(১)
রাত তিনটা বেজে গেছে, কিন্তু জাকির তখনো পাচ তলার ছাদে দাঁড়িয়ে আছে, চিন্তা করছে গত সন্ধ্যার কথা। অন্যান্য দিনের মত গত কালও সন্ধ্যার পরে সে জগদীশ রোডের কোণায় বাইক নিয়ে দাড়িয়ে ছিলো। চিন্তা করছিলো জুলহাসের কাছে বাকি পড়া টাকার কথা। গত কয়েক দিনে ছিনতাই করতে পারে নি সে, কিন্তু নেশা তো আর থেমে থাকেনি। বাকি টাকা দিতে না পারলে জুলহাস আর হেরোইন দিবে না বলে দিয়েছে, কিভাবে কি করা যায় চিন্তার সুতো ছিড়ে গিয়েছিল স
‘সোয়ান’ নদীর পার। মাত্র সন্ধ্যা হব হব ভাব। আকাশে সন্ধ্যা-রঙ্গের খেলা চলছে। সেই খেলা সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে ‘সোয়ান’ নদীর স্বচ্ছ জলের টেলিভিশনে। এরমধ্যে আমি আর আদুভাই দুই প্যাকেট চিপস্ কিনে নিয়ে আড্ডা দেয়ার জন্য জাঁকিয়ে বসেছি। ভয়াবহ গরম পড়েছে। আশে পাশে অনেকগুলো বিদেশি পরিবার বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে নদীর পারে পিক্নিক্ করতে এসেছে। বাচ্চা-কাচ্চার হইচই আর আমাদের আড্ডা চলছে।
আমি: এই যে ভাই! ফাহামবাগ যাবেন?
রিকসাওয়ালা: নাহ!
আমি: ভাই আপনি তো বসেই আছেন, চলেন! ১০ টাকা বাড়তি দিব।
রিকসাওয়ালা: ফাহামবাগ যামু না! এলাকা খারাপ।
আমি: ভাই দিনের বেলা আবার এলাকা খারাপের কি? চলেন ভাই, ১৫ টাকা বাড়তি দিব।
রিকসাওয়ালা: টাকা বেশি দিয়া লাভ নাই। আমি ফাহামবাগ যাই না।
আমি (ভীষণ রেগে মেগে লাফ দিয়ে রিকসায় চেপে বসলাম): ঠিক আছে ভাই, আপনি যেখানে যাবেন সেখানেই যাব। নেন টানেন।
স্থান: গুলশান নোটারী পাবলিক অফিস। বি.এন.পি. 'র র্শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতার ব্যক্তিগত সহকারী কিছু কাগজ পত্র হাতে উপস্থিত।
উকিল: উনি এই বয়সে নাম চেঞ্জ করবেন?
সহকারী: জী।
উকিল: এই বয়সে!
সহকারী: জী।
উকিল: সব কাগজ পত্র..
সহকারী: দেখুন উনি তো দেশের কোন আইন ভঙ্গ করছে না। এটি ওনার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা।
এস. এস. সি. পরীক্ষার প্রথম দিন হল পরিদর্শক আর এক ছেলের কথোপকথন।
পরিদর্শক: এই ছেলে আজকে বাংলা পরীক্ষা আর তুমি পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা ইংরেজী লিখে যাচ্ছ কেন?
পরীক্ষার্থী: স্যার ইংরেজী একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। গ্লোবালাইজেশনের এই যুগে ইংরেজীর ...
পরিদর্শক: (আরো দুই পৃষ্ঠা পিছনে গিয়ে) হায় হায়! ব্যাংয়ের প্রজননতন্ত্র আঁকলা কেন? তুমি সায়েন্সের? বায়োলজি আছে?
মাটির মানুষ!
কানের কাছে মৃদু স্বরে ‘আই লাভ ইউ’ শুনে কাঁচা ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো। কাঁধে গরম নিঃশ্বাস আর জড়িয়ে ধরে থাকা হাতটাকে চিনে নিতে সময় লাগে না আমার। রোজ রাতে কাজ শেষে এভাবেই পাশে এসে শোয় রকিব। হাতটাকে টেনে বুকের কাছে নিয়ে গাঢ় ঘুমে তলিয়ে যেতে যেতে অস্ফুটে বলি, ‘আই লাভ ইউ টু’। রকিব শুনেছে কি শুনেনি তাতে কীই বা এসে গেলো, ও তো আমার সবজান্তা শমসের!
[justify]
অনেকক্ষণ কোনও সাড়াশব্দ নেই। বন্ধ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কিছুটা দ্বিধা নিয়ে টোকা দিলাম। ছেলে ভেতর থেকে চেঁচিয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘কী চাও?’
আমি কণ্ঠে যতদূর সম্ভব মমতা আর শ্রদ্ধা মিশিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ‘হ্যা রে, উনি এসেছেন?’
ছেলে খানিক চুপ থেকে গম্ভীর গলায় জবাব দিল, ‘হুঁ।’
শহরে কয়েকটি বাসে আগুন দেবার পর সহিংস অবরোধকারীদের ধরতে গেল পুলিশ। তাদেরকে না পেয়ে বাজারের তরকারী বিক্রেতা সালামকেই পিটাতে পিটাতে ধরে নিয়ে এলো থানায়। পুলিশ বলল, এই অরাজকতার জন্য জনগণই দায়ী। তাই জনগণের অংশ হিসেবে তুমিও দায়ী। আমরা পুলিশ হলেও মানুষ। তাই একটি সুযোগ দিচ্ছি। দৌড় দিতে হবে তোমাকে। যদি দ্রুত দৌড়াও, তাহলে সীমানার দেয়াল অবধি পৌঁছাতে পারবে। যদি খুব বেশী দ্রুত দৌড়াও তাহলে লাফিয়ে দেয়াল পেরিয়ে রা