Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

কবিতা

ফুলঢেউ

শাহীন হাসান এর ছবি
লিখেছেন শাহীন হাসান (তারিখ: রবি, ১৭/১১/২০১৩ - ৭:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জানিনা কোন মহাধাম থেকে আসে, এই অধমের শয়নকক্ষে
ফুলের ঢেউগুলো ঢোকে। যেভাবে সমুদ্র :
বেলাভূমিকে প্লাবিত করে
স্নানরত মানুষের পায়ের তলা থেকে বালুরাশিকে টানে,
তেমনি ঢেউগুলো আমার মধ্যে আসে
কী যেন রাখে, আবার সরিয়ে নিয়ে যায় ;
কেউ চায় কী আমাকে,
যুগপৎশূন্য-পূর্ণ করতে?
এ যেন অনন্ত সেই খেলা, সাগর আর সৈকতের।

এতোকাল ধরে যতফুল, বাগিচায় বনভূমিতে নিসর্গে


সংকীর্তন

মণিকা রশিদ এর ছবি
লিখেছেন মণিকা রশিদ (তারিখ: শুক্র, ১৫/১১/২০১৩ - ৪:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পুড়ে গেলে কিছু থাকে না
পংক্তি বিলীন মাঠ

তুলো ওড়া রাত্রিবদ্ধ পাপে
মৃত মুহূর্তের ছাই-

উড়ে গেলে শক্ত ডানার পাখি
অনন্ত রেখার ধারে শব্দদূষণ

ঘুঙুর শাঁখ দীর্ঘশ্বাসের অধরা নিদ্রাপাঠ
উড়ে গেলে কিছু থাকে না


এখন আমি (একটি অসমাপ্ত ভাবনা)

মৃন্ময় আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন মৃন্ময় আহমেদ (তারিখ: রবি, ১০/১১/২০১৩ - ৪:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ক্লান্ত সময়ে যখন সময়হীন কথাফুল ঝরে-
অনাবীল আনন্দে উড়ে বেড়াই তারা গুনে-
ডিফারেন্সিয়েটেড ইন্টিগ্রশানে ভাঙে ছাদ
পলিস্তারার কণায় কণায় মেঘাচ্ছন্ন আর্তনাদ-

চোখের জ্বালায় মন-আধারে বৃষ্টিবিলাসী কে!


কিছুটা স্বপ্নের ঘুম প্রায়শ অতীত

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৭/১১/২০১৩ - ৩:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আমাদের গ্রামটি’র নাম ছিল চৈতন্যপুর, সুহৃদ ছিল তার নদীটি’র নাম; দুই ধারে আনমনা কাশবন, তারপর একাকিনী ফাঁকা মাঠ নিকনো সবুজে ঢেউ। এলোমেলো পাড়া ছিল, আরও ছিল পাড়াদের ঘর-বাড়ী- মানুষের নাম। পাখীটির নাম ছিল সুজলা, সুফলা ডানায় তার ভিড় করে মিশেছিল দেহাতী শস্যের শরীর, ঘরণীর আরও ছিল গোলা!


বাগদত্তার কথা

তাপস শর্মা এর ছবি
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২১/১০/২০১৩ - ৩:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কোনো একটা সভ্যতার আদিলগ্নে হয়তো কেউ ‘প্রতারণা’ আবিষ্কার করেছিল। আর তখন থেকেই মনে হয় আমার মধ্যে প্রতারিত হবার ভয়টা ঢুকে যাবার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। পৃথিবীর ডাকঘরে সমস্ত ভুল গল্পের মধ্যেই আমি বেঁচে ছিলাম। তারপর একদিন বীক্ষণাগারে নিক্ষেপের পূর্বে অভিজ্ঞ যন্ত্রগণক কলকব্জা নিরীক্ষণের যন্ত্র চালু করে আমাকে তার মধ্যে স্থানান্তরিত করলেন। ফলাফলের সূচকচিহ্নে আর্যভট্টের আবিস্কার ধরা দিল। যন্ত্রগণক তার মোটা চশমার ফাঁক দিয়ে আমাকে তাচ্ছিল্যভরা নজরে ছন্দোবিশ্লেষণ করে বাতিলঘরে যাবার চোথা লিখে দিলেন। শেষ রাস্তায় নামার আগে ভোগদখলি স্বত্ব হিসেবে আমার জন্যে বরাদ্দ করা হল দশ টাকার গাঁজার পোটলা, এক পেকেট হরিমোহন বিড়ি, আধা বাটি চিঁড়া এবং অবচুর্ণন দুধের গন্ধযুক্ত দৈ। অমলের মতো হাঁকতে হাঁকতে আমি ভরাপেটে এবং গাঁজার সম্মোহনে একটি অরাজক তাজা শ্মশানের উদ্দেশ্যে চিঠিটা পৌঁছে দিতে রওনা দিলাম...


