Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

অণুগল্প

পাওলো কোয়েলহো'র গল্প

সুবোধ অবোধ এর ছবি
লিখেছেন সুবোধ অবোধ (তারিখ: সোম, ০৫/০৮/২০১৩ - ১১:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লাল চুলের একজন জার্মান ছাত্রী তার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া তে ঢুকল হন্তদন্ত হয়ে। কাউন্টার থেকে মেন্যু পছন্দ করে বিল চুকিয়ে গিয়ে একটি টেবিলে বসল সে। খাওয়া শুরু করতে গিয়ে তার খেয়াল হল যে সে কাটা চামচ আনতে ভুলে গিয়েছে। অগত্যা তাকে উঠতে হল কাটা চামচ নেয়ার জন্য। “আমার কাটা চামচ টা প্লিজ”-কাউন্টারে গিয়ে হাসি মুখে বলল সে। কাউন্টারে থাকা লোকটিও তাকে হাসি ফিরিয়ে দিয়ে কাটা চামচ দিয়ে দিল।


ফ্লেক্সিলোড

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৬/০৭/২০১৩ - ১০:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জেরিন দুপুর থেকেই আজ একটু অস্থির হয়ে আছে । এমন না যে রান্না করতে গিয়ে তরকারিতে লবন বেশি দিয়ে ফেলেছে , মারুফ অফিস থেকে এসে খেতে বসে ভ্রূ কুচকে অনুযোগ এর সুরে তার রান্নার একগাদা ত্রুটি বের করবে ! ব্যাপারটার সাথে সে অভ্যস্ত হয়ে গেছে !


শ্রাবণে শ্রাবণে

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি
লিখেছেন সুমিমা ইয়াসমিন [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৪/০৭/২০১৩ - ৯:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
শূন্যতার অর্থ জানো তুমি? অনুপস্থিতি মানেই শূন্যতা নয়। কাছাকাছি থেকেও কাছে না পাওয়ার হাহাকারটুকুই শূন্যতা। আমার কথা শুনে তুমি ভুবন ভোলানো হাসিটা ছড়িয়ে দিয়ে বললে, তাই বুঝি কাছে আসতে ভয় পাও? দূরত্ব নির্মাণ করে যাও, নৈকট্য লাভের আশায়! আমি বললাম, দূরত্ব কখনো নির্মাণ করা যায় না, দূরত্ব তৈরি হয়। নির্মাণ করা যায় নৈকট্য।


জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: শনি, ২০/০৭/২০১৩ - ৪:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইস্তাম্বুলের মাঝখান চিরে চলে গেছে ইতিহাস বিধৌত বসফরাস প্রণালী, জলের মাঝে একটি সরু আঙ্গুলের মত অনুপ্রবেশ ঘটেছে গোল্ডেন হর্নের, তার পাশের এক জমজমাট পানশালায় তুর্কি বন্ধুদের সাথে ঢুকেছি মাছ ভাজা আর পানীয়ের তাগিদে। বাহিরে ডিসেম্বরের ধারালো বাতাস, ভেতরটা উষ্ণ হয়ে আছে খাবারের গন্ধে আর হুক্কার ধোঁয়ায়। অর্ডার নিতে বেয়ারা এসে আলাদা চামড়ার দেখেই হবে, বেশ কৌতূহল প্রকাশ করে বন্ধুত্বপূর্ণ হাসি দিয়ে বল


বিভ্রান্তি

কী কমু এর ছবি
লিখেছেন কী কমু [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৮/০৭/২০১৩ - ১২:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সোহরাওয়ারদি উদ্যানের ভেতর যেখানটায় এসে আমরা দাঁড়ালাম, সেখানে তিল পরিমাণ ঠাঁই নেই। লোকে লোকারণ্য। আমি শক্ত মুঠোর ভেতর ছেলের হাতটি ধরে অভয় হাসি হাসলাম। ‘কী রে, ভয় লাগছে?’

