Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

কবিতা

সবকিছু ঠিকঠাক রাখার জন্যে

জিফরান খালেদ এর ছবি
লিখেছেন জিফরান খালেদ (তারিখ: শনি, ১১/০৮/২০০৭ - ৯:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাঠে দাঁড়ালে
গোটা মাঠটাই নেই হয়ে
যায়।
সবসময় এই-ই ঘটে।
যেখানেই থাকিনা কেন,
সেখানকার একমাত্র নেই
বস্তুটা হলাম - আমি।

বাতাস ছিন্ন করে করে
হেঁটে যাই যখন,
সাথে সাথেই বাতাস
জড়ো হয় - আমার
শরীর এইমাত্র ফেলে এল
যে জায়গাটুকু।

ক্রমাগত হাঁটার জন্যে
আমাদের প্রত্যেকেরই আলাদা-আলদাভাবে
অসংখ্য যুক্তি আছে।

...


এক অভিমানী পথিকের জন্য...

বিপ্রতীপ এর ছবি
লিখেছেন বিপ্রতীপ (তারিখ: শনি, ১১/০৮/২০০৭ - ১০:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উৎসর্গঃ অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ

অন্য পথে হেঁটেছিলে তুমি সব সময়,
যে পথে ছিলো পথিকের বড্ড অভাব,
অভিমানে যে পথের বুকে ঘাস জন্মেছিল একটু একটু করে।
অলৌকিক ইষ্টিমারে চেপে
ঘুরে বেড়িয়েছিলে তুমি
এই ছাপান্ন হাজার বর্গমাইল জুড়ে।

তুমি নষ্ট করতে চেয়েছিলে
জেগে উঠা এক
বিষাক্ত অপ-পাকিস্থানের ভ্রুণ,
লাল নীল দ্বীপাব...


।। রক্তের ভেতরে অনুভব করছি ।।

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: শনি, ১১/০৮/২০০৭ - ৯:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রক্তের ভেতরে অনুভব করছি নিঃশব্দে এগিয়ে আসছে ব্যাধ ।
না আমি সরে যাই!
বোধের ভেতরে আত্নহত্যার অনুরূপ এক প্রবণতা খেলা করে ।
না তুলে নিই কোনো বর্ম!
তোমাকে যে জেনেছে ও হারিয়ে ফেলেছে কেবল সেই এখন বুঝবে
আমার এ মনোভাব ।
চারদিকে গ্রামগুলো উজাড়,কঙ্কালে পরিনত স্বপ্নের সারস,
পড়ে আছে খড় ও পালক ।
গাভির বাথানে এখন অনবর...


চাইছি তোমার উষ্ণতা

ফারুক হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফারুক হাসান (তারিখ: শুক্র, ১০/০৮/২০০৭ - ৫:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই ঘন ঘোর শীতে প্রেম বড় কম,
শৈশবের শরতের চরে
কাশবনের কথা মনে পড়ে
কুয়াশা বন্দী নগরে- সে রকম
চাইছি তোমার উষ্ণতারই ওম।

কিংবা এই শিশ্নতাপে গলে গিয়ে ভয়
করেছে ঘেরাও ঢের সহিসেরে
স্বভাবে নগ্ন পুরোবসনার ঘরে
লালসা লিপ্ত অধরে- চাইছি তোমায়
হেলেনের ন্যায় পরকীয়াময়।

এই দেহ পুরে যাক-
এই শীতের ভোরে প্রেম হয়ে থাক
ভরা ...


বাসস্টপ

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি
লিখেছেন অছ্যুৎ বলাই (তারিখ: শুক্র, ১০/০৮/২০০৭ - ৩:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাস স্টপে ভ্যাবদার মতো দাঁড়িয়ে আছি
চারিদিকে যখন হট্টগোল
কোলাহল
জ্বালাও পোড়াও আকাশের ঋণ
আমি তখনো ক্লান্তিভরা ভ্যাবদা রফিক
দাঁড়িয়ে আছি বাস স্টপে ভুলে স্বপ্নের দিন

তোমরা এত কিঁচির মিঁচিরে
অবসন্ন তিমিরে
বেসুরো পৃথিবীর সাথে সখ্যতা গাও
আমি দেখো চলে যাই
অশোরে অগোচরে অবৈধ স্বাধীনতায়

নাড়িটা কেটে গেছে...


