Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

অনুবাদ

পশ্চিম আফ্রিকার উপকথা

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০৭/২০১২ - ৫:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কুকুর আর বেড়ালের মাঝে যেভাবে শত্রুতা শুরু হল


দারা পুত্র পরিবার

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: শনি, ১৬/০৬/২০১২ - ১১:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শাজাহান বাদশার ফ্যামিলিটি ছিল একটি আস্ত চিড়িয়াখানা। তার সাত ছেলেমেয়ের কেউ বাঘ তো কেউ সিঙ্গি, কেউ ধুর্ত শিয়াল তো কেউ মাথামোটা বেবুন। এক ভাই গান গায় তো আরেক ভাই কুরান মুখস্ত করে, এক বোন বই লেখে তো এক বোন সারাদিন আয়নার সামনে বসে কপালের টিপ সোজা করে। এক ভাই লালপানি টানতে টানতে ফার্সি বয়েত পড়ে তো আরেক ভাই কুস্তি লড়ে। ব্যাপক হুলস্থুল কান্ড। প্রতিটি বৃহৎ পরিবারের মতন সেখানে দলাদলিও ছিল, যাকে বলে রাজকীয় দলাদলি। বড়ভাইবোন দারা আর জাহানারা এক টীম, পিতার আশির্বাদধন্য। পরে অবশ্য অসুস্থ হওয়ার পরে দারার ব্যবহারে শাজাহান কিছুটা সন্দিহান হন, তবে কন্যা জাহানারাকে আমৃত্যু অত্যাধিক স্নেহ করতেন সম্রাট। পাঠক “অত্যাধিক” শব্দটি খেয়াল করবেন। অনেকেই এর বিশেষ অর্থ করেন যা কখনোই প্রমাণিত হয়নি।

টীম নম্বর দুই তৃতীয় পুত্র আওরঙ্গজেব আর দ্বিতীয় কন্যা রওশনআরা। মৌলবাদী আওরঙ্গজেবের চক্ষের বিষ দারাশুকো, আর কুটিল রওশনআরার টার্গেট বড়বোন জাহানারা। আমে দুধে হল মিল। রওশনআরা ছিলেন হারেমে আওরঙ্গজেবের স্পাই। দ্বিতীয় পুত্র শা সুজা একটি প্রকৃত ইডিয়ট, মদ খেয়ে গদির স্বপ্ন দেখা ছাড়া তিনি তেমন কিছু করতেন না। এই রাজপুত্রের পারস্যের প্রতি বিশেষ আকর্ষন ছিল, শিয়াদের তিনি খুব ভালো পেতেন। আওরঙ্গজেব পরে ছড়িয়েছিলেন যে সুজা শিয়া হয়ে গিয়েছে, কিন্তু তা সত্য নয়। আওরঙ্গজেব সত্য বলতেন অল্পই।


নটে গাছটি মুড়োলঃ কোপ মেরো দেখেশুনে

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: সোম, ১১/০৬/২০১২ - ৩:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৮৮৩ সালে প্রকাশিত রেভারেন্ড লাল বিহারী দে রচিত Folk Tales of Bengal বইতে গ্রামবাংলার কিছু লোককাহিনী পাওয়া যায়। সেই লোককাহিনী নিয়ে সিরিজের আজ দ্বিতীয় পর্ব, কোপ মেরো দেখেশুনে।
.........................................................................................................

এক রাজার ছিল তিন ছেলে। একদিন তার দরবারে প্রজারা এসে বলল, “হে মহানুভব, দেশ যে ভরে গেলো চোরডাকাতে! আমাদের ঘরবাড়ি হাঁড়িকুড়ি কিছুই যে আর নিরাপদ না, কিছু একটা করেন মহারাজ।” রাজা তার পুত্রদের বললেন, ওরে আমি নাহয় বুড়ো হয়েছি... তোরা তো এদিকে একটু নজর দিলে পারিস না কি?


পৌরুষ

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১০/০৬/২০১২ - ২:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


বনের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে সরু রাস্তাটি খোলা মাঠে মিশেছে। সাপের মতো এঁকে বেঁকে একটু একটু করে ঢালু হয়েছে সামনের পথটা। একজোড়া বাইসাইকেল ফ্রি হুইল করে এগিয়ে আসছিল। একটিতে বাবা, অন্যটিতে ছেলে। প্যাডেলে একটুও চাপ ছিলনা, তবু এগুচ্ছিল বেশ ভ্রুতই। বাপ বেটা দুজনেই শ্বাস ফেলছিল অনায়াসেই। অবশেষে বনের প্রান্তে এসে সামনে চোখ মেলে সামনে তাকালো তারা। ফ্রি হুইলের স্বস্তি ফুরিয়ে যাবার আগেই দেখলো, ছোট্ট ঢালুটা ফুরিয়ে এসেছে। সেইসাথে রাস্তাটা আবার উপরে উঠতে শুরু করেছে।


