হঠাৎ বৃষ্টি - দি মুনছুন রেইন

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: শুক্র, ০৪/০৪/২০১৪ - ৪:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

- ও ডাক্তার সাব, পুলার তো উঠলে আর নামেনা।
আমি মনে মনে মকবুলকে দুইটা গালি দিয়ে বিরক্ত মুখে ভদ্রলোকের দিকে তাকালাম। আমি নিশ্চিত মকবুল হারামজাদা ফাজলামো করে এই পেশেন্ট আমার কাছে গছিয়েছে। মকবুল চর্ম যৌন, বদরুল নিউরো, সাদেক হার্ট, নাজমুল হাড় আর আমি মেন্টাল। প্রায় প্রতি শুক্রবারেই আমরা আড্ডায় বসি। গত সপ্তাহের আড্ডার সময় এই পেশেন্ট গছিয়েছে মকবুল। বলে, খানদানি জমিদার ফ্যামিলি। গাজীপুরে বিশাল জায়গা নিয়ে বাংলো বাড়ি। কেসও খুব ইন্টারেস্টিং। ছেলের বাপ তোকে গাড়ি করে এসে নিয়ে যাবে। সারাদিন থাকলি, ঘুরলি, সাথে রোগীও দেখলি। মকবুলকে কয়েকবার চাপাচাপির পরেও পেশেন্টের সমস্যা কি খুলে বলে না। আমি আসার আগে ছেলের বাপকে ফোনে জিজ্ঞেস করেছিলাম সমস্যা কি। ছেলের বাপও কিছু বলে না। শুধু বলে ডাক্তার সাব আপনি গরীবের বাসায় আগে একটু আসেন। চাইরটা ডাইল ভাত খান। পরে সব খুলে বলবো।

বারো পদের ভূরিভোজন শেষ করে এখন মন্টুর বাপের প্রথম কথা শুনেই মনে হচ্ছে এটা ক্লিয়ার চর্ম যৌন কেস। আমি এখানে কি করবো? কিন্তু আস্তে আস্তে সব খুলে বলায় বিষয়টা একটু পরিষ্কার হয়।
মন্টুর বাপ বলে যায়,
- এই হইলো গিয়ে সমস্যা। পুলার দেশপ্রেম মনে করেন একটু বেশী। সমস্যা হইলো দেশপ্রেম একবার উঠলে আর নামতে চায়না। আর দেশপ্রেম বেশী বলেই ইন্ডিয়ার উপর রাগটাও একটু বেশী।

মন্টুর মা এসে এক ফাঁকে চা বিস্কুট দিয়ে যায়। খাওয়ার পরিমাণটা একটু বেশীই হয়ে গেছে। তারপরেও তিনি আবার পীড়াপীড়ি করেন,
- খান ডাক্তার সাব, বিস্কুট খান। বিদেশী বিস্কুট।
আমি মুচমুচে ব্রিটানিয়া বিস্কুটে দুইটা কামড় দিয়ে চায়ের কাপ হাতে নেই।
মন্টুর বাপ বলে যায়
- পুলা মনে করেন ইন্ডিয়ার নাম শুনলেই খাড়ায়া যায়। প্রথমে আমরা অত পাত্তা দিতাম না। ভাবতাম দেশের প্রতি একটু মায়া মহব্বত বেশী তো, তাই ইন্ডিয়ারে এক্কেবারে দেখতেই পারেনা। কিন্তু দিনকে দিন মনে করেন অবস্থা বেশী খারাপের দিকে যাইতেছে। আগে দেশপ্রেম খাড়াইলে মনে করেন দশ মিনিটের মধ্যে আবার নাইমাও যাইত। কিন্তু এখন মাঝেমাঝে মনে করেন চার পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেও নামে না।
- হুম, ডাক্তার খবর দিয়ে ভালোই করছেন তাহলে। শাস্ত্রে বলেছে, ইফ ইয়োর দেশপ্রেম লাস্ট ফর লঙ্গার দ্যান ফোর আওয়ারস প্লিজ কনসাল্ট এ ডক্টর।
- কি বলেন ডাক্তার সাব
কিছু না, কিছু না বলে আমি চায়ে গম্ভীর মুখে চায়ে চুমুক দেই।
- খান ডাক্তার সাব খান। বিদেশী চা, দার্জিলিং এর পাতা।

