বাংলার নবাব মুর্শিদ কুলি খান ছিলেন অত্যন্ত কড়া শাসক। মৌলবাদ হল অফ ফেম এর সুপারস্টার আওরঙ্গজেবের তল্পিবাহক মুর্শিদ কুলি, যেমন গুরু তেমনই তার চেলা। মানুষ প্রজা নিপীড়ন করে তিনি প্রজা জমিদার দুটাই নিপীড়ন করতেন। তিনি ছিলেন কনভার্টেড মুসলমান, দলে দলে লোকে খৎনা করে মুসলমান হচ্ছেনা দেখে তার খালি মনে হত কেনু কেনু। ঠিক আওরঙ্গজেবের মত (অথবা জিন্নার মত, অথবা মোল্লা ওমরের মত, অথবা জামাতের মত) তার দৃঢ় সংকল্প ছিল সোনার দেশটা মুসলমান দিয়ে ভরিয়ে তোলার।
ছত্রপতি শুনলে মনে হয় ছাতি মাথায় মানুষ বুঝি। মারাঠি ভাষায় ছত্রপতি অর্থ সম্রাট। সংস্কৃত শব্দ ক্ষেত্র (এলাকা) থেকে ছত্র, সুতরাং ছত্রপতি=ক্ষেত্রপতি=ফিল্ড মার্শাল। মোগল সাম্রাজ্যের মাথাব্যথার কারন হয়ে ওঠা দুর্ধর্ষ মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ ভারতের সকল হিন্দু মৌলবাদীদের কলিজার টুকরা। হিন্দু প্রজানিপীড়নকারী মুসলমান মোগল বাদশার বিপক্ষে তিনি ধারাল হিন্দু তলোয়ার নিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন বলে কথিত আছে। তবে পৃথিবীর অন্যান্য নেতার মতই তার আসল ধর্ম ছিল ক্ষমতা, ক্ষমতার লোভে তিনি যে মোগলের সাথে আজ আড়ি দিতেন কাল তাকেই বুখে আয় বাবুল বলে ডাক দিতেন। শিবাজী প্রতিষ্ঠিত মারাঠা বাহিনী ছিল প্রথম শ্রেণীর গেরিলা যোদ্ধা, সংখ্যায় বৃহত্তর সৈন্যবাহিনীকে ছোট ছোট সুশিক্ষিত মারাঠা দলের হিট অ্যান্ড রান পদ্ধতিতে নাকাল করতে জুড়ি ছিলনা। ছেলে ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এল দেশে, ছেলেবেলায় পড়া কবিতার বর্গী হল এই মারাঠা গেরিলার দল।
মোগল সাম্রাজ্যের সর্বশেষ প্রতাপশালী বাদশা আওরঙ্গজেব ছিলেন একটি এক্সপোর্ট কোয়ালিটি শয়তানের লাকড়ি। গদিতে বসার জন্য তিনি তার প্রতিটি ভাইকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হত্যা করেন, পিতা শাজাহানকে জেলের ভাত খাইয়ে মারেন। গদিতে বসে তিনি গণহারে হিন্দুদের খৎনা করে মুসলমান বানাতে থাকেন, ধর্মীয় বৈষম্যমূলক জিজিয়া কর পুনরায় চালু করেন, হাজার বছরের পুরোন মন্দির প্যাগোডা ধুলোয় মিশিয়ে দেয়া হয়। তিনি ভন্ডামীরও বাদশা ছিলেন, সকাল বিকাল কুরান শরীফ মাথায় ঠেকিয়ে জিহাদি জোশ দেখালেও রাতে নিজেরই বিয়ে করা হিন্দু বউয়ের কোমল বুকের খাঁজে নাক ডুবিয়ে ঘুমাতে তার আটকাতো না। প্রখর বুদ্ধিমান, প্রতারকশিরোমণি ও চরম ধুরন্ধর মহীউদ্দিন মুহম্মদ আওরঙ্গজেব ছিলেন একটি ক্রিমিনাল মাস্টারমাইন্ড।
[শেলির 'অৌড টু দ্য ওয়েস্ট উইন্ড' কবিতাটি ইংরেজি সাহিত্যের রোম্যান্টিক যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতা। এখানে বাংলা রোম্যান্টিক যুগের ভাষা-শব্দ-চিত্রকল্প অনুসরণ করে কবিতাটি অনুবাদ করার চেষ্টা করা হয়েছে।]
১.
