Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

কবিতা

পাবলো নেরুদার প্রেমের সনেট -- ৮৯

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৪/০৫/২০১৪ - ৯:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার মৃত্যুর পর, হাত রেখো আমার চোখে,
প্রিয় আঙুলের আভা আর গমের সতেজ ঘ্রাণ
বয়ে যাক আমার ওপর। আমার ভাগ্যরেখা
পাল্টে দেওয়া তোমার কোমলতা ঘিরুক আমায়।


পাবলো নেরুদার প্রেমের সনেট -- ৮০

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১০/০৫/২০১৪ - ৩:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রেম, আমি তামাম পৃথিবী ঘুরে, ছুঁয়ে এসে দুঃখের স্বাদ,
তোমার কণ্ঠস্বর, তোমার গীটারে স্পন্দিত রিনরিনে হাত,
হেমন্তকে চুমু দেওয়া আগুনের আঁচ, আর আকাশে ফিরে আসা
রাতের কাছে সমর্পিত হই।

আমি সবার জন্য চেয়েছি রুটি, স্বাধীন অধিকার;
যে শ্রমিকের কোনো আগামী নেই, তার জন্য বেঁচে থাকার মাটি।
কেউ যেন আশা না করে -- আমার রক্ত, আমার বেদনার গান বোবা হয়ে যাবে,


পাবলো নেরুদার প্রেমের সনেট -- ৯৯

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৭/০৫/২০১৪ - ৪:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এমন মূহূর্ত আসবে একদিন, যেদিন বৃক্ষের, নক্ষত্রের
নীরবতা বুঝবে মানুষ, পাবে স্বচ্ছতার নিখাদ আওয়াজ,
আর বেহালার রিনরিনে স্বর ভরে উঠবে
অফুরান জ্যোত্স্নার সৌরভে!

হয়ত সেদিন এক অখণ্ড রুটি,
ধারণ করবে তোমার সফেদ ময়ান, তোমার কণ্ঠস্বর
আর হেমন্তের নিখোঁজ ঘোড়াগুলি
তোমার ধ্বনিময়তায় কথা ক'বে।

হয়ত তুমি এমনটাই হুবহু চাওনি কখনো,
তবু, ভালবাসা প্রাচীন রাখালী মধুর মত
ছলকে তুলবে মৃত্পাত্র আমার ।


পাবলো নেরুদার প্রেমের সনেট - ৪৯

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০২/০৫/২০১৪ - ৯:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ নতুন এক সূর্যোদয়, গতদিনের লেবাস ঝরে গেছে সব
আলোময় আঙুল আর ঘুম জড়ানো চোখের সাথে সাথে।
আগামী আসবে তার সবুজ পা ফেলে
আর ভোরের জলস্রোত কেউ রুখতে পারবে না

নদীর মত তোমার হাতের গতিময়তা
রোধ করতে পারে কি কেউ, প্রিয়তমা?
তুমি মুহূর্ত-স্পন্দন; আমৃত্তিকালম্বিত আলো
আর ঘন হওয়া আঁধারের মধ্যবর্তিনী

তোমার ওপর অসীম ডানা ছড়িয়ে দিয়ে আকাশ
তোমায় দুই হাতে সযত্নে তুলে সঁপেছে আমায়


পাবলো নেরুদার সনেট - ৪৮

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৯/০৪/২০১৪ - ১১:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দুই সুখী প্রেমিক মিলে তৈরী হয় অখন্ড রুটি
ঘাসের ওপর এক ফোঁটা টলমলে চাঁদের শিশির।
হেঁটে যেতে দুই ছায়া ঢেউ খেয়ে মেশে। বিছানায়
তারা হয়ত এক চিলতে সূর্য ফেলে যায়।

সত্য থেকে ছেনে আনে তারা একটি দিবস;
তাকে বাঁধে দড়ি নয়, সৌরভের টানে; শান্তির পাঁপড়ি ধরে রেখে
তাদের শব্দ কাঁচের মত হয় না চুরমার
তাদের সুখ, উঁচুতে বাঁধা কোনো স্বচ্ছ মিনার।

বাতাস আর সুগন্ধী মদ বন্ধু হয়ে তাদের সাথে যেতে চায়,


শুদ্ধাচারী রোবটের স্বগতোক্তি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১৩/০৪/২০১৪ - ১০:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তোমাকেই লিখছি, তবু তোমাকে জানাতে নয়
হয়তো এ লিখা নয়—
স্মৃতির দোলচেয়ারে বসে
এলোমেলো ভাবনার আঙ্গিনায়
একটু আধটু ঢেউ তোলা...
অনিমেষ চেয়ে দেখা ভাঙনের বিদীর্ণ বুক।


গুচ্ছ কবিতার ঈশ্বর

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৯/০৪/২০১৪ - ৯:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুছে ফেলা
----------
সমস্ত রাত জুতোর ফিতেয় বাঁধা নির্জন
বারান্দাটা আজীবন কুড়োয় অন্ধের পান্থপথ,

আমার হাড়ের ছাড়পত্র জানে
যে চোখে পাথর চোখ নামিয়ে হয় নারী,
নিরবতার দুরত্ব কমিয়ে তুমিই আমার
মুছে ফেলা কল্পনার বংশধর
বানকুড়ালি পুতুল।

স্বপ্নের শেষটুকু নিভে গেলে পরিত্রাণহীন
একটি শরীর ঠিক পাহাড়ের মাঝখানে
নেমে নেমে এখন হাওয়ার পুকুর।

মহাপুরুষ
-----------


হয়ত সুলতা জানে

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি
লিখেছেন ত্রিমাত্রিক কবি (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/০৪/২০১৪ - ২:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভাবছি।

অলস দুপুর, টুপটাপ বৃষ্টি পড়ছে বাইরে, এখানে যেমন পড়ে অনেকটা সেরকম টুপটাপ। বৃষ্টির ছাট থেকে কাচে লেগে যাওয়া পানির ফোঁটা খুব সন্তর্পনে জানালার কাচ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে অভিকর্ষের টানে। আমি তাকিয়ে আছি সেই অনিবার্য পতনের দিকে, তাকিয়ে আছি জানালা দিয়ে বৈশিষ্ট্যহীন একলা আকাশের দিকে। চিৎ হয়ে শুয়ে আছি, আর ভাবছি। আমি বেশ ভাবি, মাঝেসাঝে, এই আবজাব, অর্থহীন, অলস, বৈশিষ্ট্যহীন, অমৌলিক আর এলোমেলো সব ভাবনা।


সীমারেখা

মণিকা রশিদ এর ছবি
লিখেছেন মণিকা রশিদ (তারিখ: সোম, ০৭/০৪/২০১৪ - ১০:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সকালে কফির কাপে
ঝিমায় মেঘের ফণা- অসুখী প্রহর
রাতের শ্রান্তি থেকে ধার নিয়ে নৈর্ব্যক্তিক আলো
দিন যেন থেমে থাকে শেষ সিঁড়িটির ধাপে-
বাসস্টপে ভেজা রাস্তায়