মন্টুর বাপ বলে যায়,
- গত সপ্তাহে পুলারে ধরে আনলাম ঢাকা স্টেডিয়াম থেকে। এ আর রহমান মাত্র ষ্টেজে উঠে দাম দারা দাম দারা মাস্ত মাস্ত বলে টান দিছে আর সাথে সাথে আমার পুলার দেশপ্রেম দাঁড়ায়ে গেল। বাঁশ নিয়ে এ আর রহমানরে এমন ধাওয়া দিল যে তিনি মওলা মেরে মওলা মেরে বলতে বলতে দৌড়ায়ে স্টেডিয়াম থেকে ভাগলেন। ভারতীয় গায়কদের কোনভাবেই দেশের মাটিতে গান গাইতে দিবে না আমার পুলা। থানা পুলিশ হয়া একাকার কাণ্ড।
আমার চা বিস্কুট শেষ হতে না হতেই মন্টুর বাপ চানাচুর এগিয়ে দেয়,
- খান ডাক্তার সাব, চানাচুর খান। অরিজিনাল বোম্বে চানাচুর।
মন্টুর বাপ আবার মন্টুর কথা শুরু করে,
- আগের মাসে পুলারে ধরে আনছি সাতক্ষীরা থেকে। কই থেকে জানি খবর পাইছে সাতক্ষীরা বর্ডার দিয়া ইন্ডিয়ান আর্মি ঢুইকা পটাপট নাকি মানুষ মারতেছে। আর শুনে পুলার দেশপ্রেম গেল মনে করেন খাড়ায়ে। বাঁশের লাঠি হাতে নিয়া সেইদিনই চইলা গেল বর্ডার পাহারা দিতে। বহুত ঝামেলা হইছে পুলারে সাতক্ষীরা থেকে ফিরায়ে আনতে। ওইবার মনে করেন এমন খাড়ান খাড়াইছিল যে আর নামেই না। এইরকম প্রতি মাসেই এইটা সেইটা লাইগাই আছে। কোন মাসে বাঁশ নিয়া যশোর বর্ডারে দৌড় দেয় তো কোন মাসে যায়গা তেতুলিয়া। পুলারে নানা যায়গা থাইকা উদ্ধার কইরা আনতে আনতে মনে করেন আমার দিন যায়, রাত যায়।

- আচ্ছা, ডাকেন আপনার ছেলেকে ডাকেন। দেখি কি অবস্থা।
আমি চানাচুর শেষ করে বলি।

মন্টুর বাপ মন্টুকে ডাকতে যায়। আমি রিমোট হাতে নিয়ে চ্যানেল ঘুরাই। স্টারপ্লাস, সনি, জীবন মানে জি বাংলা পার হয়ে এসে খেলার চ্যানেলে এসে থিতু হই। বাংলাদেশ ব্যাট করে, কি যেন একটা প্রস্তুতি ম্যাচ চলছে। হার্টে ভাল্ভ লাগানোর পর সাদেক আমাকে নিষেধ করে দিয়েছিল বাংলাদেশের খেলা দেখতে। তবুও মাঝেমাঝে লোভ সামলাতে পারিনা। মন্টু ঘরে ঢুকেই টিভির দিকে তাকিয়ে একটা গগনবিদারী আর্ত চিৎকার দেয়। চিৎকার করে শুধু সাহারা সাহারা বলতে বলতে একসময় মুখে ফ্যানা উঠে আধা অজ্ঞান হয়ে যায় প্রায়। মন্টুর বাপ দৌড়ে এসে আমার হাত থেকে রিমোট কেড়ে নিয়ে চ্যানেল বদল করে। মন্টুর বাপ নিচু স্বরে বলে,
- বাংলাদেশ দলের জার্সিতে সাহারা লেখা দেইখা পুলা খাড়ায়ে গেছে। ইন্ডিয়ান কোম্পানি তো, পুলা সহ্যই করতে পারেনা।

মন্টুর বাপ চ্যানেল বদলাতে বদলাতে স্টারপ্লাসে এসে থিতু হয়। স্টারপ্লাসে তুলসীর চেহারা দেখা যায়। মন্টু আস্তে আস্তে একটু শান্ত হয়।
আমি মন দিয়ে মন্টুকে খেয়াল করি। চৌদ্দ পনের বয়েসই একটা ছেলে। বেশ জেদি জেদি একটা চেহারা। পরনে কাজকরা বেশ দামি একটা পাঞ্জাবী, বিদেশী হয়তো!