উদ্দাম ঈশানী ঝড়! আশ্বিনের প্রাণের নিঃশ্বাস
তোমার অদৃশ্য স্পর্শে উড়ে যায় ভয়ার্ত চঞ্চল
চান্দেরনগরের মাইল তিনেক দূরেই ওলন্দাজ কুঠি চিনসুরা১। তখন বাংলার নবাব মীর জাফর। ইংরেজের বদান্যতায় গদীতে বসেছিলেন বলেই হয়তো কবে আবার চড় দিয়ে নামিয়ে দেয় সেই ভয় তার ছিল। তাই নবাব ওলন্দাজদের বাংলায় একটা কুঠিস্থাপনের অনুমতি দেন যেন আবার পোল্টি খাওয়ার দরকার পড়লে আরেক সাদা লোকের সাহায্য পাওয়া যায়। বাটাভিয়া২
[justify]
রুমার মনটা আজ বেশ ভালো। গুনগুনিয়ে যখন গান গাচ্ছিলো তখন পেটের বাবুটাও খানিক নেচেছে ওর সাথে। নাচবেই না বা কেন? ও ভালো গায় না নাকি? বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন তখন হুট করে গেয়ে ফেলতো দু চার লাইন, তারপরে সবার মাঝে হুড়োহুড়ি পরে গেলেও আর একটুও গাওয়ানো যেতো না ওকে দিয়ে! জামশেদও ওর প্রেমে পরে টিএসসিতে এক অনুষ্ঠানে ওর গান শুনেই। ওর এক বন্ধুর সাথে এসেছিলো অনুষ্ঠানে, পরে খুঁজেপেতে বের করে রুমার বাসায় একেবারে বিয়ের প্রস্তাব। ভালো পাত্র পেয়ে ওর বাবা মাও না করেনি।
সেই বিয়ের আজ দুবছর হলো, আর রুমার পেটে এখন ওদের সন্তান। আর মাত্র কয়েকটা মাস, তারপরে তুলতুলে একটা জ্যান্ত পুতুল ওর সমস্ত একাকীত্ব ভুলিয়ে দেবেই দেবে, রুমা সেটা খুব করে জানে!
দোর্দন্ড প্রতাপশালী ইংরেজের কামানের সামনে পলকা বাঁশের কেল্লা নিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন আমাদের বাংলার তিতুমীর। তিনি ছিলেন একটি আস্ত মৌলবাদী, শুধু ইংরেজ নয় সকল কাফিরের বিরুদ্ধেই তার গুষ্টি কিলাই মনোভাব ছিল। তবে ইংরেজদের সাথে ঘাড় ত্যাড়ামি করার জন্য তাকে হাই ফাইভ দেয়া যায়।
পৌরববিজয় এক বিরাট ব্যাপার, এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব মহান আলেকজান্ডারের খয়েরখাঁরা যতটা প্রচার করে তার চেয়ে অনেক ব্যাপক। হেরে গেলে সর্বনাশ হতো, পৌরবেরা অবশ্যই তাক্সিলা দখল করতে এগিয়ে যেত আর মহান আলেকজান্ডারকে কাবুলের বেতমিজ পাহাড়িদের এলাকা দিয়ে ফেরত যেতে হতো। এই বিজয়ে শুধু যে পৌরব হাতে এল তাই নয়, উপরন্তু পারস্যের সাথে সিন্ধু নদ আর ভারত মহাসাগরের মাধ্যমে নতুন কানেকশন খুলে গেল।
খ্রিস্টজন্মের ৩২৭ বছর আগের কথা। ভারতবর্ষ। সুদূর ম্যাসিডোনিয়ার গ্রীক রাজা আলেকজান্ডার সৈন্যবাহিনী নিয়ে কাবুল নদী পার হয়ে দ্রুত সিন্ধুনদের দিকে ধাবমান। তার বয়স মোটে আঠাশ বছর, তবু তার পায়ের তলায় পশ্চিম ইয়োরোপ থেকে পারস্য পর্যন্ত। এশিয়াতে তার নাম লোকে একই সাথে শ্রদ্ধা ও ত্রাসের সাথে উচ্চারন করতো, তিনি ছিলেন তাদের কাছে দেবতার মতই। অন্য সাধারন তাতার কমান্ডারের মত তিনি শুধুই লুটপাটের জন্যে রাজ্য দখল করতেননা, কিংবা গ্রীক সংস্কৃতি দিকে দিকে ছড়িয়ে দেবার মহান দায়িত্বও তার ছিলনা। তার স্বপ্ন ছিল সারা দুনিয়াকে তার সাম্রাজ্যে পরিণত করা।
মানব ইতিহাসের এক অন্ধকার অধ্যায় ডাইনী নিধন। অবাস্তব মনগড়া অভিযোগের ভিত্তিতে অসংখ্য নারীকে পুড়িয়ে পিটিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয় ডাইনী নাম দিয়ে। ১৮৪৪ সালে প্রকাশিত উইলিয়াম হেনরী স্লিম্যান লিখিত “Rambles and recollections of an Indian official” বইতে পাওয়া যায় ভারতীয়দের ডাইনীবিশ্বাসের গল্প।
….............................................