জাগো প্রসঙ্গঃ
পড়ালেখা দিন দিন ধনীদের দখলে চলে যাচ্ছে বলে একটা আক্ষেপ নানা সময় শোনা যায়। বিশেষ করে যখন থেকে বিদ্যালয়ের পড়ালেখা মোটামুটি প্রাইভেট ও কোচিংনির্ভর হতে শুরু করলো (প্রাইভেট বা কোচিং এদেশে সবসময়ই ছিল, তবে নব্বইয়ের দশকের পর থেকে এর মাত্রা চক্রবৃদ্ধিহারে বাড়তে থাকে), তখন ধনীরাই কেবল অতিরিক্ত টাকাপয়সা দিয়ে তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ের পড়ালেখার বাইরেও পড়ানো শুরু করলো। ধনী বলতে এখানে মূলত তাদেরকেই বুঝানো হচ্ছে
"তুই কি ছাত্র??"
এই বলে হাতে পত্রিকাটা নিয়ে ছিঁড়ে ফালি ফালি করে ফেলেছিলেন পিতৃদেবতা, বেশ সিনেমাটিক ভঙ্গিতেই। অনেকক্ষণ ধরেই চুপচাপ থেকে যেভাবে গুমরে গুমরে উঠছিলেন তাতে বেশ একটা বিপদ যে আসন্ন তা বুঝতে পারছিলাম, কিন্তু ব্যাপারটা যে এতোটা সিনেমাটিক হবে তা ধারনাও করতে পারি নাই। কোথায় চোখেমুখে ফিটিয়ে তুলার দরকার ফাঁসির আসামীর মত অনুতাপ, সেই জায়গায় ভুরভুরিয়ে কোত্থেকে যেন রাজ্যের হাসি পেয়ে গেলো। হাসি চাপতে চাপতে মনে করছিলাম কবে কোন সিনেমাতে এমন চমৎকার নাটকীয় দৃশ্যটা দেখেছিলাম। ভাগ্যিস সে মুহূর্তেই পিতৃদেবতা অনুধাবন করতে পারলেন পরীক্ষার আগের দিন নির্বিকার চিত্তে বইপত্র ছেড়ে পত্রিকায় মনোনিবেশকারী ধর্মবিমুখ ছেলের মস্তিষ্কের অসারতা, আর তাই সে যাত্রা অল্পের উপর দিয়েই বেশ বেঁচে গিয়েছিলাম।
[justify]নিওলিবারেল (নয়া উদারতন্ত্র) ধারণার প্রবর্তন হয় ১৯৩০ সালের দিকে। জার্মান অর্থনীতিবিদদের একটা ক্ষুদ্র গোষ্ঠী এই ধারণা প্রথম চালু করেন। এরা যুক্ত ছিলেন ‘ফয়েরবাগ স্কুল’-এর সাথে। আর নিওলিবারেলিজম শব্দটি প্রথম চালু করেন লুইস রোগেয়ার। এই তত্ত্বে প্রাচীন লিবারেলিজম মতবাদকে কিছুটা ঢেলে সাজিয়ে নতুন একটা চেহারা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। রিকার্ডোর মুক্ত বাজার অর্থনীতি তাঁর সময়ে ভালো প্রচারণা না পেলেও স
সম্প্রতি শওকত আলী খান হীরণ নামে এক আদম বিয়ের আসরেই যৌতুক আদায়ের জন্য চাপাচাপি করতে গিয়ে ফিরতি স্ট্রোকে সদ্য পরিণীতা স্ত্রীর কাছ থেকে তালাক খেয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। শুনলাম, এই ব্যাটা প্রথম আলোর বন্ধুসভার কেষ্টুবিষ্টু, ডিজিটাল পটুয়াখালির প্রণেতা (মানে সাথে ল্যাপটপ আছে আর কি), স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি সমাজের অ্যানালগ ও ডিজিটাল দুই ধরনের উন্নয়নের সাথে জড়িত ব্যক্তিটি বিয়ের মঞ্চ থেকে পেছন তুলতে না তুলতেই একটা মোটর সাইকেল, একটা ফ্রিজ আর একটা টেলিভিশনের জন্য এত বেয়াকুল হলেন কেন, কে জানে! কিন্তু তার কপালে বিশদ আলেখ্যি লিখিত, সেটা মোটামুটি স্পষ্ট। শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট দু'টি মন্ত্রকের মন্ত্রীদের কাছ থেকেই এ ব্যাপারে বিভাগীয় ইসকুরু টাইটের আভাস এসেছে।
'দোস্ত, সুস্মিতার নাম্বার দে তো'- তৌহিদ বলে।
'কি রে, তোর না রাত্রি আছে, ওইটার কি হবে?' সিগারেটের ছাই ফেলতে ফেলতে হাসিব জিজ্ঞেস করল।
'ধুর, বেশীদিন কিছু ভাল্লাগে না।'- তৌহিদের উত্তর।
[justify]মানুষের পক্ষে নাস্তিক মুসলমান হওয়া সম্ভব হইতেও পারে। কিন্তু সেইরকম কইরা ভাবার চল নাই। একজন মানুষ নাস্তিক মুসলমান হইতে পারে বললে সবার আগে বাগড়া দিবে মোল্লারা, আলেম ওলামারা, কেতাবি বুজুর্গরা। ধর্মরে চোখা চোখা ধার দিয়া এনারাই দেখেন। ধর্মরে ধারও দেন এনারাই। শুধু মুসলমানের ধর্ম না, সব ধর্মেই এনারা আছেন। কে মুসলমান আর কে মুসলমান না, কীভাবে মুসলমান হওয়া যায় বা যায় না, এইসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর
কিছু টিনএজার পোলাপাইন মনের আনন্দে একটা ফাউন্ডেশনের ভলান্টারিতে নেমে গিয়েছিলো জিনস্ আর টি শার্ট পড়ে। মাথামোটা মহলে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেলো। ব্যপারটা এতো শত আলোচনার দাবী রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ কিনা সে তর্কে না যাই, কিন্তু শেষপর্যন্ত যেটা হলো, সমস্ত নিন্দা আর গালিগালাজের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হলো মেয়ে ভলান্টিয়ারগুলো। দেশাত্মবোধ, মহৎ উদ্দেশ্য, জাগ্রত চেতনা এতসব ব্যপারের গভীরতার সাথে খাপ খাইয়ে নিজেদের
খবর বেরিয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন! নিউজওয়ার্ল্ড- নিউইয়র্ক ভিত্তিক একটি সংবাদ সংস্খা এ খবরটি প্রথম পরিবেশন করে। আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যেই খবরটিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তবে সৈয়দ আশরাফ নিশ্চুপ।
১৪ই নভেম্বর শিশুদিবস, ইংরিজি মিডিয়ামের বাচ্চাদের 'চিলড্রেনস ডে'৷ এইদিনে কোনও কোনও সাংবাদিকের মনে পড়ে চায়ের দোকানের শিশুশ্রমিকদের কথা, কারও মনে হয় বাজির কারখানার শিশুশ্রমিকদের কথা, কেউ বা আবার কলকাতার পথশিশুদের মনে করেন এবং আমরা কাগজে দু চারটে লাগসই প্রবন্ধ পাই৷ আমি সাংবাদিক নই৷ আমার চারপাশে তাকালে আজকাল প্রায় বেশীরভাগ শিশুকে দেখলেই বড় অস্বস্তি হয়৷