নটে গাছটি মুড়োলঃ কোপ মেরো দেখেশুনে

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: সোম, ১১/০৬/২০১২ - ৩:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৮৮৩ সালে প্রকাশিত রেভারেন্ড লাল বিহারী দে রচিত Folk Tales of Bengal বইতে গ্রামবাংলার কিছু লোককাহিনী পাওয়া যায়। সেই লোককাহিনী নিয়ে সিরিজের আজ দ্বিতীয় পর্ব, কোপ মেরো দেখেশুনে।
.........................................................................................................

এক রাজার ছিল তিন ছেলে। একদিন তার দরবারে প্রজারা এসে বলল, “হে মহানুভব, দেশ যে ভরে গেলো চোরডাকাতে! আমাদের ঘরবাড়ি হাঁড়িকুড়ি কিছুই যে আর নিরাপদ না, কিছু একটা করেন মহারাজ।” রাজা তার পুত্রদের বললেন, ওরে আমি নাহয় বুড়ো হয়েছি... তোরা তো এদিকে একটু নজর দিলে পারিস না কি?

তিন রাজপুত্র ঠিক করল রাত জেগে শহর পাহারা দেবে। সূর্য ডোবার পর ঘোড়া ছুটিয়ে টহলে বেরুল বড় রাজকুমার, চোরছ্যাঁচড় কিছু নজরে পড়ল না তার। মধ্যরাতে সে প্রাসাদে ফিরে এল আর টহলে বের হয় মেজো রাজকুমার। সেও নানাদিকে ঘোড়া ছুটিয়ে কিছুই পেল না, ভোর হবার ঘন্টা কয় আগে ছোট রাজকুমারের পালা। সে ঘোড়ায় করে পিতার প্রাসাদের বাইরে দিয়ে যাবার সময় দেখে এক অতীব সুন্দরী নারী প্রাসাদ ছেড়ে বের হচ্ছে।

“দাঁড়াও!”, হুঙ্কার দিল রাজকুমার, “কে হে তুমি? এই নিশুতিরাত্রে হাঁটাহাঁটির মানেটা কি?”। সুন্দরী উত্তর দিল, “আমি রাজলক্ষ্মী, এই প্রাসাদের দেবী। কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজা মারা যাবেন, তাই আমার এখান থেকে ছুটি।”

রাজকুমার তো ভারি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল, এ আবার কি সংবাদ। রাজা মরলে ক্যাম্নে কি। সে তাড়াতাড়ি বলল, “আচ্ছা দাঁড়াও দাঁড়াও, মনে করো রাজা যদি না মরে তাহলে তুমি থাকবে?” লক্ষ্মী বলল নিচ্চয় থাকব। রাজকুমার তখন দিল রাজার কামরার দিকে ছুট, রাজাকে গার্ড দিতে হবে।

রাজা তখন প্রাসাদ কাঁপিয়ে নাক ডাকাচ্ছেন। রাজকুমার গিয়ে দেখে রাজার পাশে তার যুবতী বউ, রাজকুমারের সৎমা, আরেক বিছানায় ঘুমাচ্ছেন। কোণায় জ্বলছিল মিটমিটে পিদিম। তারই আলোয় রাজকুমার দেখে মেঝেয় এক বিরাট গোখরা সাপ, পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে এগোচ্ছে রাজার বিছানার দিকে। ফট করে তলোয়ার বের করে সাপকে কেটে পঁয়ত্রিশ পিস করল তদ্দন্ডেই, আর একটা বড় পানের বাটার মধ্যে টুকরাগুলি ভরে রাখতে লাগল। কাটাকুটির সময় এক ছিটে রক্ত রাণীর বুকে লেগে যায়, তাই দেখে রাজকুমারের বড় দুঃখ হয়, “আহা পিতাকে বাঁচিয়ে তুললাম কিন্তু সৎমাটি না মরে যায় বিষের ছোঁয়ায়!” সে কাপড়ের টুকরা দিয়ে রক্তের ছিটা মুছতে উদ্যত হল।