মূর্খেরা বেঁচে থাকো

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০২/১০/২০১৩ - ৯:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পৃথিবীটা মূর্খদের। মূর্খেরা বেঁচে থাকো

অনাদি যে কাল অনন্ত যে কাল আর অসম্ভব যে কাল সে কাল থেকে স্বপ্ন দেখছি জন্ম নেবো কারখানায়
তবু অনাদিকাল অনন্তকাল ধরে নোংরা বিন্দুগুলো মিলেমিশে ''আমি'' হয়ে উঠছি
তাই আমি এতো আঠালো (পুস্পি কে বোঝাতে পারিনি)
বেঁচে থাকো ঔরসের গৌরব বেঁচে থাকো স্নেহের কলরব
মামা খালা চাচা ফুপু পরম উল্লাসে পান চিবাও খুন চিবাও
বেঁচে থাকো


অভিসার

গান্ধর্বী এর ছবি
লিখেছেন গান্ধর্বী [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৫/০৯/২০১৩ - ২:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কোনো এক অরোরায়,
আলোল-বিলোল উর্মিল সায়রের কাছে
যখন অবাঙমুখ এক অন্তরীপের মতন
ক্রমশ নিমগ্ন হতে থাকি,
কিংবা নিতল ঘুমের রাজ্য ছেড়ে
শ্রবণা আর কৃত্তিকাদের ভিড়ে
আকাশগাঙ্গের ফিসফাসে কান পাতি,
নয়তো জলজ মেঘফুল ছুঁইতে
কোনো গহন শাঁওল শাওনি রাতে,
তপ্ত করতল মেলে রাখি,
ঠিক তখন অফুরান এক ফল্গুধারার মতন
কবিতা, শাশ্বত প্রণয়ী আমার
নিরল অভিসারে আসে কাছে!
সে এলেই দখিনপানের সুরবাহারে


হারানোর গল্প

মাসুদ সজীব এর ছবি
লিখেছেন মাসুদ সজীব (তারিখ: রবি, ২২/০৯/২০১৩ - ৯:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তোমাকে খুঁজতে গিয়ে সেই কবে
নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি
বুনো শালিকের কাফেলায়,
অথচ পঙ্খি সুমারিতে আমি এক
নতজানু কাকতাড়ুয়া
ধ্যানমগ্ন ধানের সবুজ পাতায় পড়ে থাকি
শিশিরের জলপাট্টি হয়ে।

তোমাকে খুঁজতে গিয়ে সেই কবে
নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি
সময়ের এক অচেনা স্রোতধারায়
অথচ বেঁচে থাকার তাড়নায়
স্রোতহীন এক সাগরে ভেসে যাচ্ছি
উদ্দেশ্যহীন বেদনায়।


আবৃত্তি

শাহীন হাসান এর ছবি
লিখেছেন শাহীন হাসান (তারিখ: মঙ্গল, ১৭/০৯/২০১৩ - ৭:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(আমাদের প্রথম সন্তান আবৃত্তি হাসান কে
জন্মশুভক্ষণ ১২.০৯.২০১৩. দুপুর দুটো )

কলমটি আজ আবার সরব হলো কাকে উদ্দেশ্য করে
যত দৌড় ছুট
ভবঘুরে জীবন যাপন
সমস্ত কিছুকে পিছনে ফেলে দায়িত্ব নিতে হবে, আজ এই
নতুন সময়ের

অনুভূতিটি নতুন
কখনো ভেবেছি
ভেতরে ভেতরে জায়গা বদল করে বসেছি, পিতার আসনে
পথের বেঞ্চিতে

আজ কোথাও টুপটাপ ফুটছে ফুল, জল পড়ার শব্দে
জেগে উঠেছে সবুজ ঘাসে প্রাণ


আহুত বাতাসের মত জাগ্রত শহীদেরা তাই

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৬/০৯/২০১৩ - ৫:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যে শহীদ তুমি স্থিত, যে শহীদ তুমি সংহত,
যে শহীদ তুমি মুক্তির মিছিলে আজও প্রেরণা-
এত জল তবু গাঙেয়, এ পাললিক তুমি শ্রয়,
হে শহীদ তুমি আপামর আলোয় আলোর দ্যোতনা --
এসো কাঙ্ক্ষিত, এসো অবারিত, এসো আগুন এসো প্রাণ পললে...

ও মাটি’র শুধু মূর্ছনা, যত ত্যাগ তত বন্দনা,
ও মাটি তুমি জননী জন্মভূমি এতো আকুলতা-
যে আঁচল ধরে ধমনী, যে মাতা শুধু গরবিনী
যে সবুজ ধরে এতো অহং এতদূর বারতা --