ফাঁসিতে ঝোলানোর জন্য,আজ বড় চমৎকার দিন

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: শুক্র, ১০/০৮/২০০৭ - ৮:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

.

বোবা আদালতে বিচারকগন বধির ।
শিকারী কুকুরের লালা ঝরছে আর
মহামান্যগনের চোখের সামনে ঝুলছে
কালো নিগারের পাথুরে শরীর ।

শুনেছি ভীষন অপরাধী,ভয়ংকর খুনী
অবশ্য তাহারাই শুনিয়েছেন সব,দন্ডিতজন
নির্বাক নিয়মতান্ত্রিক, নির্বিবাদে ।
নিথর দুপা বাতাসে দুলছে যেনো কাকতাড়ুয়া,
কাক কে ত...


মানে

জিফরান খালেদ এর ছবি
লিখেছেন জিফরান খালেদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৯/০৮/২০০৭ - ৭:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এরপর
উচ্চতর সিঁড়িতে দৃষ্টি হানে শরীর,
শব্দের পঙ্কিলতায়
রি-রি করে ওঠে নাগরিক হৃদয়,

খুব উঁচুতে উঠে হারিয়ে গেছে যে
বেলুন -
তার মতো সবকটা চিন্তা,
বর্ণক্রীড়া.
নগ্নিকার চেয়েও সুন্দর পংক্তির ছবি
আর
স্তবকের নিষ্প্রাণ চেয়ে থাকা, - দূরে
সরে যায় - আমার হাতের মুঠো হতে

সিঁড়িটির
প্রথম ধাপে পা দিতে যাব কি-না বুঝত...


কয়েকদিন ধইরা লিখতে পারি নাই, এইবার একটা কবিতা!

কন্থৌজম সুরঞ্জিত এর ছবি
লিখেছেন কন্থৌজম সুরঞ্জিত (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৯/০৮/২০০৭ - ২:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কবিতার নাম:
আমার জিয়ন কাঠি

সাদা কিংবা সবুজ
ঘাস ওঠা পথের দুধার বেয়ে
চলে গেল সারি সারি
কুণ্ডলিত মেঘ-সম্ভাবনা।

পেছনে সুস্থির
কয়েক শত নির্মল চোখ।
ছেলেটি কাঁদছে:
আগে জেনে দিগন্তের কথা।

আমি বার বার কারণ খুঁজে আটকে যাই
কালোত্তী...


চাইলেই পারি

ঝরাপাতা এর ছবি
লিখেছেন ঝরাপাতা (তারিখ: বুধ, ০৮/০৮/২০০৭ - ৬:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হর-হামেশা আসতে পারি-
তোমার কাছে।

একটু খানি অভয় দিলে
দু'হাত দিয়ে টানতে পারি-
বুকের খাঁজে।
একটি দুপুর স্বপ্ননীলে
মেঘের ভেলায় ভাসতে পারি-
মনের মাঝে।

একটুখানি সুবাস নিতে
মুখখানি তাই ঢাকতে পারি-
চুলের ভাঁজে।
একটি বিকেল সন্ধ্যা হলে
অন্য কিছুও চাইতে পারি-
ঈষৎ লাজে।

একটু বেশি মাতাল হয়ে
হয়ত দু'জন নাইতে প...


একটি কবিতা ও চিরন্তন ভালোলাগা

ঝরাপাতা এর ছবি
লিখেছেন ঝরাপাতা (তারিখ: বুধ, ০৮/০৮/২০০৭ - ৬:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যে কাল পিছনে ছিলো
সে কাল সমুখে ফিরে আসে-
অবগুন্ঠিত মুখে তারকাখচিত পট্টবাসে-
কে তারে ভূষণ দিল, দিল অলংকার
ক্ষণস্থায়ী ঐশ্বর্য্যের বসন্তবাহার?
স্পর্শহীন স্রোতে তার রূপহীন আবেগে অতুল
কে ফোটাল ফুল?
শূন্যের সমুদ্র হতে নিমিষে নিমিষে ধরে কায়া-
বেলাহীন বেলাতটে তরঙ্গের মৃত্যুময়ী মায়া।

------------- মৈত্রয়ী দেবী

মি...