এমন সময় তড়াক করে ঘুম ভাঙল রাণীর, নিজের বুকে রাজকুমারের হাত দেখে তিনি তো গেলেন ভারি চটে! রাজকুমার ভয়ে দিল দৌড়, আর রাণী কাঁদতে কাঁদতে বিচার দিলেন রাজার কাছে, ওগো শুনছ, তোমার ছোট ছেলে যে আমার... ভেউ ভেউ ভেউ (এস্থলে ঘন ঘন অশ্রুবর্ষণ ও দীর্ঘশ্বাস)।

পরদিন সকালে রাজা তার বড় ছেলেকে ডাকলেন, বললেন “শোন বাছা, বিশ্বাসভঙ্গের শাস্তি কি?” রাজকুমার উত্তর দিল, “অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড, কোপ দিয়ে তার কল্লা নামিয়ে দেওয়া দরকার। তবে কথায় আছে, কোপ মেরো দেখেশুনে।” রাজা বললেন, “তার মানে?” রাজকুমার বললেন, “শুনুন তবে।

এক দেশে ছিল এক স্বর্নকার আর তার জোয়ান ব্যাটা। জোয়ান ব্যাটার ছিল এক নয়া বউ, যে কিনা পশুপক্ষীর কথা বুঝত। তবে তার এই গুণের কথা শ্বশুরবাড়ির কারো জানা ছিল না। এক রাত্রে বিছানায় শুয়ে সে শুনতে পেল শিয়ালের ডাক, “হুক্কা হুয়ায়ায়া! নদীতে ঐ ভেসে যায় এক সুস্বাদু মড়া, তার আঙুলে আবার আংটি! মড়াটা তীরে কেউ নিয়ে আয়না ভাই... তার বদলে হীরের আংটি নিয়ে যা!” বউটি তড়াক করে উঠে পড়ল, হীরের শখ তার বহুদিনের। সে হাঁটা দিল নদীর দিকে। এদিকে বউকে রাতবিরাতে বেরুতে দেখে খুবই বিশ্রী সন্দেহ হল ছেলেটির, সে পিছুপিছু গেল বউয়ের। বউটি নদীতে নেমে টেনে আনলো মড়াটি, কিন্তু আংটি খুলতে গিয়ে দেখে আঙুল ফুলে পেয়ারাগাছ হয়ে আছে, আংটি আর খোলে না। কি আর করা, কামড়ে আঙুল ছিঁড়ে আনতে হল। তারপরে আংটিটি ধুয়ে আঁচলে মুছে ব্লাউজে গুঁজে সে চুপিচুপি ফিরে গেল ঘরে।

এদিকে পতিবাবাজি তো শুয়ে শুয়ে দাঁতকপাটি! ইকি দেখলাম রে বাবা, মড়া খেয়ে ডিনার করা বউয়ের ঘর করে কিভাবে মানুষ। এতো বউ নয় রাক্ষুসি! ভোরবেলা পিতা জেগে উঠতেই সে দৌড়ে তাকে গিয়ে সব খুলে বলল রাতে কি কি দেখেছে, আর বলল হে পিতাজি, এই বউ একদিন রাতে মড়া না পেলে আমাকেই সাবাড় করবে ঠিক! বাঁচাও!

পিতাপুত্র মিলে ঠিক করল একে গভীর জঙ্গলে গিয়ে ছেড়ে দেওয়া যাক, বাঘসিঙ্গি খেয়ে নিবে আপদ যাবে। প্ল্যানমাফিক ছেলেটি বউকে গিয়ে বলল, ওহে ভালোবাসা আমার ময়না পাখিটি, বেশি রান্না করার দরকার নেই আজকে। এই দুটা ভাত চড়াও আর কিছু বেগুনপোড়া। চলো আজ তোমার পরিবারের সাথে দেখা করে আসি, তোমার সাথে দেখা করার জন্যে তারা নিশ্চয়ই অস্থির হয়ে আছেন।

