দেশবিদেশের উপকথা-ঈনীয়াসের পাতালযাত্রা(রোমান)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ০৭/০৯/২০১২ - ৬:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ট্রয় নগরীর এক বীর যোদ্ধা ছিল ঈনীয়াস। তার মা স্বয়ং দেবী ভেনাস আর বাবা অঞ্চিসেস। অঞ্চিসেস ট্রয়ের রাজা প্রায়ামের জ্ঞাতিভাই হলেও সামান্য মেষপালকের জীবন কাটাতেন। এদিকে দেবীমহাশয়া ছেলেকে খুব ছোটোবেলাতেই ছেলের বাপের কাছে রেখে চলে যান, নিশ্চয় নানা দৈব কার্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, মাঝে মাঝে বোধ হয় ছেলেকে দেখে টেখে যেতেন।

ঈনীয়াসকে তার বাবা যত্ন আত্তি করে বড় করতে থাকেন। দেখতে দেখতে ছেলে স্বাস্থ্যবান তেজীয়ান বুদ্ধিমান হয়ে ওঠে, যথাসময়ে সামরিক প্রশিক্ষণ ইত্যাদি ও নিয়ে টিয়ে বীর যোদ্ধা হয়ে ওঠে। নিশ্চয় বাবার খুবই গর্ব ছিলো এই ছেলেকে নিয়ে।

তারপরে তো একসময় লেগে গেল যুদ্ধ, গ্রীকরা বড়ো বড়ো জাহাজ নিয়ে এসে ট্রয় আক্রমণ করলো, শুরু হয়ে গেলো যুদ্ধ। দশটি বছর যুদ্ধ চললো কখনো খুব তেজে, কখনো ঢিমেতালে। ঈনীয়াস ট্রয়ের পক্ষে খুব লড়েছিলো, এইসময়ে প্রায়ই দেবী ভেনাস আসতেন ছেলেকে নানারকম সাহায্য করতে।

কিন্তু দশ বছর পরে গ্রীকদের কৌশলে তো ট্রয়ের পতন ঘটলো, এমন আকস্মিকভাবে আক্রমণ ঘটলো রাত্রিবেলা যে প্রায় কেউই বাধা দেবার কোনো সুযোগই পায় নি। দাউ দাউ করে জ্বলতে লাগলো নগরী, তখন আর প্রায় কোনো বীর অবশিষ্ট নেই সেখানে, নগরী বাঁচাতে চাওয়া বৃথা, হতাবশিষ্টরা পালাচ্ছে।

ঈনীয়াস পালাতে চাইছিলো না, কিন্তু দেবী ভেনাস এসে ছেলেকে বললেন পলায়ন করতে, তাহলে পরবর্তীকালে নিজের রাজ্য ও সেনাবাহিনী গড়ে আবার জাতির গৌরব পুনরুদ্ধারের একটা সুযোগ থাকে, শুধু শুধু মরে গিয়ে লাভটা কী? কথায় যুক্তি ছিলো, ঈনীয়াস তার বুড়ো বাপকে কাঁধের উপরে নিয়ে তখনো পর্যন্ত আগুন না পৌঁছানো এক শীর্ণ সেতু পার হয়ে চললো বাইরে।

ট্রয় থেকে পালিয়ে আসা আরো বেশ কিছু যুবক যুবতী বৃদ্ধবৃদ্ধা র সঙ্গে দেখা হলো তাদের, তারা সবাই ঠিক করলো ইতালীর দিকে রওনা হবে। তো তাই হলো, তারা নৌকা টৌকা যোগাড় করে ভেসে পড়লো ইতালির দিকে।

এরপরে ঈনীয়াসের জীবনে ঘটনার হিড়িক লেগে গেলো। তার বৃদ্ধ বাবা মারা গেলেন। তারপরই তারা এক মারাত্মক এক ঝড়ে পড়ে একেবারে বিধ্বস্ত অবস্থায় কোনোক্রমে পৌঁছালো আফ্রিকার উত্তর উপকূলের কার্থেজে। কার্থেজ তখন রাণী দিদোর দেশ, দিদো সেই দেশ শাসন করে। এই ঝড়বিধ্বস্ত দলটিকে রাণী আশ্রয় দিলো আর নানারকম সাহায্য দিলো।

দিদো খুব ভালোবেসেছিলো ঈনীয়াসকে, রাণীর সঙ্গে ঈনীয়াসের বিয়ে ঠিক হোলো, কিন্তু সে বিয়ে হতে পারলো না, তার আগেই দৈবকৌশলে ঈনীয়াস রাণীকে ছেড়ে নিজের দলবল নিয়ে চলে গেলো, রাণী মনের দুঃখে আত্মহত্যা করলো।