ছেলের বাপ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,
- পুলার আর দোষ কি দিব বলেন। ইন্ডিয়া দেশটারে একেবারে গিলে খাইল মনে করেন। পাবলিকে খালি ৭১ সালে পাক মিলিটারি কয়টা মানুষ মারছে সেগুলা দেখে। গত চল্লিশ বছর ধরে ইন্ডিয়া যে তার দশগুণ মানুষ হাতে মারল আর ভাতে মারল সেইটা চোখে দেখে না।

মন্টু চিকিৎসার ঊর্ধ্বে জেনেও আমি মন্টুর নানারকম পরীক্ষা করি। বুকে স্টেথোস্কোপ বসানো থেকে শুরু করে জেনার টেস্ট পর্যন্ত হাবিজাবি যা মনে আসে টেস্ট করে আমার সারাদিনের খাওয়াদাওয়া আর মোটা ফি উসুল করার চেষ্টা করি। মন্টুর বাপ খুশী হয়। সন্ধ্যা নামতেই মন্টুর বাপ রাতে খেয়ে যাবার জন্য পীড়াপীড়ি করতে থাকেন। আমি ভদ্রতা বজায় রাখতে একটু না না করি। মন্টুর বাপ লোভ দেখায়,
- কুরবানির গুস রান্না হইছে ডাক্তার সাব। একটু হলেও মুখে দিয়া যান। পুরা দেড় লাখ টাকায় কেনা গরু। এই এলাকায় আমার জানামতে এর চেয়ে বড় গরু এইবার কেউ কুরবানি দেয় নাই সেইরকমের তাগড়া গরু ছিল কিন্তু মাংস মনে করেন একেবারে মাখনের মতো মোলায়েম।
- ইন্ডিয়ান গরু?
- নাইলে আর কি? দেশী গরুর গায়ে গুস আছে নাকি, খালি হাড্ডি আর হাড্ডি।

আমি, মন্টু, মন্টুর বাপ সবাই মিলে কুরবানি গুস দিয়ে ডিনার করি। মন্টুকে বেশ স্বাভাবিক মনে হয়। সম্ভবত আজকের দেশপ্রেম যা উঠার উঠে আবার নেমে গেছে। আমি গুস খেতে খেতে মন্টু আর মন্টুর বাপের সাথে গল্প করি। মন্টুর বাপ জানতে চায় আমি এর আগে মন্টুর মতো কোন কেস দেখেছি কিনা।
- পাগলের ডাক্তার তো আমি তাই অনেক আজব আজব সাইকোলজিক্যাল কেস নিয়ে ডিল করতে হয়। আচ্ছা একটা কেস শুনাই তাহলে। এক লোক হোমোফবিক।
- কি ফবিক?
- মানে কিনা, আচ্ছা ঠিক হোমোফবিকও না আসলে। কি বলা যায় আমি নিজেও জানিনা। ঘটনা হচ্ছে ভদ্রলোকের রাতে ঘুম হয়না। তার ধারণা সে ঘুমালেই কেউ না কেউ এসে তার ইয়ে মেরে দিবে?
- কি মারবে? মানিব্যাগ?
- আরে নাহ, ইয়ে মানে পুটু
- কি!
- ধুর, গল্প শেষ করতে দেন আগে। তো সে বাসায় লোহার গেট লাগায়। ঘরের দরজা লাগায়। জানালা লাগায়। তার ওয়ারড্রব ঠেলে দরজার সামনে এনে ব্যারিকেড দেয়। এমনকি মশারিও টানায়!
- হ্যাঁ হ্যাঁ বলা যায়না, আজকালকার মশারাও বড় খাচ্চর।
- তো এত কিছু করেও তার শান্তি হয়না। ঘুম আসেনা রাতে। তো আমি প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে তাকে কিছু ঘুমের ওষুধ দিলাম। অনেকদিন পর তার রাতে ঘুম ভালো হল। কিন্তু পরদিন সকালে আমার চেম্বারে এসে হাউমাউ কান্না। কান্নার চোটে ঠিকমতো বাংলাও বলতে পারেনা। বাংলা হিন্দি মিশিয়ে খালি বিলাপ করে, মার দিয়া, মার দিয়া। আমি বারবার জিজ্ঞেস করি, কি মার দিয়া। অনেকক্ষণ পর ফোঁপাতে ফোঁপাতে বলে, পুটু।
- কিন্তু ক্যামনে কি? দরজা জানালা তো সব বন্ধই ছিল।
- রহস্যময় ব্যাপার। এভাবে প্রায় এক মাস চলে গেল। নির্ঘুম রাত কাটে। যেই রাতেই ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাতে যায় সকালে এসে হাউমাউ কান্না, মার দিয়া মার দিয়া বলে।
- আজিব কাণ্ড!
- আসলেই আজিব কাণ্ড। পরে ঘটনা কি বোঝার জন্য আমি তার ঘরে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানোর ব্যবস্থা করলাম। পরদিন সকালে গিয়ে সেটার ফুটেজ দেখে সব বিষয় পানির মতো ক্লিয়ার!
- কি? কি বিষয়?
- মানে ঐ যে ক্লাসিক্যাল সাইকো কেস। ডাবল পারসোনালিটি আরকি। ভদ্রলোক নিজের ইয়ে নিজে মারেন। সকালে উঠে আর মনে থাকেনা। ভাবেন অন্য কেউ মেরে দিয়ে গেছে।
- এটা কি সম্ভব নাকি?
- সম্ভব যে নিজের চোখেই তো দেখলাম।
- তো এর সাথে মন্টুর সমস্যার সম্পর্ক কি?
- সমস্যার সম্পর্ক নাই।এমনি একটা গল্প বললাম আরকি।