খেয়েদেয়ে তারা জঙ্গলের পথ ধরল। পথে বউটি শুনল এক সাপে কইছে, “হে পথিক, আইস পরষ্পরের পিঠ চুল্কাই। গর্তের ভিতর কর্কশ শব্দ করছে ঐযে বেয়াদব কোলাব্যাঙটি, তার পেটের ভিতর নানাবিধ মুল্যবান রত্ন। ধনরত্ন নিয়ে যাও কোলাব্যাঙটি দিয়ে যাও। ইনফরমেশনের বিনিময়ে খাদ্য।” বউটি তো নগদে মাটি খোঁড়া শুরু করে দিল, তাই দেখে জামাই তো ভয়ে শেষ। ওরে নারে, রাক্ষুসি নিচ্চয় আমার কবর খুঁড়ছে! কিন্তু তার বদলে নানান ধনজহরত নিয়ে যখন বউ তার কাছে এল তখন তো তার চক্ষুস্থির। ঘটনা কি! বউ তখন খুলে বলল যে সে পশুপক্ষীর ভাষা বোঝে এই হল ব্যাপার। খুশি হয়ে তারা শ্বশুরবাড়ির বদলে বাড়ি ফেরত গেল। বাসার সামনে এসে ছেলেটি বলল, “যাই আমি এগুলি বাবাকে দেখিয়ে আনি। আমি সামনের দরজা দিয়ে যাই তার দোকানে, তুমি পাছদুয়ার দিয়ে ঘরে চলে যাও”। কিন্তু পিছনের দরজার সামনে বসে ছিল পিতা, বউকে একলা আসতে দেখে তার মনে হল রাক্ষুসি নিশ্চয়ই তার ছেলেটিকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলেছে! হাতের হাতুড়ি দিয়ে সে দিল বউয়ের মাথায় বাড়ি, আর বউ গেল মরে। ছেলেটি ছুটতে ছুটতে আসে ঠিকই, কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।

তাই বলছিলাম রাজামশাই, বলা হয় কোপ মেরো দেখেশুনে।”

এবার রাজা ডাকলেন দ্বিতীয় পুত্রকে, “বিশ্বাসঘাতকের শাস্তি কি?” রাজপুত্র বলল, “কোপ দিয়ে কল্লা নামিয়ে দেওয়া অবশ্যই। তবে কিনা, লোকে বলে কোপ মেরো দেখেশুনে।” রাজা বললেন, কিরকম? রাজপুত্র বললেন, “শুনুন তবে।

এক ছিল রাজা, তার ভারি শিকারের শখ। একদিন তিনি ঘোড়া ছুটিয়ে গহীন জঙ্গলে চলে গেলেন দলবল পিছে রেখে, আর তার পেল ভারি পিপাসা। তিনি এগিয়ে চলেন এগিয়ে চলেন, গ্রামগঞ্জ কিছু আর মেলেনা। ঝিরি পুকুরও কিছু নাই। শেষে তিনি দেখে পানির ফোঁটা পড়ছে এক গাছ থেকে। তিনি ভাবলেন বৃষ্টির পানিই হবে, তিনি মগে করে সেই তরল জমিয়ে নিলেন। রাজা বৃষ্টির পানি মনে করলেও এটা যে আসলে গাছের মগডালে বসে থাকা এক বিরাট সাপের মুখনিঃসৃত বিষ তা ঘোড়াটি ঠিকই টের পেয়েছিল, তাই সে দ্রুত কাপটি ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল। তৃষ্ণার্ত রাজা ভারি বিলা হয়ে দিলেন ঘোড়ার গলায় কোপ, আর ঘোড়াটি গেল মরে। তাই বলছিলাম রাজামশাই, লোকে বলে কোপ মেরো দেখেশুনে।”

এইবার রাজা ডাকলেন ছোট কুমারকে। একই প্রশ্ন, বিশ্বাসঘাতকতার শাস্তি কি। রাজকুমার বললেন, অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড, কোপ দিয়ে হোক কল্লা ঘ্যাচাং। তবে কিনা, লোকে বলে কোপ মেরো দেখেশুনে। রাজা বললেন, “কিরকম?” রাজকুমার বলল, “শুনুন তবে।

