Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

অণুগল্প

সিংহ, শকুন, এবং মৃত্যুদূত

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/১২/২০১৮ - ১২:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যত দূর দৃষ্টি যায় শুধু ধূ ধূ বিরান ভূমি। তাতে যত্রতত্র দ্বীপের মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রোদে পুড়ে খাক হওয়া দুর্বাঘাস। এই এলাকায় কতকাল ধরে বৃষ্টি হয় না কে জানে। হাল্কা বাতাসেই ধূলি ঝড় উঠে।

এর ভেতরেই পাতাবিহীন এক নাম না জানা রুগ্ন গাছ দাঁড়িয়ে আছে। গাছের কংকালসার ছায়ায় মুখ থুবড়ে পড়ে ছিল তার চাইতেও জীর্ণ এক সিংহ। তার পেছনের এক পা ক্ষত-বিক্ষত। অতীতের কোন এক যুদ্ধে সেখান থেকে এক খাবলা মাংস কামড়ে নিয়ে গেছে তারই কোন এক সতীর্থ। ক্ষত জুড়ে কুরুক্ষেত্র বাঁধিয়েছে অসভ্য মাছির দল। তাদেরকে তাড়ানোর মত শক্তি কিংবা উৎসাহ কোনটিই ছিল না হাড্ডিসার প্রবীণ পশুরাজের। এক ছিলিম শ্বাসের জন্যই তার চলছে প্রাণান্তকর সংগ্রাম। কতকাল তার পেটে দানা পড়েনি তাইবা কে জানে।

গনগনে সূর্যকে পিছু রেখে আকাশে চক্কর দিচ্ছিল এক শকুন। তার দৃষ্টি নিবদ্ধ নীচে পড়ে থাকা প্রায়মৃত সিংহের দিকে। অধীর আগ্রহে সময় গুনছিল সে। তার পেটেও দানা পড়েনি বহুকাল।


ফুৎকারে উড়ে যায়

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৩/১১/২০১৮ - ২:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চৈত্রের এক পিচ গলা দুপুরে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে দাড়িয়েছিল সুমন্ত। তার চোখের সামনেই কংক্রিটের শাপলা ফুলটা ধীরে ধীরে ঘোরা শুরু করল। ডানে বামে তাকিয়ে সে দেখল এই অদ্ভুত ঘটানা আর কারোই নজরে আসছে না। সবাই যে যার কাজে ব্যস্ত।


একটি অণুগল্পের খসড়া

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০৩/১১/২০১৮ - ৪:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঘুম ভেঙ্গে চোখ মেলতেই ব্যাচেলার মেসের হেলাল মিয়ার দুমড়ানো মোচড়ানো কোলবালিশ খানা লাজুক গলায় তাকে বলল,"অ্যাই শোন......তুমি না বাবা হতে চলেছ।"


পতন

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১২/০৭/২০১৮ - ৩:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্লেনটি যখন হাজার টুকরো হয়ে দুপুরের আকাশে আতশবাজির মত ফুটছিল তখনও ফেরদৌস মরেনি। হাত পা চারদিকে চাগিয়ে দিয়ে তীব্র বেগে সে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে যাচ্ছিল। এটাই ছিল তার জীবনের প্রথম এবং সম্ভবত শেষ প্লেন ভ্রমন।


শোধ

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৬/০৬/২০১৮ - ৭:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঝোপের ভেতর ঘাপটি মেরে বসে আছে দিলু। বেশ কিছুদিন ধরে সে খেয়াল করেছে এই দিক দিয়ে একটা বাঘ যায়। বাঘটা একটু দূর দিয়ে যায় বলে সে কায়দা করতে পারছে না। অনেক দিন বাঘের মাংস খাওয়া হয়নি।


মতি চোরা

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৭/০৫/২০১৮ - ৭:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চোরদের বুকের পাটা থাকার কোন নজির নেই। কিন্তু মতি চোরার বুকের পাটার সাইজ বলতে গেলে ইয়া বড়। সে চিঠি পাঠিয়ে চুরি করতে যায়। চিঠির নমুনা দেয়া যাক-

"জনাব,
পর সমাচার এই যে অদ্য রাত বারো ঘটিকায় আপনার আলয়ে পা ফেলিব বলিয়া সিদ্ধান্ত লইয়াছি। মূল্যবান দ্রব্যাদি এবং টাকা-পয়সা সিন্দুকে তালা দিয়া কিংবা মাটিতে পুতিয়া রাখিয়া কোন ফল হইবে না। রাত জাগিয়া পাহারা দিয়াও কোন ফায়দা হইবে না। সমস্ত কিছুই আমার নখদর্পনে এবং আমার গতিবিধি অশরীরির ন্যায়। তাই রাত জাগিয়া কষ্ট না করিয়া আমার কাজ আমাকে নির্বিঘ্নে করিতে দেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হইবে। সালাম লইবেন।
ইতি,
অধম মতি চোরা"