আমি প্রসঙ্গ পাল্টে মন্টুকে জিজ্ঞেস করি,
- কি মন্টু মিয়া। কুরবানির গুস খাইতে কেমন?
মন্টু গাল ভরতি মাংস নিয়ে হাসিমুখে জবাব দেয়,
- জবর।


মন্তব্য

Vuter Raja এর ছবি

ইটা রাইখ্যা গেলাম...

চরম উদাস এর ছবি

চিন্তিত

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

হা হা হা

যার পুটু যে নিজেই মারে, তার পুটু মারার জন্য কি আর এভারেস্টে উঠতে হয়? এখন তো জিগেস করবেন পুটু মারার সাথে এভারেস্টে উঠার সম্পর্ক কি? কোন সম্পর্ক নাই। কইলাম আরকি হাসি

মিজান, পিষে ফ্যালো

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

চরম উদাস এর ছবি

কোন সম্পর্ক নাই চোখ টিপি

আনু-আল হক এর ছবি

ইমো দিলে পোষাবে না এই কেইসে; বলতে হবে, পিষে ফ্যাল, মীজান, পিষে ফ্যাল

----------------------------
নয় মাসে হলো তিরিশ লক্ষ খুন
এরপরও তুমি বোঝাও কি ধুন-ফুন

চরম উদাস এর ছবি

কারে পিষবো, কেন পিষবো চাল্লু

মেঘলা মানুষ এর ছবি

বাঁশের লাঠি নিয়া বর্ডার পাহারা! মন্টু তো সেইরকম হাসি

চরম উদাস এর ছবি

আবার জিগায়

মরুদ্যান এর ছবি

চলুক

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

আলতাইর এর ছবি

গরুর গুস ছহীহ মুসলমানী খাবার। যেই দেশ থিকাই আনেন সমিস্যা নাই।

চরম উদাস এর ছবি

অতিথি লেখক এর ছবি

হো হো হো মিজান, পিষে ফ্যালো গুল্লি গুরু গুরু কোলাকুলিl
esrat

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক এর ছবি

মার দিয়া, মার দিয়া আপনে
আর সচলেই দেখছিলাম ৩ মিনিটের বেশি উঠলে ডাক্তার দেখাইতে হয়, কেমনে কি?
আর কোহিনূরের ব্যাপারটা তো সল্ভ করলেন না!

---------------------------------------------
The child is grown
The dream is gone
And I have become
Comfortably numb.

চরম উদাস এর ছবি

আবার কোহিনূর ওঁয়া ওঁয়া

ক্যাপ্টেন নিমো এর ছবি

পুটু একটা নিরীহ অংগ। এর সাথে রাজনীতি মেশাবেন না।

চরম উদাস এর ছবি

ইয়েপ ইয়েপ খাইছে

সুবোধ অবোধ এর ছবি

মানে ঐ যে ক্লাসিক্যাল সাইকো কেস। ডাবল পারসোনালিটি আরকি। ভদ্রলোক নিজের ইয়ে নিজে মারেন। সকালে উঠে আর মনে থাকেনা। ভাবেন অন্য কেউ মেরে দিয়ে গেছে।

হো হো হো
ভাল্লাগছে। যদিও চরম উদাসীয় হয় নাই।

চরম উদাস এর ছবি

ফাডায়ালাইছে বলেন। খালি সমালোচনা করেন কেন? বুকে লোম নাই?? মন খারাপ

সুবোধ অবোধ এর ছবি

ব্যাটা লোকের বুকের খবর ন্যান ক্যা?!! চিন্তিত

ঘটনা হইল, আপনার সব লেখাই আমার পড়া। তাও আবার একবার না, কয়েকবার করে। নিজেই নিজের এমন একটা স্ট্যান্ডার্ড দাড়া করছেন যে... বুঝেনই তো... চোখ টিপি

মেঘলা মানুষ এর ছবি

বানরে বানরে লোম নিয়ে আলাপ!

