষায় কাঁচের গায়ে ফোঁটা ফোঁটা জল ঝরবে, ভেতরটা যাবে ঝাপসা হয়ে, আলোয়ান মুড়ে তেলতেলে মেঝেতে শুয়ে আনন্দমেলা পড়বো, কতো সব ছবি আঁকা হয়ে গিয়েছিলো মুহূর্তেই।

তারপর কলকাতা ছেড়ে বেরিয়ে পড়লাম, যোগাযোগ ঘুচে গেছে ক্রমে, পরে শুনেছি সেই স্বপ্নের বাড়িটাও আর আগের মতো নেই, এখন সে সব ঘুমঘরে হারিয়ে গেছে। সে খবর শুনে মন খারাপ করা ছাড়া আর কী-ই বা করার আছে।

আপনার কবিতাটা আবার সেই পুরোনো দিনগুলোকে ফিরিয়ে আনলো।

ভালো লাগলো কবিতাটা.....

ঐ বৃষ্টি দেখতে দেখতে
একটা ভুলে যাওয়া কথা যেন
মনে পড়ে,পড়ে, তবু পড়ে না...
তারপর
ঘুমঘরের জানালায় বৃষ্টি পড়ে টুপ্‌টাপ্‌,
কী একটা কথা যেন মনে পড়ে, পড়ে, পড়ে না ....

এই লাইনগুলো পড়লে মন যেন কেমন কেমন করতে থাকে...

...........................

কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ

গোপন বানানে দন্ত্য ন হবে।

আরও একটা প্রিয় লেখা পেলাম!
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...

দারুন লাগলো!

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

দারুণ লাগল কবিতা।

সুন্দর। পড়তে পড়তে মনে হলো, আমি বুঝলাম।

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

কবিতাটা পড়তে পড়তে মনটা কেমন জানি হয়ে গেছিল।
অবশ্যই অনেক ভাল লাগল দিদি।
--------------------------------------------------------

শেষ লাইনটা অ-সাধারণ। ______________________________________________
to be or not to be - that was never a question (jean-luc godard)

কবিতা নিয়ে কিছু নাহয় না-ই বললাম, শুধু 'বেশ ভালো' বলা ছাড়া। ছবিটা নিয়ে বলি।

এই ধরনের ছবিগুলো আমার কাছে কেমন যেন দুর্দান্ত লাগে। আমিও সময় পেলেই গাড়ির জানালার ভিতর দিয়ে বৃষ্টিস্নাত দিনে এরকম প্রচুর ছবি তুলি। বাস্তবতাকে খানিকটা আড়াল করে তার সাথে বৃষ্টি মিশিয়ে জানালার কাচের ঘোলা দর্শনকে মিশিয়ে যে ছবিটা তৈরি হয়, সেটা আসলে অনেক সময় মায়াবী বিভ্রম তৈরি করে। কিংবা একের মধ্যে অনেক দৃশ্যকল্প এই ছবিগুলোর মাঝে কল্পনা করে নেওয়া যায়।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

খুব ভালো লাগলো কবিতা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অফ লাইনে ছিলাম। কিন্তু এই লেখাটা পড়ে মন্তব্য করার লোভ সামলানো গেলো না। চমৎকার লিখছেন!