এক ছিল রাজা আর তার ছিল এক শুকপাখি। একদিন শুকপাখি মর্নিং ফ্লাইং এ বেরিয়ে দেখে দূরে এক পাখির ডালে বসে আছে তার পিতামাতা। তারা বলল, এসো আমাদের সাথে ঘুরে যাও কয়দিন। শুকপাখি বলল, আচ্ছা রাজাকে বলে আসি তবে। পাখিটি ছিল রাজার খুবই প্রিয়, তাই অনিচ্ছার সাথে প্রস্তাব মঞ্জুর করলেন রাজা। পাখি বেড়াতে গেল বাপের বাড়ি। একপক্ষকাল থাকার পর পাখি বলল, আচ্ছা অনেক তো হল, এইবার আমি ফিরে যাই। পিতামাতা রাজি হলেন, আর কৃতজ্ঞতাস্বরুপ রাজার জন্যে উপহার দিলেন অমৃতগাছের ফল। পরদিন ভোরবেলা ঠোঁটে করে ফলের বোঁটা ধরে উড়াল দিল শুকপাখিটি। ভার বহন করে সে অভ্যস্ত নয়, কিছুক্ষণ পরেই তার ক্লান্ত লাগতে থাকে। সে একটা গাছে রাতের জন্য বিশ্রাম নিল। সে ভাবল, ঠোঁটে এরকম ধরে রাখলে ঘুমের ঘোরে ফল পড়ে যাবে মনে হয়, তার চেয়ে গর্তের ভিতর ফলটি রেখে নিদ যাওয়া যাক। যে কথা সেই কাজ, গর্তে ফল রেখে সে দিল ঘুম।

গর্তটি ছিল এক সাপের বাসা। অনাহুত ফলের আগমনে বিরক্ত হয়ে সাপটি ফলে ঠুকরিয়ে বিষাক্ত করে দিল। এসব কিছুই না জেনে পাখিটি পরদিন সকালে দরবারে উপস্থিত হয়ে উপহার হাজির করল। রাজা মুখে দেবেন, তখন পাত্রমিত্রঅমাত্য সকলে মাথা নেড়ে ভারি হাঁ হাঁ করে উঠলেন, হে রাজামশাই ফলটি তো বিষাক্তও হতে পারে। তখন একটুকরা ভেঙে একটি কাককে খাওয়ানো হল, আর কাক সাথে সাথে ঠ্যাং উল্টে অক্কা।

রাজা তখন শুকপাখির উপর ভয়ংকর চটে গেলেন, আর এক কোপে পাখিটির কল্লা নামানোর হুকুম দেওয়া হল।

এদিকে হল কি, আধ খাওয়া ফলটি দূরে মাটিতে পড়ে ছিল, তাই থেকে হল এক গাছ। রাজা গাছের আশপাশে দিলেন উঁচু বেড়া, আর এক দারোয়ান বন্দুক কাঁধে পাহারায় থাকল যেন কেউ আবার ভুলে এই ফল খেয়ে না বসে।

কাছেই এক গঞ্জে ছিল এক ভিখিরি ব্রাহ্মণ আর তার বউ। জীবনের উপর ঘেন্না ধরে যাওয়ায় তারা দুজনে ফন্দী করল ঐ গাছের ফল খেয়ে আত্মহত্যা করা যাক। ভোররাতের দিকে পেয়াদা যখন আকাশ ফাটিয়ে নাক ডাকছে তখন চুপিচুপি তারা ফল পেড়ে খেয়ে ফেলল। তারপরে দুইজনেই মরে যাবে ভেবে ভেউ ভেউ করে কাঁদতে কাঁদতে ঘরে গিয়ে দিল মরণঘুম।

পরদিন সকালে নরকে ঘুম ভাঙার বদলে তারা নিজেদের ঘরেই উঠে ভারি চমৎকৃত হল। আহা ব্যাপার কি, বেশ ফ্রেশ লাগছে কিন্তু। দুজনে দুজনকে দেখে চিনতেই পারেনা, শ্রীহীন বেশভূষা পাল্টে বেশ লাল্টু মার্কা চেহারা হয়ে ওঠে তাদের, গায়েগতরেও কেমন জোর বেড়ে যায়। পাড়াপ্রতিবেশিরা চিনতেই পারেনা। দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে তাদের এই কাহিনী, ক্রমে তা রাজার কানেও আসে। দুয়ে দুয়ে বাইশ মিলিয়ে রাজা বোঝেন কি ভুলটাই না করেছেন।

