অবশেষে সাপ পালক বালকটি সাপের ছোবলে মারা গেল। তার মৃত্যুতে তার মায়ের কান্না দেখে আমার সাপ পালক হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু! সেই স্বপ্ন পুরনের লক্ষ্যে বাজার থেকে সাপও কিনে আনলাম, সাথে দুধ -কলা। সেই থেকে দুধ-কলা খাইয়ে আমি সাপ পালা শুরু।
আব্বা তুমি নাকি হাতির খেলা দেখাও?
শিশু নাসিরুদ্দিনের কথায় একটু হাসে আজিম, হ দেখাই। এখন খা।
আলুভাজি রুটির দিকে তাকালোই না নাসিরুদ্দিন। মুগ্ধ চোখে পিতার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, আমারে নিয়া যাইবা আব্বা হাতির খেলায়? আমি তোমার মত হইতে চাই। আমারে খেল শিখাইবা?
পাশে বসা নাসিরুদ্দিনের মা একটু শিউরে উঠে ছেলেকে একহাতে জড়িয়ে বলে না না, হাতির খেল তোরে শিখতে হইব না। তুই লেখাপড়া কইরা কাছারিতে যাবি, দেখবি তোর কত সম্মান হইব।
কাছারিতে কি হাতি আছে আম্মা?
[justify]রুমটায় খুব অস্বস্তি হচ্ছে আমার। যেন এখানে কিছু একটা অশুভ ব্যাপার আছে, যেন কেউ এ রুমটাকে কোন এক অভিশাপ দিয়ে গেছে। গা গুলানো একটা ভাপসা গরম এখানে, যেন এক টুকরো নরক। ছাড়াছাড়াভাবে কিছু স্মৃতি মনে পড়ল আমার। গত কদিন ধরে নতুন ধরনের এক হতাশায় ভুগছি আমি। জীবনের অর্থ, বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয়তা, মহাবিশ্বের অপার বিশালতা- এসব বড় বড় ব্যাপার নিয়ে ভাবার চেষ্টা করছিলাম আমি। এক সময় বুঝতে পারলাম য
ড্যানসবর্গ দূর্গ, থারাঙ্গাম্বাড়ি, দক্ষিণ ভারত। জুলাই ১৬৪৪।
কুঠিসর্দার উইলেম অবিশ্বাসের স্বরে বললেন, পুরা নাঙ্গা?
পাশের লোকটি মাথা ঝাঁকিয়ে বলল, অবশ্যই পুরা নাঙ্গা। গায়ে সুতাটাও নাই, একবারে নাঙ্গাপুতু। আর হাতে খোলা তলোয়ার।
তারপর?
আমার সহ-কামলা নাজির সাহেব। ভালো মানুষ, অফিস ফাঁকি দিয়ে গেটের বাইরে বিড়ি ফুঁকতে যাওয়া ছাড়া তেমন কোন বদভ্যাস নেই (সাথে অবশ্য আমাকেও নিয়ে যায়, বিড়ি ফুঁকি না, চা খাই)।
কেতুব ও বদি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে- এখন তাদের কি করা উচিৎ তা ভেবে পায় না। বদি আলের পাড়ের শুকনা খড়ের মত উশখুস করতে থাকে – ভেজা এঁটেল কাদার মত নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে কেতুব বলে ওঠে – ‘ও তাতেন কি আর করবা-লও ছালখান ছাড়ায়া লই’, তাতেন কেতুবের দিকে হিংস্র চোখে তাকায় ভেজা ভেজা কন্ঠে বলে ওঠে ‘তুমি জাননা,ল্যাদা আমার ছাওয়াল এর লাহান?’ প্রত্যক্ষ অপমানে কেতুবের কালো চামড়ায় ভাঁজ পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বদ
১.
পুলিশ ষ্টেশনের ঘন্টা যেন কেমন! একঘেয়ে, বিষন্ন আর মাঝে মাঝে ভূতুড়ে! রাত ১২ টার ঘন্টা আরও বেশি কেমন কেমন! একে তো মাঝরাত তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বার ঘন্টা এই সময় টাতেই বাঁজে।
ঢং ঢং ঢং...
গুনে গুনে ১২ বার। রাতের নিরবতা আর গাঢ় অন্ধকার ভেদ করে প্রতিটি ঘন্টার বাড়ি যেন বুকে এসে আঘাতকরে। আর যদি সেই ঘন্টা শুনে ঘুম ভেঙ্গে যায়, তাহলে তো কথাই নেই।
১৫২৭ বা ১৫২৮ সালের কোন এক ঝড়ের রাত। বঙ্গোপসাগর।
উথাল পাথাল অবস্থা, মট করে জাহাজের মাস্তুল উড়ে গেল এক ঝটকায়। এত বড় জাহাজ নড়ছে যেন কাগজের নৌকা। কাপ্তেন আলফন্সো আর তার সাঙ্গপাঙ্গরা যে যেরকম পারে শক্ত কিছু ধরে আছে আর বিড়বিড় করে হা ঈশ্বর হা ঈশ্বর করছে। ক্লান্ত হুয়ান হঠাৎ হাত ফসকে ছিটকে উড়ে পড়ে গেলো সাগরে, চোখের নিমিষে কালো পানি যেন গিলে নিল তাকে। জাহাজের সকলে ভয়ার্ত স্বরে সকলে আউড়ে চলেছে এম নম দো পায় দো ফিলিও দো এস্পিরিতো সান্তো...