সমস্ত মুখ ভরিয়ে পাল্টা হাসি ফিরিয়ে দিল ছেলে। ‘না বাবা, খুশি লাগছে।’


বিভ্রম

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি
লিখেছেন ইয়াসির আরাফাত [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৭/০৭/২০১৩ - ১১:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত কয়েকদিন যাবৎ একটা অদ্ভুত গুজব ভাসছিলো ঢাকা শহর জুড়ে। ঈদের দিন সকাল দশটায় নাকি পাঁচ জনের একটা কমান্ডো দল পিজি হাসপাতাল থেকে গোলাম আযমকে বের করে নিয়ে আসবে, তারপর শাহবাগ ওভারব্রিজের গায়ে রশি বেঁধে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেবে। কোথা থেকে এ গুজবের উৎপত্তি কেউ বলতে পারছে না। কিন্তু ঈদের দিন ভোর বেলায় পিজি হাসপাতালের সামনে কয়েক হাজার লোকের ভীড় দেখে বোঝা গেল, অনেকেই গুজবটা বিশ্বাস করেছে।


শাদাছড়ি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৬/০৭/২০১৩ - ৫:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অন্ধ হয়েই জন্মেছিলো বিচার; সুদীর্ঘকাল পর সুপথে চলার দায় অর্পিত হলো শক্তিমন্ত এক শাদাছড়ির উপর।

অতঃপর, বিচারের বাণীতে ধর্ষিত হয় পুনঃ অযুত বীরাঙ্গনা-শহীদের ত্যাগ...

---
আনু-আল হক


বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম এক্স-বয়ফ্রেন্ড

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: রবি, ১৪/০৭/২০১৩ - ২:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেক বছরের সম্পর্ক অনিবার্য কারণে ভেঙ্গে যাবার পর কেবল ভাল বন্ধু থাকার প্রতিশ্রুতি নিয়ে যখন বিদায় দেবার জন্য দরজায় দাড়িয়ে ওর চোখের দিকে তাকালাম,

সে কেবল অস্ফুট স্বরে বলল- আশা করি জীবনে তোমার মতই আর কারো সাথে আমার দেখা হবে।

অতিসাধারণ এক তরুণ থেকে সেই মুহূর্তেই পরিণত হলাম বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম এক্স-বয়ফ্রেন্ডে!


কেরামতি

খেকশিয়াল এর ছবি
লিখেছেন খেকশিয়াল (তারিখ: বিষ্যুদ, ১১/০৭/২০১৩ - ৫:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছেলেটা আমাদের স্কুলে ক্লাস সিক্সের ফার্স্ট টার্ম পরীক্ষার ঠিক এক সপ্তাহ আগে ভর্তি হয়েছিল। ইংরেজীর ক্লাস চলছিল, রঞ্জন স্যার ক্লাস নিচ্ছিলেন। রবিন আর ঝন্টু বেঞ্চের উপর একে অন্যের কান ধরে দাঁড়িয়ে ছিল, আর মাথা নীচু করে কুটকুট করে হাসছিলো। আর আমরা হাসছিলাম ডেস্কের তলায় মুখ গুজে। স্যার একখানা রামধমক দিবেন এমন সময় হেডস্যার একটা ছেলেকে নিয়ে ক্লাসে ঢুকলেন। ঢুকেই রবিন আর ঝন্টুর দিকে তাঁর বিখ্যাত ভ্রু উলটানো হাসি দিয়ে একটু দেখলেন। রঞ্জন স্যার গদ্গদ মুখে এগিয়ে আসলে হেডস্যার আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন,


নীলাভ দুখীর হলুদাভ বসন্ত

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০১/০৭/২০১৩ - ১১:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সে আর কিছু বলতে পারছিলো না। তার পাশের চেয়ারে গিয়ে বসলাম। জিজ্ঞেস করলাম, “মাথা ব্যাথা?” মাথা নেড়ে বোঝালো না। আবার জিজ্ঞেস করলাম, “শরীর খারাপ?” -আবার না সূচক মাথা নাড়ালো। বুঝলাম মেয়েটা কাঁদছে। যেন-তেন কান্না নয়। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে চলা যাকে বলে। সাঁজ-গোছ করে শাড়ী পরা একটা মেয়ে কান্না করে যাচ্ছে। এটা মানায় না। তবুও মেয়েটি কাঁদছে। কান্নাটা একদম শব্দহীন বললেই চলে। আশেপাশের ম