সুবোধ অবোধ এর ছবি

ছবি দেখেন,কার লোম বেশি। খাইছে

চরম উদাস এর ছবি

সব লোম কি আর দেখা যায়?

সুবোধ অবোধ এর ছবি

অদেখা লোমের উফ্রে ঈমান আনতে কইচ্চেন??? চিন্তিত

মেঘলা মানুষ এর ছবি

এরপর, আর কথা থাকে না।
আপনাদের আলাপ এরকমভাবে চলতে থাকলে এই লেখাতে রেটিং যোগ করতে হবে।

Rated B for বান্দর দেঁতো হাসি

beduin এর ছবি

এখন লোমের লাইগা রেটিং লাগবি? লোম তো সকলের আছে!

মেঘলা মানুষ এর ছবি

আছে, তবে সেটা নিয়ে যেরকম আলাপ শুরু হয়েছে, আর যেরকম লোমের খোঁজখবর শুরু হয়েছে, তাতে কথাবার্তা কোনদিকে চলে যায় বলা মুশকিল।

অতিথি লেখক এর ছবি

হো হো হো হো হো হো

বাংলাদেশে এখন দেশপ্রেমিকের বাম্পার ফলন হচ্ছে। কিভাবে বুঝবেন আপনার পাশের লোকটি দেশপ্রেমিক? খুব সহজ: উঠতে বসতে, আসতে-যেতে, ফেবুতে-বর্ডারে, খেলতে-ঘুমাতে সবখানে ভারতকে যারা গালাগালি করতে পারে, সবখানে(ঘরের টেলিভিশন আর কাপড়, প্রসাধনী বাদে) যারা ভারত বিদ্বেষী তারাই এখন এই দেশের সবচেয়ে বড় দেশ প্রেমিক। দেশপ্রেমিক হওয়ার লাইনে আসুন চরম দা। গড়াগড়ি দিয়া হাসি

মাসুদ সজীব

হিমু এর ছবি

ভারতকে যারা উঠতে বসতে গালি দেয়, সেই পিনোকিও ভদকাচার্যের সাঙ্গোপাঙ্গোরাও দেশ-জাতি-রাজনীতি নিয়ে এক সেমিনারের আয়োজন করেছে। সেখানে বক্তা হিসেবে আমদানি করা হয়েছে কাদের, একটু দেখা যাক।

এ সেমিনারে কলকাতা থেকে অংশ নিচ্ছেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্র গবেষক অঞ্জন সেন, পশ্চিমবঙ্গের ভাষা আন্দোলনের একনিষ্ঠ সৈনিক ও ভাষা চেতনার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের অন্যতম কাণ্ডারী, ছড়াকার ও ছোটদের পত্রিকা খামখেয়ালীর সম্পাদক অচিন্ত্য সুরাল, কবি, ব্লগার ও অনলাইন অ্যঅক্টিভিস্ট সুমেরু মুখোপাধ্যায়, বিশিষ্ট চিত্রকর, কার্টুনিস্ট ও সময়ের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যের কাগজ নবপত্রিকার সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত শুভেন্দু সরকার। সেমিনারে কবি, লেখক, সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেত্রী মিতুল দত্তেরও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

[সূত্র]

বাংলাদেশে দেশ-জাতি-রাজনীতি বোঝে এমন লোকের এমনই অভাব পড়েছে যে ভারত থেকে এ বিষয়ে বক্তা আমদানি করতে হচ্ছে বামাতি ভাইয়াদের।

সারাদিন সাম্রাজ্যবাদী ভারতকে গালাগালি করার পর বেলা শেষে সেই ভারত থেকেই কেন মফিজ তুলতে হয়, এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলায় এক বামাতি বরকত জানালেন, ভারতের ১০০ কোটি মানুষ মানে সাম্রাজ্যবাদী ভারত নয়। জিজ্ঞাসা করলাম, তার মানে ভারতের ১০০ কোটি মানুষের কাছে পুটু বিক্রি করতে আপনাদের বাধা নেই? উত্তর পেলাম না।

দময়ন্তী এর ছবি

বাপ্পো!! অ্যাঁ
এত্তগুলো নন-এন্টিটি একসাথে যোগাড় করাও তো বেশ প্রতিভার কাজ

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

দময়ন্তী এর ছবি

হো হো হো

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

চরম উদাস এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

এস এম নিয়াজ মাওলা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
চরম জিনিস দেখাইলেন হিমু ভাইয়া!