দেবতাদের নির্দেশে ঈনীয়াস একসময় এসে পৌঁছালো এক আশ্চর্য নগরীতে, সেখানে নাকি ক্রীট দ্বীপ থেকে পালিয়ে উড়তে উড়তে এসে নেমেছিলেন দিদালাস। তিনি সেখানে এক আশ্চর্য সুন্দর মন্দির গড়েন, সেই মন্দিরের সোনার ফটকে নিজের হাতে গড়েছেন কারুকার্যময় সব চিত্রকর্ম, তাতে রাজা মিনোসের প্রাসাদ, ল্যাবিরিন্থ, ষাঁড়দৈত্য মিনোটর সব রয়েছে।

সেই নগরীর একস্থানে এক রহস্যময় গুহা, সেখানে থাকেন এক আশ্চর্য সাধিকা, সিবিল। ঈনীয়াস তার কাছে গিয়ে হাজির, বললেন,"সিবিল, আমি পাতালে মৃত্যুরাজ্যে যেতে চাই, সবাই বলে তুমি দরজা জানো আর অন্ধিসন্ধি জানো। আমায় দয়া করো, আমি বাবার সঙ্গে একটিবার মাত্র দেখা করতে চাই।"

সিবিল বললেন," আমি জানি তুমি ঈনীয়াস, ট্রয়ের বীর। পাতালে মৃত্যুলোকে যাওয়ার রাস্তা সব সময় খোলা, নেমে গেলেই হয়, কিন্তু ফিরে আসার পথ খুব কঠিন। ঈনীয়াস, ফিরে যদি আসতে চাও, পারবে সেই কঠিন পথ পাড়ি দিতে?"

"হ্যাঁ, পারবো। দয়া করে তুমি ও আমার সঙ্গে চলো। তুমি ছাড়া কেউ পথ জানে না। যাবে?"

সিবিল বলে, "যাবো। কাল অমাবস্যা, কালই চলো। তার আগে পবিত্র কুঞ্জ থেকে দিব্য ধনুক নিয়ে আসো, এই যে পবিত্র কুঞ্জে যাবার রাস্তা।"

ঈনীয়াস পবিত্র কুঞ্জে গিয়ে দেখলো চারিদিকে গাছপালা ঝোপ জঙ্গল, এর মধ্যে কোথায় সেই দিব্য ধনুক?

সে এইদিকে তাকায়, ঐদিকে তাকায়, চারিদিকে শুধু গাছ আর গাছ, হাজারে হাজারে গাছ। পাখির ডাক ভেসে আসে মাঝে মাঝে। এর মধ্যে কোথায় সেই দিব্য ধনুক?

হঠাৎ সে দেখলো একজোড়া পায়রা, ফট ফট করে উড়ে তার সামনে এসেছে, সে দেখে খুশী হলো, পায়রা হলো দেবী ভেনাসের পেয়ারের পক্ষী, ঈনীয়াস ভাবলো মা মনে হয় তাকে সাহায্য করার জন্য এই পাখি পাঠিয়েছে।

পায়রা দুটো তার সামনে সামনে উড়তে উড়তে পথ দেখিয়ে নিয়ে এলো এক বিরাট ঝুপসি গাছের কাছে, ঈনীয়াস গাছের তলা থেকেই দেখতে পেলো গাছের এক ডালে আটকে ঝুলছে দিব্য ধনুক, জ্বলজ্বল করে আলো ছড়িয়ে পড়ছে তা থেকে।

চটপট ধনুক হস্তগত করে ঈনীয়াস পায়রাদের ধন্যবাদ দিয়ে ফিরে চললো সিবিলের কাছে। সেখানে গিয়ে একগাল হেসে সে বললো, "সিবিল, ধনুক পেয়ে গেছি, এবারে যাবার জন্য তৈরী আমি।"

সেই রাত্রে সিবিলের সঙ্গে ঈনীয়াস চললো পাতালে, প্রথমে এসে হাজির ফেরিঘাটের মাঝি চ্যারণের কাছে, সে তো কিছুতেই প্রথমে তাদের নৌকায় তুলতে চায় না, বলে, "আমি তো শুধু মৃতদের পার করি। তোমরা তো জ্যান্ত।"

