ডাক্তার বন্ধু কামরুল বদরুলের হাত চেপে ধরে বললেন, আর মাত্র ছয় মাস।
বদরুল ক্ষেপে গিয়ে বলে, ফাতরামির আর জায়গা পাস না? পরক্ষণেই বুঝতে পারে এটা ফাতরামি না জীবনের পরম সত্য।
হাত ছেড়ে ডাক্তার বলে, যা ব্যাটা যা জিলে তেরি জিন্দেগী।
বদরুল আবারও ক্ষেপে গিয়ে বলে,
- জিন্দেগীই তো শেষ।
- ইয়ে মাত সোচ জিন্দেগিমে কিতনে পাল হ্যাঁয়, ইয়ে সোচ কিতনে পাল ম্যায় জিন্দেগী হ্যাঁয়।
[justify]চাবির গোছা হাতে তালার দিকে তাকিয়ে জমির আলী হকচকিয়ে গেলো। তালাটা উলটো হয়ে আছে। হেড স্যারের রুমের একটাই দরজা। বাইরে তালাটা ঝুলানো। কিকো তালা। জমির আলী অষ্টম শ্রেণী পাশ দিয়েছিল বছর ত্রিশেক আগে। তালার গায়ে একপাশে ইংরেজি Kiko লেখাটি সে ভালই পড়তে পারে। আজ লেখাটা দেখা যাচ্ছে না। তালাটা উল্টে আছে। জমির আলির বুকটা ধক করে উঠল। সে কখনো উলটো করে তালাটা লাগিয়েছে বলে মনে পড়ছে না। গত বৃহস্পতিবারেও দুইবা
বাস থেকে নেমে প্যান্টের পেছনের পকেটে হাত দিয়েই টের পেল, নেই।
থাকার কথাও না। চিড়ে চ্যাপটা ভিড়ে জনসমক্ষে মানিব্যাগ খুলে ভাড়া দিয়েছে। ভাড়া মেটানোর পরপরই গেছে বোধহয়। মানিব্যাগে পাঁচশো টাকার আটটা নোট ছিল, কিছু খুচরো দশ-বিশ-পঞ্চাশ টাকার নোট, কিছু টুকরো মলিন কাগজ, লন্ড্রির স্লিপ, কয়টা আধময়লা ভিজিটিং কার্ড এবং সিনে ম্যাগাজিন থেকে কেটে রাখা মডেল জয়ার ছবি।
[justify]
গোপনীয়তা ধরে রাখতে পারে কতজন, কতজন থেকে যেতে পারে গোপনীয়তার কাছে গোপনীয়! গোপন থেকে দেখেছি মানুষের আড়ম্বর বড় বেশি!
প্রতিষ্ঠা নয়, প্রশান্তি চাই, চাই জীবনের আস্বাদ প্রতিটি মুহূর্তে। সাধারণ মানুষ দেখেছি শুধুমাত্র চোখে খিদে নিয়ে খায়না কখনো একনলা ভাত। বেঁচে থাকা হোক মনের তাগিদে প্রশস্ত জীবন কাটানো।
টিকটিকিটা টিকটিক করে উঠলো।
আজকাল কেমন যেন নির্লিপ্ত হয়ে গেছে অরুণ। চুপচাপ থাকে। আর ভাবে।
কে এই অরুণ ? আমি। অরুণ সেনগুপ্ত, আমার নাম। যদিও আজকাল লোকে পাগল বলেও ডাকে।
শব্দ কাঁধে নিয়ে চলে যাই হেঁটে হেঁটে। যতদূর সম্ভব সীমানা মেলেনা। আদি অন্ত দিগন্ত মিশে যায়।
১। এইসব কুয়াশার ঘুণলাগা মরা জোছনার হাতছানিতে তবুও জেগে থাকে রাত এবং ... ... ...
সন্ধ্যার চোখে চেয়ে দেখি জেগে যায় সন্ধ্যামণি।
মানুষের এতো ভিড় থাকে! এতোখানি ভিড় নিয়ে এতোসব পথ হাঁটে, বেঁচে থাকে একজন মানুষ!
বাক্যের ভিড়ে ভিড়ে বেড়ে যায় আমাদের সারাংশ জীবন! আমরা কত কথা বলে যাই, কতভাবে বুঝে নিতে চাই একে অপরের নীরবতা যতো; স্তব্ধতার কাছে এলে পরে জানা যায় নীরবতা পাঠে কতখানি নীরবতা ছিলো;
আকাশটা একটা মুখের মতই হা হয়ে গেল আর আমাকে গিলে ফেলল...
মনুষত্ব্যকে রেকর্ড করে ফেলতে পারে এমন - মুদ্রিত আলোকতরঙ্গ...
মহাবিশ্বের মহাকাশ ফেড়ে বিশ্বটা যখন উগরে বেরিয়ে যাচ্ছিল...
ডালে ডালে মানুষের আত্না ধরে আছে...
স্পেসটাইমের ফেনায়িত কৃষ্ণতাকে...
ইস্রাফিলের শিঙার মহাহুঙ্কার...
অশ্রুর মত রক্ত বর্ষন করে...