তাই লোকে বলে, কোপ মেরো দেখেশুনে।”

রাজা তখন বললেন, আচ্ছা ঠিক আছে কোপ মারার আগে দেখেশুনে নেওয়া যাক। কাল রাত্রের ব্যাপারে তোমার মত কি? ছোট রাজকুমার বললেন, “নিশ্চয়ই রাজার ধারনা আমি আপনার বেডরুমে ঢুকেছি দুষ্টুমি করার জন্য। কিন্তু তা নয়, ঘটনা অন্য। কাল রাতে টহলের সময় আমি দেখি এক সুন্দরী নারী প্রাসাদ ছেড়ে যাচ্ছে, তাকে পাকড়াও করায় সে বলল সে দেবী লক্ষ্মী আর রাজা মারা যাচ্ছেন দেখে তার প্রাসাদ থেকে ছুটি মিলে গেছে। তাই আমি আপনার মহলে যাই, গিয়ে এক সাপকে কেটে পিস পিস করি আর ঢুকিয়ে রাখি পানের বাটার ভিতর। কিন্তু রাণীমার বুকে রক্তের ছিটা লাগে, ঐ বিষ মুছে দিতে গিয়েই রাণীর ঘুম ভেঙে যায়। তার পরের ঘটনা আপনার সবই জ্ঞাত।”

রাজা ভারি খুশি হলেন এই কথা শুনে, জীবন বাঁচানোর জন্য তিনি ছোট ছেলেকে জড়িয়ে ধরলেন। আর রাজ্যের সবাই ভারি সুখে শান্তিতে বসবাস করতে থাকল।

গল্পটি ফুরোলো, নটে গাছটি মুড়োল।


মন্তব্য

ক্রেসিডা এর ছবি

একটানে পড়ে ফেল্লাম। দারুন লাগলো।

সিরিজের প্রথম পর্বের লিঙ্কটা দেন কষ্ট করে একটু।

ভালো থাকা হোক।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

সত্যপীর এর ছবি

উপরে "নটে গাছটি মুড়োল" ট্যাগে ক্লিক করলেই আগেরটা পেয়ে যাবেন কিন্তু।

পড়ার জন্য থ্যাঙ্কু।

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম...
পরের পর্ব- পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

কড়িকাঠুরে

সত্যপীর এর ছবি

অইবো অইবো, পপ্পন খান।

..................................................................
#Banshibir.

তারেক অণু এর ছবি
সত্যপীর এর ছবি

দেঁতো হাসি

..................................................................
#Banshibir.

হিমু এর ছবি

রাজা আসল কথা যেটা মুখ ফুটে বলতে পারে নাই, y u no keep ur hands off my yf's tts?

সত্যপীর এর ছবি

চিন্তা করেন হিম্ভাই, ব্যাটা গল্প ফাঁদসে যে সাপ কাইটা পঁয়ত্রিশ পিস করার পরে একটাই রক্তের ছিটা পড়সে আবার সেইটাও একবারে জায়গামত। দুষ্ট রাজকুমার।

..................................................................
#Banshibir.

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

পারভার্ট দেঁতো হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

বন্দনা এর ছবি

এক্কেবারে ঠাকুমার ঝুলি, মেলাদিন পর সেরকম ফ্লেবারই পেলাম।

সত্যপীর এর ছবি

ঠিক কথা।

..................................................................
#Banshibir.

শান্ত এর ছবি

কিন্তু রাজ্যে চুরি ডাকাতির কি হলো শেষ পর্যন্ত?

__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত

সত্যপীর এর ছবি

শেষ লাইনে দেখলাম "সবাই সুখে শান্তিতে...", মনে হয় চোরডাকাতেও শান্তিতেই তাদের কাজ চালিয়ে গেছে।

..................................................................
#Banshibir.

মরুদ্যান এর ছবি

গল্পতো পুরাই দুধভাত! চোখ টিপি

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

সত্যপীর এর ছবি

ক্যান?

..................................................................
#Banshibir.