শহরের নাম বানর ডিম

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: রবি, ০৩/০৬/২০১২ - ৪:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গঙ্গাতীরের উর্বর ভূমিতে একদল তুর্কী আর আফগান ঘোড়সওয়ার সবার পয়লা ইসলামের পতাকা হাতে হাজির হয়। তাদের তরুণ নেতার নাম ছিল মুহম্মদ বখতিয়ার, তার নেতৃত্বে সেই বাহিনী পথের সকল শহরপত্তন পায়ের তলায় মাড়িয়ে নির্দয়ভাবে এগোতে থাকে। বিহারের বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করে দেয় তারা, তীর্থশহর বেনারস জ্বালিয়ে দেয়া হয়। চলে লাগামছাড়া লুট। বাংলার নদীয়া শহরে এসে তারা ঘোড়ার সওদাগর সেজে ফট করে অন্দরে ঢুকে পড়ে, তারপর সহসাই কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগে প্রহরীদের কল্লা নামিয়ে দিতে দিতে রাজার অন্দরমহল পর্যন্ত পৌঁছে যায়। রাজামশাই মোটে ভাত খেতে বসেছিলেন, খবর শুনে তিনি দিলেন উল্টোদিকে ছুট! ছুটতে ছুটতে তিনি সেই যে কোন জঙ্গলে পালিয়ে গেলেন, আর তার কোন খবরই পাওয়া গেল না। ঐ থেকে বাংলায় তুর্কী আফগান মুসলিম শাসন শুরু হয়, যা টিকে ছিল পরবর্তী পাঁচশো বছরেরও বেশি।


ব্যক্তিক জ্ঞান

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি
লিখেছেন ধ্রুব বর্ণন (তারিখ: শনি, ০২/০৬/২০১২ - ৪:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এআই গবেষক প্রফেসর রিচার্ড সাটন এআই-সংক্রান্ত তার মৌলিক কিছু ভাবনা নিয়ে ২০০১ সালে কয়েকটি ব্লগ লিখেছিলেন। ভাবনাগুলো আমার কাছে সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। নিজের ভাবনার সাথে মিল ও ওনার সাথে ভাবনাগুলোর আদান-প্রদানের ব্যক্তিগত ইতিহাসের কারণে। এখানে ওনার Subjective Knowledge ব্লগটির ভাবানুবাদ করলাম।


স্মৃতিপটে আঁকা

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা পারভীন শিমুল (তারিখ: শনি, ২৬/০৫/২০১২ - ৮:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“আরে, আপনি আপনার কার্ডটা ফেলে যাচ্ছেন, স্যার! মিস্টার বেগ?” পেছন থেকে চেঁচালো জেরিন। তারপর পিছু পিছু ছুটলো। কিন্তু ততক্ষণে দরজা ঠেলে রাস্তার ভীড়ে মিশে গেছে মাঝবয়েসি লোকটা, জালাল বেগ। কী আর করা। কার্ডটা পকেটে ঢুকিয়ে রাখলো ও। ফিরে এসে আবারো কাউন্টারে বসলো।

একটু পরে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকলো ঝকঝকে চেহারার এক যুবক। ওর মনমোহিনী হাসিই বোধহয় টেনে আনলো যুবককে তার কাউন্টারে। সোজা এসে জেরিনকে বললো সে,


সালিশ মানি, কিন্তু তুই ব্যাটা পাগল !

মন মাঝি এর ছবি
লিখেছেন মন মাঝি [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২৬/০৫/২০১২ - ৩:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মূলঃ মার্ক টোয়েন

ইষৎ সংক্ষেপিত অনুবাদঃ মন মাঝি


মার্ক টোয়েনের বচনামৃত - ২

মন মাঝি এর ছবি
লিখেছেন মন মাঝি [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৪/০৫/২০১২ - ৯:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মার্ক টোয়েনের বচনামৃত - ১ম পর্ব এখানে

গৌরচন্দ্রিকাঃ মার্ক টোয়েনের বচনামৃতের আগের পর্বে একজন বলেছিলেন এই সংগ্রহের একটা ভূমিকা লিখলে ভাল হত। কিন্তু টোয়েন এতই বিশ্ববিখ্যাত, বিশ্বপরিচিত আর জনপ্রিয় লেখক আর সেইসাথে তাঁর লেখা এতই কালোত্তীর্ণ আর স্বতঃজ্বাজ্জ্বল্যমান, যে তার সম্পর্কে এমন কি লিখব যা অপ্রয়োজনীয় বাগ্‌বিস্তার বলে মনে হবে না, বা মা'র (এক্ষেত্রে পাঠকের) কাছে মাসির বাড়ির গল্প বলার মত মনে হবে না - তা কিছুতেই ভেবে বের করতে পারলাম না। তাই এবারও কোন ভূমিকা লেখা গেল না! এটা আমারই ব্যর্থতা হয়তো। কিম্বা হয়তো আমার এই ব্যর্থতাই টোয়েন সম্পর্কে একরকম ভূমিকা।


গঙ্গা বইছো কেন

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: রবি, ২০/০৫/২০১২ - ১২:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রিয় পাঠক আজ মনখারাপের গল্প। দুখিনী ভারতবর্ষ যুগে যুগেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের বলি, তার মধ্যে একটি দুর্ভিক্ষ। ভিক্ষার অভাব। এই অভাব আমাদের অনেকদিন ধরেই, বাংলার ঐশ্বর্যে চোখ ঝলমল করা বর্ণনা আমরা যে পাই বিভিন্ন ঐতিহাসিক গ্রন্থে তার মুদ্রার অপর পিঠের অন্ধকার নিয়ে লিখা আছে অল্পই। শায়েস্তা খাঁ এর টাকায় আট মণ চালের গল্পে উদ্বাহু হয়ে নৃত্য করার আগে যাচাই করে নেয়া জরুরী, কয়টা লোকের পকেটে টাকাটা ছিল। পর্যাপ্ত ফসলের অভাব নয় বরং ক্রয়ক্ষমতার অভাবকেই দুর্ভিক্ষের মূল কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন অমর্ত্য সেন।