- আমাকে কি আপনার বেহায়া মনে হয়?
কাতর স্বরে মতিন বদরুল ভাইকে প্রশ্ন করে।
- ইট ডিপেন্ডস। ফার্স্ট আমাদের জানতে হবে হায়া কথাটার মানে কি? হায়া জিনিসটার মানে জানোস নাকি কেউ?
-ধুরো, আপনে খালি ত্যানা প্যাঁচান। সোজাসুজি বলেন না।
মনে রাখার মতো মুহুর্ত গুলো কখন ও স্থান নির্ভর নয়। প্রিয় বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহুর্ত গুলো পৃথিবীর যেকোন কোনায় ই আনন্দঘন।
তোমার স্বপ্নের মাঝে আমার স্বপ্নের জায়গা হয়নি, তেমনি তোমার কল্পনা গুলো ও আমার স্বপ্ন কে ছুতে পারে নি। তাই তো একই বিছানায় ও অছ্যুৎ ই রয়ে গেলাম দুজন।
- তুমি শিওর এটা কাজ করবে?
বিশাল যন্ত্রটির সামনে দাড়িয়ে ভুরু কুঁচকে বদি ভাই প্রশ্ন ছুড়ে মারেন কঠিন ও কোমল সম্ভার বিশেষজ্ঞ আবু ইউসুফকে।
[justify]দড়াম্ ॥
চড়ুই পাখি
মুরাদুল ইসলাম
খুব ছোটবেলায় আমি এবং আমার ভাই যখন ক্লাস থ্রি ফোরে পড়ি তখন আমাদের বাসার ভেন্টিলেটরের ফাকেঁ একজোড়া চড়ুই পাখি বাসা বাঁধে।ভেন্টিলেটরের এক ভাঙা অংশ দিয়ে ভিতরে ঢুকে শুকনো খড় পাতা দিয়ে তৈরী করে তাদের বাসস্থান।
দাদী বললেন চড়ুই পাখির বাসা সৌভাগ্যের লক্ষণ।
-মাইনুল এইচ সিরাজী
এক দেশে ছিল এক জোছনা...
- এক দেশে ছিল এক জোছনা? রূপকথার গল্প?
-শুনুন না। ভালো লাগবে।
- আচ্ছা বলুন।
-এক দেশে ছিল এক জোছনা। সে একা একা জোছনা দেখে। জোছনা দেখে সে অবাক হয়। অবাক হয়ে স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন দেখে তার পেট গুলিয়ে আসে।
-ওমা। স্বপ্ন দেখে পেট গুলিয়ে আসবে কেন? সে কি বমি করে?
অনেক দিন হল এভাবেই আছি। বসে বসে খাচ্ছি, বিছানায় শুয়ে আছি, অনেক রাতে বিছানায় ঘুমহীনতায় কাটাই। আবার খুব দেরিতে ঘুম থেকে উঠি। চলে যাচ্ছে। কি জানি ওষুধ এবং অসুখ আমার জীবনে পালা করে আসছে আর যাচ্ছে। আমার ঘরটা একটু আবছায়া থাকে দিনের বেলাতেও। জানলা গুলোও বিশেষ একটা খোলা হয়না। ইচ্ছে করে যে খুলিনা তা নয়, প্রখর আলো আমার সহ্য হয়না। যদিও ঘরের মধ্যে সাইনাসের প্রবলেম হওয়ার কথা নয়। কিন্তু তবুও আমি আলোহীনতাকেই আজক
সামান্য একটা বোতামের কাছে হেরে গিয়েছিল আবুল হোসেন।
গত অর্ধশতকে তার এরকম ঘটনা ঘটেনি। ঘটনাটা একবার ঘটলে দুর্ঘটনা বলা যেতো। কিন্তু পরপর তিনবার ঘটার পর মনে হলো এটা দুর্ঘটনা নয়, নিশ্চিত ষড়যন্ত্র।
- আমি কি তবে বলদ?
- ধুর ব্যাটা, তাই কইলাম নাকি?
- তবে কি আমি পাঁঠা?
- উহু
- তাইলে আমারে মুড়ি খেতে বলেন কেন?
- জীবন মানেই মুড়ি খাওয়া রে মূর্খ। ভাগ্যবানে ইয়ে করে মুড়ি খায় আর অভাগা এমনে এমনেই খায়।
বদরুল ভাই মতিনকে জীবনের মানে বোঝানোর চেষ্টা করেন।
- আমি কি তবে বলদ?
- ধুর ব্যাটা, তাই কইলাম নাকি?
- তবে কি আমি পাঁঠা?
- উহু