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

বুকে হাত দেয়ার কত প্ল্যান, এইটা হয়ত পুরাটাই ছোট রাজকুমারের প্ল্যান। এই চুরির ঘটনা থেকে সবকিছুই। আপনার আগের লেখাগুলা থেইকা তো মোটামুটি বোঝাই গেছে, রাজা-মহারাজাদের জন্যে পারভার্ট হওয়া খুব একটা স্বাভাবিক ব্যাপার দেঁতো হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সত্যপীর এর ছবি

কই না তো আমি কখন রাজাগজারে খারাপ বললাম? উনারা খুব বালো আছিলেন, দুষ্টলোকের কথায় কান দিতে নাই।

..................................................................
#Banshibir.

রংধনুর কথা এর ছবি

হাততালি

সত্যপীর এর ছবি

দেঁতো হাসি

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

রাজা নিজেই তদন্ত করলো, শাস্তি মওকুফ করলো আবার কেসও তার বৌরে নিয়া- এইটা কি ঠিক হইলো??
আমার মনে হয় রাজলক্ষী ক্যারেক্টারটা আসল কালপ্রিট, উনারে রিমান্ডে নিলে সব জানা যাইবো। আমি অধিকতর তদন্তের দাবি জানাই।

আইলসা

সত্যপীর এর ছবি

রাজা তদন্ত করল কই? খালি বাচ্চা পুলাপানের মতন গল্প শুনতে চায় আর গল্প শুনে রায় দ্যায়। ক্যামন বেকুব! ওর রাজ্যে ডাকাতি হইব না তো কই হইব বলেন খাইছে

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুন তো! হাসি

দেব মুখার্জি
[db.dev.m@gmail.com]
--------------------------------------------------------------
দেব এর উঠোনফেইসবুকগুগলপ্লাস

সত্যপীর এর ছবি

হাসি

..................................................................
#Banshibir.

কৌস্তুভ এর ছবি

আগেই পড়েছিলাম, মন্তব্য করতে গিয়ে দেখি নেটের কল্লা ঘ্যাচাং। মন খারাপ

যাহোক, এটা একটা রেয়ার মিলনান্তক গল্প যেখানে রাজা শুরুতেই মাথাগরম করে কল্লা ঘ্যাচাং করে না। আমাদের পূর্বপুরুষদের মধ্যে দুয়েকটা অমনও ছিল দেখে খুশি হচ্ছি। খাইছে

মরুদ্যান এর ছবি

এই জন্য বলছিলাম উপ্রে যে গল্প দুধভাত। কোন কল্লা ঘ্যাচাং নাই, বনবাস নাই খাইছে

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

সত্যপীর এর ছবি

খি খি খি।

..................................................................
#Banshibir.

সত্যপীর এর ছবি

পূর্বপুরুষদের মধ্যে লুল ছোট রাজকুমারও ছিল কিন্তু কৌস্তভদাদা খাইছে

..................................................................
#Banshibir.

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

যেমন দুষ্টু শেয়ারবাজার
দুষ্টু তেমন রাজকুমার।।।।
চোখ টিপি

সত্যপীর এর ছবি

শেয়ারবাজার দুষ্টু অ্যাঁ অ্যাঁ

..................................................................
#Banshibir.

ম্যাক্স ইথার এর ছবি

আমাদের অথর্ব মন্ত্রীর মতে আমাদের শেয়ার বাজার দুষ্ট শেয়ার বাজার ।

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

গত পরশু আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রী, শেয়ারবাজারকে দুষ্টু বলেছেন। তাই আপনার লেখাটা পড়তে পড়তে মনে পড়ে গেছিল।

ম্যাক্স ইথার এর ছবি

হুমম ; পড়তে পড়তে দুষ্ট শেয়ার বাজারের কথাই মনে পড়লো । এই লেখার সাথে এরশাদ দাদুকে ট্যাগ করা হয়েছে দেখে মজা লাগলো । ধন্যবাদ ।

সত্যপীর এর ছবি

আমার সব লিখায় এরশাদাদু ট্যাগিত থাকেন হিহিহি চাল্লু

..................................................................
#Banshibir.

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।