ঈনীয়াস নিজের আলো ঝলমল দিব্য ধনুক তুলে ধরে বলে, "আমি অন্য মানুষদের মতন মানুষ না তো, আমি দেবী ভেনাসের ছেলে ঈনীয়াস। সেই হিসাবে অর্ধেক দেবতাও বলতে পারো আমায়। বিশেষ কারণে আমায় মৃত পিতার সঙ্গে দেখা করতে পাতালে যেতে হচ্ছে। আমার সঙ্গে এই যে ইনি, ইনি হলেন সিবিল, ইনি মহা সাধিকা একজন। আমাদের পার করো চ্যারণ, তোমার কোনো ভয় নেই।"

চ্যারণ পার করে দিলো তাদের। ওধারে নেমেই তাদের সাক্ষাৎ হলো ভয়ানক তিনমাথা কুকুর সার্বেরাসের সাথে। কিন্তু সিবিল যেই না তাকে তিনখন্ড মাংস দিয়েছে, সে হাল্কা ভৌ ভৌ করে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে খেতে লাগলো, তাদের আর বাধা দিলো না।

এরপরে দুইজনে তারা চলছে, চারিদিকে ছায়া-ছায়া অসংখ্য প্রেতশরীরের পাশ দিয়ে তারা চলছে এলিসিয়ামের প্রান্তরের দিকে, সেইখানে আছে সব কবি, গায়ক, শিল্পী, দার্শনিক এইসব ভালো ভালো মানুষের আত্মা। সিবিল বলে সেইখানেই তারা সাক্ষাৎ পাবে ঈনীয়াসের বাবা অঞ্চিসেসের আত্মার।
একজায়গায় এসে তারা দেখলো একটা ভারী সুন্দর উপত্যকা, কিন্তু ভারী বিষন্ন সেই উপত্যকা। সেখানে প্রেমিক প্রেমিকারা যারা কিনা প্রার্থিতকে না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে, তাদের আত্মা থাকে।

সেই প্রান্তরেই দিদোর আত্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো ঈনীয়াসের। দিদো কিছুই বললো না, সে পাথরের মূর্তির মতন নিরুত্তেজ, নিরুদ্বিঘ্ন, চিরমৌন। ঈনীয়াস একেবারে ভেঙে পড়ে তাকে বললো, " বিশ্বাস করো রাণী, আমি নিজের ইচ্ছেয় তোমাকে ছেড়ে যাই নি, দৈবনির্দেশে গেছিলাম। এর জন্য তুমি কেন ওভাবে নিজের জীবন বিসর্জন দিলে?

দিদো কোনো কথা বলে না, সে চিরশান্তির দেশে পৌঁছে গেছে, দুঃখে অনুদ্বিগ্নমন সুখে বিগতস্পৃহ।

ঈনীয়াসের সামনে থেকে সে চলে যায় একসময়, ঈনীয়াস কিন্তু অত্যন্ত বিচলিত হয়ে অশ্রু বিসর্জন করতে করতেই পথ চলে। সিবিল বলে, "ঈনীয়াস, তুমি ওর জন্যে কষ্ট পাচ্ছ কেন? ও তোমাকে দায়ী করে নি, করবেও না কখনো। আর, দিদো এখন শান্তিতে আছে, ওর কথা ভেবে কষ্ট পেয়ো না মিছিমিছি।"

সিবিল সামনে সামনে, আর ঈনীয়াস তাকে অনুসরণ করে চলছে। একজায়গায় এসে তারা দেখলো পথ দুইভাগ হয়ে গেছে, একদিক থেকে নানারকম ভয়ানক শব্দ, চিৎকার, আর্তনাদ, শিকলের আওয়াজ আসছে। ঈনীয়াস ভয় পেয়ে বলে, "সিবিল, এ কী কান্ড? ওদিকে কী হচ্ছে?"

সিবিল বলে, "ওদিকে খুব সাংঘাতিক খারাপ সব লোকেদের আত্মা রয়েছে, পার্থিবজীবনে ওরা খুব অপরাধ করেছিলো বলে ওদিকে ওদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়ছে। তুমি এইদিকে এসো, ওদিকে তোমায় যেতে হবে না। এলিসিয়াম এইদিকে।" সিবিল ঈনীয়াসের হাত ধরে তাকে টেনে নিয়ে চললো।

অবশেষে এলিসিয়ামের সেই মনোহর প্রান্তর। সেখানে ফুলে ফলে শোভিত অপরূপ সব বাগান আর মাঠ, সেখানে আশ্চর্য সুন্দর লালচে বেগুণী আলো যেন চির জ্যোৎস্নায় ভরে রেখেছ চারিদিক। কত গায়ক আপনমনে গান গাইছে, কতজন বনফুলের মালা গলায় আর মাথায় পরে দল বেঁধে নাচছে। চির-আনন্দের সেই দেশ।

