পাখির গানের কোনো, জানামতে, স্বরলিপি নাই
তবু কোনোদিন সেইসব গান বেসুরো লাগেনি
সুরেই লেগেছে কিনা ভ্রুক্ষেপ করেনি কোনো পাখি
শুনেছে কেবল আহা বলেছে যা আকুল হৃদয়
দোয়েল পাখির শিসে থামে নাই কোকিলের কুহু
বকের সাধনা তবু ভাঙে নাই শালিখের সুরে
ফুলেরা মানেনি রীতি “কী উপায়ে ফুল হ’তে হয়”
কারো কোনো কথা মেনে হয় নাই পদ্ম সুনীল
ঘাসফুল মানে নাই বীজগণিতের কোনো ধারা
সংকোচে ফুলেদের ভালোবাসা বকেয়া থাকেনি
মাঝে মাঝে ভালো লাগে না কিছুই, মাঝে মাঝে পালাতে ইচ্ছে করে। চেনা হাতঘড়ি, রোদচশমা কিংবা প্রিয় মানুষটিকেও অসহ্য মনে হয়। যেনো অন্যকোথাও যাবার কথা ছিল—
মৃত্যুমুখ অবধি ছড়ানো এ গাথা— এক অসম্ভব সেতু ছড়ানো চারপাশে। মেঘের মধ্যে উড়ছে আমাদের ঘরবাড়ি যাবতীয় ভালো লাগা। দ্যাখো, দু’হাতে চোখ ঢেকেও আমি তাকে থামাতে পারছি না! শিথিল স্বপ্নের মতো ঘুমন্ত আগুন থেকে বেরিয়ে সে বসে আছে নিষিদ্ধ করাতকলের পাশে।
১
গোধূলির পথে হাঁটতে হাঁটতে কুড়িয়ে পেলাম
সূর্যের কিছু রেণু;
ইচ্ছের গভীরে ডুবি
কত কিছু পেতে চায় মন!
কত সুর, এলোমেলো কত আলাপন…
১।
চুপচাপ উঠে আসো
থইথই বসে থাকো মেঝের ওপর
তুমি কি বন্যার জল,
কবে ফিরে যাচ্ছ সাগরে?
২।
শিকড় রক্তেই থাকে
তার থেকে তুমি বাড়ো
অথবা সে তোমার থেকে বাড়ে
ফিরে যেতে হয় তার কাছে
অথবা সে তোমার কাছে ফেরে!
বরফ
----------------
এইযে টায়ারের ভীড় ঠেলে তোমার এগিয়ে যাওয়া
হোন্ডায় সদ্য ভরা অয়েলের ঘ্রানে পোড়ে পড়ন্ত দুপুর; হেলমেটের
কার্নিশ ঠেলে বের হয়ে থাকা অবাধ্য চুল
উড়ছিল বুঝি? চুল ? স্বপ্ন ? অথবা তোমার এই চলে যাওয়া
পথের বাঁকে কোন নার্সারীর ফুল?
অবশ্য ভাবনার এসব স্টপেজে তোমার বিরতি কই?
আমিতো কস্মিনকালে ভাবি নাই, আমাদের উল্টানো পথে
বিকেলের রঙ ভিন্ন হবে।
যখন মৃত্যুর কথা ভাবি
তখন তোমার কথাও ভাবি
মৃত্যুর সাথে তোমার এমন যোগযোগে
কিছুটা বিস্মিত, কিছু আস্বস্ত হয়ে যাই
এই যে অমোঘ রাতের নিঃশব্দতা
ঝিঁ ঝিঁ পোকা, শিশুর সরল মুখ
নিজের স্বস্তির প্রতিবিম্ব
সবকিছু ছাপিয়ে কোনো এক মুখ--
যখন পালাবো ভাবি, পিছুটান
সহজ জলের নদী সহজ সাঁতার
যখন সহজ পথ নির্জন প্রান্তরে এসে থামে
তখন মৃত্যুর কথা
তখন তোমার কথা ভাবি!
আমারও ইচ্ছে করে তোমার মতো
হাওয়ার আঙুল ধরে হই স্বচ্ছল ঈগল
তারপর উড়ালের ঝাপটায়
ধাওয়া করি উত্তরাধুনিক মেঘ
একবিংশ শতাব্দির মানমন্দিরে
তুলে আনি প্রকান্ড শিকার;
ধারালো নখড়ে তাকে
করে তুলি লোভনীয় খাবারের স্তুপ
কিছুটা মেটাই ক্ষুধার জ্বালা
কিছুটা সঞ্চয়ে তুলে রাখি
বাকিটা সাজাই থরে থরে
ব্যপক বিজ্ঞাপণে
আমাদের প্রচলিত মেঠো পথে তারপর
সচেতন ফাঁদের মতো পেতে রাখি
রাষ্টবিজ্ঞানের এই গুঢ় থালা
[justify]
…
এই দিনে
আমার অবাধ্য অক্ষরগুলো
হুড়মুড় বেরিয়ে পড়ে কলমের মোক্ষম শৃঙ্খল ছিঁড়ে