ভোরবেলা প্রায়ই দেখা হয় আঙ্কেলটার সঙ্গে। আমি তল্লাবাগ থেকে ইন্দিরা রোড হয়ে বেরিয়ে সংসদভবনকে ঘিরে দুটো চক্কর দিয়ে বাসায় চলে আসি। আঙ্কেলকে দেখি হাতে একটা ছড়ি নিয়ে উদাস বদনে হাঁটাহাঁটি করেন। ভোরের বাতাসে মাঝেমধ্যে পতাকার মতো পতপত করে ওড়ে তাঁর ধুতি। তিনি নির্বিকার। নিষ্কম্পচিত্ত।
প্রিয় পাঠক প্রথমেই পরিষ্কার করা ভালো, এটা কোন রহস্য গল্প না। শিরোনাম দেখে, আপনি যদি রহস্য গল্পের আশায় পৃষ্ঠা উল্টে থাকেন তবে, আমি দু:খিত। এ গল্পে খুন নিয়ে কোন রহস্য নেই এবং খুনী ও আমাদের পরিচিত। আসলে সত্য কথা বলতে খুনটি এখনও হয়নি। আর কিছুক্ষনের মধ্যেই আমরা খুনটি করতে যাচ্ছি।
এক.
:"কীরে সজীব, ক্লাসে যাবি না।"
:"মামা, আকাশের রং দেখছোস, "পুরা আকাশ কালো, মেঘ কালো"-অবস্থা। ঝুম বৃষ্টি নামবো। লহ্ বৃষ্টিতে ভিজি।
:" আর ক্লাস করবো কে?
: "ধুর ব্যাট্যা মফিজ। ক্লাস কইরা কী আর জজ-ব্যারিস্টার হবি। হবি তো ঘুসখোর আমলা আর নাইলে বিদেশে ডি.সি। লহ্ ।"
দুই.
1… লেখক সুইজারল্যান্ড এ থাকেন। দেশে বিদেশে তার ভক্তের অভাব নেই। ফেসবুকে বন্ধুসংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১০ হাজার। তিনি যাই লিখেন তাই হিট। সমাজের চোখে উনি উঁচু মানের একজন সমাজসেবক।দারুণ লেখক। আর অসাধারণ একজন মানুষ। ভক্তদের জন্য কিনা করেন তিনি।এইতো গত সপ্তাহেই তার ৪ জন ভক্তকে একটি করে নাইকন ডি- ৬০ কিনে দিয়েছেন লেখক। কিনে আবার পাঠিয়েও দিয়েছেন। নিজ দায়িত্বে। কি উদার আমাদের লেখক!
- 'মিঠুনের বাবা, ও মিঠুনের বাবা … কি হল, কথা কানে যাচ্ছে না?'
রবি মামা বেশ ত্যান্যা প্যাচাইন্যা আদমি ছিল।আমার বর্তমান নৈতিক অধগতিতে এই বুড়া মিয়ার ভালো হাত আছে।
ব্যাপারটা খুইল্যা বলি, আমার বৌ দিনে ২৫ ঘন্টাই রবীন্দ্রনাথ শুনে, সুতরাং আমার ও শুনতে হয়। শুনতে যাইয়্যা দেখি মামু তু পুরা মাল।
নিচের গানটার কথাই ধরেন- "তুমি সুখ যদি নাহি পাও,/ যাও, সুখের সন্ধানে যাও,"
তারপর ধরেন, "ভালোবেসে যদি সুখ নাহি, তবে কেন এ মিছে দুরাশা"
কি এমন ঘটল যে আমাকে ছেড়ে চলে গেল ও? বা অন্যভাবে বললে, আমরা দুইজনে মিলে, অথবা ও একাই যে ঠিক করল যে আমাদের আর একসাথে থাকা হচ্ছে না, তা কেন? আমাদের মধ্যে নাকি সেই স্ফুলিঙ্গটা নেই, ও বলেছিল।
১
"চাইনা মেয়ে তুমি অন্য কারো হও...” রেডিও তে গান টা শুনতে ভালই লাগছে।
'কিরে দাদা, ব্যাপার কি রে? বউদির নাকি...'