১৬১৬ সালের ডেনমার্ক এক হাজার বছরের পুরোন সামুদ্রিক পরাশক্তি, আইসল্যান্ড আর গ্রিনল্যান্ড সহ উত্তর আটলান্টিক জুড়ে তাদের প্রতাপ। সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ডেনমার্ক রাজ্য জুড়ে ছিল বর্তমান নরওয়ে এবং বর্তমান সুইডেনের দক্ষিণাংশ। মূলতঃ কৃষিজীবী ছিল দেশটি, সুইডেন পোল্যান্ড আর বিবিধ জার্মান স্টেটের সাথে তাদের হরদম কাইজা লেগেই থাকত।
অন্যান্য ইয়োরোপীয় কোম্পানীর মতই ১৬১৬ সালে ড্যানিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী খোলা হয় পয়সা বানানোর ধান্দায়। তবে অন্যান্য কোম্পানী যেরকম পরে এই মূল লক্ষ্য থেকে ক্রমশ সরে গিয়েছিল ড্যানিশ কোম্পানীর ক্ষেত্রে তা হয়নি, এরা আগাপাশতলা বাণিজ্যেই শতভাগ মন দিয়েছিল। নানাবিধ দেশদখল মারামারি কাটাকাটিতে এরা যায়নি বললেই চলে। কোম্পানী ধীরে ধীরে হারিয়ে গেছেও অবশ্য একারনেই।
পঞ্চম পর্ব শীত এগিয়ে আসার সাথে তাল মিলিয়ে মলির চলাফেরা ক্রমশঃই অস্বাভাবিক হতে শুরু করে। প্রতিদিন সকালেই দেরিতে কাজে এসে সময়মত ঘুম ভাঙেনি বলে অজুহাত দেখায়। কারণ হিসেবে শরীরে অবিশ্বাস্য কোনো যন্ত্রণার কথা তুললেও খাবার বেলায় রুচিতে কোনো কমতি দেখা যায়না। কোনো অজুহাত দেখিয়ে ডোবার পাড়ে বোকার মতো দাড়িয়ে জলে নিজের প্রতিচ্ছবির দিতে তাকিয়ে থাকাই তার দৈনন্দিন রু
চতুর্থ পর্ব
গ্রীষ্মের শেষের দিকেই পশুখামারের ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। নেপোলিয়ন আর তুষারবল আশেপাশের খামারগুলোতেও কবুতরের ঝাঁক পাঠায়। তাদের কাজ হল, অন্যান্য খামারের পশুদের সঙ্গে মিশে এই বিপ্লবের কাহিনী শোনানো ও সবাইকে "ইংল্যান্ডের পশু" গানটি শেখানো।
তৃতীয় পর্ব
হাড়ভাঙ্গা আর ঘাম-ঝরানো খাটুনি খেটে ঘাস কেটে ঘরে আনে তারা। যতটা ভেবেছিল, তারচেয়ে অনেক বেশী ফসল ঘরে আনতে পারে সবাই মিলে।
নিজেদের ভাগ্যকে বিশ্বাসই করতে পারে না পশুরা। প্রথম কাজ হিসেবে খামারের পুরো সীমানা লাফিয়ে লাফিয়ে খুঁটিয়ে দেখে। হয়তো কোথাও কোনো মানুষ লুকিয়ে থাকতে পারে!
২য় পর্ব
তিনরাত পর মৃত্যু হয় বুঢঢা মেজরের। ফলবাগানের এক প্রত্যন্ত কোণে কবর হয় তার।
মুখবন্ধ
নিউপোর্ট, রোড আইল্যান্ডের টমাস টিউকে ১৬৯২ সালে বারমুডায় দেখা যায়। সেখানে সে একটা ছোট পালতোলা নৌকা কেনে, পয়সা সে কোথায় পেয়েছিল কেউই নিশ্চিত না। তবে পরে এক কর্মকর্তা লিখে গেছেন যে সে অতীতে দুর্ধর্ষ পাইরেট ছিল। ১৬৯১ এর শেষে একই নামের এক দস্যু কেপ কডে লুটপাট চালায়। যদিও একথা প্রমাণিত না যে এই টিউই সেই ব্যক্তি, কিন্তু সন্দেহ থেকেই যায়।
ডিসেম্বর ১, ১৬২৭
দাক্ষিণাত্যের নিজামশাহী এলাকা
আমার পিতার চার স্ত্রী, কিন্তু যাকে তিনি সবচাইতে ভালোবাসেন আমি সেই আরজুমান্দ বানু বেগমের কন্যা। আমি নিজেও বেগম, রাজকন্যা। আমার নাম জাহানারা, খুররমের কন্যা, সম্রাট জাহাঙ্গীরের পৌত্রী, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মোগল শাসক আকবরের প্রপৌত্রী, বাবুরের প্র-প্র-প্রপৌত্রী।
আমার রয়েছে পায়ের আঙুলের মত বড় হীরে আর গুবরে পোকার আকারের চুনিপাথর। রয়েছে সাঁইত্রিশ চাকরনফর আর আটটি বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত হাতি শুধুমাত্র আমারই সেবা করার জন্য। আমার যা নেই তা হল স্বাধীনতা। আমরা সকলেই আটকঃ আমার মাতা, পিতা, ছোট ভাইয়েরা আর ছোট বোনটি। সোনার ঝালর দেয়া তাঁবুতে পান্নাখচিত পাত্রে আমরা পান করি অথচ আমরা নিছকই বন্দী।
বন্ধুরা, আমাদের জীবনের এই অসহনীয় অবস্থার জন্যে একমাত্র এই মানুষ-প্রাণীদের একচ্ছত্র আধিপত্যই দায়ী। এদের দুর করতে পারলেই তোমাদের নিজস্ব পরিশ্রমের ফসল তোমাদেরই। এক রাতের মাঝে আমরা স্বাধীন ও সম্পদশালী হতে পারি। কী করতে হবে আমাদের?