ঈনীয়াসের বাবা অঞ্চিসেসের সঙ্গে দেখা হলো তার অবশেষে। ছেলেকে দেখে বাবা আর বাবাকে দেখে ছেলে পরস্পরের দিকে ছুটে গেলো, কিন্তু ঈনীয়াস যতই বাবাকে জড়িয়ে ধরতে চায়, পারে না, যেন সে মেঘ আলিঙ্গন করছে।

যাই হোক, প্রাথমিক উচ্ছ্বাস সমাপ্ত হলে বাবা ছেলেকে দেখালো কত কত আত্মা বিস্মৃতির নদীকূলে বসে আছে, তাদের পালা এলে অঞ্জলি পেতে সেই নদীর জল পান করে তারা পূর্বজীবনের কথা ভুলে যাবে আর নতুন করে জন্ম নেবে পৃথিবীতে।

"এই আশ্চর্য সুন্দর জায়্গা ছেড়ে ওরা চলে যেতে চায় কেন, বাবা?" ঈনীয়াস জিজ্ঞেস করে।

তার বাবা বলে, "একেবারে প্রথমে সব ছিলো বিশুদ্ধ আত্মা, তারপরে দেহধারণ করে তারা মানুষজীবন যাপন করে, তারপরে মরে যায়, এখানে আসে তাদের জীবাত্মা। কিন্তু বেশীরভাগ জীবাত্মাই আবার খোলা আকাশ আর সূর্যের জন্য উৎসুক হয়ে ওঠে, নতুন করে জন্মাতে চায়, তাই আবার জন্মায় বিস্মৃতিজল পান করে আগের জীবন ভুলে গিয়ে। কিছু কিছু জীবাত্মা অবশ্য যেতে চায় না, এখানেই তারা কালচক্রের শেষ অবধি থাকবে, যখন সব কিছু ফের বিশুদ্ধ আত্মা হয়ে যাবে।"

ঈনীয়াস বলে, "আর তুমি, বাবা, তুমি কী করবে?"

তার বাবা বলে, "শোনো ঈনীয়াস, আমিও নতুন করে জন্মাবো। তুমিও মৃত্যুর পরে এখানে আসবে, আবার নতুন করে জন্মাবে। আরো অনেকে এরকম করবে। এই দ্যাখো, আমরা এক সুন্দর শক্তিশালী বুদ্ধিমান জাতি হয়ে জন্ম নেবো দুনিয়ায়, বিরাট সাম্রাজ্য তৈরী করবো যা কিনা শতশত বছর টিঁকে থাকবে।"

ঈনীয়াসকে তার বাবা বিশেষ শক্তিবলে সেই ভবিষ্যৎ জাতি দর্শন করালো, যারা কিনা রোমান বলে পরিচিত হবে, যাদের বিস্তীর্ণ সাম্রাজ্য হবে, সেই সাম্রাজ্য টিঁকবে শত শত বছর।

সময় শেষ হয়ে আসছিলো, ঈনীয়াস পিতার আশীর্বাদ নিয়ে ফিরে চললো পৃথিবীতে, ভাবতে লাগলো ভবিষ্যতের সেই মহান জাতির কথা। আহা কত না উজ্জ্বল কত না সুন্দর হবে সেই ভবিষ্যতের পৃথিবী, কত না সুন্দর কত না শক্তিশালী বিচক্ষণ আর বুদ্ধিমান হবে সেই মানুষেরা !

(শেষ)


মন্তব্য

তুলিরেখা এর ছবি

এই পোস্টটা আগেও দিয়েছিলাম, ভুলে ডিলিটেড হয়ে গেছিলো, তাই আবার দিলাম।
ধন্যবাদ।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ঈনীয়াসের বাবা ঈনীয়াসকে কেবল সাম্রাজ্যের কথাই বললো, নেফারতিতি'র কথা বললো না কেনো! চিন্তিত

তুলিরেখা এর ছবি

সেসব অন্তর্নিহিতভাবে রইলো আরকি। বাপ হয়ে ছেলেকে আর সেসব মুখে বলে কী করে?
দেঁতো হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

ভাল লাগল।
কৈশোরে ফিরে গেলাম মনে হল। হাসি

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তুলিরেখা এর ছবি

ষষ্ঠ পান্ডব, জাপানের সেই চন্দ্রকুমারীর গল্পটার কোনো লিঙ্ক দিতে পারেন?
আগাম ধন্যবাদ।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।