-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?

এক লহমা এর ছবি

হো হো হো

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

এক লহমা এর ছবি

ডুপ্লি। ঘ্যাচাং।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সূর্য্য ঠাকুর এর ছবি

হো হো হো

সত্যপীর এর ছবি

সূর্য্য ঠাকুর

হাততালি চলুক

..................................................................
#Banshibir.

সাকিন উল আলম  এর ছবি

সকাল থেকে খালি হাসতেই আছি ভাই,এক বিয়ের দাওয়াতে গিয়েছিলাম , এক ফ্রেন্ড বলে দোস্ত গরুর গুসের বাটিটা পাস কর। দেরী হচ্ছিলো বলে খোচা মারলো , "কিরে ইন্ডিয়ান গরুর গুসের বাটি দেইখ্যা কি তোর ও খাড়াইয়া গেছে ?"নগদে হাসতে হাসতে ভিমড়ি খাবার দশা

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

চরম উদাস এর ছবি

কিন্তু গুস খাইতে কেমুন ছিল?? খাইছে

এস এম নিয়াজ মাওলা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?

এস এম নিয়াজ মাওলা এর ছবি

জব্বর, চরম-- আর কিতা কিতা কমু বুঝবাম পারতাছি না! থাক, বুঝাবুঝির কাম নাই, খাড়াইয়া যাওনের আগেই আরো হাইস্যা নিই।

-------------------------------------------
এমনভাবে হারিয়ে যাওয়া সহজ নাকি
ভিড়ের মধ্যে ভিখারী হয়ে মিশে যাওয়া?
এমনভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্বর্গ থেকে ধুলোর মর্ত্যে
মানুষ সেজে এক জীবন মানুষ নামে বেঁচে থাকা?

ননসেন্স এর ছবি

সেই যে চেতনা খাড়াইলো, আর নামছেই না!!!!! তা ভায়া উহার চেতনা বিন্দুর সময়সীমা কতো?? খাইছে গড়াগড়ি দিয়া হাসি

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

সেই লোকের তো হোমোফোবিয়া হইছিল, মন্টুর কি হইছে?

নীড় সন্ধানী এর ছবি

ম্যাঁও

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

পৃথ্বী এর ছবি

আপনে উগ্র জাতীয়তাবাদী, গরুর সাথে রাজনীতি মেশান!


Big Brother is watching you.

Goodreads shelf

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

দেঁতো হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

যথারীতি- গুরু গুরু চলুক

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

এক লহমা এর ছবি

"এমনকি মশারিও টানায়!" - গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

আহেন দেশে। আপনেরে ইন্ডিয়ান গরুর গুস ইমুন খাওয়া খাওয়ামু ,
আর কি কমু বুঝবার পারতাছি না।
ফেবুতে শেয়ার দিলাম। দেশপ্রেমে খাড়াইয়া যাওয়া অনেক বন্ধু আছে, তাগো লাইগা।

********************
চরম উদাস, শুভেচ্ছা জানবেন।
ভালো থাকবেন।

------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রত্যাশা এত্তো বেশি বাড়িয়েছেন যে, সাধ না মিঠিল, আশা না পুরিলো অবস্থা!
পাঠকরা অবিবেচক হয়, জানেনতো?

-দেব প্রসাদ দেবু

চরম উদাস এর ছবি

ইয়ে, মানে...

সচল জাহিদ এর ছবি

চলুক চলুক চলুক


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

সাধারনত গল্পের কাহিনী অনুমানএবং খুত ধরতে চেষ্টা করি, সে রবীন্দ্র বাবুই হোন না কেন।।।

গল্পটায় খুত কি ধরব?? যতটা না হেসেছি,,,, তার চেয়ে বেশী আনন্দ পেয়েছি।।। হাততালি

চমৎকারভাবে তথাকথিত দেশপ্রেমিকদের পুটু মেরে দিলেন।।।। গুরু গুরু

----------------------------------------
--- সোহেল মাহামুদ 0অতি ক্ষুদ্র একজন0
---------------------------------------

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।