ভাড়াটে

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১৩/০৫/২০১৮ - ৪:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

খোসা ফেলে দেয়া সেদ্ধ ডিমের মত সাদা চাঁদ ঝুলে ছিল দক্ষিণ-পশ্চিমের আকাশে। পূর্ণিমা বোধ হয় দিন দুয়েক আগে হয়ে গেছে। আলোয় তেমন জোর নেই। পিচিত করে রাস্তার ধারে পিক ফেলে জিবে চুন লাগায় বাতেন চেয়ারম্যান। রাতের খানা শেষে তার কিঞ্চিত হাঁটাহাঁটি করার অভ্যাস আছে। অন্য সময় হলে বন্দুক হাতে জয়নাল সাথে থাকত। আজ নেই। ছোট মেয়েকে নিয়ে সদর হাসপাতালে গেছে জয়নাল।

বাতেন চেয়ারম্যানের মন আজ বেশ অস্থির। হোসেনকে একটা কাজে পাঠিয়েছিলেন সিংহরাগী গ্রামে। সন্ধ্যার দিকে কাজটা হয়ে যাবার কথা। তার কোন খবর নেই। বোতাম টিপে মোবাইল ফোনে সময় দেখল সে। এগারোটা বেজে তিন মিনিট। হোসেনের মোবাইল বন্ধ। অপারেশনের সময় তার ফোন বন্ধ থাকে। তারপরও বেশ কয়েকবার ফোন দিয়েছে বাতেন। হোসেন ধরেনি।

“চুদিরপো……" বিড়বিড় করে কি যেন একটা গালি দিল বাতেন। ঠিক বোঝা গেল না।


খলিল মিয়ার দেহত্যাগ

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২৮/০৪/২০১৮ - ৮:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বুধবার দিবাগত রাত ১টায় খলিল মিয়াকে ফাঁসিতে ঝুলানো হলো। ফাঁসির দড়িতে কিছুক্ষণ তিড়িংবিড়িং করে নড়াচড়া করার পর খলিল মিয়ার দেহখানা নিথর হয়ে রইল।

নিয়ম অনুযায়ী আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর তার দেহ দড়ি থেকে নামিয়ে এনে মেঝেতে শোয়ানো হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ডাক্তার স্টেথোস্কোপ হাতে এগিয়ে এলেন।

ফাঁসির আগে কালো কাপড়ে খলিল মিয়ার মাথা ঢেকে দেয়া হয়েছিল। মাথা থেকে কাপড় সরাতেই দেখা গেল খলিল মিয়া পিটপিট করে তাকাচ্ছে।

সবাইকে হতবাক করে দিয়ে সে চিঁচিঁ করে বলল,"ও ভাই, আমিতো মরি নাই।"

টেনে হিঁচড়ে খলিল মিয়াকে দ্রুত আবার ফাঁসি কাষ্ঠে উঠানো হলো। দ্বিতীয়বারের মত ফাঁসিতে ঝুলানো হলো তাকে।


প্রতিবিম্ব

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ৩০/০৩/২০১৮ - ৪:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কি অসাধারণ নীল আকাশ! এর মধ্যেই একগুচ্ছ শুভ্র মেঘ ভেসে আছে। দেখতে অবিকল তিন্নির মতন। মুখের কোণে হাসি ফুটে উঠল সাজ্জাদের। মেঘতো আসলে বহুরুপী। যে যা ভেবে নেবে ঠিক তাই দেখতে হবে মেঘ। তিন্নি যেমন।

আকাশটা আরো এগিয়ে এল। তার ভেতর দিয়ে এক ঝাঁক পাখি উড়ে গেল। একটানা বর্ষায় নতুন পানি এসেছে। স্বচ্ছ। টলটলে। সবকিছু পরিষ্কার দেখা যায়। আয়নার মতো।

তিন্নি বলেছিল সে নাকি সাজ্জাদকে আয়নার মতো পড়তে পারে। আসলেই পারে। সাজ্জাদকে মুখ ফুটে কিছু বলতে হত না। তিন্নি বুঝে নিত।

আকাশটা আরেকটু এগিয়ে এল। এত পরিষ্কার ঝকঝকে আকাশ কি কোন কালে দেখেছে সে? সাজ্জাদ মনে করতে পারে না। তিন্নিকে ভালবেসে ফেলার পর আর আকাশ দেখার সুযোগ হয়নি তার। দিনরাত সর্বক্ষণ শুধু একজনকে নিয়ে ভেবে কাটিয়ে দিলে আকাশ দেখার ফুরসত থাকে না।


আশির দশকে বাংলায় line শব্দটার একটা বিশেষ অর্থ ছিল

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/০৩/২০১৮ - ১:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

Before the line
ভালো আছো?
বৃষ্টি হচ্ছে কোথাও।

Between the lines
কী ভাবছো?
কই কিছু না তো...

After the line
পালাচ্ছো, কোথা থেকে?