সত্যব্রত মাঝি। মাঝির পুরো নাম। সবার কাছে ও মাঝি বা মাঝিদা এসব নামেই পরিচিত। আজ উইক এন্ড। ও দেরী করে ঘুম থেকে ওঠেনা। জীবন টা শুরু করেছিল চাটারড ফার্মে কাজ দিয়ে। অনেক জাগায় ঘুরতে হয়েছে। ধরতে হয়েছে ভোরের ট্রেন। তাই সকালে ওঠা ওর বরাবরের অভ্যেস। আজ ও সকাল সকাল উঠে পড়েছে। আট টার মধ্যে স্নান ও সারা। কিন্তু সকাল থেকেই ওর কাল রাতের অভিজ্ঞতা টা মন থেকে যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে ও কি কাল স্বপ্ন দেখেছিল। নাহঃ। ব
কেয়া হাসছে, ওর দারুণ সুন্দর দাঁতগুলো সব দেখা যায়। কেয়া এমনিতেই অনেক সুন্দর, গালে টোল না পড়লেও ওর হাসিটা চমৎকার। উল্টোদিকের চেয়ার থেকে আমি কেয়ার হাসি দেখি, এক নজরে তাকিয়ে থাকার বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে আমি এদিক সেদিক তাকাই। রেস্টুরেন্টটা নতুন, এর আগে আসা হয়নি আমার। কাল সন্ধ্যায় কেয়া ফোনটা করেছিল বলে আজ আসা। বেশ সাজিয়েছে ভিতরটা, তার উপর নিরিবিলি।
আসসালামুয়ালাইকুম, স্যার কেমন আছেন?
এই ছেলে তুমি কে? আমার বাসার ভিতরে কি?
স্যার আমার নাম রশিদ, আমি আপনার পাশের গ্রামের ছেলে।
তো কি হয়েছে? চেনা নেই, জানা নেই এই সরকারি কোয়ার্টারে তোমাকে ঢুকতে দিয়েছে কে?
না মানে স্যার, ইয়ে মানে স্যার, দারোয়ারকে বলেছি আমি আপনার ভাগ্নে হই। তারপরেই ঢুকতে দিলো।
ছুটির দিনে সাত-সকালে আমার বাসায় কি?
সিন্ডারেলার জুতো
যার পায়ে জুতোখানা লাগবে সেই হবে রাজকুমারী, বলল বাদকটি।
শ’য়ে শ’য়ে মেয়েরা ছুটল রাজপ্রাসাদের দিকে।
হতভম্ব নগরীর শেষ আলোটা নিভতে নিভতে প্রায় ১০টা বেজে যায়। এরপর শুধুই নীরবতা।
কেউ ঘুমিয়ে পড়েনি। আজকের দিনে ঘুমানো সহজ কাজ নয়। নিউরণে আগামীকালের চিন্তা। সব ধরনের পরিণতির কথাই সবাই ভাবছে, অধিকাংশ ভাবনাই পরস্পরচ্ছেদী, কিছু কিছু ভিন্ন। বিক্ষিপ্ত।
"দেখছনি কারবার! " তৃতীয় বারের মত স্বগতোক্তি করলেন চৌধুরী খালেকুজ্জামান ওরফে খালেক মেম্বার।
শাহীনকে আরেকবার ফোন করলাম এইমাত্র। ওর বিখ্যাত অভয়দানের ভঙ্গিতে শাহীন আবারও বলল, “চিন্তা করিস না রে, একটা না একটা উপায় হয়ে যাবে।” উপায় যে একটা না একটা হবে সে বিষয়ে সন্দেহ আমারও নেই, আজ পর্যন্ত যে যে সমস্যায় নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়েছে, সমাধানের পর নিজেরই অবাক লেগেছে বেশিরভাগ সময়, যাহ্, এটা আবার তেমন কোনো সমস্যা ছিল নাকি!
১
ভুভুজেলা
-মা, ও মা, গোল আর লম্বা মতো ওটা কি বাঁশি?
-মা ওটা ভুভুজেলা।
-ভুজুজেলায় অনেক আবাজ মা। আমার আবাজ ভাল লাগে না। তোমার লাগে?
-লাগে না মা। আবাজ না আওয়াজ আর ভুজুজেলা না মা ভুভুজেলা।
-মা আমি তো মেয়ে না?
-না তুমি আমার মা।
-ওই তো মা তো মেয়েই। মেয়েরা খারাপ, তাই না মা?
-পচা কথাটা কে বললো?
ধবধবে সাদা দেয়ালের বেশ বড়সড় একটি এয়ার কন্ডিশনড রুম। আসবাব বলতে মাঝে একটি ছোট আকৃতির টি টেবিল, সেটিকে ঘিরে সোফা, একটি তিন আসনের, আর দুটি এক আসনের। একদিকের দেয়ালে বড় একটি এল ই ডি টিভি। তিন আসনের সোফাটির মাঝামাঝি লোকটি বসা। গায়ে ধবধবে সাদা পাঞ্জাবি, সাদা পায়জামা, ক্লিন শেইভ করা ফর্সা চেহারার লোকটির চোখে একটি চশমা। চশমাটি একটু অদ্ভুত ধরনের! দেখতে রোদ চশমার মতো হলেও কাচের রং টা কেমন অদ্ভুত ধাতব!